সর্বশেষ সংবাদ-
ল’ স্টুডেন্টস ফোরামের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণকুমিরা মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মামুনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুবুধহাটায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও কোকোর মৃত্যু বার্ষিকীতে দোয়াআশাশুনির শ্রীউলায় সাইকেল ম্যাকানিক অনিমেষের লাশ উদ্ধারসাবেক এমপি এন্তাজ আলীর ২৭তম মৃত্যু বার্ষিকী ২৬ জানুয়ারিদেবহাটার সখিপুর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশদেশকে ফ্যাসিবাদের হাতে তুলে দেওয়ার সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে: হামিদুর রহমান আযাদতারুণ্যের উৎসব উদযাপনে সাতক্ষীরায় ম্যারাথন দৌঁড়সাতক্ষীরায় দলিত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মধ্যে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ

টেকসই ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদ

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : টেকসই ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদ। গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি নানমুখি উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে সখিপুর ইউনিয়ন। বিগত দিনের তুলনায় সেবার মান বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সেবাগ্রহীতারা। বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের প্রচেষ্টায় ইউনিয়ন পরিষদটি জনবান্ধব করে তোলার চেষ্টা করছেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।

জানা গেছে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রেখে কৃষি, বৃক্ষরোপণ, মৎস্য ও পশুপালন, স্বাস্থ্য, কুটিরশিল্প, সেচ, ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পাদন করা হয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে। এছাড়া স্থানীয় সম্পদের উন্নয়ন ঘটিয়ে তার ব্যবহার নিশ্চিত করে ইউনিয়ন পরিষদ। পাশাপাশি বাংলাদেশের গ্রামীণ জনসাধারণের ঝগড়া-বিবাদের মীমাংসা ও মামলা মোকদ্দমা নিষ্পত্তি করার জন্য সরকার গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক ভাবে বিচার ব্যবস্থার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের উপর ন্যাস্ত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জনগনের সেবা সহজিকরণ সহ সরকারি সম্পদের সঠিক ব্যবহার করতে অবকাঠামোর উন্নয়ন করে যাচ্ছে দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ। যার মধ্যে সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদে বিগত ২ বছরে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। যার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য উত্তর সখিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য মাঠে ভরাট, সুপেও পানির প্লান্ট স্থাপন, রাসেল স্মৃতি ফুটবল মাঠ নির্মান ও মাটি ভরাট, সখিপুর বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, আধুনিক কসাইখান নির্মান, ঈদগাহ হাটবাজারের উন্নয়ন, সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য আধুনিক ওয়াশ ব্লক ও সেলুব্রিয়াস সেন্টার নির্মান, ইউনিয়নের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে খেলার সামগ্রী বিতরন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগ, ছাত্রীের স্বাস্থ্য সামগ্রী প্রদান, বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা, মন্দিরে অনুদান, কয়েক শতাধিক নতুন ইটসোলিং রাস্তা নির্মান, গ্রামীন রাস্তা সংস্কার, প্লাসাইটিং করন, মাটি ভরাট, কোঁড়া তরুন সংঘের নতুন ঘর নির্মান সহ সরকারি বরাদ্দ সমবন্ঠন করে যাচ্ছেন বর্তমান সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম।

সখিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কবির হোসেন, সোলাইমান হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমরা এখন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে হয়রানি ছাড়া সেবা পাচ্ছি। সেই সাথে আমাদের এলাকার রাস্তাঘাট, কালভাট সহ বিভিন্ন উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি। সরকারের এসব উন্নয়ন আমাদের এলাকার মানুষের ব্যাপক কল্যাণ বয়ে এনেছে। বিশেষ করে অধিকাংশ রাস্তা পাকা হওয়ায় যাতায়াতের সুবিধা হয়েছে। কৃষি মালামাল আনা নেওয়া সহজ হয়েছে।

সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব গোলাম রব্বানী জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মানুষের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সনদ, নাগরিক সনদপত্র, ওয়ারেশকায়েম সনদ, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন সহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের নিয়ম মেনে সহজে জনসাধারণ যাতে সেবা পায় সে বিষয়ে আমরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করছি।

সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীন অবকাঠামোর উন্নয়ন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। আমরা জনগনের জন্য প্রতিনিধি, তাই মানুষের সেবা প্রধান লক্ষ্য। আমার দায়িত্বকালিন কোন মানুষ যাতে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা নিতে এসে হয়রানির শিকার না হয় সেটি কঠোর ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নানা আয়োজনে পলিত হচ্ছে দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক স.ম আলাউদ্দীন মৃত্যুবার্ষিকী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সাতক্ষীরার দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক, আওয়ামী লীগ নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা স. ম আলাউদ্দীনের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৯ জুন। দিবসটি উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মরহুমের কবর জিয়ারত, কোরানখানী, দোয়া অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা।

১৯৯৬ সালের ১৯ জুন রাতে দৈনিক পত্রদূত অফিসে কর্মরত অবস্থায় ঘাতকদের গুলিতে নিহত হন স.ম আলাউদ্দীন। ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ এর ১২ জুনের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠনের পূর্বমূহুর্তে এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী আশির দশকের মাঝামাঝি সময় হতে নবগঠিত সাতক্ষীরা জেলার অর্থনৈতিক কর্মকান্ড গতিশীল করতে অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণকারী বিভিন্ন সংগঠন প্রতিষ্ঠা এবং সেসব সংগঠনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সক্রিয় অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, চোরাকারবারী গড়ফাদার, ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্রে স.ম আলাউদ্দীনকে হত্যা করা হয়। হত্যা মামলার তদন্তেও সে সময় সদ্য প্রতিষ্ঠিত ভোমরা স্থল বন্দর, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় বলে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য স.ম আলাউদ্দীন সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও পরবর্তী সভাপতি, ভোমরা স্থলবন্দরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাতক্ষীরা ট্রাক মালিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ইটভাটা, শিল্প কলকারখানাসহ ব্যবসা-বানিজ্য নিয়ন্ত্রণকারী বিভিন্ন সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও নেতৃত্বের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি নিজেও মেসার্স আলাউদ্দীন ফুডস এন্ড ক্যামিকেল ইন্ডাট্রি নামে পদ্মার এপারে একটি মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় বীর সেনানী স. ম আলাউদ্দীন ছিলেন তৎকালীন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষ নেতা। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি প্রাদেশিক পরিষদের সর্বকণিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৬২ সালে হামাদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বাতিলের আন্দোলনের মধ্যদিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি। ১৯৬৫-৬৮ পর্যন্ত খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। এসময় আন্দোলন সংগ্রামের কারণে তার বিরুদ্ধে একাধিকবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও একাধিক কলেজ থেকে ফোর্সটিসি দেওয়ায় তার শিক্ষা জীবন বিঘিœত হয়। ১৯৬৮-৬৯ সালে খুলনা ল’ কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় তার নেতৃত্বে তালা থানা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয় এবং তিনি কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৬৭ সালে বি এ পাশ করে তালার জালালপুর হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করলেও রাজনীতির প্রতিটি কর্মকান্ডে দক্ষ সংগঠক হিসেবে জানান দেন স. ম আলাউদ্দীন। ৬৯-৭০’র উত্তাল গণআন্দোলনে স. ম আলাউদ্দীন ছিলেন সাতক্ষীরার তরুণ আন্দোলনকারীদের প্রাণ পুরুষ। উত্তপ্ত রাজপথের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুর্জয় তরুণ আলাউদ্দীন ওই সময়ই সাতক্ষীরার গণমানুষের নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সর্বকনিষ্ঠ প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন।

মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অস্ত্র হাতে অংশগ্রহণকারী সংসদ সদস্যদের মধ্যে তিনি অন্যতম। একাত্তরের ২৯ মার্চ তিনি ভারতে প্রবেশ করেন এবং পরবর্তীতে বিএসএফ এর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের জিওসি মেজর জেনারেল আরুন মুখার্জীর সাথে বেনাপোল ও ভোমরা সীমান্ত দিয়ে যশোর ও খুলনাঞ্চলে যুদ্ধারতদের অস্ত্র ও গোলা বারুদ সরবরাহের চুক্তি করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ৮ ও ৯ নাম্বার সেক্টরের অন্যতম সংগঠকেরও ভূমিকা পালন করেন। এসময় নির্বাচিত এমপি হয়েও তিনি কমিশন্ড অফিসার হিসাবে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং কিছুদিন ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনের পর সাতক্ষীরা মহাকুমা মুক্তিবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব পান।
পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধে ৮ নম্বর সেক্টরে ক্যাপ্টেন সাইফুল্লাহ নাম গ্রহণ করে দেশে প্রবেশ করে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি খুলনা জেলা মুজিব বাহিনীরও সংগঠক ছিলেন এবং এসময় তার নির্বাচনী এলাকা তালায় মুজিব বাহিনীর খলনাঞ্চলের প্রধান দপ্তর ছিল। স. ম আলাউদ্দীনের ব্যক্তিগত সদ্ভাব ও সমন্বয়ের কারণে খুলনা জেলার কোথাও এই দুই বাহিনীর মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দুঃসাহসিক বিভিন্ন অভিযানের কারণে তিনি কমপক্ষে চার বার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেলেও পাকিস্তানের সামরিক আদালত তাকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড, সংসদ সদস্যপদ বাতিল, সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেয় এবং তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ৪০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে এলাকায় মাইকিং করে।

সে সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে অবলম্বন করে কলকাতার উমাপ্রসাদ মৈত্র পরিচালিত ‘জয়বাংলা’ চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ও করেন স.ম আলাউদ্দীন।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ১৯৭৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের নিবর্তনমূলক আইনে স. ম আলাউদ্দীন গ্রেপ্তার হন। ছয় মাস কারাভোগ শেষে মুক্তির তিন মাস পর তিনি পুনরায় গ্রেপ্তার হন। ১৯৮৩ সালে স. ম আলাউদ্দীন সাতক্ষীরা শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

নব্বই এর দশকের শুরুতে দেশব্যাপী মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সংগ্রাম এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এসময় তিনি কর্মমুখী শিক্ষার নিজস্ব ভাবনা থেকে সাতক্ষীরাতে প্রথম বঙ্গবন্ধুর নামে ‘বঙ্গবন্ধু পেশাভিত্তিক স্কুল ও কলেজ’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন।

সাতক্ষীরার তালার উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের মিঠাবাড়ি গ্রামে ১৯৪৫ সালের ২৯ আগস্ট (বাংলা ১৩৫২ সালের ১৫ ভাদ্র) এই বীর মুক্তিযোদ্ধা স.ম আলাউদ্দীন জন্মগ্রহণ করেন। তার সেজ কন্যা ও জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-১৩ জাতীয় সংসদ-৩১৩ এর সংসদ সদস্য।

চাঞ্চল্যকর স.ম আলাউদ্দীন হত্যা মামলার সর্বশেষ অবস্থা:

১৯৯৬ সালের ১৯ জুন সাতক্ষীরা সদর থানার প্রাচীর সংলগ্ন দৈনিক পত্রদূত এর তৎকালীন অফিসে কর্মরত অবস্থায় ঘাতকদের গুলিতে প্রাণ হারান স. ম আলাউদ্দীন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই স. ম নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৬ মে সিআইডির খুলনা জোনের এএসপি খন্দকার ইকবাল হোসেন এ হত্যা মামলায় সাতক্ষীরার চিহ্নিত সন্ত্রাসী গডফাদারসহ ১০ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

এ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরের গোলাম খায়বার সরদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে কিসলু (বর্তমানে মৃত), তার দুই ভাই মো. খলিলুল্লাহ ওরফে ঝড়– (বর্তমানে মৃত) ও মোমিনউল্লা মোহন, আলিপুরের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে আব্দুস সবুর সরদার, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের নাটয়াররড গ্রামের গোপাল রহমানের ছেলে আতিয়ার রহমান, শহরের সুলতানপুরের মৃত কাজী আব্দুল ওহাবের ছেলে কাজী সাইফুল ইসলাম, তালার নগরঘাটার মৃত শামসুদ্দিন সরদারের ছেলে মো. আব্দুর রউফ, সাতক্ষীরা শহরের প্রাণ সায়র এলাকার মৃত তোফাজদ্দিন সরদারের ছেলে শফিউর রহমান, শহরের সুলতানপুরের মৃত শেখ নুরুল ইসলামের ছেলে এস্কেন্দার মির্জা ও শহরের কামালনগরের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আবুল কালাম।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার প্রভাবশালী আসামি আব্দুস সবুর ও খলিলুল্লাহ ঝড়–সহ কয়েকজন ১৯৯৯ সালের ২৬ জুলাই সাতক্ষীরা দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামিদের আজ্ঞাবহ সন্ত্রাসীরা সাতক্ষীরা আদালত ঘেরাও করে এবং সাতক্ষীরা জজ কোর্টের সব বিচারককে ৬ ঘণ্টা জিম্মি করে রাখে।

পরবর্তীকালে আসামি আব্দুস সবুর ও খলিলুল্লাহ ঝড়–সহ ওই আসামিরা হাইকোর্টে কোয়াশমেন্ট করে। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আ্যাপিলেট ডিভিশন ওই আদেশ খারিজ করেন। পরে আসামি আব্দুস সবুর, খলিলুল্লাহ ঝড়–সহ কয়েকজন আসামি সাতক্ষীরার কোনো আদালতে এই মামলার ন্যায় বিচার পাবেন না উল্লেখ করে অন্য কোনো জেলায় মামলাটি স্থানান্তরের আবেদন জানালে বিচার কার্যক্রম স্থগিত হয়। হাইকোর্ট ও পরে অ্যাপিলেট ডিভিশনে ওই আবেদন নামঞ্জুর হলে দীর্ঘ ১৫ বছর পর ২০১১ সালে সাতক্ষীরা দায়রা জজ আদালতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হয় এবং প্রায় ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

একপর্যায়ে ২০১৮ সালের শেষের দিকে মামলার তৎকালীন সংশ্লিষ্ট বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে বাদী পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম পুনরায় ৬ মাসের জন্য স্থগিত হয়। ইতোমধ্যে সে স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হলেও বিচার কার্যক্রম আর শুরু হয়নি।

উল্লেখ্য, স. ম আলাউদ্দীন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত ১০জন আসামির মধ্যে অন্য একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও অসংখ্য মামলার আসামি সাইফুল্লা কিসলু ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার ম্যানেজার আতিয়ার রহমান হত্যাকান্ডের পর থেকে এখনো পলাতক রয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কাটা রাইফেলসহ গ্রেপ্তারকৃত আসামি সাইফুল ইসলাম যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অবস্থায় জামিনে মুক্ত রয়েছেন। অপর আসামি আব্দুর রউফও একটি হত্যা মামলায় সাজা খেটে কয়েক বছর আগে জেল থেকে বের হয়েছেন। আসামি এসকেন পালিয়ে বিদেশে চলে গেলেও কয়েক বছর আগে দেশে ফিরে এই হত্যা মামলায় কয়েকদিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। অপর একটি হত্যা মামলায় সাজা খেটে বর্তমানে এই হত্যা মামলায় জামিনে রয়েছেন আসামি শফিউল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উল আযহা উদযাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় ২৫ গ্রামের
মানুষ পবিত্র ঈদ উল আযহা উদযাপন করেছে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সদর উপজেলার ভাড়–খালীতে রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের নামাজ আদায় করেন তারা। আহলে সুন্নাত আল জামায়াত জামে মসজিদে ঈদ উল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন মাও: মাহবুবুর রহমান।
এছাড়া একই সময়ে বাওখোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজে মহিলারাও শরীক হন। ঈদের নামাজে ইমামতি করেন বাওখোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো: মোহাব্বত আলী।

ঈদের নামাজে সাতক্ষীরার ইসলামকাটি, গোয়ালচত্তর, ভাদড়া, ঘোনা, ভাড়–খালি, মিরগিডাঙ্গাসহ প্রায় ২৫ গ্রামের মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। নামাজ শেষে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় বাড়িতে গিয়ে পশু কুরবানী করেন তারা।

ভাড়–খালীতে ঈদ এর নামাজ শেষে মাও: মাহবুবুর রহমান বলেন, এবার সৌদী আরবের সাথে মিল রেখে ২৫ গ্রামের মানুষ ঈদ উল আযহা উদযাপন করছে।

মসুল্লিরা জানান, গত এক যুগ ধরে তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করে আসছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদুল আযহা উদযাপন করছেন। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির বড়দলে রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভিজিএফ’র ৯৭৩০ কেজি চাউল বিতরণ

আশাশুনি ব‍্যুরো:
আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে জিআর এর চাল ও ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ভিজিএফ’র চাউল শান্তিপূর্ণভাবে বিতরণ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা। শনিবার (১৫ জুন) সকালে পৃথক পৃথকভাবে স্ব স্ব ইউপি’র পুরুষ ও মহিলা সদস্যদের উপস্থিতিতে এ চাউল বিতরণ করেন।

ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে জিআর এর ১৫০০ কেজি চাল ১৫০ জনের মধ‍্যে ১০ কেজি করে ও ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফ’র ৮২৩০ কেজি চাল ১০ কেজি করে ৮২৩ জন দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। মোট ৯৭৩০ কেজি চাল ৯৭৩ জনের মধ‍্যে ১০ কেজি করে বিতরণ করেন।

চাউল বিতরণকালে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এম সাহেব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম আলাউদ্দীন, সাংবাদিক গোপাল চন্দ্র মন্ডল, লিংকন, মিন্টু সহ সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ, গ্রাম পুলিশবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শান্তিপূর্ণভাবে চাল বিতরণ করায় গরিব, অসহায় ও দুঃস্থরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানার প্রতি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবশেষে সাতক্ষীরা পৌরসভার আলোচিত সিইও ভোলায় বদলী

অনলাইন ডেস্ক :
অবশেষে সাতক্ষীরা পৌরসভার আলোচিত সিইও নাজিমুদ্দিন কে বদলি করা হয়েছে ১৩ জুন। রাষ্ট্রপ্রতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রালয়ের প্রেষণ ২ শাখার অধীনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে তাকে ভোলা পৌরসভায় বদলি করা হয়েছে। জনপ্রশাসনের সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ, চাকরি থেকে অব্যাহতির হুমকি, সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে মাদক বহন ও সেবন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে ছুটি কাটানোসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের মেধাবী ছাত্র ফাহিম ফয়সাল নিখোঁজ !

প্রেস বিজঞপ্তি
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের মেধাবী ছাত্র ফাহিম ফয়সাল (১৯) গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ। পরিবার তার সন্ধান পাচ্ছে না। ফাহিম ফয়সাল গত ১২ জুন বিকেলে সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়াস্থ ভাড়া বাসা থেকে বাইরে যায়। পরে আর বাসায় ফিরেনি। অনেক খোঁজাখুজির পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে ফাহিমের বাবা।

ফাহিম ফয়সাল সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া ইউনিয়নের সেনেরগাঁতি গ্রামের পশু চিকিৎসক মো: রকিবুল ইসলাম মোড়লের ছেলে। সে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিবে।

ফাহিম ফয়ালের পিতা রকিবুল ইসলাম মোড়ল জানায়, সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে ফাহিম লেখাপড়া করে। গত ১২ তারিখ ভাই-বোনদের সাথে বাইরে বের হয়। ভাই-বোনদের গ্রামের বাড়িতে রওনা করে দিয়ে সে সাতক্ষীরাতেই থেকে যায়। কিন্তু রাতে আর বাসায় ফিরেনি। তারা বিষয়টি জানতে পেরে অনেক খোঁজাখুজি করেছে। কিন্তু ১৪ জুন রাত পর্যন্ত কোন সন্ধান মেলেনি। সাতক্ষীরা সরদ থানাকে নিখোঁজের বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

যদি কেউ ছেলেটির সন্ধান পান তাহলে ০১৭১৮-২২০৮৯২ (বাবা) অথবা ০১৭১৭-৬৫১৪৫৯ (চাচা) এই মুঠো ফোনে জানানোর জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে অপহরনের অভিযোগে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার আশাশুনির বড়দলে স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীকে অপহরনের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। অপহরনের সাথে জড়িত মূলহোতা সোহাগ গাজীসহ তিনজনকে আসামী করে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে উক্ত মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালতের বিচারক এম.জি আযম এ মামলাটি পিবিআই সাতক্ষীরাকে তদন্ত করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। গত ১৯ মে ২০২৪ তারিখে মামলাটি দায়ের করেন অপহরনের শিকার খাদিজা খাতুনের মা আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের পীর আলী গাজীর স্ত্রী পারভীন খাতুন।

এ মামলার আসামীরা হলো, খুলনা জেলার পাইগাছা উপজেলার কালিদাসপুর গ্রামের সবুর গাজীর ছেলে সোহাগ গাজী (২৮), একই উপজেলার কানুয়ারডাঙ্গী গ্রামের সিরাজুল গাজীর ছেলে শামীম হোসেন (২৭) ও চক্কাবাড়ী গ্রামের আবুল মোল্যার ছেলে ইব্রাহিম মোল্যা (৩০)।

মামলার বিবরনে জানা যায়, এক নম্বর আসামী মূলহোতা সোহাগ গাজী এ মামলার বাদী পারভীন খাতুনের মেয়ে স্বামী পত্যিাক্তা এক সন্তানের জননী খাদিজা খাতুনকে প্রায়ই তাদের বাড়ির আশে পাশে এসে উত্যক্ত ও কু প্রস্তাব দিতো। বিষয়টি বাদী জানার পর তাকে নিষেধ করলেও সে পরোয়া না করে এক পর্যায়ে গত ২৯ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ বেলা ১১ টার সময় খাদিজা তার মায়ের বাড়ির পাশে খাবার পানি আনতে গেলে পথিমধ্যে গাজীর আমতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাকে একা পেয়ে আসামী সোহাগ গাজী, শামীম ও ইব্রাহিম
তাকে চোখ মুখ জাপটে ধরে জোর পূর্বক মোটর সাইকেলে তুলে অপহরন করে নিয়ে যায়। এসময় তার আতœ চিৎকারে বাদীর বৃদ্ধ বাবা আদর আলী (৬৩) বিষয়টি দেখে তিনিও চিৎকার করে তার নাতনীকে অপহরনকারীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে বাদী পারভীন খাতুন তার কন্যাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পেয়ে বাধ্যহয়ে গত ৩০ মে ২০২৪ তারিখে আশাশুনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু আশাশুনি থানার ওসি কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়ায় তিনি আদালতের শরনাপন্ন হন এবং আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বাদী তার মামলায় আরো উল্লেখ করেন, ১ নং আসামী সোহাগ গাজী তার কন্যার সাথে জোরপূর্বক দৈহিক মেলামেশাসহ তাকে খুন করতে পারে বলে তিনি আশংখা করছেন।
এ মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাড. আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক এম.জি আযম এ মামলাটি পিবিআই সাতক্ষীরারকে তদন্ত করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (যার স্মারক নং পি-২১৩/২৪)।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধু আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টে সরকারি খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজ চ্যাম্পিয়ন

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৪ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ জুন) বিকালে সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ী চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সরোয়ার হোসেন।

এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান শাহিন, মীর তাজুল ইসলাম রিপন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল কবির খান বাপ্পি, শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, শিমুন শামস্, ফুটবল কোর্চ এমাদুল হক খান, বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ কাজী কামরুজ্জামান, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের ট্রেজারার শেখ মাসুদ আলী ও ক্রীড়া সাংবাদিক শফিউল ইসলাম খান প্রমুখ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৪ এর খেলায় জেলার মোট ১০টি কলেজ অংশগ্রহণ করে। টুর্নামেন্টের ফাইল খেলায় অংশগ্রহণ করে কালিগঞ্জের রতনপুর ইউনাইটেড মডেল কলেজ বনাম দেবহাটার সরকারি খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজ।

খেলায় কালিগঞ্জের রতনপুর ইউনাইটেড মডেল কলেজকে ৪-০ গোলে পরাজিত করে দেবহাটার সরকারি খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজ জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে খেলার গৌরব অর্জন করে। ফাইনালে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন দেবহাটার সরকারি খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজের ১৭নং জার্সি পরিহীত খেলোয়াড় মিয়ারাজ, সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেয়েছেন দেবহাটার সরকারি খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজের ৮নং জার্সি পরিহীত খেলোয়াড় হাসানুজ্জামান, টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়ার হয়েছেন দেবহাটার সরকারি খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজের ৬নং জার্সি পরিহীত খেলোয়ার শামিম এবং টুর্নামেন্টের ফেয়ারপ্লে পুরস্কার পেয়েছে তালা শহিদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজ। খেলা পরিচালনা করেন রেফারি মো. নাসির উদ্দীন, সহকারী রেফারি পিপুল খান, একে আজাদ কাঁনন ও শাম্মু চৌধুরী। এসময় জেলা ক্রীড়া অফিসের কর্মকর্তা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest