সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় নওয়াপাড়া নাংলা বাজার বিএনপির কর্মীসভাসাতক্ষীরায় আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষে পুকুর প্রস্তুতি-জৈব নিরাপত্তা শীর্ষক কর্মশালাকালক্ষেপন না করে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্বভার দেয়ার আহবানসাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনাশ্যামনগরে বিএনপির দুই পক্ষের কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা-সংঘর্ষ : ১৪৪ ধারা জারিসাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মুল হোতা আলিমুদ্দীন গাজি গ্রেপ্তারদেবহাটায় শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনাজিয়াউর রহমান এর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের দোয়াজেলা জে এস ডির শোকনওয়াবেঁকীতে রাতের আধারে বাচ্চাসহ গরু জবাই : ৭ হাজার টাকা জরিমানা

শ্যামনগর প্রতিনিধি: শ্যামনগরে হরিনগরে জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্র মূলক মামলায় ও হয়রানি করে অবৈধভাবে বসতভিটা ও জমি দখলের অপচেষ্টা চলছে। জমির মালিকদের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। শ্রীফলকাটীর ছবেদ আলীর পুত্র মাষ্টার আঃ মজিদ অভিযোগে জানান, হরিনগর মৌজার এস,এ,৬৮/১ ও ৭২২ নং খতিয়ানের ৭০ শতক জমি তারা প্রায় ৪০ বছর যাবৎ বসতভিটাসহ ভোগ দখল করে আসছে। বসতভিটায় ঘর-বাড়ি, পুকুর, গাছগাছালী ও জমিতে বিভিন্ন ফসল আবাদ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে বৈধভাবে ভোগ দখলে আছে আঃ মজিদ ও তার পরিবার। অথচ ঐ জমি হরিনগরের ছফেদ আলী বৈদ্যর পুত্র শওকত বৈদ্য, গফফরের পুত্র আঃ হামিদ, শ্রীফলকাটীর তৈয়্যেবুর রহমানের পুত্র ফিরোজ আহমেদ অবৈধভাবে দখল করতে মিথ্যা মামলা দিয়ে আঃ মজিদ ও তার পরিবারদের বাড়ি ছাড়া করা হয়েছে। এ সুযোগে শওকত, হামিদ, ফিরোজ সহ ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী কায়দায় উক্ত বসত ভিটার ঘরবাড়ী ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ ও বৃক্ষ কর্তন করে জমি দখলের অপচেষ্টা করতে থাকলে এলাকাবাসী তাদের কে রুখে দেয়। এ ঘটনায় আঃ মজিদ ও তার ছেলে বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে। এ ব্যাপারে উভয় পক্ষ জমি দাবি করেন। ঐ জমি দখল, জমির মালিক ও তার পরিবারদের কে আসামীরা খুন, জখম, মিথ্যা মামলা সহ নানাবিধ হুমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া ডেস্ক: আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৯ তম জন্ম দিন উপলক্ষ্যে কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন করেন। বুধবার বেলা ১২টায় উপজেলা অডিটরিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম দিন কেক কেটে ও বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে পালন করা হয়। এসময় অনুষ্ঠনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আঃ হামিদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন নাহার আক্তার, সমবায় অফিসার নওশের আলী, ইউপি চেয়ারম্যান স.ম মোরশেদ আলী, মাস্টার নুরুল ইসলাম, মনিরুল ইসলম মনি, মাহবুবুর রহমান মফে, আফজাল হোসেন হাবিলসহ উপজেলা পরিষদে বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ। কেক কাটার পর প্রধানমন্ত্রীর ৬৯ তম জন্ম দিনে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

3-large
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার ৪ বছর মেয়াদী কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে ২৭ টি পদের বিপরীতে ২টি প্যানেলে ৫৭ টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। বুধবার বিকালে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ এর নিকট দুটি প্যানেলের মোট ৫৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। নির্বাচনী তপশীল মোতাবেক ২৯ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পত্র বাছাই, ২অক্টোবর বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, ৪ অক্টোবর মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার, ৫অক্টোবর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং ১৭ অক্টোবর সাতক্ষীরা অফিসার্স ক্লাবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহন চলবে। ১০৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। সম্মিলিত ক্লাব ঐক্য পরিষদের সহ- সভাপতি পদে আশরাফুজ্জামান আশু, মেহেদী হাসান, মুজিবর রহমান, ইঞ্জিঃ কবীর উদ্দিন আহম্মেদ। সাধারণ সম্পাদক পদে এ. কে. এম আনিছুর রহমান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল মোমেন খান চৌধুরী সান্টু, মো. আহম্মদ আলী সরদার, শেখ আব্দুল কাদের, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. শাহ আলম হাসান শানু, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, কাজী কামরুজ্জামান কাজী, মো. রুহুল আমিন, আ, ম আক্তারুজ্জামান মুকুল, মো. হাবিবুর রহমান হবি, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. আব্দুল মান্নান, ইকবাল কবির খান বাপ্পি, মির্জা মনিরুজ্জামান কাকন,  মো. ইদ্্িরস আলী, শেখ রফিকুর রহমান লাল্টু, মো. হাফিজুর রহমান খান বিটু, মীর তাজুল ইসলাম রিপন, মো. কবিরুজ্জামান রুবেল, উপজেলা নির্বাহী সদস্য স.ম. সেলিম রেজা, সৈয়দ জয়নাল আবেদীন জসি, মহিলা সদস্য কাজী সেতারা জামান ও ফারহা দীবা খান সাথী। অপর প্যানেলে ক্রীড়া ও স্টেডিয়াম উন্নয়ন পরিষদের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন সহ-সভাপতি প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসনে জাহিদ জজ, বদরুল ইসলাম খান বদু, ফিরোজ আহম্মেদ, মিজানুর রহমান চৌধুরী, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, শেখ নাসেরুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শেখ নিজাম উদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাহমুদ হাসান মুক্তি, যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী তৈয়েব হাসান বাবু, সাইদুর রহমান শাহীন, কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী কাজী শফিউল আজম, নির্বাহী সদস্য প্রার্থী শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, শেখ আশরাফ আলী, মোহাম্মাদ আবু সায়ীদ, মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মোঃ রইস উদ্দীন সরদার, শেখ নাসেরুল হক, মোমীন উল্লাহ মোহন, শেখ মারুফুল হক, শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, খন্দকার বদরুল আলম, ওয়াসিাউদ্দীন খান পিপুল, মোঃ আলতাফ হোসেন, মিজানুর রহমান মিনুর, শেখ জাহিদ হাসান, নির্বাহী সদস্য (উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সংরক্ষিত) জাহিদুর রহমান খান চৌধুরী, শেখ ইকবাল আলম বাবলু, নির্বাহী সদস্য (মহিলা) মমতাজুন নাহার ঝর্ণা। জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ দিনে ২৭টি পদের বিপরীতে একটি প্যানেলের ২৮টি এবং আরেকটি প্যানেলের ২৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সখিপুর প্রতিনিধি: দেবহাটার সখিপুর ইউনিয়নের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ১২ টায় ইউনিয়ন পরিষদের সভা কক্ষে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলার ৩নং সখিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন রতনের সভাপতিত্বে ইউপি সচিব নারায়ণ চন্দ্র অধিকারীর সঞ্চলনায় উপস্থিত ছিলেন ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্যা রেহেনা ইসলাম, ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের আলফাতুন নেছা, ৭, ৮ ও ৯ নং আরতী রানী ঘোষ, ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোখলেছুর রহমান মোখলেছ, ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আকবর আলী, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য পরিতোষ বিশ্বাস, ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল করিম, ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য জগন্নাথ মন্ডল, ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য নির্মল কুমার মন্ডল, ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য মোনাজাত আলী, ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল হোসেন, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য হাফিজুর রহমান। এসময় ইউনিয়ন পরিষদের নানামূখি উন্নয়নের কথা তুলে ধরে  চেয়ারম্যান বলেন আমরা দেবহাটার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভিজিএফ’র চাল, রেশনের চাল, গর্ভকালীন ভাতা সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি প্রত্যেকটি এলাকার উন্নয়ন করছি। আগামী দিন গুলোতে আরো বেশি বেশি সেবা দিতে সকল সদস্যদের নিরালস ভাবে কাজ করে যাওয়ার কথা বলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

untitled_12মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: দেশের সরকার প্রধান প্রাণান্তকর চেষ্টা করছেন সাধারণ দরিদ্র মানুষকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সেবা দিতে। আর তার সরকারের অফিসগুলোতে ঘাপটি মেরে আছে অসংখ্য দুর্নীতিবাজ, যারা তার প্রশংসনীয় উদ্যোগগুলোর সেবা নিতে সাধারণ মানুষকে করছেন হয়রানি। এমনটাই ঘটেছে ১০ টাকা কেজিতে দরিদ্র মানুষের কাছে চাউল পৌছে দেয়ার প্রধানমন্ত্রীর মহতি উদ্যোগের ক্ষেত্রেও। তিনি চাউলেও অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতির কারণে কেজি প্রতি চাউলের প্রকৃত মূল্য বেড়ে যাচ্ছে, বাড়ছে হয়রানি।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ডিলাররা। ব্যাহত হচ্ছে খাদ্য শষ্য বিতরণ ব্যবস্থা। ডিলার নিয়োগে অর্থ-বাণিজ্য, ওজনে কম ও চাউল উত্তোলনে মোটা অংকের উৎকোচ দিতে হচ্ছে ডিলারদের। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের হতদরিদ্রদের ১০টাকা কেজিতে চাউল বিতরণের কার্যক্রম শুরু হলেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সেটিকে পুঁজি করে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা খাদ্য অফিসের কিছু অসাধু অর্থলোভী কর্মকর্তারা। ডিলার নিয়োগের নামে তারা হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। এর পরেও থেমে নেই খাদ্য গুদামে চাউল উত্তোলনে অনিয়ম ও দুর্নীতি। রেশন কার্ড অনুযায়ী ১৫ থেকে ১৮ টন পর্যন্ত চাউল পাবে একজন ডিলার। খাদ্য গুদামে চাউল উত্তোলনের আগে ফুড অফিসের কর্মকর্তাদের দিতে হচ্ছে টন প্রতি ১৫০টাকা, খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাদের টন প্রতি দিতে হচ্ছে ১২০টাকা, কুলিদের দিতে হচ্ছে ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা। এর পরেও প্রতি বস্তায় ওজনে কম দিচ্ছে  ১ থেকে ২ কেজি। কাউকে তোয়াক্কা না করে এ ধরনের  দুর্নীতি অনিয়ম করে যাচ্ছে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান ও তার অফিস। একদিকে যেমন হয়রানীর শিকার হচ্ছে হতদরিদ্র মানুষ, অপরদিকে ডিলাররা পড়েছে বিপাকে। এসব দুর্নীতিবাজদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে ডিলাররা। তাই ওজনে কম দিতে শুরু করেছে ডিলাররা।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ডিলার জানান, “ফুড অফিস ও সরকারি খাদ্য গুদামে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির কারণে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। টাকা না দিলে ওজনে কম ও লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। অনেক টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স পেয়েছি। জানিনা কপালে কি আছে? এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ৩০ কেজি চাউলে ২ থেকে ৩শ’ গ্রাম চাউল ওজনে কম দিতে বলেছে। তাহলে পুষিয়ে যাবে বলে আশ্বাস্ত করেছেন ঐ খাদ্য কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু জানান, “ইতিপূর্বেও তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগের কথা শোনা গেছে। আপদমস্তকে দুর্নীতিতে ভরা।”
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মনিরা পারভীন জানান, “এ ধরনের অভিযোগের বিরুদ্ধে আপনারা সংবাদ প্রকাশ করুন। এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাহিলে তিনি বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী ডিলার নিয়োগ দিয়েছি। অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি আমার কাজ নয়। খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করুন। তবে উনিশ-কুঁড়ি একটু হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন।

আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন।

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সাতক্ষীরা’র আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ,এফ,এম, এহতেশামূল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, সনাক সভাপতি প্রফেসর দিলারা বেগম। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আনিছুর রহিম, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ চৌধুরী, সাতক্ষীরা পৌর সভার তথ্য কর্মকর্তা প্রশান্ত ব্যানার্জী, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক অলিউর রহমান, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর প্রকল্প পরিচালক মনিরুজ্জামান টিটু, ইয়েস সদস্য আব্দুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন টিআইবি’র সাতক্ষীরা এরিয়া ম্যানেজার আবুল ফজল মোঃ আহাদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

qqqq-02নিজস্ব প্রতিবেদক: নিখোঁজ ছেলের সন্ধান চেয়ে এবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন আশাশুনি উপজেলার খেড়–য়ারডাঙ্গা গ্রামের বাবা রইচউদ্দীন ফকির।
তিনি তার সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেছেন, গত এক বছর আগে তার একমাত্র ছেলে মোতাসসিম বিল্লাহ মিঠুন (২১) কাজের সন্ধানে রাজধানী ঢাকায় যায়। ঢাকায় যাওয়ার পর মিঠুন একটি ঔষধ কোম্পানিতে চাকুির করতো। চাকুরিতে যোগদানের পর মিঠুন প্রথম দিকে প্রায় ৬/৭ মাস বাবা-মার সংসার খরচ টাকাও পাঠিয়েছে এবং বিভিন্ন সময় সে ০১৬৮১-৪০০৪৬৯ নাম্বারের মোবাইল ফোন থেকে তার বাবা-মার সংগে যোগাযোগ করতো। কিন্তু হঠাৎ করেই গত ৪/৫ মাস যাবত তার আর কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা। সে যে মোবাইল ফোন থেকে কথা বলতো সেটি বর্তমানে একজন অজ্ঞাত মহিলা রিসিভ করেন। তিনি ফোনটি রিসিভ করার পর বার বার রং নাম্বার বলে ফোনটি কেটে দেন। তিনি তার সাধারণ ডায়েরিতে আরো উল্লেখ করেছেন, তাদের গ্রামের যারা ঢাকায় কাজ করেন তাদের প্রত্যেকের কাছে খোঁজ খবর নিয়েও তিনি তার সন্তানের কোন সন্ধান পাননি। দীর্ঘদিন সন্তানের অপেক্ষায় থেকে কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে তিনি সন্তানের সন্ধান চেয়ে আশাশুনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যার নং-৯০৫, তারিখ-২৫.০৯.২০১৬। তিনি আরো জানান, সমাজের কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি যদি তার একমাত্র পুত্র সন্তান মোতাসসিম বিল্লাহ মিঠুনের সন্ধান পান তাহলে ০১৭৪৩-৩৮৭৭১৭ নাম্বারের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ooo

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দুরে আশাশুনি উপজেলার বড়দল শিববাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির বেহাল-দশা। দীর্ঘ দিন ধরে এ বিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা চলে জরাজীর্ণ অবস্থায়। বিদ্যালয়টি ১৯৬৩ প্রতিষ্ঠিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টির অভাবে আজও নির্মাণ হয়নি সেখানে পাকা বিল্ডিং, নেই কোন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও আলো বাতাস। মাটির দেয়ালে তৈরী করা ঘরে করুণ অবস্থায় চলছে এই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম। প্রায় ২শ ছাত্র/ছাত্রী এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে । দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পাঠদান কর্মসূচি চললেও উধর্ক্ষতন কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করে আসছেন।  এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অরুন কুমার মন্ডল জানান, তিনি আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন শেষে সাতক্ষীরার উদ্দ্যেশ্য রওনা হওয়ার সময় পথিমধ্যে দেখতে পান রাস্তার পাশে মাটির দেয়ালে তৈরী পুরাতন টিনের ঘরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাশ চলছে। গাড়ি থামিয়ে তিনি বিদ্যালয়টি দেখতে যান । বিদ্যালয়টি দেখার পর তিনি জানান, মাটির দেয়ালের ওই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাশ চলছে। সেখানকার শ্রেণী কক্ষের অবস্থা খুবই করুণ। বিদ্যুৎ নেই, আলো বাতাসের চলাচল নেই। অথচ সেখানে কোমলমতি ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করছে। প্রায় দুইশত ছাত্রছাত্রী রয়েছে বিদ্যালয়টিতে। বিদ্যালয়ের নাম ৬৩ নং বড়দল শিববাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্থাপিত ১৯৬৩ সাল। তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়টি দেখে প্রচন্ড কষ্ট পেলাম। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে- কিন্তু বিদ্যালয়ের এ অবস্থা কেন ? তিনি এ সময় সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুজ্জামান জানালেন, ভবন নির্মানের জন্য অনেক বার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলেও কোন কাজ হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়টির খুবই নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বর্ষার সময় চারি দিক থেকে পানি পড়ে রুমের ভিতরে। যে কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানেও খুবই ব্যাঘাত ঘটে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest