সর্বশেষ সংবাদ-
কলারোয়া উপজেলা তাঁতীদলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদনসাতক্ষীরা মর্নিং সান প্রি-ক্যাডেট স্কুলে উৎসবমুখর পরিবেশে ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় অসহায় দু:স্থদের মাঝে জামায়াতের শীতবস্ত্র বিতরণসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা পৌর বিএনপির বিবৃতিসাতক্ষীরায় জালানার গ্রিল কেটে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতিসাতক্ষীরাসাব রেজি: অফিসের বালাম বই ছিড়ে নকল দলিল তৈরির অভিযোগ: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫জনের বিরুদ্ধে মামলাদেবহাটায় নওয়াপাড়া নাংলা বাজার বিএনপির কর্মীসভাসাতক্ষীরায় আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষে পুকুর প্রস্তুতি-জৈব নিরাপত্তা শীর্ষক কর্মশালাকালক্ষেপন না করে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্বভার দেয়ার আহবানসাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা

c-ligপ্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন। সাধারণ সম্পাদক শেখ এহসান হাবিব অয়নের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সরদার মশিয়ার, দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ, কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন, কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গৌতম কুমার লস্কর, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব লিমু, সরকারি কলেজছাত্রলীগের সভাপতি মিঠুন ব্যনার্জী, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রমজান আলী রাতুল, দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান শাওন, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের রাজু, তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওসাফুজ্জামান শাওন, পলিটেনকনিট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পথিক প্রমুখ। সভায় ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনের কার্যক্রম কে আরো গতিশীল করার জন্য জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রতিটি উপজেলা এবং প্রতিটি ইউনিটকে দিক নিদের্শনা মূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এছাড়া আগামীতে ছাত্রলীগকে আরো সুসংঘঠিত করার জন্য জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিস্তারিত আলোচনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_91049920_syedshamsulhaqueপ্রেস বিজ্ঞপ্তি: আজ ৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সাতক্ষীরা জেলা শাখা ও সদর উপজেলা শাখার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় স্বাধীনতা, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পদক প্রাপ্ত সব্যসাচী লেখক প্রয়াত সৈয়দ শামসুল হকের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত স্মরণ সভায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বীর জনতাকে উপস্থিত থাকার জন্য আহবান জানিয়েছেন নির্মূল কমিটির সদর উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ হারুন উর রশিদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

4-_picture_and_text_content_for_image_sliding_7_এ. এস. এম মাকছুদ খান: সনাতন ধর্ম্বাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা ৭ দিনের ছুটির কবলে পড়ছে ভোমরাস্থল বন্দর। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে বন্ধ হচ্ছে এ বন্দরের সকল আমদানি রপ্তানী কার্যক্রম।
ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট(ই) কার্গো ওয়েলফেয়ার এ্যসোসিয়েশনের সম্পাদক পরিমল রায় স্বাক্ষরিত এক পত্রে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আগামী ৮ অক্টোবর শনিবার থেকে ১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঘোজাডাঙ্গা বন্দর দিয়ে সকল আমদানি-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন। সেকারণে ভোমরাস্থল বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ টানা ৭ দিন বন্ধ থাকবে। এবিষয়ে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে ৮ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বন্দরের সকল আমদানি রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ১৪ অক্টোবর শুক্রবার হওয়ার কারণে আগামী ১৫ অক্টোবর শনিবার থেকে যথারীতি বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

3দেবহাটা প্রতিনিধি: “আমিও আছি, লড়ছি আমরা জীবনের জন্য” এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে দেবহাটায় বিশ্ব মস্তিস্ক প্রতিবন্ধীব্যাক্তি দিবস উৎযাপিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১ টায় বেসরকারি প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা ডিআরআরএ’র আয়োজনে লিলিয়ানা ফন্ডস্ ও সিবিএম’র অর্থায়নে বিভিন্ন এলাকার সিপি ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশ গ্রহণে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে হাদিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাটখোলা মোড়সহ প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ডিআরআরএ’র কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে দিবসের তাৎপর্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ডিআরআরএ’র ডিপুটি ম্যানেজার জিএম আনজির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের ফিল্ড সুপারভাইজার রবিউল হক। বক্তব্য রাখেন দেবহাটা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, এলডিডিপি প্রকল্পের প্রকল্প ম্যানেজার আনোয়ারুল ইসলাম, সহকারী প্রকল্প সমন্বয়কারী দেবাশীষ ঘোষ, প্রতিবন্ধী শিশু লিপিকা মন্ডল, প্রতিবন্ধী শিশুর অভিভাবক মারুফা সুলতানা প্রমূখ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিআরআরএ’র কমিউনিটি মবিলাইজার রামপ্রসাদ মিস্ত্রি, করবী স্বর্ণকার, আছাদুজ্জামান, সুজাতা মন্ডল, আব্দুল হামিদ, প্রতাব কুমার, মুরর্শিদা পারভীন, মনোয়ারা খাতুন, রফিকুল ইসলাম, আছাদুল হকসহ সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ। এসময় প্রতিবন্ধী ও তাদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বক্তব্যে বলা হয়, সন্তান প্রসাবে অদক্ষ ধাত্রী, জন্মগত সমস্যা, সঠিক সময়ে সুচিকিৎসা এবং অসহায় গরিব হওয়ায় প্রতিবন্ধীতার প্রধান কারণ। তাদের এই সমস্যার জন্য গাড়িতে বা যানবহনে তাদের নিতে চাই না, পরিবার ও সমাজে তাদের ভিন্ন চোখে দেখে। তাই সমাজে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার আবেদন জানান। সেই সাথে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে আরো বেশি সেবা প্রদানের দাবি জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc01983-copyনিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ সুষ্ঠভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তুতি সভায় জানান হয় আগামী ১৬ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হবে। ৩ দিন ব্যাপি বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে ১৬, ১৭, ১৮ এই তিন দিন ব্যাপি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রশাসক মুনসুর আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অরুন কুমার মন্ডল, সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফ হোসেন, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আতিকুল হক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনিরা পারভীন, জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বিবি খাদিজা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আবুবক্কর সিদ্দীক, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, রেড ক্রিসেন্টের জেলা ইউনিট অফিসার আতিকুল ইসলাম, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির খান বাপ্পি, ক্রীড়া শিক্ষক ভদ্র কান্ত, শংকর কুমারসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কমিটির সদস্যবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ভারতীয় হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি শ্রী রমাকান্ত গুপ্ত সাতক্ষীরার বিভিন্ন পূজা ম-প পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা দুর্গোৎসব সাড়ম্বরে পালনের সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে। তিনি পূজা উদযাপন কারীদের সাথে কথাবার্তা বলেন। তারা তাকে দুর্গাপূজা এবং এতে সরকারের সব ধরনের সহায়তার কথাও তুলে ধরেন। ফার্স্ট সেক্রেটারি বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের মুন্সিপাড়ায় শ্রী শ্রী শ্যামসুন্দর মন্দির পরিদর্শন করেন। তিনি মন্দিরে ভক্তি প্রনাম জানান। পরে তিনি পুরাতন সাতক্ষীরার কালিবাড়ি  মায়ের মন্দিরে দুর্গাপূজার  আয়োজন প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় তার সাথে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন ও পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করে দুর্গোৎসব উদযাপনে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। তাকে জানানো হয়, সাতক্ষীরায় যথাযথ মর্যাদায় এবং মহাধুমধামে দুর্গাপূজার সব আয়োজন শেষ হয়েছে। এবার  জেলাব্যাপী ৫৬৮ টি ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে তাকে অবহিত করা হয়। এতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রিয়। তারা নিজ নিজ ধর্ম যথাযথভাবে পালন করে সাম্প্রদায়িক  সম্প্রীতি রক্ষা করে চলেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরের চাল নিয়ে অনিয়ম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার জাতীয় সংসদে দরিদ্রদের মাঝে চাল বিতরণে ঠিক মতো তালিকা হচ্ছে না বলে সংসদ সদস্য মীর শওকত আলী বাদশা অভিযোগ করলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, হতদরিদ্রদের চাল বিতরণের যে তালিকা করা হচ্ছে, বিষয়টি সাংসদরা পরীক্ষা করে দেখবেন। তারপরেও কোন অনিয়ম করলে, তার ডিলারশীপ বাতিল হবে। কোনো জনপ্রতিনিধি অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিরতণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রযুক্তি খাতে সরকারের নেয়া কর্মসূচির বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি চালু হয়েছে জীবনের সবক্ষেত্রেই।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি খাত থেকে বছরে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। এজন্য ২০ লাখ তথ্য প্রযুক্তি পেশাজীবী সৃষ্টিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, তথ্য প্রযুক্তিখাতে উন্নয়নের মাধ্যমে সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি-অনিয়ম দূর হওয়ার পাশাপাশি জীবনযাত্রা আরো সহজ হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

fn54a1zkdk8dভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে রামের লংকা জয়ের সাথে তুলনা করে বলেছেন, ‘আমরা কোনও দেশকে অধিগ্রহণ করতে চাই না। ভগবান রাম লঙ্কা জয় করে তা বিভীষণকে দিয়ে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও আমরা তাই করেছি। আমরা কারও ক্ষতি করতে চাই না। তবে কেউ আমাদের ক্ষতি করতে চাইলে তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।’
পাকিস্তানের উদ্দেশে ভারতের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টানেন পারিকর। ভারতের উত্তরাখন্ড প্রদেশের পৌরি গাঢ়ওয়াল এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে শনিবার (২/৯/২০১৬) প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারিকার এমন মন্তব্য করেন। ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে তার এই বক্তব্যকে উদ্ধৃত করা হয়।
রামায়ণের কাহিনী অনুসারে লংকারাজ রাবণ যখন রামের পত্নী সীতাকে অপহরণ করেন, তখন রাম ও লক্ষণ বানর সেনার সহায়তায় (বানর বলতে গাছের বানর নয় , এটি ছিলো একটি টোটেম বা গোত্রীয় প্রতীক) সীতাকে উদ্ধার করেন এক ভয়াবহ যুদ্ধের মাধ্যমে। বিভীষণ রাবণের ভাই হওয়া সত্ত্বেও সেই যুদ্ধে ভ্রাতার অন্যায়ের প্রতিবাদ স্বরূপ রামের পক্ষাবলম্বন করেন। যদিও এই ব্যাপারে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। অনেক ঐতিহাসিকের মতেই, বিভীষণের ভূমিকা ছিলো স্রেফ মীরজাফরের মতো। ন্যায় অন্যায়ের বিবেকবোধ থেকে নয়, বরং রাজ সিংহাসনের লোভেই বিভীষণ এই কাজটি করেছিলেন। এই বিভীষণের চক্রান্তেই লক্ষণের হাতে রাবণের বীরপুত্র ইন্দ্রজিত নিহত হন। এই কারণে ইতিহাসে মীরজাফরের মতোই বিভীষণ নামটিও এক দেশদ্রোহী গাদ্দারের প্রতীক রূপেই ব্যবহৃত হয় অনেকের কাছেই।
মিঃ পারিকার এর কথা অনুযায়ী, লংকা যুদ্ধের সাথে একাত্তরের তুলনা তাই মেলাতে পারলাম না। তার কথার সূত্র ধরেই যদি বলি, তাহলে বিভীষণ ছিলো বীর বাঙালীরাই। কারণ যুদ্ধ শেষে তারাই তাদের ক্ষমতা ফিরে পায়। কিন্তু বাঙালীরা পশ্চিম পাকিস্তানিদের কোন কিছু হরণ করে আনেনি। যেমনটি লংকারাজ করেছিল সীতাকে অপহরণ করে। বরং পশ্চিমা হানাদাররাই উড়ে এসে জুড়ে বসেছিল বাংলার মাটিতে। দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘটনা। বিভীষণ করেছিল রাজ্যের আর সিংহাসনের লোভে, আর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালীদের সংগ্রাম ছিলো ২৪ বছরের নির্যাতন আর অবিচারের বিরুদ্ধে মানুষের মুক্তির সংগ্রামের অমর কাব্যগাথা।
এই জায়গায় বিভীষণের সাথে বাঙ্গালীদের তুলনা নেহাতই অনভিপ্রেত ও দুঃখজনকও বটে। এখানে যদি ভারতীয় বাহিনীর তুলনা দিতেই হয়, তবে তা দেয়া যেতে পারে একমাত্র সুগ্রীবের বানরসেনার সাথেই। কেননা রামায়ণের কাহিনী অনুযায়ী রাম ও লক্ষণকে আশ্রয় প্রদান ও সীতা উদ্ধারের লড়াইয়ে পূর্ণ সহযোগিতা দিয়েছিলো এই কিস্কিন্ধার অধিবাসীরা। ঠিক যেমনটি ভারত করেছিলো একাত্তরে। এদেশের মুক্তিসেনাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ প্রদান ও ১ কোটি শরণার্থীকে ৯ মাস আশ্রয় প্রদানের ক্ষেত্রে ভারতের অবদানও তাই ছিলো।
কিন্তু সেখানেও আছে আরেক ঝামেলা। ভারতের সাথে পাকিস্তানের শত্রুতা সেই জন্মলগ্ন থেকেই। সেই কারণে “শত্রুর শত্রু বন্ধু” বিবেচনায় ভারত বাড়িয়ে দিয়েছিলো সাহায্যের হাত। কিন্তু রামায়ণের কোথাও এমন কোন তথ্য সন্নিবেশিত নেই যে লংকা ও কিস্কিন্ধার মধ্যে কোনরূপ পূর্বশত্রুতার রেশমাত্র ছিলো। বরংচ সুগ্রীবের অগ্রজ ভ্রাতা বালী ছিলেন রাবণের পরম মিত্র। বালীকে হত্যা করে রাম সুগ্রীবকে সিংহাসনে বসানোর প্রতিদান দিতেই সুগ্রীব তার বানরবাহিনীকে নিয়ে রামের সাহায্যার্থে লংকায় আক্রমণ চালিয়েছিলেন। কাজেই এদিকটাও মেলেনা।
রামায়ণের কাহিনীর সাথে বরং বেশ কিছুটা মিল পাওয়া যায় হোমারের ইলিয়াডের। রামায়ণের যুদ্ধ হয়েছিলো সীতা হরণকে কেন্দ্র করে, আর ইলিয়াডের যুদ্ধ হয়েছিলো হেলেন অফ ট্রয়কে নিয়ে। যদিও সীতার ঘটনাটি ছিলো অপহরণ, আর হেলেনেরটি ছিলো স্বেচ্ছাগমন। সীতাকে উদ্ধার করতে ছুটে এসেছিলেন তার স্বামী রাজা রাম, আর অন্যদিকে হেলেনকে উদ্ধার করতে ছুটে এসেছিলেন তার স্বামী রাজা মেনিউলাস। রামায়ণে লঙ্কাপুরী ধ্বংস হওয়ার পরে সীতা ফিরে গিয়েছিলেন তার স্বামীর কাছে, অন্যদিকে ট্রয় ধ্বংসের পরে হেলেন ফিরে যান মেনিউলাসের কাছে। কি অসাধারণ মিল বাল্মীকি আর হোমারের এই দুই মহাকাব্যের মাঝে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানীদেরechadohkp6jp মতো ভারতীয়রাও “পাক-ভারত যুদ্ধ” বলেই আখ্যা দিতে বেশী পছন্দ করে থাকেন। ভারতীয়দের এটা বলার কারণ যুদ্ধজয়ের কৃতিত্ব নিজেরাই একতরফাভাবে দাবি করা। আর পাকিস্তানীদের এটা দাবির কারণ তারা বাঙালীদের যে অস্পৃশ্য শুদ্র বলে বিবেচনা করতো, তাদের ভাষায় সেই “ইনফেরিয়র”দের হাতে পরাজয়ের চেয়ে শক্তিধর প্রতিপক্ষ ভারতের কাছে পরাজয়ের ইতিহাসটাই অনেকখানি সম্মানজনক বলে বিবেচনা করে তারা। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের বক্তব্যে তারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল মাত্র।
এদেশের মুক্তি সংগ্রামে ভারতের অকুন্ঠ সহোযগিতার কথা অবশ্যই স্মরণ করি কৃতজ্ঞচিত্তে। সেই সাথে এটাও তাদের উপলব্ধি করা উচিৎ যে এদেশের মুক্তিযুদ্ধ কারো উপহার প্রদানের কাহিনীকাব্য নয়। এদেশের মুক্তিযুদ্ধ ৩০ লক্ষ বীর শহীদের আত্মবলিদানের ইতিহাস, এদেশের মুক্তিযুদ্ধ ২ লক্ষ বীরাঙ্গনার আর্তনাদের ইতিহাস, ক্র্যাক প্লাটুনের রুমি বদি আজাদদের ইতিহাস, চট্টগ্রামের কিংবদন্তী ক্যাপ্টেন করিমের ইতিহাস, ভাটির বীর জগতজ্যোতির দাস পার্টির ইতিহাস, কাদেরীয়া বাহিনী, হেমায়েত বাহিনীর ইতিহাস। বড় নির্মম, বড় গর্বের ইতিহাস।
“আমি দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে পাওয়া নয়, আমি দাম দিছি প্রাণ লক্ষ কোটি, জানা আছে জগতময়।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest