সর্বশেষ সংবাদ-
বুধহাটায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও কোকোর মৃত্যু বার্ষিকীতে দোয়াআশাশুনির শ্রীউলায় সাইকেল ম্যাকানিক অনিমেষের লাশ উদ্ধারসাবেক এমপি এন্তাজ আলীর ২৭তম মৃত্যু বার্ষিকী ২৬ জানুয়ারিদেবহাটার সখিপুর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশদেশকে ফ্যাসিবাদের হাতে তুলে দেওয়ার সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে: হামিদুর রহমান আযাদতারুণ্যের উৎসব উদযাপনে সাতক্ষীরায় ম্যারাথন দৌঁড়সাতক্ষীরায় দলিত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মধ্যে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণসাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুজন ও সম্পাদক অয়ন গ্রেফতারকলারোয়া উপজেলা তাঁতীদলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদনসাতক্ষীরা মর্নিং সান প্রি-ক্যাডেট স্কুলে উৎসবমুখর পরিবেশে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

1

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার ১নং কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনের প্রার্থী যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক গত ৬/১০/২০১৬ তারিখে মনোনয়ন দাখিলের শেষ হয়। শুক্রবার রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাই করেন। নির্বাচনী গেজেটের সকল দিক বিবেচনা শেষে ৩ জন প্রার্থীকে বৈধতা ঘোষণা দেন। বাছাইয়ে থাকা ব্যক্তিরা হলেন দক্ষিণ কুলিয়ার সাবেক ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইউনুছ আলীর পুত্র ও বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইমাদুল ইসলামের ভাই আসাদুল ইসলাম, একই এলাকার দিদার সরদারের পুত্র যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেন এবং মৃত আব্দুর খালেকের পুত্র আবুল কাশেম। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার সেখ শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ১৪ অক্টোবর শুক্রবার প্রার্থী প্রত্যাহারের শেষ তারিখ পরের দিনে শনিবার প্রতীক নির্ধারণ এবং ৩১ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা সরকারি নির্দেশ মেনে সকল কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে করছি তাই নির্বাচন কে সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

image_16307-medium
বল্ল প্রতিনিধি :  শেখ রাসেল আট দলীয় ফুটবল র্টুনামন্টেরে ফাইনাল ম্যাচে কুন্দুরয়িা ইয়াং স্টার ক্লাব ২-০ গোলে কাঠালতলা ফুটবল একাদশকে পরাজতি করেছে। উক্ত ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় বল্লী এম এম আর সেকেন্ডারি স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে। প্রথর্মাধের খেলায় কোন দলই গোল করতে পারিনি। বিরতির পর ২ টি গোলের দেখা পায় কুন্দুরিয়া। ফলে ২-০ গোলের জয় পায় কুন্দুরিয়া ইয়াং স্টার ক্লাব। খেলাটি পরিচালনা করেন রেফারি ক্যামেলি হাসান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1475773498শিক্ষা ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘গ’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাস করেছে ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছেন ৯৪.৪৮ জন পরীক্ষার্থী!
উল্লেখ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে ভর্তির পরীক্ষা দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় শুধুমাত্র পাশ নয়, একটি নির্দিষ্ট জিপিএ পেতে হয়। প্রচলিত ধারণায় যা ‘ভালো ফলাফল হিসেবে বিবেচিত। বিগত কয়েক বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মান প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
গাইড বাই, সাজেশন আর কোচিং/প্রাইভেট নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থায় শ্রেণিকক্ষ থেকে শিক্ষা নির্বাসিত হতে বসেছে। ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীরা ঢাবি’র উন্নত ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির সামনে অসগায় হয়ে পড়ছে। সংখ্যাতাত্ত্বিক সাফল্যে মিষ্টি মুখ করতে করতে আমরা যেন গুণগত সাফল্যের ধারণাই ভুলতে বসেছি।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ভবনের কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ বছর আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ১২৪ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৪০ হাজার ২৩৪ জন। অনুপস্থিত ছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। পাসের সংখ্যা দুই হাজার ২২১ জন।
পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের বছর এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বরের মাধ্যমে ধফসরংংরড়হ.ঢ়রভ.ফঁ.ধপ.নফ ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবে।
এ ছাড়া আবেদনকারীরা যেকোনো মোবাইল অপারেটর থেকে উট<>এঅ<>জড়ষষ টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়েও ফলাফল জানতে পারবে।
পাস করা শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম এক থেকে এক হাজার ৩০০ পর্যন্ত আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয়ের পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে হবে।
‘গ’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী সাগর নন্দী। তাঁর প্রাপ্ত স্কোর ১৭৮ দশমিক ৪০। দ্বিতীয় হয়েছেন একই কলেজের শিক্ষার্থী মো. নয়ন ইসলাম। তাঁর প্রাপ্ত স্কোর ১৭৬ দশমিক ১৬। তৃতীয় হয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী সমশাদ আলম। তাঁর স্কোর ১৭৫ দশমিক ৭৬।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1000735206_1475778304ডেস্ক রিপোর্ট: দীর্ঘ ছয় বছর পর আবারো ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। সর্বশেষ ২০১০ সালে ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। তিন ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুই দলই চাইবে জয় দিয়ে শুরু করতে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ শুক্রবার সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটি শুরু দুপুর আড়াইটায়। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। তিনটি সিরিজই ছিল তিন ম্যাচের। তিনটিতেই হেরেছে টাইগাররা।
২০১০ সালে সর্বশেষ ইংল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে হেরেছিলো বাংলাদেশ। ঐ সিরিজের অধিনায়ক ছিলেন বর্তমান দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ হারলেও, দ্বিতীয় ম্যাচেই নাটকীয়ভাবে ৫ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ হেরে সিরিজ হারে বাংলাদেশ। তবে ঐ সিরিজ থেকে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেয়ার কোন সুযোগ এখন বাংলাদেশের নেই। কারণ, দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। সেই সাথে বাংলাদেশ এখন বদলে যাওয়া এক বাংলাদেশ।
সেই প্রমাণ ইতোমধ্যে ক্রিকেট বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে মাশরাফির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে দেশের মাটিতে এখন পর্যন্ত ৬টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজের সবগুলোই জিতেছে মাশরাফিবাহিনী। জিম্বাবুয়েকে পাঁচ ও তিন ম্যাচের সিরিজে এবং পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানকে তিন ম্যাচের সিরিজে হারের লজ্জা দেয় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় চুবানিও খাইয়েছে বাংলার টাইগাররা।
তাই এসব স্মৃতিই এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গর্জে উঠতে বড় প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বাংলাদেশের জন্য। উপরন্তু দেশের মাটিতে খেলা। তাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে এক কথায় ফেভারিট বাংলাদেশ। কাগজে কলমেই শুধু নয়, বাংলার টাইগারদের মনেও এই বীজ রোপন হয়ে গেছে।
দলের মারকুটে ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান গতকাল তো তেমনটাই বলছিলেন, ‘যেহেতু আমাদের মাটিতে খেলা তাই বাড়তি সুবিধা আমরা পাব। ইংল্যান্ড যদি তিনশ’র উপরে রান করে তাহলে আমরাও তা টপকে যেতে পারবো। এই সামর্থ আমাদের ব্যাটসম্যানদের আছে। আমরা টানা ৬টি সিরিজ জিতেছি। পাকিস্তান-ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকেও আমরা হারিয়েছি।’
শুধু কি দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলোই প্রেরণা? না। আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেয়ার আরও দু’টি বড় রসদ বাংলাদেশের সামনে রয়েছে। আর তাহলো বিশ্বকাপ ক্রিকেটে মঞ্চ। ২০১১ ও ২০১৫ সর্বশেষ দু’টি বিশ্বকাপেই ইংল্যান্ডকে বধ করেছে বাংলাদেশ।
২০১১ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও বোলার শফিউল ইসলামের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ইংল্যান্ডকে ২ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। এরপর ২০১৫ বিশ্বকাপে এডিলেডে মাহমুদুল্লাহ’র ব্যাটিং ও পেসার রুবেল হোসেনের আগুন ঝড়ানো বোলিং-এ ইংলিশদের ১৫ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ।
তাই সেখান থেকেও আত্মবিশ্বাস নিচ্ছেন সাব্বির, ‘বিশ্বকাপের মত বড় আসরে ইংল্যান্ডকে আমরা হারিয়েছে। এই সিরিজে এগুলো আমাদের বাড়তি প্রেরণা দেবে।’
বলা যায় আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়েই ইংলিশদের বিপক্ষে মাঠে নামছে টাইগাররা।
তবে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে ইংল্যান্ডও। দেশের মাটিতে সদ্য শেষ হওয়া সিরিজে শ্রীলংকা ও পাকিস্তানকে হারিয়েছে ইংলিশরা। লংকাকে ৩-০ ও পাকিস্তানকে ৪-১ ব্যবধানে হারায় ইয়োইন মরগানের দল। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে ইংল্যান্ড দলে অধিনায়কত্ব করছেন জশ বাটলার। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে মরগান না আসায় টাইগারদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাটলার।
তবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে কতটা নিরাপত্তা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, তার প্রমান মিলেছে ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান মঈন আলীর কন্ঠে, ‘এখানকার নিরাপত্তা অসাধারন। এখন পর্যন্ত এখানে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা পেয়েছি আমরা। আমি ঠিক জানি না এর চেয়ে বেশি নিরাপত্তা অন্য কোন দেশ দিতে পারবে কিনা?’
বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে যেহেতু নিশ্চিন্ত ইংল্যান্ড, তাই ২২ গজে নিজেদের সেরাটা দিয়ে মুখিয়েই থাকবে তারা। যেমনটা গেল সিরিজগুলোতে দিয়েছে ইংলিশরা। নটিংহ্যামে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। ৩ উইকেটে ৪৪৪ রানের সংগ্রহ দাড় করায় তারা। আগের রেকর্ডটি ছিলো শ্রীলংকার। ২০০৬ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ৪৪৩ রান করেছিলো লংকান ব্যাটসম্যানরা।
এছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একাদশের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচও খেলেছে ইংল্যান্ড। ইমরুল কায়েসের ৯১ বলে ১২১ রানের উপর ভর করে ৩০৯ রানের সংগ্রহ পায় বিসিবি। এরপর ইংল্যান্ড অধিনায়ক বাটলার ও মঈনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ম্যাচটি ৪ উইকেটে জিতে নেয় ইংলিশরা। তাই বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড।
তবে ইংল্যান্ডের সব আত্মবিশ্বাস দুমড়ে-মুচড়ে যাবে, যদি অতীতের মত বাংলাদেশ তাদের সেরাটা দিতে পারে ২২ গজে। তাই দেশের মাটিতে টানা সপ্তম সিরিজ জয়ের পথে আরও একবার গর্জে উঠুক মাশরাফির বাংলাদেশ, এমনটাই প্রত্যাশা ১৬ কোটি মানুষের।
বাংলাদেশ স্কোয়াড : মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, নাসির হোসেন, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাব্বির রহমান, শফিউল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন রুবেল, আল আমিন হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।
ইংল্যান্ড স্কোয়াড : জশ বাটলার (অধিনায়ক), মঈন আলী, জনি বেয়ারস্টো (উইকেটরক্ষক), জেক বল, স্যাম বিলিংস, লিয়াম ডসন, বেন ডাকেট, স্টিভেন ফিন, লিয়াম প্লানকেট, আদিল রশিদ, জেসন রয়, বেন স্টোকস, জেমস ভিন্স, ডেভিড উইলি ও ক্রিস ওকস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

51স্পোর্টস ডেস্ক: নিজেদের মাঠে বলিভিয়াকে উড়িয়ে দিলো ব্রাজিল। ০৭ অক্টোবর শুক্রবার নাতালের দাস দুনাস স্টেডিয়ামে ৫-০ গোলের বড় জয় পায় নেইমাররা। বাংলাদেশ সময় ভোরে ম্যাচের শুরুতেই দলকে এগিয়ে নেন নেইমার। মাত্র ১৫ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফিলিপে কৌতিনিয়ো। এরপর ফিলিপে লুইস আর গাব্রিয়েল জেসুসের গোল বানিয়ে দিয়ে ব্যবধান আরো বাড়ান নেইমার।
দ্বিতীয়ার্ধে স্কোরশিটে নাম লেখান রবের্তো ফিরমিনো। ৫টি গোলের বিপরীতে শোধ করা তো দূরের কথা, প্রতিপক্ষের স্কোরলাইন যাতে আর না বাড়ে সেই চেষ্টাই প্রাণপনে করে গেছে বলিভিয়া।
ব্রাজিলের হয়ে ৪৯ গোল হলো নেইমারের। ‘সাদা পেলে’ হিসেবে পরিচিত জিকোকে ছাড়িয়ে এখন এককভাবে ব্রাজিলের চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে গেলেন তিনি। সামনে এখন রোমারিও, রোনালদো আর পেলে।
আর এ জয়ে নয় ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তিতের শিষ্যরা। ১ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে শীর্ষে রয়েছে উরুগুয়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1475770364স্বাস্থ্য ও জীবন: সম্প্রতি ভয়ঙ্কর এক সমীক্ষা প্রকাশ পেয়ে। যাতে বলা হয়েছে, পাঁচ ব্র্যান্ডের কোল্ড ড্রিংক খাওয়া আর বিষ খাওয়ার একই কথা। ৫টি ব্র্যান্ডের কোল্ড ড্রিংকে পাওয়া গেছে বিষাক্ত ধাতু, সেগুলি নামজাদা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি পেপসিকো এবং কোকা কোলার তৈরি করা। ভারতে একটি সরকারি সমীক্ষা রিপোর্ট এ মারাত্মক তথ্য দিয়েছে।
জানা গেল, ৫টি নামজাদা ঠাণ্ডা পানীয়ের বোতলে রয়েছে বিষাক্ত ৫টি ধাতু। ৫টি ধাতু হল— অ্যান্টিমোনি, শিসা, ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম, এবং কম্পাউন্ড ডিইএইচপি অথবা ডাই (টু-ইথাইলহেক্সলি) প্যাথলেট। যে ৫টি ব্র্যান্ডের কোল্ড ড্রিংকে পাওয়া গেছে এই সমস্ত বিষাক্ত ধাতু সেগুলি নামজাদা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি পেপসিকো এবং কোকা কোলার তৈরি করা।
রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পেপসি, কোকা কোলা, মাউন্টেন ডিউ, স্প্রাইট, এবং সেভেন আপ— এই ৫টি কোল্ড ড্রিংকে রয়েছে বিষাক্ত ধাতব উপাদান। সমীক্ষাটি পরিচালনা করেছে ভারত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সংস্থা ড্রাগস টেকনিকাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড (ডিটিএবি)। ৫টি কোল্ড ড্রিংক-এর মধ্যে স্প্রাইট কোকা কোলার মালিকানাধীন। আর বাকি চারটির প্রস্তুতকর্তা পেপসিকো।
ডিটিএবি-র নির্দেশে এই সমীক্ষা পরিচালনা করেছিল কলকাতা নির্ভর সংস্থা অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ, যা আদপে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সংস্থা। সংস্থাটি গত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ভারতের বাজার থেকে বিভিন্ন কোল্ড ড্রিংকের ৪টি করে ৬০০ মিলির বোতল নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে। পরীক্ষার ফলে দেখা যায়, ৫টি ঠাণ্ডা পানীয়ের বোতলে রয়েছে বিষাক্ত ধাতব উপাদান।
ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনের মতে, শিসা আর ক্যাডমিয়াম হল মানবদেহের পক্ষে সবচেয়ে ক্ষতিকর ১০টি ধাতব উপাদানের মধ্যে অন্যতম। এ দু’টি উপাদান যখন পানীয়ের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে, তখন মস্তিস্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ক্ষতিকরটা আরো বেশি। এ ধরনের উপাদান শরীরে বেশি পরিমাণে প্রবেশ করলে কোমায় পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কাজেই স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে যতদিন না কোল্ড ড্রিংকসে বিষাক্ত উপাদানের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই ধরনের ঠাণ্ডা পানীয় এড়িয়ে চলাই স্বাস্থ্যকর।
রিপোর্টে আরো বলা হয়, ফ্রিজ থেকে বার করে এইসব কোল্ড ড্রিংকের বোতল ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে দিলে ধাতব উপাদানের বিষময়তা আরো বৃদ্ধি পায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

cisf-airport22আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলোতে যে কোনো সময় হামলা হতে পারে। দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এমন আশঙ্কা করার পর বিমানবন্দরগুলোতে হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। রাজধানী দিল্লি, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদসহ পশ্চিম ভারতের বিমানবন্দরগুলোতেও জারি হয়েছে সতর্কতা। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাও।
জানা গেছে, মুম্বাই, জয়পুর, আহমেদাবাদ, দিল্লি ও হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে সশস্ত্র জঙ্গিরা। সে কারণে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে বিমানবন্দর এলাকা।
দেশটির বিমানবন্দরগুলিতে হাই অ্যালার্ট জারির পাশাপাশি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বোম্ব স্কোয়্যাড ও কমান্ডো বাহিনীকে।
সিআইএসএফ-এর মহানির্দেশক ও পি সিং জানিয়েছেন, দেশের জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলিতে হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বিমানসংস্থাগুলিকেও সচেতন করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার দিকে বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে। সিআইএসএফ-এর ওই শীর্ষ কর্তা আরও জানিয়েছেন, একটি বিশেষ বৈঠকে বিমানবন্দরগুলিতে সতর্কতা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

sm1নিউজ ডেস্ক: রেড অ্যালার্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শারদীয় দুর্গা পূজা, আশুরা ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে এই রেড অ্যালার্ট চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো। তারা বলছে, নিরাপত্তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ প্রধান, র‌্যাব প্রধানসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিশেষ নোট পাঠানো হয়েছে দেশের প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারদের।
দেশের প্রতিটি পূজা মণ্ডপ, আশুরার তাজিয়া মিছিল ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের আবাসস্থল ও তাদের যাওয়া-আসার পথে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। এ ছাড়া কূটনৈতিক এলাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ওয়াসা, গ্যাসসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতেও বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এসব তথ্য দিয়ে বলেছে, জঙ্গি হামলার কোনো তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে না থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি থাকছে না। পূজা, আশুরা এবং ইংল্যান্ড দলের ঢাকা সফর-এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এক সময়ে হয়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না সরকার। যে কারণে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আসন্ন পূজা, আশুরা ও ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও বিভিন্ন নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। ওই সব এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ, ডিবি পুলিশ, আনসার সদস্য, র‌্যাব ও ডগ স্কোয়াডের সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
গত সোমবার পুলিশ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিষয়ে এক সভায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, পূজার আগে, পূজা চলাকালে এবং পরের কয়েকদিনের জন্য আলাদা নিরাপত্তা পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ ছাড়া ইংল্যান্ডের জাতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের সময়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া গতকাল বলেছেন, অতীতের অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে এবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে হোসনি দালান ইমামবাড়া থেকে বের হওয়া তাজিয়া মিছিলে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গতকাল বেলা পৌনে ১২টার দিকে হোসনি দালানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।
কমিশনার বলেন, আমরা অতীতের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে এবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। চারশ বছর ধরে চলে আসা এ ধরনের একটি অনুষ্ঠানে গতবছর যে হামলা হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত থাকবে। তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মিছিলে আগত সবাইকে আর্চওয়ে গেট দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেক করা হবে।
এ সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবার সহযোগিতা চান কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি আরও জানান, আগেই তাজিয়া মিছিলে আতশবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এবার ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার নিশানও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়েছে প্রস্তুত। দেশের প্রতিটি পূজা মণ্ডপ, আশুরার তাজিয়া মিছিল ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের আবাসস্থল ও তাদের যাওয়া-আসার পথে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা।
এ ছাড়া কূটনৈতিক এলাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ওয়াসা, গ্যাসসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতেও বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, জঙ্গি হামলার কোনো তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে না থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি থাকছে না। পূজা, আশুরা এবং ইংল্যান্ড দলের ঢাকা সফর-এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এক সময়ে হয়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনো রিস্ক নিতে চাচ্ছে না সরকার। যে কারণে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
পুলিশ ও র‌্যাব জানায়, রাজধানীসহ দেশজুড়েই নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া থাকছে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা ইউনিট, ডগ স্কোয়াড, বোমা ডিসপোজাল ইউনিট, স্ট্রাইকিং ফোর্স, পুলিশের বিশেষ টিম সোয়াত, মোটরসাইকেলে টহল, ফুট প্যাট্রল ও তল্লাশি চৌকি।
নিউজ ডেস্ক: রেড অ্যালার্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শারদীয় দুর্গা পূজা, আশুরা ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে এই রেড অ্যালার্ট চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো। তারা বলছে, নিরাপত্তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ প্রধান, র‌্যাব প্রধানসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিশেষ নোট পাঠানো হয়েছে দেশের প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারদের।
দেশের প্রতিটি পূজা মণ্ডপ, আশুরার তাজিয়া মিছিল ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের আবাসস্থল ও তাদের যাওয়া-আসার পথে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। এ ছাড়া কূটনৈতিক এলাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ওয়াসা, গ্যাসসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতেও বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এসব তথ্য দিয়ে বলেছে, জঙ্গি হামলার কোনো তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে না থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি থাকছে না। পূজা, আশুরা এবং ইংল্যান্ড দলের ঢাকা সফর-এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এক সময়ে হয়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না সরকার। যে কারণে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আসন্ন পূজা, আশুরা ও ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও বিভিন্ন নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। ওই সব এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ, ডিবি পুলিশ, আনসার সদস্য, র‌্যাব ও ডগ স্কোয়াডের সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
গত সোমবার পুলিশ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিষয়ে এক সভায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, পূজার আগে, পূজা চলাকালে এবং পরের কয়েকদিনের জন্য আলাদা নিরাপত্তা পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ ছাড়া ইংল্যান্ডের জাতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের সময়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া গতকাল বলেছেন, অতীতের অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে এবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে হোসনি দালান ইমামবাড়া থেকে বের হওয়া তাজিয়া মিছিলে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গতকাল বেলা পৌনে ১২টার দিকে হোসনি দালানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।
কমিশনার বলেন, আমরা অতীতের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে এবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। চারশ বছর ধরে চলে আসা এ ধরনের একটি অনুষ্ঠানে গতবছর যে হামলা হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত থাকবে। তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মিছিলে আগত সবাইকে আর্চওয়ে গেট দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেক করা হবে।
এ সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবার সহযোগিতা চান কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি আরও জানান, আগেই তাজিয়া মিছিলে আতশবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এবার ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার নিশানও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়েছে প্রস্তুত। দেশের প্রতিটি পূজা মণ্ডপ, আশুরার তাজিয়া মিছিল ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের আবাসস্থল ও তাদের যাওয়া-আসার পথে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা।
এ ছাড়া কূটনৈতিক এলাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ওয়াসা, গ্যাসসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতেও বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, জঙ্গি হামলার কোনো তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে না থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি থাকছে না। পূজা, আশুরা এবং ইংল্যান্ড দলের ঢাকা সফর-এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এক সময়ে হয়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনো রিস্ক নিতে চাচ্ছে না সরকার। যে কারণে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
পুলিশ ও র‌্যাব জানায়, রাজধানীসহ দেশজুড়েই নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া থাকছে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা ইউনিট, ডগ স্কোয়াড, বোমা ডিসপোজাল ইউনিট, স্ট্রাইকিং ফোর্স, পুলিশের বিশেষ টিম সোয়াত, মোটরসাইকেলে টহল, ফুট প্যাট্রল ও তল্লাশি চৌকি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest