সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা জেলা স্কাউটস’র কমিটি গঠন জেলা প্রশাসক সভাপতি : সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনআশাশুনির বুধহাটা খেয়াঘাটে বেতনা নদীতে সাঁকো নির্মানকালীগঞ্জে কৃষিজমিতে লবণ পানি ঢুকিয়ে চিংড়ি চাষ বন্ধে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময়তালার কপোতাক্ষ নদীর চর থেকে রাবেয়া বেগম নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধারসাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে শাহ আলম সভাপতি :ইমদাদুল সম্পাদকআসুন! নতুন স্বাধীনতা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের জন্য কাজ করি -ডা: গালিবদেবহাটা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় সভাসাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা : প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা প্রদানতারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা অবহিতকরন ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনে গণসমাবেশসাতক্ষীরা বোটানীক্যাল সোসাইটির হেমন্তকালীন পরিবেশ আড্ডা

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ আন্তঃ স্কুল ও মাদ্রাসা গ্রীষ্মকালীন ফুটবল টুর্ণামেন্টে সাতক্ষীরার ফিংড়ী ইউনিয়নের জি.ফুলবাড়ী দরগাহ শরীফ আলীম মাদ্রাসা সাতক্ষীরা জেলা চ্যাম্পিয়ান হয়ে খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে খেলার গৌরব অর্জন করেছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় খুলনা জেলা স্কুল মাঠে চুয়াডাঙ্গা জেলা বনাম সাতক্ষীরা জেলা মুখোমুখি হয়। খেলার ২য় অর্ধে কোন গোল করতে না পারলেও ১ম অর্ধে ৩টি গোল করে সাতক্ষীরা জেলা দলের পক্ষে জি.ফুলবাড়ী দরগাহ শরীফ আলীম মাদ্রাসার দুই খেলোয়াড়। ফলে চুয়াডাঙ্গা জেলা চ্যাম্পিয়ান দল কে ৩-০ গোলে পরাজিত করে সাতক্ষীরা জেলা চ্যাম্পিয়ান দল ফাইনালে উঠার গৌরব অর্জন করেছে। দুই খেলোয়ারের দর্শনীয় শটে সাতক্ষীরার মুখ উজ্জল করেছে। খেলার মাঠ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, জাতীয় রেফারী আব্দুর রহমান এবং সহকারি রেফারী ছিলেন, সিদ্ধান্ত সরকার ও তোকদীর হোসেন। খেলায় শত শত দর্শকের সমাগম দেখা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1473162464অপ্রতিম: খোদ মন্দির চত্বরে বসে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনের পাঠ দেওয়া হচ্ছে। আর যিনি এই পাঠ দিচ্ছেন তিনি নিজে একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরল এই দৃশ্যের দেখা মিলবে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আগ্রা শহরের সঞ্জয় নগর কলোনিতে। সেখানে প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা পূজা কুশওয়াহা নামের ১৮ বছরের এক তরুণী পবিত্র কোরাআনের পাঠ শেখাচ্ছেন ৩৫ জন মুসলমান শিশুকে। স্থানীয় একটি মন্দির চত্বরে বসে চলে এই কোরআন পাঠ শিক্ষাদানের কাজ।
পূজা কুশওয়াহা জানান, বেশ কয়েক বছর আগে এলাকায় সঙ্গীতা বেগম নামের এক মুসলিম নারী শিশুদের কোরআন শেখাতেন। তাঁর কাছে পড়তে গিয়েই প্রথম কোরআন শেখার প্রতি আগ্রহ জন্মায় পূজার। তারপর ধীরে ধীরে সঙ্গীতা বেগমের কাছে কোরআন শিখতে থাকেন তিনি। স্পষ্ট উচ্চারণ এবং ভাষাগত জ্ঞান যথেষ্ট ভালো থাকায় খুব তাড়াতাড়িই কোরআন পাঠ আয়ত্ত করেন পূজা। এরপর ব্যক্তিগত কিছু কারণে সঙ্গীতা বেগম শিশুদের কোরআন শেখানোর কাজ ছেড়ে দেন। তবে এই দায়িত্ব তিনি দিয়ে যান তাঁর একনিষ্ঠ ছাত্রী পূজার ওপর। সেই থেকে শুরু। তারপর থেকেই সঙ্গীতা বেগমের মতোই অত্যন্ত দায়িত্ব এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পূজা এলাকার শিশুদের কোরআন পাঠের শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। তবে এর জন্য কোনো শিশুর কাছ থেকে পারিশ্রমিক নেন না পূজা।
হিন্দু পরিবারের সন্তান পূজার নির্ভুল উচ্চারণ এবং ধর্মগ্রন্থ কোরআনের ওপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকায় মুসলিম পরিবারের অভিভাবকরাও কোনো আপত্তি তোলেননি। বরং তাঁরা পূজার কাছে কোরআনের পাঠ নেওয়ার জন্য নিজেদের সন্তানদের প্রতিদিনই পাঠাচ্ছেন। ফলে ধীরে ধীরে বাড়ছে পূজার শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
কোরআন শিক্ষার্থী আলিশার (৫) মা রেশমা বেগম বলেন, ‘এত কম বয়সে তাঁকে (তরুণী) কোরআন পড়াতে দেখা অত্যন্ত আশ্চর্যের। তাকে আমার সন্তানের শিক্ষক হিসেবে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। আমি এবং যেসব মা-বাবাকে আমি চিনি, সবাই তাঁর ধর্মীয় পরিচয়কে গুরুত্ব দেয় না।’
আর মহৎ এই কাজে পূজাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন এলাকার স্থানীয় মানুষরাও। শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় পূজার ছোট্ট বাড়িতে জায়গার অভাবে দেখা দেয়। যে কারণে এলাকার সবাই মিলে স্থানীয় একটি মন্দির চত্বরে স্থান করে দিয়েছেন পূজাকে। তাই সেই মন্দির চত্বরেই রোজ সন্ধ্যেবেলা খুদে শিক্ষার্থীদের কোরআন  শিক্ষাদানের কাজ করছেন পূজা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

download (1) (Medium)

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার পূর্বক হ্যান্ডকাপ পরিহিত অবস্থায় স্থানীয় মহিলাদের কামড়ে পুলিশ আহত হলে আটক শফিকুল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। মঙ্গলবার দুপুরে এঘটনা ঘটে। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এমদাদুল হক শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উক্ত ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই পিন্টু লালসহ সঙ্গীয় ফোর্স উক্ত স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি নেতা ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় মহিলারা প্রতিরোধে এগিয়ে এসে এসআই পিন্টু লালের হাতে কামড় বসিয়ে দিলে শফিকুল হ্যান্ডকাপ পরিহিত অবস্থায় পালিয়ে যায়। তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, পলাতক যুবদল নেতা শফিকুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ “প্রাণসায়ের খাল, সাতক্ষীরার প্রাণ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় প্রাণসায়ের খাল রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সাতক্ষীরা এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। সনাক সভাপতি ড. দিলারা বেগমের সভাপতিত্বে মাবনবন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা পৌর সভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি। মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন বিষয়ক উপ কমিটির (সনাক) আহবায়ক ও প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক এম. কামরুজ্জামান, অধ্যাপক আনিছুর রহিম, সনাক সদস্য প্রফেসর আব্দুল হামিদ, ডাঃ সুশান্ত ঘোষ, তৈয়্যেব হাসান বাবু, স্বদেশ এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক মাধব দত্ত, জেন্ডার প্রকল্পে’র সভানেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা শহরের প্রাণ প্রাণসায়ের খালটি এখন মৃত্যু প্রায়। বর্তমানে প্রাণসায়ের খালটি ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাচ্ছে। অব্যাহত রয়েছে অবৈধ দখলও। প্রাণ সায়ের খালের প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তাই এ খালটির প্রাণ ফিরিয়ে আনতে এবং জনগণের জন্য একটি পরিবেশ বান্ধব শহর নিশ্চিত করতে হলে প্রাণ সায়ের খালটি রক্ষা করা খুবই প্রয়োজন। বক্তারা আরো বলেন, প্রাণসায়ের খালের প্রাণ রক্ষার্থে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং পৌরসভার যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
মানববন্ধন শেষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষে এ সময় স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম। ##

০৬.০৯.১৬Tib satkhira pic

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ লাবসায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র, বয়স্ক ও বিধবাদের ভাতা বই বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বই বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লাবসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম। প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. রোকনুজ্জামান, লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. মোস্তাফিজুর রহমান শাহনেওয়াজ, আ’লীগ নেতা সরদার নজরুল ইসলাম, তামিম আহমেদ সোহাগ প্রমুখ। এসময় ইউনিয়নের ৪৫০জনের মধ্যে ভাতার বই বিতরণ করা হয়। আর আগের সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে তার জীবনের চেয়ে ভালোবাসেন। যে কারণে তিনি এ ধরনের ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দেশের সকলকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। DSC04383 (Medium)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Aman1
নিজস্ব প্রতিবেদক : কাল সেই ভয়াল ৬ সেপ্টেম্বর। ২০১৩ সালের এই দিনে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্যাহ আমানকে। এদিন সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিএনপির এক কর্মী সমাবেশে তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নির্দেশে তার কর্মী সমর্থকরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে আমানকে। ওরা সেদিন খুন করতে চেয়েছিলো তৎকালীন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলীকে। কিন্তু ইফতেখার আলীকে বাঁচাতে গেলে হাবিবের সন্ত্রাসী বাহিনী হিংস্র হায়েনার মত অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে আমানের উপর। দেখতে দেখতে কেটে গেছে তিনটি বছর। আমান হত্যার প্রধান আসামী সেই হাবিবুল ইসলাম হাবিব আজো পলাতক। অথচ তাকে মাঝে মাঝে টেলিভিশনে ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা যায়। জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা আমানউল্যাহ আমানের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশও করেছে আমান হত্যার বিচার বাস্তবায়ন কমিটি।
সূত্র জানায়, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের তারিকুল হাসান খুলনায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজি করত। সেখানে মামলা হওয়ার পর সাতক্ষীরায় আসে এবং হাবিবের ছত্রছায়ায় পূর্বের ন্যায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঘটনার সময় গডফাদার হাবিব-নান্টা বলেছিল, ইফতেখারকে আলতাফ বানিয়ে দে। বিক্ষুদ্ধ জনতা খুনি হাবিব-নান্টার ফাঁসির দাবি জানিয়ে তাদের কুশপুত্তলিকা বানিয়ে দাহ করেছিলো। এদিকে সাতক্ষীরা জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান হত্যা মামলায় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাবিবুল ইসলাম ও জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল হাসানসহ ৯০ জনের নামে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ঘটনার ১৪ মাস পর ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। কিন্তু অভিযোগপত্রটি ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় ২০১৫ সালের ৬ জুন সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন আদালতে। চার তদন্ত কর্মকর্তার হাত ঘুরে ২০১৪ সােেলর ১৬ অক্টোবর তিনি মামলাটির দায়িত্ব পান উপপরিদর্শক আবুল কাসেম। ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন সাতক্ষীরা আদালতের দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক জিল্লুর রহমানের মাধ্যমে আদালতে জমা দেন আবুল কাসেম। মামলার এজাহারভুক্ত ৭৬ জন আসামিসহ ৮৯জন বিএনপি নেতা, কর্মী ও সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। সাক্ষী করা হয়েছে ৫১ জনকে। অন্য আসামিদের মধ্যে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আইনুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম, সদস্যসচিব কামরুজ্জামান, সাতক্ষীরা পৌর বিএনপির সাধারণ শেখ মাসুম বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মো. কামরুজ্জামান, শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ মাস্টার, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুস ছাত্তার, কলারোয়া যুবদলের সভাপতি আবদুর কাদের ও কলারোয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আশরাফ হোসেনের নাম রয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা শহীদ আবদুর রাজ্জাকের শিল্পকলা একাডেমী ভবনে তৎকালীন জেলা বিএনপির কর্মিসভা হয়। সভায় সভাপতি হাবিবুল ইসলাম পক্ষের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তৎকালীন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইফতখোর আলী পক্ষের সাধারণ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা দা, হাঁসুয়া, রড, হাতুড়ি ও লাঠি নিয়ে নেতা-কর্মীদের মারপিট করে। হামলা চালানো হয় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইফতেখার আলীর ওপর। তাঁকে রক্ষা করতে গেলে জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। হামলায় আরও ১২ জন নেতা-কর্মী ও সমর্থক আহত হন। এ ঘটনায় আমানের মা ফাতেমা খাতুন ঘটনার রাতেই পৃথক এজাহারে ৭৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে সম্পূরক এজাহারে আরো ১৪জনকে আসামী করা হয়। আমান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র সাতক্ষীরা মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে দাখিল করা হয়। এরপর মামলাটি (এসআইসি ২৪৭/১৬) জজকোর্টে শুনানীর অপেক্ষায় আছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর মামলাটির ধার্যদিন রয়েছে বলে জানায় সূত্র।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ৪টি ওয়ার্ডে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ৬৫০ পরিবারের মধ্যে চাউল বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় শিবতলা মোড় এলাকায় বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য এস এম রেজাউল ইসলাম, মতিয়ার রহমান, নূর ইসলাম মগরেব, মমতাজ খাতুন, কালিদাশ প্রমুখ। এসময় মাথাপিছু ১০ কেজি চাউল বিতরণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

তালা প্রতিনিধি : তালা সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ এহসান হাবীব অয়ন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শেখ তুহিনকে সভাপতি, আল-মামুন হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক এবং আবু তাহেরকে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনিত করে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, তালা সরকারী কলেজে দীর্ঘদিন দলের কোন কার্যক্রম না থাকায় এবং কমিটির মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ হওয়ায় পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে আগামী এক বছরের জন্য আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয়া হলো। BSL

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest