সর্বশেষ সংবাদ-
শীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্নসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৯০ দশক ছাত্রদলের দোয়াশ্যামনগরে ঘের ব্যবসায়ীকে কুপি×য়ে হত্যা : আ×টক ৯সাতক্ষীরায় প্লাস্টিক “অদল-বদল” ক্যাম্পেইনহাদির মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় গায়েবানা জানাজাসাতক্ষীরার সাবেক পিপি লতিফের ৪ দিন : ছেলে রাসেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরসাতক্ষীরায় মুন্ডা সম্প্রদায়ের নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প সমাপনী

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় স্মার্ট বিদ্যালয় ডি.বি ইউনাইটেড হাইস্কুলে “নতুন প্রজন্ম “কেমন বাংলাদেশ চাই- শীর্ষক” আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০২ অক্টোবর) সকালে স্মার্ট বিদ্যালয় ডি.বি ইউনাইটেড হাইস্কুলের মোহাম্মদ হোসেন মিলনায়তনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এবং অগ্রগতি সংস্থার বাস্তবায়নে স্মার্ট বিদ্যালয় ডি.বি ইউনাইটেড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ‘মা’ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মমিনুর রহমান মুকুল’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালকের কার্যালয়ের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা, সদর হাসপাতালের প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল হাই সিদ্দিকী, ডি.বি ইউনাইটেড হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসায়ী সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী শেখ আব্দুল আহাদ, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সাকিব হোসেন বাবলা, জেলা শিশু একাডেমির লাইব্রেরীয়ান শেখ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, “আমরা বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ চায়। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে দেশের সকল সেক্টরে বৈষম্যমুক্তকরণ করার আহবান জানান।”

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডি.বি ইউনাইটেড হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক কঙ্কন কুমার দাস, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, সুকুমার সরকার, আবুল হাসান, ফয়জুল হক বাবু, আকলিমা খাতুন, মহসীন উদ্দীন, রেহেনা পারভীন, রমেশ সরদার, জয়দেব বাছাড়, ভবতোষ সরকার, মিলন কবিরাজ, অনিমেষ সরকার, লুৎফুন্নেছা ডালিয়া, রামতনু মল্লিক ও আল-মামুন প্রমুখ। এসময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় ডি.বি ইউনাইটেড হাইস্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্মার্ট বিদ্যালয় ডি.বি ইউনাইটেড হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষক মো. মুকুল হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান উপজেলার বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন ও পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন। ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জানা গেছে, আর কয়েকদিন পরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা।

এবছর উপজেলার ২১টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এই পূজা অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ পরিবেশে করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। বুধবার ২ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান বিভিন্ন মন্ডপ পরিদর্শনে যান।

এসময় তিনি সকল মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দকে সজাগ দৃষ্টি রাখা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল নির্দেশনা বাস্তবায়নের আহবান জানান। ইউএনও এসময় বলেন, আমরা ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করার আহবান জানান। তিনি বলেন আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। পরে ইউএনও সখিপুর বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এসময় মেয়াদোত্তীর্ণ পন্য বিক্রয়ের অভিযোগে এক দোকানীকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার দেবহাটার খলিশাখালিতে ১৩’শ ২০ বিঘা (৪৩৯.২০ একর) জমির মৎস্যঘের স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা বারবার জবরদখল ও লুটপাটের প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে সাংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার উপজেলার পারুলিয়া এলাকায় বেসরকারি সংস্থা আইডিয়ালের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, জমি মালিকরা।

সংবাদ সম্মেলনে জমি মালিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ডা. নজরুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পারুলিয়া মৌজার ৪৩৯.২০ একর সম্পত্তি সিএস ১৮১২ নং খতিয়ানে ১১১৭৫ দাগসহ ২৭ টি দাগের উল্লেখিত জমির সিএস খতিয়ানের মালিক চন্ডিচরণ ঘোষ, সেখান থেকে ১৯৩৭ সালের ৫ এপ্রিল ও ১৭ এপ্রিল ৭৪৯,৭৯৩ ও ৭৯৪ নং দলিলের মাধ্যমে এবং কোর্টের রায় অনুযায়ী নিলাম খরিদের মাধ্যমে পরবর্তীতে মালিক হলেন তেজেন্দ্র নাথ চৌধুরীগং। পরবর্তীতে কলিকাতা সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের বিগত ১৯৫৩ সালের ৪ মার্চ তারিখে ৬৯৪ নং বিনিময় দলিল মূলে মালিক হলেন কাজী আব্দুল মালেকগং। উক্ত সম্পত্তি ২৯৬২ থেকে ২৯৮০ পর্যন্ত মোট ১৯ টি খতিয়ানে কাজী আব্দুল মালেকগংসহ প্রজাদের নামে এসএ রেকর্ড প্রকাশিত হয়। এসএ রেকর্ড পরবর্তী কাজী আব্দুল মালেকের ওয়ারেশগণ থেকে ক্রমিক হস্থান্তর সূত্রে বর্তমান মালিকগন দলিল মূলে ক্রয় করত: মিউটিশন করেন এবং খারিজ খতিয়ানের দ্বারা মালিক হন এবং নিয়মিত সরকারের করাদি পরিশোধ করে ভোগ দখলে আছেন। পরবর্তীতে সেটেলমেন্ট জরিপে মাঠপর্চা এবং প্রিন্টপর্চার মাধ্যমে গেজেট প্রকাশিত হয় এবং সে অনুযায়ী সরকারের হালনাগাদ অর্থাৎ ১৪৩০/১৪৩১ সাল পর্যন্ত করাদি পরিশোধসহ ভোগদখলে আছেন। বর্তমানে উক্ত জমির মালিক প্রায় ২০০ জন। উক্ত সম্পতি কোন সময় শত্রæ সম্পতি বা ভেস্টেট সম্পত্তি হিসাবে গন্য হয়নি। তালিকায় উক্ত সম্পতি “ক” বা “খ” তপশীলভ‚ক্ত হয়নি।

এসএ রেকর্ড পরবর্তী মোট সম্পত্তির মধ্যে ৮-১০ একর সম্পত্তি এসএ রেকর্ড মালিকগণ সিলিং বর্হিভ‚ত সম্পত্তি হিসেবে সরকারের নিকট সারেন্ডার করেন। যা পিও ৯৮ এর আওতায় সরকার খাস সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পর দারিদ্র পরিবারের মধ্যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রদান করেন। বিএস রেকর্ডে তাদের নাম গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া উক্ত জমির মধ্যে মাত্র ১২.৫৫ একর জমির মালিকদের পানি নিস্কাশনের জন্য খাল হিসেবে রেকর্ডভ‚ক্ত হয়েছে, তবে তা কালের প্রবাহে বিলীন হয়ে জমিতে পরিনত হয়েছে। কিছু অর্থসম্পদ লোভী ভ‚মি দস্যু, কথিত ১/২জন সংবাদকর্মী ও আইনজীবি লোভের বর্শবর্তী হয়ে তাদের উস্কানীতে গত ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাতের আধারে মকরম শেখ, আকরাম হোসেন, আরিফুল ইসলাম পাড়, সাইফুল ইসলাম গাজী, কামরুল ইসলাম, রিপন হোসেন, গোপাল ঢালী, শরিফুল ইসলাম, বাবলু গাজী, পুটু, রবিউল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম কালু, আব্দুল গফুর, এসএম মহিউদ্দিনসহ আরও ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী আমাদের মৎস্য চাষকৃত জমি জবরদখল নেয় এবং কোটি টাকার উর্দ্ধে জমির মালিক এবং লীজ গ্রহিতারদের ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং নিঃস্ব করে দেয়। বর্তমান আবারো ওই জমি দখলে নিতে এবং চাষকৃত মাছ লুট করার হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে উক্ত সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় জমির মালিক এবং লীজ গ্রহিতাগনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র‌্যাব এবং সেনাবাহিনীর কাছে উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। তিনি এসময় খলিশাখালি এলাকার শান্তি শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে উক্ত সন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, জমির মালিক কাজী গোলাম ওয়ারেশ, আনসার আলী, আব্দুল মাজেদ, আব্দুল মজিদ, রুহুল আমিন, এবাদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, রেজাউল ইসলাম, আব্দুল গফুর, আনারুল ইসলাম, কামরুজ্জামান, আব্দুল গফ্ফারসহ লিজ গ্রহিতারা।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আবু ছালেক: মঙ্গলবার বিকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের আবাসন ও আশ্রয়ন প্রকল্পের ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করলেন ইউ এন ও শোয়াইব আহমাদ।

জানা গেছে বিগত কয়েক সপ্তাহ পুর্বে প্রবল বর্ষন এবং মরিচ্চাপ নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়াই গাভা চর আবাসন প্রকল্পের ভেড়িবাধ ভেঙ্গে আবাসন প্রকল্পের সরকারি ঘর গুলোতে পানি উঠে এবং পরিবেশ দুষন হয়,ফলে বসতকৃত লোকজন সুপেয় পানির সংকটে পড়ে,এ ছাড়া নির্ধারিত কোন কবর স্হান না থাকায় সমস্যায় পড়ছে আবাসন প্রকল্পে আশ্রিতরা, এছাড়া ব্যাংদহা জোড়দিয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের অধিনে মরিচ্চাপ নদীর উপরে ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়াই জনদুর্ভোগ বেড়ে চলেছে,আশ্রয়ন প্রকল্পের কাচা রাস্তা ইটের সোলিং করন,২০ টি ব্যারাকে আশ্রিত ১০০ টি পরিবারের শিশুদের লেখাপড়ার জন্য স্কুল নির্মান, মুসল্লিদের জন্য মসজিদ নির্মান সহ মরিচ্চাপ নদীতে বিলিন হওয়া রাস্তা সংস্কার ও ভবন ভাঙ্গন কুল হইতে রক্ষা এবং নদী ভাঙ্গন বন্ধ করা সহ শুন্য ঘরে গরিব অসহায়দের বসবাসের ব্যাবস্হা করার জন্য,সুপেয় পানির ব্যাবস্হা,সরকারি ভাবে কবরস্হান, আশ্রিতদের গোসলের সুবিদার্থে পুকুরে ঘাটাল নির্মান সহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য গাভা আবাসন ও ব্যাংদহা জোড়দিয়ার আশ্রয়ন প্রকল্প ২ সরজমিনে পরিদর্শন করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ,

এসময় সঙ্গে ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: ইয়ারুল হক,ফিংড়ীর চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান,৬ নং ওয়ার্ড মেম্বর জাহিদুজ্জামান বাবু,৭ নং ওয়ার্ড মেম্বর সাংবাদিক মো: আবু ছালেক,ভুমিহিন নেতা জুলফিকার আলী,আ: আলিম ও শেখ ইমাদ আলী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন সাতক্ষীরার আয়োজনে ৩৪ তম আন্তর্জাতিক প্রবীন দিবস পালিত হয়েছে।

১ অক্টোবর সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা ষ্টেডিয়ামাস্থ এসোসিয়েশনের নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা: সুশান্ত কুমার।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক প্রকৌশলী আবেদুর রহমান। বক্তব্য রাখেন সহ সভাঃ অধ্যাক্ষ অবঃ আব্দুল হামিদ,অধ্যক্ষ অব ডঃ দিলারা বেগম যুগ্ন সম্পাদক কাজী আবু হেলাল,কবি শহীদুর রহমান, ডাঃ হাসান ইমাম, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান,প্রকৌঃ আব্দুর রশিদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা জিলল্লুর করিম,

বাবুলিয় সেবা সংসদের সভাপতি এস এম কাওছার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কবি সাহিত্যিক পল্টু বাসার।
বক্তাগন এই বছরের প্রতিপাদ্য “মর্যাদাপূর্ণ বার্ধক্য, বিশ্বব্যাপী প্রবীণ পরিচর্যা ও সহায়তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করন” বিষয়ের উপরে আলোকপাত করে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:

আশাশুনির কাটাকাটিতে পানিবন্দি পরিবারের মাঝে গত দুই দিনে ৬ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রবিবার ও সোমবার দুই দিনে উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের পূর্ব কাদাকাটি ও যদুয়ারডাঙ্গা গ্রামে পানিবন্দি পরিবারের মাঝে ৬ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়।

পানি বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য জহির উদ্দিন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর মেকানিক মনিরুল ইসলাম, তানভীর হোসেন,

খালেদ মেহেমুদ সুজন, স্বেচ্ছাসেবক খায়রুল ইসলাম ও ফারুক হোসেন প্রমুখ। এছাড়া জানা গেছে আগামীকাল মঙ্গলবার খেজুয়ার ডাঙ্গা গ্রামে ৩ হাজার লিটার পানি বিতরণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নে ৬৭ নং বিল বকচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে নিমজ্জিত থাকায় ক্লাশ পরিচালনা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। কোমলমতি শিশুরা হাটু পানি ঠেলে স্কুলে যেতে হিমশিম খাচ্ছে।
ইউনিয়নের বিল অঞ্চলে গড়ে ওঠা গ্রামের মধ্যে অবস্থিত বিদ্যালয়টি অবহেলিত ও বঞ্চিত জনপদের শিশুদের শিক্ষার আলোয় উদভাসিত করতে ভূমিকা রেখে আসছে।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে অতিবৃষ্টির কারনে এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। স্কুলে যাতয়াতের রাস্তাও হাটু পানিতে তলিয়ে গেছে। জরাজীর্ণ ভবনে কর্তৃপক্ষ ক্লাশ পরিচালনা করে আসছে। দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ ভবনে অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মানের দাবীর প্রেক্ষিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন ভবন নির্মানের প্রস্তাব গেলেও এখনো ভবন বরাদ্দের কোন ব্যবস্থা হয়নি। জরাজীর্ণ ভবনের ৩টি কক্ষে কোন রকমে ২ শিফটে ক্লাশ চালান হচ্ছিল। কিন্তু প্রায় ২ মাস পূর্ব থেকে বৃষ্টির পানি বাধ সেধেছে। ক্লাশ রুমের মেঝেত এক বিঘত করে পানিতে তলিয়ে থাকায় সেখানে ক্লাশ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তারপরও প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) তৃপ্তি রানীর উদ্যোগে সহকারী শিক্ষক সাদ্দাম হোসেন, জগদীশ মন্ডল ও সৌরভ সরদার পানিতে ভিজে ক্লাশ নিয়ে যাচ্ছেন। পথেঘাটেসহ ক্লাশ কক্ষের মধ্যে পর্যন্ত ব্যাঙ, সাপ, পোকা মাকড়ের আনাগোনা শিশুদের মনে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এছাড়া পানি ঠেলে ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছেনা বা চাচ্ছেনা। ফলে ঠিকঠাক ক্লাশ পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক দীপঙ্কর বাছাড় দীপু জানান, পয়ঃ নিস্কাশন ব্যবস্থার সমস্যার কারনে অতি বৃষ্টির পানি নিস্কাশন না হওয়ায় এলাকাসহ স্কুলটি পানিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা যেমন স্কুলে যেতে পারছেনা, ক্লাস রুমে বসার পরিবেশ না থাকায় ঠিকঠাক ক্লাশ নেওয়ায় সম্ভব হচ্ছেনা।
৭৯ জন শিক্ষার্থী নিয়ে চলমান স্কুলটি এখন থমকে দাড়িয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার বর্মন জানান, বিল বকচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মত আরও দুটি বিদ্যালয় জলমগ্ন আছে। এসব বিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পানি নিস্কাশনের জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অবহিত করেছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সম্প্রতি ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে সাতক্ষীরা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী রুপ নিয়েছে। হাজার হাজার হেক্টর মৎস্য ঘের একাকার হয়ে গেছে। এতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন মৎস্য চাষীরা।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানিয়ে এ সংকটের স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন জেলাটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দর্শন বিভাগের মো. মিকাইল ইসলাম, কারুশিল্প বিভাগের তন্ময় মন্ডল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শেখ শাকিল হোসেন এবং চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগের সাকিব হোসেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, ‘১৪ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার দিনে সাতক্ষীরায় ২৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে সাতক্ষীরা সদর এবং তালা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ধরণের সংকট নতুন নয়। বছরের পর বছর এমনটি হচ্ছে। এসব দুর্যোগে বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি কোটি কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন জেলাটির বাসিন্দারা।’

তাদের অভিযোগ, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এ সংকট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও অনিয়মের খেসারত দিতে হচ্ছে সাতক্ষীরাবাসীকে। কোটি কোটি টাকার নদী খনন প্রকল্প হলেও এসব প্রকল্পে অনিয়মের কারণে খননের প্রকৃত উদ্দেশ্য হাসিল হচ্ছে না।’

‘অবাস্তব’ নকশায় নদী-খাল খনন করা হয় উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘নদী খনন করে খাল এবং খাল খনন করে নালা বানানো হয়। অর্থ্যাৎ, নদী-খালের প্রশস্ততা কমিয়ে ফেলা হয়। তলদেশ খনন না করে পাড় উঁচু করে গভীরতা দেখানো হয়। এর ফলে স্থলভাগের নিরিখে নদীর তলদেশ নিচু হয় না এবং স্থলভাগের পানি নদীতে যায় না। উপরন্তু নদীর পানি বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করে।’

খননকালে নদীতে বাঁধ দিয়ে জোয়ার-ভাটার প্রবাহ রুদ্ধ করা হয় উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ করা হয় না। উপরন্তু অস্বাভাবিক সময়ক্ষেপণ করা হয়। বছরের পর বছর নদীর জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী রুপ নেয়। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে ও সরকারি খালগুলো দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে শত শত মৎস্য ঘের। অবৈধভাবে খালে দেয়া হয়েছে নেট-পাটা, যা পানি প্রবাহ বিঘ্ন করছে। ফলে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত না হয়ে বিভিন্ন এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে থাকছে মাসের পর মাস।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের প্রভাষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ইদ্রিস আলী এবং সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ফয়সাল আলম।

ইদ্রিস আলী বলেন, ‘সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান আশু জরুরী৷ উপকূলীয় এ জেলার জলাবদ্ধতার নিরসনসহ সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটনশিল্পের বিকাশ তরান্বিত করা প্রয়োজন। পানি উন্নয়ন বোর্ড, সাতক্ষীরা পৌরসভা নিজ নিজ জায়গা থেকে আরও তৎপর হলে সমস্যা সমাধান সম্ভব। পাশাপাশি নগরিক ও সামাজিক সমাজের সচেতন বৃদ্ধির জন্য কাজ করা প্রয়োজন।’

এ সময় দ্রুত এ সংকটের স্থায়ী সমাধানে সরকারের কাছে সাত দফা দাবি পেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলো হলো– ১. বেতনা-মরিচ্চাপ নদীসহ অনান্য নদী ও খালের প্রবাহ স্বাভাবিক না করলে এবং জোয়ার-ভাটার পথ উন্মুক্ত না করলে তা কখনোই জলাবদ্ধতার সংকট দূরীকরণে কাজে আসবে না। সুতরাং, নদী-খাল খননে যথাযথ প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে৷ প্রকল্পসমূহ কার্যকরী পদ্ধতিতে এবং সময়মতো শেষ করতে হবে। চলমান প্রকল্পসমূহে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে হবে। ২. খাল বা জলমহালের ইজারা পুনরায় বাতিল করতে হবে। অবৈধ ভোগ-দখল ও নেট-পাটা উচ্ছেদ করতে হবে। নদী ও খালের প্রবাহ বিঘ্নিত হয় এমন উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া যাবে না। ৩. নদী-খাল খননের সঙ্গে সঙ্গে সংলগ্ন বেড়িবাঁধগুলো টেকসই করতে হবে। বেড়িবাঁধে বনায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। ৪. প্রাণসায়ের খালের দুই মুখ উন্মুক্ত করে স্বাভাবিক প্রবাহ ফেরানোর উদ্যোগ নিতে হবে। সাতক্ষীরা শহরকে পুরোপুরি ড্রেনেজ নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে হবে। ৫. পৌরসভা এলাকাসহ যত্রতত্র মৎস্য ঘের নিষিদ্ধে ‘জোনিং’ করতে হবে। অন্যান্য জায়গায় আউট ড্রেন রেখে মৎস্য ঘের করতে হবে, যাতে পানি নিষ্কাশনের পথ থাকে। ৬. সাতক্ষীরা প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগেই পানি নিষ্কাশনের পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হবে। অকেজো স্লুইস গেটগুলো সংস্কার করতে হবে। ৭. লস অ্যান্ড ড্যামেজ নিরূপণের মাধ্যমে জলবায়ু ফান্ডের অর্থ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে পুনর্বাসনের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা জেলার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest