সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা পুষ্টি কমিটির সভাআত্মসমর্পনকৃত বনদস্যুদের পুনরায় সুন্দরবনে তৎপর হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় মাত্র ১২০ টাকায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশে চাকরি পেল ৫৮ তরুণ-তরুণীসাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় ৮৯ টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে ফেরত দিল পুলিশআশাশুনিতে মাটি চাপা পড়ে শ্রমিকের মৃত্যুঅবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে যেকোনো `চ্যালেঞ্জ’ নিতে প্রস্তুত নতুন সিইসিসাতক্ষীরা জেলা স্কাউটস’র কমিটি গঠন জেলা প্রশাসক সভাপতি : সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনআশাশুনির বুধহাটা খেয়াঘাটে বেতনা নদীতে সাঁকো নির্মানকালীগঞ্জে কৃষিজমিতে লবণ পানি ঢুকিয়ে চিংড়ি চাষ বন্ধে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময়

f5598b6967f9833e30b4a1e27128024f-57ea9032ee2ecডেস্ক রিপোর্ট: আজ ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন। এ জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে দেশের কবি লেখক সংস্কৃতিকর্মীজনদের পক্ষ থেকে আনন্দ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল আগেভাগেই। সেই জন্মদিন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। নিজের শরীর খারাপ হলেও দেশনেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনে তাঁর ছিল অসীম আগ্রহ। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উদযাপন করা সম্ভব হলো না তাঁর। এ আয়োজনের মাত্র এক দিন আগে ২৭ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন দেশবরেণ্য প্রথিতযশা এই লেখক।
বুধবারের এ আয়োজন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিবেদন করে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের লেখা কবিতার নাম ‘আহা, আজ কী আনন্দ অপার!’
এ কবিতায় সব্যসাচী লেখকের মনের আনন্দ প্রকাশ করেছেন এভাবে- ‘আহা, আজ কী আনন্দ অপার/ শুভ শুভ জন্মদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনার’।
সৈয়দ হক প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের কবিতায় লেখেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্নবাহু তাঁর/শুভ শুভ জন্মদিন/দেশরত্ন শেখ হাসিনার/পঁচাত্তরের কলঙ্কিত সেই রাত্রির পর/নৌকা ডোবে নদীর জলে/সবাই বলে নৌকা তুলে ধর/কেইবা তোলে কে আসে আর/স্বপ্নবাহু তাঁর/বঙ্গবন্ধু কন্যার/শুভ শুভ জন্মদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনার।’
এ কবিতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যের প্রশংসা করে সৈয়দ হক লেখেন, শেখ হাসিনা সব নদীতে/দুর্জয় গতিতে/টেনে তোলেন নৌকা আনেন উন্নয়ন জোয়ার/শুভ শুভ জন্মদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনার।’
প্রধানমন্ত্রীর ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষে সৈয়দ হক কবিতায় যা উচ্চারণ করেছেন, সুস্থ থাকলে আজ ২৮ সেপ্টেম্বর হয়ত নিজেই স্বকণ্ঠে আবৃত্তি করতেন। কিন্তু তার আগের দিন নিজেই বিদায় নিয়ে চলে গেলেন ৮০ বছর বয়সে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তার কবিতাটা আর আবৃত্তি করা হলো না।
বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে ওই ‘আনন্দ অনুষ্ঠান’টি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে এই অসামান্য কবির মৃত্যুতে নিজের জন্মদিনের সব অনুষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বাতিল করায় ধারণা করা হচ্ছে শেষ পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানটিও স্থগিত হতে পারে।
শেখ হাসিনার উদ্দেশে কবির লেখা কবিতাটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো:

আহা, আজ কী আনন্দ অপার!

-সৈয়দ শামসুল হক

আহা, আজ কী আনন্দ অপার

শুভ শুভ জন্মদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনার

জয় জয় জয় জয় বাংলার

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্নবাহু তাঁর

শুভ শুভ জন্মদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনার

পঁচাত্তরের কলঙ্কিত সেই রাত্রির পর

নৌকা ডোবে নদীর জলে

সবাই বলে নৌকা তুলে ধর

কেইবা তোলে কে আসে আর

স্বপ্নবাহু তাঁর

বঙ্গবন্ধু কন্যার

শুভ শুভ জন্মদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনার

শেখ হাসিনা সব নদীতে

দুর্জয় গতিতে

টেনে তোলেন নৌকা আনেন উন্নয়ন জোয়ার

শুভ শুভ জন্মদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনার

জাতির পিতার রক্তে দেশ

এখনও যায় ভেসে

সেই রক্তের পরশ মেখে দেশ উঠেছে জেগে

এ দেশ তোমার আমার

জয় জয় জয় জয় বাংলার

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্নবাহু তাঁর

শুভ শুভ জন্মদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনার

আহা, আজ কী আনন্দ অপার!

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

001525drau‘প্রথম প্রথম একটু অস্বস্তি হতো এই ব্যবস্থায়, এখন কিছু মনে হয় না। আমার পাঁচ স্বামীকেই একইরকম সুযোগ দিই আমি।’ তরুণী যেন আধুনিক দ্রৌপদী। কারণ উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন নিবাসী ২১ বছরের রাজো বর্মা মহাভারতের দ্রৌপদীর মতোই বিয়ে করেছেন পাঁচ পুরুষকে। আর মহাভারতের পাণ্ডবদের মতোই তাঁর স্বামীরাও পাঁচ ভাই। রাজো একসঙ্গে এক বাড়িতেই থাকেন পাঁচ স্বামীকে নিয়ে। এক এক স্বামীর সঙ্গে এক রাত্রে মিলিত হন তিনি। ‘প্রথম প্রথম একটু অস্বস্তি হতো এই ব্যবস্থায়, এখন কিছু মনে হয় না। আমার পাঁচ স্বামীকেই একইরকম সুযোগ দিই আমি।’ ১৮ মাসের একটি ছেলেও রয়েছে রাজোর।

কিন্তু সেই ছেলের প্রকৃত পিতা কে, তা জানেন না রাজো নিজেও। কিন্তু হঠাৎ পাঁচ ভাইকে এক সঙ্গে বিয়ে করতে গেলেন কেন রাজো? পাঁচ ভাইয়ের এক ভাই গুড্ডুর সঙ্গেরাজোর বিয়ে হয় ৪ বছর আগে। বিয়েটা হয়েছিল উভয় পক্ষের বাবা-মা’র দেখাশোনার মাধ্যমে। বিয়ের পরে রাজো বুঝতে পারেন, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত
নিবিড়। রাজোর মনে জাগে আশঙ্কা, বিয়ের পর গুড্ডু বউকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন না তো, অবিবাহিত ভাইদের সঙ্গে তাঁর ভাতৃত্ব-বন্ধন শিথিল হয়ে যাবে না তো?তখনই রাজোর মনে আসে মহাভারতের দ্রৌপদীর দৃষ্টান্ত। রাজো সিদ্ধান্ত নেন, তিনি গুড্ডুর অন্য ভাইদেরও বিয়ে করবেন পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য।আপত্তি ছিল না গুড্ডুরও।

ফলে একে একে বইজু, সন্ত রাম, গোপাল এবং দীনেশকেও বিয়ে করেন রাজো। জ্যেষ্ঠ ভাই বইজুর বয়স ৩২ বছর, কনিষ্ঠ দীনেশ ১৯ বছর। পরিবারে অশান্তি হয় না? বিশেষত স্ত্রী-এর শারীরিক অধিকার নিয়ে? উত্তর দেন গুড্ডুই, ‘উঁহু, আমাদের পরিবার ছোট পরিবার না হতে পারে, কিন্তু আমাদের পরিবারে কোনো অশান্তি নেই। আমরা প্রত্যেকেই রাজোর সঙ্গে মিলিত হই, কিন্তু এই নিয়ে আমার কোনো যৌন ঈর্ষা বোধ হয় না।’ আর রাজো, কী বলছেন তিনি নিজে? তাঁর বক্তব্য, ‘আমার মা-ও তো তিন ভাইকে বিয়ে করেছিলেন। আমি আমার স্বামীদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে রাত্রি যাপন করি।

আমাদের ঘরে কোনো বিছানা নেই। মাটির উপর পুরু করে কম্বল পেতে নিয়ে আমরা শুয়ে পড়ি।’ পাঁচ স্বামীকে নিয়ে সমস্যা হয় না? লাজুক হেসে রাজোর উত্তর- ‘একটুও না। বরং অন্য বিবাহিত মেয়েদের থেকে অনেক বেশি ভালবাসা পাই আমি।’ ভালবাসার স্থান যে যৌন ঈর্ষা ও যৌন হিংসার অনেক উপরে সেই কথাই যেন প্রমাণ করছে রাজোদের পরিবার। সূত্র: এবেলা

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1474998430কুষ্টিয়ার মিরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও জাসদ সমর্থকদের সংঘর্ষে মহিলাসহ ২৫জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই ভাই ঝন্টু ও সেন্টুর অবস্থা গুরুত্বর। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার আমলা ইউনিয়নের পারমিটন গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার জাসদ সমর্থক রাজা মাস্টার গ্রুপের লোকজন দোকানে বসাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থীত মুদি দোকানদার লিটনকে মারধর করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে মিরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে রাজা মাস্টারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। থানায় অভিযোগ করে ফেরার পথে ঝন্টুর লোকজনের উপরে রাজা মাস্টারের লোকজন হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপের মুখোমুখি তুমুল সংঘর্ষ বাধে। সংষর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২৫জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে এক রাউন্ড গুলি ও দুটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী জালাল উদ্দিন বলেন, এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_91049920_syedshamsulhaqueডেস্ক রিপোর্ট: বাংলা সাহিত্যজগতে এককথায় সৈয়দ শামসুল হকের পরিচয় ‘সব্যসাচী লেখক’ হিসেবে। দীর্ঘ সাহিত্যজীবনে তিনি তার মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন কবিতা, গল্প, উপন্যাস এবং নাটকসহ শিল্প-সাহিত্যের নানা অঙ্গনে।

বাঙ্গালি মধ্যবিত্ত সমাজের আবেগ-অনুভূতি-বিকার সবই খুব সহজ কথা ও ছন্দে উঠে এসেছে তার লেখনীতে।

সৈয়দ শামসুল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২৭শে ডিসেম্বর। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা কুড়িগ্রামে। আট ভাই-বোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিলেন সৈয়দ হক।

১৯৫১ সালে ‘অগত্যা’ নামে একটি ম্যাগাজিনে তার প্রথম প্রকাশিত লেখাটি ছিল একটি গল্প। এরপর তার প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন সাহিত্যের নানা ক্ষেত্রে। ১৯৬৬ সালে পান বাংলা একাডেমি পুরস্কার।

“সৈয়দ শামসুল হকের রচনায় সমসাময়িক বাংলাদেশকে তুলে ধরা হয়েছে। আগের বড় লেখকেরা সকলেই গ্রামকেন্দ্রিক উপন্যাস বা গল্প লিখেছেন। সৈয়দ শামসুল হক নতুন উদীয়মান মধ্যবিত্তের কথা ভালো করে বললেন এবং মধ্যবিত্ত জীবনের বিকারকেও তিনি ধরলেন”। বলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

সৈয়দ শামসুল হক স্কুলজীবন শেষ করেন কুড়িগ্রামে। এরপর ১৯৫১ সালে মুম্বাইতে গিয়ে কিছুদিন একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থায় কাজ করেন।

পরবর্তীতে জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। সেখানে পড়ালেখা শেষ না করেই পুরোদমে লেখালেখি শুরু করেন। প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘দেয়ালের দেশ’।

দীর্ঘজীবনে তিনি অনেক উপন্যাস লিখেছেন। তার অনুজ এবং তরুণ লেখকেরা প্রভাবিত হয়েছেন তার লেখায়। তাদের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘হক ভাই’ নামে।

লেখক আনিসুল হক বলেন, সৈয়দ শামসুল হকের প্রবন্ধ, উপন্যাস তাকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে।

“আমি স্কুলের ছাত্র থাকার সময় তিনি সাপ্তাহিক বিচিত্রায় মার্জিনে মন্তব্য নামে একটি কলাম লিখতেন। সেখানে তিনি লেখালেখির করণ কৌশল, কিভাবে লিখতে হয় সেই বিষয়ে লিখেছিলেন। বিদেশে এধরণের অনেক বই পাওয়া যায়, কিন্তু বাংলাদেশে লেখালেখির করণ কৌশল নিয়ে তেমন কোন বই ছিল না। সৈয়দ শামসুল হকই একমাত্র লেখক যিনি এইবিষয়ে আমাদের দৃষ্টি প্রথম আকর্ষণ করেন”। বলেন আনিসুল হক।

সৈয়দ শামসুল হক কবি হিসেবেও পরবর্তী প্রজন্মের কবিদের জন্য পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছেন।

১৯৭০ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ, বৈশাখে রচিত পঙক্তিমালা। আধুনিক সময়ে কোন কবির এত দীর্ঘ কবিতা বেশ বিরল। তার এই কাব্যগ্রন্থের কারণে তিনি তখন আদমজী পুরস্কার লাভ করেন।

তার আরেক বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘পরানের গহীন ভিতর’ দিয়ে তিনি তাঁর কবিতায় আঞ্চলিক ভাষাকে উপস্থাপন করেছেন।

কবি অধ্যাপক মোহাম্মদ সামাদের মতে, সৈয়দ হক তাঁর কবিতা দিয়ে বারবার সাড়া ফেলেছেন।

“কবিতায় তার ধারাবাহিকভাবে যে অবদান তা বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। সৈয়দ হককে অনুসরণ করে আমাদের কালের কবিরা বা তার পরবর্তী কালের কবিরা আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা লেখার চেষ্টা করেছেন। তার ‘খেলারাম খেলে যা’ অনুকরণ করে আমাদের কথাসাহিত্যিকেরা লিখেছেন। বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ হকের অবদানকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই”।

সৈয়দ শামসুল হক তার কর্মজীবনের প্রায় সাত বছর কাটিয়েছেন লন্ডনে বিবিসি বাংলা বিভাগের সাথে। বিবিসি বাংলা থেকে সংবাদ পরিবেশন করেছেন ১৯৭১ সালে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে।

“উনি নাটক এবং অভিনয়ে আগ্রহী ছিলেন, নির্দেশনাও দিয়েছেন। বিশেষ করে ক্লাসিকাল নাটকের অনুবাদে তার আগ্রহ ছিল। এছাড়া বিবিসির যেমন কাজ সেটা তিনি করে গেছেন সেগুলো নিশ্চয়ই তার ভাল লাগেনি”। বলেন বিবিসি বাংলায় তাঁর সহকর্মীদের একজন তালেয়া রেহমান।

পরবর্তীতে সৈয়দ শামসুল হকও এক সাক্ষাতকারে বলেন, নাট্যকার হিসেবে তার কাজের সূচনাটি হয়েছিল বিবিসি বাংলায় নাটক করবার অভিজ্ঞতা থেকেই।

নাট্যকার হিসেবেও সৈয়দ শামসুল হক ছিলেন দারুণ সফল। বিশেষ করে তাঁর রচিত দুটি কাব্যনাট্য ‘নুরলদিনের সারাজীবন’ এবং ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ বাংলা নাটকে একটি বিশেষ স্থান দখল করে রয়েছে।

নাগরিক নাট্যদলের হয়ে নুরলদিনের সারা জীবন নাটকটির অন্যতম একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আসাদুজ্জামান নুর।

“তার যে শব্দের ব্যবহার, রূপকল্প, কাব্যময়তা এবং তার সঙ্গে সঙ্গে নাটকের যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত এই সমস্ত কিছু তিনি যেভাবে ধারণ করেছেন বাংলা নাটকে এই ঘটনা আর কেউ ঘটাতে পেরেছে বলে আমি মনে করি না”। বলেন আসাদুজ্জামান নুর।

শিল্পক্ষেত্রে সৈয়দ শামসুল হকের অবদান শুধু নাটকেই সীমাবদ্ধ নয়, তিনি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছেন, এমনকি চলচ্চিত্রের জন্য গানও রচনা করেছেন। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তাঁর রচিত ‘হায়রে মানুষ, রঙ্গিন ফানুস’ গানটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

“আমাদের সাহিত্যিকদের মধ্যে সৈয়দ শামসুল হক ভাষার ব্যবহার নিয়ে যে লিখেছেন ‘হৃৎকলমের টানে’ বা ‘কথা সামান্যই’ এগুলো কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তিনি একইসঙ্গে একজন সৃষ্টিশীল লেখক এবং ভাষার ব্যবহারে ছিলেন অত্যন্ত সচেতন”। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলছেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সৈয়দ শামসুল হক তার অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

যে লেখক শিল্প-সাহিত্যের এতগুলো অঙ্গনে তার পদচিহ্ন রেখেছেন, তাকে বাঙ্গালি কী হিসেবে মনে রাখবে?

“তিনি যদি অন্য সব বাদ দিয়ে দুটো বই লিখতেন ‘পরানের গহীন ভেতর’ এবং ‘বৈশাখে রচিত পঙক্তিমালা’ তাহলে এ দুটো বই তাকে অমর করে রাখত। তিনি যদি শুধু তার কাব্যনাট্যগুলো লিখতেন ‘নুরলদিনের সারাজীবন’ এবং ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ তাহলেও আমরা চিরদিনের জন্য তাকে বাংলা সাহিত্যে স্মরণ করতে বাধ্য থাকতাম। তাঁর কবিতা-নাটক-কলাম সবটা মিলিয়ে যে ব্যক্তিত্বটি দাঁড়ায় তা তুলনারহিত”। বলেন লেখক আনিসুল হক।

সৈয়দ শামসুল হকের কলম এখন থেমে গেছে, কিন্তু তিনি যে ভবিষ্যৎ লেখকদের-কবিদের-নাট্যকারদের অনুপ্রাণিত করবেন, পথ দেখাবেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

বাংলা সাহিত্য অঙ্গনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_91397094_23101b92-9908-4fbc-bee3-b33d5f4fed1dডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প এবং হিলারি ক্লিনটন প্রথম মুখোমুখি টিভি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন।
তাদের ৯০ মিনিটের বাকযুদ্ধে, নীতির চেয়ে পরস্পরের ব্যক্তিত্ব নিয়ে কটাক্ষ ও আক্রমণ করেছেন দু’জনেই।
ডনাল্ড ট্রাম্প বলার চেষ্টা করেছেন, মিসেস ক্লিনটন, তার ভাষায় “পঁচে যাওয়া” রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের অংশ।
অন্যদিকে, হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, মি. ট্রাম্পের মত মানুষের হাতে পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত তুলে দেওয়া ভীষণ বিপজ্জনক।
দুই ক্যাম্প থেকেই এই বিতর্কে বিজয় দাবি করা হচ্ছে।

এরকম একটা টেলিভিশন রিয়েলিটি শো দেখার সুযোগ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কমই হয়েছে। একদিকে, সাবেক ফার্স্ট লেডি, তুখোড় আইনজীবী হিসেবে যার নামডাক ছিল। অন্যদিকে, ম্যানহাটনের এক প্রপার্টি টাইকুন, যার খ্যাতি মূলত সেলসম্যান হিসেবে।
প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের টেলিভিশন বিতর্ক যে এতোটা আক্রমণাত্মক এবং ব্যক্তিগত লড়াই হয়ে উঠতে পারে, সেটা এই বিতর্ক না দেখলে হয়তো বিশ্বাস হতো না।
হিলারি ক্লিনটন ডনাল্ড ট্রাম্পকে আক্রমণ করে বলেছেন, তিনি তার ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করেন নি।
হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, “আমি এটা বিশ্বাস করার কোন কারণ দেখি না যে তিনি কখনো তার ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করবেন। কারণ তিনি কিছু একটা গোপন করছেন। আমরা অনুমান করার চেষ্টাই শুধু করে যাব, তিনি আসলে কি গোপন করছেন।”
এর জবাবে ডনাল্ড ট্রাম্পও পাল্টা আক্রমণে যান হিলারি ক্লিনটনের প্রাইভেট ইমেল সার্ভার ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলে।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রী থাকাকালে হিলারি এই কাজ করে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন।
ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, “এটা কেবল ভুল নয়, তার চাইতেও বড় কিছু। এই ভুল ইচ্ছাকৃত। পঞ্চম সংশোধনীর সুযোগ নিয়ে আপনার কর্মীরা নিজেদের বিচারের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে। এটা খুবই অবমাননাকর।”
বিতর্ক যেন এরপর আরও বেশি ব্যক্তিগত আক্রমণের দিকে গড়ালো।
ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশ্ন তুললেন প্রেসিডেন্ট হবার মতো স্ট্যামিনা এবং মেজাজ হিলারি ক্লিনটনের আদৌ আছে কিনা।
তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনাকে বহু ভিন্ন ধরনের কাজ করার সক্ষমতা থাকতে হবে। আমার মনে হয় না হিলারির সেই স্ট্যামিনা আছে।”
এই ব্যক্তিগত আক্রমণের উত্তরে হিলারি ক্লিনটন পররাষ্ট্র মন্ত্রী থাকাকালে তার ব্যস্ত সময়ের রেকর্ড তুলে ধরেন।
তিনি বলেছেন, “আমার স্ট্যামিনা নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে বিশ্বের ১১২টা দেশ ঘুরে আসেন,শান্তি চুক্তি করে দেখান, অন্য দেশের ভিন্নমতাবলম্বীদের মুক্ত করে আনুন, কিংবা কংগ্রেসের সামনে ১১ ঘণ্টা ধরে শুনানিতে সাক্ষ্য দিয়ে আসুন। তারপর আমার স্ট্যামিনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।”

হিলারি ক্লিনটনকে ব্যঙ্গ করে ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আপনি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর থেকেই আইসিসের (ইসলামিক স্টেট) বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।”
পাল্টা উত্তরে হিলারি ক্লিনটন বলেন, “আপনি তো মেয়েদের শুকর, অলস আর কুকুরের সঙ্গে তুলনা করেছেন।”
ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ আনেন মিসেস ক্লিনটন।
এসব ব্যক্তিগত ইস্যুর বাইরে মার্কিন অর্থনীতি, বিশ্ব নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয়েও তারা তর্কে লিপ্ত হন।
নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এই বিতর্ক টেলিভিশন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি দেখা বিতর্ক অনুষ্ঠান বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সারা বিশ্বে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখেছেন।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল ৭টায় এই বিতর্ক শুরু হয়।
বিতর্ক উপস্থাপনা করেন এনবিসি টিভির লেস্টর হল্ট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc01852-copy
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্ততি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ প্রস্ততি সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, জেলা পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন, ১৭বিজিবি’র অধিনায়ক মেজর মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ. এফ. এম এহতেশামূল হক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, এন. এস. আই’র উপ-পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আতিকুল হক, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার রবীন্দ্রনাথ দাস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মনিরা পারভীন, তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ আহম্মেদ, আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন মুখার্জী, সাধারণ সম্পাদক এড. অনিত মুখার্জী, জেলা হিন্দু বৈদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি মঙ্গল কুমার পাল, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের সহকারি পরিচালক লিটন শিকদার, তালা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রনব ঘোষ বাবলু, রামপদ দাস প্রমুখ। আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হবে এবং ১১ অক্টোবর প্রতিমা বির্সজনের মধ্য দিয়ে দূর্গোৎসব শেষ হবে। এবারে  ৫শ’ ৫৭টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১শ’ ৩ টি পূজা মন্ডপ, আশাশুনি উপজেলায় ১শ’ ১টি পূজা মন্ডপ, তালা উপজেলায় ১শ’ ৭৯ টি পূজা মন্ডপ, কলারোয়া উপজেলায় ৪০টি পূজা মন্ডপ, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৫২টি পূজা মন্ডপ, শ্যামনগর উপজেলায় ৬৩টি পূজা মন্ডপ ও দেবহাটা উপজেলায় ১৯টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা হবে বলে জানা গেছে। ৪দিন ব্যাপি শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠ সুন্দর ও সফলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে  আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। জেলার যে সকল পূজা মন্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে সেগুলোকে ঝুকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সির্দ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় জানান হয় জেলায় সফল ভাবে শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ad-large
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জামাত নেতা একাধিক নাশকতা মামলার আসামী এড. আবু বক্কর সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে ইসলামী ল-ইয়ার্স ফোরামের সদস্য। সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্যা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই রফিক ও এসআই পাইক দেলোয়ারসহ সঙ্গীয় ফোর্স পলাশপোল হাসপাতাল এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। সে জামাতের সক্রিয় কর্মী এবং একাধিক নাশকতার মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
Exif_JPEG_420

Exif_JPEG_420

প্রেসবিজ্ঞপ্তি : আট বছর আগে বায়না করলেও জমির মালিক ওয়াদা অনুযায়ী জমি রেজিস্ট্রি করতে টালাবাহানা করছেন। আজ না কাল, কাল না পরশু এভাবে দীর্ঘদিন কাটিয়ে এখন বলছেন জমি রেজিস্ট্রি হবে না, টাকাও ফেরত হবে না। একজন গ্রাম পুলিশ এই অভিযোগ করে বলেন তিনি গরিব মানুষ। জমি কেনার টাকা দিয়ে এ কুল ও কুল দুকুলই হারিয়েছি বলে উল্লখ করেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পাটকেলঘাটার  ওমরপুর গ্রামের গ্রাম পুলিশ মো. আবদুল মজিদ। তিনি বলেন পারিবারিক কারণে তিনি কয়েক বছর আগে কলারোয়া উপজেলার শুভংকরকাটি(গোগ)গ্রামে বসবাস শুরু করেন। সেই সুবাদে তিনি  শুভংকরকাটি মৌজার ১৪ টি দাগে পাঁচ বিঘা জমি ক্রয়ের জন্য চার লাখ আশি হাজার টাকা বায়না করেন। ওই গ্রামের রহিমবক্স গাজির ছেলে জমির মালিক মতিয়ার রহমান, আতিয়ার রহমান, অজিয়ার রহমান, মশিয়ার রহমান ও নাজমুল হুদার কাছে এই টাকা নগদ প্রদান করেন তিনি। একটি স্ট্যাম্পে লেখালেখি ও স্বাক্ষর করে এই টাকা লেনদেন হয় বলে জানান তিনি। এতে স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে সাক্ষী হন শুভংকরকাটির  ছবেদ আলি ছেলে আবদুল হাই ও তুলশীডাঙ্গা গ্রামের নুর আলির ছেলে সামছুর রহমান। তারা এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন বলে জানান মজিদ। আবদুল মজিদ জানান স্ট্যাম্পে স্বক্ষর করে বায়না পত্র তৈরির পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও মতিয়ার গং জমি রেজিস্ট্রি করে দেন নি। রেজিস্ট্রির কথা বললে তারা নানাভাবে টালবাহানা করতে থাকেন। এমনকি টাকা ফেরত চাইলেও তারা মারমুখী হয়ে উঠছেন। তারা আমার ছেলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। তিনি জানান জমি না পেয়ে তার ছেলেমেয়েরা এখনও ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন তারা তার ছেলে রাজু আহমেদকে মারধর করার হুমকি দিচ্ছেন। এমন কি তাকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছেন তারা। আবদুল মজিদ বলেন এসব কারণে তাদের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন বিবাদীদের  কয়েক আত্মীয় ভারতের মুম্বইতে বসবাস করেন। বছরে একবার করে দেশে ফিরে এসে তারা তার ছেলেদের ওপর নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ করেন আবদুল মজিদ। অসহায় গ্রাম পুলিশ আবদুল মজিদ হয় জমি না হয় বায়নার টাকা ফেরত চেয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি সাতক্ষীরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest