সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে বিজয় দিবস পালনতালায় সেতু আবুলসহ ৩ জন আটকসাউথ-এশিয়ান পিপলস ডায়ালগে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এগ্রোইকোলজির গুরুত্বারোপগ্রীন টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি হলেন মীর খায়রুলস্থানীয় জাতবৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণে নেপালের পারমাকালচারের প্রতিনিধি দলসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভাসাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভায় ইসলামী সংগীত পরিবেশন : পুলিশ সদস্য মহিবুল্লাহ বরখাস্তসাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি ও তার ছেলেকে কারাগারে প্রেরণসাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি  লতিফ ও তার ছেলে রাসেল আটকসাংবাদিক মোমিনের সুস্থ্যতা কামনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বিবৃতি

নিজস্ব প্রতিনিধি : ২৩টি মামলার আসামী দুর্ধর্ষ ডাকাত মোঃ রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করেছে সাতক্ষীরা থানার পুলিশ।

সোমবার সাড়ে ১২টায় ঢাকা জেলার সাভার কলোনী হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার তার বাড়ি হতে ডাকাতিকৃত স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার মোঃ রেজাউল করিম (৪৫) কালিগঞ্জ থানার কৃষ্ণনগর গ্রামের বরকতুল্লাহ গাজীর ছেলে।

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, মোঃ রেজাউল করিম আন্তঃ বিভাগীয় ডাকাত চক্রের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। সে চক্রের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সাতক্ষীরা জেলাসহ খুলনা বিভাগীয় অন্যান্য জেলার বিত্তশালী ব্যক্তিদের সনাক্তপূর্বক লক্ষ্য স্তির করে ডাকাতি করে। তাকে ১৮ নভেম্বর ১২.৩০টার সময় ঢাকা জেলার সাভার রেডিও কলোনী হতে গ্রেপ্তার করা হয়।

তার স্বীকারোক্তী অনুযায়ী ১৯ নভেম্বর রাতে কৃষ্ণনগরে অবস্থিত তার নিজ বসতবাড়ির রান্নাঘরের মধ্যে মাটির নিচে হতে সাতক্ষীরা সদর থানার মামলা নং-২৪, তারিখ-১০/০৫/২০২৪ খ্রি. ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড এর ঘটনায় লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়।

এসব মালামালের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণের তৈরী ১টি গলার হার যার ওজন ১ ভরি ৬ আনা, স্বর্ণের তৈরী ১ জোড়া হাতের বালা যার ওজন ১ ভরি উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, দস্যুতাসহ সর্বমোট ২৩ টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

অনলাইন ডেস্ক : একসময়ের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আত্মীয়তার সুযোগ নিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করেন তিনি। বিভিন্ন সময় বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিতও ছিলেন।

পদ্মা সেতু দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এলে তার নাম সবচেয়ে বেশি শোনা যায়। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে পালিয়ে আছেন তিনি। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের পাশাপাশি নামে-বেনামে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরী। যা কোনো রাজার সম্পত্তিকেও হার মানায়।

তার নিজের ও পরিবারের নামে হাজার বিঘার বেশি ভূমির মালিকানা রয়েছে। রয়েছে ঢাকার পূর্বাচল, আদাবর, গুলশান ও বনানীতে প্লট ও ফ্ল্যাট। সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, কানাডায় রয়েছে বাড়ি। ফরিদপুরে নিজের বাড়িতে বানিয়েছেন আস্ত একটা চিড়িয়াখানাও।নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অনুসন্ধানে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সংস্থাটির উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম অভিযোগ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংক, দেশের ৯১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা ও ফরিদপুরের ভূমি অফিস, রাজউক, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের নথিপত্র তলব করেছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু নথিপত্র দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এসেছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আলোচিত নিক্সন চৌধুরীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুদক চিঠি দিয়েছে। ইতোমধ্যে স্ত্রীসহ তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যদিও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে তিনি ইতোমধ্যে দেশ ত্যাগ করেছেন। আমাদের অনুসন্ধান থেমে নেই।
দুদকের দালিলিক প্রমাণ সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত রাজধানীতে বাড়ি ও ফ্ল্যাট থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে। তার নিজ এলাকায় বালুর ব্যবসা ও অঢেল স্থাবর সম্পদের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে, অনুসন্ধান শেষে প্রকৃত সত্য উদঘাটিত হবে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর-৪ আসনের তিন বারের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী প্রথমে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নে ব্রাক্ষণপাড়া মৌজার চর অঞ্চলে ৩৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে বাড়ি করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আত্মীয়তার সুবাদে তিনি নিজ এলাকায় বাড়তি সুবিধা নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।

অভিযোগ রয়েছে, আড়িয়াল খাঁ নদ ও পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে হাজার হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন নিক্সন চৌধুরী। আশপাশের জমির মালিকদের ডেকে বাড়িতে এনে জোর করে ভাঙ্গার সদরপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে পাঠিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন। এভাবে প্রায় ১১শ বিঘা জমি নিজের স্ত্রী ও সন্তান এবং ভাইয়ের নামে দলিল করে নিয়েছেন তিনি। নিক্সন চৌধুরী সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, কানাডায় একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজ বাড়িতে কয়েক একর জায়গার ওপর চিড়িয়াখানা ও বাগান বাড়ি করেছেন। এ ছাড়া ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও ঢাকায় একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। কিছু নিজের নামে আর কিছু স্ত্রী, সন্তান ও ভাইয়ের নামে গড়েছেন। আয়কর ফাইল অনুসারে নিক্সন চৌধুরীর নামে ১২-১৪ কোটি টাকা এবং স্ত্রী তারিন হোসেনের নামে ১৭-১৮ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য রয়েছে বলে জানা গেছে।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ অক্টোবর নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী তারিন হোসেনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিক্সন চৌধুরীর অন্যতম সহযোগী ও ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। যার সঙ্গে নিক্সন চৌধুরীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে শাহাদাৎ হোসেন ও তার স্ত্রীর নামে ৩ কোটি টাকার সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে দুদকের অনুসন্ধানে। যে কারণে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মো. শাহাদাৎ হোসেন ও তার স্ত্রী তানিয়া আক্তার রুমার সম্পদের হিসাব চায় দুদক। অনুসন্ধানে তাদের রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে এক হাজার ৩০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, ঢাকার পল্লবীতে ১৩ কাঠার জমিসহ প্রায় তিন কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ মিলেছে।

২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের নামে ২ হাজার ৪২ শতাংশ কৃষিজমির মালিকানা রয়েছে। যেখানে ১০ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৪ সালের হলফনামায় তার মালিকানাধীন কৃষিজমির পরিমাণ ছিল মাত্র ৩৮ শতাংশ। ফরিদপুরের ভাঙ্গার আজিমনগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় ৯৭৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, ৫১০ শতাংশ, ৩০ শতাংশ, ২৩৪ শতাংশ, ২৯০ শতাংশের প্লট আছে। হলফনামায় দেখানো হয়েছে ঢাকার সাভারে ৩ দশমিক ২৮ শতাংশ জমির মালিক তিনি। এছাড়া অকৃষি জমির মধ্যে মাদারীপুরের শিবচর হাউজিংয়ে ৫ কাঠার প্লট, দত্তপাড়ায় ০.৩৮ একর, ঢাকার পূর্বাচল রাজউকের ৭.৫ কাঠা এবং আদাবরে ০.০১২১৫ একর জমির উল্লেখ আছে।

ঢাকার বনানীতে ৩৭১৬.১১ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দোতলা দালান, একতলা অফিস, বনানীতে ঢাকা প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ফ্ল্যাট, গুলশানে ৪ হাজার ৮৯১ বর্গফুট ও গুলশানের ৭৯ রোডের ১৬নং হাউজে আরও একটি ফ্ল্যাট আছে নিক্সন চৌধুরীর। তার ঢাকা মেট্রো ঘ-২১-২৬০০ জিপ গাড়ির দাম দেখিয়েছেন ৯১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। পেশার বিবরণীতে বলা হয়েছে, স্বাধীন বাংলা সার্ভিসিং অ্যান্ড ফিলিং স্টেশনের অংশীদার, নীপা পরিবহনের পরিচালক, রীতা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের পরিচালক এবং এন ডেইরি ফার্মের মালিকানা রয়েছে তার। হলফনামায় বলা হয়েছে তার নগদ আছে ৩৮ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ৭ লাখ ৪৫ হাজার ২৫৯ টাকা। স্বর্ণালংকার রয়েছে নিজ ও স্ত্রীসহ নির্ভরশীলদের নামে ৮৫ তোলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

অনলােইন ডেস্ক :
বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র না করার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।

ওই পোস্টে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে হাসনাত লিখেছেন, #StopPoliticalConspiracy, #WeAreAlreadySaheed ‘উই আর অলরেডি শহীদ’।

এই বার্তার মাধ্যমে তিনি আন্দোলনকারীদের সবাইকে শহীদ বলেও উল্লেখ করেন।

এর আগে তিনি অপর এক পোস্টে ১৮ জুলাই কোনো এক রাজনৈতিক দলের নেতার কথোপকথনও তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, ‌‘১৮ই জুলাইয়ের একটি কথোপকথন: ‘ভাই, আপনারা আপনাদের ছেলেদের রাস্তায় নামান।’ জবাব হিসেবে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা আপাতত সরকার পতন নিয়ে কিছু ভাবছি না।’

এদিকে অপর এক পোস্টে আন্দোলনকারীদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে দিল্লিকে কিবলা বানিয়ে কোনো একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেন হাসনাত।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ছেলেদের রক্তের ওপর পা রেখে দিল্লিকে কিবলা বানিয়ে ক্ষমতার মসনদে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা জনগণের মুক্তির নিয়তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। আওয়ামী পুনর্বাসনের জন্য যারা উদ্যোগ নেবে, তাদেরকে ইতিহাস গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করবে। জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে যারা ধারণ করে, যারা গণমানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে চায়, তারা ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করার দাবি ছাড়া আওয়ামী লীগ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আর কোনো দ্বিতীয় বক্তব্য দিতে পারে না

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : খুলনা থেকে প্রকাশিত দক্ষিণ বঙ্গের জনপ্রিয় ‘দৈনিক খুলনা প্রতিদিন’ পত্রিকার সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জাহিদ হোসাইন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে তিনি জেলা প্রতিনিধির কার্ডসহ নিয়োগ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র হাতে পান।

জাহিদ হোসাইন জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল ‘সাতক্ষীরা ভিশন’র সম্পাদক। ২০১৩ সাল থেকে তিনি দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকায় কর্মরত আছেন। এছাড়া, ২০১৮ সাল থেকে জাতীয় অনলাইন পোর্টাল ‘সময়ের কন্ঠস্বর’, ২০১৯ সাল থেকে ‘দৈনিক ডেল্টা টাইমস’ পত্রিকার সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
আশাশুনিতে উপজেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনু্ষ্ঠিত হয়।

জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ সভার আয়োজন করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়ের সভাপতিত্বে ও সদস্য মৌমাছি পরিচালক সুশান্ত মল্লিকের সঞ্চালনায় সভায় আলোচনা রাখেন, সদস্য সচিব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ উম্মে ফারহানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন, থানার সাব ইন্সপেক্টর শ্যামা প্রসাদ রায়,

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃ্ষিবিদ এনামুল ইসলাম, সমাজ সেবা অফিসার রফিকুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান, স্যানেটারী ইন্সপেক্টর জি এম গোলাম মোস্তফা, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহজাহান আলী, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবু দাউদ ঢালী, প্রেস ক্লাব সভাপতি জি এম আল ফারুক, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জি এম মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
আশাশুনিতে সেনা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলিসহ ৩ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করছে।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার প্রতাপনগর এলাকা থেকে সেনা বাহিনী আব্দুল খালেক, উজ্জ্বল হোসেন ও আনারুল ইসলামকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ২টি ছুরি, ১টি কুড়াল, ৩টি চাপাতি, ৪টি রাম দা এবং ৪টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, প্রতাপনগর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের রজব আলী গাজীর ছেলে আব্দুল খালেক, প্রতাপনগর গ্রামের বাবর আলী গাজীর ছেলে উজ্জ্বল হোসেন ও কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের মৃতঃ ওয়াজেদ আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম।

সেনা ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানা হয় যে, সেনা বাহিনীর আশাশুনি আর্মি ক্যাম্প গত ১৫ নভেম্বর জানতে পারে যে, প্রতাপনগর এলাকায় ৩ জন চাঁদাবাজের কাছে অবৈধ অস্ত্র রয়ে়ছে। ওই দিন দুপুরে আশাশুনির আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন নাহিদ কর্তৃক স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং তাদের অনুসারীদের নিয়ে ক্যাম্পে নিরাপত্তা সম্পর্কিত কনফারেন্স করেন। এসময় সবার সাথে কথা বলা শেষে সন্দেহভাজন উল্লেখিত ৩ জনকে ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অবৈধ অস্ত্রের কথা অস্বীকার করলে তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর আর্মি ক্যাম্পে প্রেরণ করা হলে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে তারা অবৈধ অস্ত্রের কথা স্বীকার করে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ১৭ নভেম্বর ভোর রাত দেড়টার দিকে লেঃ কর্নেল আরিফুল হক, ৩৭ বীর এর নেতৃত্বে একটি টহল দল প্রতাপনগরের উদ্যেশ্যে বের হয়। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতারকৃতদেরকে রবিবার বিকাল ৪টার দিকে আশাশুনি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
সূত্র আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি আব্দুল খালেক গাজীর নামে আশাশুনি থানায় ১২ টি, উজ্জ্বল গাজীর নামে ৭ টি ও আনারুলের নামে ৮ টি মামলা রয়েছে।
আশাশুনি থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে পদযাত্রাটি সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিউমার্কেট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজেনাস নলেজ (বারসিক) এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম আয়োজিত এই পদযাত্রা শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো অতীতে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। বৈশি^ক উষ্ণতা প্রতিরোধে তাদের কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে লাখ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হচ্ছে। জনজীবনে সংকট প্রকট হচ্ছে। জীবন-প্রকৃতি, মাটি, পানি, স্বাস্থ্য, কৃষি ও সুন্দরবনে বৈরী অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বের ধনী দেশগুলোকে অবশ্যই এর দায় নিতে হবে।

এসময় বিশ্ব নেতাদের প্রতি অবিলম্বে জলবায়ু তহবিল গঠনের দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক নেতা অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাস, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, উদীচীর সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, নাগরিক নেতা আলী নুর খান বাবুল, ভূমিহীন নেতা আব্দুস সামাদ, শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সদস্য শাহনাজ পারভীন ও জয় সরদার, বারসিক কর্মকর্তা গাজী মাহিদা মিজান প্রমুখ। #

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিনিধি “
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের চিহ্নিত প্রভাবশালী ভূমিদস্যু জাকির ও মান্নান মেম্বরের নেতৃত্বে সরকারি খাস জমিতে বসবাসকারী ৭টি অসহায় ভুমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে বাড়ি ঘর ভাংচুর, লুটপাট এবং মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন কালিগঞ্জ উপজেলার ঘুষুড়ি গ্রামের শহর আলী গাজীর মেয়ে রোজিনা খাতুন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা অত্যান্ত অসহায় এবং ভূমিহীন পরিবার। কোন জমি জমা না থাকায় হাওড়ার নদীর তীরে ঝুপড়ি ঘর বেধে পিতা আমাদের নিয়ে বসবাস করতেন। তৎকালিন জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এসিল্যান্ডসহ স্থানীয় ভূমিকর্মকর্তা ও গণম্যান্য ব্যক্তিবর্গ পাশ^বর্তী ঘুষুড়ি ব্রীজের পাশে নদীর জেগে ওঠা চরে আমাদের বসবাসের জন্য একখন্ড জমি প্রদান করেন।

সরকারের দেওয়া ওই জমিতে আমরা দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। দুটি ছেলে সন্তান জন্মের পর স্বামী আমাকে তালাক দিয়ে চলে যায়। সেই থেকে একটি ছোট্ট চায়ের দোকান দিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে অতিকষ্টে বেঁচে আছি। পরিশ্রম করে সন্তানদের মানুষ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু পাশ^বর্তী পরম্পদলোভী ঈমান আলীর ছেলে জাকির হোসেন গং উক্ত সরকারি খাস জমি থেকে আমাদের উচ্ছেদ করে নিজেরা জবর দখলের চক্রান্ত চালাতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সুযোগ বুঝে চাম্পাফুল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বর মান্নানের নির্দেশে ও জাকিরের নেতৃত্বে জহুর ঢালীর ছেলে রফিক, ছাকা গাজী, মোফাই, মোস্ত,আনিছুরসহ অন্যান্যরা আমাদের উক্ত জমি জোর পূর্বক দখলের হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে।

রোজিনা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ইটভাটায় কাজে জন্য পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সুযোগে গত ১৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মান্নান মেম্বরের নির্দেশে এবং জাকিরের নেতৃত্বে রফিক, ছাকা গাজী, মোফাই, মোস্ত ও আনিছুরসহ ২০/২৫ জন আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় বাধা দিতে গেলে তারা লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে। আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসা আমার মা জরিনা খাতুন, বোন ফতেমা খাতুন, ছেলে বাবু, রায়ছুল, ভাবী শরিফাসহ পরিবারের মহিলাদেরকেও মারপিট করে গুরুতর আহত করে তারা। এসময় তারা বাড়ির সব বড় বড় গাছ কেটে নিয়ে যায়। এছাড়া বাড়িতে থাকা নগদ টাকা,স্বর্ণালংকর, মোবাইলসহ মূল্যবান মালামাল লুটপাট করে এবং আমাদের বাড়ি ঘর ভেঙে সেখানে ঘেরাবেড়া দেওয়ার চেষ্টা চালায়।

তিনি আরো বলেন, জাকির হোসেন গংদের মারপিটে আমরা ৫/৬ জন মারাত্মক আহত হলেও চিকিৎসা নিতে আমাদের হাসপাতালেও যেতে দেয়নি তারা। এঘটনায় থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ নেয়নি। থানায় মামলা না নেওয়ায় আসামীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জাকির ও মান্নান গং প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলছেন দেশে এখন কোন আইন নেই, বিধায় হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দিলেও আমাদের কিছু হবে না। তাদের ভয়ে আমরা এখনো বাড়ি ছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
তিনি ওই সন্ত্রাসী ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং দ্রুত যাতে বাড়িতে ফিরতে পারে যে ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest