সর্বশেষ সংবাদ-
দৈনিক সাতনদী সম্পাদক হাবিব কারাগারেমুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‌্যালি ও আলোচনাসভাসাংবাদিক টিপুকে কারাদ্বন্ডাদেশ দেওয়া ইউএনও শেখ রাসেল রংপুর বিভাগে বদলীদেবহাটায় বাবার সঙ্গে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে ছেলের মৃত্যুবেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরায় সাতক্ষীরা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের শুভেচ্ছাপ্রযুক্তির সহায়তায় নারী ক্ষমতায়নে ফ্রিল্যান্সর প্রশিক্ষন শেষে ল্যাপটপ বিতরণদেবহাটার রুপসী ম্যানগ্রোভ পরিদর্শনে হাইকোর্টের বিচারপতি মাহমুদুল হকবুধবার কপিলমুনিতে তাফসীরুল, কোরআন মাহফিল ঘিরে সাজসাজ রববাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে উঠলো সাতক্ষীরার আমতালায় এক মহিলার লাশ উদ্ধার

মীর খায়রুল আলম : দেবহাটায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিদায়ী আগষ্টের শোক মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের শাহাদতের মাস আগষ্ট বিদায়ী হওয়ায় খানবাহাদুর আহছাউল্লা কলেজ ছাত্রলীগের আয়োজনে উক্ত মিছিল ও সমাবেশ সখিপুর মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম হাফিজের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিদুজ্জামান সাদ্দাম, কুলিয়া ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদক নাজমুল হোসেন, পারুলিয়া সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সখিপুর সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, দেবহাটা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল হোসেন, সাধারন সম্পাদক আহছানউল্লা কল্লোল, পলাশ, শামিম, সখিপুর কলেজ ছাত্রলীগের মিঠু, ফয়জুল, সাগর, আবির, আফসার, সোহাগ, রাকেশ, আন্তিক, সাইদুর প্রমূখ। এসময় বক্তরা বঙ্গবন্ধুর আতœার মাগফেরত কামনা ও হত্যাকারীদের বিচারের দাবী জানানো হয়।
student lig 31.8.16.pix

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

জি.এম আজিজুল ইসলাম:
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর প্রস্তুতির জন্য প্রথম মডেল টেস্ট পরিক্ষা শুরু হচ্ছে আজ। ইউনিয়নে ১৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যথা, সুলতানপুর পল্লী, কুলতিয়া, গোবরদাড়ী, পশ্চিম জোড়দিয়া, জোড়দিয়া, ব্যাংদহা, গাভা, ফিংড়ী, দক্ষিণ ফিংড়ী, উত্তর ফিংড়ী, গোবিন্দপুর, মির্জাপুর, এল্লারচর, ফয়জুল্ল্যাহপুর, বালিথা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে সকাল ১১টা হতে বেলা ১.৩০টা পর্যন্ত পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরিক্ষার জন্য কেন্দ্র নির্বাচন করা হয়েছে গাভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বৃহস্পতিবার ইংরেজী বিষয়ের উপর পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরিক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.টি.আর.এম হুমায়ূন কবির রানা, সহকারি হল সুপার ব্যাংদহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা পারভীন এবং কেন্দ্র সচিব গাভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফিরোজা খাতুন দায়িত্ব পালন করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি॥ চাকুরি থেকে বহিস্কার করায় ক্ষিপ্ত হয়ে নির্মাণাধীন পেট্টোল পাম্প ভাংচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে পাম্পের মালিক পুরাতন সাতক্ষীরা আরঙ্গজেবের পুত্র আব্দুল ওহাব।
গতকাল দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আশাশুনি উপজেলার মৎস্যকাটী এলাকায় একটি পেট্টোল পাম্প স্থাপনের কাজ শুরু করেন। পাম্পটি কাজ দেখাশোনা করার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ধুলিহর ব্রহ্মরাজপুরের মেল্লেকপাড়ার হাজি খলিলুর রহমানের ছেলে ফারুক হোসেন কে নিয়োগ প্রদান করে। নিয়োগের পর থেকে পাম্পের নির্মাণ কাজ করার জন্য ফারুক হোসেনের কাছে ৭০ লক্ষ টাকা প্রদান করে। কিন্তু দীর্ঘ ৮ মাস অতিবাহিত হলেও পাম্পটির কাজ পরিপূর্ণ না হওয়ায় আমি হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। সে পাম্পের কাজে না লাগিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে। কিন্তু ওহাব ফারুকের সাথে বিরোধে না জড়িয়ে ভালো ভাবে তাকে অন্য কাজ দেখে নেয়ার জন্য অনুরোধ করে মাসিক বেতনসহ আরো ১০ হাজার অতিরিক্ত দিয়ে তাকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।

চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর ফারুক ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নেশাগ্রস্তদের দিয়ে পাম্পে কর্মরত শ্রমিকদের হয়রানি করছে। এছাড়া ফারুক হোসেন ২ লক্ষ টাকা চাঁদা করে। চাঁদার টাকা না দিলে পাম্পের মধ্যে ফেন্সিডিল ঢুকিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হবে হুমকি দেয়। অপরদিকে ফারুক কে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাম্পে প্রবেশ করে ফারুকসহ তার ২জন সঙ্গী আমার পাম্পের বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর করে। এবিষয়ে আমি আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ওই ফারুক মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে। আব্দুল ওহাব ওই কুচক্রী ফারুকের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। New Image

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আসাদুজ্জামান ঃ সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াত-শিবিরের ৪ নেতা-কর্মীসহ ৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত জেলার ৮টি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১২ জন, কলারোয়া থানা থেকে ০৯ জন, তালা থানা ০৩ জন, কালিগঞ্জ থানা ০৬ জন, শ্যামনগর থানা ০৭ জন, আশাশুনি থানা ০৭ জন, দেবহাটা থানা ০৩ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ০২ জনকে আটক করা হয়।

সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

160831061401_india_boy_death_640x360_onlineঅপ্র‌তিম: পিতার কাঁধে পু‌ত্রের লাশ, পৃ‌থিবী‌তে এর চে‌য়ে বে‌শি ভারী বোঝা আর নেই। এমনই করুণ এক দৃ‌শ্যে বিশ্বব্যাপী বি‌বেকবান মানুষ‌ কাঁদছে।

অসুস্থ ছেলেকে কাঁধে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল দৌড়ে বেড়াচ্ছেন বাবা।

জরুরী বিভাগে চিকিৎসা না করেই পাঠিয়ে দেওয়া হল শিশু বিভাগে।

সেখানে যাওয়ার পরে ডাক্তারেরা বললেন আর কিছুক্ষণ আগে আনলেই বাঁচানো যেত ছেলেকে।

এই মর্মান্তিক ঘটনার ভিডিও ইউ টিউবে ছড়িয়ে পড়েছে মঙ্গলবার।

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের কানপুরে এই ছবি তোলা হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার যেখানে দেখা গেছে ১১ বছরের ছেলে অংশ-কে কাঁধে নিয়ে বাবা সুনীল কুমার দৌড়ে বেড়াচ্ছেন হাসপাতালের এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে।

ঠিক ওইদিনই ওড়িশা রাজ্য থেকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল দানা মাঝি তাঁর মৃত স্ত্রীর দেহ কাঁধে চাপিয়ে ১২ বছরের মেয়েকে পাশে নিয়ে পায়ে হেঁটে ৬০ কিলোমিটার দূরের গ্রামের দিকে রওনা হয়েছেন।

মৃতদেহ বহন করার জন্য চেয়েও সরকারী গাড়ি পান নি তিনি।

দশ কিলোমিটার যাওয়ার পরে স্থানীয় কিছু সাংবাদিক মি. মাঝির জন্য একটি সরকারী গাড়ির ব্যবস্থা করে দেন।

কানপুরের ঘটনাটা আবারও ভারতের সরকারী চিকিৎসা পরিষেবার চূড়ান্ত অব্যবস্থার ছবি তুলে ধরল।


কানপুরের বাসিন্দা সুনীল কুমার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ছেলের খুব জ্বর ছিল গায়ে। ২৫ তারিখ সকালে একটা স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে যাই। একটা ইনজেকশন দেওয়ার পরে ছেলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে, মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরতে থাকে। ডাক্তারেরা বলেন সরকারী লালা লাজপত রাই হাসপাতালে নিয়ে যেতে। সেখানে জরুরী বিভাগে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করানোর পরে শিশু বিভাগে নিয়ে যেতে বলা হয়।“

অনেক খোঁজাখুঁজি করেও একটা স্ট্রেচার জোগাড় করতে পারেন নি মি. কুমার। শেষে আবারও ছেলেকে কাঁধে চাপিয়ে যখন শিশু বিভাগে নিয়ে যান তিনি, ডাক্তারের বলেন যে ছেলে মারা গেছে। বিশ্বাস করতে চান নি বাবা। দৌড়েছিলেন আরেকটি হাসপাতালে।

“খুব ভিড় ছিল ওখানে। শেষমেশ ডাক্তার দেখে বললেন আর দশ মিনিট আগে যেতে পারলেই বেঁচে যেত ছেলেটা,” সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সুনীল কুমার।

ওই সরকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটা কমিটি তৈরি করেছে তদন্তের জন্য। উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্য-শিক্ষা বিভাগের প্রধান সচিব অনুপ পাণ্ডে বলছেন, লালা লাজপত রাই হাসপাতালের সুপারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

শুধু হাসপাতালের নয়, তৈরি হয়েছে আরও দু-দুটো তদন্ত কমিটি।

তারা রিপোর্ট দেবে কয়েকদিনের মধ্যে, কিন্তু সামাজিক মাধ্যমগুলিতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটা দেখে অনেকের প্রশ্ন, তাতে কি ফিরে আসবে ১১ বছরের অংশ?

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রিশার ঘাতক ওবায়দুল

রিশার ঘাতক ওবায়দুল

স্ব‌দেশ: উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশার ঘাতক ওবায়দুল খানকে নীলফামারীর ডোমার থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বুধবার সকালে পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে ওবায়দুলের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর বুধবার ভোরে এডিসি আজিমের নেতৃত্বে নীলফামারীর ডোমারে অভিযান চালিয়ে সেখানকার ব্র্যাক অফিসের পেছন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে এখন ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

ওবায়দুলকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডোমার থানার ওসি রাজিউর রহমান রাজু।

এর আগে মঙ্গলবার এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ওবায়দুলের বোন খাজিদা বেগম এবং ভগ্নিপতি খাদেমুল ইসলামকে আটক করেছে। রিশার মারা যাওয়ার পরপর তার পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মিরাটঙ্গী গ্রামে যাওয়া হলে তার বাড়িতে তালা ঝোলানো দেখা যায়। এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ৫ বছর আগে তার বাবা মারা গেছে। বাড়িতে থাকতো তার সৎ মা আখেলিমা, সৎ ভাই কালু ও আতিকুল। তবে তারাও এখানে সবসময় থাকতেন না। গত সোমবার দুপুরে স্থানীয় লাটের বাজারে তাকে অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু তখন পর্যন্ত বিষয়টি কেউ আঁচ করতে পারেনি। সোমবার রাতে পুলিশের অভিযানের পর বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ে। তবে তার আগেই সটকে পড়েছে ওবাইদুল।পরিবারের বাকি সদস্যরা বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়েছে।

প্রসঙ্গত, কাকরাইলে গত বুধবার বখাটে এক যুবকের ছুড়িতে আহত উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। মৃত্যুর আগে তাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ওবাইদুলকে অভিযুক্ত করে যায় সে।এই ঘটনায় রিশার মা বুধবারই ওবায়দুলকে আসামি করে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

f5f2d43daf087fedccdd8ed888f195a5-57c5f1b297424বহির্বিশ্ব: ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও মুখপাত্র আবু মুহাম্মদ আল-আদনানি নিহত হয়েছেন। আই-এস এর সংবাদসংস্থা আমাক নিউজ এজেন্সি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আমাক বলছে সিরিয়ার আলেপ্পোতে সামরিক হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে তিনি মারা যান। তবে তিনি বিমান হামলায় মারা গেছেন নাকি স্থল সেনাদের হামলায় তার বিস্তারিত জানায়নি আমাক। কোন ব্যক্তি দ্বারা এককভাবে আই-এসের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে পশ্চিমা বিশ্ব সহ অন্যান্য দেশে যেসব হামলা হয়েছে বলা হয়ে থাকে এসব হামলার ডাক প্রথম তার কাছ থেকেই এসেছিলো।
ইওরোপে বেশকটি হামলা সরাসরি তিনি নিজেই পরিকল্পনা করেছেন বলে বলা হয়ে থাকে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর আল-আদনানিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং তার সম্পর্কে তথ্যের বিনিময়ে পঞ্চাশ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিলো। আল আদনানির মৃত্যুর বিষয়টি ঐ অঞ্চলের ভবিষ্যতের জন্য এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। আই-এস এমন একটি সংগঠন যারা তাদের প্রচারণার ওপর খুবই নির্ভরশীল। আল আদনানি একইসাথে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠির হয়ে বহি:বিশ্বে নানা অপারেশন পরিচালনা এবং প্রচারণা দুটি দায়িত্বই পালন করতেন।
মার্কিন সূত্র মতে আদনানিই প্রথম কোনো বিদেশী যোদ্ধা যে ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধচারণ করেছিল। আল-আদনানির সর্বশেষ বার্তা শোনা গেছে মে মাসে। সেখানে তিনি মুসলিমদের পশ্চিমা বিশ্বে আক্রমণ করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বানাশ শহরে ১৯৭৭ সালে আল-আদনানির জন্ম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1472553161ডেইলি স্বাস্থ্য: উপকথায় দেখা যায় সাপে কাটা ব্যক্তি মারা গেলে, বেদের সর্দার বা বেদের মেয়ে বীণ বাজায়। বীণার অপরূপ সুরে বিষধর সাপটি খাল-বিল-নালা-জঙ্গল ভেদ করে তীরের বেগে ছুটে আসছে। যে লোকটিকে সে কামড়েছিল, তার কামড়ের স্থানে মুখ দিয়ে বিষ চুষে নিচ্ছে। বিষ চোষা হয়ে গেলে ধীরে ধীরে চোখ মেলে লোকটি, ফিরে পায় নতুন জীবন। অবাস্তব, অলৌকিক এই কাহিনীগুলো চলচ্চিত্রের কল্যাণে আসল সত্য থেকে আমাদের দূরে রাখে। সাপের কামড় মানেই মৃত্যু, এমন ধারণা অনেক দিন ধরেই ছিল আমাদের মধ্যে। সাপে ছোবল মারলেই মানুষ ছুটে যেত ওঁঝা আর বেদের কাছে। বাস্তবতার টানাপড়েনে এখন বেদে সম্প্রদায়কে তেমন আর দেখাই যায় না। মানুষও এখন অনেক সচেতন হয়ে উঠেছে। সাপে কামড় দিলে মানুষ ছোটে হাসপাতালে। অবশ্য অনেক অজপাড়াগাঁয়ে এখনো রয়ে গেছে কুসংস্কার। কামড়টি বিষাক্ত সাপের না হলে কারিশমা দেখিয়ে বাহবা কুড়ায় ওঁঝা। আর কামড়টি বিষাক্ত সাপের হলে দোষ পড়ে নিয়তির। ভুক্তভোগীকে মেনে নিতে হয় মৃত্যু। অথচ সময়মতো ব্যবস্থা নিলে বেঁচে যায় মূল্যবান প্রাণ।
সাপে কাটলে প্রথমেই দংশিত স্থানটি ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখতে হবে, ওটা বিষধর সাপের কি না। কারণ, বিষধর সাপের কামড়ের ক্ষত জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিষধর সাপের ওপরের দাঁতের গোড়ায় যে বিষথলি থাকে, কামড় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই বিষ ক্ষতের মাধ্যমে রক্তনালিতে প্রবেশ করে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
সাপের বিষের বিষাক্ত উপাদানসমূহ স্নায়ুকোষকে আক্রমণ করে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া প্রতিহত করে এবং পরিশেষে মানুষের মৃত্যু ঘটায়।
সব সাপ বিষধর নয়, অল্প কিছু সাপ বিষধর। ভারতবর্ষে ২১৬ প্রজাতির সাপ রয়েছে। এর মধ্যে বিষ থাকে মাত্র ৬৮ প্রজাতির সাপের। আমাদের বাংলাদেশে সাপ রয়েছে ৮০ প্রজাতির। তবে মজার কথা হলো, এদের একটি প্রজাতিও ১০০ ভাগ বাংলাদেশি নয়। এসব সাপ বিশ্বের অন্যত্রও দেখা যায়। বাংলাদেশে সবকিছু মিলিয়ে ২৭ প্রজাতির বিষধর সাপ রয়েছে। সচরাচর বিষধর সাপের মধ্যে রয়েছে গোখরা, কালকেউটে, চন্দ্রবোড়া ও শাকিনী। তাই এদের কাছ থেকে দূরে থাকাই ভালো।
বস্তুত দংশিত স্থানে কামড়ের দাগ দেখে সাপটি বিষধর কি না তা শনাক্ত করা সম্ভব। সব বিষধর সাপের সামনে দুটো বিষদাঁত থাকে, যা অন্যান্য দাঁত থেকে বড় এবং বাঁকানো। কোনো কোনো বিষধর সাপের দাঁত ইনজেকশনের সুচের মতো তীক্ষ্ণ। সাপের কিন্তু দাঁতে কোনো বিষ থাকে না। কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চোয়ালের পেছনের লালাগ্রন্থির পেশি সংকুচিত হয়। সেখান থেকে বিষযুক্ত লালা বিষদাঁতের ছিদ্রের মধ্য দিয়ে এসে দংশিতের শরীরে প্রবেশ করে। কিন্তু যেসব সাপ বিষধর নয়, তাদের সামনে এ রকম বড় দুটো দাঁত থাকে না। সাপে কামড়ালে যদি দংশিত স্থানে দুটো তীক্ষ্ণ গভীর দাগ থাকে, তাহলে বুঝতে হবে সেটা বিষধর সাপের কামড়। আর যদি সে রকম দাগের বদলে কেবল ছোট ছোট এক সারি দাগ থাকে, তাহলে বুঝতে হবে সাপটি বিষধর নয়।
গোখরায় কামড়ালে ছয় থেকে আট মিনিটের মধ্যে বিষক্রিয়া দেখা দেয়। দংশিত স্থান লাল হয়ে যায় এবং চাপ দিলে ব্যথা লাগে। কিছুক্ষণ পর সেখানে কিছুটা জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়। ২৫ মিনিট পর অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়। রোগীর ঘুম ঘুম ভাব আসে। রোগীকে কিছুটা মুমূর্ষু লাগে। তার পা দুর্বল হয়ে আসে এবং সে দাঁড়িয়ে থাকতে বা চলাচল করতে পারে না। ৩৫ থেকে ৫০ মিনিট পর রোগীর মুখে প্রচুর লালা ঝরে, এমনকি সে বমি করতে থাকে। তার জিহ্বা ও স্বরযন্ত্র ফুলে যায়। ফলে সে ঠিকমতো কিছু গিলতে বা কথা বলতে পারে না। দুই ঘণ্টা পর তার শ্বাস-প্রশ্বাস লঘু হয়ে আসে, তার জ্ঞান থাকে তবে কথা বলতে পারে না। পরিশেষে তার শ্বাসক্রিয়া ও হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যায়। কালকেউটে সাপে কামড়ালে গোখরার কামড়ের মতো উপসর্গ দেখা দেয় বটে, তবে দংশিত স্থানটি ফুলে ওঠে না কিংবা জায়গাটিতে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা অনুভূত হয় না। তবে রোগীর ঝিমঝিম ভাব আসে এবং তাকে মুমূর্ষু দেখায়। গোখরা, কেউটে, শঙ্খচূড় প্রভৃতি কোবরা শ্রেণির সাপের বিষে থাকে নিউরোটক্সিন নামক এক ধরনের রস যা স্নায়ুকে বিকল বা পঙ্গু করে দেয়। নিউরোটক্সিন দ্রুত কাজ করে, আর তাই এই শ্রেণির সাপের কামড়ে মৃত্যু দ্রুত হয়।
চন্দ্রবোড়া কিংবা ব্ল্যাটল সাপের দংশনে যন্ত্রণাবোধ হয়, দংশিত স্থানে জ্বালাপোড়া করে। চামড়া লালচে হয়ে ফুলে ওঠে, রক্তপাত হয়।
চন্দ্রবোড়া হলো ভাইপার শ্রেণির সাপ। এই শ্রেণির সাপের বিষে প্রধানত থাকে হিমোটক্সিন রস, যার কাজ হলো রক্তকণিকা ভেঙে দেওয়া এবং রক্তপাত ঘটানো। এর ফলে রক্তবমি, রক্তপায়খানা ও রক্তপ্রস্রাব হতে পারে। হিমোটক্সিন ধীরে কাজ করে বলে এই শ্রেণির সাপের কামড়ে মৃত্যু ধীরে হয়।
কী করণীয়:
১. মনে রাখবেন, সাপে কাটলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তাই রোগীকে ওই স্থানেই শুইয়ে দিন। রোগীর নড়াচড়া সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে, যাতে বিষ তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে না পড়ে।
২. সাপ যদি হাতে বা পায়ে কামড় দেয় তাহলে বাঁধন দিতে হবে। দংশিত স্থানের কিছুটা ওপরে দড়ি বা হাতের কাছে যা পান, তা দিয়েই বেঁধে ফেলুন। মনে রাখবেন বাঁধনটা যেন অস্থিসন্ধিতে যেমন কনুই, কবজি বা গোড়ালি এবং গলা বা মাথায় না হয়। যে দড়ি বা কাপড় দিয়ে বাঁধবেন তা যেন চওড়ায় দেড় ইঞ্চি হয়, কখনো তা যেন সরু সুতোর মতো বা রাবার ব্যান্ডের মতো না হয়। বাঁধনটি যেন খুব বেশি শক্ত না হয়। বাঁধনটি এমনভাবে দিতে হবে যেন একটা আঙুল ওই বাঁধনের মধ্য দিয়ে যেতে পারে। যদি বাঁধনটি শক্ত হয়, তাহলে ঢিলা করে দেবেন, তবে কখনোই তা খুলে ফেলবেন না। বাঁধনটি দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো রক্ত চলাচল বন্ধ রাখা। তবে বাঁধনটি একটানা ২০ মিনিটের বেশি একভাবে রাখবেন না। প্রতি ১০ মিনিট অন্তর তা আলগা করে দিতে হবে।
৩. দংশিত স্থানটি পরিষ্কার পানি দিয়ে ধোবেন।
৪. এবার জীবাণুমুক্ত ছুরি বা ধারালো ব্লেড দিয়ে দংশিত স্থান দুটোর প্রত্যেকটি সতর্কভাবে ১ সে. মি. লম্বা এবং ১ মি. মি. গভীরভাবে চিরে দিতে হবে।
৫. চেরা স্থানে ছয় মিনিট মুখ দিয়ে চুষলে তিন-চতুর্থাংশ বিষ বেরিয়ে আসে। তবে ৩০ মিনিট চোষাই ভালো। মুখ দিয়ে চোষার ক্ষেত্রে যিনি চুষছেন তার মুখে কোনো ক্ষত থাকা চলবে না। চোষার জন্য রাবার বাল্ব কিংবা ইলেকট্রিক সাকার শ্রেয়।
৬. বিষ চুষে বের করার পর দংশন স্থানে আয়োডিন টিংচার, কিংবা স্পিরিট লাগাতে হবে। স্থানটিতে এসিড কিংবা ফুটন্ত তেল দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৭. প্রাথমিক চিকিৎসার পর রোগীকে দ্রুত নিকটতম হাসপাতালে কিংবা স্থাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে, যেখানে অ্যান্টিভেনম সিরাম বা সর্পবিষনাশী সিরাম (যেমন হফকিনস পলিভ্যালেন্ট অ্যান্টিভেনম) মজুদ রয়েছে। প্রয়োজনে রোগীকে টিটেনাস বা ধনুষ্টঙ্কারের প্রতিষেধক দিতে হবে।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস ও ট্রমাটোলজি বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest