সর্বশেষ সংবাদ-
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরার মানুষের জনজীবনসাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়শ্যামনগরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলনআইন ও সলিশ কেন্দ্রের আয়োজনে শিশু যৌনশোষণ প্রতিরোধ বিষয়ক সাইকেল র‌্যালিযারা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সাথে জড়িত তারা বিএনপি’র কর্মী হতে পারে না- সাবেক এমপি হাবিবঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধির নিয়োগ পেলেন ইব্রাহিমকালিগঞ্জে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে হুমকিআশাশুনিতে শিক্ষা পদক বাছাই প্রতিযোগাতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাওচাষ প্রাথমিক বিদ্যালয়টানা বৃষ্টিতে আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসাতক্ষীরার বেতনা নদীর বেঁড়িবাধে ভাঙন : নি¤œাঞ্চল প্লাবিত

_91049920_syedshamsulhaqueডেস্ক রিপোর্ট: বাংলা সাহিত্যজগতে এককথায় সৈয়দ শামসুল হকের পরিচয় ‘সব্যসাচী লেখক’ হিসেবে। দীর্ঘ সাহিত্যজীবনে তিনি তার মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন কবিতা, গল্প, উপন্যাস এবং নাটকসহ শিল্প-সাহিত্যের নানা অঙ্গনে।

বাঙ্গালি মধ্যবিত্ত সমাজের আবেগ-অনুভূতি-বিকার সবই খুব সহজ কথা ও ছন্দে উঠে এসেছে তার লেখনীতে।

সৈয়দ শামসুল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২৭শে ডিসেম্বর। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা কুড়িগ্রামে। আট ভাই-বোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিলেন সৈয়দ হক।

১৯৫১ সালে ‘অগত্যা’ নামে একটি ম্যাগাজিনে তার প্রথম প্রকাশিত লেখাটি ছিল একটি গল্প। এরপর তার প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন সাহিত্যের নানা ক্ষেত্রে। ১৯৬৬ সালে পান বাংলা একাডেমি পুরস্কার।

“সৈয়দ শামসুল হকের রচনায় সমসাময়িক বাংলাদেশকে তুলে ধরা হয়েছে। আগের বড় লেখকেরা সকলেই গ্রামকেন্দ্রিক উপন্যাস বা গল্প লিখেছেন। সৈয়দ শামসুল হক নতুন উদীয়মান মধ্যবিত্তের কথা ভালো করে বললেন এবং মধ্যবিত্ত জীবনের বিকারকেও তিনি ধরলেন”। বলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

সৈয়দ শামসুল হক স্কুলজীবন শেষ করেন কুড়িগ্রামে। এরপর ১৯৫১ সালে মুম্বাইতে গিয়ে কিছুদিন একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থায় কাজ করেন।

পরবর্তীতে জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। সেখানে পড়ালেখা শেষ না করেই পুরোদমে লেখালেখি শুরু করেন। প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘দেয়ালের দেশ’।

দীর্ঘজীবনে তিনি অনেক উপন্যাস লিখেছেন। তার অনুজ এবং তরুণ লেখকেরা প্রভাবিত হয়েছেন তার লেখায়। তাদের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘হক ভাই’ নামে।

লেখক আনিসুল হক বলেন, সৈয়দ শামসুল হকের প্রবন্ধ, উপন্যাস তাকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে।

“আমি স্কুলের ছাত্র থাকার সময় তিনি সাপ্তাহিক বিচিত্রায় মার্জিনে মন্তব্য নামে একটি কলাম লিখতেন। সেখানে তিনি লেখালেখির করণ কৌশল, কিভাবে লিখতে হয় সেই বিষয়ে লিখেছিলেন। বিদেশে এধরণের অনেক বই পাওয়া যায়, কিন্তু বাংলাদেশে লেখালেখির করণ কৌশল নিয়ে তেমন কোন বই ছিল না। সৈয়দ শামসুল হকই একমাত্র লেখক যিনি এইবিষয়ে আমাদের দৃষ্টি প্রথম আকর্ষণ করেন”। বলেন আনিসুল হক।

সৈয়দ শামসুল হক কবি হিসেবেও পরবর্তী প্রজন্মের কবিদের জন্য পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছেন।

১৯৭০ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ, বৈশাখে রচিত পঙক্তিমালা। আধুনিক সময়ে কোন কবির এত দীর্ঘ কবিতা বেশ বিরল। তার এই কাব্যগ্রন্থের কারণে তিনি তখন আদমজী পুরস্কার লাভ করেন।

তার আরেক বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘পরানের গহীন ভিতর’ দিয়ে তিনি তাঁর কবিতায় আঞ্চলিক ভাষাকে উপস্থাপন করেছেন।

কবি অধ্যাপক মোহাম্মদ সামাদের মতে, সৈয়দ হক তাঁর কবিতা দিয়ে বারবার সাড়া ফেলেছেন।

“কবিতায় তার ধারাবাহিকভাবে যে অবদান তা বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। সৈয়দ হককে অনুসরণ করে আমাদের কালের কবিরা বা তার পরবর্তী কালের কবিরা আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা লেখার চেষ্টা করেছেন। তার ‘খেলারাম খেলে যা’ অনুকরণ করে আমাদের কথাসাহিত্যিকেরা লিখেছেন। বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ হকের অবদানকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই”।

সৈয়দ শামসুল হক তার কর্মজীবনের প্রায় সাত বছর কাটিয়েছেন লন্ডনে বিবিসি বাংলা বিভাগের সাথে। বিবিসি বাংলা থেকে সংবাদ পরিবেশন করেছেন ১৯৭১ সালে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে।

“উনি নাটক এবং অভিনয়ে আগ্রহী ছিলেন, নির্দেশনাও দিয়েছেন। বিশেষ করে ক্লাসিকাল নাটকের অনুবাদে তার আগ্রহ ছিল। এছাড়া বিবিসির যেমন কাজ সেটা তিনি করে গেছেন সেগুলো নিশ্চয়ই তার ভাল লাগেনি”। বলেন বিবিসি বাংলায় তাঁর সহকর্মীদের একজন তালেয়া রেহমান।

পরবর্তীতে সৈয়দ শামসুল হকও এক সাক্ষাতকারে বলেন, নাট্যকার হিসেবে তার কাজের সূচনাটি হয়েছিল বিবিসি বাংলায় নাটক করবার অভিজ্ঞতা থেকেই।

নাট্যকার হিসেবেও সৈয়দ শামসুল হক ছিলেন দারুণ সফল। বিশেষ করে তাঁর রচিত দুটি কাব্যনাট্য ‘নুরলদিনের সারাজীবন’ এবং ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ বাংলা নাটকে একটি বিশেষ স্থান দখল করে রয়েছে।

নাগরিক নাট্যদলের হয়ে নুরলদিনের সারা জীবন নাটকটির অন্যতম একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আসাদুজ্জামান নুর।

“তার যে শব্দের ব্যবহার, রূপকল্প, কাব্যময়তা এবং তার সঙ্গে সঙ্গে নাটকের যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত এই সমস্ত কিছু তিনি যেভাবে ধারণ করেছেন বাংলা নাটকে এই ঘটনা আর কেউ ঘটাতে পেরেছে বলে আমি মনে করি না”। বলেন আসাদুজ্জামান নুর।

শিল্পক্ষেত্রে সৈয়দ শামসুল হকের অবদান শুধু নাটকেই সীমাবদ্ধ নয়, তিনি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছেন, এমনকি চলচ্চিত্রের জন্য গানও রচনা করেছেন। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তাঁর রচিত ‘হায়রে মানুষ, রঙ্গিন ফানুস’ গানটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

“আমাদের সাহিত্যিকদের মধ্যে সৈয়দ শামসুল হক ভাষার ব্যবহার নিয়ে যে লিখেছেন ‘হৃৎকলমের টানে’ বা ‘কথা সামান্যই’ এগুলো কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তিনি একইসঙ্গে একজন সৃষ্টিশীল লেখক এবং ভাষার ব্যবহারে ছিলেন অত্যন্ত সচেতন”। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলছেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সৈয়দ শামসুল হক তার অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

যে লেখক শিল্প-সাহিত্যের এতগুলো অঙ্গনে তার পদচিহ্ন রেখেছেন, তাকে বাঙ্গালি কী হিসেবে মনে রাখবে?

“তিনি যদি অন্য সব বাদ দিয়ে দুটো বই লিখতেন ‘পরানের গহীন ভেতর’ এবং ‘বৈশাখে রচিত পঙক্তিমালা’ তাহলে এ দুটো বই তাকে অমর করে রাখত। তিনি যদি শুধু তার কাব্যনাট্যগুলো লিখতেন ‘নুরলদিনের সারাজীবন’ এবং ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ তাহলেও আমরা চিরদিনের জন্য তাকে বাংলা সাহিত্যে স্মরণ করতে বাধ্য থাকতাম। তাঁর কবিতা-নাটক-কলাম সবটা মিলিয়ে যে ব্যক্তিত্বটি দাঁড়ায় তা তুলনারহিত”। বলেন লেখক আনিসুল হক।

সৈয়দ শামসুল হকের কলম এখন থেমে গেছে, কিন্তু তিনি যে ভবিষ্যৎ লেখকদের-কবিদের-নাট্যকারদের অনুপ্রাণিত করবেন, পথ দেখাবেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

বাংলা সাহিত্য অঙ্গনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_91397094_23101b92-9908-4fbc-bee3-b33d5f4fed1dডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প এবং হিলারি ক্লিনটন প্রথম মুখোমুখি টিভি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন।
তাদের ৯০ মিনিটের বাকযুদ্ধে, নীতির চেয়ে পরস্পরের ব্যক্তিত্ব নিয়ে কটাক্ষ ও আক্রমণ করেছেন দু’জনেই।
ডনাল্ড ট্রাম্প বলার চেষ্টা করেছেন, মিসেস ক্লিনটন, তার ভাষায় “পঁচে যাওয়া” রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের অংশ।
অন্যদিকে, হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, মি. ট্রাম্পের মত মানুষের হাতে পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত তুলে দেওয়া ভীষণ বিপজ্জনক।
দুই ক্যাম্প থেকেই এই বিতর্কে বিজয় দাবি করা হচ্ছে।

এরকম একটা টেলিভিশন রিয়েলিটি শো দেখার সুযোগ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কমই হয়েছে। একদিকে, সাবেক ফার্স্ট লেডি, তুখোড় আইনজীবী হিসেবে যার নামডাক ছিল। অন্যদিকে, ম্যানহাটনের এক প্রপার্টি টাইকুন, যার খ্যাতি মূলত সেলসম্যান হিসেবে।
প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের টেলিভিশন বিতর্ক যে এতোটা আক্রমণাত্মক এবং ব্যক্তিগত লড়াই হয়ে উঠতে পারে, সেটা এই বিতর্ক না দেখলে হয়তো বিশ্বাস হতো না।
হিলারি ক্লিনটন ডনাল্ড ট্রাম্পকে আক্রমণ করে বলেছেন, তিনি তার ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করেন নি।
হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, “আমি এটা বিশ্বাস করার কোন কারণ দেখি না যে তিনি কখনো তার ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করবেন। কারণ তিনি কিছু একটা গোপন করছেন। আমরা অনুমান করার চেষ্টাই শুধু করে যাব, তিনি আসলে কি গোপন করছেন।”
এর জবাবে ডনাল্ড ট্রাম্পও পাল্টা আক্রমণে যান হিলারি ক্লিনটনের প্রাইভেট ইমেল সার্ভার ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলে।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রী থাকাকালে হিলারি এই কাজ করে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন।
ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, “এটা কেবল ভুল নয়, তার চাইতেও বড় কিছু। এই ভুল ইচ্ছাকৃত। পঞ্চম সংশোধনীর সুযোগ নিয়ে আপনার কর্মীরা নিজেদের বিচারের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে। এটা খুবই অবমাননাকর।”
বিতর্ক যেন এরপর আরও বেশি ব্যক্তিগত আক্রমণের দিকে গড়ালো।
ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশ্ন তুললেন প্রেসিডেন্ট হবার মতো স্ট্যামিনা এবং মেজাজ হিলারি ক্লিনটনের আদৌ আছে কিনা।
তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনাকে বহু ভিন্ন ধরনের কাজ করার সক্ষমতা থাকতে হবে। আমার মনে হয় না হিলারির সেই স্ট্যামিনা আছে।”
এই ব্যক্তিগত আক্রমণের উত্তরে হিলারি ক্লিনটন পররাষ্ট্র মন্ত্রী থাকাকালে তার ব্যস্ত সময়ের রেকর্ড তুলে ধরেন।
তিনি বলেছেন, “আমার স্ট্যামিনা নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে বিশ্বের ১১২টা দেশ ঘুরে আসেন,শান্তি চুক্তি করে দেখান, অন্য দেশের ভিন্নমতাবলম্বীদের মুক্ত করে আনুন, কিংবা কংগ্রেসের সামনে ১১ ঘণ্টা ধরে শুনানিতে সাক্ষ্য দিয়ে আসুন। তারপর আমার স্ট্যামিনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।”

হিলারি ক্লিনটনকে ব্যঙ্গ করে ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আপনি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর থেকেই আইসিসের (ইসলামিক স্টেট) বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।”
পাল্টা উত্তরে হিলারি ক্লিনটন বলেন, “আপনি তো মেয়েদের শুকর, অলস আর কুকুরের সঙ্গে তুলনা করেছেন।”
ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ আনেন মিসেস ক্লিনটন।
এসব ব্যক্তিগত ইস্যুর বাইরে মার্কিন অর্থনীতি, বিশ্ব নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয়েও তারা তর্কে লিপ্ত হন।
নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এই বিতর্ক টেলিভিশন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি দেখা বিতর্ক অনুষ্ঠান বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সারা বিশ্বে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখেছেন।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল ৭টায় এই বিতর্ক শুরু হয়।
বিতর্ক উপস্থাপনা করেন এনবিসি টিভির লেস্টর হল্ট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc01852-copy
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্ততি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ প্রস্ততি সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, জেলা পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন, ১৭বিজিবি’র অধিনায়ক মেজর মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ. এফ. এম এহতেশামূল হক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, এন. এস. আই’র উপ-পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আতিকুল হক, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার রবীন্দ্রনাথ দাস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মনিরা পারভীন, তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ আহম্মেদ, আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন মুখার্জী, সাধারণ সম্পাদক এড. অনিত মুখার্জী, জেলা হিন্দু বৈদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি মঙ্গল কুমার পাল, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের সহকারি পরিচালক লিটন শিকদার, তালা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রনব ঘোষ বাবলু, রামপদ দাস প্রমুখ। আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হবে এবং ১১ অক্টোবর প্রতিমা বির্সজনের মধ্য দিয়ে দূর্গোৎসব শেষ হবে। এবারে  ৫শ’ ৫৭টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১শ’ ৩ টি পূজা মন্ডপ, আশাশুনি উপজেলায় ১শ’ ১টি পূজা মন্ডপ, তালা উপজেলায় ১শ’ ৭৯ টি পূজা মন্ডপ, কলারোয়া উপজেলায় ৪০টি পূজা মন্ডপ, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৫২টি পূজা মন্ডপ, শ্যামনগর উপজেলায় ৬৩টি পূজা মন্ডপ ও দেবহাটা উপজেলায় ১৯টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা হবে বলে জানা গেছে। ৪দিন ব্যাপি শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠ সুন্দর ও সফলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে  আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। জেলার যে সকল পূজা মন্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে সেগুলোকে ঝুকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সির্দ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় জানান হয় জেলায় সফল ভাবে শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ad-large
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জামাত নেতা একাধিক নাশকতা মামলার আসামী এড. আবু বক্কর সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে ইসলামী ল-ইয়ার্স ফোরামের সদস্য। সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্যা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই রফিক ও এসআই পাইক দেলোয়ারসহ সঙ্গীয় ফোর্স পলাশপোল হাসপাতাল এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। সে জামাতের সক্রিয় কর্মী এবং একাধিক নাশকতার মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
Exif_JPEG_420

Exif_JPEG_420

প্রেসবিজ্ঞপ্তি : আট বছর আগে বায়না করলেও জমির মালিক ওয়াদা অনুযায়ী জমি রেজিস্ট্রি করতে টালাবাহানা করছেন। আজ না কাল, কাল না পরশু এভাবে দীর্ঘদিন কাটিয়ে এখন বলছেন জমি রেজিস্ট্রি হবে না, টাকাও ফেরত হবে না। একজন গ্রাম পুলিশ এই অভিযোগ করে বলেন তিনি গরিব মানুষ। জমি কেনার টাকা দিয়ে এ কুল ও কুল দুকুলই হারিয়েছি বলে উল্লখ করেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পাটকেলঘাটার  ওমরপুর গ্রামের গ্রাম পুলিশ মো. আবদুল মজিদ। তিনি বলেন পারিবারিক কারণে তিনি কয়েক বছর আগে কলারোয়া উপজেলার শুভংকরকাটি(গোগ)গ্রামে বসবাস শুরু করেন। সেই সুবাদে তিনি  শুভংকরকাটি মৌজার ১৪ টি দাগে পাঁচ বিঘা জমি ক্রয়ের জন্য চার লাখ আশি হাজার টাকা বায়না করেন। ওই গ্রামের রহিমবক্স গাজির ছেলে জমির মালিক মতিয়ার রহমান, আতিয়ার রহমান, অজিয়ার রহমান, মশিয়ার রহমান ও নাজমুল হুদার কাছে এই টাকা নগদ প্রদান করেন তিনি। একটি স্ট্যাম্পে লেখালেখি ও স্বাক্ষর করে এই টাকা লেনদেন হয় বলে জানান তিনি। এতে স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে সাক্ষী হন শুভংকরকাটির  ছবেদ আলি ছেলে আবদুল হাই ও তুলশীডাঙ্গা গ্রামের নুর আলির ছেলে সামছুর রহমান। তারা এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন বলে জানান মজিদ। আবদুল মজিদ জানান স্ট্যাম্পে স্বক্ষর করে বায়না পত্র তৈরির পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও মতিয়ার গং জমি রেজিস্ট্রি করে দেন নি। রেজিস্ট্রির কথা বললে তারা নানাভাবে টালবাহানা করতে থাকেন। এমনকি টাকা ফেরত চাইলেও তারা মারমুখী হয়ে উঠছেন। তারা আমার ছেলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। তিনি জানান জমি না পেয়ে তার ছেলেমেয়েরা এখনও ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন তারা তার ছেলে রাজু আহমেদকে মারধর করার হুমকি দিচ্ছেন। এমন কি তাকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছেন তারা। আবদুল মজিদ বলেন এসব কারণে তাদের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন বিবাদীদের  কয়েক আত্মীয় ভারতের মুম্বইতে বসবাস করেন। বছরে একবার করে দেশে ফিরে এসে তারা তার ছেলেদের ওপর নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ করেন আবদুল মজিদ। অসহায় গ্রাম পুলিশ আবদুল মজিদ হয় জমি না হয় বায়নার টাকা ফেরত চেয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি সাতক্ষীরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc00306-copy
নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘সকলের জন্য পর্যটন, সার্বজনীন পর্যটনের অভিগম্যতা।’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় বিশ্ব পর্যটন দিবসের র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় সাতক্ষীরা নিউ মার্কেটের সামনে থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.এফ.এম এহতেশামূল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, সরকারি পলিটেকনিক স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোদাচ্ছের আলী, এনডিসি আবু সাঈদ প্রমুখ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

images-road
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটায় সড়ক দূর্ঘটনায় একজন নিহত ও দুই জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের পাটকেলঘাটা চারাবটতলা নামক স্থানে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত ব্যক্তি হলেন, সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়া মিলবাজার এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে প্রাইভেটকার চালক সাইদুর রহমান (৪০) এবং আহত দুই জন হলেন, একই এলাকার আলমগীর ও ইমরান। পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিবুল ইসলাম জানান, সকালে পাটকেলঘাটা চারাবটতলা নামক স্থানে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরাগামী একটি প্রাইভেটকার (যার নং ঢাকা মেট্রো-১২-৬৬৮৪) নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকার চালক সাইদুর মারা যান। এসময় আহত হন আলমগীর ও ইমরান। আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

imagesডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আ স ম হান্নান শাহ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরে সিঙ্গাপুরের র‍্যাফেল হার্ট সেন্টারে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন)।

বিএনপি চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বলেন, ‘সিঙ্গাপুর সময় ভোর ৫টা ৫ মিনিটে হান্নান শাহ হাসপাতালে মারা যান। সেখানে তাঁর ছোট ছেলে শাহ রেজা নূর এবং মেয়ে শারমিন হান্নান রয়েছেন। তারা বিষয়টি জানিয়েছেন।’
আ স ম হান্নান শাহর মৃত্যুতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক প্রকাশ করে শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

গত ৬ সেপ্টেম্বর অসুস্থ অবস্থায় ৭৭ বছর বয়সী হান্নান শাহকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। সেখানকার নীবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ভর্তি হওয়ার দুদিন পর হান্নান শাহর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। পরে ১০ সেপ্টেম্বর আবার তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে। এর পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলেন চিকিৎসকরা।
গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হান্নান শাহকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। র‌্যাফেল হার্ট হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. অ্যালভিন এনজির নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক হান্নান শাহর শরীরে অস্ত্রোপচার করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন।
হান্নান শাহ মরদেহ খুব দ্রুতই দেশে নিয়ে আসা হবে জানিয়েছেন শায়রুল কবির খান। তিনি জানান, সিঙ্গাপুরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে দ্রুতই তাঁর মরদেহ দেশে নিয়ে আসা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest