নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদরের ভাড়–খালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০১৬ সালের জে.এস.সি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ ও এ প্লাস প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় ভাড়–খালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির আয়োজনে ভাড়–খালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. মশিউর রহমান বাবু’র সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর-০২ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে বলেন, নিরক্ষর মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে বর্তমান সরকার বছরের শুরুতে নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অগামী প্রজন্মকে যুগপযোগী শিক্ষা গ্রহণ করে দেশ ও জাতি গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সরকার দেশকে নিরক্ষর মুক্ত করতে বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে প্রায় ৩৪ কেটি বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছে। যা বিশ্বের কোথাও এমন নজির নেই। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক জি.এম নুর ইসলাম, ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাড়–খালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান, ডাঃ একরামুল ইসলাম, সীমান্ত কলেজের প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, ইউপি সদস্য গণেশ সরকার ও ইউপি সদস্য মুতাছিম বিল্লাহসহ শিক্ষক/শিক্ষার্থী ও পরিচালনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ। সাতক্ষীরা সদরের ভাড়–খালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০১৬ সালের জে.এস.সি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ করেছে। মোট ১শ’ ৬ জন শিক্ষার্থী জে.এস.সি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৯ জন এ প্লাস, ৬৩ জন এ গ্রেডসহ শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ভাড়–খালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাহমুদুল হাসান।

মীর খায়রুল আলম: দেবহাটা উপজেলায় ব্যাপক হারে শুরু হয়েছে শীতকালীন অতিথি পাখি শিকারের উৎসব। শীতের তীব্রতায় ও খাদ্যের অভাবে বিদেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি উপজেলার বিভিন্ন বিল এলাকায় আসতে শুরু করেছে। আর সেই সুযোগে ঘিরে পাখি শিকারীরা সরকারি আইন অমান্য করে প্রকাশ্যে পাখি শিকার করছে। বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৭৪ সালে বন্য প্রাণী রক্ষা আইন ও ২০১২ সালে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে দ-ের বিধান রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা দ- বা উভয় দ-ে দ-িত। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুই বছরের জেল, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এই আইনের কোনো প্রয়োগ হচ্ছে না। পাখিরা শুধু প্রকৃতির শোভা বর্ধন করে না, বরং ভারসাম্যও রক্ষা করে। পোকামাকড় খেয়ে এরা কৃষকের উপকার করে। কিন্তু আইন থাকলেও পাখি নিধন বন্ধে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। এ কারণে দেশ থেকে নানা প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হচ্ছে। এতে একদিকে জীববৈচিত্র নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ বাড়ছে। এসব অতিথি পাখিগুলো ইয়ারগান, কাটিজ বন্দুক, ফাঁদ ও কিটনাশক দিয়ে নির্দিধায় শিকার চলছে যা প্রশাসন দেখেও যেনো দেখছে না। পাঁচপোতা গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, শীতের সময়ে হরেক রকমের পাখিদেখে সকলের মন ভরে যায়। বিরল প্রজাতির এসব পাখি গুলো শিকার করেছে একশ্রেণির কুচক্রিমহল। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন পেশাদার পাখিশিকারি জানান, বাজারে পাখির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই কোনোমতে ধরতে পারলেই বিক্রি করতে সমস্যা হয় না। প্রতি জোড়া সাদা বক ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, কাইয়ুম পাখি ৩৫০ থেকে ৪০০ ও বালিহাঁস ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। তাছাড়া মাংশ ভেদে পাখির দাম নির্ধারণ করা হয়।
আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে বুধবার ছাত্রলীগের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আশাশুনি উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে সকাল ৭টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। ৭.৩০ টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। ১০.৩০ টায় আওয়ামলীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জনতা ব্যাংক চত্বরে পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম হুমায়ুন কবির সুমনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মনিরুজ্জামান বিপুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, আ’লীগ নেতা মুজিবুর রহমান, ঢালী সামছুল আলম, আছাদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা বদিউজ্জামান মন্টু, আক্তারুজ্জমান, সৈনিকলীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির রাসেল, রাকীব, আজম, বাবু, তোফায়েল, মিঠুন, রেজাউল, খায়রুল, প্রকাশ, বিদ্যুৎ, নাইম, লাবণ্য, মলয়, শামীম, আশীক, পাপ্পা, সৈয়দ, সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল হাসান, তরুনলীগ সভাপতি রবি, মোতাহার, কাজল, উপজেলা ছাত্রলীগের আমিরুল, শংকর, নিশান, রাজু, আনারুল, জহুরুল, শাহীন প্রমুখ। সবশেষে জন্মদিনের কেক কাটা হয়।
কালিগঞ্জ ব্যুরো: প্রচীনতম রাজনৈতিক সংগঠণ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে কালিগঞ্জে কককাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গৌতম কুমার লস্কারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি আদর্শের সংগঠণ, এই সংগঠণ ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারী প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ‘৫২ ভাষা আনন্দোলন, ‘৫৪ যুক্তফ্রন্ট, ‘৬৬ দফা, ‘৬৯ গনঅভ্যুত্থান, ‘৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর শৈরাচার বিরোধী আনন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে অগ্রণি ভূমিকা পালন করে। উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাওন আহম্মেদ সোহাগে‘র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, কুশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়র মেহেদী হাসান সুমন, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান জামু, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান, উপজেলা তরুণ লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী আব্দুস সবুর, নলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফিরোজ হোসেন, তারালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, ধলবাড়ীয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুর রহমান বাবু, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত কুমার ঘোষ, মৌতলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম শাহারিয়ার, নলতা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আনিছুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে কেককেটে ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী আওয়ামীলীগ এবং সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যয়ের নেতা কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগরের আবু জার কৃষি কাজে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। ৮ বিঘা জমিতে সবজি চাষ ও পুকুরে সমন্বিত মৎস্য চাষ করে ৬ মাসের ব্যবধানে ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা আয় করে সফলতা লাভ করেছে এই কৃষক। আবু জার শংকরকাটি গ্রামের মৃত জবেদ আলীর পুত্র। গোবিন্দপুর ব্লকের শংকরকাটি গ্রামে ৮ বিঘা জমির মধ্যে ১ বিঘা পরিমান একটি পুকুর খনন করে রুই ,কাতলা, মৃগেল সহ বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য চাষ করে সফলতা পেয়েছে। পুকুরের পানি দ্বারা অবশিষ্ট ৭ বিঘা জমিতে ফুল কপি ,বিট কপি, বাঁধা কপি, পালং শাক, শিম, সরিষা,বেগুন,কাঁচাঝাল,লাউ,পুইশাক, ঢেঁড়শ, টমেটো লাগিয়ে বাম্পার ফসল পেয়েছে। ক্ষেতের চারিপাশে পেঁপেঁ, নারিকেল গাছ, মেহগনি, কুলগাছ,কদবেল সহ বিভিন্ন জাতের গাছ লাগানো হয়েছে। এ মৌসুমের প্রথম দিকে সবজীর দাম বেশি হওয়ায় প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছে। সম্পন্ন রাসয়নিক সার ছাড়াই জৈব দিয়ে অভূতপূর্ব ফলন হওয়ায় দাম পেয়েছে বেশ চড়া। কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ শামসুর রহমানের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ৪ জন কৃষক নিয়ে সার্বক্ষনিক ক্ষেতে কাজ করায় ফসল বাম্পার হয়। বিল জমিকে উঁচু ভিটায় রুপান্তরিত করতে এবং প্রথম পর্যায়ে বড় ধরনের পরিকল্পনায় কৃষি ক্ষেতে কাজ করতে কয়েক লক্ষ্য টাকা খরচ হয়। আবু জার বিভিন্ন সমিতি ও ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তার এ কাজ করতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বৈজ্ঞানিক বা আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করা ছাড়াও ঐ জমিতে গরুর ফার্ম করতে কার্যক্রম শুরু করেছে। পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা পেলে তার ফার্ম কাজটি শেষ হবে। আবু জারের এ ধরনের কার্যক্রম বিভিন্ন সরকারী ও বে-সরকারী কর্মকর্তারা ছাড়াও শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা তার কৃষি ক্ষেতে সরেজমিনে গিয়ে চোখ ধাঁধানো ফসল দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রত্যহ কয়েক ডজন চাষীরা তার কর্মকান্ড দেখতে ভিড় জমাচ্ছে। এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবুল হোসেন জানান, আবু জারের কর্মকান্ড এলাকার একটা মডেল, কৃষিখাতে তার দক্ষতা সত্যিই প্রশংসনীয়। কৃষক আবু জার বলেন, আমি এ ধরনের কার্যক্রম অব্যহত রাখবো, তবে সরকারি বে-সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ: একই সাথে আমের এবং বিভিন্ন ফসলের চাষ করে সফল উদ্যাক্তা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের ফেরদাউস মোড়ল। মৌতলা পানিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে ১২ বিঘা(১ হেক্টর ৫)জমি ২০ বছরের জন্য ডিড নিয়েছেন ফেরদাউস মোড়ল। সরেজমিনে যেয়ে দেখাযায় সেই জমিতে তিনি ৪৫০টি আমগাছ লাগিয়েছে এর সাথে সাথে আলুর চাষ করা হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে তিনি এইজমিতে এই মিশ্র চাষ আরম্ভ করেছেন। এজমিতে তিনি আমবাগানের পাশাপাশি চাষ করেন ধান,আলু,মিষ্টি কুমরা সহ বিভিন্ন রকম ফসলের। এই আমের বাগানের এবং মিশ্র ফসল চাষের থেকে বাৎসরিক আয়ের পরিমান ৩ লক্ষ টাকা এমনটাই জানালেন উদ্যাক্তা ফেরদাউস। তিনি বলেন যশোরে তার আত্বীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যেয়ে আমের বাগানের পাশাপাশি মিশ্র ফসল চাষ দেখে তার ভাললাগে। তিনি ভাবতে থাকেন কিভাবে এমন একটি মিশ্র ফসলের চাষ কারাযায় এজন্য তিনি উপজেলা কৃষি অফিসার আনারুল ইসলামের পরমর্শনেন। উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের জমি না থাকায় ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ১২ বিঘা জমি ডিড নিয়ে এক সাথে ৪৫০টি আমের চারা রোপন করেন এর সাথে সাথে তিনি বিভিন্ন রকমের ফসল চাষ করে চলেছেন। প্রতিনিয়ত এখন তিনি উপসহকারী কৃষি অফিসার আব্দুস সোবহানের পরমর্শ অনুযায়ী এই আমের বাগানে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। নিজের সপ্ন পুরনের পাশাপাশি সবার মাঝে আজ পরিচিতি লাভ করেছেন সফল উদ্যাক্তা হিসাবে।ফেরদাউস এর উদ্দ্যেগ সফল হওয়ায় এলাকার অনেকেই আমের বাগানের পাশাপাশি মিশ্র ফসলের চাষের জন্য উদ্বুব্ধ হচ্ছে।
কলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা কলারোয়ায় ‘ছাত্রলীগকে বিতর্কের উর্ধ্বে রাখার আহবান জানিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টুসহ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ২০১৭ সালের অঙ্গীকার হোক অনুপ্রবেশকারী ও পরগাছামুক্ত ছাত্রলীগ। এই অনুপ্রবেশকারী ও পরগাছা হচ্ছে ছাত্রলীগের এগিয়ে যাওয়ার প্রধান বাঁধা। এদের চিহিৃত করতে হবে। ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে, যেন এই পরগাছারা দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে বিভিন্ন জায়গায় সমস্যার সৃষ্টি না করে। গোটা কয়েক অনুপ্রবেশকারী পরগাছার কারণে বদনাম হয় গোটা দলের। বুধবার সকালে পৌর সদরের বাস স্টা- সংলগ্ন বিশ্বাস মার্কেট প্রাঙ্গনে মোমবাতি জ্বেলে উপজেলা ছাত্রলীগের জমকালো আয়োজনে মধ্যে দিয়ে ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তরুন চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। লাল্টু আর বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিতর্কের উর্ধ্বে রাখতে হলে ছাত্রলীগকেও বিতর্কের উর্ধ্বে উঠতে হতে। ছাত্রলীগের বিতর্কিত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে কমিটি করতে হবে। ত্যাগী কর্মীরা যেন কোনঠাসা না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। অমকের এই ভাগ,তমুকের ওই ভাগ-এ সব ভাগাভাগি করলে ছাত্রলীগের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে এবং সুনাম ক্ষুন্ন হবে। বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, আজকের বিএনপির বুদ্ধিজীবীরা বলে, বিএনপি হাঁটুভাঙ্গা দল। আমি বলব ফেলে আসা বছরের সবচেয়ে ব্যর্থ দল বিএনপি। নারায়নগঞ্জসহ সারা দেশে জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি জেতা অস্বাভাবিক। জাতীয় নির্বাচনে হারার পর বিএনপি দিশেহারা দলে পরিনত হয়ে গেছে। এখন তারা আবোল-তাবোল বকছে, উন্মাদের মতো হয়ে গেছে। বিবৃতি সর্বস্ব কর্মকান্ড করছে। তাই আমি আমার সহকর্মীদের বলি এদের সকল প্রশ্নের জবাব দেওয়ার দরকার নেই। এরা এমনই একটা দলে পরিনত হয়ে গেছে, যেটা নিয়ে আমাদের আর মাথা ঘামাবার দরকার নেই। ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা আর বলেন, গনতন্ত্র চর্চার জন্যে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নতুন বছরে আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ। উন্নয়নের মহা-সড়কে যাওয়ার প্রধান বাধা এই উগ্র সাম্প্রদায়িক। আজকে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে হবে। সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করার শপথ নিতে হবে। এ সময় ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কীতে আর বক্তব্য দেন উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা শেখ মাসুমুজ্জামান মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন রাসেলের পরিচালনায় প্রতিষ্ঠা বাষির্কীতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কমিটির তরুন প্রজন্মের ছাত্রনেতা সহ-সভাপতি আবু সাঈদ, হাফিজুর রহমান মিন্টু, জাহিদুর রহমান তুষার, মাসুম রাজীব, আলী ইমতেয়াজ শুভ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাকিল খান জর্জ, আহাদুজ্জামান সুমন, সবুজ হোসেন, শেখ সাদি (রাফি), সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আবু বক্কর সিদ্দিক জনি, শেখ শাহিন, জি এম তুষার, আব্দুর রাজ্জাক নাহিদ, দপ্তর সম্পাদক ইমতিয়াজ আহম্মেদ রিমু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ এরশাদুল হক, শিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদক কৌশিক বসু, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শামীমুজ্জামান টিপু, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রিপন হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী রিপন,আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হোসেন নয়ন, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক শেখ লাম,সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আলী নেওয়াজ, ত্রান ও পুর্নবাসন সম্পাদক শেখ সোহেল রানা, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা ডেইজী পারভীন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শামছুজ্জামান টিটু,পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক তুষার,সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইমরান হোসেন বাপ্পী,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নূর ইসলাম বাপ্পা, সহ-সম্পাদক শেখ আরিফ হোসেন, বাবু, রুবেল, ইয়াছিন আরাফাত, লাল্টু, বাপ্পী খান, ইকবাল হোসেন, টিপু সুলতান, মেহেদী হাসান মিলন, তৌহিদ হোসেন, জনি, প্রিন্স, আহাদ হোসেন, শেখ নূরুল আম্বিয়া, আসাদুজ্জামান এছাড়া সাধারণ সদস্যরা হল- মৃনময় জ্যোতি, রাশেদ আহম্মেদ, মেহেদী হাসান শাওন, মিঠুন, মিলন কুমার, শরিফ হোসেন, শেখ আল মামুন, কাজী আরোজ,মোজাহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর, রিপন, শেখ আলি রেজা, সবুজ হোসেন, বিপু, আশিকুর রহমান, বাপ্পা ইসলাম, শুভ, আশিক হোসেন, খালিদ হোসেন, শেখ সোহান, শেখ বাপ্পী, কাজী রাব্বী, মহবুবুর রহমান,সামছুজ্জামান টিটু, আবু সাঈদ সুমন ও শেখ সাকিবসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।