সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মুল হোতা আলিমুদ্দীন গাজি গ্রেপ্তারদেবহাটায় শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনাজিয়াউর রহমান এর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের দোয়াজেলা জে এস ডির শোকনওয়াবেঁকীতে রাতের আধারে বাচ্চাসহ গরু জবাই : ৭ হাজার টাকা জরিমানাশ্যামনগর উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভসাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আয়োজনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণসাতক্ষীরায় এসএটিভি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেককাটাসাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত জব্দ হওয়া বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংসআশাশুনিতে এনসিটিবি’র অনুমোদনহীন বই বাজারজাতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার অভিযোগ

77777777777777777777777777777নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১২ জন, কলারোয়া থানা থেকে ০৭ জন, তালা থানা ০২ জন, কালিগঞ্জ থানা ০৬ জন, শ্যামনগর থানা ০৩ জন, আশাশুনি থানা ০২ জন, দেবহাটা থানা ০১ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ০১ জনকে আটক করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

satkhira-picture-vomra-customআসাদুজ্জামান: পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে টানা ৬ দিন সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার থেকে আবারও ৭দিন বন্ধের কবলে পড়েছে বন্দরটি। এনিয়ে টানা ১৩ দিন বন্ধ থাকবে এ বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। ভারতের ঘোজাডাঙ্গা এলাকার একটি ঝুকিপূর্ণ ব্রিজের সংস্কার কাজের জন্য সে দেশের প্রশাসন আরও ৭দিন আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে যথারীতি আমাদানী-রপ্তানী কার্যক্রম চলবে। এর ফলে টানা ১৩ দিনের ছুটির ফাঁদে পড়েছে সাতক্ষীরার একমাত্র ভোমরা স্থল বন্দরট্।ি তবে, ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীরা এসময় যথারীতি যাতায়াত করতে পারবেন।
ভোমরা স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভারতীয় ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন এক লিখিত বার্তার মাধ্যমে ভোমরা স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন এর কাছে জানিয়েছেন গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের বসিরহাট এস ডিও অফিসে এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘোজাডাঙ্গা এলাকার একটি ঝুকিপূর্ণ ব্রিজের সংস্কার কাজের জন্য আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে সকল প্রকার আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে আবারও যথারীতি আমাদানী-রপ্তানী কার্যক্রম চলবে।
ভোমরা স্থল বন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার মোঃ আব্দুল কাইয়ূম এ ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, পবিত্র ঈদুল আযহার ৬ দিন ও ব্রিজ সংস্কারের জন্য আরো ৭দিন মোট এই ১৩ দিনে সরকার প্রায় ১৯ কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে এ বন্দর থেকে। তবে, এ সময় ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীরা যথারীতি যাতায়াত করতে পারবেন বলে তিনি আরো জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

indexআসাদুজ্জামান: চামড়া পাচার প্রতিরোধে সাতক্ষীরার ২৩৮ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে বিজিবি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
ঈদুল আযহার পরে কোন চোরাকারবারী যাতে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে কোন পশুর চামড়া পাচার করতে না পারে সে জন্য সীমান্তে বিজিবি কঠোর নজরদারিতে রয়েছেন। পাশাপাশি সীমান্ত জুড়ে রয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। ট্যানারি মালিকদের নির্ধারণ করা মূল্যে পশুর চামড়া বিক্রি করতে না পেরে চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। আর এ কারণে সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের আশংকা করছেন অনেকেই।
সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবি’র ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ লুকমান হামিদ পিপিএম ডেইলি সাতক্ষীরাকে জানান, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাতে ভারতে চামড়া পাচার না হয় সেজন্য সাতক্ষীরায় বিজিবির দুটি ব্যাটালিয়নের আওতাধিন ১৩৮ কি.মি স্থল ও ১০০ কি.মি জলসীমার সমগ্র এলাকাজুড়ে কঠোর নজরদারী রয়েছে। কোনো চোরচালানী যাতে এপার থেকে ওপারে চামড়া পাচার করতে  না পারে সেজন্য বিজিবি সীমান্ত জুড়ে বিশেষ সতর্কাবস্থাসহ গোয়েন্দা নজরদারীতে রয়েছে। এছাড়া সীমান্ত দিয়ে যে কোনো ধরনের পাচার ও জঙ্গি-সন্ত্রাস প্রতিরোধে বিজিবি সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি আরো জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1474097528স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১৪ বিশ্বকাপেও তিনি ছিলেন ব্রাজিলের অধিনায়ক। গত বছরের কোপা আমেরিকায় সর্বশেষ খেলেছিলেন জাতীয় দলের জার্সিতে। তারপর যেন প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিলেন থিয়াগো সিলভা। ‘হারিয়ে যাওয়া’ অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারকে এক বছর পর দলে ফিরিয়ে এনেছেন ব্রাজিলের কোচে টিটে।
আগামী মাসে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বলিভিয়া ও ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। এই দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত দলে থিয়াগো সিলভাকে রেখেছেন টিটে। কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে প্যারাগুয়ের কাছে হেরে যাওয়ার পর সিলভাকে দল থেকে বাদ দিয়েছিলেন ব্রাজিলের সাবেক কোচ দুঙ্গা। তবে নতুন কোচ টিটে সাবেক অধিনায়ককে উপেক্ষা করতে পারেননি।
সিলভা ছাড়াও জাতীয় দলে ফিরেছেন অস্কার, ফার্নানদিনিয়ো, দগলাস কস্তা ও রবার্তো ফিরমিনো। প্রথম দুজন মিডফিল্ডার, আর পরের দুজন ফরোয়ার্ড। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো দলে ডাক পেয়েছেন গোলরক্ষক মুরালিয়া।
৬ অক্টোবর বলিভিয়া আর পাঁচদিন পর ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার সমান পয়েন্ট হলেও গোল গড়ে পিছিয়ে আছে লিওনেল মেসির দল। শীর্ষে থাকা উরুগুয়ের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট।
লাতিন আমেরিকা থেকে চারটি দল সরাসরি অংশ নেবে ২০১৮ বিশ্বকাপে। আর পঞ্চম দল প্লেঅফ খেলবে ওশেনিয়া চ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে।

ব্রাজিল দল-
গোলরক্ষক : অ্যালিসন, মুরালিয়া, ওয়েভারটন।
ডিফেন্ডার : মিরান্দা, মারকিনিয়োস, থিয়াগো সিলভা, জিল, দানি আলভেজ, ফ্যাগনার, মার্সেলো, ফিলিপে লুইস।

মিডফিল্ডার : কাসেমিরো, রেনাতো অগুস্তো, পাউলিনিয়ো, অস্কার, উইলিয়ান, ফার্নানদিনিয়ো, লুকাস লিমা, জুলিয়ানো, ফিলিপে কতিনিয়ো।

ফরোয়ার্ড : নেইমার, দগলাস কস্তা, রবার্তো ফিরমিনো, গ্যাব্রিয়েল জেসাস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কানাডায় ফিফথ গ্লোবাল ফান্ড রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেন্সে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কানাডায় ফিফথ গ্লোবাল ফান্ড রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেন্সে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ডেস্ক রিপোর্ট: নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উল্লেখ করেছেন কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী মেরি ক্লড বিবেউ। শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় তাঁর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার কানাডায় ‘ফিফথ গ্লোবাল ফান্ড রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেনন্স’-এ সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন মেরি-ক্লড বিবেউ। শেখ হাসিনাকে নিজের বক্তব্য দিতে আহ্বানের সময় এসব কথা বলেন তিনি। মন্ট্রিয়লের হায়াত রিজেন্সিতে গতকাল দুই দিনব্যাপী এই ফিফথ গ্লোবাল ফান্ড রিপ্লেনিশমেন্ট সম্মেলন শুরু হয়েছে।
মেরি-ক্লড বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মতো কিছু নেই, যিনি নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ।’
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ছাড়াও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সল, টোগোর প্রেসিডেন্ট ফউরি জিনাসিব, গ্লোবাল ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক মার্ক আর ডাইবুল ও আন্তর্জাতিক সংস্থা লা ফ্রাঙ্কোফোনির মহাসচিব মিসাইল জেন বক্তব্য দেন।
নিজের বক্তব্যে নারীর ক্ষমতায়ন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে নারীর সংযুক্তিতে তাঁর সরকারের অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা তিনটি বিশেষ দিকের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রথমত, নারীর ক্ষমতায়নে তাঁর সরকার মেয়েদের শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, যা নারীর ক্ষমতায়নে খুবই শক্তিশালী একটি উপাদান।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমরা দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষাকে অবৈতনিক করেছি। তাদের বিভিন্ন প্রকার বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, এ সব পদক্ষেপ শুধু মেয়েদের স্কুলগামী বা তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে উন্নয়নই করছে না, এতে বাল্যবিবাহ, মাতৃত্ব ও শিশু মৃত্যুর হারও কমাচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয়ত, সহিংসতা নারীর দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এ ক্ষেত্রে নারীর প্রতি যেকোনো সন্ত্রাস ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তৃতীয়ত, দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের জন্য সারাদেশে ১৬ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন হেলথ সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে গুণগতমানের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

a9c8a17cdc73a35a7da4f08ed37126b9-57dcc5192a242ইতিহাস ও ঐতিহ্য: দেশে আবিষ্কৃত প্রথম নবরথ মন্দিরে দেবতা বিষ্ণুর নারী অবতার মোহিনীর বিরল মূর্তি পাওয়া গেছে। ভাগবত ও পুরানে ভগবান বিষ্ণুর ২২টি অবতারের কথা বলা হয়েছে, মোহিনী তাদের মধ্যে অন্যতম এবং একমাত্র নারীরূপ। ভারত উপমহাদেশের পূর্বাংশে এটি প্রথম প্রস্তর নির্মিত মোহিনীর প্রতিমা। দেশের চিহ্নিত একমাত্র নবরথ মন্দির ও তার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে এই অঞ্চলে উন্নত ও সমৃদ্ধ ইতিহাস সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা।
দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ডাবোর ইউনিয়নের মাধবগাঁও এলাকায় চিহ্নিত এই নবরথ মন্দিরটি একাদশ থেকে দ্বাদশ শতকের হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৪ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের একটি দল এখানে খনন শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এই খনন কাজের অর্থায়ন করে। মাত্র দুই সপ্তাহের খননেই এখানে পুরনো স্থাপত্যশৈলীর মন্দির রয়েছে বলে নিশ্চিত হয় দলটি।
বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অর্থায়নে টানা তিন মাসের বেশি সময় ধরে খনন কাজ চালানো হয়। খননকারী দল নিশ্চিত হয় এটি বিষ্ণুমন্দির এবং এর সঙ্গে একাদশ থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যকার পূর্ব ভারতীয় হিন্দু মন্দিরের গঠনের মিল আছে। বিশেষ করে উড়িষ্যার কলিঙ্গ স্থাপত্য শৈলী, যেটি একাদশ ও দ্বাদশ শতকে বিকশিত হয়েছিল সেই স্থাপত্য শৈলীর সঙ্গে এর সামঞ্জস্য রয়েছে।
মন্দিরটি দু’টি অংশে বিভক্ত। একটি গর্ভগৃহ যেখানে পূজা বা উপাসনা করা হতো, এটি বিশেষ কিছু অভিক্ষেপ দিয়ে চিহ্নিত। এই অভিক্ষেপগুলোকে স্থাপনা শিল্পের বা শিল্পশাস্ত্রের ভাষা অনুযায়ী রথ বলা হয়। এখানে মোট ১১টি রথ রয়েছে, যার মধ্যে দু’টি উপরথ। পাশাপাশি আরও কিছু আলামতের ভিত্তিতে এটি নবরথ বিশিষ্ট একটি মন্দির বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

দেশে আবিষ্কৃত প্রথম নবরথ মন্দির

দেশে আবিষ্কৃত প্রথম নবরথ মন্দির

খননকালে এখানে প্রস্তর প্রতিমার ভগ্নাংশ হিসেবে হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর ভঙ্গিতে দণ্ডায়মান প্রতিমার হাতে থাকা শঙ্খ, চক্র, গদা, বিষ্ণু প্রতিমার বনমালা শোভিত পায়ের ভগ্নাংশ এবং একটি দেবী প্রতিমার ভগ্নাংশ পাওয়া গেছে।
এই খনন কার্যক্রমে বগুড়ার মহাস্থানগড় থেকে আসা অভিজ্ঞ ১৩ জন শ্রমিকের সঙ্গে আরও ২৬ জন স্থানীয় শ্রমিক কাজ করছেন। খনন দলে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১০ শিক্ষার্থী। তারা এই খননকাজে অংশ নিয়ে স্থাপত্যের নকশা আঁকছেন। পরবর্তীতে কেউ এই স্থাপনা নিয়ে গবেষণা করতে চাইলে এই নকশার সাহায্য নিতে পারবেন।
এলাকার লোকজন জানান, খননকাজ শুরু হওয়ার আগে এখানকার উঁচু ঢিবিটি বুরুজ বলে পরিচিত ছিল। গাছ-গাছালি দিয়ে ঢাকা ছিল এই ঢিবিটি। তবে অনেকেই শুনেছেন এখানে আগে মন্দির ছিল। ওই এলাকার বাসিন্দা অমৃত রায় জানান, এর আগে তারা এটিকে ঢিবি বলেই জানতেন। কিন্তু এর ভেতরে যে এত সুন্দর একটি মন্দির রয়েছে, তা তারা কোনোভাবেই অনুমান করতে পারেননি। তিনি জানান, অনেকেই এখানে ছাগল-গরু বাঁধতো।
এলাকার বাসিন্দা স্বপন চন্দ্র রায় জানান, যেহেতু এটি ভগবান বিষ্ণুর মন্দির হিসেবে আবিষ্কৃত হয়েছে, তাই এটিকে এভাবেই রেখে দেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর। যাতে করে তারা এখানে পূজা অর্চনা করতে পারেন। একই দাবি জানিয়ে এলাকার ভবেশ চন্দ্র বলেন, ‘যদি এটি এভাবে রেখে দেওয়া যায় তাহলে আগে মন্দির কী রকমের ছিল, তা জানতে আমাদের এলাকায় অনেকেই আসবেন।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সীমা হক বলেন, ‘আবিষ্কৃত মন্দিরটির প্রবেশদ্বার পূর্ব দিকে। প্রাচীন এই মন্দিরের নকশা ও স্থাপত্য শৈলী দেখে সহজেই অনুমান করা যায় এক সময়ে এই অঞ্চল উন্নত ও সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে এই অঞ্চল অবহেলিত হয়ে পড়ে।’
খনন দলের প্রধান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. স্বাধীন সেন জানান, ‘স্থাপনাটির বৈশিষ্ট্য আদিমধ্যযুগ বা খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতক থেকে ত্রয়োদশ শতকের পূর্বভারতীয় স্থাপত্য শৈলীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিছু আলামতের ভিত্তিতে তারা নিশ্চিত হয়েছেন এটি একাদশ বা দ্বাদশ শতকের নবরথ বিশিষ্ট একটি বিষ্ণু মন্দির। মন্দিরটি দু’টি অংশে বিভক্ত। পশ্চিম দিকে ১২/১২ মিটার নিরেট প্লাটফর্মের ছোট কক্ষ রয়েছে। যেখানে প্রতিমার উপাসনা হতো। মন্দিরের বাইরে অভিক্ষেপের সংখ্যা ৯টি। তাই এটিকে নবরথ মন্দির বলা হচ্ছে।’ তিনি জানান, ‘এটি বাংলাদেশে আবিষ্কৃত প্রথম নবরথ মন্দির। এর আগে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে একটি পঞ্চরথ মন্দির আবিষ্কৃত হয়েছিল। ’
এই অধ্যাপক বলেন, ‘মন্দিরটির স্থাপনারীতি ও গঠন শৈলী নিয়ে ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ভারতীয় স্থাপত্যের বিশেষজ্ঞ দীপক সঞ্জন দাসের সঙ্গে আলাপ হলে তিনি জানিয়েছেন, ‘মন্দিরটির উপরিকাঠামো পশ্চিম বাংলার বাকুড়া জেলার সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রয়েছে।’ পাশাপাশি খনন কাজের শেষ দিকে ঢিবির পূর্বাংশ থেকে একটি দুষ্প্রাপ্য প্রতিমার ভগ্নাংশ পাওয়া গেছে। প্রতিমাটি সম্পর্কে দক্ষিণ এশিয়ার প্রখ্যাত প্রতিমালক্ষণবিদ ও প্রাচীন শিল্পকলার ইতিহাসবিদ ক্লদিন বুদজে পিক্রো সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিমাটিকে বিষ্ণুর নারী অবতার মোহিনী হিসেবে শনাক্ত করেছেন। ক্লদিন জানিয়েছেন, ‘প্রতিমাটি ভারত উপমহাদেশের পূবাংশে এই প্রথম প্রস্তরনির্মিত বিষ্ণুর নারী অবতার মোহিনীর মূর্তি। নবরথ বিষ্ণু মন্দির ও দুষ্প্রাপ্য মোহিনীর প্রতিমা পাওয়ায় এই অঞ্চলের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে নতুন ভাবনার মোড় নিয়েছে।’
তিনি জানান, ‘খনন কাজ করতে গিয়ে তাদের বড় কোনও সমস্যা হয়নি। বরং এলাকাবাসীর সঙ্গে এক আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এখানে যেসব নিদর্শন পাওয়া গেছে, তা খননকারী দলের কাছেই আছে। গবেষণা কার্যক্রম চালানোর জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক তারা এসব নিদর্শন এক বছর পর্যন্ত গবেষণা কাজে ব্যবহারের জন্য নিজেদের কাছে রাখতে পারবেন। পরে সেগুলো প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরে জমা দিতে হবে। ’
অধ্যাপক সেন জানান, ‘নিয়ম অনুযায়ী প্রত্নতত্ত্ব খননের পর ছবি তোলা ও ড্রয়িং কাজ নথিভুক্ত করার পর সংরক্ষণের জন্য স্থাপত্য কাঠামোটি পুনরায় মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। তাই এই স্থানটিও কয়েকদিনের মধ্যেই মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে। স্থানীয়দের দাবি রয়েছে এটি যেন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়, কিন্তু সেটি করতে হলে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফরের অনুমোদন প্রয়োজন। জায়গাটি রক্ষণাবেক্ষণ করারও প্রয়োজন হবে। সংরক্ষণ না করেই এভাবে রেখে দিয়ে কিছুদিনের মধ্যে এটি নষ্ট হয়ে যাবে। বিষয়টি এলাকার লোকজনকে বোঝানো হয়েছে এবং প্রায় ৬শ’ গ্রামবাসীর স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে স্থানটি সংরক্ষণ ও উন্মুক্ত করার বিষয়ে।’
স্বাক্ষরসহ আবেদনটি স্থানীয় সংসদ সদস্য, ইউএনও, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ইতিবাচক  নির্দেশ আসলেই সংরক্ষণের পর তা জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া সম্ভব হবে।’
তিনি জানান,‘এসব খনন কাজের যাবতীয় ব্যয়ভার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় করে থাকে। কিছুদিনের মধ্যেই দিনাজপুরের বিরল উপজেলার একটি স্থানে খননের কার্যক্রম শুরু করা হবে।’ তিনি আশাবাদী, যেভাবে সরকারি সহযোগিতা তিনি পাচ্ছেন সে ভাবেই সহযোগিতা পেতে থাকবেন। আর এর মাধ্যমে এই অঞ্চলের ইতিহাস,ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে বিশদ জানা সম্ভব হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1474029233স্পোর্টস ডেস্ক: এক সময় দুটো পুরস্কার ছিল আলাদা। ২০১০ সালে একীভূত হয়ে যায় ফিফা বর্ষসেরা আর ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। কিন্তু ফিফা ও ফরাসি ম্যাগাজিন ফ্রান্স ফুটবলের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আলাদা হয়ে যাচ্ছে পুরস্কার দুটো।
শুক্রবার বিশ্বফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা জানিয়েছে, ‘ফিফা আর ফ্রান্স ফুটবলের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে গত জানুয়ারিতে। আগস্টের শুরুতেই আমরা ফ্রান্স ফুটবলকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে আর চুক্তির নবায়ন করা হবে না।’ আর তাই আগের মতো আলাদাভাবে দেওয়া হবে ফুটবলের মর্যাদাজনক দুটো পুরস্কার।
ফ্রান্স ফুটবলের হাত ধরে ব্যালন ডি’অর চালু হয়েছিল ১৯৫৬ সালে। সাংবাদিকদের ভোটে বছরের সেরা ফুটবলার নির্বাচন করত ফুটবলবিষয়ক ম্যাগাজিনটি। প্রথমবার পুরস্কারটা জিতেছিলেন ইংল্যান্ডের স্ট্যানলি ম্যাথিউজ। ফিফার সঙ্গে একত্রিত হওয়ার আগে সর্বোচ্চ তিনবার করে এই পুরস্কার জিতেছিলেন তিন ‘গ্রেট’—ফ্রান্সের মিশেল প্লাতিনি এবং নেদারল্যান্ডসের ইয়োহান ক্রুইফ ও মার্কো ফন বাস্তেন। ১৯৯৪ পর্যন্ত শুধু ইউরোপীয় ফুটবলাররাই বিবেচিত হতেন এই পুরস্কারের জন্য। ১৯৯৫ সালে প্রথম অইউরোপীয় হিসেবে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন এসি মিলানের লাইবেরিয়ান তারকা জর্জ উইয়াহ।
২০১০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ছয়টি ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের চারটিই জিতে নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। বাকি দুবার এই ট্রফি ছিল মেসির সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর হাতে। এ বছর চ্যাম্পিয়নস লিগ আর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মতো দুটো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছেন রোনালদো। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের অনেকের ধারণা, আলাদা হলেও দুটো পুরস্কারই জিতে নিতে পারেন রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ তারকা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1474029868স্বাস্থ্য ও জীবন: মজবুত, ঝলমলে ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের স্বপ্ন কে না দেখে? কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, নানা কারণে আমরা যেমনটা চাই আমাদের চুলের গঠন তেমন হয়ে ওঠে না। মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার অভাবে চুলের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যার খুব সাধারণ একটি সমাধান রয়েছে। তা হলো, চুলের যত্নে ভালো তেল ব্যবহার করা।
চুল আমাদের সৌন্দর্যের অনেক বড় একটা অংশ। আর সেই চুলই যদি ক্রমাগত ঝরে গিয়ে মাথায় টাক পড়ে তাহলে আর দুঃখের কোনো সীমা থাকে না। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য জীবনধারাবিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই প্রকাশ করেছে কয়েকটি প্রাকৃতিক তেলের তালিকা।

ক্যাস্টর অয়েল
ক্যাস্টর অয়েল ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ যা চুলকে মজবুত ও উজ্জ্বল করে। এ ছাড়া এটি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।। অন্যদিকে এতে ভিটামিন বি রয়েছে যা চুলের বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

নারকেল তেল
চুলের যত্নে নারকেল তেলের জুড়ি নেই। নারকেল তেল ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ এবং চুলের জন্য পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী তেল। চুল এই তেল ভালোভাবে শুষে নিতে পারে। এর ফলে এই তেলের কার্যকারিতাও বেশি।

অলিভ ওয়েল
ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য সেরা প্রাকৃতিক তেল হিসেবে অলিভ ওয়েলের বেশ খ্যাতি রয়েছে। শ্যাম্পু করার পর হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল নিয়ে ভালো করে দুই হাতে ঘষে ফেলুন। তারপর চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। সপ্তাহে অন্তত একবার হালকা গরম অলিভ অয়েল চুলে ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগান। এভাবে দু-তিন ঘণ্টা চুলে তেল লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করুন। এর ফলে চুল হবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।

সূর্যমুখী তেল
তৈলাক্ত চুলের জন্য এই তেল খুব উপযোগী। এই তেল অনেক হালকা হওয়ার কারণে চুলে ম্যাসাজ করলে, তেলতেলে হয় না। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার বিভিন্ন তেল চুলে লাগিয়ে যত্ন নিন। তবে কখনোই চুলে তেল লাগিয়ে বেশি সময়ের জন্য ঘুমিয়ে পড়বেন না। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল আরো বেশি পড়তে পারে।

অ্যাভোকাডো তেল
অ্যাভোকাডো তেল অন্যান্য তেলের মতো এত সহজলভ্য নয়। কিন্তু এই তেল ভিটামিন ‘এ’ ও ‘বি’-সমৃদ্ধ। অ্যাভোকাডো তেলে ময়েশ্চারাইজিং রয়েছে, যা ভঙ্গুর চুলের সমাধান করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য বেশ উপকারী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest