সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জের সাবেক সমাজসেবা অফিসার শহিদুরের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগসাতক্ষীরায় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন: ভোলা জেলাকে ৪-১ গোলে হারাল সাতক্ষীরাদেবহাটার নোড়ারচকে নাটক সাজিয়ে অস্ত্র মামলায় বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগসাতক্ষীরায় সংলাপ বক্তারা: আগামী নির্বাচনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রæতি চায়হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশ

ec60caae2f571bc6a01c575c894c4d35-5822c86164f34আগামী ২৮ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে জেলা পরিষদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার মধ্যরাত থেকে প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচার শেষ হচ্ছে।

আগামী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলায় স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ভোট দেবেন স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা।

নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ জানান, প্রথমবারের মতো হতে যাওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শাহনেওয়াজ আরো জানান, অন্যান্য নির্বাচনের মতোই এ নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শৃঙ্খলার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।

আজ সোমবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ হচ্ছে প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচন পরিচালনা বিধির ৭৪(১) বিধি অনুযায়ী ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে উক্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা উহাতে বিজয়ী কিংবা পরাজিত প্রার্থী কেউ অংশ নিতে পারবেন না।

ভোটকেন্দ্রের আশপাশে গত রোববার মধ্যরাত থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে মোটরসাইকেলের ওপর। আগামী ২৭ ডিম্বেবর মধ্যরাতে বন্ধ হচ্ছে ৯ ধরনের যানবাহন। এগুলো হচ্ছে বেবি ট্যাক্সি/অটোরিকশা, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক ও টেম্পো।

এ ছাড়া এ নির্বাচনকে লক্ষ্য করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা না করা হলেও যেসব এলাকার যেসব প্রতিষ্ঠান ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে, সেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা পরিষদের প্রতিটি ভোটকেন্দ্র পাহারায় থাকবে ২০ জন করে পুলিশ, আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়ন, ব্যাটালিয়ন আনসার ও আনসার ভিডিপির সদস্য। কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে বিজিবি ও র‌্যাব। প্রতিটি উপজেলায় র‌্যাবের দুটি মোবাইল টিম ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। এ ছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে প্রতিটি কেন্দ্রে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২২, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৯ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বর্তমানে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩৯ জেলায় ১২৪ জন, কাউন্সিলর পদে দুই হাজার ৯৮৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৮০৬ জন।

জেলা পরিষদের ৬১ জেলায় ৬৩ হাজার ১৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৮ হাজার ৩৪৩ জন এবং মহিলা ভোটার ১৪ হাজার ৮০০ জন।

তিন পার্বত্য জেলা বাদ দিয়ে বাকি ৬১ জেলায় এ ভোট হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় একজন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ভোট হবে।

সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদ আইনে প্রত্যক্ষ ভোটের বিধান নেই। জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভোটে জেলা পরিষদের নতুন প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

mmmআমির হোসেন খান চৌধুরী: রাত পোহালেই সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচন। আর নির্বাচনে দুর্নীতি অনিয়মের পাশাপাশি আ.লীগের প্রতি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি, আ.লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সম্মানর প্রতি মনে প্রাণে আনুগত্যের বিষয়টি জয়-পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
অন্যদিকে, নির্বাচনকে ঘিরে একটি মহল শেষ মুহুর্তে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছেন বলেও সন্দেহ করছেন জনপ্রিয় প্রার্থীদের কেউ কেউ। তবে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা অর্থের চেয়ে সম্মানকে গুরুত্ব দেবেন।
নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আ.লীগ সভাপতি মুনসুর আহমেদ। আর তার বিপরীতে তৃণমূলের দাবির প্রেক্ষিতে প্রার্থী হয়েছেন জেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম। দুর্নীতি-অনিয়ম, নেতা-কর্মীদের প্রতি আন্তরিক আচরণের পাশাপাশি উঠে এসেছে দলের সভানেত্রী প্রতি ভালোবাসার বিষয়টিও। গত কয়েকদিন যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশে আ.লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি সাতক্ষীরার অনেকেই একটি ছবিকে কেন্দ্র করে তুমুল আলোচনা করছেন। আর সেটি হলো- আলীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুর রউফের ব্যক্তিগত অফিসে বসা জেলা আ.লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদের একটি ছবি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে মুনসুর আহমেদ গভীর দুঃশ্চিন্তা নিয়ে আব্দুর রউফের সামনে বসে আছেন। সাধারণভাবে এ ছবি নিয়ে আলোচনার কোন কারণ না থাকলেও। একটি পুরনো ক্ষত থেকে আ.লীগ নেতা-কর্মীরা ফেসবুকে নানা কমেন্ট করছেন। আর তা হলোÑ ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সাতক্ষীরায় এক প্রকাশ্য জনসভায় আ.লীগ নেতা-কর্মীদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আব্দুর রউফের দেয়া অশ্লীল এবং আপত্তিকর বক্তব্য, যা শেখ হাসিনা নিজেও অবগত আছেন। কারও সাথে কারও ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতেই পারে কিন্তু রউফের অফিসে দলীয় জেলা সভাপতির জেলা পরিষদ নির্বাচনের পূর্ব মুহুর্তের গোপন বৈঠক তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। উল্লেথ্য, আব্দুর রউফ এ নির্বাচনে ভোটারও নন।
অন্যদিকে, বিগত পাঁচ বছর জেলা পরিষদের দায়িত্ব পালনকালে জেলা পরিষদের গাছ কেটে বিক্রি করে লুটপাট, বছরের পর বছর সামান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়েও দুর্নীতিবাজ মাহাবুবর রহমান কর্তৃক জেলা পরিষদকে প্রায় ব্যক্তিগত সম্পত্তি বানিয়ে ফেলা এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান-ইউপি সদস দের সাথে দুর্ব্যবহার করা। জলবায়ু ট্রাস্টের গৃহনির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতিÑ এ নিয়ে হাইকোর্টে  রিটকারিদের পক্ষে আইনজীবী অ্যাড. সত্যরঞ্জন ম-লের বাড়িতে হামলা চালানো,  জেলা পরিষদের জায়গা ইজারা দেওয়ার দুর্নীতি, পুকুর, খেয়াঘাট, এডিবি’র অর্থায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণে সিডিউল বিক্রিতে অনিয়মসহ মন্দির, মসজিদ, ঈদগাহ ও শ্মশান সংস্কারের টাকা বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।
এসব বিষয় আগামিকালের নির্বাচনে জয় পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

66666আব্দুল জলিল: ৩ বছর ৭ মাস ১২ দিন অনুপস্থিত থেকে ও সাতানি কুশখালি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক অসিকুর রহমান চাকরিতে বহাল  আছেন। তবে কিভাবে বহাল আছেন তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি মাদ্রাসা সুপার, সাবেক ও বর্তমান পরিচালনা কমিটির সভাপতিগণ।
পরিচালনা কমিটির সদস্যদের অভিযোগ, মাদ্রাসা সুপার সরকারি নিয়ম নীতির প্রতি তোয়াক্কা না করে তার ভাইকে আজও স্বপদে রেখে বেতন উত্তোলন করছেন। সম্প্রতি এব্যাপারে সরকারের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য কুরবান আলি।
খোজখবর নিয়ে জানা যায়, ২০০৭ সালের জনুয়ারি মাসের ১ তারিখে সাতানি কুশখালি দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক অসিকুর রহমান কাজ করার জন্য বৈধভাবে সৌদি আরব যান। তিনি সেখানে ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত কাজ করেন। তার অনুপস্থিতিতে চাকরি হতে অপসারণ সংক্রান্ত কাগজপত্র ২০০৮ সালের ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আপিল এ্যান্ড আরবিট্রেশন কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয়। সভায় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে অপসারণ প্রক্রিয়া সঠিক বিবেচিত হওয়ায় সর্ব সম্মিতিক্রমে চাকরি থেকে অপসারণের অনুমোদনের সুপারিস করা হয়। সাথে সাথে তার সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ের প্রাপ্য ভাতা পরিশোধসহ বরখাস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার প্রফেসার ড. মো: হাফিজুর রহমান মাদ্রাসা সুপার বরাবর একটি পত্র প্রেরণ করেন। যার ফলে ২০০৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মাওলানা ওসিকুর রহমানকে স্থাযী ভাবে বরখাস্ত করা হয়।
মজার ব্যাপার হল মাদ্রাসা সুপার বরখাস্তের কোন কাগজপত্র মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাঠাননি। উল্টো নতুন করে রেজুলেশন তৈরি করে পুনরায় ২০১১ সালের ১৫ জানুয়ারি তাকে স্বপদে বহাল করেন। মাদ্রাসা সুপার মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একের পর এক মন গড়া রেজুলেশন তৈরি করে চাচাত ভাই ওসিকুর রহমানের চাকরিতে বহাল রাখার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ওসিকুর রহমানকে কাগজ পত্র বৈধ করার জন্য সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি চাকরিতে বহাল করার বৈধ কোন কাগজপত্র জমা দিতে পারেননি। নিয়ম অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ২ বছরের বেশি রকè শিক্ষক প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলে তিনি স্থায়ীভাবে চাকরি হারাবেন। অথচ অসিকুর রহমান ৩ বছর ৭ মাস ১২ দিন কর্তৃক্ষের বিনা অনুমতিতে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। স্থায়ীভাবে বরখাস্ত হওয়ার পরও কোন শক্তির বলে অসিকুর রহমান স্বপদে বহাল আছেন এবং সুপার কোন ক্ষমতা বলে বরখাস্তের কাগজপত্র বোর্ডে পাঠাননি এই বিষয়টি অভিভাবক, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ও সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।
শিক্ষক অসিকুর রহমান জানান, নিয়ম আছে সরকারি শিক্ষকরা ২ বছর আর বেসরকারি শিক্ষরা ৫ বছর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকতে পারেন। সে কারণে কর্তৃপক্ষ তাকে স্বপদে বহাল রেখেছেন। তিনি যতদিন অনুপস্থিত ছিলেন ততদিন পর্যন্ত বেতন ভাতা গ্রহণ করেননি।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য জাকির হোসেন ও কুরবান আলি জানান, শুনেছি মেডিকেল দেখিয়ে অসিকুর রহমানকে চাকরিতে বহাল করেছে। সুপার নিজে রেজুলেশন করে তাদের নিকট থেকে স্বাক্ষর করে নেন।
সাতানি কুশখালী দাখিল মাদ্রাসার সুপার নজরুল ইসলাম জানান,  মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি আবু রায়হান ও সদস্য কুরবান আলি ক্ষমতা প্রয়োগ করে অসিকুর রহমানকে মাদ্রাসায় স্বপদে বহাল রাখতে বাধ্য করেছিলেন। সে কারনে অসিকুর রহমান আজও চাকরিতে বহাল আছে। সাবেক সভাপতি তাকে কাগজপত্র বোর্ডে পাঠাতে দেননি।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি আবু রায়হান জানান,  আরপিটিশন বোর্ড অসিকুর রহমানকে সাসপেন্ড করার অডার দেয়। এসব কাগজপত্র গোপন করে রাখেন সুপার। তারা যখন জানতে পারেন তখন ব্যবস্থা নিতে চাইলে সুপার মিটিং না দিয়ে রেজুলেশন কাগজে সহি করে নেয়। এর পর তারা আর মিটিং করতে পারিনি। ক্ষমতা থেকে তারা সরে এসেছেন। তিনি বলেন নতুন কমিটি এর ব্যবস্থা নেবেন। তিনি বলেন দুনীতি গ্রস্থ সুপার নিজে যা ইচ্ছা তাই করে। তবে তিনি জানান সভাপতি থাকাকালীন সময় পর্যন্ত (এক বছর আগে) অসিকুর রহমান কোন বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোলাম মোরশেদ জানান, তিনি মাত্র কয়েক মাস সভাপতি হয়েছেন। দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার পরও কিভাবে অসিকুর রহমান স্বপদে বহাল আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর জবাব দিতে পারবে সরকার ও সাবেক সভাপতি। কোন ব্যবস্থা নেবেন কি না জানতে চাইলে তিনি কোন জবাব দেননি।
সাতক্ষীরা জেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সম্প্রতি তিনি একটি অভিযোগ পেয়েছেন। সরেজমিনে তদন্ত করবেন। তিনি আরো বলেন, আরবিট্রেশন বোর্ড যদি কাউকে বরখাস্ত করে এবং তিনি যদি কোর্টে কোন মামলা না করেন তবে তার যোগদান আইনসম্মত হয় না। তবে কমিটি যদি তাকে ছুটি দিয়ে থাকে এবং ছুটি নিয়ে তিনি যদি যান এবং ২ বছরের বেশি অবস্থান করেন তবে সেটি ব্রেক অব সার্ভিস হিসেবে গণ্য হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_69978404_1482732359অনলাইন ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের ৩৪১ রান টপকে জয়ের কাছে যেতে পারল না মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। প্রথম ওয়ানডেতে ৭৭ রানের হার দিয়ে সিরিজ শুরু করল সফরকারীরা।

ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে ৩৪২ রানের রেকর্ড লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা দেখেশুনেই করেছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। মারার বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে, ছাড়ার দেওয়ার পর ছেড়ে দিয়ে প্রথম ৭ ওভারে দুজন তোলেন ৩০ রান। কিন্তু অষ্টম ওভারে টিম সাউদির একটি শর্ট বল ইমরুলের ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে উইকেটকিপার লুক রনকির গ্লাভসে। ২১ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ইমরুল করেন ১৬। বাংলাদেশের স্কোর তখন ১ উইকেটে ৩৪।

প্রথম ওয়ানডেতে হতাশই করলেন বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকার। জেমস নিশামের বলে মিড অফে কেন উইলিয়ামসনকে ক্যাচ দেওয়ার আগে সৌম্যর ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১ রান। একই ওভারে ডাক মেরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহও। তখন ৪৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ।

৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন তামিম। তবে সেটিও খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১৮তম ওভারে নিশামের বলে তামিম মিচেল স্যান্টনারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেল ভেঙে যায় ৩৩ রানের জুটি। ৫৯ বলে ৫ চারে তামিম করেন ৩৮।

এরপর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন সাকিব। ২৭তম ওভারে স্যান্টনারের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৫০ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন এই বাঁহাতি। পরের ওভারে লোকি ফার্গুসনকে লন অনের ওপর দিয়ে আছড়ে ফেলেন গ্যালারির দর্শকদের মাঝে। কিন্তু পরের বলে আবার ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে মিড উইকেটে সাউদির হাতে ধরা পড়েন সাকিব। ৫৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় সাকিব ৫৯ করে ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ১৪৪।

সাতে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন সাব্বির রহমান। ফার্গুসনের বলে বোল্টকে ক্যাচ দেওয়ার আগে এক ছক্কায় সাব্বির করেন ১৬। তবে মোসাদ্দেক হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোর ২০০ পার করেন মুশফিক। দুজন দলকে ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু ৩৮তম ওভারে স্যান্টন্যারের বলে কঠিন একটি সিঙ্গেল নিতে গিয়ে ডাইভ দিয়ে চোট পান মুশফিক। ফিজিওর সেবাশুশ্রূষা নিয়ে একটি বল খেলার পর আর মাঠে থাকতে পারেননি টেস্ট অধিনায়ক। ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ বলে ৪২।

এর আগে টম ল্যাথামের ১৩৭ আর কলিন মানরোর ৮৭ রানের সুবাদে নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে তোলে ৩৪১। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে ১৯৯০ সালে শারজায় দুই দলের প্রথম দেখায় কিউইরা ৪ উইকেটে করেছিল ৩৩৮।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_638619357_1482730545অনলাইন ডেস্ক: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ঘন কুয়াশার কারণে নয় ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর আবার চালু হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ১২টায় বন্ধ হওয়ার পর সোমবার সকাল ১০টায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল জানান, রোববার রাত ৯টার পর কুয়াশা বাড়তে শুরু করে। রাত সাড়ে ১২টায় ঝুঁকিপূর্ণ মনে হওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

“সোমবার সকাল পৌনে ১০টায় কুয়াশা কেটে গেলে আবার ফেরি চলাচল শুরু করে।” ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ঘাটে শতাধিক কোচসহ তিন শতাধিক যানবাহন আটকা পড়েছিল বলে তিনি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

00000অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন খান আরেফিনের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

গতকাল এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নৃবিজ্ঞান চর্চা ও শিক্ষায় ড. আরেফিনের অবদান স্মরণ করে বলেন, তার ইন্তেকালে নৃবিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক এবং প্রগতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তার অবদানের কথা দৃঢ়তার সাথে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

অধ্যাপক আরেফিন শনিবার বিকেলে ঢাকার লালমাটিয়ার বাসায় ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা রেখে গেছেন।

ড. আরেফিন ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণের পরে তিনি ‘ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’ এ প্রো-ভিসি হিসেবে যোগ দেন।

নৃবিজ্ঞানী অধ্যাপক আরেফিন বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিকার ও শিক্ষার আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। তার ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক বোরহানুদ্দিন খান জাহাঙ্গীর এবং অপর এক ভাই ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।-বাসস

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1482665053অনলাইন ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা দিয়েছেন খুব বেশি সময় হয়নি। এর মধ্যে অর্ধেকই কাটিয়েছেন ইনজুরির সঙ্গে লড়তে লড়তে। কিন্তু এর মধ্যেই ‘মুস্তাফিজুর রহমান’ নামটি যেন শিহরণ জাগায় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। সদ্যই শুরু হওয়া ক্রিকেট ক্যারিয়ারে যেখানেই গেছেন, সেখানেই সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ এই বাঁহাতি পেসার। বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফরেও আলোচনার কেন্দ্রে আছেন ‘ফিজ’। বাংলাদেশ দলে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজার মতো তারকারা থাকলেও ঘুরেফিরে বারবারই সবার নজর চলে যাচ্ছে ‘ফিজের’ দিকে। তাঁকে নিয়েই সরগরম হয়ে আছে নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যম।

গত জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্লাব সাসেক্সের হয়ে খেলতে গিয়ে কাঁধে চোট পেয়েছিলেন মুস্তাফিজ। তারপর থেকে মাঠের বাইরেই থাকতে হয়েছে তাঁকে। খেলতে পারেননি আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে। কিছু সময়ের জন্য সবার দৃষ্টির আড়ালে চলে গেলেও আবার দাপুটে ভঙ্গিতেই ব্যাট-বলের লড়াইয়ে ফিরে এসেছেন মুস্তাফিজ। নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে দুই উইকেট নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বরূপে ফেরার। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে তিনিই যে নিউজিল্যান্ডের অন্যতম হুমকি হয়ে উঠতে পারেন, সেটাই এখন বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে দেশটির গণমাধ্যমগুলোতে। ‘স্টাফ’ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘উপমহাদেশের পেসারদের সাধারণত বেশ কষ্টই করতে হয় নিজের প্রতিভার প্রমাণ করতে। কিন্তু বাংলাদেশের এই পেস সেনসেশন এখন পর্যন্ত নিজেকে ব্যতিক্রমী হিসেবেই প্রমাণ করেছেন।’

চোট কাটিয়ে মুস্তাফিজের ফিরে আসাটা বাংলাদেশকে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছে এমন মন্তব্য করা হয়েছে নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের একটি প্রতিবেদনে। নিউজিল্যান্ডের কোচ মাইক হেসোন তো মুস্তাফিজকে এ সময়ের অন্যতম সেরা বোলার হিসেবেই আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সে খুবই ভালো করেছিল। এই মুহূর্তে সে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার। কাজেই তাকে খুব সাবধানে খেলতে হবে।’

নিউজিল্যান্ডকে এখন পর্যন্ত মুস্তাফিজের মুখোমুখি হতে হয়েছে মাত্র একবারই। সেই ম্যাচে কিউই ব্যাটসম্যানদের বেশ ভালোই নাকাল করেছিলেন ফিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চার ওভার বল করে মাত্র ২২ রান দিয়ে নিয়েছিলেন পাঁচটি উইকেট। এবারের সফরেও তিনি এ ধরনের নজরকাড়া নৈপুণ্য দেখাতে পারবেন কি না, তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশের সমর্থকরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1482664846ফিচার ডেস্ক: আদিকাল থেকেই রূপচর্চায় ফুল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কোনো ফুল ত্বক উজ্জ্বল করে, কোনোটা শুষ্কতা দূর করে আবার কোনোটা ব্রণ দূর করতে কার্যকর। বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের জীবনধারা বিভাগে তিনটি ফুলের প্যাক তৈরির পদ্ধতি ও ব্যবহারের উপায় দেওয়া হয়েছে। একনজরে চোখ বুলিয়ে নিন।

গোলাপ ফুল
ত্বকের কালচে দাগ দূর করে উজ্জ্বল করতে গোলাপ ফুল খুবই উপকারী। কয়েকটি গোলাপের পাঁপড়ি গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

বেলি ফুল
যাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তারা মুখে বেলি ফুল লাগাতে পারেন। কয়েকটি বেলি ফুল সেদ্ধ করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার আপনার ক্রিমের সঙ্গে মিলিয়ে মুখে লাগান। এই ফুল আপনার ত্বককে নরম ও মসৃণ করতে সাহায্য করবে।

জবা ফুল
ব্রণের সমস্যার পুরোপুরি সমাধান করতে চাইলে জবা ফুল মুখে লাগাতে পারেন। জবা ফুলের পাপড়ি বেটে চালের পানি ও সামান্য তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, পরদিন সকালে আপনার ব্রণ পুরোপুরি শুকিয়ে যাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest