সর্বশেষ সংবাদ-
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিত

picture-kaliganj-satkhira-8-nov
এস,এম,আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু: কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি’র চালের কার্ড বিতরণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়াগেছে। এ ঘটনায় প্রকৃত হতদরিদ্র ব্যাক্তিরা বঞ্চিত হয়েছে এবং দেখা দিয়েছে হতাশা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঐ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বর রেজাউল ইসলাম হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি’র চালের কার্ড বিতরণে চরম দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি করেছেন। প্রকৃত দরিদ্ররা এই কার্ড থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বিত্তশালীরা এই কার্ডের চাল উত্তোলন করায় সরকারের কর্মসূচীর মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি হতদরিদ্রদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে হতাশা। এলাকাবাসির অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বর রেজাউল ইসলাম কার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে নিজস্ব লোককে তালিকাভুক্ত করেছেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে কার্ড দেয়ার নামে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২ থেকে ৩শ’ টাকা হারে উৎকোচ নিয়েছেন তিনি। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন জানা যায়, ১০ টাকা কেজি’র চালের কার্ড পেয়েছেন চালিতাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল গফুর সরদারের ছেলে শরিফুল ইসলাম। তার ৬ বিঘা জমি রয়েছে। আছে পাকা বাড়ি। একই গ্রামের আকিমুদ্দীন গাজীর ছেলে ওয়াজেদ আলী গাজীর আছে ২ বিঘা জমি ও মাছের ঘের। মৃত ইসতুল্যা সরদারের ছেলে এবাদুল সরদারের আছে পাকা বাড়ি, ৪ বিঘা জমি ও ইটের ব্যবসা। মৃত আবুল কাশেম খানের ছেলে মুজিবর রহমান খানের আছে পাকা বাড়িসহ ৩ বিঘা জমি। রওশন গাজীর মেয়ে চায়না খাতুনের স্বামী বিদেশে কর্মরত। তার আছে পাকা বাড়ি ও ৪ বিঘা জমি। নূর মোহাম্মদ গাজীর ছেলে মনিরুল ইসলামের আছে পাকা বাড়ি, ৪ বিঘা জমি ও বড় মুদি দোকান। অপরদিকে আক্কাজ গাজীর ছেলে গফুর গাজীর নামে কার্ড তালিকাভুক্ত করা হলেও চালিতাবাড়িয়ায় ওই পরিবারের অস্তিত্ব নেই। মারকা গ্রামের শাহাজান মীরের স্ত্রী সাবিনা খাতুনকে কার্ড দেয়া হয়েছে। অথচ তার পাকা বাড়িসহ ১৫ বিঘার মাছের ঘের আছে। একই গ্রামের মৃত রজব আলী শেখের ছেলে লিয়াকত আলী শেখের রয়েছে পাকা বাড়ি, ১০ বিঘার মাছের ঘের ও মোটর সাইকেল। স্বরাব্দিপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ পাড়ের স্ত্রী সেলিনা বেগমের রয়েছে পাকা বাড়িসহ ৭ বিঘা জমি। একই গ্রামের মৃত মঙ্গল গাজীর ছেলে আব্দুল বারী গাজীর রয়েছে পাকা বাড়ি, ২ বিঘা জমি ও মুদি ব্যবসা। কুখাডাঙ্গা গ্রামের আমজিয়ার রহমানের ছেলে আনারুল ইসলামের রয়েছে পাকা বাড়িসহ ৪ বিঘা জমি। আরও অনেক ব্যক্তি অনিয়মের মাধ্যমে কার্ড পেয়েছেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে চালিতাবাড়িয়া গ্রামের হতদরিদ্র আব্দুল মান্নান পাড়, তার স্বামী পরিত্যক্তা অসহায় মেয়ে খাদিজা খাতুন, কুখোডাঙ্গা গ্রামের জিয়াদ গাজীর ছেলে দিনমজুর রবিউল ইসলামসহ অনেক নিঃস্ব ব্যক্তি ১০ টাকা কেজির চাল থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এই অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে দায়িত্ব প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রকৃত দুস্থ, হতদরিদ্র, প্রতিবন্ধি ও ভিখারীদের মাঝে উক্ত চালের কার্ড বিতরণসহ ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বর রেজাউল ইসলাম কার্ড বিতরণে অর্থ নেয়ার বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, কিছু ব্যক্তির কার্ড সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ফুড গোডাউনের কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেছেন। সেখানে চেয়ারম্যান সাহেব, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সেক্রেটারী, নলতা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান সেলিম সাহেবসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছিলেন। পূণরায় যাচাই বাছাই করে কিছু নাম বাদ দিয়ে ও কিছু নাম যুক্ত করে নেতৃবৃন্দ নতুন তালিকা করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি জানতে চাইলে ভাড়াশিমলা ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ বিশ্বাস বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) তদন্ত করেছেন। বড় ধরণের কোন অনিয়ম পাওয়া যায়নি। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গফুর, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, মেম্বর রেজাউল ইসলাম সবাই মিলে তালিকা করেছেন। চাহিদার তুলনায় কার্ড স্বল্পতা থাকায় দু’একজন দরিদ্র মানুষ বাদ যেতে পারে পরে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানার জন্য ওসিএলএসডি (কালিগঞ্জ) হুমায়ন বাসিত চৌধুরীর সঙ্গে মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

4
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আব্দুস সোবহান স্যার আর নেই। তিনি বাধ্যক জনিত কারনে সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় সাতক্ষীরা শহরের নারিকেলতলা মোড়স্থ তাঁর নিজস্ব বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। মরহুমের মৃত্যুতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটায় কলারোয়া সরকারি কলেজ মাঠে প্রথম জানাজা ও সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জানান নামাজের ইমামতি করে মাওলানা মো: ছাইফুল্লাহ আনোয়ার। পরে তাকে নিজ গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা সদরের মাহমুদপুর ফুটবল ময়দানে দুপুর ২ টায় তৃতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলার কামারালী হাই-স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়ার সহকারী শিক্ষক ইদ্রিস আহম্মদ গাজী (৭০) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে..রাজেউন)। সোমবার সন্ধ্যায়  সাড়ে ৯ টার দিকে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি উপজেলার মীরডাঙ্গা গ্রামের ইনাতউল্লার গাজীর ছেলে। মরহুম শিক্ষকের বড় ছেলে জানান, তার বাবার বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিল তবে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বুকে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করছে বলে জানালেন। পরে তারা গ্রাম্যে ডাক্তারদের পরামর্শে চিকিৎসা নিতেছিল। এমতবস্থায় সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি আরো জানান, ডাক্তাররা তাদেরকে জানিয়েছিলো তার বাবা ইদ্রিস আহম্মদ গাজী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ তার সহকর্মিরা তাকে এক নজর দেখার জন্য বাড়িতে ছুটে আসে। এ সময় সেখানে এক বেদানায়ক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী,৫পুত্র ২ কন্যাসহ আতœীয় স্বজন, বন্ধু, সহকর্মি, ছাত্র/ছ্ত্রাী ও শুভান্যুধায়ী রেখে গেছেন। তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc04964-large
নিজস্ব প্রতিবেদক:  সাতক্ষীরা জেলা বি.এন.পি একাংশের উদ্যোগে বিপ্লব ও সংহতি দিবস আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে শহরের একে ট্রাভেলস্  কার্যালয়ে জেলা বি এনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি’র সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র নেতা কর্মীরা জেল জুলুম হত্যার ভয় পায়না। বিগত পাঁচটি বছর এই আওয়ামী দূঃসাশনের সরকার বিএনপি নেতা কর্মীদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। জেল জুলুম, অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়েছে বিএনপির নেতা কর্মীদের উপর। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিকরা সদা জাগ্রত। আমরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে রাজনীতি করিনা। সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির এক অংশের নেতাকর্মীরা রাম কানাইয়ের গন্ডির মধ্যে রাখতে চায় নেতাকর্মীদের। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রকৃত সৈনিকরা কখনো গন্ডির মধ্যে রাজনীতি করিনি আর করবেও না। হাজার চেষ্টা করেও জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীদের দমন করতে পারিনি আওয়ামী সরকার। আর কত নেতা কর্মীকে গুলি করবে হত্যা করবে, জেলে ভরে রাখবে। জাতীয়তাবাদী দলের লাখো সৈনিক জনতা সম্মিলিতভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লড়াই করে যাবে। আমরা শহীদ জিয়াউর রহমানের আদশ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে দল ও দলের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশমত আন্দোলন সংগ্রাম করি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এড. আবুল হোসেন (২), সদর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুজিদ, জেলা জাসাসের সভাপতি এড. সৈয়দ একলেছার আলী বাচ্চু, জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি ইউছুফ আলী, পৌর কাউন্সিলর শাহিনুর রহমান শাহিন, জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা এড. আকবার আলী প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর শফিকুল আলম বাবু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

তালা প্রতিনিধি : তালায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট  হয়ে সোমবার রাতে শিক্ষক মনোরঞ্জন দাসের এর বাড়ি আগুন লেগে কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শিক্ষক মনোরঞ্জন দাস উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের আটঘোরা গ্রামের অনিল কৃষ্ণ দেবনাথের পুত্র। সে আটঘোরা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মফিদুল হক লিঠু জানান, গত সোমবার রাতে মনোরঞ্জনদের বাড়ি ওর মা ছাড়া কেউ ছিলো না। সে হঠাৎ করে ঘরের পূর্ব পার্শ্বে পোড়া গন্ধ শুকে তাকিয়ে দেখে আগুন জ্বলছে। এসময় সে সজ্বরে চিৎকার করে ছুটে বাইরে চলে আসে। তার আত্মচিৎকার স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে কলস, বাতলি, জগ ভরে পানি মারতে শুরু করলে এক পর্যায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। কিন্তু ততক্ষনে আগুনে পুরো ৩ টি ঘরের আসবাবপত্র,দলিল ফাইলপত্র সহ গুরত্বপূর্ন কাগজ, খাবার, কাপড়চোপড় সব পুরে ছাই হয়ে যায়। এসময় ঘরে থাকা বেশ কিছু ক্যাশ টাকাও পুড়ে যায়। সবমিলে আনুমানিক ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি শোনার পর তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, জেলা আ.লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মফিদুল হক লিঠু ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষকের বাড়িতে উপস্থিত হন এবং সমবেদনা জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

তালা প্রতিনিধি : তালা সরকারি কলেজ মাঠে আন্তঃ ইউনিয়ন ইউএনও কাপ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ৩য় খেলা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার  বিকালে উক্ত খেলায় খলিলনগর ইউনিয়ন ফুটবল একাদশ ১-০ গোলের ব্যবধানে জালালপুর ইউনিয়ন ফুটবল একাদশকে পরাজিত করে। খেলায় খলিলনগর ইউনিয়ন ফুটবল একাদশের সৈকত ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন। খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার। সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন তালা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নেছা খানম, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ এনামুল ইসলাম, শালিখা কলেজের অধ্যক্ষ বিধান সাধু, তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন, খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুর রহমান রাজু, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু, খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু, রিপোটার্স ক্লাব ও তালা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মীর জাকির হোসেন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কাজী আমিনুল হক আফরা,বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হরিদাস মালাকার বেকহ্যাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সরদার মশিয়ার রহমান এবং তালা বাজার বণিক সমিতির সদস্য বিনয় শীল প্রমুখ। খেলায় রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস এবং ধারাভাষ্য প্রদান করেন শিক্ষক শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর। শত শত দর্শক উক্ত আকর্ষনীয় খেলাটি উপভোগ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

mlm
তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ৯ জেলে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড় নাডার কবলে পড়ে মারা গেছে বাসুদেব অধিকারী (৩৫) নামের এক জেলে। সে উপজেলার বাউখোলা গ্রামের বিমল অধিকারীর ছেমেঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।  এদিকে উক্ত ঝড়ে ৩ জন প্রাণে বেঁচে গেলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৫ জেলে। তারা হলো বাউখোলা গ্রামের সন্তোষ অধিকারীর পুত্র শ্রীপদ অধিকারী (৩৪), ষষ্ঠীধরের পুত্র পিন্টু অধিকারী (২৬),একই গ্রামের তমেজ উদ্দিনের পুত্র হাসান আলী (৩৭),শ্রীমন্তকাটি গ্রামের কুঞ্জ বিশ্বাসের পুত্র উত্তম বিশ্বাস (২৬) এবং খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কাশিম নগর গ্রামের উত্তমের পুত্র কুমারেশ (২৮)। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও এখনো তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ সময় ২টি ট্রলারের মধ্যে ১টি ট্রলার ভাংগাচোরা অবস্থায় পাওয়া গেলেও একটির কোন হদিস মেলেনি। নিহতের স্বজরা জানায়, উপজেলার পরানপুর, বাউখোলা, চাঁদকাটি, শ্রীমন্তকাটি, গোনালী নলতা ও পাইকগাছা উপজেলার কাশিমনগর  গ্রামের ৯ জেলে প্রায় এক মাস পূর্বে ২টি ট্রলার যোগে সাগরের আলোরকোল নামক স্থানে মাছ ধরতে যায়। গত ৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার)  ঘূর্ণিঝড় নাডার কবলে পড়ে ট্রলারগুলি সাগরে তলিয়ে যায়।  এ সময় ৯ জেলের মধ্যে ৪ জন জেলে কোন রকমে প্রাণে বেঁচে থাকলেও সোমবার রাতে বাসুদেব অধিকারী (৩৫) নামের এক জেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিখোঁজ ৫ জনের এখনও কোন হদিস পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সন্তানের জনক বাসুদেব অধিকারীর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। তাঁর স্ত্রী ,শিশুপুত্র, মা, বাবার কান্নায় এলাকার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। তালা থানার ওসি মোঃ ছগির মিঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার ও ইসলামকাটি ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র সেন নিহতের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের স্বান্তনা দেন এবং  নিখোঁজ ব্যক্তিদের বাড়ীতে গিয়ে তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার বিখ্যাত জমিদার বাবু ফনিভূষন মন্ডল স্মৃতি ৪০ উদ্ধ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনীয় খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে দেবহাটা মডেল হাই স্কুল মাঠে উপজেলা আওয়ামীগের যুগ্ম সম্পাদক আনারুল হকের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ২য় বছরের ন্যায় উক্ত খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উদ্বোধনীয় খেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে খেলার উদ্বোধন করে সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আফসার আলী মাস্টার, প্রভাষক ইয়াসিন আলী। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও খেলার আহাবায়ক আনারুল হক, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ বাবু সরৎ কুমার ঘোষ, দেবহাটা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, ইউপি সদস্য মোক্তার হোসেন, মাহবুব রহমান বাবলু প্রমূখ। উদ্বোধনীয় খেলায় ভাতশালা ও টাউনশ্রীপুর ফুটবল একাদশ অংশ গ্রহণ করে। খেলার শেষ পর্যায়ে টাউনশ্রীপুর ফুটবল একাদশ ভাতশালাকে ২-০ গোলে পরাজিত করে। খেলার রেফারির দায়িত্ব করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার রেফারি রফিক হোসেন, সহকারী রেফারি ছিলেন মিজানুর রহমান ও দিলিপ কুমার এবং ধারাভাষ্য প্রদান করেন শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest