সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় গৃহবধু গণধর্ষণের মামলার আসামী গ্রেপ্তারআশাশুনি বাজারের পাশে বসবাসকারীরা নদী ভাঙ্গনে উদ্বিগ্ন: ইউএনওর পরিদর্শণসাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলায় ৩৩ জনের জামিনসাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন, থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন আসামিরাভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলা

photo-1479039264অনলাইন ডেস্ক: ইনিংসের ১৬তম ওভারের শেষ বলে যখন আউট হয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন, প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এসে অভিনন্দন জানালেন তাঁকে। তা ছাড়া প্রতিপক্ষ দলের আরো অনেকেই সাব্বির রহমানের পিঠ চাপড়ালেন। কেন ? অনেকের মনেই হয়তো জাগাতে পারে এমন প্রশ্ন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সাব্বির এমনই এক অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন যে তাঁকে অভিনন্দন না জানিয়ে কোনো উপায় ছিল না প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারদেরও।

রোববার বরিশাল বুলসের বিপক্ষে রাজশাহী ব্যাটসম্যান সাব্বির খেলেছেন অসাধারণ একটি শতরানের ইনিংস। ঘরোয়া-আন্তর্জাতিক ম্যাচ মিলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তাঁর প্রথম শতক। সাব্বিরের ৬১ বলে ১২২ রানের অসাধারণ এই ইনিংসে ভর করে জয়ের খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল রাজশাহী। কিন্তু শেষপর্যন্ত সাব্বির থেকে গেছেন ট্র্যাজিক হিরো হয়ে। মাত্র চার রানের জন্য নাম লেখাতে পারেননি জয়ী দলে। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের কথা মনে করলে তাই হয়তো কিছুটা আক্ষেপই থেকে যাবে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের।

ব্যাট হাতে শুরু থেকেই বোলারদের ওপর নির্দয়ভাবে চড়াও হয়েছিলেন সাব্বির। মাত্র ২৬ বলে অর্ধশতক এবং ৫৩ বল খেলে পূর্ণ করেছিলেন শতক। যাতে ছিল নয়টি চার ও নয়টি ছক্কার মার ছিল। ১৬তম ওভারে আউট না হলে ম্যাচটা যে রাজশাহীই জিতত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সাব্বির অনেকটা এগিয়ে দিলেও শেষপর্যায়ের ব্যাটিং ব্যর্থতায় আর শেষ হাসি হাসতে পারেনি রাজশাহী কিংস।

এদিন বেশ উজ্জ্বলতা ছড়ালেও এর আগে প্রথম দুই ম্যাচে অবশ্য খুব একটা সাফল্য পাননি সাব্বির। খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে চার ও ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে করেছেন ৩১ রান। সেই সাব্বিরকে তৃতীয় ম্যাচে একেবারেই বিধ্বংসী রূপে দেখেছেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের দর্শকরা। কেন যে তাঁকে টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট বলা হয়, সেটাও খুব ভালোমতোই প্রমাণ করেছেন তরুণ এই ক্রিকেটার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1479044550অনলাইন ডেস্ক: ভারতের মাটিতে ভারতকে দুই সেশনে অলআউট করে দেওয়া সহজ কাজ না। বিশেষত রাজকোটের মতো ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে। ইংল্যান্ডও সেটা পারেনি। তবে ছয় উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে কাঁপিয়েই দিয়েছিল সফরকারীরা। শেষপর্যন্ত অবশ্য ড্র-ই হয়ে গেছে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি। ৩১০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭২ রানে থেমেছে ভারতের ইনিংস।

দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৪ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড রবিবার যোগ করেছিল আরো ১৪৬ রান। ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছিল তিন উইকেটে ২৬০ রান করে। অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক পূর্ণ করেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩০তম শতক। ৮২ রানের লড়াকু ইনিংস এসেছে অভিষিক্ত ওপেনার হাসিব হামিদের ব্যাট থেকে। ফলে ভারতের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ৩১০ রান।

