সর্বশেষ সংবাদ-
টানা বৃষ্টিতে আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসাতক্ষীরার বেতনা নদীর বেঁড়িবাধে ভাঙন : নি¤œাঞ্চল প্লাবিতদুই পক্ষের দ্ব›েদ্ব সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভা ভুন্ডলতালায় প্রত্যন্ত অঞ্চল প্রবল বৃষ্টিতে প্লাবিত: খাদ্য ও পানীয় জলের ব্যাপক সংকট!বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রিয় সমম্বয়কদের সাথে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের মতবিনিময়দেবহাটায় বজ্রপাতে আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুদেবহাটায় শিক্ষার্থী শহীদ আসিফ হাসানের কবর জিয়ারতে ডিসি ও এসপিশ্যামনগরে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘অর্ধেক’ ভাড়া বাস্তবায়নের ঘোষনা বাস মালিক সমিতিরবহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে: রবিউল বাশারমাহমুদপুর আমিনিয়া আলিম মাদ্রাসায় বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী

160831061401_india_boy_death_640x360_onlineঅপ্র‌তিম: পিতার কাঁধে পু‌ত্রের লাশ, পৃ‌থিবী‌তে এর চে‌য়ে বে‌শি ভারী বোঝা আর নেই। এমনই করুণ এক দৃ‌শ্যে বিশ্বব্যাপী বি‌বেকবান মানুষ‌ কাঁদছে।

অসুস্থ ছেলেকে কাঁধে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল দৌড়ে বেড়াচ্ছেন বাবা।

জরুরী বিভাগে চিকিৎসা না করেই পাঠিয়ে দেওয়া হল শিশু বিভাগে।

সেখানে যাওয়ার পরে ডাক্তারেরা বললেন আর কিছুক্ষণ আগে আনলেই বাঁচানো যেত ছেলেকে।

এই মর্মান্তিক ঘটনার ভিডিও ইউ টিউবে ছড়িয়ে পড়েছে মঙ্গলবার।

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের কানপুরে এই ছবি তোলা হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার যেখানে দেখা গেছে ১১ বছরের ছেলে অংশ-কে কাঁধে নিয়ে বাবা সুনীল কুমার দৌড়ে বেড়াচ্ছেন হাসপাতালের এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে।

ঠিক ওইদিনই ওড়িশা রাজ্য থেকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল দানা মাঝি তাঁর মৃত স্ত্রীর দেহ কাঁধে চাপিয়ে ১২ বছরের মেয়েকে পাশে নিয়ে পায়ে হেঁটে ৬০ কিলোমিটার দূরের গ্রামের দিকে রওনা হয়েছেন।

মৃতদেহ বহন করার জন্য চেয়েও সরকারী গাড়ি পান নি তিনি।

দশ কিলোমিটার যাওয়ার পরে স্থানীয় কিছু সাংবাদিক মি. মাঝির জন্য একটি সরকারী গাড়ির ব্যবস্থা করে দেন।

কানপুরের ঘটনাটা আবারও ভারতের সরকারী চিকিৎসা পরিষেবার চূড়ান্ত অব্যবস্থার ছবি তুলে ধরল।


কানপুরের বাসিন্দা সুনীল কুমার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ছেলের খুব জ্বর ছিল গায়ে। ২৫ তারিখ সকালে একটা স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে যাই। একটা ইনজেকশন দেওয়ার পরে ছেলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে, মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরতে থাকে। ডাক্তারেরা বলেন সরকারী লালা লাজপত রাই হাসপাতালে নিয়ে যেতে। সেখানে জরুরী বিভাগে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করানোর পরে শিশু বিভাগে নিয়ে যেতে বলা হয়।“

অনেক খোঁজাখুঁজি করেও একটা স্ট্রেচার জোগাড় করতে পারেন নি মি. কুমার। শেষে আবারও ছেলেকে কাঁধে চাপিয়ে যখন শিশু বিভাগে নিয়ে যান তিনি, ডাক্তারের বলেন যে ছেলে মারা গেছে। বিশ্বাস করতে চান নি বাবা। দৌড়েছিলেন আরেকটি হাসপাতালে।

“খুব ভিড় ছিল ওখানে। শেষমেশ ডাক্তার দেখে বললেন আর দশ মিনিট আগে যেতে পারলেই বেঁচে যেত ছেলেটা,” সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সুনীল কুমার।

ওই সরকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটা কমিটি তৈরি করেছে তদন্তের জন্য। উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্য-শিক্ষা বিভাগের প্রধান সচিব অনুপ পাণ্ডে বলছেন, লালা লাজপত রাই হাসপাতালের সুপারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

শুধু হাসপাতালের নয়, তৈরি হয়েছে আরও দু-দুটো তদন্ত কমিটি।

তারা রিপোর্ট দেবে কয়েকদিনের মধ্যে, কিন্তু সামাজিক মাধ্যমগুলিতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটা দেখে অনেকের প্রশ্ন, তাতে কি ফিরে আসবে ১১ বছরের অংশ?

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রিশার ঘাতক ওবায়দুল

রিশার ঘাতক ওবায়দুল

স্ব‌দেশ: উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশার ঘাতক ওবায়দুল খানকে নীলফামারীর ডোমার থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বুধবার সকালে পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে ওবায়দুলের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর বুধবার ভোরে এডিসি আজিমের নেতৃত্বে নীলফামারীর ডোমারে অভিযান চালিয়ে সেখানকার ব্র্যাক অফিসের পেছন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে এখন ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

ওবায়দুলকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডোমার থানার ওসি রাজিউর রহমান রাজু।

এর আগে মঙ্গলবার এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ওবায়দুলের বোন খাজিদা বেগম এবং ভগ্নিপতি খাদেমুল ইসলামকে আটক করেছে। রিশার মারা যাওয়ার পরপর তার পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মিরাটঙ্গী গ্রামে যাওয়া হলে তার বাড়িতে তালা ঝোলানো দেখা যায়। এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ৫ বছর আগে তার বাবা মারা গেছে। বাড়িতে থাকতো তার সৎ মা আখেলিমা, সৎ ভাই কালু ও আতিকুল। তবে তারাও এখানে সবসময় থাকতেন না। গত সোমবার দুপুরে স্থানীয় লাটের বাজারে তাকে অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু তখন পর্যন্ত বিষয়টি কেউ আঁচ করতে পারেনি। সোমবার রাতে পুলিশের অভিযানের পর বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ে। তবে তার আগেই সটকে পড়েছে ওবাইদুল।পরিবারের বাকি সদস্যরা বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়েছে।

প্রসঙ্গত, কাকরাইলে গত বুধবার বখাটে এক যুবকের ছুড়িতে আহত উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। মৃত্যুর আগে তাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ওবাইদুলকে অভিযুক্ত করে যায় সে।এই ঘটনায় রিশার মা বুধবারই ওবায়দুলকে আসামি করে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

f5f2d43daf087fedccdd8ed888f195a5-57c5f1b297424বহির্বিশ্ব: ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও মুখপাত্র আবু মুহাম্মদ আল-আদনানি নিহত হয়েছেন। আই-এস এর সংবাদসংস্থা আমাক নিউজ এজেন্সি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আমাক বলছে সিরিয়ার আলেপ্পোতে সামরিক হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে তিনি মারা যান। তবে তিনি বিমান হামলায় মারা গেছেন নাকি স্থল সেনাদের হামলায় তার বিস্তারিত জানায়নি আমাক। কোন ব্যক্তি দ্বারা এককভাবে আই-এসের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে পশ্চিমা বিশ্ব সহ অন্যান্য দেশে যেসব হামলা হয়েছে বলা হয়ে থাকে এসব হামলার ডাক প্রথম তার কাছ থেকেই এসেছিলো।
ইওরোপে বেশকটি হামলা সরাসরি তিনি নিজেই পরিকল্পনা করেছেন বলে বলা হয়ে থাকে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর আল-আদনানিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং তার সম্পর্কে তথ্যের বিনিময়ে পঞ্চাশ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিলো। আল আদনানির মৃত্যুর বিষয়টি ঐ অঞ্চলের ভবিষ্যতের জন্য এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। আই-এস এমন একটি সংগঠন যারা তাদের প্রচারণার ওপর খুবই নির্ভরশীল। আল আদনানি একইসাথে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠির হয়ে বহি:বিশ্বে নানা অপারেশন পরিচালনা এবং প্রচারণা দুটি দায়িত্বই পালন করতেন।
মার্কিন সূত্র মতে আদনানিই প্রথম কোনো বিদেশী যোদ্ধা যে ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধচারণ করেছিল। আল-আদনানির সর্বশেষ বার্তা শোনা গেছে মে মাসে। সেখানে তিনি মুসলিমদের পশ্চিমা বিশ্বে আক্রমণ করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বানাশ শহরে ১৯৭৭ সালে আল-আদনানির জন্ম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1472553161ডেইলি স্বাস্থ্য: উপকথায় দেখা যায় সাপে কাটা ব্যক্তি মারা গেলে, বেদের সর্দার বা বেদের মেয়ে বীণ বাজায়। বীণার অপরূপ সুরে বিষধর সাপটি খাল-বিল-নালা-জঙ্গল ভেদ করে তীরের বেগে ছুটে আসছে। যে লোকটিকে সে কামড়েছিল, তার কামড়ের স্থানে মুখ দিয়ে বিষ চুষে নিচ্ছে। বিষ চোষা হয়ে গেলে ধীরে ধীরে চোখ মেলে লোকটি, ফিরে পায় নতুন জীবন। অবাস্তব, অলৌকিক এই কাহিনীগুলো চলচ্চিত্রের কল্যাণে আসল সত্য থেকে আমাদের দূরে রাখে। সাপের কামড় মানেই মৃত্যু, এমন ধারণা অনেক দিন ধরেই ছিল আমাদের মধ্যে। সাপে ছোবল মারলেই মানুষ ছুটে যেত ওঁঝা আর বেদের কাছে। বাস্তবতার টানাপড়েনে এখন বেদে সম্প্রদায়কে তেমন আর দেখাই যায় না। মানুষও এখন অনেক সচেতন হয়ে উঠেছে। সাপে কামড় দিলে মানুষ ছোটে হাসপাতালে। অবশ্য অনেক অজপাড়াগাঁয়ে এখনো রয়ে গেছে কুসংস্কার। কামড়টি বিষাক্ত সাপের না হলে কারিশমা দেখিয়ে বাহবা কুড়ায় ওঁঝা। আর কামড়টি বিষাক্ত সাপের হলে দোষ পড়ে নিয়তির। ভুক্তভোগীকে মেনে নিতে হয় মৃত্যু। অথচ সময়মতো ব্যবস্থা নিলে বেঁচে যায় মূল্যবান প্রাণ।
সাপে কাটলে প্রথমেই দংশিত স্থানটি ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখতে হবে, ওটা বিষধর সাপের কি না। কারণ, বিষধর সাপের কামড়ের ক্ষত জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিষধর সাপের ওপরের দাঁতের গোড়ায় যে বিষথলি থাকে, কামড় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই বিষ ক্ষতের মাধ্যমে রক্তনালিতে প্রবেশ করে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
সাপের বিষের বিষাক্ত উপাদানসমূহ স্নায়ুকোষকে আক্রমণ করে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া প্রতিহত করে এবং পরিশেষে মানুষের মৃত্যু ঘটায়।
সব সাপ বিষধর নয়, অল্প কিছু সাপ বিষধর। ভারতবর্ষে ২১৬ প্রজাতির সাপ রয়েছে। এর মধ্যে বিষ থাকে মাত্র ৬৮ প্রজাতির সাপের। আমাদের বাংলাদেশে সাপ রয়েছে ৮০ প্রজাতির। তবে মজার কথা হলো, এদের একটি প্রজাতিও ১০০ ভাগ বাংলাদেশি নয়। এসব সাপ বিশ্বের অন্যত্রও দেখা যায়। বাংলাদেশে সবকিছু মিলিয়ে ২৭ প্রজাতির বিষধর সাপ রয়েছে। সচরাচর বিষধর সাপের মধ্যে রয়েছে গোখরা, কালকেউটে, চন্দ্রবোড়া ও শাকিনী। তাই এদের কাছ থেকে দূরে থাকাই ভালো।
বস্তুত দংশিত স্থানে কামড়ের দাগ দেখে সাপটি বিষধর কি না তা শনাক্ত করা সম্ভব। সব বিষধর সাপের সামনে দুটো বিষদাঁত থাকে, যা অন্যান্য দাঁত থেকে বড় এবং বাঁকানো। কোনো কোনো বিষধর সাপের দাঁত ইনজেকশনের সুচের মতো তীক্ষ্ণ। সাপের কিন্তু দাঁতে কোনো বিষ থাকে না। কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চোয়ালের পেছনের লালাগ্রন্থির পেশি সংকুচিত হয়। সেখান থেকে বিষযুক্ত লালা বিষদাঁতের ছিদ্রের মধ্য দিয়ে এসে দংশিতের শরীরে প্রবেশ করে। কিন্তু যেসব সাপ বিষধর নয়, তাদের সামনে এ রকম বড় দুটো দাঁত থাকে না। সাপে কামড়ালে যদি দংশিত স্থানে দুটো তীক্ষ্ণ গভীর দাগ থাকে, তাহলে বুঝতে হবে সেটা বিষধর সাপের কামড়। আর যদি সে রকম দাগের বদলে কেবল ছোট ছোট এক সারি দাগ থাকে, তাহলে বুঝতে হবে সাপটি বিষধর নয়।
গোখরায় কামড়ালে ছয় থেকে আট মিনিটের মধ্যে বিষক্রিয়া দেখা দেয়। দংশিত স্থান লাল হয়ে যায় এবং চাপ দিলে ব্যথা লাগে। কিছুক্ষণ পর সেখানে কিছুটা জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়। ২৫ মিনিট পর অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়। রোগীর ঘুম ঘুম ভাব আসে। রোগীকে কিছুটা মুমূর্ষু লাগে। তার পা দুর্বল হয়ে আসে এবং সে দাঁড়িয়ে থাকতে বা চলাচল করতে পারে না। ৩৫ থেকে ৫০ মিনিট পর রোগীর মুখে প্রচুর লালা ঝরে, এমনকি সে বমি করতে থাকে। তার জিহ্বা ও স্বরযন্ত্র ফুলে যায়। ফলে সে ঠিকমতো কিছু গিলতে বা কথা বলতে পারে না। দুই ঘণ্টা পর তার শ্বাস-প্রশ্বাস লঘু হয়ে আসে, তার জ্ঞান থাকে তবে কথা বলতে পারে না। পরিশেষে তার শ্বাসক্রিয়া ও হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যায়। কালকেউটে সাপে কামড়ালে গোখরার কামড়ের মতো উপসর্গ দেখা দেয় বটে, তবে দংশিত স্থানটি ফুলে ওঠে না কিংবা জায়গাটিতে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা অনুভূত হয় না। তবে রোগীর ঝিমঝিম ভাব আসে এবং তাকে মুমূর্ষু দেখায়। গোখরা, কেউটে, শঙ্খচূড় প্রভৃতি কোবরা শ্রেণির সাপের বিষে থাকে নিউরোটক্সিন নামক এক ধরনের রস যা স্নায়ুকে বিকল বা পঙ্গু করে দেয়। নিউরোটক্সিন দ্রুত কাজ করে, আর তাই এই শ্রেণির সাপের কামড়ে মৃত্যু দ্রুত হয়।
চন্দ্রবোড়া কিংবা ব্ল্যাটল সাপের দংশনে যন্ত্রণাবোধ হয়, দংশিত স্থানে জ্বালাপোড়া করে। চামড়া লালচে হয়ে ফুলে ওঠে, রক্তপাত হয়।
চন্দ্রবোড়া হলো ভাইপার শ্রেণির সাপ। এই শ্রেণির সাপের বিষে প্রধানত থাকে হিমোটক্সিন রস, যার কাজ হলো রক্তকণিকা ভেঙে দেওয়া এবং রক্তপাত ঘটানো। এর ফলে রক্তবমি, রক্তপায়খানা ও রক্তপ্রস্রাব হতে পারে। হিমোটক্সিন ধীরে কাজ করে বলে এই শ্রেণির সাপের কামড়ে মৃত্যু ধীরে হয়।
কী করণীয়:
১. মনে রাখবেন, সাপে কাটলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তাই রোগীকে ওই স্থানেই শুইয়ে দিন। রোগীর নড়াচড়া সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে, যাতে বিষ তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে না পড়ে।
২. সাপ যদি হাতে বা পায়ে কামড় দেয় তাহলে বাঁধন দিতে হবে। দংশিত স্থানের কিছুটা ওপরে দড়ি বা হাতের কাছে যা পান, তা দিয়েই বেঁধে ফেলুন। মনে রাখবেন বাঁধনটা যেন অস্থিসন্ধিতে যেমন কনুই, কবজি বা গোড়ালি এবং গলা বা মাথায় না হয়। যে দড়ি বা কাপড় দিয়ে বাঁধবেন তা যেন চওড়ায় দেড় ইঞ্চি হয়, কখনো তা যেন সরু সুতোর মতো বা রাবার ব্যান্ডের মতো না হয়। বাঁধনটি যেন খুব বেশি শক্ত না হয়। বাঁধনটি এমনভাবে দিতে হবে যেন একটা আঙুল ওই বাঁধনের মধ্য দিয়ে যেতে পারে। যদি বাঁধনটি শক্ত হয়, তাহলে ঢিলা করে দেবেন, তবে কখনোই তা খুলে ফেলবেন না। বাঁধনটি দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো রক্ত চলাচল বন্ধ রাখা। তবে বাঁধনটি একটানা ২০ মিনিটের বেশি একভাবে রাখবেন না। প্রতি ১০ মিনিট অন্তর তা আলগা করে দিতে হবে।
৩. দংশিত স্থানটি পরিষ্কার পানি দিয়ে ধোবেন।
৪. এবার জীবাণুমুক্ত ছুরি বা ধারালো ব্লেড দিয়ে দংশিত স্থান দুটোর প্রত্যেকটি সতর্কভাবে ১ সে. মি. লম্বা এবং ১ মি. মি. গভীরভাবে চিরে দিতে হবে।
৫. চেরা স্থানে ছয় মিনিট মুখ দিয়ে চুষলে তিন-চতুর্থাংশ বিষ বেরিয়ে আসে। তবে ৩০ মিনিট চোষাই ভালো। মুখ দিয়ে চোষার ক্ষেত্রে যিনি চুষছেন তার মুখে কোনো ক্ষত থাকা চলবে না। চোষার জন্য রাবার বাল্ব কিংবা ইলেকট্রিক সাকার শ্রেয়।
৬. বিষ চুষে বের করার পর দংশন স্থানে আয়োডিন টিংচার, কিংবা স্পিরিট লাগাতে হবে। স্থানটিতে এসিড কিংবা ফুটন্ত তেল দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৭. প্রাথমিক চিকিৎসার পর রোগীকে দ্রুত নিকটতম হাসপাতালে কিংবা স্থাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে, যেখানে অ্যান্টিভেনম সিরাম বা সর্পবিষনাশী সিরাম (যেমন হফকিনস পলিভ্যালেন্ট অ্যান্টিভেনম) মজুদ রয়েছে। প্রয়োজনে রোগীকে টিটেনাস বা ধনুষ্টঙ্কারের প্রতিষেধক দিতে হবে।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস ও ট্রমাটোলজি বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

14192044_861787680588117_5822164231371242785_nভিন্ন স্বাদের সংবাদ: আমাদের মাঝে কেউ কেউ এমন রয়েছি যাদের সকালে এক কাপ চা না হলে মনে হয় যেন দিনের শুরুই হয়নি। চা, কফি ও বিভিন্ন ক্যাফেইন এর প্রতি আমাদের অনেক বেশী আকর্ষণ থাকে। কিন্তু এই চায়ের মাঝে কত ধরণের যে উপাদান মেশানো যায় তা হয়ত আমাদের ধারণার বাহিরে। চায়ের দামও অনেক বেশী কিছু নয়। তবে পৃথিবীতে এমন কিছু চা রয়েছে, যার দাম শুনলে আপনারও চোখ কপালে উঠে যাবে।
আমরা যারা প্রতিদিন চা পান করি তারা নিজেদের ঘরে তৈরি করে চা পান করতে পছন্দ করি। এক কেজি চা পাতার মূল্য কত হতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সকলের কম-বেশী ধারণা রয়েছে। তবে চা-পাতা ক্রয় করার জন্য যদি লাখ টাকা খোয়াতে হয়, তাহলে আসলেই তা চিন্তার বিষয়।
চায়নার ডা হং পাও চা পান করার জন্য আপনার অবিশ্বাস্য মূল্য দিতে হবে। এই চা চীনের উইয়ি পর্বতমালায় চাষ করা হয়। এই চায়ের ঔষধি গুণাগুণ এর জন্য এটি অত্যন্ত বিখ্যাত। একবার মিং শাসকের অসুস্থতা দূর করার জন্য এই চা ব্যবহার করা হয়। এরপরই এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।
যেখানে এই চা জন্মায় সেখানে রয়েল লালা গাউন দ্বারা আচ্ছাদিত করে রাখা হয়। এর জন্য এই চা পাতাকে ইম্পেরিয়াল রেড রোবও বলা হয়। ডা হং পাও চা প্রতি কেজি ১.২ মিলিয়ন মূল্যে বিক্রয় করা হয়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল চা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

militaryবহির্বিশ্ব: ভারত ও আমেরিকা যাতে পরস্পরের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে রসদ ভরার ও মেরামতির জন্য অ্যাক্সেস পায়, তা নিশ্চিত করতে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এই চুক্তির ফলে দুই দেশের সামরিক বাহিনী একে অন্যের নৌ, বিমান বা সেনা-শিবিরগুলোতে গিয়ে নতুন শক্তিতে বলীয়ান হতে পারবে, সামরিক পরিভাষায় যাকে বলে ‘রিপ্লেনিশমেন্ট’।

স্ট্র্যাটেজিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক পরাক্রমের মোকাবিলা করার জন্যই ভারত ও আমেরিকা এই নজিরবিহীন প্রতিরক্ষা সহযোগিতার পথ বেছে নিয়েছে।

ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার ও তাঁর ভারতীয় কাউন্টারপার্ট মনোহর পারিক্কর পেন্টাগনে যে সমঝোতায় সই করেন, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনও চুক্তি আগে কখনও হয়নি।

এই চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর মি: কার্টার জানান, এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের ফলে দুদেশের যৌথ সামরিক অভিযান চালানো এখন অনেক সহজ হয়ে যাবে।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়, “গত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে এ এক অবিস্মরণীয় পালাবদল। এর ফলে আমাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এখন একটা অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে, এবং আমেরিকার দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে গেলে আমরা শুধু আমাদের দীর্ঘকালের ও ঘনিষ্ঠতম মিত্র দেশগুলোর সঙ্গেই এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকি।’’

মি: কার্টার গত এক বছরে যে বিদেশি মন্ত্রীর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন বলে নিজেই স্বীকার করেছেন – সেই ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্কর অবশ্য এটা বোঝাতেও সচেষ্ট ছিলেন যে এই চুক্তির ফলে আমেরিকা ভারতের মাটিতে সামরিক ঘাঁটি চালু করবে ব্যাপারটা মোটেও তা নয়।

এই চুক্তির ফলে দুই দেশের সামরিক বাহিনী একে অন্যের নৌ, বিমান বা সেনা-শিবিরগুলোতে গিয়ে নতুন শক্তিতে বলীয়ান হতে পারবে।

মি: পারিক্করের কথায়, “এর মাধ্যমে একে অন্যের মাটিতে কোনও মিলিটারি বেস তৈরি করবে না। তবে আমরা একে অন্যের বহরকে অবকাঠামোগত সুবিধা দেব – যেমন জ্বালানি বা অন্য রসদের সরবরাহ করা হবে যাতে যৌথ অভিযানে সুবিধে হয়, মানবিক সহায়তা বা ত্রাণ অভিযানের কাজেও পরস্পরকে সাহায্য করব।’’

তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মি: পারিক্কর বিষয়টার গুরুত্বকে একটু খাটো করে দেখাতে চাইলেও এই চুক্তি যে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সামরিক সম্পর্কে একটা নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছে তা নিয়ে সামরিক বিশেষজ্ঞরা প্রায় সবাই একমত।

ভারতের প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “আমরা এতদিন নন-অ্যালাইনড বা নিরপেক্ষ ছিলাম। কিন্তু এখন আমরা রাষ্ট্রীয় স্বার্থে আর নিরপেক্ষ থাকতে পারছি না, বরং আমেরিকার সাথে অ্যালাইনড হয়েছি – এই চুক্তির মধ্যে দিয়ে সেটাই মেনে নিলাম।’’

“তবে এখন আমাদের ডানদিক বাঁদিকও দেখতে হবে, রাশিয়ার মতো আমাদের যে সব পুরনো বন্ধু দেশ ছিল তারা নিশ্চয় তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে। সে সব দেখেশুনেই ভারতকে এগোতে হবে, যদিও এখনই সে ব্যাপারে কথা বলার সময় আসেনি।’’

আসলে এই চুক্তির মধ্যে যেমন রাশিয়ার মতো পুরনো ও আস্থাভাজন সামরিক মিত্রর কাছ থেকে ভারতের সরে আসার ইঙ্গিত আছে, তেমনি আছে চীনের মতো সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীর মোকাবিলার প্রস্তুতিও। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন জেনারেল রায়চৌধুরী।

তিনি আরও বলছেন, “এর আসল লক্ষ্য যে চীন তা তো দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। চীন বহুদিন ধরেই পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। পাকিস্তান আমাদের তাৎক্ষণিক শত্রু হতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে আমাদের টক্কর দিতে হবে চীনের সঙ্গেই।’’

এই বাস্তবতাটা অনুধাবন করেই ভারত আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
এই চুক্তির ফলে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে দেশের ভেতরে সামরিক স্বাধীনতার সঙ্গে আপস করার অভিযোগে সমালোচনার মুখে পড়তে হতে পারে বলেও অনেকে ধারণা করছেন।

কিন্তু বিশ্বের স্ট্র্যাটেজিক বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে দিল্লি যে এখন তাদের বহু বছরের সামরিক কূটনীতিতেও পরিবর্তন আনতে তৈরি, এই চুক্তি তারই প্রমাণ। খবর-বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

da1bdd7f9e712e5f7bb5e467820c814d-579b8c78c30faস্বদেশ: গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরীর আধ্যাত্মিক গুরু শায়খ আবুল কাশেমের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দারা। কাশেমের ইন্ধন ও প্ররোচনায়তেই তামিম চৌধুরী জঙ্গিতে উদ্বুদ্ধ হয়।

গোয়েন্দারা জানান, গ্রেফতার এড়াতে এক স্থানে বেশি সময় অবস্থান করছেন না কাশেম। তবে তাকে গ্রেফতারে গোয়েন্দারা সব ধরনের চেষ্টা করছে। কাশেম যেন দেশত্যাগ করতে না পারে সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে বলেন, জঙ্গি হামলার ঘটনা তদন্তে ৮/১০ জনের নাম এসেছে। তারা মাস্টারমাইন্ড পর্যায়ের না, তবে তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে সহায়তা করে আসছে। তাদের মধ্যে ৪/৫ জন ইতোমধ্যে গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে।

জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অভিযান ‘হিট স্ট্রং ২৭’-এর পর ওই চার জঙ্গি সহযোগীকে শনাক্ত করা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1472557445বিনোদন: এ বছর বলিউড বক্স অফিসে রাজত্ব করা ছবি ‘সুলতান’। ছবিটিতে নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেতা সালমান খান। ছবিটি পরিচালনা করেছেন আলী আব্বাস জাফর।

ভারত ও বিশ্বজুড়ে ৫৮৪ কোটি রুপি আয় করে ছবিটি। বলিউডের সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘সুলতান’-এর অবস্থান চতুর্থ।

গত ৬ জুলাই বিশ্বজুড়ে মুক্তি দেওয়া হয় ‘সুলতান’। যশ রাজ ফিল্মসের ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন আদিত্য চোপড়া। ছবিটিতে সালমানের বিপরীতে অভিনয় করেন আনুশকা শর্মা। ‘সুলতান’ ছবিতে হরিয়ানার কুস্তিগীর সুলতান আলী খানের ভূমিকায় অভিনয় করেন সালমান।

২০১৫ সালের জুনে ‘সুলতান’ ছবিটি নির্মাণের ঘোষণা দেয় যশ রাজ ফিল্মস। ছবির জন্য সালমান খানকে কুস্তির প্রশিক্ষণ দেন লার্নের স্টোভাল। শুরুতে শোনা গিয়েছিল ছবিতে সালমানের প্রশিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করবেন হলিউড অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোন। এরপর শোনা গিয়েছিল সঞ্জয় দত্তের নাম। তবে সবশেষে সালমানের প্রশিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করেন অভিনেতা রণদীপ হুদা।

আবার ছবিটির মূল নারী চরিত্রে কে অভিনয় করবেন তা নিয়ে অনেকদিন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি প্রযোজক। এরই মধ্যে সালমান খান ছবিটির কাজ শুরু করে দেন। অবশেষে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে জানানো হয় সালমানের বিপরীতে অভিনয় করবেন অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। এটাই ছিল সালমান খানের সঙ্গে আনুশকরা প্রথম কাজ। সালমান খানের মতো আনুশকা শর্মাকেও কুস্তির জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হয়। ছবির ‘বেবি কো বেজ পছন্দ হ্যায়’ গানটির শুটিং চলাকালে সেটে এসেছিলেন শাহরুখ খান। এই গানটির কোরিওগ্রাফি করেন ফারাহ খান।

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এনডি স্টুডিওতে শুরু হয় ছবিটির শুটিং। ছবিটির শুটিংয়ের জন্য আলাদা করে গ্রামের সেট তৈরি করা হয়। ৩০০ কর্মী মিলে তৈরি করেন এই সেট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest