সর্বশেষ সংবাদ-
ইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভসাতক্ষীরার পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবেতারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক সাতনদী সম্পাদক হাবিব কারাগারেমুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‌্যালি ও আলোচনাসভাসাংবাদিক টিপুকে কারাদ্বন্ডাদেশ দেওয়া ইউএনও শেখ রাসেল রংপুর বিভাগে বদলীদেবহাটায় বাবার সঙ্গে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে ছেলের মৃত্যুবেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরায় সাতক্ষীরা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের শুভেচ্ছাপ্রযুক্তির সহায়তায় নারী ক্ষমতায়নে ফ্রিল্যান্সর প্রশিক্ষন শেষে ল্যাপটপ বিতরণ

Razzak

গত ৩ সেপ্টেম্বর ১৬ শনিবার সাতক্ষীরা পৌরসভাধীন ১৪ নং দক্ষিণঘোষপাড়া সরকারি প্রাইমারী স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশিস্ট ব্যবসায়ী মৃত. বাদশা মোড়লের ছোটপুত্র আব্দুর রাজ্জাক সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সভাপতি পদে আব্দুর রাজ্জাক নির্বাচিত হওয়ায়  অভিনন্দন জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আনিস আহমেদ খান চৌধুরী বকুল, সহ-সভাপতি শেখ নাসেরুল হক, যুগ্ম সম্পাদক  রাশিদুজ্জামান রাশি, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিম, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ কামরুল হক চঞ্চল, সাধারণ সম্পাদক শেখ মোশফিকুর রহমান মিল্টন, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক শেখ আনোয়ার হোসেন মিলন, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নারায়ন চন্দ্র, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাফিনুর রহমান প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ব্রহ্মরাজপুর প্রতিনিধি॥ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নে ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুল মাঠে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এই মাঠে দূর দূরান্ত থেকে কোরবানির পশু ক্রয়ও বিক্রয়ের জন্য এখানে আনা হচ্ছে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এই পশুর হাট ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চলবে। ক্রেতাদের অভিযোগ আছে দামটা একটু বেশি। কিন্তু বিক্রেতা বলছে দাম ঠিক আছে।20160904_161535 (Large)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আসাদুজ্জামান ঃ সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াত-শিবিরের ০৩ নেতা-কর্মীসহ ৩৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১০ জন, কলারোয়া থানা থেকে ০৬ জন, তালা থানা ০৫ জন, কালিগঞ্জ থানা ০২ জন, শ্যামনগর থানা ০১ জন, আশাশুনি থানা ১১ জন, দেবহাটা থানা ০২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ০১ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। download (1) (Medium)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১জুলাই ২০১৬ হতে সরকারি শিক্ষক- কর্মচারিদের অনুরুপ বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক-কর্মচারিদের পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রদান, পূর্বের ন্যায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সমবেতন স্কেলে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল উন্নীত করণ, বৈশাখী ভাতা ও পাহাড়ী ভাতা প্রদানসহ ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী এবং অর্থ মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো: মহিউদ্দীন’র হাতে উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: শফিউদ্দীন, শিক্ষক সংগঠনের উপদেষ্টা ইউনুছ আলী, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, আব্দুল আজিজ, আমান উল্লাহ, আব্দুল গণি,এনামুল হক, যুগ্ম সম্পাদক এম. ইদুজ্জামান ইদ্রিস, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম. শামসুল হক। DSC00606

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সাতক্ষীরায় নিরাপদ অভিবাসন ও নাগরিক সমাজের করনীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আইন ও শালিস কেন্দ্র এবং বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা স্বদেশ সাতক্ষীরার সহযোগিতায় হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ফোরাম এ সভার আয়োজন করে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মোঃ মহিউদ্দীন। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা স্বদেশ এর নির্বাহীপরিচালক মাধব চন্দ্র দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আইন ও শালিস কেন্দ্রের উপ-পরিচালক টিপু সুলতান, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিম, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, সুভাষ চৌধুরী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট নাজমুন নাহার ঝুমুর, লেবাননে নির্যাতিত হয়ে ফেরত আসা নারী কর্মী মোসলেমা খাতুন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে এ সময় বিভিন্ন সরকারী, বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় কারনে এখানে পাচার প্রবণতা বেশি। প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থানের অভাবে দালালের প্রলোভনে পড়ে মানুষ উচ্চ আয়ের আশায় ভবিষ্যতের কথা না ভেবেই দেশ ছাড়ছে। আর বিদেশের মাটিতে পা ফেলতেই শিকার হচ্ছে অবর্ণনীয় নির্যাতনের। বিশেষ করে নারী কর্মীরা অব্যাহত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি দালাল তথা অবৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সাথে বিদেশে অবৈধভাবে কর্মী পাঠানো বন্ধ করতে হবে। মতবিনিময় সভার শুরুতে সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর লেখা ‘নিরাপদ অভিবাসন, নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করা হয়।  20160904_131654 (Large)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1915011974_1472982332স্ব‌দেশ: ঢাকায় পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সামিনা মেহতাবকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর নিয়ে পাকিস্তান বিবৃতি দেওয়ায় এ জরুরি তলব। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রোববার এই তথ্য জানান।

শনিবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এরপরই বিবৃতি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাকিস্তানের বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকর করায় ইসলামাবাদ ‘গভীরভাবে মর্মাহত’।

মীর কাসেমের পরিবারের প্রতি ‘গভীর সমবেদনা’ জানিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১-এর ডিসেম্বরের আগে সংঘটিত ‘কথিত’ অপরাধের অভিযোগে ‘ত্রুটিপূর্ণ বিচার’ প্রক্রিয়ায় মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় পাকিস্তান গভীরভাবে মর্মাহত।

এর আগেও অন্য যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকরের পর ধৃষ্টতাপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছিল পাকিস্তান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2U92KqxcDMIDবহির্বিশ্ব: ডালিম হোটেল চট্টগ্রামবাসীর চোখে এক বিভীষিকার নাম; চলতি পথে এখনও ঘৃণাভরে ডালিম হোটেলের দিকে তাকায় সাধারণ মানুষ। ৭১-এ এটি মুক্তিকামী সাধারণ মানুষের জন্য হয়ে উঠেছিলো যেনো এক ‘ডেথ ফ্যাক্টরি’। সেখান থেকে নির্যাতনের শিকার মুক্তিযোদ্ধা ও নিরপরাধ বাঙালির কান্নার আওয়াজ যেন এখনও কানে বাজে। মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় ৪৪ বছরের ক্ষোভ ও দুঃখ-বেদনার অবসান হলো।
ঠিক কতো মানুষকে এখানে নির্যাতন এবং নির্যাতনের পর হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছিলেন তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। ৭১-এ মীর কাসেমের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা বদর এ টর্চার সেলে সাধারণ মানুষ, মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ধরে এনে নির্যাতন করা হতো।
ঠিক এমনই ভাবে হত্যা করা হয়েছিলো কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে। তাকে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ কর্ণফুলী নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। এই জসিম হত্যার অপরাধেই আজ চট্টগ্রামের জল্লাদ মীর কাসেমকে ফাঁসির দড়িতে ঝুঁলতে হলো।
বদর বাহিনী তাদের টর্চার সেলের জন্য বেছে নিয়েছিলো টেলিগ্রাফ রোডের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাটি। সেখানেই ৭১’র মার্চে চন্দ্র মোহন নাথের মহামায়া ভবন দখল করে মীর কাসেম গড়ে তুলে ছিলেন টর্চার সেল ডালিম হোটেল। ভবনটির মালিক চন্দ্র মোহন নাথ ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম শহরের পুরাতন টেলিগ্রাফ রোডে ৬ শতক জমির ওপর তিন তলা মহামায়া ভবন নির্মাণ করেন।
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মাসখানেক পরই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভারতে চলে যান চন্দ্র মোহন নাথ। তার অনুপস্থিতিতে যুদ্ধের সময় এটি নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে ব‌্যবহার করে পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর আল বদর সদস‌্যরা।
মুক্তিযুদ্ধে আল বদর বাহিনীর চট্টগ্রামে অঞ্চলের হেডকোয়ার্টার হিসেবে পরিচয় পেয়েছিলো ডালিম হোটেল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ডালিম হোটেলকে নরকে পরিণত করেন মীর কাসেম আলী। এখানে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোকজনকে ধরে এনে পা ছাদের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চলানো হতো, প্রস্রাব করে তা পানে বাধ্য করা হতো, বৈদ্যুতিক শক দেয়া হতো। নির্যাতনের কারণে অনেক বাঙালির মৃত্যু হয়েছে। সেখানে বন্দি নির্যাতনের আর্তনাদ আজও তাড়িয়ে বেড়ায় অনেককে।
মীর কাসেম আলীর নেতৃত্বে চট্টগ্রামে আলবদর বাহিনীর সদস্যরা পাকিস্তানি দখলদার সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকার বাহিনীর সহযোগিতায় স্থানীয় বুদ্ধিজীবী, পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর আগ্রাসন প্রতিরোধে প্রতিরোধ বাহিনীর সদস্য মুক্তিযোদ্ধাদের ও মুক্তিকামী নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে ধরে এনে ডালিম হোটেলের নির্যাতন কেন্দ্রে আটকে রেখে নির্মম নির্যাতন চালাতো, হত্যা করতো এবং মরদেহ গুম করে ফেলত।
মীর কাসেম আলী ও তার আলবদর বাহিনী তাই মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মুক্তিকামী মানুষের জন্য আবির্ভূত হয়েছিল ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে। কাসেম ছিলেন চট্টগ্রামের বিভীষিকা। তার জল্লাদখানার নাম দোস্ত মোহাম্মদ পাঞ্জাবি বিল্ডিংয়ের চামড়ার গুদাম, সালমা মঞ্জিল এবং ডালিম হোটেলসহ ৫টি নির্যাতন কেন্দ্র।
মীর কাসেমের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ বিবেচনায় ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে জসিমসহ মোট আটজনকে হত্যার দায়ে মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিলেন। সর্বোচ্চ আদালত তার আপিল আংশিক মঞ্জুর করে ১২ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দিয়েছে। তবে ১১ নম্বর অভিযোগে জসিম হত্যার ঘটনায় সর্বোচ্চ সাজার রায়ই বহাল রাখায় তাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুঁলতে হলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

5tYIltBRaFkuবহির্বিশ্ব: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই কুখ্যাত রাজাকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে “মীর কাসিম আলীর ফাঁসি সুবিচার প্রতিষ্ঠা করবে না।’ শিরোনামে একটি বার্তা পাঠিয়েছে। বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামির প্রধান এই অর্থদাতার শাস্তির বিপক্ষে এর আগেও নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছিলো সংস্থাটি।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সংঘটিত অপরাধের বিচার এদেশের মানুষের প্রাপ্য বলে স্বীকার করলেও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাউথ এশিয়ার পরিচালক চাম্পা প্যাটেল বিবৃতিতে বিচার প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেন। মৃত্যুদণ্ডকে ‘মানবাধিকার বিরোধী’ উল্লেখ করে বিশ্বের অন্যান্য দেশ এই ‘নিষ্ঠুর’ শাস্তি থেকে সরে আসছে বলেও তিনি লিখেন।
কুখ্যাত মানবতাবিরোধী অপরাধীদের চূড়ান্ত দণ্ড কার্যকরের আগেই যেনো তৎপর হয়ে উঠে মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থাটি। এর পেছনের কারণও অনুমান করা কঠিন কিছু নয়। নিজেসহ যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে বিদেশী বিভিন্ন লবিস্টের পেছনে মীর কাশেম আলী কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন।
জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে কাশিমপুর কারাগারে। এর মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি দিয়ে কলঙ্কমোচনের পথে এগিয়ে গেল দেশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest