সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

365d4071201382193155860081527eb7-5812e20d739cdস্পোর্টস ডেস্ক: মধ্যাহ্ন ভোজের আগে ভালো একটি সেশন কাটিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ এক উইকেটে ১১৮ রান।

যদিও দিনের শুরুতে ফিরে গেছেন ওপেনার ইমরুল কায়েস (১)। তৃতীয় ওভারে ওকসের বলে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে ডাকেটের হাতে তালুবন্দী হন বাঁহাতি এই ওপেনার। আর এরপরেই জুটি গড়ে স্থিতি আনেন তামিম ও মুমিনুল। অর্ধশত পূরণ করেছেন তামিম।  ব্যাট করছেন ৬৮ রানে।  মুমিনুল ব্যাট করছেন ৪৪ রানে। এই জুটিতেই এসেছে ১১৭ রান।

তবে ২৫.১ ওভারে আবারও ঘটেছে রিভিউ নেওয়ার ঘটনা। তামিমের ব্যাটে বল লেগেছে ভেবে আবেদন করে বসে ইংল্যান্ড। জবাবে ধর্মসেনা আঙুল তুলে দেন। পাল্টা তামিম রিভিউ নিলে দেখা যায় বল ব্যাটেই লাগেনি।  একই ওভারে আরও একটি ঘটনা ঘটে।  ২৫.৩ ওভারে স্টোকসের লাফিয়ে ওঠা বল ঠিকমতো ব্যাটে লাগাতে পারেননি তামিম।  টিভি স্ক্রিনে দেখা যায় বলটি সজোরে আঘাত করে তামিমের বুকে।  তবে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা নিয়ে কোনও ঝামেলা ছাড়াই খেলা শুরু করেন তামিম।
এর আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন।  এই টেস্ট সিরিজে প্রথমবার টস জিতলেন মুশফিকুর রহিম।
চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশ থেকে একটিমাত্র পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশ দলে। পেসার শফিউল ইসলামের বদলে সুযোগ পেয়েছেন অফস্পিনার শুভাগত হোম। বাংলাদেশ শুভাগতসহ চারজন স্পিনার নিয়ে মাঠে নামছে।

ইতোমধ্যে প্রথম টেস্ট জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড।  শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ম্যাচটি তাই দুই দলের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে ইংলিশ দল দুটি পরিবর্তন এনেছে ইংল্যান্ড। প্রথম টেস্টে খেলা স্পিনার গ্যারেথ ব্যাটির স্থানে দলে এসেছেন নবীন বাঁহাতি স্পিনার জাফর আনসারি ও পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের জায়গায় দলে ঢুকেছেন স্টিভেন ফিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_2079263209_1477562163বিশেষ ডেস্ক: ডেস্ক: ‘জীবন ফুলশয্যা নয়’ মনিষীদের বলা এই প্রবাদটি সবারই জানা। কারণ সফলতা কখনো নিজ থেকে এসে ধরা দেয় না। এর জন্য প্রয়োজন কঠিন অধ্যাবসায় এবং পরিশ্রম। শৈশবের তীব্র দারিদ্রকে জয় করে নিজেদের মেধা ও বিশ্বাসের জোরে বিশ্ব জয় করেছেন। আর পরিচিতি পেয়েছেন তারকা হিসাবে। জেনে নিন সেসব তারকাদের ইতিহাস যারা কঠিন পরিশ্রম করে জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন।

কার্লোস অ্যাকোস্টা :
বিখ্যাত এই ব্যালে নৃত্য শিল্পী খুবই দরিদ্র একটি পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। শৈশবে তিনি জুতার অভাবে খালি পায়ে চলাফেরা করতেন। ১৯৭৩ সালে কিউবার হাভানায় জন্মগ্রহণকারী কার্লোস অ্যাকোস্টা ছিলেন এক দরিদ্র ট্রাক ড্রাইভারের ১১তম সন্তান। তার মা ছিলেন অসুস্থ একজন নারী। কৈশোরে তাকে কিউবান ন্যাশনাল ব্যালে স্কুলে পাঠানো হয় শুধু দিনে একবেলা খাবার জোগাড়ের জন্য।

১৯৯১ সালে তিনি গ্রাজুয়েট ডিগ্রী লাভ করেন। চুড়ান্ত পরীক্ষায় শীর্ষস্থান দখল করায় তাকে গোল্ড ম্যাডেলে ভূষিত করা হয়। বিশ্বের সেরা সেরা ব্যালে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে নেচেছেন অ্যাকোস্টা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোম্পানিটি হলো, লন্ডনের রয়্যাল ব্যালে। তিনি বিশ্বের সেরা ব্যালে নাচিয়েদের একজন হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।

অশ্বিন উইলেমসে :
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ প্রদেশের ক্যালেডনে মাত্র ১৬ বছর বয়সে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন অশ্বিন উইলেমসে। দু’বার পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন তিনি। এক সময় তার সব বন্ধুদের কেউ জেলে বন্দি হয়েছেন আর নয়তো মারা গেছেন। এরপর তিনি রাগবি খেলার প্রতি আত্মনিবেশ করেন এবং জীবনটাকে পুরোপুরি বদলে ফেলেন। স্থানীয় রাগবি টিম সোয়ার্টবার্গে খেলা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরুর করে বিশ্ব রাগবির খ্যাতির শিখরে পৌঁছে যান অশ্বিন উইলেমসে।

মালালা ইউসুফজাই :
মাত্র ১৭ বছর বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়ে বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী নোবেল বিজয়ীর খেতাব অর্জন করেন মালালা ইউসুফজাই। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে জন্ম মালালা ইউসুফজাইয়ের। শৈশব ও কৈশোরে তিনি এমন একটি অঞ্চলে বেড়ে উঠেছেন যা ছিল ইসলামি চরমপন্থী তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে। যেখানে মেয়েদেরকে বিদ্যালয়ে যেতে বাধা দেয়া হয়।

১১ বছর বয়সে বিবিসি উর্দু বিভাগে ছদ্মনামে ব্লগিং শুরু করেন মালালা। সেখানে তিনি তালেবানদের অধীনে মেয়েদের জীবনের দুঃখ-দুর্দশাগুলো নিয়ে লেখালেখি করেন। নারী অধিকার নিয়ে সোচ্চার হয়ে খ্যাতি অর্জনের ফলে তালেবানরা তাকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে হত্যার চেষ্টা চালায়। এতে তালেবানদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। মালালাকে হত্যা চেষ্টার দায় স্বীকার করার পর পাকিস্তানের ৫০ জন বিখ্যাত ইসলামি ধর্মতাত্বিক তার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেন।
তবে সে থেমে থাকেননি ভয়ভীতিহীনভাবে লেখা চালিয়ে গেছেন। নারীদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে আন্দোলনের স্বীকৃতি স্বরুপ মালালাকে শাখারভ পুরস্কার, ন্যাশনাল ইয়ুথ পিস প্রাইজ অফ পাকিস্তান এবং নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

চার্লি চ্যাপলিন :
চার্লি চ্যাপলিনের শৈশবের বেশিরভাগ সময়ই কেটেছে কারখানা ও কাঙ্গাল বিদ্যালয়ে। আর তার মায়ের সঙ্গে নির্দিষ্ট সময় পরপর কিছুদিনের জন্য তিনি পাগলা গারদে গিয়েও থেকেছেন। নির্বাক সিনেমায় ভবঘুরের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি বিশ্বব্যাপী খ্যাতি লাভ করেন। মাত্র ৩০ বছর বয়সেই তিনি বিশ্বের সেরা তারকাদের একজন হয়ে ওঠেন।

জার্মানির স্বৈরশাসক অ্যাডলফ হিটলারকে ব্যাঙ্গ করে নির্মিত সিনেমা “দ্য গ্রেট ডিক্টেটর” ছাড়াও তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত বেশ কয়েকটি সিনেমায় চিত্রনাট্য লেখা, পরিচালনা এবং অভিনয় করেছেন। তিন তিনবার সিনেমার সর্বোচ্চ পুরস্কার অস্কার, ফ্রান্সের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা লিজিয়ন দ্য অনার এবং ব্রিটিশ নাইটহুড খেতাবপ্রাপ্ত চ্যাপলিনকে এখনো সিনেমা শিল্পর শীর্ষ মেধাবীদের একজন হিসেবেই বিবেচিত হন।

অপরাহ উইনফ্রে :
যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি প্রদেশের দরিদ্র গ্রামাঞ্চলে জন্ম গ্রহণ করেন অপরাহ উইনফ্রে। শৈশবে নিজ পরিবারের একাধিক সদস্যের হাতে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন অপরাহ। নির্যাতন সইতে না পেরে মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন। এরপর ন্যাশভিলে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন বাবার সঙ্গে থাকা শুরু করেন তিনি। সেখানে স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই একটি রেডিওতে চাকরি নেন।

টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এরপর স্থানীয় সান্ধ্য সংবাদ অনুষ্ঠানের সহকারি অ্যাংকর হিসেবে কাজ করেন। সেখান থেকে তিনি শিকাগোর একটি টক শোতে স্থানান্তরিত হন। শিকাগোতে তিনি নিজের প্রোডাকশন কম্পানি “দ্য অপরাহ উইনফ্রে শো” গড়ে তোলেন। তার এই শো যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন চ্যাট শোর জগতে বিপ্লব ঘটিয়ে দেয়। অল্প সময়ের মধ্যেই তার অনন্য পাপ স্বীকার এবং আবেগি স্টাইলের চ্যাট শো একটি অনন্য ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে।
সমকামিদের অধিকার সহ অনেক সামাজিক ট্যাবুর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন উইনফ্রে।

ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই সমাজের সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ের অগ্র সৈনিক এবং একজন বিশ্বপ্রেমিক হয়ে ওঠেন তিনি। ৩.১ বিলিয়র ডলার মূল্যমানের সম্পদের মালিক অপরাহ উইনফ্রে আমেরিকার শীর্ষ আফ্রিকান-আমেরিকান ধনী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1189868291_1477590390ডেস্ক রিপোর্ট: সুশান্ত পালের বিরুদ্ধে মামলার পর এবার তাকে ওএসডি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ প্রজ্ঞাপনে কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সুশান্ত পালকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে এনবিআর। প্রজ্ঞাপনে সুশান্তকে মানসিক চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কটূক্তির করার কারণে একজন ছাত্র শাহবাগ থানায় সুশান্তের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করেন। মামলা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

শুল্ক, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান রাত সাড়ে আটটার দিকে ফেসবুকে তার স্ট্যাটাসে বলেন, সুশান্তকে ওএসডি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে চাকরিচ্যুতও করা হতে পারে।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের ঐতিহ্য ও গৌরব। তার মন্তব্য এই প্রতিষ্ঠানকে অবমাননা করেছে। এনবিআর সুশাসনের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। বর্তমানে সুশান্তকে রংপুরে সংযুক্ত করা হয়েছে। আরও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মইনুল খান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একটি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর এনবিআরকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এ ধরনের মন্তব্য করা যায় না। আশা করি, সুশান্তের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থায় ছাত্রদের ক্ষোভ প্রশমিত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবার কাছে অত্যন্ত আবেগ ও সম্মানের জায়গা।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাছখোলা এলাকার আব্দুর রশিদ হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামী জাকির হোসেন কে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাটিয়াডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে আটক করে সুপারিঘাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ। সে মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আব্দুর রশিদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী সে। দীর্ঘদিন পলাতক ছিলো। এদিকে পিতা হত্যা মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় তার বড় ছেলেকে কুপিয়ে জখম করেছিলো বলে জানাগেছে। সুপারিঘাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচাজ সৈয়দ আলী জাকির কে আটকে কথা নিশ্চিত করে বলেন, তারে বিরুদ্ধে হত্যাসহ প্রায় ৫টি মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর ব্যুরো:শ্যামনগরে থানা পুলিশ পৃথক অভিযানে গতকাল বৃহম্পতিবার এক ইয়াবা ব্যবসায়ী সহ তিন গাজা সেবীকে আটক করেছে। সে শ্যামনগর সদর ইউনিয়নে বাদঘাটা গ্রামের গফ্ফার মোল্লার ছেলে আলমগীর (২৩)। ইয়াবা বিক্রয়ের সময় শ্যামনগর থানা পুলিশ শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেটের সামনে থেকে ৮ পিচ ইয়াবা সহ তাকে আটক করে। অপর এক অভিযানে মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের জয়াখালী স্কুলের পাশ থেকে ৩ গাজা সেবীকে আটক করে। আটককৃতরা হলো সাতক্ষীরা সদরে ইটাগাছা গ্রামের গোলাম গফ্ফার মিয়ার ছেলে গোলাম জাকারীয়া, শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর গ্রামের মজিদ গাজীর ছেলে আব্দুর রহিম ও একই এলাকার শহিদ গাজীর ছেলে ফরহাদ গাজী। শ্যামনগর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার  করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগরের আটুলিয়ার ছোট কুপট ক্লাব হাট মোড় বাজার সংলগ্ন নতুন নতুন দোকান তৈরি করায় ব্যবসা জমে উঠেছে। মাত্র কয়েক মাসে মোল্লাপাড়া, বাদুড়িয়া, ছোটকুপট, চরের বিলসহ কয়েকটি গ্রামের শতশত লোক এ বাজার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদী প্রত্যহ ক্রয় বিক্রয় করছে। ছোট কুপট গ্রামের আঃ মান্নান গাজীর পুত্র আবু ইসহাক জানান, রেকর্ডীয় জমি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে তিনিও একাধিক দোকান ঘর তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছেন। এ বাজারে দোকান পাট বেশী হলে, লোক জনের সরগরম হবে। অথচ বাজারটি দ্রুত উন্নতির দিকে উঠতে থাকলে একশ্রেণির লোক এর তীব্র বিরোধীতা করছে। রেকর্ডীয় জমিতে দোকান পাট স্থাপন করতে থাকলেও খাস জমি/খালের সরকারি জমি বলে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। বাজারটি লোকালয়ে হওয়ার কারনে পরিবহন খরচ ছাড়াই ক্রেতা বিক্রেতা দ্রব্যাদী সহজেই কিনতে বেঁচতে পারছে। ফলে সময় ও অর্থ অপচয় রোধ হচ্ছে। রেকর্ডীয় জমির মালিক হাজী আঃ সামাদ গাজী, ইব্রাহিম গাজীর পুত্র সাহবাজ গাজী, আঃ মান্নান গাজী ও আঃ ওয়াহেদ এর ওয়ারেশগণ আটুলিয়া মৌজার জমিতে বৈধভাবে দোকান পার্ট স্থাপন করলে হাটবাজারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। কেননা হাটবাহার সংলগ্ন তাদের জমি থাকায় এলাকাবাসী এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু জানান, প্রায় এই হাট দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে যাই, অতি তাড়াতাড়ি বাজারটি যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে, বাজারের উন্নতিতে প্রতিবন্ধকতা ব্যক্তিদেরকে চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনা হবে। ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবু জানান, এ হাট বাজার এলাকার মানুষের চাহিদার প্রতিফলন হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

5
কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়ায় জেএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় উপজেলার দেয়াড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জেএসসি শিক্ষার্থীদের জন্য এ বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান গাজীর সভাপতিত্বে বিদ্যালয়ের হল রুমে এ বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠানে জেএসসি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবেন্দ্র নাথ দাস, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুর রব, শ্রী নিত্য কুমার কর্মকার, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমুল হোসাইন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ফজলে করিম, সহিদুল ইসলাম, শাহ জামাল, শিরিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক আব্দুল বারী, মোসলেম আলী, দিলিপ কুমার ঘোষ, গোলাম রসুল, মতিয়ার রহমান, বিপুল কুমার দাস, তাসলিমা খাতুন, শিউলি খাতুন, রওশন আরা খাতুনসহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা। এ সময় বক্তারা বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থীদের বলেন, একাডেমিক পরীক্ষার প্রথম ধাপের এই পরীক্ষা ভালো ভাবে পড়াশুনা করে এবং নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য আহবান জানান। তারা আরো বলেন, দেয়াড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুনাম ধরে রাখার জন্য তাদেরকে মনোযোগ সহকারে পরীক্ষা দেয়ার জন্য বিশেষ ভাবে বলেন। আলোচনা শেষে দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আবুল কাশেম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

pi-c-1-copy
প্রেসবিজ্ঞপ্তি : কালিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে অসুস্থ্যতার ভান ধরে ‘সিক বেডে’ ডিগ্রী দ্বিতীয় পার্ট পরীক্ষা দিচ্ছেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের স্ত্রী সাবিয়া ইসলাম। সিক বেডে সার্বক্ষনিক কক্ষ পরিদর্শক থাকার নিয়ম থাকলেও সেখানে নেই কোন কক্ষ পরিদর্শক। ফলে রিতিমত বই দেখেই পরীক্ষা দিচ্ছেন ওই পরীক্ষার্থী। শুধু তাই নয়, সাবিয়া ইসলাম পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সরকারি নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে প্রতিদিন সরকারি গাড়িতে করে (স্বামী এডিএম এর ব্যবহৃত গাড়িযোগে) সাতক্ষীরা থেকে কালিগঞ্জে প্রায় ৭০ কি:মি: আসা-যাওয়া করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমান সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয় নকল বা পরীক্ষার নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধে বদ্ধপরিকর। সেখানে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের স্ত্রী অসুস্থ্যতার ভান করে সিক বেডে পাবলিক পরীক্ষা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে নানা প্রশ্নের জম্ম দিয়েছে।  জানাগেছে, এ বছর ডিগ্রী দ্বিতীয় পার্ট পরীক্ষা শুরু হয়েছে গত ২৯ সেপ্টেম্বর  থেকে। কালিগঞ্জ রোকেয়া মনসুর কলেজের মানবিক বিভাগের ছাত্রী হিসেবে ডিগ্রী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহম্মেদের স্ত্রী সাবিয়া ইসলাম। যার রোল নম্বর- ১৩১০১০০৫৭৮৩। পরীক্ষা কেন্দ্র কালিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ। পরীক্ষার শুরু থেকেই তিনি সিক বেডে পরীক্ষা দিচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, ওই পরীক্ষার্থী সিক বেডে বই খুলেই পরীক্ষার খাতায় লিখছেন। সেখানে কাগজে-কলমে একজন কক্ষ পরিদর্শক থাকলেও তিনি সেখানে যান না। গতকাল ২৭ অক্টোরব ছিল ইসলামী শিক্ষা পরীক্ষা। একই ভাবে তিনি এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, সরকারি গাড়িতে চেপে তিনি প্রতিদিন সাতক্ষীরা থেকে প্রায় ৭০ কি: মি: রাস্তা পাড়ি দিয়ে পরীক্ষা দিতে যান কালিগঞ্জে। এক্ষেত্রে সরকারি অনুমোদন নেওয়ার বিধান থাকলেও সে-টি নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলার জন্য তার সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। তবে সমাজ বিজ্ঞান পরীক্ষার দিন ওই কলেজের সহকারী হল সুপার ইয়াসিন আলী সাংবাদিকদেরকে জানান, নিয়ম অনুযায়ী সিক বেডে সাবিয়া ইসলাম পরীক্ষা দিচ্ছে। ওই কক্ষের পাশের রুমে আমি গার্ড দিচ্ছি। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এ কে এম মহিউদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে বিব্রত হওয়া ছাড়া আসলে আমার কিছু করার নেই। তার পরেও দেখছি কি করা যায়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইচ্ছে করলেই সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে এডিএম এর স্ত্রী কালিগঞ্জে পরীক্ষা দিতে যেতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে অনুমতির নিতে হবে। কিন্তু এ বিষয়টিও আমার জানা নেই। প্রসঙ্গত, ডিগ্রী প্রথম বর্ষের পরীক্ষার সময়ও পরীক্ষার্থী সাবিয়া ইসলাম একই ভাবে সিক বেডে সবগুলো পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সে সময় তার স্বামী সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ কালিগঞ্জের ইউএনও ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি এডিএম হয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest