সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা-৩৫ ভরি সোনার গহনা লুটবৈকারী ইউনিয়ন কৃষক দলের ইফতারমেলোডী শিল্পী গোষ্ঠীর ইফতার মাহফিলসাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের সম্মানে জেলা জামায়াতের ইফতারআশাশুনিতে পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষন প্রতিরোধে বনজীবিদের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালাপ্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ক্লিনিক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার ইফতারসাতক্ষীরায় ছাত্রদলকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ পদে অর্ঘ্য কে দেখতে চায় তৃণমূলের কর্মীরাএক মাস বন্ধ থাকার পর আশাশুনি সদরের টেঁকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের কাজ চালুসাতক্ষীরায় শেখ মুজিবর রহমানের ম্যুরাল নিশ্চিহ্নশ্যামনগরে সাংবাদিকদের সম্মানে জামায়াতের ইফতার

কলারোয়ায় ধর্ষন মামলার স্বাক্ষীকে জখমের অভিযোগ

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ধর্ষন মামলার স্বাক্ষীকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বাদ জুম্মা কলারোয়া উপজেলার রায়টা দক্ষিণপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। আহত আমানুর রহমান রায়টা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত ছদন সরদারের পুত্র। বর্তমানে তিনি কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগী আমানুর রহমান জানান, গতকাল রাইটা গ্রামে ৬ শ্রেণির একটি শিশু কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়। এঘটনায় ভুক্তভোগীর মাতা বাদী হয়ে একই এলাকার আব্দুল খালেকের পুত্র রাকিব হোসেন কে ১নং আসামী এবং জিয়ারুল ইসলামের পুত্র জাহিদ হোসেন কে ২নং আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় স্বাক্ষী হন আমানুর রহমান। এদিকে পুলিশ ইতোমধ্যে ২নং আসামী জাহিদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাহিদের পরিবারের সদস্যদের আমানুর কে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে। একপর্যায়ে শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়ে মসজিদের বাইরে আসলে জিয়ারুল ইসলাম ও তার ভাই আনারুল ইসলাম আমানুরের উপর অতর্কিত হামলা করে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। অভিযুক্ত জিয়ারুল ইসলামের মোবাইল নাম্বার বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা উপজেলা ‘সাহিত্য পরিষদের আহবায়ক কমিটির সভা

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : জেলা সাহিত্য পরিষদের সুপারিশক্রমে দেবহাটা উপজেলা সাহিত্য পরিষদের আহবায়ক কমিটির এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর সাহিত্য পরিষদের পারুলিয়াস্থ অস্থায়ী কার্য্যালয়ে কবি, সাংবাদিক, শিল্পী,আর্টিস্ট, শিক্ষক, ছাত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাহিত্যিকদের নিয়ে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার জন্য অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সাহিত্য পরিষদের আহ্বায়ক গ্রাম্য ডাঃ আমিরুল ইসলাম। এসময় যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি হাবিবুর বাসার, সচিব আবু সালেক রেজা, সাদেকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও সদস্য মহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সভাপতি বলেন, সাহিত্যের গােড়াপত্তন, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, উপন্যাস, নাটক, ছােটগল্প, প্রবন্ধ, মহাকাব্য, কবিতা, প্রভৃতি ধারা, উপাধি ও ছদ্মনাম, পঙতি, বাংলা সাহিত্যে প্রথম মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক সাহিত্য, গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র প্রভৃতির অত্যন্ত তথ্যবহুল আলোচনা করেন।

পরে দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন কবি, সাহিত্যিক ও লেখকদের নিয়ে ৫টি ইউনিয়নের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হবে বলে জানানো হয়। সভায় সকলের সম্মতিক্রমে কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আগামী সোমবার বিকাল ৪ টায় ইউনিয়ন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। আর পারুলিয়া ইউনিয়ন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে বুধবার বিকাল ৫ টায় পারুলিয়া মুক্তিযোদ্ধা অফিসে হবে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে বাকি ইউনিয়নগুলোর কমিটি গঠন করা হবে বলে জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে বজ্রপাতে এক শ্রমিক নিহত

আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের তেঁতুলিয়ায় বজ্রপাতে এক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তেঁতুলিয়া বিলে মিঠু সাহার মৎস্য ঘেরে এ ঘটনা ঘটে। কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর কুমার সরকার জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রসূল বিপ্লব এর ভগ্নিপতি ও তেঁতুলিয়া গ্রামের মৃত মনতাজ আলী মোড়লের ছেলে পলাশ মোড়ল (৪২) ঘটনার সময় তেঁতুলিয়া বিলের মধ্যে মিঠু সাহার ঘেরে একাই শ্রমিক হিসেবে মাটির কাজ করছিলেন।

কাজ করা অবস্থায় সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রাঘাতে ঘটনা ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় পাশের ঘেরে কাজ করা অবস্থায় অপর শ্রমিক প্রকাশ সরকার বুঝতে পেরে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে খবর দেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে অতিমাত্রায় কার্বন নিঃসরণ কমানোর দাবিতে যুবদের পথসভা

শ্যামনগর প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অতিমাত্রায় কার্বন নিঃসরণ কমানোর দাবিতে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় শ্যামনগর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জেসি কমপ্লেক্স চত্বরে সিডিও ইয়ুথ টিম, এস.এস.এসটি ও কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্ক এর আয়োজনে ও বেসরকারি এনজিও বারসিক এর সহযোগিতায় ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন- বারসিক এর কর্মকতা বরসা গাইন, সিডিও ইয়ুথ টিমের আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান, সদস্য আনিছুর রহমান মিলন, এস.এস.এসটির সাইদুল ইসলাম ও কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্ক এর সভাপতি রাইসুল ইসলাম সহ সাদি, জামাল, বাদশাহ, আসাদুল্লাহ প্রমুখ।

সভায় বক্তরা বলেন উন্নত বিশ্ব প্রতিনিয়ত কার্বন নিঃসরণ করছে। ধনী ও শিল্পোন্নত দেশগুলোর বিলাসী জীবনযাপনের খেসারত দরিদ্র ও অনুুন্নত দেশগুলোকে দিতে হচ্ছে। কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মানুষকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় ওয়াস এসডিজি  প্রকল্পের ফলাফল হস্তান্তর বিষয়ক সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভায় ওয়াস এসডিজি প্রকল্পের ফলাফল হস্তান্তর বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরসভার হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, কলারোয়া পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান বুলবুল।

তিনি এ সময় এ প্রকল্পের মাধ্যমে কলারোয়া পৌরসভায় প্রান্তিক ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠী বিশুদ্ধ পানি, উন্নত টয়লেট এবং পরিচ্ছন্ন জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ হয়েছে বলে দাবী করেন। এছাড়া তার পৌরসভায় পানি বাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে বলে তিনি দাবী করেন।

হোপ ফর দ্যা পুওরেষ্ট (এইচপি), প্র্যাকটিক্যাল এ্যাকশন ও উত্তরণ নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক দাতা সংস্থা সীমাভীর অর্থায়নে ওয়াস এসডিজি- ডবিøউএওয়াই সাব প্রোগ্রাম বাংলাদেশ ইমপ্লিমেন্টেশন ফেইজ-২’ বিষয়ক প্রকল্পটি জুলাই ২০১৮ হতে শুরু হয় এবং আগামী মার্চ ২০২৪ সালে শেষ হবে। প্রকল্পের মাধ্যমে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন বিষয়ক উদ্যোক্তা উন্নয়নসহ কমিউনিটির চাহিদাবৃদ্ধি ও সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। এই ফলাফল বহমান রাখার জন্য স্থানীয় সরকার, সমবায় অফিস, স্বাস্থ্য বিভাগ, ব্যবসায়ী সমিতিসহ সকলসংশ্লিষ্ট দপ্তরের অগ্রণীভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানান বক্তারা।

হোপ ফর দি পুওরেষ্ট (এইচপি) এর পক্ষে উপস্থিত থেকে বিস্তরিত ফলাফল উপস্থাপন করেন, সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাহিউল কাদির। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কলারোয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র শফিউল আলম, কাউন্সিলর ফারহানা হোসেন, সন্ধ্যা রানী বমন, আলফাজ, তুহিন হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মেজবা উদ্দিন, শেখ জামিল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলার পরিখ্যান কমকতা তাহের মাহমুদ সোহাগ, সমবায় অফিসার অনিমেস কুমার দাশ, ওয়াস এসডিজি প্রকল্প ব্যবস্থাপক ওয়াহিদুর রহমান, মৃনাল কুমার সরকার, নন্দিতা রানী দত্ত, রোকসানা পারভীন প্রমুখ। সভায় প্র্যাকটিক্যাল এ্যাকশন বাংলাদেশ ও উত্তরণ প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে নিজ নিজ সংস্থার ফলাফল উপস্থাপন করেন।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা শ্রমিকলীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির নেতৃবৃন্দকে বিভিন্ন উপজেলার শুভেচ্ছা

নিজস্ব প্রতিনিধি : জেলা শ্রমিকলীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিভিন্ন উপজেলা শ্রমিকলীগের নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর ) সাতক্ষীরা বাসটার্মিনাল সংলগ্ন জেলা শ্রমিক লীগের কার্যালয়ে উৎসব মূখর পরিবেশ ৭ উপজেলা থেকে আগত শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ ফুল, মিষ্টি দিয়ে জেলা শ্রমিকলীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির নেতৃবৃন্দকে বরোণ করে নেয়।

এসময় জেলা শ্রমিকলীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মো.ছাইফুল করিম সাবুকে বলেন, আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সৈনিক এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী। আমরা কারো ব্যক্তি স্বার্থে খুশি করার জন্য রাজনীতি করি না। আমরা মুজিবী আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনীতি করি। অতীতের সকল নেতা দন্দ ভুলে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারো জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করে বাংলার মসনদে বসাতে হবে। সুন্দর একটি কমিটি উপহার দেওয়ার জন্য জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কে আমি ধন্যবাদ জানাই। সাধারণ শ্রমিকরাই আমাদের শক্তি আগামীতে সকল শ্রমিকলীগের নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ করে কাউন্সিলের মাধ্যমে সকলের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি উপহার দেওয়া হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিকলীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মাহমুদুল আলম বিবিসি, যুগ্ম-আহবায়ক সাহাঙ্গীর হোসেন সাহীন। পৌর শ্রমিক লীগের মো. জোহর আলী, মো. রমজান আলী, জেলা বাস মিনি বাস মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুর রহমান সহ নেতৃবৃন্দ। সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের মো. দেলোয়ার হোসেন, জাহিদ খান, মোঃ কবিরুল ইসলাম কবির।

কলারোয়া উপজেলা শ্রমিক লীগের আব্দুর রহিম। পাটকেলঘাটা শ্রমিক লীগের মোঃ শহিদুল, বাবলুর রহমান, মাসুদ পারভেজ, হামিদুল। তালা উপজেলা শ্রমিক লীগের মোঃ শফিউল আলম, মো. সেলিম,দেবেন্দ্র, আব্দুল জব্বার, শিমুল, আসলাম বাবু। দেবভাটা শ্রমিক লীগের আবু তাহের,মো.আমিরুল ইসলাম। কালিগঞ্জ শ্রমিক লীগের শেখ শাহজালাল, মনিরুল ইসলাম। শ্যামনগর শ্রমিক লীগ মোহাম্মদ আলী, মোঃ আব্দুল গফফার সহ আশাশুনি শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য জাতীয় শ্রমিকলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অনুমতিক্রমে সাধারণ সম্পাদক কেএম আযম খসরু স্বাক্ষরিত একপত্রে মো.ছাইফুল করিম সাবুকে আহবায়ক, মাহমুদুল আলম বিবিসিকে সদস্য সচিব এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেককে ১নং যুগ্ম-আহবায়ক করে ৫১সদস্য বিশিষ্ট সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য যুগ্ম আহবায়কবৃন্দ হলেন, বিকাশ চন্দ্র দাশ, সাহাঙ্গীর হোসেন সাহীন, কাজী শরিফুল ইসলাম, ফরেজ আলী সাহাজী সবুজ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সেঞ্চুরি-হাসিমুখের গাছ পেয়ে বেজায় খুশি শতশত শিক্ষার্থী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

‘গাছ লাগিয়ে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, ফুলে ফলে ভরবে গাছ, থাকবো সুখে বারোমাস, গাছে গাছে ভরলে দেশ, সুস্থ থাকবে পরিবেশ, লাগাও গাছ বাঁচাও দেশ, শেখ হাসিনার নির্দেশ’ এমনই আশা জাগানিয়া প্রতিপাদ্যে বৃহস্পতিবার শতশত শিক্ষার্থীর মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেছেন নব্বই দশকের ছাত্রনেতা, হাসিমুখ-সেঞ্চুরি একাডেমির পরিচালক ও গ্রিন এনভায়র্নমেন্ট মুভমেন্টের সভাপতি এজাজ আহমেদ স্বপন।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে তিনি ফলজ (আম) গাছের চারা বিতরণ করেন তিনি। এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীর ও অভিভাবকদের মাঝেও গাছের চারা বিতরণ করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এমাদুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক অনুজিৎ কুমার মন্ডল, শিক্ষক প্রতিনিধি এসএম শহীদুল ইসলাম, মোঃ নজিবুল ইসলাম, অভিভাবক সদস্য রবিন্দ্র কর্মকার, সিনিয়র শিক্ষক মোঃ হাফিজুল ইসলাম, আজহারুল ইসলাম, গীতা রানী সাহা, খালেদা খাতুন, অরুন কুমার মন্ডল, দেবব্রত ঘোষ, ভানুবতী সরকার, মৃনাল কুমার বিশ্বাস প্রমুখ। পরে এজাজ আহমেদ স্বপন বিদ্যালয়ের আঙিনায় একটি গাছের চারা রোপন করেন।

এরআগে তিনি সাতক্ষীরা পলাশপোল হাইস্কুল, ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেন গাছের চারা। এছাড়া সাতক্ষীরা প্রি-ক্যাডেট স্কুলে তিনি গাছের চারা বিতরণ করেন। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার সাত উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নিজ খরচে তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন ফলজ, বনজ ও ভেষজ গাছের চারা। গাছের চারা বিতরণ ও রোপন করে তিনি বৃক্ষরোপন আন্দোলনে সাড়া ফেলেছেন। জেলার সাংবাদিকদের মাঝেও তিনি সহ¯্রাধিক গাছের চারা বিতরণ করেছেন।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর জেলা সদরের ভোমরায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কয়েক শত শিক্ষার্থীর মাঝে গাছের বিতরণ করেন এজাজ আহমেদ স্বপন। এসব প্রতিষ্ঠানে গাছের চারা রোপনও করেন তিনি।

এর আগে হাসিমুখ, সেঞ্চুরী-সাতক্ষীরা পরিচালক এবং জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন আশাশুনি উপজেলার হাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাছের চারা রোপণ ও উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ করেন। এ ছাড়া দুই শতাধিক সেলুন মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, সাতক্ষীরায় মুজিব শতবর্ষে বিনামূল্যে এক লাখ বৃক্ষরোপন ও করোনাকালে এক লাখ দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে সবজি বিতরণ করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, মুজিব শতবর্ষে তাঁর টার্গেট বিনামূল্যে লক্ষাধিক গাছের চারা রোপন ও বিতরণ। এ উপলক্ষে প্রতিদিন হাজারো ফলজ ও বনজ গাছের চারা নিয়ে হাজির হচ্ছেন কোন না কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বিতরণকৃত গাছের মধ্যে রয়েছে আম, মেহগনি, অর্জুন, বহেরা ও জারুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল গাছ।

সাতক্ষীরার বাইরেও তিনি রাজধানী ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, বরিশাল, সিরাজগঞ্জ, নাটোরসহ বিভিন্ন জেলায় নিজ খরচে ট্রাকের মাধ্যমে পৌঁছে দিয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার গাছের চারা। সাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে সড়ক ও নদীর ধারে, গ্রামীন রাস্তার পাশে, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, ক্লাব, সমিতিসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় রোপন করছেন ফলজ, বনজ, ওষধী ও শোভাবর্ধনকারী গাছ।

জেলার বিভিন্ন নার্সারি থেকে এসব গাছের চারা কিনে নিজ খরচে পরিবহনের মাধ্যমে পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। জেলায় ইতোমধ্যে ২০ হাজার এবং জেলার বাইরে ৪০ হাজার গাছের চারা পৌঁছে দিয়েছেন। গাছের চারা বিতরণ অব্যাহত আছে। গাছের চারা বিতরণ ও রোপনের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে চান তিনি। এজন্য যেখানে গাছ লাগানোর উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে সেখানেই তিনি পৌঁছে দিচ্ছেন গাছের চারা।

এছাড়া করোনাকালে এক লক্ষ পরিবারের মাঝে সাতক্ষীরার এজাজ আহমেদ স্বপন বিলিয়েছেন টাটকা শাক-সবজি। করোনাকালে দরিদ্র মানুষকে সহযোগিতা করতে তিন মাসের অধিক সময় ধরে দৈনিক প্রায় এক হাজার দরিদ্র মানুষকে প্রতিদিন বিনামূলে সবজি বিতরণ করছেন। তার প্রতিষ্ঠান হাসিমুখ-সেঞ্চুরি একাডেমির মাধ্যমে জেলায় এভাবে এক লক্ষ দরিদ্র অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে সবজি বিতরণ করে সর্বমহলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে এজাজ আহমেদ স্বপন জানান, ২০০০ সালে বন্যায় সেঞ্চুরি একাডেমির ব্যানারে তিনি রুটি বানানো কর্মসূচি চালু করেন। সেখান থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা রুটি নিয়ে যেতেন। একই সময় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফ্রি কোচিং, বিনামূল্যে খাতা-কলম বিতরণ ও পরীক্ষার ফিস প্রদান করতেন। সে সময়ের কার্যক্রম সাতক্ষীরাবাসীর হৃদয় আকর্ষণ করেছিল। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে করোনাকালে প্রতিদিন সহস্রাধিক মানুষকে দিয়েছেন তাজা শাক-সবজি। প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি শাক-সবজি ক্রয় করে তা বিলিয়ে দিয়েছেন মানুষের মাঝে। এক লক্ষ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যের এই সবজি বিতরণ করেছিলেন তিনি। স্বপন আরও জানান, মানুষের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানোর নামই মানবিকতা। মানুষের যেকোনো দুর্যোগে পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এমপি রবির সাথে সদর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগ নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময়

সাতক্ষীরা ২ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

বুধবার বিকালে সাংসদের নিজস্ব বাসভবনে উপস্থিত হয়ে নেতৃবৃন্দ এ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সদর উপজেলা আহবায়ক রুহুল আমিন,যুগ্ম-আহবায়ক মাহমুদুল ইসলাম নয়ন,শরিফুল ইসলাম শরিফ,মো:সাইফুল্লাহ, সদস্যসচিব, মো:সাব্বির হোসেন, এবং ধীমান সরকার,কিংকর সরকার সহ উপজেলা মৎস্য জীবী লীগের অন্যান্য সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্যজীবী লীগের সুযোগ্য সভাপতি মীর আজহার আলী শাহীন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest