সর্বশেষ সংবাদ-
আইন ও সলিশ কেন্দ্রের আয়োজনে শিশু যৌনশোষণ প্রতিরোধ বিষয়ক সাইকেল র‌্যালিযারা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সাথে জড়িত তারা বিএনপি’র কর্মী হতে পারে না- সাবেক এমপি হাবিবঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধির নিয়োগ পেলেন ইব্রাহিমকালিগঞ্জে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে হুমকিআশাশুনিতে শিক্ষা পদক বাছাই প্রতিযোগাতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাওচাষ প্রাথমিক বিদ্যালয়টানা বৃষ্টিতে আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসাতক্ষীরার বেতনা নদীর বেঁড়িবাধে ভাঙন : নি¤œাঞ্চল প্লাবিতদুই পক্ষের দ্ব›েদ্ব সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভা ভুন্ডলতালায় প্রত্যন্ত অঞ্চল প্রবল বৃষ্টিতে প্লাবিত: খাদ্য ও পানীয় জলের ব্যাপক সংকট!বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রিয় সমম্বয়কদের সাথে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের মতবিনিময়

487e7b32fde87085db684266a8e9a635-57554c9a6a6bfস্ব‌দেশ: প্রাণ ভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানাবেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা  মীর কাসেম আলী। এ বিষয়ে ভাবার জন্য তিনি কিছুটা সময় চেয়েছেন। গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে জেল কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে জানতে গেলে মীর কাসেম এই কথা বলেন। কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে বুধবার মীর কাসেমের সঙ্গে কাশিমপুরে সাক্ষাতের পর তার পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা এখনই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না। মীর কাসেমের নিখোঁজ ছেলেকে পাওয়ার পরই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

কাশিমপুর কারাগার থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘২২ দিন আগে সাদা পোশাকধারী লোকজন আমাদের ছেলে ব্যারিস্টার আহম্মেদ বিন কাসেমকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে গেছে। তিনি শুধু আমাদের ছেলেই নন, মীর কাসেম আলীর মামলার আইনজীবীও। পারিবারিক যে কোনও সিদ্ধান্তে পরামর্শের জন্য পরিবারের লোক হিসেবে তাকে প্রয়োজন।’

আয়েশা খাতুন আরও বলেন, ‘আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে সরকারের কাছে আগে আমাদের ছেলেকে চাই।’

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে দেখা করতে তিন শিশুসহ পরিবারের ৯ সদস্য বুধবার কারাগারে যান।

বুধবার সকালে মীর কাসেমকে রিভিউ আবেদন খারিজের রায় পড়ে শোনানো হয়। রায় শোনার পর কিছুটা চিন্তিত ও চেহারায় উদ্বিগ্নতার ছাপ এবং বিমর্ষ দেখা গেছে।

প্রশান্ত কুমার বনিক আরও জানান, প্রাণ ভিক্ষার জন্য যে সময় তিনি চেয়েছেন সে ব্যাপারে আইনগত উপায়েই প্রক্রিয়া হবে। তার এ সময় চাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে তিনি কারাগারে তার কাছে থাকা রেডিওর মাধ্যমে রিভিউ খারিজ সংক্রান্ত রায় শুনেছিলেন।

মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজ সংক্রান্ত রায়ের কপি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এসে পৌঁছায়। রাত অনেক বেশি হওয়ায় রাতে মীর কাসেম আলীকে তা পড়ে শোনানো হয়নি। বুধবার সকাল সাড়ে ৭ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে রায় পড়ে শোনানো হয়।

৬৩ বছর বয়সী মীর কাসেম আলী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির কনডেম সেলে বন্দি রয়েছেন। গ্রেফতারের পর ২০১২ সাল থেকে তিনি এ কারাগারে রয়েছেন। ২০১৪ সালের আগে তিনি এ কারাগারে হাজতবাসকালে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির মর্যাদায় ছিলেন। পরে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তির পর তাকে ফাঁসির কনডেম সেলে পাঠানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সাতক্ষীরায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানাববন্ধন  কর্মসূচী পালন করেছে জেলার কওমী মাদ্রাসা সমুহ। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টা ব্যাপি এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়। পাটকেলঘাটা সিদ্দিকিয়া কওমী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. মনিরুল হক এর সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলা সহ-সভাপতি মুফতি রবিউল ইসলাম, ধুলিহর কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি সাদেকুল ইসলাম, দারুলউলুম ইটাগাছা মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতি সাইফুল্লাহ রহমান, বদ্দীপুর কলোনী কওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি সাইফুল্লাহ প্রমুখ। বক্তারা এসময় জঙ্গী ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর হুসিয়ারি করে বলেন, আমাদের যার যার অবস্থান থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সরকারের পাশাপাশি জনগনকে এগিয়ে এসে তাদেরকে কুরআন ও হাদিসের সঠিক শিক্ষা অর্জন করে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গিবাদ প্রতিহত করতে হবে।

০১.০৯.১৬IMGA0005

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আমিনুল ইসলাম বজলু ॥ পাইকগাছা-খুলনা প্রধান সড়কের কপিলমুনি থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিঃমিঃ চলাচলের অনুপযোগী সড়কে অবশেষে শুরু হয়েছে সংস্কার কাজ। তবে এবার সড়কে কোন পিচের পুটিং নয়, ঈদকে সামনে রেখে সড়ক ও জনপদ বিভাগ সড়কের বিভিন্ন অতি বড় বড় খাঁদ এলাকাগুলোতে ইটের হেরিং বোল্ড দিয়ে সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আর এ ঘটনায় এলাকায় রীতিমত হৈ-চৈ পড়ে গেছে যে, পিচের রাস্তার উপর কি না চলছে ইটের সোলিং এর কাজ। তাও কি না আবার দেশের অতিগুরুত্বপূর্ণ পাইকগাছা-খুলনা প্রধান সড়কে। সুন্দরবন উপকূলীয় দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ব্যস্ততম সড়কের কপিলমুনি থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত অংশটুকু দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় তার পিচ উঠে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কটি দিয়ে চলাচল করছে স্ব’ স্ব’ যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক,লরি, পিকআপ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট সহ বিভিন্ন যানবাহন। ইতোমধ্যে সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধনও করেছে পাইকগাছা নাগরিক কমিটি সহ সর্বস্তরের মানুষ। সড়কের নাজুক অবস্থা ও তা নির্মাণে মন্ত্রাণালয়ে ডিও লেটার প্রদান সহ জাতীয় সংসদে সংশ্লিষ্ট সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর একাধিক বার দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক। এনিয়ে দেশের বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গনমাধ্যমে ফলাও করে ধারাবাহিক সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। তবে এত কিছুর পরও জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের উপর নতুন করে ইটের হেরিং বোল্ড করার বিষয়টিকে মোটেও ভালো চোখে দেখছেননা অবহেলিত জনপদের মানুষরা। প্রসঙ্গত, সড়ক ও জনপথ বিভাগের পাইকগাছা খুলনা রুটের ৬৬ কিলোমিটার সড়কের বেতগ্রাম থেকে খুলনা পর্যন্ত ৩৩ কিঃমিঃ সড়ক হাইওয়ের আওতায় রয়েছে। বেতগ্রাম থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত বাকি ৩৩ কিঃমিঃ সড়কের বেতগ্রাম থেকে কপিলমুনি পর্যন্ত ২০ কিঃমিঃ সড়ক ব্যাপক আন্দোলন-সংগ্রামের পর সংস্কার হলেও কপিলমুনি থেকে পাইকগাছা উপজেলা সদর পর্যন্ত ১৩ কিঃমিঃ এক অজ্ঞাত কারণে সংস্কার হয়নি। দক্ষিণাঞ্চলের সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদের একমাত্র সড়কটি দিয়ে জেলা সদর থেকে শুরু করে রাজধানী সহ সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ ও রপ্তানী পণ্য পরিবহন হলেও স্বাধীনতা পরবর্তী অদ্যবধি কোন সরকার সকড়টি নির্মাণে যথাযথ গুরুত্ব দেয়নি। যদিও কয়েক মাস পূর্বে পুটিং সর্বস্ব সংস্কার কাজ শুরু হলেও অদৃশ্য কারণে তাও বন্ধ রয়েছে। ঠিক এমন অবস্থায় চলতি বর্ষা মৌসুমে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে জনপদের লাখ লাখ মানুষের ভোগান্তি আজ চরমে পৌছেছে। বিশেষ করে একটু বৃষ্টিতেই সড়কের খাঁদগুলোতে পানি জমে মনে হয় সড়কটিতে নতুন করে গজিয়েছে অসংখ্য পুকুর। আর তখন গাড়ি চালকদেরকেও চরম বিপাকে পড়তে হয় মূল রাস্তাটি ঠিক কোন দিকে তা নিয়ে। এমন বিভ্রান্তিতে তাদের প্রায়ই পড়তে হয় ছোট-বড় দূর্ঘটনার মধ্যে। খুলনা জেলার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী সাতক্ষীরা জেলার সদর, আশাশুনি,কালিগঞ্জ ও তালা সহ প্রত্যান্ত এলাকার লাখ লাখ মানুষের জেলা, রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন শহরে সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন সরাসরি যাতায়াত করে দূরপাল্লার ২৫-৩০ টি পরিবহন। এছাড়া জেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগে চলাচল করে শতাধিক যাত্রীবাহী বাস। দেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানী পণ্য হিমায়িত চিংড়ি উৎপাদনের মূল কেন্দ্রস্থল পাইকগাছা-কয়রা থেকে প্রতিদিন মাছবাহী শ’ শ’ ট্রাক-পিকআপ সহ অসংখ্য মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট সহ বিভিন্ন পরিবহন চলাচলের একমাত্র সড়কটির ভবিষ্যত নিয়ে তাই জনপদে মানুষের রাতকাটছে একপ্রকার নির্ঘুম। খুলনা বিভাগীয় বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির লাইন সেক্রেটারী শেখ জাহিদুল ইসলাম জানান, পাইকগাছা খুলনা রুটে প্রতিদিন কমপক্ষে ১২০টি বাস যাতায়াত করে থাকে। এছাড়াও সড়কটি দিয়ে এতদঞ্চলের উৎপাদিত হাজার হাজার টন চিংড়ি ও মৎস্য সরবরাহ করা হয়ে থাকে। অথচ দক্ষিণাঞ্চলের জন গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কারোরই যেন কোন প্রকার মাথাব্যাথা নেই। সর্বশেষ রাস্তার সংস্কার প্রসঙ্গে পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর বলেন, গোটাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন অবহেলিত জনপদের জনগুরুত্বপূর্ণ পাইকগাছা-খুলনা প্রধান সড়কের (১৩ কিলোমিটার) সংস্কার কার্যক্রম দেখে প্রশ্ন উঠেছে সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ঠিক কোন দিকে ধক্ষাবিত হচ্ছি আমরা? paikgacha road 31.08.16

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আমিনুল ইসলাম বজলু ॥ পাইকগাছায় সাত্তার গাজী (৭০) নামের এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের মৃত আছের গাজীর ছেলে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সৎ ভাই ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান গাজীর গড়েরডাঙ্গাস্থ বিএমএম ইটের ভাটায় সাত্তার গাজীর মৃতদেহ স্থানীয় ছেলে মেয়েরা দেখতে পায়। পরে তারা বিষয়টি থানা পুলিশকে খবর জানায়। ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে এসআই স্বপন রায় জানান, ছাত্তার ব্যক্তিগত ভাবে চির কুমার ছিল। সে হার্ণিয়া রোগে ভুগছিল। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে ওসি মারুফ আহম্মদ জানিয়েছেন।West-Indies-Bangladesh-Cric

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

জি.এম আবুল হোসাইন: বিলের অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রধান কয়েকটি জলজ উদ্ভিদের মধ্যে একটি হল শাপলা-শালুক। সদর উপজেলার গড়িয়াডাঙ্গা, দাতভাঙ্গা, কয়ারবিল, বেলেঘাটা, নলকুড়া, খলসিচোখা, কুমোরঘাটা, ঘরভাঙা বিল সহ ছোট বড় অসংখ্য বিলের বুকজুড়ে শাপলা ফুলের দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য ছিল চোখে পড়ার মতো। জলের উপরে ফুটে থাকা শাপলা ফুলের দৃষ্টিকাড়া সৌন্দর্য সত্যিই যেকোনো মানুষকে মুগ্ধ করে তুলতো। শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। সাদামাটা সবার পিুয় এফুল শুধু বিলেই নয়, যেকোনো ডোবা-নালায় জন্ম নিয়ে সবার দৃষ্টি আকৃষ্ট করে। কিন্তু প্রকৃতির বিরূপ প্রভাবে শাপলা ফুলের সেই সমারোহ আর নেই। দিনে দিনে শাপলা-শালুক যেন একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অথচ আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগেও প্রায় সকল বিলের বুকজুড়ে শাপলা ফুলের দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য ছিল চোখে পড়ার মতো। সে সময় শরৎকালে বিলের প্রকৃতি অন্য রকম সাজে সেজে উঠত। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা যেত চারদিকে ফুটন্ত সাদা শাপলা ফুলের সমারোহ। মনে হতো এ যেন শাপলা ফুলের জগৎ। শাপলা ফুল শুধু পরিবেশ ও প্রকৃতির সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে তা নয়; এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এছাড়া এফুলের গাছ, গোড়া ও মাথা কিছুই ফেলে দেওয়ার মতো নয়। শাপলার নরম ডাঁটা, মাথা ও গোড়ায় জন্ম নেওয়া ড্যাপ এবং শালুক সবই মুখরোচক ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য উপাদান। শাপলার ডাঁটা পানির গভীরতায় পাঁচ থেকে প্রায় ২০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। নরম কচি আর মচমচে ডাঁটা মুখরোচক সবজি হিসেবে খাওয়ার মজাই আলাদা। এছাড়া মাছ-মাংস রান্নার উৎকৃষ্ট তরকারি হিসেবে এর ডাঁটা বেশ জনপ্রিয়। শালুক আগুনে পুড়িয়ে কিংবা সেদ্ধ করে খাওয়া হয়। আগের দিনে শরতের শেষে পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে বিলজুড়ে শালুক তোলার ধুম পড়ে যেত। শালুক পোড়া গন্ধ এখনো প্রবীণদের শৈশবের কথা মনে করিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু ব্যাপক পরিবর্তনে আগের মতো সঠিক সময়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। এছাড়া আবাদি জমিতে অপরিমিত কীটনাশক ও রাসায়নিক সার প্রয়োগে অনেক শাপলা বীজ বা মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা মা-শালুক বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে নতুন করে শাপলার গাছ জন্ম হচ্ছে না। এখন শরৎকাল শেষ হলেও দেশের কোথাও সেই আগের মতো শাপলা-শালুকের দেখা নেই। এজলজ উদ্ভিদ আজ বিলুপ্তির পথে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামী কয়ক বছরে শাপলার অস্তিত কতটুকু টিকে থাকবে সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। এবিষয়ে একজন সচেতন পরিবেশ কর্মি হিসেবে মো. আলী হায়দার বলেন, শাপলা-শালুক সহ বিভিন্ন বিলুপ্তপ্রায় এসব জলজ উদ্ভিদ রক্ষার্থে পরিবেশবান্ধব সংগঠন, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ এবং তা যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি’র সাতক্ষীরা জেলা শাখা’র জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায় জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল ও মানববন্ধন করেন তারা। সাতক্ষীরায় আইনজীবী সহকারী সমিতি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সবুর ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল মান্নান বাবলু’র নেতৃত্বে তাদের নিজস্ব কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাতক্ষীরা আইনজীবী সহকারী সমিতি’র কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের আলোচনা সভায় মিলিত হয়। এ সময় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা আইনজীবী সহকারী সমিতি’র ভারপ্রপ্ত সভাপতি আব্দুস সবুর, সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল মান্নান বাবলু, সহ- সভাপতি আব্দুর রহমান, যুগ্ন সম্পাদক মো. আকবর আলী, সহ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান সাইদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম. শফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মো. রমজান আলী, সদস্য মো. আবক্ষাস আলী, মো. আনিছুর রহমান, দেবাষিশ সরকার, ইসমাইল হোসেন, মধুসুধন সরকার প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুব আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি এপিপি এড. তামীম আহম্মেদ সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য জি.এম. আল-আমীন। বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি’র সাতক্ষীরা জেলা শাখা’র কার্যকরী পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুগ্ম সম্পাদক মো. আকবর আলী।jangi

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা ভোমরা স্থল বন্দরে ভোমরা হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং-খুলনা-১৭২২) এর সময় অতিবাহি হওয়ার পর নির্বাচন না হওয়ায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এ নিয়ে যে কোন সময় বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে বলে শ্রমিকরা দাবি করেন। এ ব্যাপারে ভোমরা স্থল বন্দর শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আজিবুর রহমান আলিম জানান, ভোমরা হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং-খুলনা- ১৭২২ এর রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্তির পর ২০১২ সালে সর্বশেষ নির্বাচন হয়। এর পর বিভিন্ন ব্যক্তি পেশি শক্তির বলে ক্ষমতা দখল করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সেকারনে সাধারণ শ্রমিকরা নির্যাতিত হচ্ছে এবং তাদের দাবী-দাওয়া ও সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শ্রমিকদের অর্থ আতœসাৎ ও নিরীহ শ্রমিকদের উপর নির্যাতন ও হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। যারা নির্বচনের কথা বলছে তাদের ছাটাই করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে যুগ্ম শ্রম পরিচালক ও বিভাগীয় রেজিষ্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন কে  ভোমরা হ্যান্ডলিং ইউনিয়ন ( রেজিঃ নং-খুলনা-১৭২২) এর কর্মকর্তাদের অনিয়ম- দূর্নীতি ও দীর্ঘ নির্বাচন না হওয়ায় শ্রমিক অসন্তোষ  বিষয়ে লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে। রবিউল ইসলাম নামে এক শ্রমিক জানান, আমি অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং নির্বাচনের দাবী করেছিলাম বলে আমাকে ভোমরা হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জুতা পিটা করেছে। এ ব্যাপারে ভোমরা হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং-খুলনা-১৭২২) এর সভাপতি মহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। সকল অভিযোগ সুষ্ঠ তদন্ত ও দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

এস এম সেলিম ॥
এভিএএস মেডিকেল সায়েন্স ইনষ্টিটিউট কলেজে ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১ টায় কলেজ প্রাঙ্গনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এভিএএস মেডিকেল সায়েন্স ইনষ্টিটিউট এর পরিচালক ফকির আহমেদ শাহের সভাপতিত্বে এবং ডিস্ট্রিক কো-অর্ডিনেটর আব্দুস সালামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এভিএএস মেডিকেল সায়েন্স ইনষ্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, শ্যামনগর টেক এন্ড বি এম কলেজের অধ্যক্ষ হাফিজুল আল মাহমুদ, পাটকেলঘাটা টেক এন্ড বি এম কলেজের অধ্যক্ষ রিংকু সুলতানা, সাতক্ষীরা এভিএএস বি এম কলেজের অধ্যক্ষ সেলিনা সুলতানা, আক্তারুজ্জামান এসএটিসি কলেজের অধ্যক্ষ এম এম আছাদুজ্জামানসহ অতিথিবৃন্দ। এসময় পুরাতন ছাত্র-ছাত্রীরা নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের এবং নবাগতরা অতিথিবৃন্দকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন এভিএএস মেডিকেল সায়েন্স ইনষ্টিটিউট পরিচালক প্রশাসন ডা. আমিনুল কবির, প্রশিক্ষক কিংকর কুমার মন্ডল। অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরন করা হয়। উল্লেখ্য সকাল সাড়ে ৯ টায় রোড-শো এর মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। জঙ্গিবাদের ও সন্ত্রাসবাদ দমনে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। AVS     p1

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest