সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

02প্রেস বিজ্ঞপ্তি: হেমন্তের হাল্কা শীতে জমে উঠেছে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বার্ষিক নির্বাচন। মনোনয়ন পত্র বিক্রির শেষ দিনে গতকাল মঙ্গলবার ১৩টি পদের বিপরীতে ৩৭টি মনোনয়নপত্র বিক্রয় হয়েছে। আগামী ১ ডিসম্বর বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুর আহমেদ মাছুম জানান, সভাপতি ও সাধরণ সম্পাদকসহ অন্যান্যপদে মোট ৩৭ টি মনোনয়ন পত্র বিক্রয় করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র বিক্রির সময় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচন কমিশনার ফারাজী বেনজীর আহমেদ, জেলা তথ্য অফিসার ও নির্বাচন কমিশনার শেখ শাহানওয়াজ করিম উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি সাতক্ষীরা ও দৈনিক আজকের সাতক্ষীরায় প্রকাশিত “সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির বাংলা বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন, বাংলা শিক্ষকের হাতে মাতৃভাষার এমন বেহাল দশা!” শিরোনামে গতকাল একটি প্রতিবেদক প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশ্নপত্রে ব্যাপক ভুলের জন্য সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, পরীক্ষা কমিটি ও প্রধান শিক্ষক সকলের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ছাপাখানার ফ্রন্ট সমস্যার কারণে প্রশ্নে এধরনের মারাত্মক ভুল হয়েছে বলে বলেন তারা। ভবিষ্যতে এধরনের ভুল আর হবে নাÑ এমন অঙ্গীকার করেছেন তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

satkhira-photo-28-11-16
নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে পানি ব্যবস্থাপনার উপর সাতক্ষীরায় দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ হল রুমে বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা দলিত (“ওয়াটার ফর ফুড ইন দ্য কোস্টাল এরিয়া অব সুন্দরবনস্ ইন্ডিয়া এন্ড বাংলাদেশ” প্রকল্পের আওতায়) এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রিফাত আমিন। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নুর হোসেন (সজল) এর সভাপতিত্বে উক্ত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, মৃত্তিকা গবেষক সচিন্দ্র নাথ বিশ^াস, বিনা সাতক্ষীরার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরাফাত তপু ও দলিতের সহকারি পরিচালাক বাসন্তী লতা দাস প্রমূখ। এসময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ^ বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম কুদ্দুস। কর্মশালায় জলাবদ্ধ জমিতে সবজি চাষের উপর সফলতা তুলে ধরে সকলকে নিজ নিজ জমিতে সবজি আবাদের আহবান জানানো হয়। এতে বলা হয়, কচুরিপানা দিয়ে ৩০মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩মিটার প্র¯্য’ বেড তৈরি করে যে কোন সবজি চাষ করা সম্ভব। পাশাপাশি সেখানে মাছও উৎপাদন হবে। যা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা সুসংসহত করবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

3333
নিজস্ব প্রতিনিধি: আসন্ন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনী করচ কমানের দাবিতে সাতক্ষীরায় ন্যাপের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে জেলা ন্যাপের সভাপতি হায়দার আলীর শান্ত’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী সাইদুর রহমান, জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার কাজেম আলী, ভূমিহীন উন্নয়ন সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার ও ভূমিহীন উন্নয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ প্রমুখ। আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনী ব্যায় ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করার প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, ১ হাজার ৫১ ভোটের জন্য ৪৮ হাজার টাকায় ভোটার লিস্ট গ্রহণ ও জামানাত বাবদ ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গরীব প্রার্থীরা যাতে করে জেলা পরিষদ নির্বাচন না করতে পারে সে জন্য এটি করা হয়েছে। বিষয়টি হাস্যকর ছাড়া কিছু না। এসময় বক্তারা মায়ানমারে মুসলমানদের হত্যা, নির্যাতন ও অত্যাচারের প্রতিবাদ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

6d879b407edaab0e98f23f7d77543b42-583c46045a37cঅনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের ত্রুটির ঘটনায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী অসন্তোষের মুখে পড়েছেন। সোমবার জাতীয় সংসদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে। কমিটি ত্রুটির ঘটনা তদন্ত করে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের সুপারিশ করছে।
ফারুক খানের সভাপতিত্বে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কমিটির সদস্য মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মো. আলী আশরাফ এবং তানভীর ইমাম বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে উপস্থিত থাকা এক সংসদ সদস্য বলেন, ‘বৈঠকে এ ঘটনায় সবাই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটে একের পর এক বিপত্তি মন্ত্রণালয়ের সঠিক পর্যবেক্ষণ থাকলে হতো না।’
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, “সংসদীয় কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। কিছুদিন পূর্বে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার সময়ে রানওয়েতে সমস্যা হয়েছিল। বৈঠকে আমরা জানতে চেয়েছিলাম সেই ঘটনার যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? তারা (মন্ত্রণালয়) জানায়, ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি যে ধরনের ‘ইরেসপনসিবল বিহেবিয়ার’ করা হয়েছে তাতে আরও শাস্তি দেওয়া উচিত ছিলো।”

প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে সৌদি আরব থেকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের আগ মুহূর্তে রানওয়েতে কিছু দেখতে পেয়ে অবতরণ না করে ফের আাকাশে উড্ডয়ন করে। রানওয়ে পরিস্কার করার পর প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজটি অবতরণ করতে প্রায় ২০ মিনিট দেরি হয়।

এদিকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ‘অসন্তোষ’ এর কথা স্বীকার করেছেন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কমিটির সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আমাকে দায়ী করে কথা বলেছেন, এতে লজ্জার কিছু নেই।’
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের ত্রুটি সম্পর্কে তথ্য নেওয়ার জন্য উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িং এবং এয়ারক্রাফট ইঞ্জিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেকট্রিকের (জিই) কাছ থেকে তথ্য নিতে মন্ত্রণালয়ের প্রতি সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ত্রুটির বিষয়ে বোয়িং এবং জিই’র সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

ফারুক খান বলেন, ‘এই উড়োজাহাজগুলো অত্যাধুনিক। এর যে ফ্লাইট রেকর্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ যেমন রিপোর্ট পাচ্ছে একইভাবে জিই ও বোয়িংয়ের কাছেও যাচ্ছে। আমরা বলেছি তাদের কাছ থেকে ডাটা কালেক্ট করো। এর পরে সম্পূর্ণ ডাটা বিশ্লেষণ করো বের করা হবে এ ঘটনা কেন, কিভাবে হয়েছিলো। বিশেষভাবে কেউ দায়ী কিনা। মন্ত্রণালয়, বিমান, ও বেবিচকের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর প্রয়োজন হলে সংসদীয় কমিটিও তদন্ত করবে।’

এর আগে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংসদীয় কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পরা এবং জরুরি অবতরণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে তদন্ত রিপোর্ট সংসদীয় কমিটিকে অবহিত করার এবং রিপোর্ট অনুযায়ী দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের সুপারিশ করা হয়। ভবিষ্যতে মন্ত্রণালয়কে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের পরামর্শ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য আলাদা বিমান কেনার জন্যও প্রস্তাব করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

8cb64ced7622b6357ff28cba7d40328a-583ce2452e5c7অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী মার্কিনবিরোধী সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবেই পরিচিত লাতিন আমেরিকার দেশ কিউবা। ১৯৫৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত অবরোধ-বৈরিতার মধ্য দিয়েই এগিয়ে চলেছে প্রয়াত বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রোর দেশ। নানা কারণেই সমাজতান্ত্রিক দুনিয়ার রাজনীতিক ও অভিজ্ঞরা গিয়েছেন কাস্ত্রোর দেশে। অনেকের মতো বাংলাদেশ থেকেও ওই দেশ সফর করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ মেনন ও অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তারা বলেন, ফিদেলের শাসনামলেই কিউবা বিশ্বে শিক্ষা ও চিকিৎসায় অনন্য অবস্থান অর্জন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো সামরিক শক্তিশালী দেশকে পাশে রেখে কেবল জনগণের ওপর ভরসা করে দেশ পরিচালনা করাই ছিল কাস্ত্রোর সফলতার মূল উপাদান।

জানতে চাইলে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আমি যখন কিউবা যাই, তখন সেখানে মার্কিন অবরোধ প্র্যাকটেক্যালি চূড়ান্ত পর্যায়ে। শুধু মার্কিনই নয়, তারা পশ্চিমা মিত্রদের বাধ্য করছিল অবরোধ মেনে নিতে। ফলে ওই সময় তেল, চিনিসহ অন্যান্য দ্রব্য পাওয়া যায় না। আমরা যখন গেলাম, এরইমধ্যে সরকার এসব ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছে, সফলতাও পাচ্ছে। আমি বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলাম, কিভাবে অবরোধের মধ্যেও অর্থনীতিকে সচল রাখতে হয়।’
কিউবা তিনবার সফর করেছেন ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। ১৯৯৭ সালে প্রথমবার যান। আর তৃতীয়বার ২০০০ সালে আমন্ত্রিত আন্তর্জাতিক কিউবা সংহতি সম্মেলনে অংশ নিতে সেখানে যান তিনি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ওই সময় অবরোধের মধ্যেও স্বাস্থ্যখাতের ব্যাপ্তি ঘটেছে। নতুন নতুন ওষুধ আবিষ্কার করা হয়েছে। ওই সময় দেশটির পাড়া-মহল্লায় গেছি, মানুষের মধ্যে তীব্রভাবে সমাজতন্ত্রের পক্ষে রয়েছে। এত কষ্টের মধ্যেও কোনও অভিযোগ করছে না। শিশু ও বৃদ্ধদের খাবারের যেন অভাব যেন না হয়, সেটা তারা নিশ্চিত করেছে। ফলে, শিশু ও বৃদ্ধদের খাবারের কোনও অভাব ছিল না।’
২০০৫ সালে কিউবা সফর করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। প্রায় এক মাস তিনি সেখানে অবস্থান করেন। দেশে ফিরে তিনি ‘বিপ্লবের স্বপ্নভূমি কিউবা’ নামে একটি গ্রন্থও লেখেন। ২০০৭ সালে বইটি প্রকাশিত হয়। ওই সময় ‘অসুস্থ’ থাকায় ফিদেলের সঙ্গে আনু মুহাম্মদের দেখা হয়নি।
কিউবা সম্পর্কে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘প্রায় এক মাসের সফরে আমি কিউবার পাড়া-মহল্লা, অর্থনৈতিক অবস্থাসহ নানা বিষয় দেখেছি। মানুষের ওপর ভরসা না থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের মতো সামরিক শক্তিশালী দেশের সঙ্গে একজন শাসকের পেরে ওঠা সম্ভব না। ফিদেল কাস্ত্রো যেটি দেখিয়েছেন। ’
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ তার এ বছরের মার্চে প্রকাশিত ‘ওবামার কিউবা সফর: কিউবায় যুক্তরাষ্ট্র, কে কাকে বদলাবে?’ শীর্ষক প্রবন্ধের একটি অংশ উদ্ধৃত করে বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় দানবীয় শক্তির ক্রমাগত আক্রমণ ও চক্রান্তের মুখে কিউবার টিকে থাকাই এক বিস্ময়। কিউবা শুধু টিকেই থাকেনি, পরিবেশসম্মত কৃষিব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বে মডেল হয়েছে। সব নাগরিকের জন্য খাদ্য, বাসস্থান, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে।’ তিনি বলেন, ‘বর্ণবাদ, যৌনবাদের গোড়ায় আঘাত করেছে কিউবা। চিকিৎসা-প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনায় কিউবা এখন বিশ্বের ১ নম্বর দেশ। এই জ্ঞান ও সেবা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে কিউবার প্রায় ৫০ হাজার চিকিৎসক বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন। চিকিৎসা-প্রযুক্ত খাতে মহাসম্পদশালী যুক্তরাষ্ট্র থেকেও এগিয়ে কিউবা।’
কাস্ত্রোর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘১৯৯৭ সালে আমি প্রথম বিশ্ব আন্তর্জাতিক কিউবা সংহতি সম্মেলনে আমি গিয়েছিলাম। ওই সময় কাস্ত্রোকে সরাসরি দেখি, তার সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কথা বলার সুযোগ হয়।’ তিনি জানান, ‘ওই সফরে তার সঙ্গে ব্যারিস্টার লুৎফুর রহমান, ফয়েজ আহমদসহ কয়েকজন কিউবা গিয়েছিলেন।’
শাসক হিসেবে কাস্ত্রোর প্রশংসা করে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘কিউবার মানুষ তো ফিদেল বলতে অজ্ঞান, ফিদেল তাদের ত্রাতা, ফিদেল তাদের নেতা।’ ফিদেলের সমালোচকদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যাদের সম্পদ জাতীয়করণ করা হয়েছে, তারাই ফিদেলের সমালোচনা করেন।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

shilpa-shettyবিনোদন ডেস্ক: সবাইকে সব কিছু জানতেই হবে, এমন কোনও মানে নেই। সারা পৃথিবীর সমস্ত জ্ঞান একা কোনও মানুষের পক্ষে অর্জন করা অসম্ভব। কিন্তু তাই বলে কোনও বিষয় সম্পর্কে ভালভাবে না জেনে দুমদাম মন্তব্য করাটা তো আর কাজের কাজ নয়! যদিও ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের অধিকার প্রত্যেক মানুষেরই রয়েছে, কিন্তু সে মতামত চূড়ান্ত হাস্যকর প্রতিপন্ন হলে প্রকাশ্যে খিল্লি হওয়া কে আটকায়!

বিশ্বসাহিত্য সম্পর্কে নিজের অজ্ঞানতার প্রমাণ দিয়ে টুইটারে প্রবলভাবে হাসির খোরাক হলেন শিল্পা শেট্টি। সম্প্রতি একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত আর্টিকলে শিল্পা লেখেন যে, জর্জ অরওয়েল-এর লেখা বিখ্যাত রাজনৈতিক উপন্যাস ‘অ্যানিমাল ফার্ম’ শিশুদের পাঠ্য হওয়া উচিত কারণ এই বই পড়ে অন্যান্য জীবজন্তুর প্রতি শিশুদের স্নেহ-ভালবাসা বাড়বে।

১৯৪৫ সালে লেখা অরওয়েলের এই উপন্যাসটি বস্তুত পূর্বতন সোভিয়েত রাশিয়ায় স্তালিন জমানার একটি তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গাত্মক সমালোচনা। যেহেতু এখানে মূল চরিত্র দু’টি শূকরছানা, শিল্পা বোধহয় তাই ভেবে বসেছেন যে এটি বাচ্চাদের বই। পৃথিবীতে তিন ধরনের বই-পড়িয়ে রয়েছেন— একদল যাঁরা মন দিয়ে পুরো বইটি পড়েন, দ্বিতীয় দল যাঁরা বইয়ের কয়েকটি পাতা পড়ে বাকিটা আপন মনের মাধুরী মিশায়ে কল্পনা করে নেন এবং তৃতীয় দল, যাঁরা বইয়ের ব্যাককভারে লেখা সিনপসিস পড়ে ও এদিক-ওদিক থেকে বই সংক্রান্ত আর্টিকল-সমালোচনা পড়ে বইবোদ্ধা হয়ে ওঠেন।

শিল্পা রয়েছেন দ্বিতীয় দলে এবং সেটাই সবচেয়ে ভয়ানক ওঁর পক্ষে তো বটেই এবং ওঁর সন্তানসন্ততি ও কাছের মানুষের পক্ষেও যাঁরা ওঁর কাছ থেকেই জীবনের নানা দিক সম্পর্কে শিক্ষিত হন। নিজের অশিক্ষা তিনি এইভাবে তাঁর কাছের মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে দিচ্ছেন। শিল্পার এই বিখ্যাত উক্তি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই টুইটারে ‘শিল্পা শেট্টি রিভিউজ’ নামে একটি হ্যাশট্যাগ তৈরি হয়েছে। এই হ্যাশট্যাগ দিয়ে বিশ্বসাহিত্যের বহু নামকরা উপন্যাস সম্পর্কে শিল্পার সম্ভাব্য মন্তব্য পোস্ট করছেন বহু মানুষ। নীচে রইল তার কিছু নমুনা।

এই গোটা বিষয়টি শিল্পার নজরে না পড়ুক, তাঁর কানে নিশ্চয়ই গিয়েছে। তাঁর চক্ষুলজ্জা থাকলে তিনি তাঁর অজ্ঞানতার কথা স্বীকার করে অন্তত একটা টুইট করতেন। কিন্তু বাবা রামদেবের সাক্ষাৎ শিষ্যা শিল্পা সেসবের ধার ধারেন না এবং তাই টুইটার কমিউনিটির ব্যঙ্গবিদ্রুপের হাত থেকেও তাঁর নিস্তার নেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2ডেস্ক রিপোর্ট: ৭৬৭ বাংলাদেশিসহ ৯৩৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ।
গত রবিবার দিনভর সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে মালয়েশিয়ার সমুদ্রতীরের পোর্ট ডিকসনের ঝিমা থেকে এদের আটক করা হয়। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অবৈধ অভিবাসীদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেগারি সিম্বিলানের ইমিগ্রেশন পরিচালক হাপযান হোসেনি।

আটককৃতদের মধ্যে ৭৬৭ বাংলাদেশি ছাড়াও আছে পাকিস্তানের ৮০ জন, ভারতের ৫০, ইন্দোনেশিয়ার ২২, শ্রীলঙ্কার ১৩, মিয়ানমারের তিন এবং নেপালের একজন। আটককৃতরা সবাই অবৈধ অভিবাসী উল্লেখ করে হাপযান হোসেনি বলেন, ‘আটক হওয়া এসব অবৈধ অভিবাসীর কাছে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করার বৈধ কাগজপত্র ছিল না। তারা সবাই নির্ধারিত সময়ের পরও মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন।

মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে বসবাসরত বিদেশি শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার জন্য রি-হায়ারিং কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল। কিন্তু খুব কম সংখক অবৈধ অভিবাসী এই কর্মসূচির আওতায় এসেছেন। এর ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের পক্ষ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে আবার বিশেষ অভিযান শুরু করে।’ এদিকে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হওয়ার আগেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অবৈধ অভিবাসীরা। গত কয়েক বছরের মধ্যে মালয়েশিয়ায় এটিই সবচেয়ে বড় অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest