সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় বিএনপির সদস্য ফরম বিতরন-কমিটি গঠন-সম্মেলনের কার্যক্রম স্থগিতসাতক্ষীরায় দুই সন্তানকে হত্যার পর মায়ের করে আত্মহত্যার চেষ্টা: মায়ের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিশিশু ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমাম গ্রেফতারইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা কমিটি গঠননিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভদেবহাটায় ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে ২য় শ্রেনীর ছাত্রী মিম নিহতজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি তুহিন গ্রেফতারদেবহাটায় বিএনপির মনগড়া কমিটি বাতিলের দাবীতে মশাল মিছিলদেবহাটার সখিপুর প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনশ্যামনগরে অনলাইন জুয়ার দুই মাস্টার এজেন্ট গ্রেফতার

shyamnagar-pic
শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলা আওয়ামীলীগের উপজেলা কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদক এসএম আতাউল হক দোলনের সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি নূরুজ্জামান টুটুলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের নেতা আব্দুল গফ্ফার, ঈশ্বরীপুর  ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. শোকর আলী, ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শেখ মাহবুবুর রহমান, আওয়ামীলীগের নেতা স.ম আব্দুস সাত্তার, পদ্ম পুকুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নূর ইসলাম, মহিলা নেত্রী খালেদা আইয়ুব ডলি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুশান্ত কুমার বাবু, যুব নেতা কুমুদ রঞ্জন গায়েন, সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান সাইদ, বাস্তহারা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা প্রমুখ। আলোচনা শেষে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনার পরে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা জামে মসজিদের পেশ ইমাম আলহাজ্জ মুফতি মাওঃ আব্দুল খালেক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার উত্তর পারুলিয়ায় আইএফএম কৃষক মাঠ স্কুলের সমাপনি মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের আয়োজনে এ সমাপনি মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে পারুলিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সাহেব আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসিমউদ্দীন। অন্যান্যদের উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা শাহজাহান আলী, ইব্রাহিম খলিল, আহম্মদ সাঈদ, মনিরুল ইসলাম প্রমূখ। সমাপনি মাঠ দিবসে ফসলের ক্ষতির বিভিন্ন বিষয় চিহ্নিত করে প্রতিকারের কথা বলা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে সমাপনি মাঠ দিবসে অংশ গ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র এবং বিশেষ অবস্থানকারী পুরস্কৃত করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

tala-picture-0
তালা প্রতিনিধি: জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে তালা উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তালা ডাকবাংলা থেকে শুরু হয়ে র‌্যালিটি বাজারের প্রদক্ষিন শেষে তিন রাস্তার মোড়ে শেষ হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জাকির হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন,সাতক্ষীরা জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যন ঘোস সনৎ কুমার, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, জেলা আ’লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক প্রণব ঘোষ বাবলু, তালা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার জাকির হোসেন, ছাত্রলীগের সভাপতি সরদার মশিয়ার রহমান প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

wife-of-nurol
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (এডিএম) গাড়ীচালক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার শেফালী পারভীন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দীন চিকিৎসাধীন শেফালী পারভিনের খোঁজ খবর নিয়েছেন। নির্যাতনের শিকার শেফালী পারভীন বলেন, তার স্বামী নুরুল ইসলামের ২ জন স্ত্রী ছিল। ২০০৬ সালের ১২ জুন নুরুল ইসলামের সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি নুরুলের ৩য় স্ত্রী। বিবাহের পর থেকে তিনি স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে স্বামী নুরুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই টর্চ লাইট ও লাটি দিয়ে মারপিট করে। পরদিন চিকিৎসার জন্য তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দীন চিকিৎসাধীন শেফালী পারভিনের খোঁজ খবর নিতে এসেছেন। শেফালী পারভীনের মাথায় ক্ষত হয়েছে। নির্যাতনের ফলে ডানচোখ রক্ত বর্ণ হয়ে গেছে। ডান হাতে নির্যাতনের দাগ রয়েছে। শেফালী পারভীনের স্বামী নুরুল ইসলাম বলেন, তার স্ত্রী নির্যাতনের বিষয় তিনি কিছুই জানেন না। তার স্ত্রীর শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন কোথা থেকে হলো? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আমি আপনার সাথে পরে কথা বলবো। একথা বলে তিনি মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলার কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য অসীম কুমার দাশ(সোনার) মাতা-গীতা রাণী দাশ (৭৪)গতকাল বিকাল ৪টায় সংগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য গোষ্ট বিহারী মন্ডল, হেনরী সরদার, বিশ্বনাথ ঘোষ, মঙ্গল কুমার পাল, সিদ্ধেশ্বর চক্রবর্তী, সুবোধ চক্রবর্তী, চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা, যুগ্ম সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন, অধ্যক্ষ শিব পদ গাইন, সুকেশ চক্রবর্তী, বিকাশ দাশ, অধ্যক্ষ নির্মল দাশ, রায় দুলাল, বিশ্বজিৎ বাছাড় প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

123
নিজস্ব প্রতিবেদক : ৩রা নভেম্বর শোকাবহ জেল হত্যা দিবসের আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় জেলা ছাত্রলীগের অফিস চত্বরে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ। জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী বেগম রিফাত আমিন বলেন, ইন্টার পোলের মাধ্যমে জাতীয় ৪ নেতার হত্যাকারীদের বিদেশ থেকে ফেরত এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামীলীগ একটি পরিবার।  সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার পাশে থাকবে হবে। ৭৫’র শোকাহত ঘটনার বাংলার মাটিতে আর পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনার ভিশন মধ্যম আয়ের দেশ বাস্তবায়ন করে উন্নত সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়তে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। আলোচনাসভায় আরো অংশগ্রহণ করেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এড. এস এম হায়দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদ্বয় অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, শেখ সাহিদ উদ্দীন, আইন সম্পাদক এড. ওসমন গণি, প্রচার সম্পাদক শেখ নূরুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, কোষাধ্যক্ষ আসাদুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, পৌর সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন, এড. আব্দুল লতিফ, মীর মোশাররফ হোসেন মন্টু, এড. শাহানাজ পারভীন মিলি, শেখ আব্দুর রশিদ, এনছার বাহার বুলবুল, গণেশ মন্ডল, মহিলা আওয়ামীলীগের এড. ফরিদা আক্তার বানু, শাহানা মহিদ, ইসমত আরা, রেবেকা পারভীন, স্বেচ্ছাসেবকলীগের শেখ মারুফ হাসান মিঠু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন, সাধারণ সম্পাদক এহসান হাবিব অয়ন, জেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ সরদার, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ আসাদুজ্জামান লিটু, মনিরুল ইসলাম মাসুম ও ছাত্রনেতা রেজাউল ইসলাম প্রমুখ। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন তুফান কোম্পানি জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ শেখ ওমর ফারুক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

satkhira-pressonfrence-photo-11
প্রেসবিজ্ঞপ্তি : আশাশুনি উপজেলায় পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করতে আপন বোনের উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে মতিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তি। কোন উপায়ান্ত না পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিকার দাবি করেছেন মতিয়ার রহমানের বোন মমতাজ। এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার পিতার দুই বিয়ে। প্রথমপক্ষের ঘরে তারা আট ভাই-বোন। দ্বিতীয়পক্ষের ঘরে রয়েছে আরও তিন সন্তান। মমতাজ বলেন, তার বিয়ের পর কোন সন্তান না হওয়ায় পিতা তাকে অন্যত্র বিয়ে দেন। সেখানেও তার কোন সন্তান না হওয়ায় স্বামী তাকে তাড়িয়ে দেয়। তখন পিতা মৃত গোলাপ গাজী মমতাজের নামে দেড় বিঘা জমি লিখে দেন। সেখানেই ঘর তুলে জীবনে বেঁচে আছেন তিনি। এরই মধ্যে ভরণপোষণের জন্য পিতার দেওয়া দেড় বিঘা জমি থেকে ১০ কাটা জমি বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন মমতাজ। তখন তার নওয়া ভাই মতিয়ার রহমান তাকে বাইরে জমি বিক্রি করতে নিষেধ করে তার কাছে বিক্রির অনুরোধ জানায়। ভাইয়ের কথায় বিশ্বাস করে কোন টাকা-পয়সা না নিয়েই মমতাজ মতিয়ার রহমানের নামে জমি লিখে দেয়। মমতাজ অভিযোগ করে বলেন, তিনি শিক্ষিত না হওয়ায় তার ভাই ১০ কাঠার পরিবর্তে ১৭ কাঠা জমি লিখে নিয়েছে। এছাড়া এখনো পর্যন্ত পাওনা এক লক্ষ টাকা পরিশোধ করেনি। পাওনা টাকা চাওয়ার পর মতিয়ার রহমান তাকে বাড়ি ছাড়া করতে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এরই সূত্র ধরে ১/১১/১৬ তারিখে মতিয়ার রহমান, হাসান ও মতিয়ারের স্ত্রী অরুনা খাতুন হত্যার উদ্দেশ্যে দা, বটি নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। এ সময় ঘরে গিয়ে আশ্রয় নিলে তারা টেনে হিচড়ে বের করে বেধড়ক মারপিট করে। এ ঘটনায় আশাশুনি থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মতিয়ার রহমানের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উল্টো তাকেই জেলে দেওয়ার হুমকি দেয়। তিনি বলেন, পুলিশকে ম্যানেজ করে মতিয়ার রহমান তার বাড়ি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

kazi-imdadul-haque
বাবুল আক্তার, পাইকগাছা : শুক্রবার ৪ঠা নভেম্বর কবি সু-সাহিত্যিক বাংলা সাহিত্যের রুপকার আব্দুল্লাহ উপন্যাসের রচয়িতা খান বাহাদুর কাজী ইমদাদুল হকের ১৩৪তম জন্ম বার্ষিকী। স্থানীয় ও সরকারিভাবে নেই তার জন্ম বার্ষিকী পালনের কোন কর্মসূচী। তিনি ইতিহাসের পাতায় জীবন্ত মানুষের মত বেঁচে থাকলেও তার জন্মভুমি বেদখল হয়ে তার বাড়ির কোন নিশানা দেখা যায় না। তার বাড়ি উদ্ধার করে জন্ম ওমৃত্যুবার্ষিকী পালনের আহবান জানিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসী। খান বাহাদুর কাজী ইমদাদুল হক বিংশ শতাব্দির শেষের দিকে তৎকালীন বৃটিশ ভারতের বৃহত্তর যশোর জেলার খুলনা মহাকুমার পাইকগাছা থানার গদাইপুর ইউনিয়নে কপোতক্ষ নদের পাড়ে মেলেকপুাইকাটী গ্রামে ১৮৮২ সালে ৪ঠা নভেম্বর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা কাজী আতাউল হক ও মাতা সামছুননেছা খানম, দাদা কাজী মেহদীবিল্লাহ। খান বাহাদুর কাজী ইমদাদুল হক তার পিতার একমাত্র সন্তান ছিলেন। তার পিতা কাজী আতাউল হক একমাত্র পুত্র সন্তানকে  কাজী ইমদাদুল হককে শিশু বয়সে গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি করে দেন। সেখান থেকে কাজী ইমদাদুলহক ১৮৯১ সালে মাইনার পাশ করেন। মাইনার পাশ করার পর তার পিতা কাজী আতাউল হক কপোতক্ষ নদের পশ্চিম পাড় রাড়ুলী গ্রামের বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী, রসায়নবীদ প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের উৎসাহ উদ্দীপনায় খুলনা মহাকুমার স্কুলে ভর্তি করে দেন। ১৮৯৬ সালে খুলনা স্কুল থেকে এন্ট্রাস পাশ  করেন। এন্ট্রাস পাশ করার পর ঐ বছরই ব্রিটিশ ভারতের কলকাতা মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৮৯৮ সালে এফ, এ পাশ করেন। এফ এর পাশ করার পর ঐ বছরই কলিকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে কাজী ইমদাদুল হক ভর্তি হন। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯০০ সালে পদার্থ বিদ্যা, ও রসায়ন শাস্ত্রে অনার্স নিয়ে বি, এ পাশ করেন। তারপর কাজী ইমদাদুল হক ইংরেজি সাহিত্যে এম, এ ভর্তি হলে অসুস্থ্যতার কারণে পরীক্ষা দিতে পারেননি। দীর্ঘদিন অসুস্থ্য হয়ে থাকলে সংসারে অভাব অনটন দেখা দিলে একটু সুস্থ্য হলে জীবন জীবিকার তাগিদে ১৯০৪ সালে কলিকাতা মাদ্রাসায় চাকুরী নেন। সামান্য বেতনে সংসার না চলায় তিনি চাকুরী ছেড়ে ১৯০৬ সালে ব্রিটিশ ভারতের আসামের শিলং এ শিক্ষা বিভাগে ডিরেক্টর অফিসে চাকুরী নেন। সেখানেও তার স্বল্প বেতনে সংসার না চলার কারণে অবশেষে বাড়ী ফিরে আসেন। কিছুদিন পর ১৯০৭ সালে ঢাকা মাদ্রাসার শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। ৪ বছর পর সেখান থেকে চাকুরী ছেড়ে ১৯১১ সালে ঢাকার ট্রেনিং কলেজে অধ্যাপনা কাজে যোগদান করেন কাজী ইমদাদুল হক। অধ্যাপনা কালে কাজী ইমদাদুল হক বি, টি ভর্তি জন। তিনি বিটি পরীক্ষার ফার্স ক্লাস ফাস্ট হন। বি, টি পাশ করার পর ১৯১৪ সালে প্রাদেশিক এডুকেশন সার্ভিসে ঢাকা বিভাগে মুসলিম শিক্ষা সহকারী ইন্সপেক্টর পদে প্রধান কার্যালয় যোগদান করেন। এখানে চাকুরীর ৩ বছর পর ১৯১৭ সালে কলিকাতার ট্রেনিং স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। সেখানে ৪ বছর শিক্ষাকতা করার পর ১৯২১ সালে ঢাকায় সেকেন্ডোরী এডুকেশন বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কর্মদক্ষ পদে নিযুক্ত হন। কাজী ইমদাদুল হক ১৯২৬ সালে ২০ শে মার্চ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। ১৯১৯ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত সরকার কাজী ইমদাদুল হককে খান বাহাদুর হিসাবে ভুষিত করেন। সর্বশেষ ১৯২৬ সালে ২০ মার্চের মৃত্যুর পুর্বে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার আবারও খান বাহাদুর হিসাবে কাজী ইমদাদুল হককে উপাধীতে ভুষিত করেন। ১৯০০ সালে কলিকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াকালীন কাজী ইমদাদুল হক আঁখিজল কবিতা লেখেন। তার লেখা ১৯১১ সালে ঢাকা ট্রেনিং কলেজে অধ্যাপনা কালে মুসলিম জগতের বিজ্ঞান চর্চা প্রথম গদ্যগ্রন্থ নবনুর কার্যালয় থেকে আসাদ আলী কর্তৃক প্রকাশিত হয়। ভুগোল শিক্ষা প্রণালী দ্বিতীয়ভাগ ১৯১৩ সালে ঢাকা স্টুডেন্স লাইব্রেরির গোপিনাথ দত্ত প্রকাশনায় প্রকাশিত হয় এবং ভুগোল শিক্ষার ১ম ভাগ, ১৯১৬ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত হয়। ১৯১৭ সালে শিশুপাঠ জীবনী ১ম ভাগ, নবী কাহিনী প্রকাশিত হয়, প্রকাশক ছিলেন ঢাকা স্টুডেন্ট লাইব্রেরির গোপীনাথ দত্ত। পর্যায়ক্রমে ১৯১৮ সালে সরল সাহিত্যে স্কুল পাঠ, প্রাথমিক জ্যামিতি, ঐতিহাসিক স্কুল পাঠ, ১ম ও ২য় ভাগ প্রবন্ধ মালা, ১ম ভাগ, ১৯১৯ সালে বোদ্ধাদী গল্প, কামারের কান্ড প্রকাশিত হয়। আব্দুল্লাহ উপন্যাসের রচয়িতা কবিতা মরনোত্তর প্রকাশিত ও লতিকা কবিতা পান্ডুলিপি অপ্রকাশিত থাকে। পরবর্তীকালে তার লেখা গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ গ্রন্থ সমলোচনা ইত্যাদি অবিভক্ত ভারতের পত্রিকা আল এসলাম, কোহিনুর, প্রবাসী, নবনুর, বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য প্রকাশিত হয়। ইমদাদুল হকের অসংখ্য রচনাবলী তার গ্রন্থের অর্ন্তভূক্তি হতে পারেনি। খান বাহাদুর কাজী ইমদাদুল হক তার পিতা কাজী আতাউল হক জীবদশায় তারই অনু-প্রেরণায় তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের এলাচী পুর গ্রামে ১৯০৪ সালে মৌলভী আবুল মকসুদ এর বড় কন্যা শামছন্নেছা খানম কে বিয়ে করেন। কাজী ইমদাদুল হকের ৪ পুত্র ২ কন্যা ১ স্ত্রী রেখে ১৯২৬ সালে ২০ মার্চ মৃত্যু বরন করেন। তার পুত্র কাজী আনোয়ারুল হক, কাজী শামসুল হক কাজী আলাউল হক, কাজী নুরুল হক ২ কন্যা জেবুন্নেছা খানম ও জেনাতুনন্নেছা খানম ও স্ত্রী শামসুনেছা খানম। আজ এই বীর বাহাদুর খান সাহেব কবি সাহিত্যিক আব্দুল্লাহ উন্যাসের রচয়িতা কাজী ইমদাদুল হকের ভিটে বাড়ি খুঁজে পাওয়া যায় না। তার ভিটে বাড়ী বর্তমান খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদের পাড়ে মেলেকপুরাইকাটী গ্রামে। তার পিতা কাজী আতাউল হকের নামে সি, এস, ১২০, এস, এ ১২৭খতিয়ানে ৫০ ও ৫৩ দাগে ভিটে বাড়ি চি‎িহ্নত ৭২ শতক জমিতে কোন বসত বাড়ির চি‎হ্ন দেখা যায় না। বর্তমানে সেই জমি জনৈক নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি দখলে আছেন। পাইকগাছা উপজেলার সচেতন মহল খান বাহাদুর কাজী ইমদাদুল হকের বাড়ি উদ্ধার করে তার স্মৃতি পাঠাগার, স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ পূর্বক তার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালনের আহবান জানান সরকারের প্রতি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest