সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

new-image-large

নিজস্বপ্রতিবেদক: বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চলছে ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন। সকাল ১০টা থেকে সাতক্ষীরা অফিসার্স ক্লাবে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মনুসুর আহমেদ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে প্রতিন্দ্বদ্বিতা করছেন সম্মিলিত ক্লাব ঐক্য পরিষদ ও স্টেডিয়াম উন্নয়ন পরিষদ। সম্মিলিত ক্লাব ঐক্য পরিষদ মনোনীত সহ-সভাপতি প্রার্থীরা হলেন সহ-সভাপতি পদে আশরাফুজ্জামান আশু, মেহেদী হাসান, মুজিবর রহমান, কবীর উদ্দীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক পদে এ.কে.এম আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল মোমেন খান চৌধুরী সান্টু, যুগ্ম সম্পাদক পদে আহম্মদ আলী সরদার ও শেখ আব্দুল কাদের, কোষাধ্যক্ষ পদে শাহ আলম হাসান শানু, নির্বাহী সদস্য পদে সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, কাজী কামরুজ্জামান কাজী, রুহুল আমিন, আ.ম আক্তারুজ্জামান মুকুল, হাবিবুর রহমান হবি, মনিরুল ইসলাম, মো. আব্দুল মান্নান, ইকবাল কবির খান বাপ্পি, মির্জা মনিরুজ্জামান কাকন, ইদ্রিস আলী, শেখ রফিকুর রহমান লাল্টু, হাফিজুর রহমান খান বিটু, মীর তাজুল ইসলাম রিপন, মো. কবিরুজ্জামান রুবেল, স ম সেলিম রেজা, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন জসি, ফারহা দীবা খান ও সেতারা জামান প্রতিদ্বন্দিতা করছে। অপর দিকে ক্রীড়া ও স্টেডিয়াম উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি পদে হাসনে জাহিদ জজ, বদরুল ইসলাম খান, শেখ ফিরোজ আহম্মেদ, মিজানুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ নিজাম উদ্দিন, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদে মাহমুদ হাসান মুক্তি, যুগ্ন সম্পাদক পদে তৈয়েব হাসান বাবু ও মো. সাইদুর রহমান শাহিন, কোষাধ্যক্ষ কাজী সফিউল আযম, নির্বাহী সদস্য শেখ তৌহিদুর রহমান ডাবলু, মোঃ আবু সায়ীদ, শেখ নাসেরুল হক, শেখ আশরাফ আলী, মোঃ রইচ উদ্দিন সরদার, মোমিন উল্লাহ মোহন, শেখ মারুফুল হক, শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, খন্দকার বদরুল আলম, ওয়াসিউদ্দিন খান পিপুল, মোঃ আলতাফ হোসেন, মিজানুর রহমান (মিনুর), শেখ জাহিদ হাসান, উপজেলা প্রতিনিধি জাহিদুর রহমান খান চৌধুরী, শেখ ইকবাল আলম বাবলু, মমতাজুন্নাহার ঝর্ণা প্রতিদ্বন্দিতা করছে। নির্বাচনে ১০৩জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদিকে ক্রীড়া সংস্থান নির্বাচন সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ শনিবার ২৯ অক্টোবর সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন। ইতিমধ্যে নির্বাচনকে ঘিরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দু’টি প্যানেলে ২৭টি পদে ৫৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সকলের দৃষ্টি সাধারণ সম্পাদক পদের দিকে।
জেলা অফিসার্স ক্লাবে সকাল ১০টায় ভোট গ্রহন শুরু হবে। বিরতীহিনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। একটি সম্মিলিত ক্লাব ঐক্য পরিষদ অপরটি ক্রীড়া ও স্টেডিয়াম উন্নয়ন পরিষদ। সম্মিলিত ক্লাব ঐক্য পরিষদ মনোনীত সহ-সভাপতি প্রার্থীরা হলেন সহ-সভাপতি পদে আশরাফুজ্জামান আশু, মেহেদী হাসান, মুজিবর রহমান, কবীর উদ্দীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক পদে এ.কে.এম আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল মোমেন খান চৌধুরী সান্টু, যুগ্ম সম্পাদক পদে আহম্মদ আলী সরদার ও শেখ আব্দুল কাদের, কোষাধ্যক্ষ পদে শাহ আলম হাসান শানু,  নির্বাহী সদস্য পদে সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, কাজী কামরুজ্জামান কাজী, রুহুল আমিন, আ.ম আক্তারুজ্জামান মুকুল, হাবিবুর রহমান হবি, মনিরুল ইসলাম, মো.  আব্দুল মান্নান, ইকবাল কবির খান বাপ্পি, মির্জা মনিরুজ্জামান কাকন, ইদ্রিস আলী, শেখ রফিকুর রহমান লাল্টু, হাফিজুর রহমান খান বিটু, মীর তাজুল ইসলাম রিপন, মো. কবিরুজ্জামান রুবেল, স ম সেলিম রেজা, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন জসি, ফারহা দীবা খান ও সেতারা জামান প্রতিদ্বন্দিতা করছে। অপর দিকে ক্রীড়া ও স্টেডিয়াম উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি পদে হাসনে জাহিদ জজ, বদরুল ইসলাম খান, শেখ ফিরোজ আহম্মেদ, মিজানুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ নিজাম উদ্দিন, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদে মাহমুদ হাসান মুক্তি, যুগ্ন সম্পাদক পদে তৈয়েব হাসান বাবু ও মো. সাইদুর রহমান শাহিন, কোষাধ্যক্ষ কাজী সফিউল আযম, নির্বাহী সদস্য শেখ তৌহিদুর রহমান ডাবলু, মোঃ আবু সায়ীদ, শেখ নাসেরুল হক, শেখ আশরাফ আলী, মোঃ রইচ উদ্দিন সরদার, মোমিন উল্লাহ মোহন, শেখ মারুফুল হক, শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, খন্দকার বদরুল আলম, ওয়াসিউদ্দিন খান পিপুল, মোঃ আলতাফ হোসেন, মিজানুর রহমান (মিনুর), শেখ জাহিদ হাসান, উপজেলা প্রতিনিধি জাহিদুর রহমান খান চৌধুরী, শেখ ইকবাল আলম বাবলু, মমতাজুন্নাহার ঝর্ণা প্রতিদ্বন্দিতা করছে। নির্বাচনে ১০৩জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

6নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা’র ২৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দি সাতক্ষীরা শীর্ষক স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার রাতে শহরের চায়না বাংলা শপিং কমপ্লেক্স এর কনফারেন্স রুমে প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট রোটাঃ এনছান বাহার বুলবুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা’র সভাপতি মোখলেছুর রহমান, রোটাঃ পিপি সৈয়দ হাসান মাহমুদ, এ্যসিসট্যান্ট গভর্নর বিধান চন্দ্র রায়, রোটাঃ পিপি নুর ইসলাম, রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা’র সচিব মো. মনিরুজ্জামান টিটু, রোটাঃ ফারুকুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন রোটাঃ ডাঃ সুশান্ত ঘোষ, রোটাঃ হাবিবুর রহমান হবি, রোটাঃ হাসিবুর রহমান রনি, রোটাঃ শহিদুল ইসলামসহ রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরার সদস্যবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রোটাঃ প্রফেসর ভূধর সরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

5তালা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) তালা শহীদ কামেল মডেল হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আনন্দ মোহন হালদার সভাপতি, মুকুন্দ কুমার রায় সাধারণ সম্পাদক এবং মো. মতিয়ার রহমান কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন। সভপতি পদে দলুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দ মোহন হালদার (দোয়াত কলম-প্রতীক) পান ২০৮ ভোট। এ পদে কপোতাক্ষ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র (হরিণ-প্রতীক) পান ১৭২ ভোট, এইচএমএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারক আলী (চেয়ার-প্রতীক) পেয়েছেন ১৫৫ এবং এজেডিপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ (ছাতা-প্রতীক) পেয়েছেন ১৩৪ ভোট।
পুনরায় সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত খলিলনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুকুন্দ কুমার (মোমবাতি-প্রতীক) পেয়েছেন ৩৭৮ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ফলেয়া চাঁদকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলাম (হাতপাখা-প্রতীক) পেয়েছেন ২৭২ ভোট এবং অপর প্রার্থী নগরঘাটা কবি নজরুল বিদ্যাপীঠের সহকারী শিক্ষক নিশিকান্ত ব্যানার্জি (আনারস-প্রতীক) পেয়েছেন ১৯ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে পুনরায় নির্বাচিত মো. মতিয়ার রহমান (দেয়াল ঘড়ি- প্রতীক) পেয়েছেন ৩৪৩ ভোট। এ পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বী কে,এম,এস,সি কলেজিয়েটের সহকারী শিক্ষক অজয় কুমার মন্ডল (গোলাপফুল- প্রতীক) পেয়েছেন ২০৫ ভোট এবং অপর প্রার্থী মাদরা অগ্রণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রায়হান হোসেন (কাপপ্রিচ-প্রতীক) পেয়েছেন ১২৪ ভোট। নির্বাচনে ৬৯৬ জন ভোটারের মধ্যে ৬৭৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।  প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামরুজ্জামান বলেন, ৩১টি পদের মধ্যে ইতিমধ্যে ২৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ৩টি পদে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

01আমির হোসেন খান চৌধুরী ও হাসানুজ্জামান: ঘুরে ফিরে নাম ও চেহারা বদলিয়ে সাতক্ষীরাবাসীর সামনে বারবার ফিরে আসছে গণলুণ্ঠনের র‌্যাফেল ড্র, ওঠাও বাচ্চা। লক্ষ লক্ষ মানুষের পকেট কেটে দিনের শেষে ২০/২৫ জন আনন্দ নিয়ে ফিরতে পারলেও হাজারো মানুষ নিজেদের পরিবারের অন্ন-বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা এমনকি সন্তানের পড়াশোনায় অর্থ ব্যয় না করে ছুটছে লটারির অন্তরালে জুয়ার পিছনে।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ জেলা বৃহত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কি শিখছে সেই প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫০০০ শিক্ষার্থী? তারা দেখছে সামসে উচ্চ মাধ্যমিকসহ একের পর এক পাবলিক পরীক্ষা কিন্তু তাদের ক্যাম্পাস সংলগ্ন মাঠে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে উদ্দাম নগ্ন নৃত্য, র‌্যাফেল ড্র নামক জুয়া আর মাইকিং করে হাউজি খেলা। শুধু উচ্চ মাধ্যমিক নয়Ñ সামনে আছে মাধ্যমিক পরীক্ষা, মেলার মধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর চূড়ান্ত মডেল টেস্ট পরীক্ষা। স্কুলের বাৎসরিক পরীক্ষাতো নিঃশ্বাস ফেলছে ঘাড়ের উপরে। কারও কোন মাথা ব্যাথা নেই, কারও কোন ভ্রুক্ষেপ নেই আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যতের প্রতি!
থাকবে কি করে? মেলা যে চলছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ব্যানারে! মুক্তিযোদ্ধারা জাতির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের আত্মত্যাগ আর অসীম বীরত্বে বাঙালির আজম্ম লালিত স্বাধীনতা সম্ভব হয়েছিল একাত্তরে। কিন্তু বিষ্ময়কর হলেও সত্য সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে চলা এই মেলায় ঈদের কোন আনন্দ নেই, গ্রামীণ হস্তশিল্পের কোন দেখা মিলছে না! চলছে শুধু কাঁচা টাকা উড়িয়ে ফূর্তি আর ফতুর হওয়ার খেলা! আর এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এ বিষয়ে সমাজের প্রভাবশালী কোন অংশেরই কোন বক্তব্য না থাকায় ক্ষোভ ঝরে পড়ছে জেলার মানুষের মধ্যে। গণমাধ্যম, রাজনীতিবিদ, প্রশাসন, পুলিশ, নাগরিক সমাজে সকলের সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।6
গ্রামীণ হস্তশিল্প ও ঈদ আনন্দ মেলার নামে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে হাউজি আর লটারিতে মেতে ওঠা মানুষেরা কেউ কেউ মোটা টাকা নিয়ে ঘরে ফিরছেন। আবার কেউ বা চাল কিনবার টাকা খুইয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে বউয়ের বকুনি শুনছেন। পারিবারিক ঝগড়া ও অশান্তিতে  জড়িয়ে পড়ছেন তারা।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কল্যাণের কথা বলে গত ১৩ অক্টোবর সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে এক মাসের অনুমতি নিয়ে আয়োজিত মেলায় হস্তশিল্প দূরে থাক, বসেনি কোনো ক্রয়যোগ্য সামগ্রীও। তবু মেলায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের ভিড়। প্রতিদিন সন্ধ্যায় বসছে মেলার নামে হাউজি ও লটারির টাকা ভাগাভাগি। চলছে রাতভর মাতামাতি। এর সাথে যুক্ত হয়েছে সার্কাসের মতো রুচিশীল বিনোদন।  লটারি আর হাউজি নিয়ে হৈ হুল্লোড় আর মাইকের প্রচ- ঘ্যানঘ্যানানিতে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া লাটে উঠবার উপক্রম হয়েছে।
১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশ জুড়ে জেএসসি ও জেডিসি পরিক্ষা। স্কুলগুলিতেও চলছে এসএসসি নির্বাচনী পরিক্ষা।  সাতক্ষীরার শিক্ষাপাড়া নামে খ্যাত সরকারি কলেজের চারপাশে রয়েছে ডজন চারেক ছাত্র ও ছাত্রী মেস ও হোস্টেল। তাদের লেখাপড়া নিয়ে অভিভাবকরা রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যেও থেমে নেই চটকদার প্রচার প্রচারণা, প্রচার মাইকের বিরক্তিকর কান ফাঁটা বিকট শব্দ। মাত্র ২০ টাকার টিকেট। পুরস্কার থাকছে দুই লাখ দশ হাজার টাকার পালসার মোটর সাইকেল ছাড়াও মূল্যবান সামগ্রী। হরদম টিকেট বিক্রি হচ্ছে। মানুষ কিনছেও বেশ। যদি লাইগ্যা যায়। ভাগ্য পরীক্ষায় নেমেছেন তারা।
এ মেলার অনুমতিদাতা সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন বলেন মেলায় লটারি, হাউজি, পুতুল নাচ কোনোটিরই অনুমতি নেই। তিনি বলেন আমরা অনুমতি দিয়েছি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উন্নয়নকল্পে রুচিসম্পন্ন বিনোদনের মাধ্যমে হস্তশিল্প মেলার। কোনো অপসংস্কৃতি চার্চার জন্য নয়। তিনি জানান, ২৮ অক্টোবর এই মেলার সমাপ্তির দিন। এ মেলা বর্ধিত করার আবেদন পেয়েছি কিন্তু আমরা তা বাড়াবো না।
অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাতক্ষীরা জেলা ডেপুটি কমান্ডার আবু বক্কর সিদ্দীক বলেন, মেলায় কোন অশ্লীলতা হচ্ছে না। আর হাউজি খেলা বা র‌্যাফেল ড্র বহু জায়গায় হয়। তবে সামনে সাতক্ষীরায় আর কোন মেলা হবে কি না সন্দেহ।
অন্যদিকে সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ইউনিট কমান্ডার ইনামুল হক বিশ্বাস বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ব্যবহার করে আয়োজিত মেলায় এমন নোংরামি আর লটারি ও হাউজি চলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানহানি হয়েছে।” অবিলম্বে এ ধরনের অপতৎপরতা বন্ধ করা না হলে আন্দোলনে যাবেন বলেও জানান তিনি।
3খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রতিদিন হাউজিতে অংশ নিচ্ছেন তিন হাজারেরও বেশি মানুষ। এতে অংশ নিচ্ছে দিন আনা দিন খাওয়া সাধারন শ্রমজীবীঢ নাগরিকও। দিনের আয়ের টাকা ঢেলে দিয়ে খালি হাতে ফিরছেন তারা। অপরদিকে যারা ধনাঢ্য, সমাজে মান সম্মান প্রতিপত্তি আছে, জনপ্রতিনিধিত্ব করেন, রাজনৈতিক দল করেন, কিংবা পেশাজীবী তারাও দিব্যি রাত জেগে হাউজি খেলছেন। হারছেন কিংবা জিতছেন। তবু এই মরণ নেশায় মেতে ওঠা মানুষের কোনো আক্ষেপ নেই। মেলায় বসে সিগারেট ফুঁকছেন। মাদক নিয়ে মাতামাতি করছেন। নারীদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য করছেন। তাদের উত্ত্যক্ত করছেন। এ যেন এক  নিয়ন্ত্রণহীন আদিম উৎসবে এসেছেন তারা।
তারা দিনের পর দিন লটারির টিকিট কিনছেন একটা দুইটা নয়, অনেকগুলি। এরপর রাত জেগে মাঠ বসে থাকা। প্রতিদিন ১২৩ টি বাক্স নিয়ে লটারির টিকিট বিক্রি করতে জেলার গ্রামগঞ্জে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিক্রয়কর্মীরা। মনভুলানো চটকদার প্রচার করছেন তারা। বিক্রিও হচ্ছে দেদারসে। রাত ১১ টায় সবগুলি বাক্স থেকে বের করা হচ্ছে বিক্রিত টিকিটের একাংশ। এতে লেখা থাকছে ক্রেতার নামসহ  মোবাইল নম্বর।  রাত ১২ টায় টিকিটগুলি এক জায়গায় করা ও একটি একটি করে তুলে দেখানোর কাজটি দেখানো হয় স্যাটেলাইটে। একজন শিশুর চোখ বেঁধে রাখা হয় কাপড় দিয়ে। শিশুটি হাজার হাজার  টিকিটের ঝাঁপি থেকে একটি করে তুলছে। আর সঞ্চালক তার নম্বর প্রচার করে এর বিপরীতে পুরস্কারের ঘোষণা দেবেন। শিশুটিকে সঞ্চালক বলবেন  ‘উ ঠা ও    বা ” চা’। চোখ বাঁধা শিশুটি ফের একটি করে টিকিট তুলবে। এভাবে রাত জেগে হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যে জুটছে ঘোড়ার ডিম আবার গুটিকয়েকের কপালে লাগছে মোটর সাইকেল, মোবাইল কিংবা ফ্রিজ। অথবা অন্যকিছু। এতে অংশ নিচ্ছেন শত শত সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ। তাদের সারা দিনের রোজগারের টাকা এভাবেই খেয়ে ফেলছেন সবুজ বাংলা লটারির পরিচালক আজিজ আহমেদ সোহেল আর তার দালাল কথিত মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ নেতা সোহাগসহ একটি দুষ্টচক্র।
দিনের আয়ের টাকা খুইয়ে বাড়ি যেয়ে পারিবারিক অশান্তিতে জড়িয়ে পড়ছে মানুষ। প- হয়ে যাচ্ছে সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় চাল ডাল নুন তেল কেনা কাটা, রোগীর ওষুধ। ২০ টাকার টিকিট কিনে তাই কেউ পৌষ মাসের মুনাফা নিচ্ছেন। আবার কেউ ঘরে ডেকে নিচ্ছেন সর্বনাশ। দৈনিক গড়ে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টিকিট বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসাবে টিকিট বিক্রি করে দৈনিক কম বেশি ১৫/২০ লাখ হাতিয়ে নিচ্ছে সবুজ বাংলা ট্রেড ফেয়ার। দৈনিকের এই আয়ের এক চতুর্থাংশ দিয়ে পুরস্কার ও অন্যান্য ঘুষ ব্যয় মিটিয়ে বাকি তিন চতুর্থাংশ টাকা উঠছে মেলা  ‘নীলকর সাহেবদের পকেটে’।
সন্ধ্যার পরপরই বসছে হাউজি। কলেজ মাঠ জুড়ে বিশাল আকারের প্যান্ডেল। বড় ব্যানারে লেখা হাউজি। এই জুয়াতেই নাম লেখাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ। কেউ জিতছেন, কেউ হারছেন। পরিচালকরা প্রতিদিন ঘরে তুলছেন কয়েক লাখ টাকা। হাউজিতে মাতোয়ারাদের মধ্যে নারীরাও রয়েছেন। হাউজির প্রতিটি শীটের দাম ৫০ টাকা। কোনো সময় তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আবার দেড়শ’ টাকাও হচ্ছে। শুক্রবার প্রতি শীট ২০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। এদিন দুই লাখ টাকা বোনাস ঘোষনার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। হাউজিতে নাম লেখাতে মরিয়া হয়ে উঠছেন অনেকেই। রাতভর খেলার ইচ্ছা নিয়েই মাঠে আসছেন বেশ ফুরফুর মেজাজে সেজেগুজে প্রস্তুত হয়ে। হার জিত যাই হোক, যেনো কোনো আক্ষেপ নেই।
গ্রামীণ হস্তশিল্প ও ঈদ আনন্দ নামের এ  মেলা উদ্বোধন করার কথা ছিল মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এর। সে অনুযায়ী দাওয়াত পত্রও ছাপানো হয়েছিল। জনশ্রুতি রয়েছে তিনি কর্মসূচি বাতিল করেন একজন জনপ্রতিনিধির চাপের মুখে। পরে ওই চাপপ্রয়োগ করা জনপ্রতিনিধিকে বিশেষভাবে সন্তষ্ট করা হয়।
জেলা মেলা পরিচালনার অনুমতি দিয়ে নয়টি বিষয় নিষিদ্ধ করে দিলেও আয়োজকরা তার কোনো গুরুত্বই দেননি। এর মধ্যে রয়েছে জুয়া হাউজি লটারি নগ্ন নৃত্য নিষিদ্ধ, কোনো ধরনের মাদক গ্রহন, পুতুল নাচ, অধিক রাত্রি পর্যন্ত মেলা পরিচালনা না করা, সহনীয়ভাবে মাইক বাজানো, আজান ও নামাজের সময় মাইক বন্ধ রাখতে হবে। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দিয়ে আইনশৃংখলা রক্ষায় সহায়তা করা।
জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিনের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হলে তিনি সরাসরি বলেন ‘এর কোনো অনুমতি নেই।’
হাউজি, লটারি ও নগ্ন নৃত্য সম্পর্কে জানতে চাইলে সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার একেএম আরিফুল হক বলেন ‘ওসব বিষয়ে অনুমতি দেওয়া না দেওয়া জেলা প্রশাসনের দায়িত্ব। পুলিশ শুধু আইন শৃংখলাই দেখছে’। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

eng-bd-cricket-test-match-2016মিরপুর টেস্টে তামিম-মুমিনুলের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনার পরও মাত্র ২২০ রানে টাইগারদের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার পরে ইংল্যান্ডের ৩ উইকেট তুলে নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছে টাইগাররা। সেইসঙ্গে বৃষ্টির কারণে দিনের নির্ধারিত ১১.৩ ওভার বাকি থাকতেই প্রথম দিনের সমাপ্তি টানতে হয়।

আগামীকাল (শনিবার) ১৭০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নামবে ইংল্যান্ড। তাদের হাতে রয়েছে আর সাত উইকেট।

টাইগারদের প্রথম ইনিংস শেষে ইংলিশদের প্রথম দিনটাও খুব একটা ভালো যায়নি।  মাত্র ৪২ রানে ডাকেট-কুক-ব্যালান্সের উইকেট হারিয়ে বসা ইংল্যান্ড দিন শেষে সংগ্রহ করেছে ৫০ রান।

আগামীকাল ১৭০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনের ব্যাট করতে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড। ১৫ রানে জো রুট এবং ২ রানে মঈন আলি অপরাজিত রয়েছেন।

বাংলাদেশের ইনিংসে একটা সময় মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলে নেওয়া বাংলাদেশ থামে ২২০ রানে। সব কিছু ঠিকঠাক-ই চলছিলো; কিন্তু ৪২তম ওভারে তামিমের বিদায়ে দিক হারায় বাংলাদেশ।

ফেরার আগে টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম ইকবার(১০৪) এবং মুমিনুল ফেরেন ৬৬ রানে।

মাত্র ৪৯ রান যোগ করতেই বাকি ৮টি উইকেটও হারিয়ে বসে মুশফিক বাহিনী। তামিম-মুমিনুল বাদে শুধুমাত্র মাহমুদউল্লাহ এবং সাকিব ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে নিজেদের স্কোরকে তুলে নিতে পেরেছেননি। যদিও তাদের সংগ্রহ যথাক্রমে ১৩ এবং ১০। বাকি ৭ ব্যাটসম্যানের সংগ্রহ মাত্র ১৭ রান। ১০ রান এসেছে অতিরিক্ত থেকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

webমাহফিজুল ইসলাম আককাজ: সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু উৎসব-২০১৬ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরী’র হলরুমে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ জেলা শাখার আয়োজনে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি সহকারি অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান মন্ময় মনির’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু উৎসব-২০১৬ এর উদ্বোধন করেন সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় তিনি বলেন, কবিতা মানুষের মনের খোরাক যোগায়। তাই কবিতাই হোক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার হাতিয়ার। তিনি আরো বলেন, মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ দেশ প্রেম ও আতœত্যাগের কাহিনী কবিতার লেখনী ও আবৃত্তির মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট উপভাষাবিদ অধ্যাপক কাজী মুহম্মদ অলিউল্লাহ, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়জুল্লাহ সাঈদ, কবি স.ম তুহিন প্রমুখ। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি শুভ্র আহমেদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন  সাহানা মুহিদ, তৃপ্তি মোহন মল্লিক, মনিরুজ্জামান ছট্ট, শিক্ষক আমিনুর রশিদ, কবির রায়হান, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান,  দিলরুবা রোজসহ  জেলার কবি সাহিত্যিকবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ জেলা শাখার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরুপ চন্দ্র ঘোষ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

5f298c5e81e31c4ebeed32e2baac8bae-5812587a60ef8অনলাইন ডেস্ক: মাদক ব্যবসায়ে জড়িত দিনাজপুরের পার্বতীপুরে শিশুধর্ষণে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম। এলাকায় পরিচিত ছিল কালা সাইফুল নামে। চলতি বছর নারী নির্যাতন মামলায় জেল খেটেছে এক মাসেরও অধিক সময়।

এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের জমিরহাট এলাকার তকেয়াপাড়া গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম। সে ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ছিল। ২০ বছর আগে সে একই গ্রামের সহির উদ্দিন মেয়ে নার্গিসকে বিয়ে করে। বিবাহিত জীবনে তার ৩ মেয়ে ও এক ছেলে জন্ম নেয়। বিয়ের আগে ও পরে সে কাঠ ব্যবসাসহ ফড়িয়া (দালালি) ব্যবসা করে সংসার চালতো। কয়েক বছর থেকে সাইফুলের ‘অচেনা-অজানা’ লোকজনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে সে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকে বলে স্থানীয়রা জানান।

কারণে-অকারণে লোকজনের ওপর হাত তোলা এবং  ভয়-ভীতি প্রদর্শন করায় লোকজন ক্রমশ তাকে ভয় পেতে শুরু করে। প্রায়ই সে তার তার স্ত্রী নার্গিসকে শারীরিক ও মানসিকভাবে করতো। এরই মধ্যে তার পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে বড় মেয়ের শাশুড়ির সঙ্গে, এমন অভিযোগও রয়েছে। এসব কারণে গত বছর স্ত্রীর সঙ্গে তার ডির্ভোস হয়ে যায়। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে নারী নির্যাতন মামলায় ১ মাস ৯ দিন হাজতে ছিল সে। হাজত থেকে বেরিয়ে সে আরও খারাপ আচরণ করতে শুরু করে- এমনটাই জানা যায়। প্রায় প্রকাশ্যেই জড়িয়ে পড়ে ফেন্সিডিল ও  গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসার সঙ্গে।
চলতি বছরের মার্চ মাসে সাইফুল তার বড় মেয়ের শাশুড়িকে বিয়ে করে।
এলাকাবাসীর অনেকে জানান, পড়াশোনায় ৫ম শ্রেণিও পেরুতে পারেনি সাইফুল ইসলাম। বিয়ের সময় তার শ্বশুর ২৭ শতক জমি দিয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়ে সে জমিটুকুও খুইয়েছে সে। কিছুদিন আগে সে জাহাঙ্গীর নামে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ধার নিয়ে আর ফেরত দেয়নি।
সাইফুল ইসলামের ভাই সাইদুল ইসলাম ও সফিউল ইসলাম জানান, প্রায় এক বছর ধরে সাইফুলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। মাদকাসক্ত হওয়ায় প্রায়ই তাদের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো।
তারা জানান, সাইফুল ইসলামের সঙ্গে অচেনা কিছু লোকজনের ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে। প্রায়ই তারা সাইফুলের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতো। এই কারণে সাইফুল ক্রমে বেপরোয়া হয়ে উঠতে থাকে।
ধর্ষক সাইফুলের সাবেক শ্বশুর ও আপন চাচা সহির উদ্দিন জানান, বিকৃত মন-মানসিকতার মানুষ সাইফুল। তিন মেয়ে ও এক ছেলের জনক সে। বিয়ে দেওয়ার পরও নিজের বড় মেয়ে রেশমাকে (১৮) মারধোর করতো সাইফুল। বড় মেয়ের শাশুড়ির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কারণে তার মেয়ে নার্গিস সাইফুলকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় মেয়ে সুজাতা (১৩) ও তৃতীয় মেয়ে সালমাকে (১১) নিয়ে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছে। তাদের একমাত্র ছেলে নাজমুলকে (৫) অন্যের বাড়িতে রাখা হয়েছে।

পূজার মাসি (খালা) বুলবুলী রানী জানায়, শিশুটি নিখোঁজের পর সবাই খোঁজাখুজি শুরু করলে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বাড়িতে এসে তাকে দেবী বা জ্বীনে লুকিয়ে রেখেছে বলে অপপ্রচার শুরু করে। পরে সে কবিরাজ নিয়ে আসে ও কবিরাজ বলে পরের দিন সকালে ওই শিশুকে পাওয়া যাবে। তিনি অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ও কবিরাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

পূজার কাকা মদন দাস জানান, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সাইফুল ইসলাম মোবাইলে ওই শিশুটির বাবাকে বলে ‘বেশি বাড়াবাড়ি করিস না, আপোসে আয়। তা না হলে পরিণতি খারাপ হবে’ এই বলে মোবাইলে হুমকি দেয়। এলাকাবাসীর অনেকে জানান, শিশু পূজা নিখোঁজ হওয়ার পর তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খুঁজতে শুরু করলে সাইফুল ইসলাম ওই শিশুর মাকে বলেন, বাচ্চাটিকে হয়তো দেবী বা জ্বিনে ধরেছে। কবিরাজ নিয়ে এসে ঝাড়ফুঁক করলে পাওয়া যাবে। পরে আফজাল হোসেন নামে একজন কবিরাজকে নিয়ে আসলে কবিরাজ বলেন পরের দিন সকালে বাচ্চাটিকে পাওয়া যাবে। তার কথামতো পরদিন সকালে বাড়ির পাশের হলদি ক্ষেত থেকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে পাওয়া যায়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এলাকার লোকজন আরও জানায়, আফজাল হোসেন ওই এলাকার একজন সুপরিচিত কবিরাজ। তাকে লোকে বিশ্বাস করতো।
তাদের দাবি, এই ‘ভণ্ড কবিরাজকে’ গ্রেফতার করা হলে আরও অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে।
পূজার দাদা অনিল চন্দ্র দাস জানান, সাইফুল নিজের অপরাধ আড়াল করতে একই গ্রামের ভণ্ড কবিরাজ আফজাল হোসেনের কাছে তার ছেলে সুবল দাসকে নিয়ে যান। সাইফুলের শিখিয়ে দেওয়া কথা মতে কবিরাজ বলেছিল আপনার মেয়েকে খোঁজার দরকার নেই। সকাল বেলা শিশুটিকে পাওয়া যাবে। পরদিন শিশুটিকে পাওয়া যায় ঠিকেই তবে তা সংজ্ঞাহীন ধর্ষিত অবস্থায়। তার পরেও সাইফুল শিশুটিকে হাসপাতালে নিতে বাধা দিয়ে বলে, কবিরাজ ঝাড়ফুঁক দিলেই ঠিক হয়ে যাবে শিশুটি। হাসপাতালে শিশুটির জ্ঞান ফিরলে ধর্ষক হিসেবে সাইফুলকে সনাক্ত করা হয়।
কবিরাজের স্ত্রী রেহেনা খাতুন বলেন, তার স্বামীর সঙ্গে জিন আছে। সে এলাকায় কবিরাজি করে। এলাকার মানুষদের তেল পড়া ও পানি পড়াসহ ঝাড়ফুঁকের কাজ করে। সাইফুল শিশুটির বাবাকে নিয়ে তার কাছে এসেছিল। তার স্বামীকে ৫০১ টাকা দিলেও সেখান থেকে গোপনে সাইফুল ৩০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার স্বামীর ধর্ষণ কাজে জড়িত ছিল না। কবিরাজি করতে গিয়ে ফেঁসে গেছে। গ্রেফতার আতঙ্কে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, ১৮ অক্টোবর দুপুরে খেলতে বাইরে গেলে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় ৫ বছর বয়সী শিশু পূজা। অনেক খোঁজ করেও তাকে না পেয়ে রাতে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন পূজার বাবা (সুবল চন্দ্র দাস)। পরের দিন সকালে পূজাকে বাড়ির পাশের হলদি ক্ষেত থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। পরে জ্ঞান ফিরতে শিশুটি ধর্ষক সাইফুল ইসলামের কথা বলে। ওই ধর্ষক শিশুটির গোপনাঙ্গ কেটে ধর্ষণ করে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে পূজার বাবা পার্বতীপুর থানায় একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ৭ দিন পর গত মঙ্গলবার পুলিশ অভিযুক্ত সাইফুলকে দিনাজপুরের ঈদগাহ বস্তি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আদালত অভিযুক্ত সাইফুলকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন। শিশুটি বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest