সর্বশেষ সংবাদ-
কলারোয়া উপজেলা তাঁতীদলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদনসাতক্ষীরা মর্নিং সান প্রি-ক্যাডেট স্কুলে উৎসবমুখর পরিবেশে ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় অসহায় দু:স্থদের মাঝে জামায়াতের শীতবস্ত্র বিতরণসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা পৌর বিএনপির বিবৃতিসাতক্ষীরায় জালানার গ্রিল কেটে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতিসাতক্ষীরাসাব রেজি: অফিসের বালাম বই ছিড়ে নকল দলিল তৈরির অভিযোগ: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫জনের বিরুদ্ধে মামলাদেবহাটায় নওয়াপাড়া নাংলা বাজার বিএনপির কর্মীসভাসাতক্ষীরায় আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষে পুকুর প্রস্তুতি-জৈব নিরাপত্তা শীর্ষক কর্মশালাকালক্ষেপন না করে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্বভার দেয়ার আহবানসাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা

14569063_10209224949328545_1517378333_nশেখ তানজির আহমেদ: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা ‘সাতক্ষীরা’। পূর্বে খুলনা, উত্তরে যশোর, পশ্চিমে ভারতের ২৪ পরগণা ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর উপকূলে সুন্দরবনের কোলে অবস্থিত এ জেলাটিতে রয়েছে পর্যটনের অফুরন্ত সম্ভাবনা। বিদ্যমান সংকট দূর করে পর্যটন বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে দেশের পর্যটন শিল্পে সাতক্ষীরা উঠে আসতে পারে শীর্ষে।
আর ঠিক এ লক্ষ্যে সম্প্রতি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। পর্যটন শিল্পের ব্র্যান্ডিং হিসেবে দেশে-বিদেশে পরিচিত করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’ নামে ইতিহাস-ঐতিহ্য ও দর্শনীয় স্থানের একটি সচিত্র সংকলন প্রকাশ করেছে।
সম্প্রতি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’র মোড়ক উন্মোচন করেন।
জেলার নামকরণের ইতিহাস থেকে শুরু করে ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’য় আরও রয়েছে, জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহনকারী ৭৭টি ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং প্রসিদ্ধ পণ্য ও সুনির্দিষ্ট ১১১টি দর্শনীয় স্থানের বর্ণনা। রয়েছে উপজেলাওয়ারি দর্শনীয় স্থানের ছবিও।
‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’য় যেমন স্থান পেয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের ব্যাখ্যা, তেমনি ছোট হলেও বাদ পড়েনি শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন নির্মিত বাচ্চাদের খেলার পার্ক ‘শিশু স্বর্গ’।
মাঝে রয়েছে সুন্দরবনের কোলে মুন্সীগঞ্জে নির্মিত আকাশলীনা ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার, মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, কলাগাছি ইকো-পর্যটন কেন্দ্র, দোবেকি ইকো-পর্যটন কেন্দ্র, কারাম মুরা ম্যানগ্রোভ ভিলেজ, কারাম মুরা পাখি পর্যটন কেন্দ্র, উরালমন আদিবাসী গ্রাম ও নৌকা ভ্রমণ সাইট, শ্যামনগর এগ্রো টেকনোলজি পার্কসহ অন্তত দেড় শতাধিক দর্শনীয় স্থানের বর্ণনা।
আবার জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে বাংলার বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম রাজা প্রতাপাদিত্যের যশোহর রাজ্যের রাজধানী সাতক্ষীরার  শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাটের মাটির গড় থেকে শুরু করে জাহাজঘাটা নৌ দুর্গ, সাতক্ষীরার ব্র্যান্ড চিংড়ি থেকে আম- সব কিছুই গুরুত্বের সাথে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’য়।
‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’র প্রকাশনা নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, সাতক্ষীরা জেলাকে পর্যটন শিল্পের ব্র্যান্ডিং হিসেবে দেশে-বিদেশে পরিচিত করার লক্ষ্যে এ জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও দর্শনীয় স্থানের সচিত্র সংকলন ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’ প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এই ক্ষুদ্র প্রয়াস পর্যটন শিল্প বিকাশে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাতক্ষীরায় পর্যটন শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে কখনই উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। রাজধানী ঢাকা থেকে সরাসরি সড়কপথে শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জে নেমে বাসস্ট্যান্ড থেকেই যে সুন্দরবন দেখা যায়- এই বিষয়টিও প্রচারের অভাবে কেউ জানে না। এছাড়া রাস্তা-ঘাট, আবাসন ব্যবস্থাসহ পর্যটন খাতে বিদ্যমান সংকট দূরীকরণে কেউ কখনই ভাবেনি।
তবে, দেরিতে হলেও পর্যটকদের কাছে সাতক্ষীরাকে তুলে ধরতে বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরার প্রকাশনা বিদ্যমান সংকট দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

electifydeathjpg_2015-09-01_10-18-50-1এম বেলাল হোসাইন: ঠিকাদার ও পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে এক শ্রমিকের মৃত্যু ঘটেছে। সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের সাতানীতে বিদ্যুৎ এর সংযোগ লাইন টানতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঐ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঠিকাদার ও পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম থাকলে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করার পূর্বে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে ঠিকাদার কিছুই জানায়নি বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। অন্যদিকে কোথায় কখন বিদ্যু লাইনের কাজ হবে তা পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের মনিটরিং করার কথা থাকলেও তার তা করেনি। যে কারণে ঠিকাদার ইচ্ছেখুশি কাজ করতে গিয়ে একজন শ্রমিকের অকাল মৃত্যু হলো।
বুধবার বিকাল ৪টায় এঘটনা ঘটে। মৃত শ্রমিকের নাম জহিরুল ইসলাম(২৬)। তার বাড়ি তালা উপজেলার কলাপোতা গ্রামে। সূত্র জানায়, বাঁশদহার সাতানী এলাকায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ লাইন টানতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে পাটকেলঘাটা বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন সাতানী এলাকায় বিদ্যুতের লাইন টানতে যায়। এসময় জহিরুল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তার সাথে থাকা অন্যরা তাকে উদ্ধারকরে দ্রুত সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এবিষয়ে বিষয়ে পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম নাজমুল হক এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করে বলেন, “ঠিকাদার আমাদের না জানিয়ে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করতে গিয়েছিল, যে কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।” কিন্তু ঠিকাদারের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি পরিচয় জানান নি। বাস্তবতা হচ্ছে তিনি কোন এক অদৃশ্য কারণে ঠিকাদারের পরিচয় গোপন করছেন।
অন্যদিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন মোল্যা মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর তিনি পেয়েছেন। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই মৃত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়া হয় এবং সেখান থেকে তার গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসছিল। পরে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমাকে ঘটনাটি বলেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

heroin-drug_11033আমির হোসেন খান চৌধুরী: বাংলাদেশের প্রাণ কোম্পানির পণ্য ভারতে রপ্তানি করে ফেরার পথে কাভার্ড ভ্যানে করে মদ চোরাচালান করতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফ’র ধাওয়ায় পালিয়ে যায় কাভার্ড ভ্যঅনের চালক। মঙ্গলবার রাত প্রায় ৯.৩০ টার দিকে ভারত থেকে আসার সময় ওই কাভার্ড ভ্যানটিতে ভারতীয় দামি ৫০ বোতল মদ পায় ভ্যানটিকে চ্যালেঞ্জ করা বিএসএফ সদস্যরা। এ সময় প্রাণ কোম্পানির রপ্তানিপণ্য পরিবহনকারী কাভার্ড ভ্যানটির চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। এ সময় ভ্যানটি আটক করে বিএসএফ।
বিজিবি সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার দুপুর ১:৩০টা থেকে ২:৩০টা পর্যন্ত স্থায়ী ঘোজাডাঙা বিএসএফ’র এসি শিবদত্ত ও ভোমরা কোম্পানি কমান্ডার আবুল কাশেম এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে কাভার্ড ভ্যানটি বিজিবি’র নিকট ফেরত দেয় বিএসফ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc01992-copy-large
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও মানবিক সাড়াদান কার্যক্রম সম্পর্কে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে ও ক্রিস্ট্রিয়ান এইড ও সুশীলনের সহযোগিতায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ.এফ.এম এহতেশামূল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, সুশীলনের ডেপুটি ডাইরেক্টর রফিকুল হক প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনিরা পারভীন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফ হোসেন, জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বিবি খাদিজা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আবুবক্কর সিদ্দীক, জেলা তথ্য অফিসার সিরাজুল হক মল্লিক, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, রেড ক্রিসেন্টের জেলা ইউনিট অফিসার আতিকুল ইসলাম, সুশীলনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার জি.এম মনিরুজ্জামানসহ জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ। কর্মশালায় আগামী ১৩ অক্টোবর দূর্যোগ ও প্রশমন দিবস উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনাসভা ও মহড়া অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগরে কাশিমাড়ীর গোদাড়া গ্রামের গাজী ফিস নামীয় মৎস্য ঘের থেকে ২ জন মাছ চোর আটক করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত ৪ অক্টোবর গভীর রাত্রে গোদাড়া গ্রামের জলিল মোল্যার পুত্র ইউনুচ মোল্যা (৩৫) ও আবুল কাশেম গাজীর পুত্র সায়েদ আলী (৪০) কে মাছ চুরি করা অবস্থায় গাজী ফিস ঘেরের কর্মচারী আফসার, মোস্তফা সহ অন্যান্য ব্যক্তিরা আটক করে স্থানীয় ইউ,পি মেম্বরের নিকট নিয়ে আসে। স্থানীয় ইউ,পি সদস্য জাহাঙ্গীর কবির(লাকী) জানান, চোরদের স্বীকারোক্তিতে  গোদাড়া গ্রামের আকবর মোল্যার পুত্র আলমগীর হোসেনের বাড়ী হতে দেশীয় রাম দা, হাসু, ছুরি,লোহার রড,মাছ ধরা জাল সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম  উদ্ধার করে কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়। পরে তাদেরকে শ্যামনগর থানায় প্রেরণ করা হলে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc01983-copy
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬  সুষ্ঠভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তুতি সভায় জানান হয় আগামী ১৬ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হবে। ৩ দিন ব্যাপি  বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬  সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে ১৬, ১৭, ১৮ এই তিন দিন ব্যাপি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রশাসক মুনসুর আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অরুন কুমার মন্ডল, সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফ হোসেন, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আতিকুল হক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনিরা পারভীন, জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বিবি খাদিজা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আবুবক্কর সিদ্দীক,  সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, রেড ক্রিসেন্টের জেলা ইউনিট অফিসার আতিকুল ইসলাম, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির খান বাপ্পি, ক্রীড়া শিক্ষক ভদ্র কান্ত, শংকর কুমারসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কমিটির সদস্যবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগরে সর্বহারা দলের প্রধান পরিচয়ে মোবাইল ফোনে টাকা চেয়ে একাধিক ব্যক্তিকে হুমকি দেওয়া। গতকাল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২- ৫৫ মিনিট পর্যন্ত সময়ে একই মোবাইল নং থেকে একাধিক ব্যক্তির কাছে মোটা অংকের টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। যাদেরকে টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয় তাদের মাধ্যমে জানাযায়, নিজেকে উত্তর বঙ্গের সর্বহারা দলের প্রধান এবং নাসির নাম পরিচয়ে ০১৬১৭-৭৭৩৩৪৩ নং মোবাইল ফোন থেকে সকাল ১১-১০ মিনিটে প্রথমে ফোন আসে উপজেলা সদরের বাদঘাটা গ্রামে স্থায়ী ভাবে বসবাস কারী বিশিষ্ট চিংড়ি চাষী শেখ আব্দুস ছবুর বাবলুর কাছে। তাকে বলা হয় আমাদের শতাধিক সদস্য কারাগারে আছে, তাদের পিছনে অনেক টাকা পয়সা খরচ হচ্ছে। এই মুহুর্তে ২২ লক্ষ টাকা দিতে হবে, টাকা না দিলে পরিবারের সদস্যদের উঠিয়ে নেওয়া হবে এবং জীবন নাশের ও হুমকি দেওয়া হয়। এই দাবির টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠানোর দাবি জানানো হয়। বিকাশ নং টি মোবাইলএর মাধ্যমে জানানো হয়, নম্বর টি ছিল ০১৯৩৩-২৪১৯৭৪ ঠিক একই ভাবে সকাল ১১-১৫ মিনিটে একই মোবাইল নং থেকে উপজেলা সদরের মৃত হাজী সোহরাব হেসেনের পুত্র জিএম আব্দুল কাদেরের কাছে ও ২২ লক্ষ টাকা এবং নকিপুর গ্রামের মৃত শিবপদ চক্রবর্তীর পুত্র শ্রী দুর্গাপদ চক্রবর্তী এর কাছেও একই অংকের টাকা দাবি করা হয়। এছাড়াও ইসমাইল পুর গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আব্দুল জলিলের পুত্র ঠিকাদার আব্দুর রশিদের কাছে ও ৫ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে সকলের জন্য একই ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়। এঘটনায় গতকাল শ্যামনগর থানায় ১৮৫ ও ১৮৬ নং সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

জি.এম আবুল হোসাইন : সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারে সরকারি জায়গায় নির্মিত হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন কাঁচা বাজারে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন পাকা দোকান ঘর (ইমারত) তৈরি করছেন পাথরঘাটা গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুর রউফের দুই ছেলে মো. সেলিম রেজা ও মাসুম রেজা। সরেজমিনে জানা যায় তামান্না ফিসের স্বত্ত্বাধিকারি মো. সেলিম রেজা ও তার ভাই ঝাউডাঙ্গা মৌজার ১নং খতিয়ানভূক্ত ১৩৪/৭২ নং দাগে ৬৮৪ বর্গ মিটার জমির উপর অবৈধভাবে পাকা দোকান ঘর (ইমারত) তৈরি করছেন। ঝাউডাঙ্গা বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. ইলিয়াস বলেন, একে তো আমরা অধিকাংশই কাঁচাবাজারের নির্ধারিত ফুটপাতে বসি। এভাবে পাকা দোকান বাড়তে থাকলে আমাদের চট পেতে বসার জায়গাও থাকবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের দুঃখের শেষ নেই। কখনো কালী মন্দিরের চারপাশে, কখনো মাছ বাজারের পাশে আমরা দোকান পেতে বসি। যদি এভাবে কাঁচাবাজার সংকীর্ণ হতে থাকে আর মন্দির কর্তৃপক্ষ আমাদের বসার জায়গা না দেয়, তাহলে অধিকাংশ কাঁচামাল ব্যবসায়ীর ধান হাটের ব্যবসায়ীদের মত মেইন রোডের পাশে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না। এবিষয়ে ঝাউডাঙ্গা বাজার কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল হাই বলেন, আমি অসুস্থ থাকার কারণে বিষয়টি এখনো জানি না। তবে কাঁচাবাজারের ইটের সোলিং তুলে সেখানে পাকা দোকান নির্মাণ করা অবৈধ। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তরা অবৈধভাবে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন। তাদেরকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে এবং মালামাল অপসারণ করতে মঙ্গলবারে নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এসবের তোয়াক্কা না করে তারা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। ৪নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ও বাজারের ইজারাদার শেখ আব্দুল আলীম বলেন, অবৈধভাবে অনেকেই এভাবে মাছের আড়ৎ নির্মাণের ফলে কাঁচাবাজার সংকুচিত হয়ে আসছে। ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মো. রমজান আলী বলেন, যেখানে দোকান হচ্ছে সেটা তার জায়গা। তবে অবৈধভাবে ইমারাত নির্মাণ হচ্ছে কি না আমার জানা নেই। তামান্না ফিসের স্বত্ত্বাধিকারি মো. সেলিম রেজা বলেন, আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই আমার জায়গায় নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। এছাড়া বিষয়টি স্থানীয় আ’লীগ নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদ, বাজার কমিটি ও ভূমি অফিসকে অবহিত করেছি। এছাড়া অবৈধ দোকানঘর নির্মাণকারী তার স্থাপনা টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়। এভাবে সরকারি জায়গার উপর নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest