সর্বশেষ সংবাদ-
অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে যেকোনো `চ্যালেঞ্জ’ নিতে প্রস্তুত নতুন সিইসিসাতক্ষীরা জেলা স্কাউটস’র কমিটি গঠন জেলা প্রশাসক সভাপতি : সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনআশাশুনির বুধহাটা খেয়াঘাটে বেতনা নদীতে সাঁকো নির্মানকালীগঞ্জে কৃষিজমিতে লবণ পানি ঢুকিয়ে চিংড়ি চাষ বন্ধে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময়তালার কপোতাক্ষ নদীর চর থেকে রাবেয়া বেগম নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধারসাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে শাহ আলম সভাপতি :ইমদাদুল সম্পাদকআসুন! নতুন স্বাধীনতা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের জন্য কাজ করি -ডা: গালিবদেবহাটা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় সভাসাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা : প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা প্রদানতারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা অবহিতকরন ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনে গণসমাবেশ

photo-1474097528স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১৪ বিশ্বকাপেও তিনি ছিলেন ব্রাজিলের অধিনায়ক। গত বছরের কোপা আমেরিকায় সর্বশেষ খেলেছিলেন জাতীয় দলের জার্সিতে। তারপর যেন প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিলেন থিয়াগো সিলভা। ‘হারিয়ে যাওয়া’ অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারকে এক বছর পর দলে ফিরিয়ে এনেছেন ব্রাজিলের কোচে টিটে।
আগামী মাসে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বলিভিয়া ও ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। এই দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত দলে থিয়াগো সিলভাকে রেখেছেন টিটে। কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে প্যারাগুয়ের কাছে হেরে যাওয়ার পর সিলভাকে দল থেকে বাদ দিয়েছিলেন ব্রাজিলের সাবেক কোচ দুঙ্গা। তবে নতুন কোচ টিটে সাবেক অধিনায়ককে উপেক্ষা করতে পারেননি।
সিলভা ছাড়াও জাতীয় দলে ফিরেছেন অস্কার, ফার্নানদিনিয়ো, দগলাস কস্তা ও রবার্তো ফিরমিনো। প্রথম দুজন মিডফিল্ডার, আর পরের দুজন ফরোয়ার্ড। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো দলে ডাক পেয়েছেন গোলরক্ষক মুরালিয়া।
৬ অক্টোবর বলিভিয়া আর পাঁচদিন পর ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার সমান পয়েন্ট হলেও গোল গড়ে পিছিয়ে আছে লিওনেল মেসির দল। শীর্ষে থাকা উরুগুয়ের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট।
লাতিন আমেরিকা থেকে চারটি দল সরাসরি অংশ নেবে ২০১৮ বিশ্বকাপে। আর পঞ্চম দল প্লেঅফ খেলবে ওশেনিয়া চ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে।

ব্রাজিল দল-
গোলরক্ষক : অ্যালিসন, মুরালিয়া, ওয়েভারটন।
ডিফেন্ডার : মিরান্দা, মারকিনিয়োস, থিয়াগো সিলভা, জিল, দানি আলভেজ, ফ্যাগনার, মার্সেলো, ফিলিপে লুইস।

মিডফিল্ডার : কাসেমিরো, রেনাতো অগুস্তো, পাউলিনিয়ো, অস্কার, উইলিয়ান, ফার্নানদিনিয়ো, লুকাস লিমা, জুলিয়ানো, ফিলিপে কতিনিয়ো।

ফরোয়ার্ড : নেইমার, দগলাস কস্তা, রবার্তো ফিরমিনো, গ্যাব্রিয়েল জেসাস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কানাডায় ফিফথ গ্লোবাল ফান্ড রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেন্সে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কানাডায় ফিফথ গ্লোবাল ফান্ড রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেন্সে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ডেস্ক রিপোর্ট: নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উল্লেখ করেছেন কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী মেরি ক্লড বিবেউ। শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় তাঁর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার কানাডায় ‘ফিফথ গ্লোবাল ফান্ড রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেনন্স’-এ সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন মেরি-ক্লড বিবেউ। শেখ হাসিনাকে নিজের বক্তব্য দিতে আহ্বানের সময় এসব কথা বলেন তিনি। মন্ট্রিয়লের হায়াত রিজেন্সিতে গতকাল দুই দিনব্যাপী এই ফিফথ গ্লোবাল ফান্ড রিপ্লেনিশমেন্ট সম্মেলন শুরু হয়েছে।
মেরি-ক্লড বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মতো কিছু নেই, যিনি নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ।’
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ছাড়াও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সল, টোগোর প্রেসিডেন্ট ফউরি জিনাসিব, গ্লোবাল ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক মার্ক আর ডাইবুল ও আন্তর্জাতিক সংস্থা লা ফ্রাঙ্কোফোনির মহাসচিব মিসাইল জেন বক্তব্য দেন।
নিজের বক্তব্যে নারীর ক্ষমতায়ন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে নারীর সংযুক্তিতে তাঁর সরকারের অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা তিনটি বিশেষ দিকের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রথমত, নারীর ক্ষমতায়নে তাঁর সরকার মেয়েদের শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, যা নারীর ক্ষমতায়নে খুবই শক্তিশালী একটি উপাদান।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমরা দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষাকে অবৈতনিক করেছি। তাদের বিভিন্ন প্রকার বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, এ সব পদক্ষেপ শুধু মেয়েদের স্কুলগামী বা তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে উন্নয়নই করছে না, এতে বাল্যবিবাহ, মাতৃত্ব ও শিশু মৃত্যুর হারও কমাচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয়ত, সহিংসতা নারীর দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এ ক্ষেত্রে নারীর প্রতি যেকোনো সন্ত্রাস ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তৃতীয়ত, দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের জন্য সারাদেশে ১৬ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন হেলথ সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে গুণগতমানের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

a9c8a17cdc73a35a7da4f08ed37126b9-57dcc5192a242ইতিহাস ও ঐতিহ্য: দেশে আবিষ্কৃত প্রথম নবরথ মন্দিরে দেবতা বিষ্ণুর নারী অবতার মোহিনীর বিরল মূর্তি পাওয়া গেছে। ভাগবত ও পুরানে ভগবান বিষ্ণুর ২২টি অবতারের কথা বলা হয়েছে, মোহিনী তাদের মধ্যে অন্যতম এবং একমাত্র নারীরূপ। ভারত উপমহাদেশের পূর্বাংশে এটি প্রথম প্রস্তর নির্মিত মোহিনীর প্রতিমা। দেশের চিহ্নিত একমাত্র নবরথ মন্দির ও তার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে এই অঞ্চলে উন্নত ও সমৃদ্ধ ইতিহাস সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা।
দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ডাবোর ইউনিয়নের মাধবগাঁও এলাকায় চিহ্নিত এই নবরথ মন্দিরটি একাদশ থেকে দ্বাদশ শতকের হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৪ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের একটি দল এখানে খনন শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এই খনন কাজের অর্থায়ন করে। মাত্র দুই সপ্তাহের খননেই এখানে পুরনো স্থাপত্যশৈলীর মন্দির রয়েছে বলে নিশ্চিত হয় দলটি।
বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অর্থায়নে টানা তিন মাসের বেশি সময় ধরে খনন কাজ চালানো হয়। খননকারী দল নিশ্চিত হয় এটি বিষ্ণুমন্দির এবং এর সঙ্গে একাদশ থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যকার পূর্ব ভারতীয় হিন্দু মন্দিরের গঠনের মিল আছে। বিশেষ করে উড়িষ্যার কলিঙ্গ স্থাপত্য শৈলী, যেটি একাদশ ও দ্বাদশ শতকে বিকশিত হয়েছিল সেই স্থাপত্য শৈলীর সঙ্গে এর সামঞ্জস্য রয়েছে।
মন্দিরটি দু’টি অংশে বিভক্ত। একটি গর্ভগৃহ যেখানে পূজা বা উপাসনা করা হতো, এটি বিশেষ কিছু অভিক্ষেপ দিয়ে চিহ্নিত। এই অভিক্ষেপগুলোকে স্থাপনা শিল্পের বা শিল্পশাস্ত্রের ভাষা অনুযায়ী রথ বলা হয়। এখানে মোট ১১টি রথ রয়েছে, যার মধ্যে দু’টি উপরথ। পাশাপাশি আরও কিছু আলামতের ভিত্তিতে এটি নবরথ বিশিষ্ট একটি মন্দির বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

দেশে আবিষ্কৃত প্রথম নবরথ মন্দির

দেশে আবিষ্কৃত প্রথম নবরথ মন্দির

খননকালে এখানে প্রস্তর প্রতিমার ভগ্নাংশ হিসেবে হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর ভঙ্গিতে দণ্ডায়মান প্রতিমার হাতে থাকা শঙ্খ, চক্র, গদা, বিষ্ণু প্রতিমার বনমালা শোভিত পায়ের ভগ্নাংশ এবং একটি দেবী প্রতিমার ভগ্নাংশ পাওয়া গেছে।
এই খনন কার্যক্রমে বগুড়ার মহাস্থানগড় থেকে আসা অভিজ্ঞ ১৩ জন শ্রমিকের সঙ্গে আরও ২৬ জন স্থানীয় শ্রমিক কাজ করছেন। খনন দলে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১০ শিক্ষার্থী। তারা এই খননকাজে অংশ নিয়ে স্থাপত্যের নকশা আঁকছেন। পরবর্তীতে কেউ এই স্থাপনা নিয়ে গবেষণা করতে চাইলে এই নকশার সাহায্য নিতে পারবেন।
এলাকার লোকজন জানান, খননকাজ শুরু হওয়ার আগে এখানকার উঁচু ঢিবিটি বুরুজ বলে পরিচিত ছিল। গাছ-গাছালি দিয়ে ঢাকা ছিল এই ঢিবিটি। তবে অনেকেই শুনেছেন এখানে আগে মন্দির ছিল। ওই এলাকার বাসিন্দা অমৃত রায় জানান, এর আগে তারা এটিকে ঢিবি বলেই জানতেন। কিন্তু এর ভেতরে যে এত সুন্দর একটি মন্দির রয়েছে, তা তারা কোনোভাবেই অনুমান করতে পারেননি। তিনি জানান, অনেকেই এখানে ছাগল-গরু বাঁধতো।
এলাকার বাসিন্দা স্বপন চন্দ্র রায় জানান, যেহেতু এটি ভগবান বিষ্ণুর মন্দির হিসেবে আবিষ্কৃত হয়েছে, তাই এটিকে এভাবেই রেখে দেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর। যাতে করে তারা এখানে পূজা অর্চনা করতে পারেন। একই দাবি জানিয়ে এলাকার ভবেশ চন্দ্র বলেন, ‘যদি এটি এভাবে রেখে দেওয়া যায় তাহলে আগে মন্দির কী রকমের ছিল, তা জানতে আমাদের এলাকায় অনেকেই আসবেন।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সীমা হক বলেন, ‘আবিষ্কৃত মন্দিরটির প্রবেশদ্বার পূর্ব দিকে। প্রাচীন এই মন্দিরের নকশা ও স্থাপত্য শৈলী দেখে সহজেই অনুমান করা যায় এক সময়ে এই অঞ্চল উন্নত ও সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে এই অঞ্চল অবহেলিত হয়ে পড়ে।’
খনন দলের প্রধান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. স্বাধীন সেন জানান, ‘স্থাপনাটির বৈশিষ্ট্য আদিমধ্যযুগ বা খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতক থেকে ত্রয়োদশ শতকের পূর্বভারতীয় স্থাপত্য শৈলীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিছু আলামতের ভিত্তিতে তারা নিশ্চিত হয়েছেন এটি একাদশ বা দ্বাদশ শতকের নবরথ বিশিষ্ট একটি বিষ্ণু মন্দির। মন্দিরটি দু’টি অংশে বিভক্ত। পশ্চিম দিকে ১২/১২ মিটার নিরেট প্লাটফর্মের ছোট কক্ষ রয়েছে। যেখানে প্রতিমার উপাসনা হতো। মন্দিরের বাইরে অভিক্ষেপের সংখ্যা ৯টি। তাই এটিকে নবরথ মন্দির বলা হচ্ছে।’ তিনি জানান, ‘এটি বাংলাদেশে আবিষ্কৃত প্রথম নবরথ মন্দির। এর আগে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে একটি পঞ্চরথ মন্দির আবিষ্কৃত হয়েছিল। ’
এই অধ্যাপক বলেন, ‘মন্দিরটির স্থাপনারীতি ও গঠন শৈলী নিয়ে ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ভারতীয় স্থাপত্যের বিশেষজ্ঞ দীপক সঞ্জন দাসের সঙ্গে আলাপ হলে তিনি জানিয়েছেন, ‘মন্দিরটির উপরিকাঠামো পশ্চিম বাংলার বাকুড়া জেলার সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রয়েছে।’ পাশাপাশি খনন কাজের শেষ দিকে ঢিবির পূর্বাংশ থেকে একটি দুষ্প্রাপ্য প্রতিমার ভগ্নাংশ পাওয়া গেছে। প্রতিমাটি সম্পর্কে দক্ষিণ এশিয়ার প্রখ্যাত প্রতিমালক্ষণবিদ ও প্রাচীন শিল্পকলার ইতিহাসবিদ ক্লদিন বুদজে পিক্রো সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিমাটিকে বিষ্ণুর নারী অবতার মোহিনী হিসেবে শনাক্ত করেছেন। ক্লদিন জানিয়েছেন, ‘প্রতিমাটি ভারত উপমহাদেশের পূবাংশে এই প্রথম প্রস্তরনির্মিত বিষ্ণুর নারী অবতার মোহিনীর মূর্তি। নবরথ বিষ্ণু মন্দির ও দুষ্প্রাপ্য মোহিনীর প্রতিমা পাওয়ায় এই অঞ্চলের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে নতুন ভাবনার মোড় নিয়েছে।’
তিনি জানান, ‘খনন কাজ করতে গিয়ে তাদের বড় কোনও সমস্যা হয়নি। বরং এলাকাবাসীর সঙ্গে এক আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এখানে যেসব নিদর্শন পাওয়া গেছে, তা খননকারী দলের কাছেই আছে। গবেষণা কার্যক্রম চালানোর জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক তারা এসব নিদর্শন এক বছর পর্যন্ত গবেষণা কাজে ব্যবহারের জন্য নিজেদের কাছে রাখতে পারবেন। পরে সেগুলো প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরে জমা দিতে হবে। ’
অধ্যাপক সেন জানান, ‘নিয়ম অনুযায়ী প্রত্নতত্ত্ব খননের পর ছবি তোলা ও ড্রয়িং কাজ নথিভুক্ত করার পর সংরক্ষণের জন্য স্থাপত্য কাঠামোটি পুনরায় মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। তাই এই স্থানটিও কয়েকদিনের মধ্যেই মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে। স্থানীয়দের দাবি রয়েছে এটি যেন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়, কিন্তু সেটি করতে হলে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফরের অনুমোদন প্রয়োজন। জায়গাটি রক্ষণাবেক্ষণ করারও প্রয়োজন হবে। সংরক্ষণ না করেই এভাবে রেখে দিয়ে কিছুদিনের মধ্যে এটি নষ্ট হয়ে যাবে। বিষয়টি এলাকার লোকজনকে বোঝানো হয়েছে এবং প্রায় ৬শ’ গ্রামবাসীর স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে স্থানটি সংরক্ষণ ও উন্মুক্ত করার বিষয়ে।’
স্বাক্ষরসহ আবেদনটি স্থানীয় সংসদ সদস্য, ইউএনও, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ইতিবাচক  নির্দেশ আসলেই সংরক্ষণের পর তা জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া সম্ভব হবে।’
তিনি জানান,‘এসব খনন কাজের যাবতীয় ব্যয়ভার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় করে থাকে। কিছুদিনের মধ্যেই দিনাজপুরের বিরল উপজেলার একটি স্থানে খননের কার্যক্রম শুরু করা হবে।’ তিনি আশাবাদী, যেভাবে সরকারি সহযোগিতা তিনি পাচ্ছেন সে ভাবেই সহযোগিতা পেতে থাকবেন। আর এর মাধ্যমে এই অঞ্চলের ইতিহাস,ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে বিশদ জানা সম্ভব হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1474029233স্পোর্টস ডেস্ক: এক সময় দুটো পুরস্কার ছিল আলাদা। ২০১০ সালে একীভূত হয়ে যায় ফিফা বর্ষসেরা আর ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। কিন্তু ফিফা ও ফরাসি ম্যাগাজিন ফ্রান্স ফুটবলের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আলাদা হয়ে যাচ্ছে পুরস্কার দুটো।
শুক্রবার বিশ্বফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা জানিয়েছে, ‘ফিফা আর ফ্রান্স ফুটবলের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে গত জানুয়ারিতে। আগস্টের শুরুতেই আমরা ফ্রান্স ফুটবলকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে আর চুক্তির নবায়ন করা হবে না।’ আর তাই আগের মতো আলাদাভাবে দেওয়া হবে ফুটবলের মর্যাদাজনক দুটো পুরস্কার।
ফ্রান্স ফুটবলের হাত ধরে ব্যালন ডি’অর চালু হয়েছিল ১৯৫৬ সালে। সাংবাদিকদের ভোটে বছরের সেরা ফুটবলার নির্বাচন করত ফুটবলবিষয়ক ম্যাগাজিনটি। প্রথমবার পুরস্কারটা জিতেছিলেন ইংল্যান্ডের স্ট্যানলি ম্যাথিউজ। ফিফার সঙ্গে একত্রিত হওয়ার আগে সর্বোচ্চ তিনবার করে এই পুরস্কার জিতেছিলেন তিন ‘গ্রেট’—ফ্রান্সের মিশেল প্লাতিনি এবং নেদারল্যান্ডসের ইয়োহান ক্রুইফ ও মার্কো ফন বাস্তেন। ১৯৯৪ পর্যন্ত শুধু ইউরোপীয় ফুটবলাররাই বিবেচিত হতেন এই পুরস্কারের জন্য। ১৯৯৫ সালে প্রথম অইউরোপীয় হিসেবে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন এসি মিলানের লাইবেরিয়ান তারকা জর্জ উইয়াহ।
২০১০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ছয়টি ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের চারটিই জিতে নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। বাকি দুবার এই ট্রফি ছিল মেসির সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর হাতে। এ বছর চ্যাম্পিয়নস লিগ আর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মতো দুটো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছেন রোনালদো। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের অনেকের ধারণা, আলাদা হলেও দুটো পুরস্কারই জিতে নিতে পারেন রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ তারকা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1474029868স্বাস্থ্য ও জীবন: মজবুত, ঝলমলে ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের স্বপ্ন কে না দেখে? কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, নানা কারণে আমরা যেমনটা চাই আমাদের চুলের গঠন তেমন হয়ে ওঠে না। মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার অভাবে চুলের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যার খুব সাধারণ একটি সমাধান রয়েছে। তা হলো, চুলের যত্নে ভালো তেল ব্যবহার করা।
চুল আমাদের সৌন্দর্যের অনেক বড় একটা অংশ। আর সেই চুলই যদি ক্রমাগত ঝরে গিয়ে মাথায় টাক পড়ে তাহলে আর দুঃখের কোনো সীমা থাকে না। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য জীবনধারাবিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই প্রকাশ করেছে কয়েকটি প্রাকৃতিক তেলের তালিকা।

ক্যাস্টর অয়েল
ক্যাস্টর অয়েল ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ যা চুলকে মজবুত ও উজ্জ্বল করে। এ ছাড়া এটি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।। অন্যদিকে এতে ভিটামিন বি রয়েছে যা চুলের বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

নারকেল তেল
চুলের যত্নে নারকেল তেলের জুড়ি নেই। নারকেল তেল ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ এবং চুলের জন্য পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী তেল। চুল এই তেল ভালোভাবে শুষে নিতে পারে। এর ফলে এই তেলের কার্যকারিতাও বেশি।

অলিভ ওয়েল
ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য সেরা প্রাকৃতিক তেল হিসেবে অলিভ ওয়েলের বেশ খ্যাতি রয়েছে। শ্যাম্পু করার পর হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল নিয়ে ভালো করে দুই হাতে ঘষে ফেলুন। তারপর চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। সপ্তাহে অন্তত একবার হালকা গরম অলিভ অয়েল চুলে ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগান। এভাবে দু-তিন ঘণ্টা চুলে তেল লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করুন। এর ফলে চুল হবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।

সূর্যমুখী তেল
তৈলাক্ত চুলের জন্য এই তেল খুব উপযোগী। এই তেল অনেক হালকা হওয়ার কারণে চুলে ম্যাসাজ করলে, তেলতেলে হয় না। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার বিভিন্ন তেল চুলে লাগিয়ে যত্ন নিন। তবে কখনোই চুলে তেল লাগিয়ে বেশি সময়ের জন্য ঘুমিয়ে পড়বেন না। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল আরো বেশি পড়তে পারে।

অ্যাভোকাডো তেল
অ্যাভোকাডো তেল অন্যান্য তেলের মতো এত সহজলভ্য নয়। কিন্তু এই তেল ভিটামিন ‘এ’ ও ‘বি’-সমৃদ্ধ। অ্যাভোকাডো তেলে ময়েশ্চারাইজিং রয়েছে, যা ভঙ্গুর চুলের সমাধান করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য বেশ উপকারী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দুই ধাপ পেছাল বাংলাদেশ!

কর্তৃক Daily Satkhira

bd_football_team_1স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ফিফার সর্বশেষ প্রকাশিত র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষেই রয়েছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ৫ ধাপ এগিয়ে ৪ নম্বরে উঠে এসেছে নেইমারের ব্রাজিল। তবে কোন উন্নতি হয়নি দেশের ফুটবলের। উল্টো দুই ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ১৮৫ নম্বরে।
চলতি মাসে দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। একটিতে ড্র, আরেকটিতে হার। তাই সার্বিক চিত্রের প্রভাব পড়েছে র‌্যাংকিংয়েও। অপরদিকে প্রতিবেশী ভারত অবস্থান করছে ১৪৮ নম্বরে।
এদিকে প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫-০ গোলে হারানো মালদ্বীপ ৯ ধাপ এগিয়ে অবস্থান নিয়েছে ১৬৫ নম্বরে। সম্প্রতি এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ড্র করা ভুটানেরও হয়েছে উন্নতি। ৩ ধাপ এগিয়ে অবস্থান নিয়েছে ১৮৯ নম্বরে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

hero-the-superstar-shakib-apu-bobby-bangla-movie-1বিনোদন ডেস্ক: অবশেষে খোঁজ মিলল অপু বিশ্বাসের। বিদেশে আছেন তিনি। তবে ভালো নেই। প্রচণ্ড মানসিক কষ্টে আছেন। শারীরিকভাবেও ভেঙে পড়েছেন। সহসা দেশে ফিরছেন না। ২৯ আগস্ট বেলা ২টা ৪৭ মিনিট। একটি বিদেশি নাম্বার থেকে কল আসে। রিসিভ করতেই ভেসে আসে অপরিচিত মহিলার কণ্ঠস্বর। আমার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি নিজেকে অপু বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেন এবং অপু সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানাতে চান। তিনি বলেন, অপু ভালো নেই। তার এই ভালো না থাকার জন্য শাকিব খান দায়ী। অপুকে বিয়ে করেছেন শাকিব এমনও দাবি তার।
বিয়ের সাল উল্লেখ করতে পারলেও কোন কাজী অফিসে বিয়ে হয় তা সূত্রটি জানাতে পারেননি। একজন প্রযোজক যিনি কিনা শাকিব-অপুর খুব কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত তিনি এই বিয়েতে সহযোগিতা করেন, বাসায় কাজী নিয়ে আসেন। গুলশানে শাকিবের বাসাতেই বিয়ে পড়ানো হয় বলে সূত্রটি দাবি করে বলেন, ওই প্রযোজক ছিলেন বিয়েতে উকিল বাবা। আর শাকিবের এক চাচাতো ভাই ছিলেন সাক্ষী। অপুর পক্ষে কোনো সাক্ষী ছিল না বলেও দাবি সূত্রের।
বিয়েতে কারও পরিবারের অন্য কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান তিনি। সূত্র জানায়, মুসলিম রীতি অনুযায়ী সম্পন্ন হওয়া বিয়েতে হিন্দু ধর্মাবলম্বী অবন্তী বিশ্বাস অপুর নাম কাবিননামায় ‘অপু ইসলাম খান’ নামে লিপিবদ্ধ করা হয়। অপুর ঘনিষ্ঠ সূত্র বলে দাবিদার ব্যক্তি বলেন, বিয়ের পর বেশ সুখেই দিন কাটছিল তাদের। গুলশানে শাকিবের বাসাতেই বেশির ভাগ সময় কাটতো দুজনের।
শাকিবের অনুরোধে অপু অন্য কোনো নায়কের বিপরীতে তেমন একটা অভিনয় করতে পারেননি। সূত্র জানায়, এক সময় তাদের সম্পর্ক তিক্ততার দিকে মোড় নিতে শুরু করে। এর জন্য অপুর প্রতি শাকিবের আচরণই দায়ী বলে জানায় সূত্র। অপুর চেয়ে অন্য মেয়েদের প্রতি শাকিবের দুর্বলতা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি অপু আঁচ করতে পারলে তাদের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। তারপরও অপু চেয়েছিলেন শাকিবকে নিয়ে ঘর করবেন। কিন্তু শাকিব কোনো কথা তো শুনতেনই না বরং অপুর ওপর নানাভাবে নির্যাতন করতেন বলে দাবি সূত্রের।
২৯ আগস্ট বিদেশি আগন্তুকের কল থেকে এসব বিষয় জানা গেলেও এতদিন তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলে। ২৮ আগস্ট শাকিব খান ছবির শুটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পর এখনও না ফেরা এবং অপুকে না পাওয়ার কারণে তাদের কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। সূত্রটির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলে। আর নিশ্চিত হয়েই তা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।সূত্রটি জানায়, অপু বিশ্বাস কোনোভাবেই শাকিব খানকে ছাড়তে চান না। শাকিব খানকে নিয়েই সুখে সংসার করার ইচ্ছে তার।
সূত্র আরও জানায়, বিয়ের কাবিননামার একটি কপি অপুর কাছেই ছিল। কিন্তু এ বছরের শুরুর দিকে দুজনের মনোমালিন্য চরমে পৌঁছলে শাকিব জোর করে অপুর কাছ থেকে কাবিননামা নিয়ে যান। এত কিছুর পরও শাকিবের ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকেন অপু। তাতে অবশ্য কোনো কাজ হয়নি। শাকিব-অপুর সম্পর্ক যখন চরম অবনতির দিকে গড়ায় তখনই হতাশ হয়ে অপু চলতি বছরের মার্চ থেকে নিজেকে সবার আড়াল করে নেন। শাকিবের বিপরীতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া ‘বসগিরি’ ও ‘শুটার’ ছবির কাজ ফিরিয়ে দেন। শুটিং বাকি থাকা ‘পাংকু জামাই’, ‘রাজনীতি’, ‘মা’ ছবির কাজে আর ফেরেননি। গুলশানে নিজের জিম সেন্টারটিও বন্ধ করে দেন। নতুন কোনো ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া দূরে থাক কোনো নির্মাতা বা সাংবাদিকের মুখেমুখি পর্যন্ত হননি তিনি। এমনকি নিজের কাছের মানুষদের কাছ থেকেও দূরে সরে যান।এত কিছুর মধ্যেও বারবার শাকিবকে সুবোধ ছেলের মতো নিজের কাছে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
ব্যর্থ ও হতাশ হয়ে জুন মাসে বিদেশে চলে যান অপু। সূত্রটি জানায়, বর্তমানে নতুন নায়িকা বুবলীর প্রতি শাকিবের অতি প্রীতি অপুকে আরও বিধ্বস্ত করে ফেলেছে অপু নাকি বলেছেন শাকিব যত কিছুই করুক তাকে ডিভোর্স দেবেন না তিনি। সূত্রের দেওয়া তথ্য মতে, অপু বলেছেন শাকিব খান এতদিন ধরে তার ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছেন তার প্রতিশোধ কড়ায় গণ্ডায় উসুল করবেন তিনি। কোনোভাবেই শাকিবকে ডিভোর্স দেবেন না। শাকিবকে নিয়েই সংসার করবেন তিনি।
সূত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয় শাকিবকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তটি এখন কীভাবে দেখছেন অপু। সূত্র বলছে, অপু এটিকে ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত হিসেবেই দেখছেন এখন আর বারবার বলছেন ‘আমি ভুল করেছি’। সূত্র জানায়, শাকিবের সঙ্গে ২০০৬ সালে জুটি বেঁধে প্রথমে ‘কোটি টাকার কাবিন’ এরপর ‘পিতার আসন’, ‘চাচ্চু’, ‘দাদীমা’, ‘মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি’ প্রভৃতি ছবিতে কাজ করতে গিয়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক সময় তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বাস্তবে ও পর্দায় এই জুটির অবস্থা ছিল বেশ রমরমা। দর্শকও বড় পর্দায় ‘শাকিব-অপু’ জুটির রসায়ন সাদরে গ্রহণ করেন। চলচ্চিত্রকাররা বলছেন, চলচ্চিত্রে শিল্পী সংকট চলাকালে এই জুটি ছিল দর্শক-নির্মাতার ভরসার প্রতীক। তাদের গোপন রোমান্স-বিয়ের খবর চলচ্চিত্র জগৎ ছাড়াও সাধারণ মানুষ অনেক আগেই অনুমান করতে পেরেছিলেন। চলচ্চিত্র জগতের মানুষ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এতে কেউ কোনো বিরূপ মনোভাব পোষণ করেননি। এক সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে প্রেম-বিয়ে হতেই পারে। কিন্তু পরবর্তীতে তা তিক্ততায় গড়াক এটি কারো কাম্য নয়। সূত্র জানায়, অপু বিশ্বাস এ বছরের শেষ দিকেই দেশে ফিরবেন। এ সময়ের মধ্যে শাকিবের কাছ থেকে কোনো রকম ইতিবাচক সাড়া না পেলে সংবাদ সম্মেলন করে শাকিবের অনেক অজানা তথ্য সবাইকে জানিয়ে দেবেন অপু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

imageভিন্ন স্বাদের সংবাদ: ফোনটা এসেছিল রাত এগারোটা নাগাদ। একটা রিং হতেই ডিউটি অফিসার তড়িঘড়ি রিসিভার তুলেছিলেন, ‘‘নমস্কার, কোতোয়ালি থানা…।’’
ফোনের ও প্রান্ত কিছুক্ষণ চুপ। তারপর জড়ানো গলায় ভেসে এল, ‘‘দু’টো দিশি আর এক প্যাকেট ডালমুট, পাঁচ মিনিটের মধ্যে।’’ বহরমপুর দমকলে ফোনটা এসেছিল আরও রাতে।
টেলিফোনের পাশে বসে খবরের কাগজটা উল্টেপাল্টে দেখছিলেন এক কর্মী। ফোনের ও প্রান্তে মহিলা কন্ঠ, ‘‘পুড়ে সব ছারখার হয়ে গেল। শিগ্‌গির আসুন।’’ দমকল কর্মীর গলায় ষোলো আনা উদ্বেগ, ‘‘কোথায় আগুন? এলাকাটা বলুন…।’’ উত্তর এল, ‘‘মনে আগুন লেগেছে। পারবেন নেভাতে?’’-আনন্দবাজার।
কৃষ্ণনগর জেলা সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসকের মোবাইলটা বেজে উঠেছিল রাত একটায়। এত রাতে ফোন? রোগীর অবস্থা কি খারাপ? ধড়মড়িয়ে উঠে ফোনটা রিসিভ করতেই ও প্রান্ত থেকে এক তরুণী জানতে চেয়েছিলেন, ‘‘প্রেম-জ্বরের ওষুধ মিলবে, ডাক্তার?’’এমন ফোনের গুঁতোয় দুই জেলা জুড়ে ত্রাহি ত্রাহি রব।
পুলিশকর্মী গলা চড়িয়েছেন, ‘‘তোর কী করি দ্যাখ!’’ দমকলকর্মীর অনুনয়, ‘‘জরুরি নম্বর। এটাকে নিয়ে মজা করবেন না প্লিজ।’’ চিকিৎসকের দাওয়াই, ‘‘আপনার জন্য আরও বিপদে পড়তে পারে রোগী ও তাঁর বাড়ির লোকজন।’’ কিন্তু ওই পর্যন্তই! কাজের কাজ কিস্যু হয়নি।
কৃষ্ণনগরের জেলা হাসপাতালের দু’টি ক্যাম্পাসে একাধিক জায়গায় বোর্ড টাঙিয়ে প্রচার করা হয়েছে একটি মোবাইল নম্বর। চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর জন্যই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে মাস কয়েক আগে। কিন্তু কাজের থেকে অকাজের ফোনই সেখানে বেশি আসছে বলে অভিযোগ।জেলা হাসপাতালের এক কর্তার আক্ষেপ, ‘‘মানুষ আর কবে সচেতন হবে বলুন তো?’’
পুলিশ ১০০, দমকল ১০১ এর মতো টোল ফ্রি নম্বরগুলোও চালু হয়েছিল নিখরচায় জরুরি পরিষেবা দেওয়ার জন্য। অথচ সেই সুবিধারও চূড়ান্ত অপব্যবহার করেছেন কিছু লোকজন। কিন্তু ফোনগুলো থানায় কিংবা দমকলে আসছে কী ভাবে?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টোল ফ্রি ১০০ নম্বর ডায়াল করলেই ফোন চলে যাওয়ার কথা স্থানীয় থানায়। যেহেতু ওই নম্বর টোল ফ্রি, তাই যে কেউই যখন তখন মোবাইল কিংবা ল্যান্ডফোন থেকে এ ভাবে ফোন করে বিরক্ত করছে। একই ভাবে ১০১ ডায়াল করলেই সেই ফোন যাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার দমকল দফতরে।
বহরমপুর থানার এক পুলিশকর্মী বলছেন, “ধরুন, প্রথম ফোনটা এল অমুক জায়গায় গোলমাল। ঠিক তার পরের ফোনটা এল পঞ্চাশ টাকা রিচার্জ করে দেওয়ার জন্য। কাজের সময় এ সব কারও ভাল লাগে?”
দিনকয়েক আগে করিমপুর দমকলে ফোন এসেছিল। রাতেই। না কোনও আবেদন-নিবেদন নয়। নিখাদ জরুরি গলায়, ‘‘ফায়ার স্টেশন? আগুন লেগেছে। তাড়াতাড়ি আসুন।’’ মুহূর্তে সেই এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিল দমকলের গা়ড়ি। কিন্তু কোথায় আগুন? দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে ছিল পাড়া।
অতএব পালে বাঘ পড়ার গল্প মাথায় রেখেও ছুটতে হচ্ছে পুলিশ কিংবা দমকলকে। দমকল ও পুলিশ কর্তাদের কথায়, ‘‘তাছাড়া উপায় কী বলুন? সত্যিই যদি বিপদ ঘটে যায় তার দায় কে নেবে?’’
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলছেন, “হাসপাতালের এই ফোন নম্বরকে জীবনদায়ী নম্বর হিসাবেই ভাবা দরকার। সকলের কাছে আমাদের অনুরোধ এর অপব্যবহার করবেন না।’’
দমকল ও থানার ল্যান্ড নম্বরে কলার লাইন আইডেন্টিফিকেশন (সিএলআই) লাগানো থাকে। সেই নম্বরের সূত্র ধরেও কিছু কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে এই প্রবণতা কমেনি। কিন্তু এমন ফোনের কারণ কী? নদিয়া জেলা পুলিশের এক কর্তা জানাচ্ছেন, কেউ ফোন করেন নিছক মজার জন্য। কেউ আবার বিব্রত করেই আনন্দ পান। কিন্তু তার পরিণতি যে কী হতে পারে, সে সম্পর্কে তাঁদের ন্যূনতম সচেতনতা থাকলে এমনটা তাঁরা করতেন না।
বহরমপুর দমকলের ওসি সুখেন সরকারও বলছেন, “থানা-পুলিশ করেও বিশেষ লাভ হয়নি। মানুষ সচেতন না হলে এই বদ অভ্যাস বন্ধ করা কঠিন।”
তবে মনোবিদরা এই প্রবণতাকে এত সহজে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মনস্তত্ত্ব বিভাগের প্রধান রঞ্জন ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন, তিনটে কারণে মানুষ এমন ফোন করে থাকেন—

১) একাকীত্ব বা নিঃসঙ্গতা থেকে অনেকে ফোন করে থাকেন। এর পিছনে মানসিক অবসাদ অন্যতম কারণ।

২) কারও দেওয়া ভুল তথ্যের জেরে সোরগোল পড়ে গেল। তখন সেই মানুষটি আনন্দ পান এই ভেবে যে, তিনি গুরুত্ব পেলেন। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় নার্সিসিস্টিক পার্সোন্যালিটি ডিসঅর্ডার।

৩) অসামাজিক কারণেও অনেকে ফোন করে থাকেন।

রঞ্জনবাবু বলছেন, ‘‘উপযুক্ত চিকিৎসা ও সচেতনতাই এর একমাত্র দাওয়াই।’’ সেই ওষুধ যতদিন না পড়ছে ততদিন কে নেভাবে মনের আগুন?

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest