সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় মানব পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালাপুশব্যাক নয়, অবৈধ ভারতীয়দের নিয়ম মেনে ফেরত পাঠানো হবে–বিজিবির ভাসমান বিওপি উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসাতক্ষীরায় জামায়াতের যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালাসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অসাংবাদিক-অপসাংবাদিকদের নিয়ে গঠিত কথিত দখলদার কমিটির অপতথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদসমৃদ্ধ সাতক্ষীরা গড়ার লক্ষ্যে কদমতলায় পথ সভাস্বপ্নসিঁড়ির সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনমেলোডী শিল্পী গোষ্ঠীর কমিটির গঠনদেবহাটায় মহানবী (সঃ) সম্পর্কে কটুক্তি করার মামলায় আটকশ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সাতক্ষীরা বাস টার্মিনাল শাখার অফিস উদ্বোধনগ্রামের কথা নিউজ পোর্টাল’র দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে কেককাটা

cats-29ডেস্ক রিপোর্ট:  ভিক্ষা করে মসজিদ নির্মাণ করে নিজের স্বপ্ন পূরণ করলেন ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা। স্বামী মারা যাবার ৪ বছরের পর মসজিদ নির্মাণ করেন ওই নারী। ওই নারীর চার সন্তান থাকলেও তার খোঁজ কেউ নেয় না।

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের শীরঘাটা গ্রামে নির্মিত এই মসজিদটিতে মুসুল্লিরা এখন নিয়মিত নামাজ পড়ছেন। বিনা বেতনে একজন ইমামও রাখা হয়েছে।ওই নারীর নাম কালুজান বেওয়ার।

বয়স্ক ভাতা আর বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করেই সংসার চলে তার। ভিক্ষা করলেও তার জীনের শেষ ইচ্ছে ছিল স্বামীর রেখে যাওয়া জায়গায় একটি মসজিদ নির্মাণ করবেন। সেই ভাবনা থেকেই টাকা জমানো শুরু করেন। বয়স্ক ভাতা আর ভিক্ষে করে জমানো সেই টাকা দিয়ে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ইতোমধ্যে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

কালুজান জানান, ভিক্ষা ও বয়স্ক ভাতার টাকায় সংসার চালানো পর যে টাকা উদ্বৃত্ত হতো সেই টাকা তরফপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ফজলুর রশিদ বাজেদের কাছে জমা রাখতেন। এরপর সেই জমানো টাকা দিয়ে স্বামীর রেখে যাওয়া শেষ সম্বল ২৪ শতাংশ জমির উপর মসজিদটি নির্মাণ করেন।

বজলুর রশিদ জানান, বয়স্ক ভাতা ও ভিক্ষার টাকা তিনি দীর্ঘদিন ধরে তার কাছে জমাতে থাকেন। এভাবে খেয়ে না খেয়ে দুই লাখ চার হাজার টাকা জমা করেন কালুজান। এলাকাবাসী তাকে জমানো টাকা দিয়ে স্বামীর নামে খরচ (মানুষ খাওয়ানো) করার পরামর্শ দেন। কিন্তু তাদের কথায় কান দিয়ে কালুজান তার মনের কথা সবাইকে জানান। পরে তার স্বামীর রেখে যাওয়া ২৪ শতাংশ জমিতে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।

বজলুর রশিদ আরও জানান, ইতোমধ্যে মসজিদ ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। জমানো টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় ঘরের ফ্লোর পাকা করা সম্ভব হয়নি। তরফপুর-মির্জাপুর-বাঁশতৈল যাওয়ার রাস্তা সংলগ্ন জমির পাশে মসজিদটি নির্মিত হওয়ায় এলাকার লোকজন ছাড়াও পথচারীরাও নামাজ পড়ছেন। একজন ইমামও রাখা হয়েছে। তবে বর্তমানে তাকে বেতন দিতে হয় না।মসজিদের মোমবাতি ও আগরবাতিসহ আনুষাঙ্গিক খরচও বৃদ্ধা কালুজান বেওয়া বহন করছেন বলে জানালেন বজলুর রশিদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

253336স্পোর্টস ডেস্ক:‍ দুপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে মাঠে নানবে টাইগার বাহিনী। এটিই সিরিজের শেষ ও তৃতীয় ওয়ানডে। প্রথম দুই ম্যাচে ১-১ ব্যবধানে সমতা থাকায় সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে রূপ নিয়েছে। দুই দলই চাইবে নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিয়ে সিরিজ জিততে। কিন্তু বৃষ্টিতে হানা দিতে পারে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে এমনটিই জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

দিবা-রাত্রির এই ম্যাচটি শুরু হবে আজ বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুপুর ২.৩০ মিনিটে।

এর আগে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে গত ৯ অক্টোবর(রবিবার)৩৪ রানের জয় দিয়ে সিরিজ সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। সে ম্যাচে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার অলরাউন্ড নৈপূণ্যে মূলত দারুণ জয় পেয়েছিল তারা। ব্যাট হাতে মাশরাফি খেলেছিলন ৪৪ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস আর বল হাতে একাই তুলে নিয়েছিলেন ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।

দারুণ এই জয় ছাড়াও একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনাও ঘটেছিল সেদিনের ম্যাচে। যার জন্যে পরবর্তিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি এবং অলরাউন্ডার সাব্বির হোসেনকে গুনতে হয়েছে জরিমানা। সেই সাথে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে হতে হয়েছে ভৎসনার শিকার।

এছাড়া প্রথম ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ২১ রানে পরাজিত হয়। যেখানে তারা স্কোরবোর্ডে শেষ ১৭ রান সংগ্রহ করতেই হারায় শেষ ৬টি উইকেট। এটা বেশ হতাশাজনকই সেদিন। ম্যাচটিতে ওপেনার ইমরুল কায়েস খেলেছিলেন নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি ইনিংস। অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও খেলেন ৭৯ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস। তবে দলের পরাজয়ে তাদের এ উজ্জ্বল দুটি ইনিংস সেদিন অনেকটাই ম্লান হয়েছিল।

সিরিজের এ দুই ম্যাচে দুদল জয়ের ফলে ১-১ সমতা রয়েছে সিরিজটিতে। যে কারনে চট্টগ্রামের এই ম্যাচটি দুদলের জন্যে রূপ নিয়েছে ফাইনাল ম্যাচে। ম্যাচ নিয়ে তাই দুদলের প্রতিক্রিয়াও বেশ জোরালো।

এ ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে কোন ধরনের চাপ না নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন বাংলাlদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমরা জিততে অবশ্যই মরিয়া থাকব। আমরা এখানে খেলতেই এসেছি। আমাদেরও চেষ্টা থাকবে জেতা। তবে যদি বাইরের কিছু নিয়ে কেউ জিততে চায়, আমি বলব স্রেফ অপ্রয়োজনীয় চাপ নেওয়া হবে। আমি মনে করি আমাদের খেলাটা নরমাল খেলতে পারলেই হবে। অন্য কিছু ভাবছি না।’

এদিকে এ ম্যাচ নিয়ে বেশ সতর্ক ইংলিশ কোচ ও খেলোয়াড়রা। ইংলিশ কোচ ট্রেভর বেলিস মনে করেন, সবকিছু ভুলে এ ম্যাচের দিকে সবার নজর দেওয়া উচিৎ। আর ইংলিশদলের অন্যতম অলরাউন্ডার মঈন আলীর মতে, যা হবার হয়ে গেছে এখন সবার খেলায় মনোযোগ দেওয়া উচিৎ।

এদিকে শেষ ম্যাচের আগের দিন থেকেই চট্টগ্রামে চলছে বৃষ্টির মহড়া। বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ম্যাচের দিন রয়েছে ভারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। এমনকি ৩ নম্বর সতর্ক সংকেতও দিয়েছে তারা।

তবে যাই হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত যদি মাঠে নামতে পারে বাংলাদেশ। তবে আজকের ম্যাচে তাদের একমাত্র লক্ষ্যই হবে সিরিজ জয়। কেননা ঘরের মাঠে সিরিজটির ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে তাদের। এমনকি এ সিরিজ জিতলে ইতিহাসের অংশ হয়ে যাওয়ারও সুযোগ থাকছে টাইগারদের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

এম. বেলাল হোসাইন: ধুলিহর ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ডে হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি দরের চাউলের কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ওই ওয়ার্ডের মেম্বর শফিকুল পুত্র সাইফুল ইসলামও হতদরিদ্রদের চাউলের কার্ড পেয়েছেন বলে এলাকাবাসী দাবি করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, প্রধানমন্ত্রী’র উদ্দেশ্য  হতদরিদ্রদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানো। কিন্তু এ ওয়ার্ডের হতদরিদ্ররা হয়েছেন বঞ্চিত। এ ওয়ার্ডের যাদের মধ্যে ১০ টাকা দরে চাউলের কার্ড বিতরণ করা হয়েছে তারা অনেকেই স্বচ্ছল। একই পরিবারের ৪/৫ সদস্যও পেয়েছেন এ কার্ড। এছাড়া ধুলিহর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আরশাদ আলীসহ এলাকার ধনী ব্যক্তিরা পেয়েছেন কার্ড।
জানা গেছে, মেম্বর শফিকুলের ছেলে কার্ড পেয়েছেনÑ যার কার্ড নং ১৯৬, একই এলাকার ধনী পরিবারের কাদের সরদারের স্ত্রী শাহিদা খাতুন- কার্ড নং ২৫৪। একই পরিবারের ৪ জন শহিদুল ইসলাম, সাইদ, রহিমা, তানজিরা, বাকের সরদারের স্ত্রী আয়শা খাতুন। এছাড়াও কার্ড পেয়েছেন- নবাত আলীর পুত্র শহীদুল ইসলাম, আজারুল, হাবিবুর, মৃত মোকছেদ আলীর ছেলে শাহাজাহান, হবিবর, মিন্টু সাহার স্ত্রী মিনতী রানী, তনিমা, নুরমান আলী ছেলে সোহরাব, আরশাদ, নাছির জামির পেয়েছেন কার্ড। এদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকই ধনী পরিবারের সন্তান। যারা এ কার্ড পাওয়ার যোগ্য না। কিন্তু ইউপি মেম্বর শফিকুল ইসলাম ও ডিলার খিজির সানা মিলে তাদেরকে কার্ড দিয়েছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এদিকে ডিলার খিজির সানা চাউল বিতরণে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সপ্তাহের ৩ দিন চাউল বিতরণ করার কথা থাকলেও তিনি বিতরণ করছেন প্রতিদিনই। তাছাড়া চাউলে ওজনে কমও দিচ্ছেন তিনি। এবিষয়ে প্রতিবাদ করে কমলা নামের এক মহিলাকে মিলের কাজ থেকে বিতাড়িত হতে হয়েছিল। পরে অনুরোধ করে সে কাজে যোগ দিতে পেরেছে।
অপরদিকে ১৬ বস্তা চাউল স্থানীয় চাতাল মালিক পবিত্র সাধু খাঁর মিলে রেখে ২৪ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। যে চাউল ক্রয় করেছেন বাবুরাম ঘোষ।
এবিষয় সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি কার্ড বিতরণে কোন অনিয়ম করিনি। অনিয়ম করেননি তাহলে আপনার ছেলে কার্ড পেয়েছে কীভাবেÑ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, “আমি যদি অনিয়ম করে থাকি আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেন।”
অন্যদিকে, ধুলিহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “ইউনিয়নে কার্ড বিতরণে অনিয়ম হয়েছে এমন কোন অভিযোগ কেউ করেনি। তবে ২নং ওয়ার্ডের মেম্বর শফিকুল ইসলাম তার ছেলেকে কার্ড দিয়েছেন এটা আমি শুনেছি। প্রকৃতার্থে সে সদস্য নির্বাচিত হলেও দরিদ্র মাছ বিক্রেতা মাত্র।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

10-mohoromআজ মহররম মাসের ১০তারিখ পবিত্র আশুরা। আশুরা শব্দের অর্থ দশম বা দশমী । আশুরার দিনটি বিভিন্ন কারণে মুসলমানদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে। তার মধ্যে যা অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ও হৃদয় বিদারক তা হলো কারবালার ঘটনা। মুয়াবিয়া (রা) এর ইন্তেকালের পর তার পুত্র ইয়াজিদ ইসলামী রাষ্ট্রনীতির বরখেলাপ করে দামেস্কের মসনদে আসীন হন। মহানবী (স.) প্রতিষ্ঠিত যে নীতি ও আদর্শ অনুযায়ী খোলাফায়ে রাশেদীনগণ রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন ইয়াজিদ সে নীতি ও আদর্শ পরিবর্তন করেন। আর ইমাম হোসাইন (রা) তা রক্ষার জন্য সোচ্চার হন। তিনি অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করে সত্যের জন্য সংগ্রাম করে কারবালা প্রান্তরে তার পরিবারের ১৭ জন সদস্য সহ মোট ৭৮জন এ দিনেই শাহাদাত বরণ করেন।
আশুরার পিছনের ইতিহাসঃ পবিত্র আশুরা দিনটির সাথে হযরত আদম (আ) থেকে শুরু করে বিভিন্ন নবী রাসুলগণের সাথে বিশেষভাবে সম্পর্ক রয়েছে। এদিনে আল্লাহপাক ১০জন পয়গম্বরকে তার বিশেষ অনুগ্রহ প্রদান করেছেন। মানবজাতির আদি পিতা হযরত আদম (আ.) কে সৃষ্টি জান্নাতে অবস্থান দুনিয়াতে প্রেরণ আর তওবা কবুল হওয়া এর সবই ঘটেছিল আশুরার দিনে। হয়রত নুহ (আ:) দীর্ঘ ৯০০ বছর তাওহীদের দাওয়াত দিয়েছিলেন তার কওমকে। কিন্ত তারা তার দাওয়াত কবুল করেনি। ফলে তাদের প্রতি আল্লাহর গজব হিসেবে নেমে আসে মহা প্লাবন। নুহ (আ:) ও তার অনুসারীরা তার নৌকায় আরোহণ করেন। দীর্ঘ ৪০দিন পর প্লাবনের সমাপ্তি ঘটে এবং নুহ (আ) এর কিস্তি জুদি পাহাড়ের পাদদেশে মাটি স্পর্শ করে ঐতিহাসিক আশুরার দিনে। পবিত্র আশুরার দিনে হযরত ইব্রাহিম (আ) কে নমরূদ অগ্নিকান্ডে নিক্ষেপ করে। আল্লাহতায়ালা তাকে অগ্নি থেকে উদ্ধার পূর্বক খলিলুল্লাহ বা আল্লাহর বন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেন। হযরত আইয়ুব (আ) দীর্ঘ ১৮বছর পর কুষ্ঠরোগ থেকে মুক্তিলাভ করেন আশুরার দিনে। হযরত ঈসা (আ) কে চতুর্থ আসমানে উঠিয়ে নেন পবিত্র আশুরার দিনে। হযরত ইউনুস (আ) ৪০দিন মাছের পেটে থাকার পর মুক্তিলাভ করেছিলেন পবিত্র আশুরার দিনে। হযরত সুলাইমান (আ) কে পুররায় রাজত্ব ফিরিয়ে দেন এইদিনে। হযরত মুসা (আ) ও তার অনুসারীদের আল্লাহতায়ালা নীল দরিয়ার মাঝখান দিয়ে রাস্তা তৈরি করে পার করিয়ে দেন এবং ফেরাউন ও তার দলবলসহ নীল নদে ডুবিয়ে মারেন এই আশুরার দিনে। আশুরার দিনে আল্লাহপাক সৃষ্টি করেন আকাশমন্ডলী,লওহ কলম, ফেরেস্তা পর্বতরাজি। আল্লাহতায়ালা নিজ আরশে অধিষ্ঠিত হন এ দিনে। আশুরার দিনে প্রথম আকাশ থেকে বৃষ্টিপাত হয়। মহররম মাসের ১০ তারিখ শুক্রবার কেয়ামত সংঘটিত হবে এমর্মে আল্লাহর রাসুল (স) ভবিষ্যৎবাণী প্রদান করেছেন।
আশুরার ফজিলত: আশুরার ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (স) বলেন -আশুরার দিনে রোজা পালন বিগত এক বছরের গোনাহ সমুহের কাফফারা স্বরূপ। (সহিহ মুসলিম)এছাড়া সহিহ বুখারী ও মুসলিম শরীফে সালামা ইবনে আকওয়াহ (রা) হতে বর্ণিত হাদীস হতে জানা যায়, নবী করিম (স) আসলাম গোত্রের এক লোককে নির্দেশ দিলেন সে যেন লোকদের মাঝে এ ঘোষনা দেয় যে, যে ব্যক্তি আজ সকালে খেয়েছে সে যেন দিবসের বাকী অংশ রোজা পালন করে। আর যে ব্যক্তি কিছুই খায়নি সে যেন রোজা রাখে। কেননা আজকের দিন আশুরার দিন।
আশুরার তাৎপর্য ঃ আশুরা মুসলমানদের চেতনার বাতিঘর। আজকের দিনে যারা মুসলিম বা ইসলামী নামধারী হয়েও এজিদ , ইবনে জিয়াদ, সীমারের ভুমিকা পালন করে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ইসলাম সম্পর্কে যারা ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে তাদেরকে সঠিক ধারণা প্রদান করতে হবে এবং ইসলামের সু-মহান আদর্শের দিকে সবাইকে আহবান করতে হবে। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে বাতিল ও জালিমের মোকাবেলায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। আশুরার তাৎপর্য সম্পর্কে জাফর সাদিকের (র) এর উক্তিটি প্রণিধান যোগ্য। তিনি বলেন – প্রতিদিন ই আশুরা, প্রতিটি মাসই মহররম এবং প্রতিটি ভুমিই হচ্ছে কারবালা। অতএব আশুরার শিক্ষা বাস্তবায়নে আমাদের প্রতিদিনই কর্মসূচী থাকতে হবে। শুধু মহররম মাসে নয় বছরের প্রতিটি মাসেই মহররমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সত্য প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আর প্রতিটি ভুমিকে কারবালা মনে করে অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে কারবালার চেতনা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
লেখক: শিক্ষক ও সাংবাদিক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

new-image
বুধহাটা প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় মহিষাডাঙ্গা নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের বড় ভাই প্রণব সরকার পলাশ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার। শিক্ষক চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রহমান, কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর কুমার দীপ, প্রভাষক হিরোলাল বিশ্বাস, অভিনেতা প্রভাষ সরকার প্রমূখ। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় মহিষাডাঙ্গা নৌকাবাইচ দল, সোনাবাদাল নৌকাবাইচ দল, কুলপোতা নৌকাবাইচ দল ও ষষ্টগ্রাম নৌকাবাইচ দল অংশ গ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় কুলপোতা নৌকাবাইচ দল প্রথম, মহিষাডাঙ্গা নৌকাবাইচ দল ২য় এবং সোনাবাদাল নৌকাবাইচ দল ৩য় হয়। বাইচ প্রতিযোগিতা শেষে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এসময় বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পূজা উদ্যাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার দর্শক মনমুগ্ধের মত নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

west-indies-bangladesh-cric
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনির বড়দল ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামে এক শিশু পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছে। জানা গেছে, বামনডাঙ্গা গ্রামের গৌতম গাইনের কন্যা বৃষ্টি (দেড় বছর) গতকাল দুপুরে উঠানে খেলছিল। দুপুর ১২ টার দিকে সবার নজর এড়িয়ে শিশুটি পাশের পুকুরে পড়ে যায়। ১৫/২০ মিনিট পর কন্যাকে না পেয়ে খোজাখুজির এক পর্যায়ে পুকুর থেকে মৃত্যুবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন। গতকাল তিনি শ্রীউলা ইউনিয়নের পুঁইজালা,বিল মহিষকুড়, হাড়িরহাটখোলা, ঢালিরচক,নাকতাড়া সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ সহ ৮টি মন্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি ইউপি চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ইউনিয়নের প্রতিটি পূজা মন্ডপে নগদ ২ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি নাকতাড়া কালিবাড়ী সার্বজনীন দুর্গা পূজামণ্ডপে ভক্তবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম রহমান ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল বক্তব্য রাখেন। এসময় মিসেস গোলাম রহমান, বিজিএম ক্লাবের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাবলু,ইয়াং স্টারস্ ক্লাব সভাপতি সৌরভ রায়হান সাদ,ইউপি সদস্য ইয়াছিন আলী সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বুধহাটা প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলায় শারদীয়া দুর্গোৎসব উপলক্ষে ১০১টি পুজা মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হলেও মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর দিনে ৪টি মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। বাকীগুলো আজ (বুধবার) বিসর্জন দেওয়া হবে। বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে ৭ অক্টোবর দুর্গোৎসব শুরু হয়। নানান আচার ও অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ৫দিন ব্যাপী দুর্গাদেবীর পুজা শেষে গতকাল ছিল বিজয় দশমী। পূজা-অর্চনার পাশাপাশি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা, র‌্যাফেল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ ছিল নানান অনুষ্ঠান। বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য সরকারিভাবে নির্দেশনা থাকলেও নানান জটিলতা ও বাধ্যবাধকতার কারণে গতকাল আশাশুনিতে মাত্র ৪টি স্থানে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। এ ৪টি মন্ডপ হলো, আশাশুনি সদর, কাদাকাটি ইউনিয়নের ঝিকরা, শোভনালী ইউনিয়নের বদলতলা ও কুল্যা ইউনিয়নের মহিষাডাঙ্গা সার্বজনীন পুজা মন্দির। বাকীগুলো আজ বিসর্জন দেওয়া হবে। বিশেষ করে কাদাকাটির টেংরাখালী, বড়দলের বুড়িয়ায় বিশাল আড়ম মেলার মাধ্যমে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিসর্জন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম রহমান জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতরাত্রে ১২টার পর থেকে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি দায়িত্ব পালন শেষ করেছে। গতকাল যারা প্রতিমা বিসর্জন দেয়নি তারা নিজস্ব দায়িত্বে নিরাপত্তাবিধান করবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest