সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় রেড ক্রিসেন্টের দরিদ্র পরিবারের মাঝে রমজান ফুড প্যাকেজ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগদেবহাটার মামুন জাতীয় নির্বাহী কাউন্সিলের সদস্য মনোনীতইটাগাছায় রোজাদারদের সম্মানে ঠিকাদার আশরাফ আলীর ইফতারশ্যামনগরসহ পৃথক তিন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ মণেরও বেশি হরিণের মাংস জব্দ-আটক ১খলিশাখালীতে খাসজমির সংক্রান্তে হাইকোর্টে মামলার রিটের রায় বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধনআছিয়া হত্যার বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের মহিলা বিভাগের মানববন্ধনধুলিহর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোদাচ্ছেরুল হক হুদার স্মরণে ইফতারআশাশুনিতে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করনে সুধীজনের সাথে অবহিত করন সভাসাতক্ষীরায় মাদ্রাসা ও এতিমখানায় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ইফতারতাঁতীদল শিবপুর ইউনিয়ন শাখার আহবায়ক কমিটি অনুমোদন

কালিগঞ্জে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : কখনও শিক্ষক, কখনও কৃষক, কখনও জেলে, কখনও সংঙ্গীত শিল্পী আবার কখনও যোগ্য অভিভাবকের ভূমিকায় নিজেকে শানিত করে চলেছেন (বি.সি.এস প্রশাসন) ক্যাডার একজন কর্মকর্তা। নানা গুনের অধিকারী একজন সরকারি কর্মকর্তা নিজেকে তুলে ধরছেন উপজেলার সর্বস্থরের মানুষের মাঝে নিজের কর্ম দক্ষতা দিয়ে। ইতি মধ্যে তিনি সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশংসিত হয়েছেন। এতোক্ষণ বলছিলাম কালিগঞ্জ উপজেলার চৌকোস সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) মোঃ আজাহার আলীর কথা। (১৯ নভেম্বর) রোববার বেলা ১১টায় দিকে হঠাৎ তিনি উপস্তিত হন উপজেলার কাটুনিয়া রাজবাড়ি ডিগ্রী কলেজে।

এসময় তিনি ক্লাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠদান শুরু করেন। এক পর্যায়ে ভূমি কি? ভূমি জরিপ, দলিল, রেকর্ডসহ জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ের উপর ক্লাস নেওয়ার পর বাল্য বিয়ের কুফল, মাদক ও আদর্শ নাগরিক হিসাবে গড়ে উঠার সার্বিক বিষয়ে ক্লাস নেন। এছাড়াও অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান, নামজারি করার পদ্ধতি, খতিয়ান/পর্চা সংগ্রহ ইত্যাদি বিষয়ে হাতে কলমে শিখিয়ে দেন। প্রায় ১ ঘন্টা ২০ মিনিটের এই সেশনে কলেজের ১ম ও ২য় বর্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী ছাড়াও কলের অধ্যক্ষ, অন্যান্য শিক্ষকম-লী উপস্থিত ছিলেন। সহকারী কমিশিনার (ভূমি) অংংরংঃধহঃ ঈড়সসরংংরড়হবৎ (খধহফ)। তিনি কালেক্টর বা ডিসি এর প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন আইনের অধীনে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের কাজ করে থাকেন। ভূমি সংক্রান্ত অধিকাংশ সমস্যা সমাধানের এখতিয়ার বা এসি (ল্যান্ড) এর রয়েছে। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এডিসি (রেভিন্যু) এবং সর্বোপরি ডিসি বা জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে অতি সুচারুভাবে কাজ করে থাকেন। এই উপলোয় যোগদানের পর থেকে ভুমি অফিসসহ বিভিন্ন সেক্টরে বিশেষ অবদান রেখে প্রসংশিত হয়েছেন। সম্প্রতি ভুমি সেবায় তিনি জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (ভূমি) হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২০ নভেম্বর কালিগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস

আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু॥
২০ নভেম্বর ঐতিহাসিক কালিগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের সম্মুখ যুদ্ধে কালিগঞ্জ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়। আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অদম্য সাহস ও মনোবলের কারণে পাকিস্তানী সেনারা পরাজয় স্বীকার করে কালিগঞ্জ ছেড়ে চলে যায়। দীর্ঘ আট মাস যুদ্ধ শেষে অবরুদ্ধ কালিগঞ্জ বাসি এই দিন মুক্তির আনন্দে মেতে উঠে। কালিগঞ্জ অঞ্চলের যুদ্ধে মুক্তি সেনারা যত না হতাহত না হয়, হানাদার বাহিনীর সৈনিকেরা তার চেয়ে অনেক বেশী হতাহত হয়। এটাই কালিগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের গৌরব। মুলত স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছিল বাঙ্গালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পরপরই। কালিগঞ্জ ছিল বরাবরই একটা শান্ত জনপদ। এখানকার মানুষও ছিল শান্তি প্রিয়। কিন্ত সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের জয় এবং বঙ্গবন্ধুকে সরকার গঠনের সুযোগ না দেওয়ায় কালিগঞ্জবাসি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তারা পাকিস্তানীদের এই অন্যায়ের প্রতিবাদে প্রতিদিন মিটিং মিছিল করতে থাকে। ৭ মার্চ থেকে সেই প্রতিবাদ আরো জোরালো ও জঙ্গী রুপ ধারণ করে। সারা কালিগঞ্জ মিছিলে মিছিলে, শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। বিশেষত ছাত্র-শিক্ষক ও তরুণেরা আওয়ামীলীগ ও সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের প্রেরণার উৎস হিসোবে শক্তি যোগাতে থাকে। ক্রমে সাধারণ মানুষও এই আনন্দোলনে যোগ দেয়। চলে লাঠি মিছিল, মশাল মিছিল, পতাকা মিছিল। দেখতে দেখতে কালিগঞ্জ যুদ্ধের উম্মাদনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রতিটি থানায় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। সংগ্রাম পরিষদের সদস্যদের দিন রাত শ্লোগনে, বক্তিৃতায় কালিগঞ্জকে যুদ্ধংদেহী করে তোলে। ৮ মার্চ কালিগঞ্জের ডাকবাংলা চত্বরে শত শত মানুষ সমবেত হয়ে সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে উন্মত্ত আক্রোশে পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে ফেলে। এরপর শুরু হয় জঙ্গী মিছিল। এসময় হাজার হাজার মানুষের পদভারে কালিগঞ্জের মাটিতে শুরু হয় ভূমিকম্প। ঐদিন নেতারা সিদ্ধান্ত নেয় পাক আর্মিরা কোন ভাবে যেন সাতক্ষীরা পার হয়ে কালিগঞ্জে ঢুকতে না পারে। ১০ ও ১১ এপ্রিলের দিকে রটে যায় পাকিস্তানী আর্মি কালিগঞ্জের দিকে আসছে। এখবর শুনে ক্রোধে ও উত্তেজনায় কাঁপতে থাকে সংগ্রাম পরিষদের সদস্যরা। দ্রুত এলাকার সমস্ত বন্দুকধারীদের সংঘবন্ধ করে কালিগঞ্জ বাজার থেকে থানা পর্যন্ত নদীর তীরে গেওয়া বাগানের ঝোঁপের মধ্যে পজিসন নেয় বন্দুকধারীরা। হঠাৎ রটে গেল সংগ্রাম পরিষদের একটা নামের লিস্ট আর্মিদের কাছে পৌছে গেছে। সেই মোতাবেক জন্মভূমি ত্যাগ করে ১৪ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে সংগ্রাম পরিষদের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের জন্য সীমান্তের ইছামতি ও কালিন্দী নদী পার হয়ে ভারতের হিঙ্গলগঞ্জ চলে যায়। এদিকে সকল বাধা বিপত্তি ও মায়া-মমতা কাটিয়ে মে মাসের মধ্যে শত শত দামাল ছেলেরা দেশমুক্তির শপথ নিয়ে মুক্তিযদ্ধে যোগ দেয়। অপর দিকে পাকিস্তানী আমির্রা ঘাঁটি গাড়ে কালিগঞ্জের ওয়াপদা ডাক-বাংলা ভবন, বসন্তপুর চন্দ্রদের পরিত্যাক্ত বাড়ি, হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা, দমদম ফেরি ঘাটের বরফকল এবং খানজিয়া ই.পি.আর ক্যাম্পে। পাক বাহিনী দ্রুত তাদের পরিধি আরো সম্প্রসারিত করে সাদপুর ব্রীজ, ভাড়াশিমলার কাশেম আলীর বাড়ি, গফ্ফার চেয়ারম্যানের বাড়ি, নাজিমগঞ্জ করিম গাইনের বাড়ি, শুইলপুর আক্কাজ গাজীর বাড়ি, খানজিয়া, বসন্তপুর, উকসা ও পিরোজপুরসহ গোটা সীমান্ত এলাকা ঘিরে ফেলে। এবং নিরিহ নিরস্ত্র গ্রামবাসীদের উপর নানা রকমের অত্যাচার শুরু করে।
এসময় তারা সারা দেশের ন্যায় কালিগঞ্জেও গঠণ করে পিস কমিটি ও রাজাকার বাহিনী। এদিকে মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিশোধ স্পৃহায় দ্রুত আর্মস ট্রেনিং নেওয়ার জন্য ভারতের হিঙ্গলগঞ্জসহ বিভিন্ন ট্রেনিং ক্যাম্পে চলে যায়। মে মাসের মধ্যে ট্রেনিং শেষে সীমান্ত পেরিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ৯নং সেক্টরের অধিনায়ক মেজর জলিল ও তার সহযোগী ক্যাপ্টেন নূরুল হুদা, লে. মাহফুজ আনাম বেগ, লে. আরেফিন, লে. শচীন কর্মকার ও মেজর লিয়াকতের নেতৃত্বে জুন থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন সময় নিজ মাতৃভূমির উপর কৌশলে হায়না বাহিনীর সদস্যদের উপর একাধিক বার চোরা গুপ্তা আক্রমণ চালায়। এসময় পাকিস্তানী সেনারা কালিগঞ্জ দখলে রাখতে বিভিন্ন ক্যাম্পে ভারী অস্ত্রশস্ত্র মেশিনগ্যান, কামান, মর্টার ইত্যাদি মজুদ করতে থাকে। এবং মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজ খবর পেতে তারা গোয়েন্দাও নিয়োগ করে। তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্র-শস্ত্রের বিরুদ্ধে অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধারা সাধারণ মানের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মনের সাহস নিয়ে অসম যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধরা প্রথমে বসন্তপুর বিওপি, খানজিয়া ক্যাম্প ও থানা সদরের বিওপি ক্যাম্পের উপর আক্রমণ শুর করে। পরে বাগবাটি, পিরোজপুর, ভাড়াশিমলা, রতনপুর, নজিমগঞ্জ, উকসা দুদলীসহ বিভিন্ন পাক সৈন্যদের ঘাঁটিতে বারবার সশস্ত্র আক্রমণ করে পাক বাহিনীকে পর্যুদস্ত করে ফেলে। মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে অক্টোবর ও নভেম্বরে গোটা কালিগঞ্জ একটা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ আর রাইফেল, মেশিনগান, গ্রেনেড, রকেট লাঞ্চারের শব্দে ও আগুনে কালিগঞ্জের আকাশ, বাতাস, মাটি, প্রকম্পিত হতে থাকে। উকসা, পিরোজপুর, খানজিয়া ও বসন্তপুর পাকিস্তানী ক্যাম্পে মুক্তিযুদ্ধোদের সাথে অন্যতম সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে কালিগঞ্জের আপামর সাধারণ মানুষ পাকিস্তানী নরপশুদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। সে সময় সকল স্তরের জনতা সাহায্যের হাত বাড়ালে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধটা আরো সহজ হয়ে যায়। ১৯ নভেম্বর মাহফুজ আলম লে. বেগ এর নেতৃত্বে শ্যামনগর শত্রুমুক্ত হওয়ার পরপরই তারা কালিগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধদের সাথে মিলিত হয়ে ২০ নভেম্বর কালিগঞ্জ পাক সেনাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এই যুদ্ধে পাক সেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের মোকাবেলা করতে না পেরে ঐদিন ভোরে কালিগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে দেবহাটা অভিমুখে চলে যায়। এ খবরে উল্লোসিত হয়ে ডাকবাংলা চত্বরে মুক্তিযোদ্ধারা সমবেত হয়। ফুটতে থাকে শত শত গুলি। জয় বাংলার শ্লোগানে কম্পিত হয় কালিগঞ্জ। ৯ নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কামন্ডার ক্যাপ্টেন নূরুল হুদা মুক্তিযোদ্ধা ও জনতার সমন্বয়ে দুপুরে প্রথমে ওয়াপদার ডাকবাংলো এবং পরে অনুষ্ঠানিক ভাবে ডাকবাংলা চত্ত্বরে লাল সবুজের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে কালিগঞ্জে স্বাধীনতার শুভ সুচনা হয়। ২০ নভেম্বর ছিল ঈদুল ফিতরের দিন। স্বাধীনতার আনন্দ ঈদের আনন্দে পরিনত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পলাশপোল সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কমিটি গঠন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: পলাশপোল সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কমিটি গঠন উলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় পলাশপোল সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷

সভায় সংস্থার সভাপতি আজহারুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মেহেদী আলী সুজয়ের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন হাসানুজ্জামান হাসান,

শফিকুল ইসলাম ময়না, জু্ম্মান আলী সরদার, আলতাফ হোসেন, ফারুকুজ্জামান, মাসুদ আলী, জাহিদুল ইসলাম, চঞ্চল, নাইম খান চৌধুরী, কুরবান আলী সরদার, শুকুর আলী, আমজাদ হোসেন প্রমুখ৷ সভায় আগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়৷ সকল সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে কমিটিতে হাসানুজ্জামান হাসান কে সভাপতি ও সাংবাদিক মেহেদী আলী সুজয় কে সাধারন সম্পাদক করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট নবগঠিত কমিটি ঘোষণা করা হয়৷

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিএনপি জামায়াতের অবৈধ হরতালের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অগ্নিসংযোগ ও অবৈধ হরতালের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে রোববার দুপুরে পাওয়ার হাউজ গেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়।

আর আগে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: শামসুজ্জামান জুয়েল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল কবির খোকন।

পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশির সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পৌর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা খোকন, বন ও পরিবেশ সম্পাদক আমজাদ হোসেন লাভলু, পৌর আওয়ামীলীগের ৯নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি সমির বসু, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নারায়ণ চন্দ্রমন্ডল, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাফিনুর আলী,

৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আব্দুস সেলিম, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নিলিপ মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক মোগরেব আলী, পৌর কৃষকলীগের সভাপতি রাশিদ হাসান চৌধুরী বাবু,

পৌর যুবলীগের আহবায়ক ইউসুফ সুলতান মিলন, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা মাজেদ খান, আজিজুল ইসলাম, সবুর খান, মিজানুর রহমান, ফজলুর রহমান, আব্দুল হাকিম, রেজাউল কাগজি, শ্রমিকলীগের আহবায়ক আব্দুল্লাহ সরদার, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন খোকনসহ নেতৃবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফিংড়ীতে নজরুল ইসলামের ৭১ তম জন্ম দিন পালন

নিজস্ব প্রতিনিধি : ব্যাপক জাকজমকপুর্ন ভাবে শুক্রবার বিকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে, এনআই ইসলামীয়া লাইব্রেরি ও এন আই যুব ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় ও ফিংড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের আয়োজনে, আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলামের ৭১ তম জন্ম দিনে কেক কেটে জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এন আই ইসলামীয়া লাইব্রেরী ফিংড়ী বাজার শাখার সভাপতি সেলিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্হিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন অর রশিদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক উসমান গনি, সদস্য এসএম শওকত হোসেন,শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি,সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো:রাশিদুজ্জামান রাশি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও এন আই ইসলামীয়া লাইব্রেরী এবং এন আই যুব ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ মনিরুল হোসেন মাসুম,জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মোঃ: মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আশিকুর রহমান,ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো:লুৎফর রহমান, ফিংড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মো:সামছুর রহমান, ব্যাংদহা এন আই নজরুল ইসলাম যুব ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ মোনায়েম হোসেন, সদর উপজেলা যুব লীগের সভাপতি, মোঃ জাহিদ হাসান,সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মোঃ: মঈনুর ইসলাম,যুগ্ম আহবায়ক মো: সোহাগ হোসেন,সহ ও সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ,

এ সময় উপস্হীত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলামের সহধর্মিনি মিসেস সালেহা ইসলাম শান্তি, এ ছাড়া উপস্হিত ছিলেন মেম্বর সাংবাদিক মো: আবু ছালেক,মাহফুজ সরদার,খান আ: হামিদ,আরশাদ আলী,জাহিদুজ্জামান বাবু,দিপংকর কুমার ঘোষ,

অনুষ্ঠানে উপস্হিত সকলেই আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলামকে সংসদ সদস্য হিসাবে দেখতে চাই, এ জন্য আওয়ামীলীগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সু দৃষ্টি কামনা করেন সাতক্ষীরা সদরের সর্বস্তর জনগন।সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন শেখ আজমির হোসেন বাবু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবেলায় কালিগঞ্জে নারী উন্নয়ন সংগঠন “প্রেরণা’র প্রস্তুতি

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবেলায় বেসরকারি নারী উন্নয়ন সংগঠন “প্রেরণার পক্ষ থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রেরণা’র নির্বাহী পরিচালক শম্পা গোস্বামীর সার্বিক নির্দেশনায় সংস্থাটির সকল কর্মি ও স্বেচ্ছাসেবী এই দুর্যোগ পরিস্থিতির উপর সক্রিয় ও সজাগ দৃষ্টি রেখেছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট ঘুর্নিঝড় সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ সহ উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত আনতে পারে এই পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা পেয়ে প্রেরণা’র পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় এর প্রস্তুতি ও মোকাবেলায় কালিগঞ্জ উপজেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন খান সহ অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হয়েছে।

নারী উন্নয়ন সংগঠন “প্রেরণা’র অ্যাডভোকেসি কর্মকর্তা সাহিত্য ভঞ্জ চৌধুরী জানান ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে জনসাধারণকে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে কাজ করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় দুর্যোগের আগে ও পরে সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।

বিশেষ করে প্রেরণার ইউথ গ্রুপের ভলান্টিয়াররা ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে আগাম সতর্কতার মধ্য দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এ বিষয়ে উপকূলীয় নদী এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ ভেড়িবাধ সহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা সহ দুর্যোগ কালীন সময়ে জরুরী ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি ।প্রধান নির্বাহী শম্পা গোস্বামী জানান প্রয়োজনে যেকোনো ধরনের সহায়তা প্রদান করতে আমরা এবং আমাদের সংস্থা সর্বদা প্রস্তুত আছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে আছিয়া লুৎফর প্রিপারেটরী স্কুলে মা সমাবেশ

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি\
কালিগঞ্জে আছিয়া লুৎফর প্রিপারেটরী স্কুলে মা সমাবেশ ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মনজুর লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা। প্রেসক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক এম, হাফিজুর রহমান শিমুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চৌমুহনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডি.এম, মমতাজ উদ্দীন, নেংগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আকবর আলী, অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক জি.এম, রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন কুমার পাল বাচ্ছু। এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন অভিভাবক উম্মে হাবিবা, শ্বশ্মান কুমার সরকার, শীখা রানী সরদার, শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা প্রমুখ। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এস.এম, আফসার উদ্দিন, শেখ আশেখ ইকবাল পাপ্পী, শেখ নুরুজ্জামান, সাংবাদিক শিমুল হোসেন, তাপস কুমার ঘোষ, আলমগীর হোসেনসহ শিক্ষক, অভিভাবক ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এক যোগে জেলার সকল উপজেলা কৃষকলীগের বর্ধিত সভা

বাংলাদেশ কৃষকলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সংগঠনকে গতিশীল করতে সাতক্ষীরা জেলার সকল উপজেলা শাখা কৃষকলীগের বর্ধিতসভা এক যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এ বর্ধিতসভাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরার পুরাতন আইনজীবী ভবন কার্যালয়ে সাতক্ষীরা সদর ও পৌরশাখা কৃষকলীগের বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, পৌর কৃষকলীগের সভাপতি মো: রাশিদ হাসান চৌধুরী বাবু।

প্রধান অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আসাদুজ্জামান বাবু, প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: সামছুজ্জামান জুয়েল। উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মাস্টার আব্দুল করিম, সাধারণ সম্পাদক মো: রেজাউল ইসলাম, পৌর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো: আনারুল ইসলাম। তালা উপজেলা কৃষকলীগের বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ময়নুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো: ইন্দ্রিজিৎ কুমার সাধু। প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষকলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য মো: মনজুর হোসেন। কলারোয়া উপজেলা কৃষকলীগের বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা আহবায়ক মো: আমানুল্লাহ মোড়ল।

সঞ্চালনায় ছিলেন সঞ্জিব রায়। আশাশুনি উপজেলা কৃষকলীগের বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সভাপতি রাশেদ সরোয়ার শেলি। সঞ্চালনায় ছিলেন, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মতিলাল সরকার। দেবহাটা উপজেলা কৃষকলীগের বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আহবায়ক নির্মল কুমার মন্ডল। সঞ্চালনায় ছিলেন,যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রব লিটু ও সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির হিম। কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগের বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সভাপতি মো: আব্দুর রাজ্জাক। সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো: মোকলেছুর রহমান। শ্যামনগর উপজেলা কৃষকলীগের বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মনজুর এলাহী। সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো: আনিসুর রহমান আনিস।

সকল উপজেলা কৃষকলীগের বর্ধিত সভায় আগামী ২১ নভেম্বর ইউনিয়ন কৃষকলীগের বর্ধিত সভা ডাকার আহ্বান জানানো হয়। ইউনিয়ন বর্ধিত সভা থেকে প্রতি ইউনিয়ন থেকে ১০০ জন করে ইউনিয়ন কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দের নাম ও মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করার আহ্বান জানানো হয়। সংগৃহিত সকল নেতাকর্মীদের নামের তালিকা নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ বরাবর পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest