শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগরে কাশিমাড়ীর গোদাড়া গ্রামের গাজী ফিস নামীয় মৎস্য ঘের থেকে ২ জন মাছ চোর আটক করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত ৪ অক্টোবর গভীর রাত্রে গোদাড়া গ্রামের জলিল মোল্যার পুত্র ইউনুচ মোল্যা (৩৫) ও আবুল কাশেম গাজীর পুত্র সায়েদ আলী (৪০) কে মাছ চুরি করা অবস্থায় গাজী ফিস ঘেরের কর্মচারী আফসার, মোস্তফা সহ অন্যান্য ব্যক্তিরা আটক করে স্থানীয় ইউ,পি মেম্বরের নিকট নিয়ে আসে। স্থানীয় ইউ,পি সদস্য জাহাঙ্গীর কবির(লাকী) জানান, চোরদের স্বীকারোক্তিতে  গোদাড়া গ্রামের আকবর মোল্যার পুত্র আলমগীর হোসেনের বাড়ী হতে দেশীয় রাম দা, হাসু, ছুরি,লোহার রড,মাছ ধরা জাল সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম  উদ্ধার করে কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়। পরে তাদেরকে শ্যামনগর থানায় প্রেরণ করা হলে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc01983-copy
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬  সুষ্ঠভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তুতি সভায় জানান হয় আগামী ১৬ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হবে। ৩ দিন ব্যাপি  বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬  সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে ১৬, ১৭, ১৮ এই তিন দিন ব্যাপি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রশাসক মুনসুর আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অরুন কুমার মন্ডল, সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফ হোসেন, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আতিকুল হক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনিরা পারভীন, জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বিবি খাদিজা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আবুবক্কর সিদ্দীক,  সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, রেড ক্রিসেন্টের জেলা ইউনিট অফিসার আতিকুল ইসলাম, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির খান বাপ্পি, ক্রীড়া শিক্ষক ভদ্র কান্ত, শংকর কুমারসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কমিটির সদস্যবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগরে সর্বহারা দলের প্রধান পরিচয়ে মোবাইল ফোনে টাকা চেয়ে একাধিক ব্যক্তিকে হুমকি দেওয়া। গতকাল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২- ৫৫ মিনিট পর্যন্ত সময়ে একই মোবাইল নং থেকে একাধিক ব্যক্তির কাছে মোটা অংকের টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। যাদেরকে টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয় তাদের মাধ্যমে জানাযায়, নিজেকে উত্তর বঙ্গের সর্বহারা দলের প্রধান এবং নাসির নাম পরিচয়ে ০১৬১৭-৭৭৩৩৪৩ নং মোবাইল ফোন থেকে সকাল ১১-১০ মিনিটে প্রথমে ফোন আসে উপজেলা সদরের বাদঘাটা গ্রামে স্থায়ী ভাবে বসবাস কারী বিশিষ্ট চিংড়ি চাষী শেখ আব্দুস ছবুর বাবলুর কাছে। তাকে বলা হয় আমাদের শতাধিক সদস্য কারাগারে আছে, তাদের পিছনে অনেক টাকা পয়সা খরচ হচ্ছে। এই মুহুর্তে ২২ লক্ষ টাকা দিতে হবে, টাকা না দিলে পরিবারের সদস্যদের উঠিয়ে নেওয়া হবে এবং জীবন নাশের ও হুমকি দেওয়া হয়। এই দাবির টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠানোর দাবি জানানো হয়। বিকাশ নং টি মোবাইলএর মাধ্যমে জানানো হয়, নম্বর টি ছিল ০১৯৩৩-২৪১৯৭৪ ঠিক একই ভাবে সকাল ১১-১৫ মিনিটে একই মোবাইল নং থেকে উপজেলা সদরের মৃত হাজী সোহরাব হেসেনের পুত্র জিএম আব্দুল কাদেরের কাছে ও ২২ লক্ষ টাকা এবং নকিপুর গ্রামের মৃত শিবপদ চক্রবর্তীর পুত্র শ্রী দুর্গাপদ চক্রবর্তী এর কাছেও একই অংকের টাকা দাবি করা হয়। এছাড়াও ইসমাইল পুর গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আব্দুল জলিলের পুত্র ঠিকাদার আব্দুর রশিদের কাছে ও ৫ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে সকলের জন্য একই ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়। এঘটনায় গতকাল শ্যামনগর থানায় ১৮৫ ও ১৮৬ নং সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

জি.এম আবুল হোসাইন : সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারে সরকারি জায়গায় নির্মিত হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন কাঁচা বাজারে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন পাকা দোকান ঘর (ইমারত) তৈরি করছেন পাথরঘাটা গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুর রউফের দুই ছেলে মো. সেলিম রেজা ও মাসুম রেজা। সরেজমিনে জানা যায় তামান্না ফিসের স্বত্ত্বাধিকারি মো. সেলিম রেজা ও তার ভাই ঝাউডাঙ্গা মৌজার ১নং খতিয়ানভূক্ত ১৩৪/৭২ নং দাগে ৬৮৪ বর্গ মিটার জমির উপর অবৈধভাবে পাকা দোকান ঘর (ইমারত) তৈরি করছেন। ঝাউডাঙ্গা বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. ইলিয়াস বলেন, একে তো আমরা অধিকাংশই কাঁচাবাজারের নির্ধারিত ফুটপাতে বসি। এভাবে পাকা দোকান বাড়তে থাকলে আমাদের চট পেতে বসার জায়গাও থাকবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের দুঃখের শেষ নেই। কখনো কালী মন্দিরের চারপাশে, কখনো মাছ বাজারের পাশে আমরা দোকান পেতে বসি। যদি এভাবে কাঁচাবাজার সংকীর্ণ হতে থাকে আর মন্দির কর্তৃপক্ষ আমাদের বসার জায়গা না দেয়, তাহলে অধিকাংশ কাঁচামাল ব্যবসায়ীর ধান হাটের ব্যবসায়ীদের মত মেইন রোডের পাশে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না। এবিষয়ে ঝাউডাঙ্গা বাজার কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল হাই বলেন, আমি অসুস্থ থাকার কারণে বিষয়টি এখনো জানি না। তবে কাঁচাবাজারের ইটের সোলিং তুলে সেখানে পাকা দোকান নির্মাণ করা অবৈধ। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তরা অবৈধভাবে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন। তাদেরকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে এবং মালামাল অপসারণ করতে মঙ্গলবারে নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এসবের তোয়াক্কা না করে তারা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। ৪নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ও বাজারের ইজারাদার শেখ আব্দুল আলীম বলেন, অবৈধভাবে অনেকেই এভাবে মাছের আড়ৎ নির্মাণের ফলে কাঁচাবাজার সংকুচিত হয়ে আসছে। ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মো. রমজান আলী বলেন, যেখানে দোকান হচ্ছে সেটা তার জায়গা। তবে অবৈধভাবে ইমারাত নির্মাণ হচ্ছে কি না আমার জানা নেই। তামান্না ফিসের স্বত্ত্বাধিকারি মো. সেলিম রেজা বলেন, আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই আমার জায়গায় নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। এছাড়া বিষয়টি স্থানীয় আ’লীগ নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদ, বাজার কমিটি ও ভূমি অফিসকে অবহিত করেছি। এছাড়া অবৈধ দোকানঘর নির্মাণকারী তার স্থাপনা টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়। এভাবে সরকারি জায়গার উপর নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনিতে গাঁজাসহ ১ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার এসআই বিজয় কৃষ্ণ মজুমদার অভিযান চালিয়ে উপজেলার আগরদাড়ী গ্রামের মানিক গাজীর পুত্র আঃ রশিদকে আটক করেন। এ সময় তার কাছ থেকে ১০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এব্যাপারে এসআই বিজয় কৃষ্ণ বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১(১০)/ ১৬ নং মামলা দায়ের করেছেন। আসামীকে গতকাল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আশাশুনি ডেস্ক: আশাশুনি উপজেলার ২৫টি সরকারি অফিসের মধ্যে ১৩টি অফিসের কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পদগুলো শূন্য থাকায় স্বাভাবিক কর্মকান্ড স্থবির হতে শুরু করেছে। উপজেলা পরিষদভুক্ত এবং উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও, এসি (ল্যান্ড), ওসি, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সহ বিভিন্ন অফিসের ২/১ টি বাদে বেশির ভাগেরই গুরুত্ব অনেক বেশী। অফিসগুলো জনগুরুত্বপর্ণ হওয়া স্বত্বেও বছরের পর বছর ধরে আশাশুনির অনেক অফিসে কর্মকর্তার পদশূন্য রয়েছে। তাছাড়া সম্প্রতি বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে এখান থেকে বদলী করা হলেও তদস্থলে কাউকে পোষ্টিং দেয়া হয়নি। শূণ্য থাকা পদগুলোর মধ্যে মৎস্য কর্মকর্তা, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা, সমবায়, সমাজসেবা, পল্লী উন্নয়ন, পরিসংখ্যান, নির্বাচন, মাধ্যমিক শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও সাব রেজিস্ট্রারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ রয়েছে। এসব পদে অর্ধস্থন কাউকে ভারপ্রাপ্ত করে, কাউকে ২/৩টি উপজেলার সাথে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে, কাউকে চলতি দায়িত্ব দিয়ে এসব অফিস পরিচালনা করা হচ্ছে। ফলে কোন কোন অফিসে মাসে একদিন, কোন কোন অফিসে মাসে ২/৪দিন করে কর্মকর্তাদের দেখা মেলে। ফলে অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমসমুহ ফাইলবন্ধি হয়ে রয়েছে। জনসাধারণ দিনের পর দিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। কোন কোন অফিসে বর্তমানে দৈনিকের পরিবর্তে সপ্তাহে ১/২ দিন করে অফিস কার্যক্রম চালু রাখার মত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিটিং বা জরুরি কাজে অফিসে না থাকলে সেদিন উপজেলা পরিষদ এলাকা জনমানবশূন্য মনে হয়। সেবা নিতে আসা অনেককেই অফিসে এসে বারবার ফিরে যেতে দেখা যায়।  তাই জনগুরুত্বপূর্ণ এসকল অফিস সমুহের শূন্য পদগুলোতে জরুরী ভিত্তিতে কর্মকর্তা নিযুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্ত্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী উপজেলাবাসী ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (কালিগঞ্জ) : চাচার জনতাব্যাংকের চেকের তিনটা পাতা চুরি করে ব্যাংকের এ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে জানতে যেয়ে জনতা ব্যাংকের গোপন ক্যামেরায় ধরা খেল এলাকার আলোচিত চোর মোঃ আনিছুর কারিগর। ঘটনা টি ঘটেছে মথেরেশপুর ইউনিয়নের উজায়মারি গ্রামে। স্থানীয় সুত্রে জানাযায় উজয়মারি গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী সাথী ফিসের মালিক পিয়ার আলী কারিগর এর জনতা ব্যংকের সাথী ফিস নামের একাউন্টের তিনটি  চেক বইয়ের পাতা তার নিজ বাড়ির আলমারির ড্রয়ার থেকে গত ২-১০-২০১৬ তারিখে চুরি হয়ে যায়। তিনি তার  দুই দিন পরে চেক বই দেখে বুঝতে পারেন ভিতর থেকে তিনটি পাতা চুরি হয়ে গেছে। তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে জনতা ব্যাংকের কালিগঞ্জ শাখার পরিচালক মোঃ রবিউল ইসলাম কে অবহিত করেন। এসময় পরিচালক সাথে সাথে অন্য অফিসারদের ডেকে খোঁজনেন সাথী ফিসের একাউন্ট সম্পর্কে কোন ব্যাক্তি কোন খোঁজ নিতে এসে ছিল কিনা। এ সময় জনতা ব্যাংকের কালিগঞ্জ শাখার লোন অফিসার এস,এম, শরিফ রায়হান বলেন দুইজন ব্যক্তি আমার কাছে ৪-১০-২০১৬ তারিখে জানতে এসেছিলেন সাথী ফিসের এ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে। পিয়ার আলী সাহেব আমার পরিচিত হওয়ায় আমি তাদেরকে বলেছিলাম এটাতো আপনার একাউন্ট না আপনাকে বলা যাবেনা এই একাউন্টে কত টাকা আছে এই কথা শুনে ওনারা চলে যায়। তখন কালিগঞ্জ শাখার পরিচালক বলেন ৪ তারিখের গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও দেখলে পিয়ার সাহেব আপনার এলাকার ব্যাক্তি হলে আপনি হয়ত চিনতে পারবেন। গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও দেখে সাথী ফিসের মালিক হয়ে হতবাক হয়ে যান। কারণ চেকের পাতা চোর আর কেউ নয় পিয়ার আলীর আপন চাচাত ভাইয়ের ছেলে এলাকার আলোচিত চোর আনিসুর। পিয়ার আলীর বাড়ী থেকে শুধুই চেকের পাতা চুরি করে নি আনিসুর দেড় বছর আগে পিয়ার আলীর বাড়ির আলমারি ভেঙ্গে দুইটি গলার সোনার চেইন,দুইটি সোনার আংটি,তিনটা নাকফুল চুরি করে তার বাড়ির পাশে বসবাসরত চোর ভাইপো আনিসুর। লোক লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে চোর ভাইপো কে নিয়ে এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন কে নিয়ে এবং এলাকার দুই চার জন গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে গত ৪ তারিখে রাত ৯ টার সময় বিচারে বসে পিয়ার আলী। সেখানে চোর আনিসুর সকলের সামনে চেকের পাতা চুরি ও দেড় বছর আগে স্বর্ণ চুরির বিষয়ে স্বীকার করে। এই সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য উজায়মারি গ্রামের চোর আনিসুরকে ৮০হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ বিষয়ে সাথী ফিসের মালিক পিয়ার আলীর কাছে চেকের পাতা এবং দেড় বছর আগে তার বাড়ি স্বর্ণ চুরি হওয়ার বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এটা আমাদের নিজেদের বিষয় আমাদের মিমাংসা হয়ে গেছে এ বিষয় নিয়ে লেখা লেখি না করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন তিনি। বিচারে ৮০ হাজার টাকা জরিমানার বিষয়ে ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান দের বছর আগে স্বর্ণ চুরি করার জন্য আঁশি হাজার টাকা জরিমানা করেছি। কিন্তু এখন ও জরিমানার টাকা আনিসুর তার চাচা পিয়ার আলী কে দেয়নি তবে একটা সময় বেধে দেওয়া হয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্য আনিসুর কে জরিমানার টাকা পরিষোধ করতে হবে। এই চেকের পাতা চুরি ও দেড়বছর আগে স্বর্ণ চুরি নিয়ে এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যর বিচারে চোর আনিসুর কে পুলিশে না দিয়ে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করায়,স্থানীয় জনগনের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

c-lig
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন। সাধারণ সম্পাদক শেখ এহসান হাবিব অয়নের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সরদার মশিয়ার, দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ, কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন, কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গৌতম কুমার লস্কর, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব লিমু, সরকারি কলেজছাত্রলীগের সভাপতি মিঠুন ব্যনার্জী, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রমজান আলী রাতুল, দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান শাওন, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের রাজু, তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওসাফুজ্জামান শাওন, পলিটেনকনিট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পথিক প্রমুখ। সভায় ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনের কার্যক্রম কে আরো গতিশীল করার জন্য জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রতিটি উপজেলা এবং প্রতিটি ইউনিটকে দিক নিদের্শনা মূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এছাড়া আগামীতে ছাত্রলীগকে আরো সুসংঘঠিত করার জন্য জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিস্তারিত আলোচনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest