সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুবুধহাটায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও কোকোর মৃত্যু বার্ষিকীতে দোয়াআশাশুনির শ্রীউলায় সাইকেল ম্যাকানিক অনিমেষের লাশ উদ্ধারসাবেক এমপি এন্তাজ আলীর ২৭তম মৃত্যু বার্ষিকী ২৬ জানুয়ারিদেবহাটার সখিপুর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশদেশকে ফ্যাসিবাদের হাতে তুলে দেওয়ার সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে: হামিদুর রহমান আযাদতারুণ্যের উৎসব উদযাপনে সাতক্ষীরায় ম্যারাথন দৌঁড়সাতক্ষীরায় দলিত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মধ্যে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণসাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুজন ও সম্পাদক অয়ন গ্রেফতারকলারোয়া উপজেলা তাঁতীদলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন

সাতক্ষীরায় ভ্যাট ও ভোমরায় ল্যান্ড কাস্টমস কমপ্লেক্সের নামফলক উন্মোচন : মতবিনিময় সভায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুদ্ধ সাংবাদিকরা

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরায় কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের নবনির্মিত ভ্যাট ও ভোমরা স্থলবন্দর ল্যান্ড কাস্টমস কমপ্লেক্সের নামফলক উন্মোচন করা হয়ছে। শুক্রবার বিকাল ৪টায় শহরের জেলখানা রোড সংলগ্ন এলাকায় নবনির্মিত ৫ম তলা বিশিষ্ট্য ভ্যাট কমপ্লেক্সের নামফলক উন্মোচন করেন, আভ্যন্তরীন সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম।

এরপর তিনি সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে নবনির্মিত ল্যান্ড কাস্টমস কমপ্লেক্সের নামফলক উন্মোচন করেন। ফলক উন্মোচন শেষে সেখানে তিনি অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। তবে, উক্ত মত বিনিময় সভায় এসময় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এতে ক্ষুদ্ধ হন সাংবাদিকরা।

এসময় তার সাথে ছিলেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী, জাতীয় রাজস্ববোর্ডের শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসনের সদস্য ফারজানা আফরোজ, কর প্রশাসনের সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ, সিনিয়র সচিবের একান্ত সচিব মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামানসহ সাতক্ষীরার কাস্টমস ও ভ্যাটবিভাগের কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত ঃ ভোমরা স্থলবন্দরের ল্যান্ড কাস্টমস কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে এবং সাতক্ষীরা শহরে ভ্যাট কমপ্লেক্সের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব গ্রহণ

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা: দেবহাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন আল ফেরদৌস আলফাসহ নব নির্বাচিতরা। এর আগে গত (১২ জুন) বেলা ১১ টায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে নব নির্বাচিতদের শফথ বাক্য পাঠ করানো হয়।

বৃহস্পতিবার ২০ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় তারা একসাথে উপজেলা পরিষদে এসে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামানসহ বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তারা তাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান।

এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরার সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য লাইলা পারভিন সেজুতি, সহকারী ভূমি কমিশনার দীপা রানী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সখিপুর সাবেক চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, নোয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সাহেব আলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের পিতা আবুল কাশেম মাতা রেহানা বেগম সহ বিভিন্ন দপ্তরের কমকতারা নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আল ফেরদৌস আলফাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও মিষ্টি বিতরণ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আলীপুর ইউপি নির্বাচনে বোমা ফাটানোর মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ছোটসহ ৬ জন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচনকে ঘিরে রাস্তার উপর বোমা মেরে ত্রাস সৃষ্টি করে নির্বাচনী প্রচারনায় বিঘœ সৃষ্টির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ছয় আসামীর জামিন আবেদন না’মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সাতক্ষীরার জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোঃ আব্দুল আলীম আল রাজী এ আদেশ দেন।

জামিন না’মঞ্জুর হওয়া আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদরের আলীপুর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আলীপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার সরদারের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ছোট, একই গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে হাদিউজ্জামান বাদশা, দক্ষিণ আলীপুর গ্রামের হবু সরদারের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, আলীপুর ঢালীপাড়ার আব্দুল করিম সরদারের ছেলে আলাউদ্দিন সরদার, আলীপুর দীঘিরপাড়ের আব্দুর রহিম সরদারের ছেলে আব্দুর রব, ও সদর উপজেলার চাপারডাঙা গ্রামের আব্দুর রকিবের ছেলে রফিকুজ্জামান রিন্টু।

মামলার বিবরনে জানা যায়, চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে আব্দুর রউফ ঘোড়া প্রতীকে ও জিয়াউর রহমান জিয়া মোটর সাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। নির্বাচনী প্রচারণা শেষে গত ২২ এপ্রিল রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আলীপুর ঢালীপাড়ায় তাসলিমা খাতুনের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক মোস্তাফিজুর রহমান ছোট এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা বোমা ফাটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। সন্ত্রাসীরা মোটর সাইকেল সমর্থকদের প্রচারনা বন্ধ না করলে আবারো বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় পরদিন মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জিয়াউর রহমান জিয়ার ভাই রফিকুল ইসলাম সরদার বাদি হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোস্তাফিজুর রহমান ছোট, রেজাউল ইসলাম, ফরিদ হোসেন, হাদিউজ্জামান বাদশাসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ জনকে আসামী করা হয়।
গত ২৬ এপ্রিল মোটর সাইকেল প্রতীকের তালবেড়িয়া গ্রামের নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তালবেড়িয়া গ্রামের বদিউজ্জামান বাবলুর দায়েরকৃত মামলায় (জিআর-২০০/২৪ সদর) গ্রেপ্তার হয়।
সাতক্ষীরা আদালত সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম সরদারের দায়েরকৃত মামলার আসামীদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ছোট, হাদিউজ্জামান বাদশা, জাহাঙ্গীর হোসেন, আলাউদ্দিন সরদার, আব্দুর রব ও রফিকুজ্জামান রিন্টু চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারপতি নাজমুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের আদালতে অগ্রিম জামিনের আবেদন জানান। আদালত ওই ছয় আসামীকে আগামি সাত দিনের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করার নির্দেশ দেন। আসামীপক্ষের আইনজীবীরা ওই আদেশ গোপন রেখে ওই ছয় আসামীর সঙ্গে রেজাউল ইসলাম ও ফরিদ হোসেনের নাম যুক্ত করে একই আদালতে গত মে অন্তবর্তী জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদেরকে ছয় সপ্তাহের সময় দিয়ে গত ১৮ জুনের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবদন করার নির্দেশ দেন। ১৮ জুন ঈদের ছুটি থাকায় বৃহষ্পতিবার রেজাউল ও ফরিদ ব্যতীত ছয় আসামী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামীপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর বিচারক ছয় আসামীর জামিন আবেদন না’মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. বাবলা শুনানীকালে আসামীপক্ষ হাইকোর্টে প্রথম যে অগ্রিম জামিন আবেদন করেছিলেন তা তুলে ধরেন।
আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. মিজানুর রহমান পিণ্টু, অ্যাড. জহুরুল ইসলাম।
ছয় আসামীর জামিন আবেদন না’মঞ্জুর করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ।#

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গাবুরায় বজ্রপাতে ‌শিশুসহ ২জনের মৃত্যু

শ্যামনগর প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার শ‌্যামনগ‌রে গাবুরায় বজ্রপাতে ‌শিশুসহ ২জন নিহত হ‌য়ে‌ছেন আহত হ‌য়ে‌ছেন আরও ২ জন। বৃহস্পতিবার দুপুরে দেড়টার দিকে গাবুরার গাগড়ামারী এলাকার একটি মৎস্যঘেরের বাসায় এঘটনা ঘটে।

নিহতরা হ‌লেন খুলনার কয়রা উপজেলার ঘ‌ড়িলাল গ্রা‌মের মোহাম্মাদ গাজীরপুত্র বোট চালক এনা‌য়েত (৩৭) এবং একই এলাকার আলআমিনের শিশু নাজমুল (১১) । আহতরা ২ জন নাজমু‌লের দাদা মুছা গাজী (৬৫) ও একই এলাকার মোস্তফা কামালেরপুত্র মইনুর (১৩)।

আহতরা জানান, শ‌্যামনগ‌রের গড়পদ্মপুকুরে আত্নীয়ের বাড়ি থে‌কে গাবুরা হ‌য়ে মোটর সাইকেল যো‌গে কয়রার ঘ‌ড়িলা‌লের নিজ বাড়ী ফির‌ছি‌লেন তারা। দুপুরে হঠাৎ বৃ‌ষ্টিপাত শুরু হ‌লে গাবুরার গাগড়ামারী এলাকার এক‌টি ফাকা মৎস্যঘে‌রের বাসায় আশ্রয় নেন ৪ জন। সেখা‌নে বজ্রপা‌তে ২ জন নিহত ২ জন আহত হন।

গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, আহত ২জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় শ‌্যামনগ‌র উপ‌জেলা স্বাস্থ‌্যক‌ম‌প্লে‌ক্সে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। গাবুরা থে‌কে নিহত‌দের লাশ ট্রলার যো‌গে প‌রিবা‌রের কা‌ছে পাঠানো হয়েছে।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে বাঁধনহারা সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে গুণীজন সন্মাননা

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি :
বর্ণাঢ্য আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে গুণীজন সন্মাননা পদক প্রদান ও ছুটির দিনের গল্প গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব। মঙ্গলবার ঈদ- উল- আযহার পরেরদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় বাঁধনহারা সাহিত্য পরিষদ এর উদ্যোগে ৮ গুণী ব্যক্তিকে বাঁধনহারা সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার উত্তর রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়েছে শিক্ষাবিদ হিসাবে ড. মোহাম্মদ অবদুল গফফার,
নজরুল গবেষণায় বিশিষ্ট নজরুল গবেষক কবি সৈয়দ আলী হাকিম, জাতীয় সাংবাদিকতায় দৈনিক সংগ্রামের খুলনা বিভাগীয় প্রধান বিশিষ্ট সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রানা, আঞ্চলিক সাংবাদিকতায় দৈনিক জন্মভুমি ও দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার কালিগঞ্জ সংবাদদাতা ও কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু,

কবিতায় বিশিষ্ট কবি স ম তুহিন, ইসলামী প্রবন্ধে বিশিষ্ট প্রবন্ধকার মোস্তফা ইউসুফ আলম, প্রবন্ধে বিশিষ্ট প্রবন্ধকার মো. জাহিদুর রহমান ও সম্পদনায় বিশিষ্ট লেখক ও সাহিত্যিক ইয়াসিন মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ঢাকা’র ম্যানেজার ও এসএভিপি মো. রবিউল বাশার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মনজুর ইলাহী।

প্রধান আলোচক ছিলেন সাতক্ষীরার কলারোয়া বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহবুবর রহমান মুকুল। বিশেষ ছিলেন থাকবেন ১নং কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন, সখিপুর ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসার বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ওমর ফারুক, কাটুনিয়া রাজবাড়ি কলেজের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাস বাচ্চু।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাঁধনহারা সাহিত্য পরিষদ এর সভাপতি বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক মুহাম্মদ ইব্রাহিম বাহারী।

সার্বিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সাংবাদিক আফজাল হোসেন ও কবি শাহাজাহান কবীর শান্ত। বক্তব্য রাখেন মাওঃ আব্দুস সাত্তার আজাদী, সাহিত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেখক, কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক ও সূধীবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় শোক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পত্রদূত সম্পাদক স ম আলাউদ্দীনকে স্মরণ

প্রেসবিজ্ঞপ্তি:

শোক, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, সাহস, বেদনা আর গৌরবের অম্লান স্মৃতি নিয়ে পালিত হয়েছে দৈনিক পত্রদূতের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা স. ম আলাউদ্দীনের ২৮তম শাহাদত বার্ষিকী। ১৯৯৬ সালের ১৯ জুন নিজ পত্রিকা অফিসে কর্মরত অবস্থায় ঘাতকের গুলিতে শহিদ হন স. ম আলাউদ্দীন। বুধবার (১৯ জুন) স. ম আলাউদ্দীনের ২৮তম শাহাদত বার্ষিকীতে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহিদ স ম আলাউদ্দীনের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়) আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজ আহমেদ স্বপন, শহিদ স. ম আলাউদ্দীন তনয়া সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও জিএম মনিরুল ইসলাম মিনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন, জেলা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিদার রহমান, দৈনিক পত্রদূত পরিবার, সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, বঙ্গবন্ধু পেশাভিত্তিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদক শিমুন শামস, সদস্য নাজমুন নাহার মুন্নি, সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রওশনারা রুবি, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সীমা সিদ্দিক ও মাহফুজা সুলতানা রুবি, নগরঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি স. ম আক্তার-উল-আলম, নগরঘাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন, যুব নেতা কামরুজ্জামান রিকু, বিশিষ্ট শিল্পপতি ইবাদুল ইসলাম, ইউপি সদস্য সরোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা দ্বীপ প্রমুখ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইখতিয়ার হোসেন, সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার আব্দুল হাই, সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিশ্বাস মো. আতিয়ার রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ, সাতক্ষীরা সাংবাদিক সমাজ, পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাব, জেলা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দেশের সার্বিক উন্নয়নে স ম আলাউদ্দীনের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, স ম আলাউদ্দীন ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হয়ে অংশগ্রহণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করেন। প্রতিষ্ঠা করেন সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স, ভোমরা স্থল বন্দর, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু পেশাভিত্তিক স্কুল এন্ড কলেজ (পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু পেশাভিত্তিক মাধ্যমিক স্ক্লু), জেলা ট্রাক মালিক সমিতি, সাতক্ষীরা নারকেলতলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেন দলের দুঃসময়ে। তার মতো ত্যাগী নেতা আজ বড়ই বিরল। ১৯৯৬ সালের ১৯জুন তাকে নিজ পত্রিকা অফিসে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ২৮ বছরেও আইনগত জটিলতার কারণে তাঁর সেই নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার সম্পন্ন হয়নি। অনতিবিলম্বে মামলাটির বিচার কাজ সম্পন্ন হবে এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি হবে বলে প্রত্যাশা করি।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য, শহিদ স ম আলাউদ্দীন তনয়া লায়লা পারভীন সেঁজুতি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার পিতা সম্পর্কে আগে থেকে জানতেন। সম্প্রতি একটি সংবাদ সম্মলনে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার পিতা স ম আলাউদ্দীন সম্পর্কে জানতেন বলে মন্তব্য করেছেন। আমার পিতা হত্যার ২৮ বছর পেরিয়ে গেছে, বিচার আজও হয়নি। আমি আমার পিতা হত্যার বিচারসহ যেসকল হত্যাকান্ডের বিচার আজও হয়নি সেসব হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজ আহমেদ স্বপন বলেন, স ম আলাউদ্দীন ছিলেন দক্ষিণ বঙ্গের একজন অকুতোভয় সৈনিক। তিনি ছিলেন উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা। তাঁকে হত্যা করে ঘাতকরা সাতক্ষীরার উন্নয়নকে শত বছর পিছিয়ে দিয়েছে। তিনি ঘাতকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
টেকসই ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদ

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : টেকসই ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদ। গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি নানমুখি উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে সখিপুর ইউনিয়ন। বিগত দিনের তুলনায় সেবার মান বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সেবাগ্রহীতারা। বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের প্রচেষ্টায় ইউনিয়ন পরিষদটি জনবান্ধব করে তোলার চেষ্টা করছেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।

জানা গেছে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রেখে কৃষি, বৃক্ষরোপণ, মৎস্য ও পশুপালন, স্বাস্থ্য, কুটিরশিল্প, সেচ, ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পাদন করা হয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে। এছাড়া স্থানীয় সম্পদের উন্নয়ন ঘটিয়ে তার ব্যবহার নিশ্চিত করে ইউনিয়ন পরিষদ। পাশাপাশি বাংলাদেশের গ্রামীণ জনসাধারণের ঝগড়া-বিবাদের মীমাংসা ও মামলা মোকদ্দমা নিষ্পত্তি করার জন্য সরকার গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক ভাবে বিচার ব্যবস্থার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের উপর ন্যাস্ত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জনগনের সেবা সহজিকরণ সহ সরকারি সম্পদের সঠিক ব্যবহার করতে অবকাঠামোর উন্নয়ন করে যাচ্ছে দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ। যার মধ্যে সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদে বিগত ২ বছরে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। যার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য উত্তর সখিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য মাঠে ভরাট, সুপেও পানির প্লান্ট স্থাপন, রাসেল স্মৃতি ফুটবল মাঠ নির্মান ও মাটি ভরাট, সখিপুর বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, আধুনিক কসাইখান নির্মান, ঈদগাহ হাটবাজারের উন্নয়ন, সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য আধুনিক ওয়াশ ব্লক ও সেলুব্রিয়াস সেন্টার নির্মান, ইউনিয়নের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে খেলার সামগ্রী বিতরন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগ, ছাত্রীের স্বাস্থ্য সামগ্রী প্রদান, বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা, মন্দিরে অনুদান, কয়েক শতাধিক নতুন ইটসোলিং রাস্তা নির্মান, গ্রামীন রাস্তা সংস্কার, প্লাসাইটিং করন, মাটি ভরাট, কোঁড়া তরুন সংঘের নতুন ঘর নির্মান সহ সরকারি বরাদ্দ সমবন্ঠন করে যাচ্ছেন বর্তমান সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম।

সখিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কবির হোসেন, সোলাইমান হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমরা এখন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে হয়রানি ছাড়া সেবা পাচ্ছি। সেই সাথে আমাদের এলাকার রাস্তাঘাট, কালভাট সহ বিভিন্ন উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি। সরকারের এসব উন্নয়ন আমাদের এলাকার মানুষের ব্যাপক কল্যাণ বয়ে এনেছে। বিশেষ করে অধিকাংশ রাস্তা পাকা হওয়ায় যাতায়াতের সুবিধা হয়েছে। কৃষি মালামাল আনা নেওয়া সহজ হয়েছে।

সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব গোলাম রব্বানী জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মানুষের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সনদ, নাগরিক সনদপত্র, ওয়ারেশকায়েম সনদ, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন সহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের নিয়ম মেনে সহজে জনসাধারণ যাতে সেবা পায় সে বিষয়ে আমরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করছি।

সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীন অবকাঠামোর উন্নয়ন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। আমরা জনগনের জন্য প্রতিনিধি, তাই মানুষের সেবা প্রধান লক্ষ্য। আমার দায়িত্বকালিন কোন মানুষ যাতে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা নিতে এসে হয়রানির শিকার না হয় সেটি কঠোর ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নানা আয়োজনে পলিত হচ্ছে দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক স.ম আলাউদ্দীন মৃত্যুবার্ষিকী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সাতক্ষীরার দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক, আওয়ামী লীগ নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা স. ম আলাউদ্দীনের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৯ জুন। দিবসটি উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মরহুমের কবর জিয়ারত, কোরানখানী, দোয়া অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা।

১৯৯৬ সালের ১৯ জুন রাতে দৈনিক পত্রদূত অফিসে কর্মরত অবস্থায় ঘাতকদের গুলিতে নিহত হন স.ম আলাউদ্দীন। ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ এর ১২ জুনের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠনের পূর্বমূহুর্তে এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী আশির দশকের মাঝামাঝি সময় হতে নবগঠিত সাতক্ষীরা জেলার অর্থনৈতিক কর্মকান্ড গতিশীল করতে অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণকারী বিভিন্ন সংগঠন প্রতিষ্ঠা এবং সেসব সংগঠনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সক্রিয় অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, চোরাকারবারী গড়ফাদার, ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্রে স.ম আলাউদ্দীনকে হত্যা করা হয়। হত্যা মামলার তদন্তেও সে সময় সদ্য প্রতিষ্ঠিত ভোমরা স্থল বন্দর, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় বলে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য স.ম আলাউদ্দীন সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও পরবর্তী সভাপতি, ভোমরা স্থলবন্দরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাতক্ষীরা ট্রাক মালিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ইটভাটা, শিল্প কলকারখানাসহ ব্যবসা-বানিজ্য নিয়ন্ত্রণকারী বিভিন্ন সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও নেতৃত্বের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি নিজেও মেসার্স আলাউদ্দীন ফুডস এন্ড ক্যামিকেল ইন্ডাট্রি নামে পদ্মার এপারে একটি মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় বীর সেনানী স. ম আলাউদ্দীন ছিলেন তৎকালীন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষ নেতা। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি প্রাদেশিক পরিষদের সর্বকণিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৬২ সালে হামাদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বাতিলের আন্দোলনের মধ্যদিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি। ১৯৬৫-৬৮ পর্যন্ত খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। এসময় আন্দোলন সংগ্রামের কারণে তার বিরুদ্ধে একাধিকবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও একাধিক কলেজ থেকে ফোর্সটিসি দেওয়ায় তার শিক্ষা জীবন বিঘিœত হয়। ১৯৬৮-৬৯ সালে খুলনা ল’ কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় তার নেতৃত্বে তালা থানা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয় এবং তিনি কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৬৭ সালে বি এ পাশ করে তালার জালালপুর হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করলেও রাজনীতির প্রতিটি কর্মকান্ডে দক্ষ সংগঠক হিসেবে জানান দেন স. ম আলাউদ্দীন। ৬৯-৭০’র উত্তাল গণআন্দোলনে স. ম আলাউদ্দীন ছিলেন সাতক্ষীরার তরুণ আন্দোলনকারীদের প্রাণ পুরুষ। উত্তপ্ত রাজপথের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুর্জয় তরুণ আলাউদ্দীন ওই সময়ই সাতক্ষীরার গণমানুষের নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সর্বকনিষ্ঠ প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন।

মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অস্ত্র হাতে অংশগ্রহণকারী সংসদ সদস্যদের মধ্যে তিনি অন্যতম। একাত্তরের ২৯ মার্চ তিনি ভারতে প্রবেশ করেন এবং পরবর্তীতে বিএসএফ এর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের জিওসি মেজর জেনারেল আরুন মুখার্জীর সাথে বেনাপোল ও ভোমরা সীমান্ত দিয়ে যশোর ও খুলনাঞ্চলে যুদ্ধারতদের অস্ত্র ও গোলা বারুদ সরবরাহের চুক্তি করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ৮ ও ৯ নাম্বার সেক্টরের অন্যতম সংগঠকেরও ভূমিকা পালন করেন। এসময় নির্বাচিত এমপি হয়েও তিনি কমিশন্ড অফিসার হিসাবে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং কিছুদিন ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনের পর সাতক্ষীরা মহাকুমা মুক্তিবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব পান।
পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধে ৮ নম্বর সেক্টরে ক্যাপ্টেন সাইফুল্লাহ নাম গ্রহণ করে দেশে প্রবেশ করে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি খুলনা জেলা মুজিব বাহিনীরও সংগঠক ছিলেন এবং এসময় তার নির্বাচনী এলাকা তালায় মুজিব বাহিনীর খলনাঞ্চলের প্রধান দপ্তর ছিল। স. ম আলাউদ্দীনের ব্যক্তিগত সদ্ভাব ও সমন্বয়ের কারণে খুলনা জেলার কোথাও এই দুই বাহিনীর মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দুঃসাহসিক বিভিন্ন অভিযানের কারণে তিনি কমপক্ষে চার বার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেলেও পাকিস্তানের সামরিক আদালত তাকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড, সংসদ সদস্যপদ বাতিল, সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেয় এবং তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ৪০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে এলাকায় মাইকিং করে।

সে সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে অবলম্বন করে কলকাতার উমাপ্রসাদ মৈত্র পরিচালিত ‘জয়বাংলা’ চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ও করেন স.ম আলাউদ্দীন।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ১৯৭৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের নিবর্তনমূলক আইনে স. ম আলাউদ্দীন গ্রেপ্তার হন। ছয় মাস কারাভোগ শেষে মুক্তির তিন মাস পর তিনি পুনরায় গ্রেপ্তার হন। ১৯৮৩ সালে স. ম আলাউদ্দীন সাতক্ষীরা শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

নব্বই এর দশকের শুরুতে দেশব্যাপী মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সংগ্রাম এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এসময় তিনি কর্মমুখী শিক্ষার নিজস্ব ভাবনা থেকে সাতক্ষীরাতে প্রথম বঙ্গবন্ধুর নামে ‘বঙ্গবন্ধু পেশাভিত্তিক স্কুল ও কলেজ’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন।

সাতক্ষীরার তালার উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের মিঠাবাড়ি গ্রামে ১৯৪৫ সালের ২৯ আগস্ট (বাংলা ১৩৫২ সালের ১৫ ভাদ্র) এই বীর মুক্তিযোদ্ধা স.ম আলাউদ্দীন জন্মগ্রহণ করেন। তার সেজ কন্যা ও জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-১৩ জাতীয় সংসদ-৩১৩ এর সংসদ সদস্য।

চাঞ্চল্যকর স.ম আলাউদ্দীন হত্যা মামলার সর্বশেষ অবস্থা:

১৯৯৬ সালের ১৯ জুন সাতক্ষীরা সদর থানার প্রাচীর সংলগ্ন দৈনিক পত্রদূত এর তৎকালীন অফিসে কর্মরত অবস্থায় ঘাতকদের গুলিতে প্রাণ হারান স. ম আলাউদ্দীন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই স. ম নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৬ মে সিআইডির খুলনা জোনের এএসপি খন্দকার ইকবাল হোসেন এ হত্যা মামলায় সাতক্ষীরার চিহ্নিত সন্ত্রাসী গডফাদারসহ ১০ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

এ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরের গোলাম খায়বার সরদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে কিসলু (বর্তমানে মৃত), তার দুই ভাই মো. খলিলুল্লাহ ওরফে ঝড়– (বর্তমানে মৃত) ও মোমিনউল্লা মোহন, আলিপুরের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে আব্দুস সবুর সরদার, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের নাটয়াররড গ্রামের গোপাল রহমানের ছেলে আতিয়ার রহমান, শহরের সুলতানপুরের মৃত কাজী আব্দুল ওহাবের ছেলে কাজী সাইফুল ইসলাম, তালার নগরঘাটার মৃত শামসুদ্দিন সরদারের ছেলে মো. আব্দুর রউফ, সাতক্ষীরা শহরের প্রাণ সায়র এলাকার মৃত তোফাজদ্দিন সরদারের ছেলে শফিউর রহমান, শহরের সুলতানপুরের মৃত শেখ নুরুল ইসলামের ছেলে এস্কেন্দার মির্জা ও শহরের কামালনগরের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আবুল কালাম।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার প্রভাবশালী আসামি আব্দুস সবুর ও খলিলুল্লাহ ঝড়–সহ কয়েকজন ১৯৯৯ সালের ২৬ জুলাই সাতক্ষীরা দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামিদের আজ্ঞাবহ সন্ত্রাসীরা সাতক্ষীরা আদালত ঘেরাও করে এবং সাতক্ষীরা জজ কোর্টের সব বিচারককে ৬ ঘণ্টা জিম্মি করে রাখে।

পরবর্তীকালে আসামি আব্দুস সবুর ও খলিলুল্লাহ ঝড়–সহ ওই আসামিরা হাইকোর্টে কোয়াশমেন্ট করে। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আ্যাপিলেট ডিভিশন ওই আদেশ খারিজ করেন। পরে আসামি আব্দুস সবুর, খলিলুল্লাহ ঝড়–সহ কয়েকজন আসামি সাতক্ষীরার কোনো আদালতে এই মামলার ন্যায় বিচার পাবেন না উল্লেখ করে অন্য কোনো জেলায় মামলাটি স্থানান্তরের আবেদন জানালে বিচার কার্যক্রম স্থগিত হয়। হাইকোর্ট ও পরে অ্যাপিলেট ডিভিশনে ওই আবেদন নামঞ্জুর হলে দীর্ঘ ১৫ বছর পর ২০১১ সালে সাতক্ষীরা দায়রা জজ আদালতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হয় এবং প্রায় ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

একপর্যায়ে ২০১৮ সালের শেষের দিকে মামলার তৎকালীন সংশ্লিষ্ট বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে বাদী পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম পুনরায় ৬ মাসের জন্য স্থগিত হয়। ইতোমধ্যে সে স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হলেও বিচার কার্যক্রম আর শুরু হয়নি।

উল্লেখ্য, স. ম আলাউদ্দীন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত ১০জন আসামির মধ্যে অন্য একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও অসংখ্য মামলার আসামি সাইফুল্লা কিসলু ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার ম্যানেজার আতিয়ার রহমান হত্যাকান্ডের পর থেকে এখনো পলাতক রয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কাটা রাইফেলসহ গ্রেপ্তারকৃত আসামি সাইফুল ইসলাম যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অবস্থায় জামিনে মুক্ত রয়েছেন। অপর আসামি আব্দুর রউফও একটি হত্যা মামলায় সাজা খেটে কয়েক বছর আগে জেল থেকে বের হয়েছেন। আসামি এসকেন পালিয়ে বিদেশে চলে গেলেও কয়েক বছর আগে দেশে ফিরে এই হত্যা মামলায় কয়েকদিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। অপর একটি হত্যা মামলায় সাজা খেটে বর্তমানে এই হত্যা মামলায় জামিনে রয়েছেন আসামি শফিউল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest