সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা পুষ্টি কমিটির সভাআত্মসমর্পনকৃত বনদস্যুদের পুনরায় সুন্দরবনে তৎপর হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় মাত্র ১২০ টাকায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশে চাকরি পেল ৫৮ তরুণ-তরুণীসাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় ৮৯ টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে ফেরত দিল পুলিশআশাশুনিতে মাটি চাপা পড়ে শ্রমিকের মৃত্যুঅবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে যেকোনো `চ্যালেঞ্জ’ নিতে প্রস্তুত নতুন সিইসিসাতক্ষীরা জেলা স্কাউটস’র কমিটি গঠন জেলা প্রশাসক সভাপতি : সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনআশাশুনির বুধহাটা খেয়াঘাটে বেতনা নদীতে সাঁকো নির্মানকালীগঞ্জে কৃষিজমিতে লবণ পানি ঢুকিয়ে চিংড়ি চাষ বন্ধে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময়

full_206817046_1474525049বিশেষ ডেস্ক: হাতে দু’বছরের বেশি সময় থাকলেও ইতিমধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির তিন মাস আগে যে কোনো দিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মোটামুটি হোমওয়ার্ক করে ফেলেছে।
গত নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি যে পহাড়সম ভুল করেছে, তা তারা এখন মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছে। তাদের ‘আগাম নির্বাচনে’র দাবি যে হালে পানি পাবে না, তাও তারা জানে। তাই আগামী নির্বাচন, তা যে কোনো ব্যবস্থা, যে কারও অধীনে হোক না, বিএনপি অংশ নেবে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের কাছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি প্রাথমিক তালিকাও রয়েছে। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব ও থিঙ্কট্যাঙ্কও অনুরূপ তালিকা তৈরি করেছে।
সম্মেলনের পর আগাম প্রস্তুতি: জাতীয় সম্মেলনের পর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করবে আওয়ামী লীগ। দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায়ে জরিপ কার্যক্রম চালিয়ে বর্তমান এমপিদের জনপ্রিয়তা এবং সম্ভাব্য প্রার্থীদের অবস্থান যাচাই-বাছাইয়ের কাজ গুছিয়ে রেখেছেন। আগামী ২২-২৩ অক্টোবর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলন। এদিকে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে বলেছেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রীর যে কোনো সময় সংসদ ভেঙে দেওয়ার অধিকার রয়েছে। এতে রাষ্ট্রপতির অনুমতি নেওয়ার দরকার নেই। আদালতের সমস্যাও নেই। তাই প্রধানমন্ত্রীর ওপরই নির্ভর করে, কবে সংসদ নির্বাচন হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জানিয়েছেন, জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিম-লীর আরেক সদস্য ড. নূহ-উল-আলম লেনিন বলেছেন, বর্তমানে জাতীয় সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। সম্মেলনের পর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হবে।
গত ২৫ জুলাই আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী। তিনি ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারির তিন মাস আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দিকে ইঙ্গিত করে বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা- প্রচারের পাশাপাশি জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য দলীয় এমপিদের নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও ভেতরে ভেতরে আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর আওয়ামী লীগ দলীয় এমপিরাও নড়েচড়ে বসেছেন। তারা ঈদুল আজহার ছুটিতে নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে জনসম্পৃক্ততা বাড়িয়েছেন। সেই সঙ্গে সম্ভাব্য প্রার্থীরাও তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
তবে নেতারা বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে দলীয় এমপিদের পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় থাকলেও দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মনোযোগ এখন জাতীয় সম্মেলনের দিকে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তারা এখন এক ধরনের উৎসবের আমেজে রয়েছেন। জাতীয় সম্মেলনের পরই তারা আগামী নির্বাচনের বিষয়ে মনোযোগী হবেন।
কয়েকজন শীর্ষ নেতার দৃষ্টিতে, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত বেশিরভাগ প্রার্থীর বিজয়ের মধ্য দিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় অবস্থান বেশ সংহত হয়েছে। নতুন নেতাও তৈরি হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় জেলা পরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দলের সাংগঠনিক অবস্থান আরও মজবুত হবে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি।
তবে দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-বিবাদের চিত্র স্পষ্ট হওয়ায় কিছুটা দুশ্চিন্তাও ভর করেছে। বেশিরভাগ জেলায় সম্মেলনের কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও অনেক জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনও অনুমোদন পায়নি। উপজেলা পর্যায়েও এমন সংকট রয়েছে। স্থানীয় এমপিদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই প্রস্তাবিত কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে। আর ওই প্রস্তাবিত কমিটিতে স্থান না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেক নেতাকর্মী। এ ছাড়াও নানা কারণে দলীয় অনেক এমপির সঙ্গে নেতাকর্মীদের দূরত্ব বেড়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন জায়গায় কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে। দ্রুত এর সমাধান করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই নির্দেশের পর দলের এমপিরা আরও সজাগ হয়েছেন। জনসম্পৃক্ততা আরও বাড়িয়েছেন। প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করেছেন ড. নূহ-উল-আলম লেনিন। তিনি বলেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বেশি ব্যস্ত না থেকে আরও জনমুখী হওয়ার জন্যই নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
অর্ধশতাধিক আসনে প্রার্থী বদলের সম্ভাবনা: কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা জানিয়েছেন, বর্তমান এমপিদের মধ্যে অনেকেই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের দৌড়ে ছিটকে পড়তে পারেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই গত নির্বাচনে প্রথম অংশ নিয়েছেন। তাদের অনেকেরই জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এমপিদের সজাগও করে দেওয়া হয়েছে।
তাদের মধ্যে চট্টগ্রামে রয়েছেন পাঁচজন। চারজন করে রয়েছেন সিরাজগঞ্জ ও নোয়াখালীতে। যশোর, ময়মনসিংহ এবং নেত্রকোনায় রয়েছেন তিনজন করে। দু’জন করে রয়েছেন নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, বরিশাল, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং কক্সবাজারে।
এ ছাড়াও দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, মেহেরপুর, মাগুরা, খুলনা, ভোলা, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, জয়পুরহাট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চাঁদপুর, ফেনী, রংপুর ও লক্ষ্মীপুরে একজন করে রয়েছেন। এই এমপিদের কেউ কেউ অপকর্মের কারণে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের দূরত্বও তৈরি হয়েছে।
এমন এমপির সংখ্যা অর্ধশতাধিক। তাদের দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের নির্বাচনী কর্মকা-ে সম্পৃক্ত কয়েকজন নেতা। এসব এমপির নির্বাচনী এলাকায় বিকল্প প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। তবে ১৭ স্বতন্ত্র এমপির মধ্যে অনেকেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন। এই স্বতন্ত্র এমপিরা দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে গত সংসদ নির্বাচনে লড়েছিলেন।
বিএনপিতেও তৈরি হচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা: দল গোছানোর পাশাপাশি আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। ভোটের লড়াইয়ে লিপ্ত হতে সাংগঠনিকভাবে বিপর্যস্ত দলকে তৃণমূল থেকে পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে গোপনে তিনশ’ সংসদীয় আসনে আগামী নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী তালিকা ধরেই কাজ করছেন দায়িত্বশীল নেতারা। এলাকায় জনপ্রিয়তা, দলের জন্য অবদান, দুঃসময়ে মাঠে থাকা ও মামলা মোকদ্দমার সংখ্যাসহ বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের। পাশাপাশি এ ব্যাপারে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে শিগগির মাঠ জরিপের কাজও শুরু হবে। মৃত্যুবরণ, অসুস্থতা, নিষ্ক্রিয়তাসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আগামী নির্বাচনে শতাধিক আসনে নতুন মুখকে মনোনয়ন দেওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। এসব আসনে জনপ্রিয়, পরীক্ষিত, ত্যাগী ও যোগ্য তরুণ নেতা ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা ভাবছে দলটি।
আগামীতে ক্ষমতায় এলে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সে ক্ষেত্রে উচ্চকক্ষে দলের সমর্থক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তি, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দকে সদস্য করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না থাকায় দেশে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্রুত একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে বিজয়ী দলের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হলে সংকট কমে যাবে। এ ব্যাপারে তারা সরকারকে শিগগির সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা আশা করেন, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা দ্রুত নির্বাচন চান। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো সার্বিক প্রস্তুতি তাদের রয়েছে।
আগামী কিছু দিনের মধ্যে বিচারাধীন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বেশ কিছু সিনিয়র নেতার নির্বাচনে ‘অযোগ্য’ হওয়ার আশঙ্কা করছেন দলীয় নেতারা। একই সঙ্গে নেতারা এও বলেন, এ ধরনের আশঙ্কা সত্যি না হলেও সরকার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে ২০১৯ সালে নির্বাচন করলে আর মাত্র আড়াই বছর সময় হাতে আছে। সে ক্ষেত্রেও বিএনপির বর্তমান নাজুক সাংগঠনিক অবস্থা থেকে দলকে নির্বাচনী ভোটযুদ্ধে লড়ার মতো উপযোগী করে গড়ে তুলতে এখনই প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। এসব হিসাব-নিকাশ করেই বিএনপি সারাদেশে দল গোছানোর পাশাপাশি নির্বাচনের সম্ভাব্য যোগ্য প্রার্থীদের খোঁজার কাজ শুরু করেছে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার পর দলের এসব কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
দলীয় সূত্র জানায়, দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের মতো আর ‘ভুল’ পথে পা দেবে না বিএনপি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ওই নির্বাচন বর্জন করলেও ভবিষ্যতে আর ওই ‘অনড়’ অবস্থানে থাকবে না দলটি। একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে দেশি ও বিদেশিদের মাধ্যমে সরকারের ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি করবে দলটি। তাতে যতটুকু দাবি আদায় করা যায়, শেষ পর্যন্ত তা নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেবে দীর্ঘ এক দশক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠকেও আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে বলে জানান জন কেরি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। বিরোধী দল হিসেবে যে কোনো সময়ে নির্বাচনের জন্য তাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তৃণমূল পুনর্গঠনের সমন্বয়কারী ও বিএনপির সহসভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করতে তৃণমূল থেকে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালীভাবে পুনর্গঠন করতে চান, যাতে সরকার আবার ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো একতরফা নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি করতে না পারে। এবার ওই ধরনের কোনো অপচেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিরোধ করে সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
শতাধিক আসনে আসবে নতুন মুখ: দলীয় সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী তালিকা ধরেই আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। মৃত্যুবরণ, অসুস্থ, সংস্কারপন্থী, নিষ্ক্রিয়, আন্দোলনে ভূমিকা না রাখা, জনপ্রিয়তা হারানো নেতাদের তালিকা প্রণয়ন হচ্ছে। এতে শতাধিক আসনে নতুন প্রার্থী আসতে পারে।
সূত্র জানায়, বিএনপির থিঙ্কট্যাঙ্ক ও দলের দায়িত্বশীল নেতারা সারাদেশে তিনশ’ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজ করছেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশে তারা অত্যন্ত গোপনে এ কাজ করছেন। রাজধানী ঢাকায় বিএনপি বেশ কয়েকটি আসনে নতুন প্রার্থী দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে নির্বাচনে অযোগ্য না হলে প্রার্থী সংকট মোকাবেলায় ঢাকার একটি আসন থেকে খালেদা জিয়া নিজেও প্রার্থী হতে পারেন। এদিকে গুলশান আসন থেকে নির্বাচন করতে চান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ। মোহাম্মদপুর আসন থেকে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল নির্বাচন করলেও আগামী নির্বাচনে বরিশাল থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন তিনি। উত্তরা আসনে সাবেক ছাত্রদল নেতা আজিজুল বারী হেলালের পরিবর্তে এবার মেজর (অব.) কামরুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতা বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ইতিমধ্যে কিছু কিছু জায়গায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ও দিচ্ছেন। যেসব আসনে বিগত নির্বাচনের প্রার্থী মৃত্যুবরণ, বয়োজ্যেষ্ঠতা, নিষ্ক্রিয়সহ নানা কারণে প্রার্থী শূন্যতা বিরাজ করছে, সেসব আসনে তিনি সম্ভাব্য নতুন মুখকে মাঠে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

durniti-o-oniomজুলফিকার আলী: সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহা ইউনিয়নে হতদরিদ্রের জন্য সরকার নির্ধারিত মুল্যে উপকারভোগীদের নামের তালিকায় ব্যপক অনিয়ম হয়েছে। সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ১০৮২টি কার্ডের বিপরীতে উপকারভোগীদের নামের তালিকায় অধিকাংশ বিত্তবান ও কোটিপতিদের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। বাদ যায়নি চেয়ারম্যান মেম্বরদের ভাই, আত্মীয়-স্বজন, এমনকি নিজের স্বামী-স্ত্রীর নামও। কেবল বাদ পড়েছে অধিকাংশ ভিক্ষুক, অসহায়, বিধাবা ও দিনমুজুরদের নাম। এদিকে বিত্তবানরা ১০টাকায় চাউল কিনে গরু ছাগলের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করবেÑ এমন কথাই বললেন কার্ডধারী একজন। সূত্র জানায়, ২০ জুলাই বাঁশদহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম মোশাররফ হোসেন ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার সাহা হতদরিদ্রদের তালিকা প্রস্তুত করে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর নিকট প্রেরণ করে।ঐ তালিকায় বাঁশদহা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বরের ছেলে আজাদ, ভাই সিরাজ শালিকা মনজিলা, শ্যালকের বউ চামেলী, বিদেশ প্রবাসী রাশিদুল, দুইতলা বাড়ির মালিক হৃদয়মোশাররফ চেয়ারম্যানের ভাই সোহারাফ, ৩ নং ওয়ার্ডে তোবারেকের ছেলে আমছার চেয়ারম্যানের আত্মীয় আরশাদ, রোস্তম, মোস্তফা, আব্দারের ছেলে মিঠু বজলুর ছেলে আলতাফ, আফজাল, ছবেদ আলী মেম্বরের স্ত্রী মাজিদা, ৪নং ওয়ার্ডে ইন্দ্রজিৎ মন্ডলের ছেলে বিমল মন্ডল, অজিত মন্ডলের ছেলে পরিমল মন্ডল, ৫ নং ওয়ার্ডে আতাউর (বিদেশ প্রবাসী), হোসেনের ছেলে মনি(পুলিশে কর্মরত), ৭ নং ওয়ার্ডে মৃত আনিছ মোল্লার ছেলে জাহাঙ্গীর, মোশাররফ মেম্বরের ভাই সাজ্জাদ, শাহাদাত (জুয়েলারির দোকানদার), আফজাল হকের ছেলে রফিকুজ্জামান(বিশিষ্ট ব্যবসায়ী), করিম বক্সের ছেলে আলম(বিদেশ প্রবাসী), মহিলা মেম্বর সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী আব্দুল গনি, আজিহার সরহমানের ছেলে আবুল কালাম(ছেলেরা চাকরীজীবী)-সহ অধিকাংশ বিত্তবান ব্যক্তির নাম রয়েছে। কিন্তু ১ নং ওয়ার্ডে সাইফুল, আসানুর, নুরুল, সহিদ, মতিয়ার, ৫ নং ওয়ার্ডে অহিদের স্ত্রী জুলিখা(বিধবা), ২ নর্ং ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর, রবিউল, সালাম, আনার, হাসান, ৭ নং ওয়ার্ডে টোলি(ভিক্ষুক), পেঙ্কী(ভিক্ষুক), ইয়ার আলী (ভিক্ষুক)জিয়ারুল, মিজানুর, মহাসিন, গনিসহ প্রত্যেক ওয়ার্ডে অসংখ্য ব্যক্তি যারা পাওয়ার যোগ্য তারা হয়েছেন বঞ্চিত। ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মোশাররফ হোসেন সরকার দলীয় চেয়ারম্যান হওয়ায় নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর থেকে একাধিক দুর্নীতি ও অনিয়ম করলেও তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। তবে বিভন্ন জায়গায় এসকল বিষয় নিয়ে আলোচনা সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে এমনকি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের এক নেতা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওয়াদা জনগণকে ১০টাকায় চাউল দেয়াÑ এটি যেন পূরণ হয় তার জন্য বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক ব্যক্তি যাতে তালিকায় স্থান পায় তার ব্যবস্থা করতে পত্রিকার মাধ্যমে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বাঁশদহা ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার সাহা জানান, চেয়ারম্যান বলেছে চাউলের কার্ড কেউ নিতে চাইনা, জোর করে নাম দিতে হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ তালিকা প্রস্তুত করেছে তবে আমার উচিত ছিল যাচাই বাছাই করা।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, হতদরিদ্র ছাড়া ঐ তালিকায় বিত্তবানদের নাম থাকার কোন সুযোগ নেই। এলাকায় একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে তদারকির জন্য। তার পরও যদি নিয়মের ব্যতিক্রম হয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এব্যাপারে জানার জন্য ইউ,পি চেয়ারম্যান এস,এম মোশাররফ হোসেন এর ০১৭১৩-৭৩৭১৫১মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এ ব্যপারে সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন হতদরিদ্র বাঁশদহা ইউনিয়নবাসী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আহত ছাত্রীদের একজন

আহত ছাত্রীদের একজন

আমির হোসেন খান চৌধুরী: সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী হোস্টেলে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। আগুনের ধোয়া ও অন্ধকারে হুড়োহুড়িতে আহত হয়েছে হোস্টেলের ৫ জন ছাত্রী। আহতদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের ২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়েছে। বাকি ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার কিছু আগে মহিলা হোস্টেলের নীচ তলায় এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ দিলে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট অল্প সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আতিয়ার রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান, বৈদ্যুতিক সর্ক সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। আগুনের ধোয়ায় ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে তিনি জানান। আহত ছাত্রী আয়শা, সাদিয়া, খাদিজা ও মনালিসা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ হাসান সরোওয়ার্দী ও উপাধ্যক্ষ এ কে এম আনোয়ারুজ্জামান মুকুলসহ সদর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে ছাত্রীদের অভিযোগ, জেলার একমাত্র সরকারি মহিলা কলেজটির বর্তমান অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ হাসান সরোওয়ার্দী কলেজে উপস্থিত থাকেন না বললেই চলে। তিনি ছুটির দরখাস্তে স্বাক্ষর করে রেখে দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকেন। বিশেষ দিবস বা বিশেষ কারণ ঘটলেই কেবল তিনি কলেজে আসেন। অন্য অধিকাংশ সময় তিনি জেলার বাইরে থাকেন। যদিও এই মুহুর্তে তিনি কলেজে আছেন। কারণ গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে কলেজে অডিট চলছে, যা ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
ছাত্রীরা আরও জানায়, কলেজটি মূলত উপাধ্যক্ষ এ কে এম আনোয়ারুজ্জামান মুকুলই পরিচালনা করেন। মহিলা কলেজের হোস্টেলের দায়িত্ব সাধারণত মহিলা শিক্ষকদের দেয়া হলেও আর তিনি হোস্টেল সুপার ও সহকারী হল সুপার হিসেবে দুইজন অল্পবয়সী পুরুষ শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন। যারা ঠিকমত মেয়েদের খোঁজখবর নিতে পারেন না বা নেন না। যে কারণে হোস্টেলের ছাত্রীরা যথাযথভাবে সেখানে থাকতে পারছে কিনা বা তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখার বা বোঝার কেউ নেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

hqdefault-jugantor_6494নিজস্ব প্রতিবেদক: সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের ছোট কলাগাছিয়া নদীতে র‌্যাবের সাথে জলদস্যুদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
র‌্যাব ৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান জানান, ঘন্টাব্যাপী গুলি বিনিময়ের পর  বনদস্যুরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তারা ফেলে যায় ৪টি অস্ত্র ও  ৫৫ রাউন্ড গুলি। একই সময়ে তারা জিম্মি হিসাবে আটক ৬ জন জেলেকে উদ্ধার করেন। তাদের  তিনটি নৌকাও  ফেলে পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
মেজর আদনান আরও জানান গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে তারা সুন্দরবনে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হিসাবে আটক থাকা জেলেদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে আসছেন। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য তিনি পরে দিতে পারবেন বলে জানান।
উল্লেখ্যঃ এর আাগে মুক্তিপনের দাবীতে গত মঙ্গলবার  সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কাঠেশ্বর এলাকা থেকে বনদস্যুরা ২৫ টি নৌকা থেকে ৮ জেলে অপহরন করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1474652325ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদান দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার তারিখ পিছিয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ শুক্রবার রাতে জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী ২৬ তারিখ দেশে ফেরার কথা ছিল। এখন সেটা পিছিয়ে ৩০ তারিখে গেছে।’
প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে তাঁকে সংবর্ধনার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত তাঁকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হবে। মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গণ-অভ্যর্থনার যে কর্মসূচি ২৬ তারিখে ছিল সেটা এখন ৩০ তারিখে হবে।’ পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন বলেও জানান হানিফ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ সেপ্টেম্বর কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1207956510_1474629796আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ ও স্পিনার আরাফাত সানী।

বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে আইসিসি তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে জানায়, বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করে পুনরায় পরীক্ষার পর তাসকিন ও সানীর বোলিং অ্যাকশন বৈধ প্রমাণিত হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তারা এখন বল করতে পারবেন।

আইসিসির পরীক্ষায় পাস করায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল করায় কোনো বাধা রইল না এই দুজনের।

এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন ন্যাশনাল ক্রিকেট সেন্টারের গবেষণাগারে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাসকিন-সানী। আজ সেটিরই ফল জানাল আইসিসি।

ভারতে অনুষ্ঠিত গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একই সঙ্গে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ ওঠে তাসকিন ও সানীর বিরুদ্ধে। পরে ভারতের চেন্নাইয়ের পরীক্ষায় আম্পায়ারদের সন্দেহ সত্যি প্রমাণিত হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ের নিষেধাজ্ঞায় পড়েন দুজনই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1226235384_1474633956ডেস্ক: বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী সেনাবাহিনী হিসেবে স্থান করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তবে সৈন্য সংখ্যার হিসাবে আমেরিকা এবং রাশিয়াকে পেছনে ফেলেছে ভারত। পুরো বিশ্বে বিশাল সেনাবাহিনীর দিক দিয়ে চীনের পরই ভারতের স্থান।

বিশ্বে সেনাবাহিনীর অবস্থানে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীনের পরই ভারতের স্থান। সৈন্যসংখ্যার বিচারে পাকিস্তান পঞ্চম স্থানে থাকলেও সেনাবাহিনীর অন্যান্য দক্ষতার বিচারে পিছিয়ে থাকায় শক্তিশালী সেনাবাহিনীর তালিকায় প্রথম দশেও ঠাঁই হয়নি পাকিস্তানের।

পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর ১০টি দেশের তালিকায় প্রথম স্থানে অবশ্যই আমেরিকা। দ্বিতীয় রাশিয়া, তৃতীয় চীন এবং চতুর্থ ভারত। প্রথম পাঁচে থাকা অপর দেশ হল ব্রিটেন। এরপর যথাক্রমে রয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি। তবে অষ্টম, নবম ও দশম স্থানে রয়েছে তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান।

প্রথম দশে থাকা দেশগুলির মধ্যে চীন, ভারত, আমেরিকা ও রাশিয়া সৈন্যসংখ্যার বিচারে অন্য ছ’টি দেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। এর মধ্যে  সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে চীন। সে দেশের সেনাবাহিনীতে যোদ্ধার সংখ্যা ২২ লক্ষ ৮৫ হাজার। এ ছাড়াও আধাসামরিক বাহিনীতে রয়েছেন প্রায় ২৩ লাখ কর্মী। সব মিলিয়ে মোট সেনা প্রায় ৪৬ লাখ।

ভারতের সেনাবাহিনীতে এই মুহূর্তে কর্মীর সংখ্যা ১৩ লাখ ২৫ হাজার। আধাসামরিক বাহিনীতে রয়েছেন আরও প্রায় ২২ লাখ। সব মিলিয়ে তাদের সৈন্য সংখ্যা ৩৫ লাখের মতো।

সম্প্রতি কাশ্মীরের উরিতে জঙ্গি হামলায় ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এখন যুদ্ধের আবহ বিরাজ করছে। যদিও কোনো দেশ এখন পর্যন্ত সীমান্ত বিষয়ে আক্রমণাত্মক কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। কিন্তু দু’দেশের সংবাদমাধ্যমেই যুদ্ধের আশঙ্কার খবর ছড়িয়ে পড়েছে।

সেই হিসাবে দু’দেশের মধ্যে সহিংসতা শুরু হলে ভারতের সেনাবাহিনী হয়তো এগিয়েই থাকবে। তবে দু’দেশের এমন পরিস্থিতিতে শুধু দু’দেশের মধ্যেই না পুরো বিশ্বেই এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_726646753_1474622395ডেস্ক: কাশ্মীর ইস্যুতে বৈরী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে সরাসরি পাকিস্তানে আক্রমণের কথা বলাবলি হচ্ছে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।

শুধু তাই নয় যে কোনো সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে বলেও খবর পাওয়া গেছে। তবে সবরকম পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তানের বিমান বাহিনীও।

এদিকে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে শুক্রবার পাকিস্তানে পৌঁছেছে রুশ বিমান বাহিনী। এই মহড়া চলবে দুই সপ্তাহ।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আইএসপিআরের মহাপরিচালক লে. জেনারেল আসিম বাজওয়া এক টুইট বার্তায় বলেছেন, প্রথম পাক-রুশ যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে রুশ স্থল বাহিনী পাকিস্তানে এসে পড়েছে।

২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই মহড়া। দুই দেশের মধ্যে সামরিক বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের এটি অন্যতম পদক্ষেপ। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের সামরিক সহযোগিতা বেশ জোরদার হয়েছে।

ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের একটি সেনাঘাটিতে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে অনেকে ধারণা করেছিল রাশিয়া এই মহড়া বাতিল করে দিয়েছে। কিন্তু শুক্রবার রুশ বাহিনী পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে।

কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাঘাঁটিতে হামলার পর ঠিক যে সময় দুই দেশের মধ্যে অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেইসময়ই এই মহড়া। ‘দ্য ডন’ জানিয়েছে পাকিস্তান সেনার মিডিয়া উইং আইএসপিআরের কিংবা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের মুখপাত্ররা কেউই এই বিষয়ে মুখ খুলছে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest