ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নব গঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাত্র রাজনীতির সুতিকাগার হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এসে ছাত্রলীগের খোঁজ-খবর নিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মধুর ক্যান্টিনে এসে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে আধা ঘন্টা চায়ের আড্ডায় বসেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক শেখ ফয়সাল আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় ওবায়দুল কাদের স্মৃতি বিজড়িত মধুর ক্যান্টিনের ‘চা’ পান করেছেন। খোঁজখবর নেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের। ছাত্রলীগ নেতাদের রাজনীতির আগে পড়ালেখায় মনেযোগ দেয়ার তাগিদ দেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স জানান, ‘মাননীয় মন্ত্রী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পড়ালেখায় মনেযোগী হতে বলেছেন। তিনি বলেন, নেতা কর্মীদের সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে, দিনের শুরুতেই কয়েক ঘন্টা পড়ালেখা করতে, এরপর মধুর ক্যান্টিনে সময় দিতে, পড়ালেখার পাশাপাশি রাজনীতি করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। পড়ালেখা বাদ দিয়ে রাজনীতি নয় বলেও নেতাদের বলেন ওবায়দুল কাদের।
এদিকে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের এভাবে কাছে এসে খোঁজখবর নেয়া নেতাকর্মীদের রাজনীতিতে আরও আগ্রহী করে তুলবে বলে মনে করছেন ছাত্রলীগ নেতারা।
উল্লেখ্য, ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৭ থেকে ৮১ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক এই ছাত্র দীর্ঘ রাজনীতির জীবনে অনেকবার কারাভোগও করেন।


অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুব সমাজই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। মঙ্গলবার দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুব দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জঙ্গিবাদ কাউকে বেহেশতে নিয়ে যাবে না। তিনি বলেন, ‘মাদকাসক্ত, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, উগ্রপন্থা থেকে যুব সমাজকে বিরত থাকতে হবে। এসব কাউকে বেহেশতে নিয়ে যাবে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে মানুষ খুন করার কোনও অধিকার দেওয়া নাই।’তিনি বলেন, ‘যুব উন্নয়ন অধিদফতরকে যুব সংগঠন নিবন্ধনের ক্ষমতা প্রদান করে আইন প্রণয়নের কাজ আমরা শুরু করেছি। আমরা চাই না, আমাদের যুব সমাজ বিপথে চলে যাক। বাবা-মায়ের জন্য দুঃখের কারণ হোক।’যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ থেকে নিজেদের দূরে রেখে মেধা-শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজের জীবন এবং পরিবারকে উন্নত করা যাবে। ফলে আমাদের দেশটাও উন্নত হবে।’বিনা প্রশিক্ষণে কেউ বিদেশ যেতে পারবে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে যুবকরা যাতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে সেজন্য আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।’ অবৈধ পথে বিদেশগামীদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারো কথায় প্ররোচিত না হয়ে নিজের জীবনকে কেউ যেন ঝুঁকিতে ফেলতে না পারে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বহুমুখী কর্মসংস্থান আমরা করছি। আমরা চাই না আমাদের যুবকরা বিপথে চলে যাক- মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ুক।’ এ সময় তিনি আরও যোগ করেন, ‘তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করে দিয়েছি। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে যেকোনও তরুণ বিনা শর্তে ঋণ নিতে পারবে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে জামানত বিহীণ ঋণ নেয়ার ব্যবস্থা আছে।’তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। কারো কাছে ভিক্ষার হাত পাততে হবে, আমরা সেই বাংলাদেশ দেখতে চাই না। তাই আমাদের লক্ষ্য, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। আমাদের আছে শক্তিশালী যুব সমাজ। তারাই এদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। তারাই গড়বে বাংলাদেশ। তাই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আমরা আমাদের দেশকে স্বাবলম্বী করতে পারবো।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ। আর এই কাজ বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের যুবকদের প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে। আর এটা সম্ভব, কারণ আমাদের আছে শক্তিশালী যুবসমাজ।’
অনলাইন ডেস্ক: আগাম নির্বাচন হলে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে দলের নেতাকর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। মঙ্গলবার সকালে কাকরাইলের দলীয় কার্যালয় থেকে যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে এরশাদ এ কথা বলেন। এরশাদ জানান, কয়েকদিন পর জেলা পরিষদ নির্বাচন। তবে নির্বাচনের যে পরিবেশ, তাতে এ নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে জাতীয় পার্টি সংশয়ে রয়েছে। জাতীয় যুব সংহতি আয়োজিত এ সমাবেশে এইচ এম এরশাদ জানান, যুবরা মাদকাসক্ত, তাদের চাকরি নেই। আবার ঘুষ লেনদেন ছাড়া চাকরি পাওয়া যায় না। এ অবস্থায় জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করতে তিনি নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘খবরের কাগজে পড়েছি যে আগাম নির্বাচন হতে পারে। সে জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে এখন থেকেই। আমরা বিভাগীয় সম্মেলন শুরু করেছি। আমরা ঢাকায় করেছি, এরপর রংপুরে করব, বরিশালে করব, খুলনায় করব। আমরা আগামী এক বছরের মধ্যে জেলাগুলোকে জাগিয়ে তুলব। জাতীয় পার্টির কর্মীদের জাগিয়ে তুলব।