দুই সেশন ব্যাটিং করে যে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না, তা জানাই ছিল। ভারতের ব্যাটসম্যানরাও সেই চেষ্টা করতে যাননি। তবে দুর্দান্ত বোলিং করে ভারত সমর্থকদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের স্পিনাররা। ১৩২ রান সংগ্রহ করতেই ছয়টি উইকেট হারিয়েছিল ভারত। তবে উইকেটের এক প্রান্তে অবিচল ছিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪৯ রান করে। রবীন্দ্র জাদেজা খেলেছেন ৩২ রানের হার না মানা ইনিংস। সপ্তম উইকেটে ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দিনের বাকি সময় নির্বিঘ্নেই পার করেছেন এই দুই ব্যাটসম্যান। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রবীচন্দ্রন অশ্বিন খেলেছেন ৩২ রানের ইনিংস। ৩১ রান এসেছে ওপেনার মুরালি বিজয়ের ব্যাট থেকে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের পক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন লেগস্পিনার আদিল রশিদ। ৬৪ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। একটি করে উইকেট গেছে মইন আলী, জাফর আনসারি ও ক্রিস ওকসের ঝুলিতে।

পুরো ম্যাচে দারুণ অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন মইন আলী। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বল হাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট।

রাজকোট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড গড়েছিল ৫৩৭ রানের পাহাড়। জবাবে ভারত করেছিল ৪৮৮ রান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

journalist-arrestডেস্ক রিপোর্ট: গত শুক্রবার ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারে সাংবাদিক পরিচয়ে কথিত কবিরাজ আনিছউদ্দীনের কাছে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে আটক হন দুই ব্যক্তি। এ ঘটনা ওইদিনই সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা হয়। রোববার আদালত থেকেও জামিনও পেয়েছেন ঐ দুই ব্যক্তি।
এদিকে, গতকাল রোববার কোন কোন সংবাদপত্রে ঘটনাটি সাজানো এবং ঐ দুই সাংবাদিককে (একজন একটি পত্রিকার প্রতিনিধি হলেও অপরজনের কোন সাংবাদিক পরিচয় জানা যায়নি) ফাঁসানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে কবিরাজ আনিছউদ্দীন নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। প্রশ্ন হচ্ছে Ñ ওই কবিরাজ যদি কোন অপকর্মের সাথে জড়িত থেকেই থাকেন তারপরও কি তার কাছে চাঁদা চাওয়ার বৈধতা তৈরি হয়? নাকি কবিরাজের অপকর্মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা উচিৎ? কবিরাজের অবৈধ আয়ের ভাগ নিতে চাওয়া যদি সাংবাদিকের দায়িত্ব হয়ে থাকেÑ তাহলে যে বা যেসকল সাংবাদিক ঐ চাঁদাবাজদের ধরিয়ে দিতে সাহায্য করেছেন তারা নিঃসন্দেহে গুরুত্বর অন্যায় করেছেন! যেহেতু অনেকেই চাঁদাবাজ, তাই সকল সাংবাদিকেরই উচিৎ হবে চাাঁদাবাজ হওয়া! যারা চাঁদাবাজি করবেন না তারাই অপরাধীÑ এমনটি অনেকেই সমর্থন করলেও বিবেকবান কেউই সমর্থন করতে পারছি না।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নামে চাঁদা চাওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে প্রেসক্লাবের প্রতিনিধিত্ব, ব্যবহার করা হয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার নাম, একাধিক দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকদের কথা-সাংবাদিকদের পরিচয়। এরপরও আমাদেরকে ওই চাঁদাবাজদের সমর্থন করে কথা বলতে হবে?
দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার হাতে এসে পৌঁছেছে ওই কবিরাজ ও সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবিকারীদের মধ্যকার কথোপকথনের ৪টি ফোন রেকর্ড। যা পুলিশের কাছেও রয়েছে। আমরা পাঠকদের বিচারের জন্য এবং সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবসহ যেসকল সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও সংবাদপত্রের নাম ব্যবহার করে চাঁদা দাবি করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে এবিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কথোপকথনের রেকর্ডগুলোর চুম্বক অংশ এখানে হুবহু তুলে ধরছি। আমরা আশা করি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কোন সাধারণ সদস্য চাইবেন না তাদের প্রাণের সংগঠনের নাম-পরিচয় ব্যবহার করে কেউ এভাবে চাাঁদাবাজি করুক। প্রেসক্লাব ও সংবাদপত্র সাধারণ সাধারণ মানুষের শেষ ভরসাস্থল। তাই এর ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার দায়িত্বও সবার।
কথোপকথন:
রেকর্ড-০১
চাঁদাবাজ: …সেইভাবে হিসাব-কিতাব করে কথা বলেন। আপনি দরদাম করে ঠিক করেন।
কবিরাজ আনিছউদ্দীন:  আমি বুড়া মানুষ অতো হিসাব কিতাব বুঝিনা। তোমরা ঠিক করো কত লাগবে।
চাঁদাবাজ- পার ডে(প্রতিদিন) আপনার পাঁচ (৫হাজার)-এর নিচে আসে না
কবিরাজ -তালি আমার এ জায়গায় তোমার বসতে হবে কিন্তু।
চাঁদাবাজ- (হাসতে হাসতে) আমার সকাল ১০টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে সন্ধ্যে বেলায় বাড়ি ঢুকতে হয়। বাড়ির বাজারও করে খাওয়ার সময় দেয় না লোক আমাদের। ও জায়গায় বসে থাকার…
কবিরাজ- বলো, কি বলো বাপ, একটু ভালো করে বলো।
চাঁদাবাজ- কীভাবে দেবেন? মাসে মাসে দেবেনÑ না আপনার সুবিধামত?
কবিরাজ- পার ডে কখনো সম্ভব হয়না। তুমি যদি বলো না আমি যদি বলি তিন টাকা হয়েছে। তালি কি তুমি বিশ্বাস করবা?
চাঁদাবাজ- চাচা আপনি এক কাজ করেন, এখন ১০ হাজার টাকা দেবেন আর ৬ মাস পরে দেবেন।
কবিরাজ- একটু কোমায়ে নেবেনÑ তা না হলি আমি কুলোই পারি?
চাঁদাবাজ- চাচা কি বলেন আপনি ? তালি আমি এক কথা বলবো? আপনি ঐডা ভাগ করে দেবেন। যেখানে যেতে বলবো সেখানে দিয়ে আসবেন।
কবিরাজ- এটা সম্ভব না বাপ। আমি বুড়ো মানুষ, নজর খারাপ। ওরকম সময়তো আমাগের নেই।
চাঁদাবাজ- আপনার জাগা বলে দেবো আপনি সেখানে যেয়ে দিয়ে আসবেন।
কবিরাজ- ও টা তোমাগের দায়িত্ব।
চাাঁদাবাজ- আপনি কি মনে করতেছেন তা কি জানি- কতোরা ডালপালা হয় জানেন? কালকে দেবেন বাকিটা ৬ মাস পরে দেবেন। কাল কখন দেবেন?
কবিরাজ- কাল সন্ধ্যে বেলা আসপা।
চাঁদাবাজ- কাল কখন আসপো?
কবিরাজ- রাত্রিবেলা আইসো। আমি তো মাগরিব পর্যন্ত এদের নিয়ে থাকি। ওদের সামনে কি খেচাখেচি করা যায়?
চাঁদাবাজ- চাচা আপনি রেডি থেইকেন আমারা যোগাযোগ করে নেবো।
রেকর্ড-০২
কবিরাজ- টাকা ফুরোয়ে গেছিল।
চাঁদাবাজ- লুৎফর আছে?
কবিরাজ- না ও চলে গেছে। এখান খেকে ১০/১৫ মিনিট আগে।
চাঁদাবাজ- ওর কতো টাকা দিতে হয়?
কবিরাজ- ওর টাকা দেবো কেন?
চাঁদাবাজ- ও কি করতে আসে?
কবিরাজ- ও আইছিল ওর প্রয়োজন থাকে, একই গ্রামে বাড়ি। আমার এখানে অনেক লোক আসে।
চাঁদাবাজ- ওই মেয়েটা কি করতে আইছিল বলেন দিন?
কবিরাজ- ওর শারীরিক সমস্যা।
চাঁদাবাজ- ওর বিয়ে হয়েছে?
কবিরাজ- ও পড়াশুনা করে।
চাঁদাবাজ- প্রেমের কোনো কিছু দেন নাকি? কোন তদবির দেন?
কবিরাজ- না
চাঁদাবাজ- তালি কামাই কিরাম হয়? এক হাজার টাকা হয়?
কবিরাজ- না, মানুষ যেরকম আসে সে রকম হয়। মানুষের ফুঁ দিলে, তেল পানি পড়ে দিলে কি এক হাজার টাকা পাওয়া যায়? ২’শ /১’শ /৫’শ কামাই হয়।
চাাঁদাবাজ- এক হাজার টাকা হয়? তালি কি করবেনÑ
কবিরাজ- তোমাদের পনে দায়িক্ত দিলাম।
চাঁদাবাজ- এতো কথা বলেন কেন? কি করবেন তা বলেন। যা কামাই হয় তার অর্ধেক দেন।
কবিরাজ- কতো?
চাঁদাবাজ- কতো হয় তা জানি? আপনি যা পারবেন তাই দেবেন।
কবিরাজ- তুমি বলো কতো হলি তুমি দায়িত্ব নিতি পারবা। এক বছর অপেক্ষা করতে হবে।
চাঁদাবাজ- তালি ১০ হাজার টাকা দেন।
কবিরাজ- ও কি সম্ভবআমার পক্ষে ?
চাঁদাবাজ- যদি হয় তালি কালকে বলবেন।
কবিরাজ- রাতি কথা হবে।
রেকর্ড-০৩
কবিরাজ- সিদ্ধান্ত কিছু করিচাও নাকি?
চাঁদাবাজ- কি সিদ্ধান্ত করবো? সিদ্ধান্ত তো আপনার কাছে।
কবিরাজ- তোমরা ৪ জন এক জাগায় বসে আমার ফাইনাল সিদ্ধান্ত জানাও। আমার সব কথাতো তোমাদের বললাম।
চাঁদাবাজ- আপনার সাথে একজন লোক ছিল না? ওর কাছে দেন।
কবিরাজ- আমরা সবাই এক গ্রামে থাকি।
চাঁদাবাজ- সকালবেলাতো সব কথা আপনার সাথে বলি এসেছি।
রেকর্ড-০৪
কবিরাজ- কাজ যদি ভাল হয় তাহলে আমার দিতে সমস্যা নেই।
চাঁদাবাজ- আমি কি বলি শোনেন। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব থেকে যে লোক আপনার কাছে গেল- সাদা জামা গায়। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে, ব্যাপারটা ওখানে উঠিছে। ঝাউডাঙ্গায় প্রেসক্লাবেরও প্রতিনিধি উনি বুঝতি পেরিছেন।
কবিরাজ- ওনার নাম কি?
চাঁদাবাজ- ওনার নাম স.ম আমজাদ হোসেন। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের উনি প্রতিনিধি আবার ঝাউডাঙ্গা দক্ষিণের মশালের প্রতিনিধি। এখন সমস্যা হচ্ছে কিÑ ওখান থেকে ব্যাপারটা দেখার কথা বলা হয়িছে। ওখান থেকে ডিবি, এনএসআই প্রত্যেকের প্রেসক্লাবতে বলা হয়েছে এখান থেকে রিপোর্ট যাওয়ার পর ওখানে বসে সিদ্ধান্ত নেবে বুঝদি পেরিছেন। বিকেল বেলা আবার ফোন করিছে। এখন কেতে কি করা যায়? আমি কি বলি শোনেনÑ আপনি ওনাদের সাথে জিনিসটা এ… করবেন।
কবিরাজ- আমার বাসায় আইছিলে না?
চাঁদাবাজ- আমি সাথে ছিলাম।
কবিরাজ- আমি কোটিপতি না লাখোপতি? আমি গরিব মানুষ, তোমরা বোঝ না কেন।
চাঁদাবাজ- একটা সত্যি কথা বলবো চাচা? সকাল বেলা আমাদের মোটরসাইকেলে ক্যামেরা-ট্যামেরা সব ছিল। যখন আপনার বাড়ি গিয়ে আপনার ঘর-বাড়ির অবস্থা দেখলামÑ ওখান থেকে ছবিটবি উঠায়ে ওখানে দিয়ার কথা ছেল। কিন্তু আপনার বাড়ির অবস্থা দেখে ওইটা আমাদের নিজেদের খারাপ লেগেছ। এখান তে একটা সিদ্ধান্ত জানাতি হবে।
কবিরাজ- তোমার নাম কি?
চাঁদাবাজ- জাহিদ হাসান।
কবিরাজ- তোমার আব্বার নাম?
চাঁদাবাজ- কামরুল মোল্যা।
কবিরাজ- তোমাদের মোল্যা পাড়ায় বাড়ি? তোমরা ছোট মানুষ, রাজনীতি করোÑ আমাদের কি মেরি ফেলবা বাপ?
চাঁদাবাজ- চাচা বিশ্বাস করেন মাটির পর দাড়ায়ে বলতিছ আপনার অবস্থা দেখে আমাদের খারাপ লেগিছে। ওপরের চাপ আছে, আপনি বুঝতি পেরতিছেন না। সেইভাবে কথা-বার্তা বলেন তা না হলি আরো উপরে চলি গেলি ঝামেলা হবেনি। কাল থানা থেকে এসে একজনের উঠায়ে নিয়ে গেছে। আপনার সব ঠিক আছেÑ কিন্তু কাগজপত্র দেখলি কি বলবেন?
কবিরাজ – বাপ আমি গরীব মানুষ। জেল টেল তোমরা খাটাইনা আমার।
চাঁদাবাজ- পত্রিকায় রিপোর্ট করলি পার আপনার সমস্যা হয়ি যেতো। এখন আপনি যেভাবে বলবেন আমরা ওপরে কথা বলবো। তা না হলি বিকেলেও ফোন করিছে।
কবিরাজ- যেডা ভাল মনে করো সেডা করো। তোমরা আমার একটু সাপোর্ট করবা।
চাঁদাবাজ- পত্রিকার সম্পাদকদের ম্যানেজ করতে হয়। এজন্য একটা দফারফা করতে হয়।
কবিরাজ- বাজান তোমরা ৪ জনই কি এক পত্রিকার?
চাঁদাবাজ- না না, ওর মধ্যি ৩ জন সাংবাদিক আর একজন সাথে ছেল।
কবিরাজ- তোমরা কোন কোন পত্রিকায় আছো? তিনজন তিন লাইনি, নাকি এক লাইনি?
চাঁদাবাজ-কাফেলা আছে, সাতনদী আছে, আজকের সাতক্ষীরা আছে।
কবিরাজ- এর মধ্যি সাংবাদিক কিডা কিডা? নাম বলো- একটু শুনি। তোমরা কিন্তু আমার ছেলের মতোন তাই কথাটা বললাম।
চাঁদাবাজ- আপনি কি করতে চান- বলেন দিন। কামরুল, জাহিদ, আমজেদ হোসেন…..
কবিরাজ- আর একটা ছেলে ছিল না?
চাঁদাবাজ- ও আমাগির মধ্যি না, বন্ধু বান্ধব মানুষ।
কবিরাজ- আমার কিছু নেই, মাত্র আধ কাঠা ভিটেবাড়ি। ৭ জন লোক আমার সংসারে খোরাকি। আমি জেলে গেলি এসব লোক তোমাগের খাতি দিতি হবানি।
চাঁদাবাজ- আমরা ওপরে কথা বলবানি ওলোক এভাবে করে করমায় খাক।  এখন বাংলাদেশে সবই সম্ভব সমঝোতার মাধ্যমে সব সম্ভব।
কবিরাজ- তোমরা বলো যে এই টাকা দিতি হবে…
চাঁদাবাজ- আপনার আয়ের পরে ঠিক রেখে আপনার যাতে ক্ষতি না হয় সেইভাবে কথা বলেন। চাচা ধরেন- আপনার কাছে ৫ লাখ টাকা চালাম, আপনার সংসার চালায়ে যা থাকে তার পরতো দিতি হবে।
কবিরাজ- তোমরা আলোচনা করি আমার সিদ্ধান্ত দাও।
চাঁদাবাজ- আপনার দেখে খারাপ লেগিছে তাই ক্ষতি করিনি। বারবার ওপর তে ফোন করি জানতি চেয়েছে। সেখানে আলোচনা করে দফারফা করতি হবে। ওপরে কথা বলে আপনার পরে জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, কথোপথনের এসকল ব্যক্তির কারও সাথে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কোন সম্পর্ক নেই। আর তাই এবিষয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তাদের বক্তব্য।
এই ফোন রেকর্ডের বক্তব্য জানিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই।”
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান বলেন, প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে কেউ চাঁদাবাজি করলে তার দায় প্রেসক্লাব নেবে না। তবে প্রেসক্লাবের নাম যদি কেউ অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে থাকে তাহলে সেবিষয়ে আমরা আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব।”
অন্যদিকে, দৈনিক দক্ষিণের মশাল’র সম্পাদক আশেক-ই-এলাহী বলেন, “এবিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

new-image
ধুলিহর প্রতিনিধি : সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের তেতুলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ ভূয়া শিক্ষকের বিরুদ্ধে রোববার সকালে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিট প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব পরিচালক (মনি-১) মেহের নিগার এ তদন্ত করেন। জানা যায়, প্রায় দুই বছর ধরে পুরাতন সাতক্ষীরা গ্রামের একরামুল কবীরের কন্যা নাজনীন নাহার, ধুলিহর গ্রামের আলহাজ্ব সোহরাব হোসেন গাজীর পুত্র রফিকুল ইসলাম ও ধুলিহর বাগডাঙ্গী গ্রামের মাওলানা আতিয়ার রহমানের পুত্র এস,এম আব্দুর রহমান কতিপয় শিক্ষক নেতাদের ম্যানেজ করে তাদের ইন্ধনে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ লাভের চেষ্টা করে। কিন্তু বাধ সাধে এলাকার সাধারণ জনগণ। এ নিয়ে চলতে থাকে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র। ইতিপূর্বে ওই ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মুহাঃ ওবায়দুল্যাহিল আসলাম ভূয়া শিক্ষকের তালিকা করে মন্তব্য কলামে অবৈধ বলে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দিয়েছে। এসব ঘটনার জের ধরে যুগ্ম সচিব মেহের নিগার তেতুলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে তদন্ত করেন। তদন্তকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম সচিব মেহের নিগার বলেন, কাগজপত্র পর্যালোচনা, ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক, স্থানীয় জনগণ ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বক্তব্যে ৩ শিক্ষকের নিয়োগের বিষয়ে কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। এসএমসির সভাপতি ও ইউপি সদস্য বিপ্লব মন্ডল জানান, কোন রকম নিয়োগ ছাড়াই কিছু শিক্ষক নেতাদের মাধ্যমে ৩ শিক্ষক চাকুরী স্থায়ী করনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তেতুলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাধনা মল্লিক জানান, অত্র বিদ্যালয়ে আমি ছাড়া আর কোন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক নাই। এছাড়া ডেপুটেশনে সেলিনা আক্তার নামে একজন শিক্ষিকা কর্মরত রয়েছে। বাচ্ছাদের ক্লাস নিতে হিমশিম খেতে হয় বলে এলাকার মানুষের আর্থিক সহায়তায় অস্থায়ীভাবে পাঠদানের জন্য আরো ২ জনকে নেয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনিতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে রোববার ৮৫ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীর মাঝে এ বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ৬০ জন কৃষককে সরিষার বীজ ও সার এবং ২৫ জন কৃষককে ভুট্টা বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে আরও ৪০ জন কৃষককে গমবীজ ও সার এবং ২০ জন কৃষককে মুগডালের বীজ ও সার প্রদান করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

13-11-16
পারুলিয়া প্রতিনিধি: দেবহাটা উপজেলা ভাইস চেয়ারনম্যান মাহবুব আলম খোকনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। খুলনা বিভাগের সফল ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে খুলনা প্রেসক্লাবে উদ্দীপ্ত বাংলাদেশ কর্তৃক এ সন্মাননা প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত থেকে আন্তর্জাতিক মানবধিকার শান্তি সম্মাননা-২০১৬ তুলে দেন বিচারপতি সিকদার মকবুল হক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি ফ্রেন্ডস স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি প্রভাষক জাকির হোসেন ভুট্টর মেজ ভাই নজরুল ইসলাম খোকা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি …রাজিউন)। প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, শনিবার সকাল ৯.৫০ মি. উপজেলা সদরের মৃত রফিজদ্দীন ঢালীর মেজ পুত্র নজরুল ইসলাম খোকা (৩০) হঠাৎ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। সাথে সাথে হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতির প্রাক্কালে খোকা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। মৃত্যুকালে তিনি মাতা, দুই ভাই, ৩ বোন, স্ত্রী, এক কন্যা রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ওই দিন বাদ আছর আশাশুনি মাদারদিঘী চত্বরে নামাজের জানাযা শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দুই জুয়াড়িকে জরিমানা করা হয়েছে। এএসআই আবু রাসেল জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে কামালকাটি গ্রামের মৃতঃ জুম্মান আলী সরদারের পুত্র হাফিজুল ও আঃ রশিদ গাজীর পুত্র আলমগীরকে গ্রেফতার করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুষমা সুলতানা আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে ৪শ’ টাকা জরিমানা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest