সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে হেলমেট বিতরণসাতক্ষীরার প্রাণসায়ের খাল রক্ষায় যুব সমাজের দাবি আশাশুনি উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়কের পিতার দাফন দুই মেয়ের পর আবারো মেয়ের জন্ম :  ৫দিনের কন্যাশিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা- মা আটকবিএনপির কণ্ঠে স্বৈরাচারের সুর শুনতে পাচ্ছি– সাতক্ষীরায় গোলাম পরওয়ারজাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে সাতক্ষীরায় বিআরটির রোড শোতালায় বালু বিক্রয় নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪ : ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগলাবণ্যবতী খালের উপর কাঠের ব্রিজটি যেন মৃত্যুর ফাঁদসাতক্ষীরা-২ আসনে এবি পার্টির দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জি এম শাকিলবর্ণিল সাজে সাতক্ষীরায় লেকভিউ রাগবি সেভেনস ট্রফি’র উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: অপহরণের পাঁচ দিন পর কলেজ ছাত্র গৌতম সরকারের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মহাদেবনগর গ্রামে গৌতমের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন- নুর ইসলাম, রেজাউল শেখ, আলিম, শাওন ও মনিরুল ইসলাম। এদের মধ্যে নুর ইসলাম ও রেজাউল শেখের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। নিহত গৌতম মন্ডল মহাদেবনগর গ্রামের ইউপি সদস্য গণেশ মন্ডলের ছেলে ও সীমান্ত আদর্শ কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ইউপি সদস্য গনেশ মন্ডল জানান, গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মহাদেবনগর মোড়ে আমিন মিস্ত্রির দোকানে বসে বন্ধুদের সঙ্গে বসে টিভিতে ফুটবল খেলা দেখছিল তার ছেলে গৌতম। এসময় কে বা কারা মোবাইল করে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সারাদিন তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এছাড়া তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল। গনেশ মন্ডল আরও জানান,সেদিন রাতেই ছেলের নম্বর থেকে ফোন করে তাকে ছেড়ে দিতে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তিনি বিষয়টি ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ও সাতক্ষীরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরে মুক্তিপণের টাকা দেয়ার সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তিন যুবক আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- ভাড়খালি গ্রামের করিম মোড়লের ছেলে শাহাদাত মোড়ল, দেবহাটার বহেরা গ্রামের আবদুল আলিমের ছেলে শাওন এবং একই গ্রামের মনিরুল ইসলাম সানি। এছাড়া অপহরণে সন্দেহভাজন জড়িত মহাদেবনগরের সাজুকে না পেয়ে তার মা ফজিলা খাতুনকে আটক করেছে স্থানীয়রা। সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।goutom

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট: road-accidentগাজীপুর সদর উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ইটাহাটা এলাকায় বাস-লেগুনার সংঘর্ষে চালকসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ  দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন।

আজ শনিবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে মহাসড়কের ইটাহাটা এলাকায় কোনাবাড়ি থেকে ছেড়ে আসা চৌরাস্তাগামী লেগুনার সঙ্গে বিপরীতমুখী মম পরিবহন নামের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। যদিও তাৎক্ষণিক ভাবে ট্রাক-লেগুনার সংঘর্ষের কথা জানিয়েছিল পুলিশ। এতে লেগুনাটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই এর চালক নিহত হন। পরে আহত ব্যক্তিদের গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরো পাঁচজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ দুর্ঘটনায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

নাওজোর হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. এমরান হোসেন জানান,  স্থানীয়রা হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এদের মধ্যে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত ছয়জনের মধ্যে একজন নারী ও অপর পাঁচজন পুরুষ বলে নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিহত ছয়জনকে একই হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এসআই এমরান আরো জানান, দুর্ঘটনার পর সকাল ৮টার দিকে পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত লেগুনাটি মহাসড়ক থেকে রেকার দিয়ে সরিয়ে নেয়। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি পাশের টার্মিনালে রাখা হয়েছে। তবে চালক পলাতক আছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিনোদন ডেক্স: photo-1481866711বছরখানেক আগের কথা। বিজয় দিবস এলে লাল-সবুজ রঙের পোশাক বানানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়তেন ঢালিউড অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। কারণ, বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান তাঁকে উপস্থাপনা করতে হতো। এখন সেই ব্যস্ততা নেই।

এ প্রসঙ্গে নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘এখন যেহেতু উপস্থাপনা করছি না, তাই ১৬ ডিসেম্বর আমার আগের মতো ব্যস্ততা নেই। পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে, কিন্তু এখনকার জীবনটাও আমি অনেক উপভোগ করি। এখন কাজের চাপ কম। ইচ্ছামতো বিশ্রাম নিতে পারি।’

উপস্থাপনা থেকে বেরিয়ে এসে নুসরাত ফারিয়া অভিনেত্রী হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন। এখন পর্যন্ত বড় পর্দায় গ্ল্যামারাস চরিত্রে অভিনয় করলেও ভবিষ্যতে চরিত্রনির্ভর কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।

নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রেও অভিনয় করতে চাই। স্কুল-কলেজে মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখা অনেক বই পড়ছি। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে গিয়েও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক কিছু জেনেছি। এবার যদি মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে পারি, তাহলে আমার ভালোই লাগবে। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে হয়তো তখন আরো বেশি কিছু জানতে পারব। ’

নুসরাত ফারিয়া আরো যোগ করেন, ‘একজন শিল্পীকে পরিচালক বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করানোর যোগ্যতা রাখেন। আশা করছি, আমার বেলায়ও এর ব্যতিক্রম হবে না। ’

দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে ফারিয়া জানান, তিনি একজন বাংলাদেশি শিল্পী হিসেবে গর্ববোধ করেন। বিদেশেও বাংলাদেশকে তুলে ধরার জন্য কাজ করবেন তিনি।

গত বছর বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘আশিকী’তে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় জনপ্রিয় উপস্থাপক নুসরাত ফারিয়ার। চলতি বছর ‘হিরো ৪২০’ ও ‘বাদশা’ ছবিতে অভিনয় করে আলোচিত হন তিনি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে ফারিয়া অভিনীত ‘প্রেমী ও প্রেমী’ চলচ্চিত্রটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

bnp
নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টায় শহরের কাটিয়াস্থ হালিমা শিশু সনদ চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা বিএনপির সভাপতি রাহমাতউল্লাহ পলাশ। এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক মোদাচ্ছেরুল হক হুদা, শের আলী, আবিদুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী, প্রচার সম্পাদক শাহিনুল করিম, জেলা কৃষকদলের সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাফিজুর রহমান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক আহাদুজ্জামান আর্জেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর শফিকুল আলম বাবু, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক শিকদার, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক, সাইফুল ইসলাম বাবলু, ফারুক হোসেন, হাসান শাহরিয়ার রিপন, আনারুল ইসলাম, শাহিনুল ইসলাম, আমিনুর রহমান, সদর থানা কৃষক দলের মাহমুদুল ইসলাম বুলবুল, সাবেক মেম্বর গোলাম সরোয়ার, রবিউল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মাসুম রাজ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজু। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আজকের এইদিনে বাংলাদেশ বিজয় লাভ করেছিল। এই দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কথা খুব মনে পড়ছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানে কথা জাতি কখনো ভুলবে না। তিনি এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেনা। কিন্তু বর্তমান সরকারের জনগনের মতামত উপেক্ষা করে দেশে পরিচালনা করছেন। তিনি ভুলে গেছেন আজীবন ক্ষমতায় থাকা যায় না। যতই নির্যাতন করা হোক না কেন বিএনপির কর্মীরা রাজ পথে আছে থাকবে। আগামীতে দেশ নেত্রীর যাকে সকল আন্দোলন সংগ্রামে সকল ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ গ্রহণ করার আহ্বান জানান বক্তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমূখর পরিবেশে সাতক্ষীরায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভসূচনা করা হয়। এরপর সকাল ৮টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। একইসাথে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও পতাকা উত্তোলন করা হয়। এদিকে, জেলাবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রিফাত আমিন ও সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন। এরপর প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত, পুলিশ, বিএনসিসিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে ষ্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও শরীর প্রর্দশনী, রক্তদান কর্মসচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী সাঁতার প্রতিযোগিতা, ভলিবল প্রতিযোগিতা, মুক্তযোদ্ধা বিষয়ক চলচিত্র প্রদর্শনী, আলোকসজ্জা, পুরষ্কার বিতরনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসুচির আয়োজন করা হয়। অপরদিকে, তালা উপজেলার খলিশখালি ইউনিয়নের পার-মাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় সহ¯্রাধিক কন্ঠে জাতীয় সংগীত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

bijoy-dibosন্যাশনাল ডেস্ক: আজ মহান বিজয় দিবস। এ দিনটি হচ্ছে বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিবস। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশের অভ্যূদয়ের দিন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃতে নয়মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।
যে অস্ত্র দিয়ে বর্বর পাকবাহিনী দীর্ঘ নয় মাস ত্রিশ লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছে, দু’লাখ মা-বোনের সমভ্রম কেড়ে নিয়েছে সেই অস্ত্র পায়ের কাছে নামিয়ে রেখে একরাশ হতাশা এবং অপমানের গ্লানি নিয়ে লড়াকু বাঙালির কাছে পরাজয় মেনে নেয় তারা। সেই থেকে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালিত হয়ে আসছে। এবার জাতি ৪৫তম বিজয় দিবস উদযাপন করবে।
দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী এবং একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে এই স্বস্তি নিয়ে আজ কৃতজ্ঞ জাতি সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করবে দেশের পরাধীনতার গ্লানি মোচনে প্রাণ উৎসর্গ করা বীর সন্তানদের। দিবসটি পালন শুরু হবে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে। মহান বিজয় দিবসে ঊপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পার্ঘ অর্পণ করে সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল নামবে। শ্রদ্ধার সাথে তারা শহীদদের উদ্দেশে নিবেদন করবেন পুষ্পাঞ্জলি। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সব প্রান্তের মানুষ অংশ নেবে বিজয় দিবসে। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠ ভাষণ আর মুক্তিযুদ্ধের সময়ের জাগরণী গানে আকাশ-বাতাস হবে মুখরিত।
এবারের বিজয় দিবস পালিত হবে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। শোক আর রক্তের ঋণ শোধ করার গর্ব নিয়ে উজ্জবিত জাতি দিবসটি পালন করবে অন্যরকম অনুভূতি নিয়ে। অফুরন্ত আত্মত্যাগ এবং রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই মহান বিজয়ের ৪৫ বছর পূর্ণ হবে আজ।
বিজয় দিবস সরকারি ছুটির দিন। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোর প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে। রাতে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় করা হবে আলোকসজ্জা। হাসপাতাল, কারাগার ও এতিমখানাগুলোতে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে। সংবাদপত্র বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে, বেতার ও টিভি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘যার যা কিছু আছে’ তা নিয়েই স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন ‘ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। পরে ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালিরা অস্ত্র হাতে পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই মুক্তিযুদ্ধে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, ভুটান, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সাহায্য-সহযোগিতা করে। অবশেষে বাঙালি দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে বুকের উষ্ণ রক্তে রাঙিয়ে রাত্রীর বৃন্ত থেকে ছিনিয়ে আনে ফুটন্ত সকাল।
বিজয়ের এই ৪৫ বছর অনেক চরাই-উতরাই পেরিয়েছে জাতি। কখনো সামনে এগিয়েছে, আবার পিছিয়ে গেছে নানা রাজনৈতিক টানাপোড়নে। তবুও হতোদ্যম হয়নি। বিলম্বে হলেও শুরু হয়েছে ইতিহাসের দায়-মোচনের প্রচেষ্টা। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। চলছে একাত্তরের মানবতা বিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। এ ছাড়াও হার না মানা বাঙালি অর্থনৈতিক-সামাজিক এবং ক্রীড়াতেও উড়াচ্ছে বিজয় নিশান।
শিক্ষকরাই হবেন শিক্ষা কর্মকর্তা
ন্যাশনাল ডেস্ক: সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদায়ন করা হবে। পর্যায়ক্রমে তারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে পদোন্নতি পাবেন। নতুন করে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে আর নিয়োগ দেওয়া হবে না। তবে বর্তমানে যারা কর্মরত আছেন তারা পদোন্নতিসহ সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা পাবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ লক্ষ্যে একটি নীতিমালা চূড়ান্ত হয়েছে। বর্তমানে তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ যুগান্তরকে বলেন, শিক্ষা প্রশাসনে শিক্ষকদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা ও তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই নীতিমালা অনুমোদন পেলে নতুন করে কোনো অশিক্ষক মাঠপর্যায়ের শিক্ষা প্রশাসনে যুক্ত হবেন না।
প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকরা তিন বছরের জন্য প্রশাসনে নিয়োগ পাবেন। তিন বছর পূর্ণ হলে তারা আবার স্কুলে শিক্ষকতায় ফিরে যাবেন। তবে তাদের মধ্য থেকেই অভিজ্ঞতা ও পদোন্নতির অবস্থা বিবেচনায় পর্যায়ক্রমে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার থেকে উচ্চপর্যায় পদোন্নতি দেয়া হবে। বর্তমানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তা পদে যথাক্রমে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক পদায়নের ব্যবস্থা কার্যকর আছে। এসব শিক্ষকের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) উপপরিচালক নিয়োগের রেওয়াজ আছে। বর্তমানে মাউশিতে এ ধরনের দু’জন কর্মকর্তা নিযুক্ত আছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

02আমির হোসেন খান চেীধুরী: মহান বিজয়ের ৪৫তম বার্ষিকী আজ। সাতক্ষীরার কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী বাকী, কসাই রোকন ও বর্বর টিক্কা তথা জহুরুল’র বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অকাট্য প্রমাণ ১৯৭১ সালের ১৭ অগাস্ট দু’জন মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যার পর ১৯ অগাস্ট সাতক্ষীরা শহরের ডায়মন্ড/স্টার হোটেল বর্তমানে মেহেদি সুপার মার্কেট)’র পিছনে তোলা আটককৃত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উপর নির্মম নির্যাতন করা রাজাকারদের একটি ছবি। প্রকাশিত ছবিটিতে দেখা যায় আটককৃত ৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সাতক্ষীরা শহরে এনে ২ দিন পর ১৯ অগাস্ট ডায়মন্ড/স্টার হোটেল’র পিছনে রান্নাঘরের সামনে পায়ের কাছে বসিয়ে রাজাকাররা নিজেরা অস্ত্রসহ উদ্ধত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। ঐতিহাসিক ও দুর্লভ এই ছবিটি প্রকাশের পর সকলের ধারণা ছিল এসব যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইবুনালে মামলার উদ্যোগ নেয়া হবে। কিন্তু সাতক্ষীরার সকল মহান মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারকে হতাশ করে এদের বিরুদ্ধে আজও কোনরূপ মামলা হয়নি। কুখ্যাত রাজাকার শিরোমণি বাকি অত্যন্ত ঔদ্ধত্যের সাথে এখনও বলে, “বাংলাদেশে আমার বিচার করার ক্ষমতা কারও নেই।”
বিষয়টির গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় সাতক্ষীরাবাসী তথা সাতক্ষীরার সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষগুলোকে এই ঘৃণ্য খুনী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আন্দোলনকে বেগবান করতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলোÑ
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের অন্য সকল অঞ্চলের মত সাতক্ষীরাতেও ছিল স্বাধীনতার পক্ষে প্রাণ উৎসর্গ করতে ঝাপিয়ে পড়া এক ঝাঁক তরুণ। আবার এখানকার মাটি ও পথের সাথে অপরিচিত পাকিস্তানি বাহিনীকে সকল প্রকার সহযোগিতা করতেও গড়ে ওঠে দালালদের সমন্বয়ে রাজাকার-আলবদর-আলশামস-শান্তি বাহিনী।
এই ছবির ইতিহাস জানতে আমরা কথা বলি সেই মহান মুক্তিযোদ্ধাদের একজনের সাথে, যাদের দলের ২ জনকে বুধহাটায় হত্যা করে বাকি ৫ জনকে রাজাকাররা আটক করে সাতক্ষীরায় এনে এই ছবিটি তুলেছিল। এই ছবিতে থাকা (নিচে বসা বাম দিক থেকে প্রথম) ইমাম বারী সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়ার সন্তান। ১৯৭১ সালে যশোরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া অবস্থায় যুদ্ধে যোগ দেন। তিনি ছিলেন যুদ্ধকালীন গঠিত বাংলাদেশ নৌ-কমান্ডের প্রথম ব্যাচের যোদ্ধা। দীর্ঘ ৩ মাসের ট্রেনিং শেষে তাদেরকে ৪টি গ্রুপে ভাগ করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এক অনন্য সাফল্য ‘অপারেশন জ্যাকপট’র জন্য পাঠানো হয়। মংলায় ৮টি জাহাজ বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেয়ার পর ইমাম বারী ও তার দল ফিরছিলেন সাতক্ষীরার দিকে। পথিমধ্যে ১৭ অগাস্ট ১৯৭১ ভোর রাতে বুধহাটা বেতনা নদীতে তাদের নৌকা ঘিরে ফেলে আলিপুরের কুখ্যাত রাজাকার বাকীর নেতৃত্বাধীন বাহিনী। নদীর দুই পাড় দিয়ে ক্রমান্বয়ে রাজাকাররা গুলি করতে থাকলে এক পর্যায়ে গুলি শেষ হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের। ফলে তাদেরকে আটকাতে সমর্থ হয় রাজাকাররা। এরপর কী হয়েছিল শোনা যাক মুক্তিযোদ্ধা ইমাম বারীর মুখ থেকেই:
“প্রথমেই বাকী রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের নৌকায় উঠেই কোন কথা বলার আগেই তার নিকট থাকা থ্রি নট থ্রি রাইফেল তাক করে ৭ জনের মধ্যে সবচেয়ে সুঠামদেহী মুক্তিযোদ্ধা যশোরের আফতাফকে সরাসরি বুকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ আফতাফ গগণবিদারি চিৎকার করতে করতে নদীতে পড়ে ভেসে গেল। শহিদ আফতাফের লাশ আর পাওয়া যায়নি। এরপর আমাদের ৬ জনকে বাকীর দল চোখ বেঁধে নদীর পাড়ে একটি একতলা বাড়িতে আটকে রাখে। কয়েক ঘণ্টা ধরে আমাদের উপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও নিষ্ঠুর নির্যাতন চলতে থাকে। এরপর পলাশপোলের রোকনুজ্জামান খান এসে আমাদের দলের সিরাজকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সিরাজ কাটিয়ার ছেলে, আমার সাথেই যশোর পলিটেকিনিকের ছাত্র ছিল,,রোকন তাকে জিজ্ঞাসা করল বাড়ি কোথায়। সিরাজ মনে করল তাকে তো হত্যা করবেই সুতরাং ভুল ঠিকানা বললে তার পরিবারের সদস্যদের হয়ত আর খুঁজে পাবে না। অত্যাচারও করতে পারবে না। সিরাজ তার বাড়ি সুলতানপুর বলে জানালো। কিন্তু রোকন খান শহরের ছেলে হওয়ায় তার প্রকৃত ঠিকানা জানত। ভুল ঠিকানা বলায় সিরাজকে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে গিয়ে বেড়িবাঁধের উপর দাঁড় করিয়ে রাইফেল তুলে বুকে গুলি করল রোকন খান। তৎক্ষণাৎ শহিদ হন আমার সাথী সিরাজ।
এরপর রোকন একটি লাঠি দিয়ে আমার মাথায় বাড়ি মেরে বলল তুইও আছিস এই দলে, আগে জানলেতো তোকেই মেরে ফেলতাম। প্রসঙ্গত: রোকন আমার সহপাঠী ছিল। এরপর কীভাবে যেন সাতক্ষীরায় পাকিস্তানি মিলিটারির কাছে খবর যায় আমাদের আটক হওয়ার। ফলে আমাদেরকে একটি হলুদ গাড়িতে করে সাতক্ষীরা ডায়মন্ড হোটেলের টর্চার সেলে এনে আটকে রাখা হয়। পথিমধ্যে ধূলিহর থেকেও কয়েকজনকে তুলে আনা হয়। ডায়মন্ড(স্টার হোটেলও বলা হত) হোটেলে আমাদেরকে পিলারের সাথে বেঁধে রাখা হয়। অনেককে ঘরে ঝুলানো হুকের সাথে ঝুলিয়েও নির্যাতন করা হত। এই হোটেলের অনেকগুলো রুমে অসংখ্য যুবতী মেয়েকেও আটকে রাখা হয়েছিল। যাদেরকে নিয়মিত ধর্ষণ করত পাকিস্তানি সৈন্য ও রাজাকাররা। আমাদেরকে আনার ২ দিন পর ১৯ অগাস্ট হোটেলের পিছনে নিজেদের পায়ের কাছে বসিয়ে রাজাকাররা ছবিটি তোলে। রাজাকাররা এলিট স্টুডিওর হামিদ ভাইকে ডেকে এনে ছবিটি তোলায়। ছবিটি আজ এক প্রামাণ্য দলিল।”
তিনি যোগ করেন, “আমাদেরকে আটকে রাখাকালীন একদিন খালেক ম-ল ও টিক্কা(জহুরুল) এসে কয়েকজন আটককৃত মুক্তিযোদ্ধাকে তুলে নিয়ে যায়। অন্য রাজাকাররা আমাদের জানায় তাদেরকে বিনেরপোতায় হত্যা করা হবে। এরপর একদিন আমাদেরকে যশোরে পাকিস্তানি বাহিনীর আস্তানায় পাঠানো হয়। যশোরের শংকরপুর যেখানে বর্তমানে বাসস্ট্যান্ড সেখানে আটকে রাখা হয়। সেখান থেকে একদিন ভোর বেলা যখন সৈনিকেরা প্যারেড করছিল তখন আমরা পালিয়ে আসি এবং পুনরায় যুদ্ধে যোগ দিই। সে আরেক ইতিহাস।”
আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের এইসব বীরসেনানীদের জীবদ্দশায় যদি বাকী, রোকন, টিক্কাদের বিচার করা না যায় তাহলে আর কাদের স্বাক্ষ্য নিয়ে তাদের বিচার করা যাবেÑ এমন প্রশ্ন মুক্তিযোদ্ধাদেরই। আজ মহান বিজয় দিবসের ৪৫তম এই বার্ষিকীতে এদেরকে অবিলম্বে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর ব্যুরো: ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন উপলক্ষে শ্যামনগর এখন সাজ সাজ  রব। গ্রহণ করা হয়েছে সরকারি নির্দেশনায় নানা কর্মসূচী। উপজেলা প্রশাসন সহ সর্ব স্তরের লোকজন দিবসটি পালনে প্রস্তুত। সরকারি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে আলোক সজ্জা, নকিপুর হরিচরণ পাইলট হাইস্কুল মাঠ ও উপজেলা ক্যাম্পাসে প্যান্ডেল, স্টেজ, গেইট নির্মাণ, ব্যাপক নিরাপত্তা ও প্রচার প্রচারণা তুঙ্গে। উপজেলা প্রশাসন এর উদ্যোগে মাইকিং করে জাতীয় পতাকার সঠিক মাপ ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে আহবান করা হয়েছে। শ্যামনগরের ইউএনও আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী নকিপুর বাজারে পদব্রজে দোকানে দোকানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের জাতীয় পতাকা সচক্ষে মাপ দেখেন এবং উহা উত্তোলন এর ক্ষেত্রে সুউচ্চে শক্ত দন্ডে ঁেবধে, জাতীয় পতাকা উড়তে বাধাগ্রস্ত না হওয়া সে দিকে দৃষ্টি রাখতে নির্দেশনা দেন। ইউএনও আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে জাতীয় পতাকা মর্যাদা রক্ষায় ও মহান বিজয় দিবস উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালনের ব্যবসায়ী সহ সকলের প্রতি আহবান জানান। এ ধরনের কর্মকান্ডে ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী ফিরোজ হোসেন সহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ইউএনও কে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest