প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ১২ নভেম্বর বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা আলাউদ্দীন চত্বরে জেলা জাসদের মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাপতিত্ব করেন জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযেুাদ্ধা সরদার কাজেম আলী। ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নাসির নগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বর্বরোচিত হামলা, হুটপাট সাংবাদিকদের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পোড়ানোর চেষ্টা ও শৈলকুপায় মুক্তিযোদ্ধাকে প্রহারের সাথে যুক্তদের অতিসত্ত্বর গ্রেফতারের দাবিতে মানব বন্ধনে বক্তৃতা করেন জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রিয় শিক্ষা বিষয়ক অধ্যপক ইদ্রিস আলী। সদর উপজেলা জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু বকর সিদ্দিক, পৌর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নাসির, কলারোয়া উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, শাহীন, পলাশ, বজলুর রহমান, রবিউল ইসলাম, মুনসুর রহমান, বিপ্লব, জামানসহ আরোও নেতাকর্মীরা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, সবাই সমান। এখানে ধর্মীয় উগ্রতা দেখিয়ে কাউকে হামলা বা কাও বাড়ী ঘর ভাংচুর করা দেশদ্রোহিতার সামিল। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

বাবুল আক্তার, পাইকগাছা : পাইকগাছা উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ বছর টেকনিশিয়ান না থাকায় এক্স-রে ও আলট্রাসনো মেশিনটি নষ্ট হয়ে গেছে। এ সেবা থেকে বঞ্চিত ৫লক্ষাধিক জনগণ। টেকনিশিয়ান নিয়োগের দাবি জানিয়েছে উপজেলাবাসী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দক্ষিণাঞ্চলের ৫ লক্ষাধিক জনগনের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। পাইকগাছা উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কয়রা, দাকোপ, আশাশুনি ও তালার উপজেলার অনেকেই এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে। এ লক্ষ্যে সরকার ২০০২ সালের ১০ জুলাই একটি এক্স-রে মেশিন প্রদান করেন। প্রদানের পর কয়েকদিন এক্স-রে মেশিনটি ব্যবহার করা হয়। তার পর টেকনিশিয়ান অন্যত্র বদলি হলেও দীর্ঘ ১৪ বছর ৪ মাস ধরে কোন টেকনিশিয়ান নেই। কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কোন মাথা ব্যথা না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এদিকে সরকার গত ১২ আগস্ট একটি আলট্রাসনো মেশিন প্রদান করলেও তা ব্যবহার করা হচ্ছে না এবং আলট্রাসনোর জন্য কোন বিভাগ চালু করা হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ জানান, টেকনিশিয়ান না থাকার কারণে অদ্যাবধি এক্স-রে মেশিনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে মেশিনটি মেরামত করা হলে ব্যবহার উপযোগী হবে বলে তিনি ধারণা করছেন। টেকনিশিয়ান নিয়োগের ব্যাপারে সিভিল সার্জন, খুলনা ডাঃ এএসএম আব্দুর রাজ্জাক গত ৭ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ বিষয়টি চাহিদাপত্র পাঠিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। হাসপাতালে আগত রোগী ভিলেজ পাইকগাছা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী গাজী বলেন, হাসপাতালের এক্স-রে ও আলট্রাসনো মেশিন ব্যবহার হলে সাধারণ মানুষের উপকার হতো।
