সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার পরিবহণ কাউন্টার গুলিতে সেনাবাহিনীর আকস্মিক অভিযানআশাশুনিতে মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু : অসুস্থ-৯সাতক্ষীরায় জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ৪জনকে জখমের অভিযোগসাতক্ষীরায় ট্রাকের চাপায় যুবতির মৃত্যুকলারোয়ায় ২ সহস্রাধিক মানুষের মাঝে বিএনপি নেতা হাবিবের ঈদ উপহার প্রদানসাতক্ষীরায় শহীদ পরিবারে তারেক রহমানের পক্ষে ঈদ উপহার বিতরণটানা ৯দিন ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধসাবেক এমপি কাজী শামসুর রহমান স্মরনে দোয়া ও ইফতারআলিপুর (বুড়ির পুকুরকান্দা) আহলে হাদিস জামে মসজিদ এর কমিটি গঠনসাতক্ষীরায় সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোরের হোতাসহ ৫ চোর গ্রেফতার: ০৯ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার

শ্যামনগরে অতিমাত্রায় কার্বন নিঃসরণ কমানোর দাবিতে যুবদের পথসভা

শ্যামনগর প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অতিমাত্রায় কার্বন নিঃসরণ কমানোর দাবিতে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় শ্যামনগর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জেসি কমপ্লেক্স চত্বরে সিডিও ইয়ুথ টিম, এস.এস.এসটি ও কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্ক এর আয়োজনে ও বেসরকারি এনজিও বারসিক এর সহযোগিতায় ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন- বারসিক এর কর্মকতা বরসা গাইন, সিডিও ইয়ুথ টিমের আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান, সদস্য আনিছুর রহমান মিলন, এস.এস.এসটির সাইদুল ইসলাম ও কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্ক এর সভাপতি রাইসুল ইসলাম সহ সাদি, জামাল, বাদশাহ, আসাদুল্লাহ প্রমুখ।

সভায় বক্তরা বলেন উন্নত বিশ্ব প্রতিনিয়ত কার্বন নিঃসরণ করছে। ধনী ও শিল্পোন্নত দেশগুলোর বিলাসী জীবনযাপনের খেসারত দরিদ্র ও অনুুন্নত দেশগুলোকে দিতে হচ্ছে। কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মানুষকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় ওয়াস এসডিজি  প্রকল্পের ফলাফল হস্তান্তর বিষয়ক সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভায় ওয়াস এসডিজি প্রকল্পের ফলাফল হস্তান্তর বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরসভার হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, কলারোয়া পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান বুলবুল।

তিনি এ সময় এ প্রকল্পের মাধ্যমে কলারোয়া পৌরসভায় প্রান্তিক ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠী বিশুদ্ধ পানি, উন্নত টয়লেট এবং পরিচ্ছন্ন জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ হয়েছে বলে দাবী করেন। এছাড়া তার পৌরসভায় পানি বাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে বলে তিনি দাবী করেন।

হোপ ফর দ্যা পুওরেষ্ট (এইচপি), প্র্যাকটিক্যাল এ্যাকশন ও উত্তরণ নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক দাতা সংস্থা সীমাভীর অর্থায়নে ওয়াস এসডিজি- ডবিøউএওয়াই সাব প্রোগ্রাম বাংলাদেশ ইমপ্লিমেন্টেশন ফেইজ-২’ বিষয়ক প্রকল্পটি জুলাই ২০১৮ হতে শুরু হয় এবং আগামী মার্চ ২০২৪ সালে শেষ হবে। প্রকল্পের মাধ্যমে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন বিষয়ক উদ্যোক্তা উন্নয়নসহ কমিউনিটির চাহিদাবৃদ্ধি ও সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। এই ফলাফল বহমান রাখার জন্য স্থানীয় সরকার, সমবায় অফিস, স্বাস্থ্য বিভাগ, ব্যবসায়ী সমিতিসহ সকলসংশ্লিষ্ট দপ্তরের অগ্রণীভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানান বক্তারা।

হোপ ফর দি পুওরেষ্ট (এইচপি) এর পক্ষে উপস্থিত থেকে বিস্তরিত ফলাফল উপস্থাপন করেন, সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাহিউল কাদির। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কলারোয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র শফিউল আলম, কাউন্সিলর ফারহানা হোসেন, সন্ধ্যা রানী বমন, আলফাজ, তুহিন হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মেজবা উদ্দিন, শেখ জামিল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলার পরিখ্যান কমকতা তাহের মাহমুদ সোহাগ, সমবায় অফিসার অনিমেস কুমার দাশ, ওয়াস এসডিজি প্রকল্প ব্যবস্থাপক ওয়াহিদুর রহমান, মৃনাল কুমার সরকার, নন্দিতা রানী দত্ত, রোকসানা পারভীন প্রমুখ। সভায় প্র্যাকটিক্যাল এ্যাকশন বাংলাদেশ ও উত্তরণ প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে নিজ নিজ সংস্থার ফলাফল উপস্থাপন করেন।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা শ্রমিকলীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির নেতৃবৃন্দকে বিভিন্ন উপজেলার শুভেচ্ছা

নিজস্ব প্রতিনিধি : জেলা শ্রমিকলীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিভিন্ন উপজেলা শ্রমিকলীগের নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর ) সাতক্ষীরা বাসটার্মিনাল সংলগ্ন জেলা শ্রমিক লীগের কার্যালয়ে উৎসব মূখর পরিবেশ ৭ উপজেলা থেকে আগত শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ ফুল, মিষ্টি দিয়ে জেলা শ্রমিকলীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির নেতৃবৃন্দকে বরোণ করে নেয়।

এসময় জেলা শ্রমিকলীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মো.ছাইফুল করিম সাবুকে বলেন, আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সৈনিক এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী। আমরা কারো ব্যক্তি স্বার্থে খুশি করার জন্য রাজনীতি করি না। আমরা মুজিবী আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনীতি করি। অতীতের সকল নেতা দন্দ ভুলে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারো জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করে বাংলার মসনদে বসাতে হবে। সুন্দর একটি কমিটি উপহার দেওয়ার জন্য জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কে আমি ধন্যবাদ জানাই। সাধারণ শ্রমিকরাই আমাদের শক্তি আগামীতে সকল শ্রমিকলীগের নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ করে কাউন্সিলের মাধ্যমে সকলের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি উপহার দেওয়া হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিকলীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মাহমুদুল আলম বিবিসি, যুগ্ম-আহবায়ক সাহাঙ্গীর হোসেন সাহীন। পৌর শ্রমিক লীগের মো. জোহর আলী, মো. রমজান আলী, জেলা বাস মিনি বাস মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুর রহমান সহ নেতৃবৃন্দ। সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের মো. দেলোয়ার হোসেন, জাহিদ খান, মোঃ কবিরুল ইসলাম কবির।

কলারোয়া উপজেলা শ্রমিক লীগের আব্দুর রহিম। পাটকেলঘাটা শ্রমিক লীগের মোঃ শহিদুল, বাবলুর রহমান, মাসুদ পারভেজ, হামিদুল। তালা উপজেলা শ্রমিক লীগের মোঃ শফিউল আলম, মো. সেলিম,দেবেন্দ্র, আব্দুল জব্বার, শিমুল, আসলাম বাবু। দেবভাটা শ্রমিক লীগের আবু তাহের,মো.আমিরুল ইসলাম। কালিগঞ্জ শ্রমিক লীগের শেখ শাহজালাল, মনিরুল ইসলাম। শ্যামনগর শ্রমিক লীগ মোহাম্মদ আলী, মোঃ আব্দুল গফফার সহ আশাশুনি শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য জাতীয় শ্রমিকলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অনুমতিক্রমে সাধারণ সম্পাদক কেএম আযম খসরু স্বাক্ষরিত একপত্রে মো.ছাইফুল করিম সাবুকে আহবায়ক, মাহমুদুল আলম বিবিসিকে সদস্য সচিব এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেককে ১নং যুগ্ম-আহবায়ক করে ৫১সদস্য বিশিষ্ট সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য যুগ্ম আহবায়কবৃন্দ হলেন, বিকাশ চন্দ্র দাশ, সাহাঙ্গীর হোসেন সাহীন, কাজী শরিফুল ইসলাম, ফরেজ আলী সাহাজী সবুজ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সেঞ্চুরি-হাসিমুখের গাছ পেয়ে বেজায় খুশি শতশত শিক্ষার্থী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

‘গাছ লাগিয়ে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, ফুলে ফলে ভরবে গাছ, থাকবো সুখে বারোমাস, গাছে গাছে ভরলে দেশ, সুস্থ থাকবে পরিবেশ, লাগাও গাছ বাঁচাও দেশ, শেখ হাসিনার নির্দেশ’ এমনই আশা জাগানিয়া প্রতিপাদ্যে বৃহস্পতিবার শতশত শিক্ষার্থীর মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেছেন নব্বই দশকের ছাত্রনেতা, হাসিমুখ-সেঞ্চুরি একাডেমির পরিচালক ও গ্রিন এনভায়র্নমেন্ট মুভমেন্টের সভাপতি এজাজ আহমেদ স্বপন।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে তিনি ফলজ (আম) গাছের চারা বিতরণ করেন তিনি। এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীর ও অভিভাবকদের মাঝেও গাছের চারা বিতরণ করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এমাদুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক অনুজিৎ কুমার মন্ডল, শিক্ষক প্রতিনিধি এসএম শহীদুল ইসলাম, মোঃ নজিবুল ইসলাম, অভিভাবক সদস্য রবিন্দ্র কর্মকার, সিনিয়র শিক্ষক মোঃ হাফিজুল ইসলাম, আজহারুল ইসলাম, গীতা রানী সাহা, খালেদা খাতুন, অরুন কুমার মন্ডল, দেবব্রত ঘোষ, ভানুবতী সরকার, মৃনাল কুমার বিশ্বাস প্রমুখ। পরে এজাজ আহমেদ স্বপন বিদ্যালয়ের আঙিনায় একটি গাছের চারা রোপন করেন।

এরআগে তিনি সাতক্ষীরা পলাশপোল হাইস্কুল, ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেন গাছের চারা। এছাড়া সাতক্ষীরা প্রি-ক্যাডেট স্কুলে তিনি গাছের চারা বিতরণ করেন। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার সাত উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নিজ খরচে তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন ফলজ, বনজ ও ভেষজ গাছের চারা। গাছের চারা বিতরণ ও রোপন করে তিনি বৃক্ষরোপন আন্দোলনে সাড়া ফেলেছেন। জেলার সাংবাদিকদের মাঝেও তিনি সহ¯্রাধিক গাছের চারা বিতরণ করেছেন।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর জেলা সদরের ভোমরায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কয়েক শত শিক্ষার্থীর মাঝে গাছের বিতরণ করেন এজাজ আহমেদ স্বপন। এসব প্রতিষ্ঠানে গাছের চারা রোপনও করেন তিনি।

এর আগে হাসিমুখ, সেঞ্চুরী-সাতক্ষীরা পরিচালক এবং জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন আশাশুনি উপজেলার হাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাছের চারা রোপণ ও উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ করেন। এ ছাড়া দুই শতাধিক সেলুন মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, সাতক্ষীরায় মুজিব শতবর্ষে বিনামূল্যে এক লাখ বৃক্ষরোপন ও করোনাকালে এক লাখ দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে সবজি বিতরণ করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, মুজিব শতবর্ষে তাঁর টার্গেট বিনামূল্যে লক্ষাধিক গাছের চারা রোপন ও বিতরণ। এ উপলক্ষে প্রতিদিন হাজারো ফলজ ও বনজ গাছের চারা নিয়ে হাজির হচ্ছেন কোন না কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বিতরণকৃত গাছের মধ্যে রয়েছে আম, মেহগনি, অর্জুন, বহেরা ও জারুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল গাছ।

সাতক্ষীরার বাইরেও তিনি রাজধানী ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, বরিশাল, সিরাজগঞ্জ, নাটোরসহ বিভিন্ন জেলায় নিজ খরচে ট্রাকের মাধ্যমে পৌঁছে দিয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার গাছের চারা। সাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে সড়ক ও নদীর ধারে, গ্রামীন রাস্তার পাশে, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, ক্লাব, সমিতিসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় রোপন করছেন ফলজ, বনজ, ওষধী ও শোভাবর্ধনকারী গাছ।

জেলার বিভিন্ন নার্সারি থেকে এসব গাছের চারা কিনে নিজ খরচে পরিবহনের মাধ্যমে পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। জেলায় ইতোমধ্যে ২০ হাজার এবং জেলার বাইরে ৪০ হাজার গাছের চারা পৌঁছে দিয়েছেন। গাছের চারা বিতরণ অব্যাহত আছে। গাছের চারা বিতরণ ও রোপনের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে চান তিনি। এজন্য যেখানে গাছ লাগানোর উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে সেখানেই তিনি পৌঁছে দিচ্ছেন গাছের চারা।

এছাড়া করোনাকালে এক লক্ষ পরিবারের মাঝে সাতক্ষীরার এজাজ আহমেদ স্বপন বিলিয়েছেন টাটকা শাক-সবজি। করোনাকালে দরিদ্র মানুষকে সহযোগিতা করতে তিন মাসের অধিক সময় ধরে দৈনিক প্রায় এক হাজার দরিদ্র মানুষকে প্রতিদিন বিনামূলে সবজি বিতরণ করছেন। তার প্রতিষ্ঠান হাসিমুখ-সেঞ্চুরি একাডেমির মাধ্যমে জেলায় এভাবে এক লক্ষ দরিদ্র অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে সবজি বিতরণ করে সর্বমহলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে এজাজ আহমেদ স্বপন জানান, ২০০০ সালে বন্যায় সেঞ্চুরি একাডেমির ব্যানারে তিনি রুটি বানানো কর্মসূচি চালু করেন। সেখান থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা রুটি নিয়ে যেতেন। একই সময় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফ্রি কোচিং, বিনামূল্যে খাতা-কলম বিতরণ ও পরীক্ষার ফিস প্রদান করতেন। সে সময়ের কার্যক্রম সাতক্ষীরাবাসীর হৃদয় আকর্ষণ করেছিল। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে করোনাকালে প্রতিদিন সহস্রাধিক মানুষকে দিয়েছেন তাজা শাক-সবজি। প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি শাক-সবজি ক্রয় করে তা বিলিয়ে দিয়েছেন মানুষের মাঝে। এক লক্ষ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যের এই সবজি বিতরণ করেছিলেন তিনি। স্বপন আরও জানান, মানুষের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানোর নামই মানবিকতা। মানুষের যেকোনো দুর্যোগে পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এমপি রবির সাথে সদর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগ নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময়

সাতক্ষীরা ২ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

বুধবার বিকালে সাংসদের নিজস্ব বাসভবনে উপস্থিত হয়ে নেতৃবৃন্দ এ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সদর উপজেলা আহবায়ক রুহুল আমিন,যুগ্ম-আহবায়ক মাহমুদুল ইসলাম নয়ন,শরিফুল ইসলাম শরিফ,মো:সাইফুল্লাহ, সদস্যসচিব, মো:সাব্বির হোসেন, এবং ধীমান সরকার,কিংকর সরকার সহ উপজেলা মৎস্য জীবী লীগের অন্যান্য সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্যজীবী লীগের সুযোগ্য সভাপতি মীর আজহার আলী শাহীন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতীয় শ্রমিকলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি অনুমোদন

জাতীয় শ্রমিকলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অনুমতিক্রমে সাধারণ সম্পাদক কে এম আযম খসরু স্বাক্ষরিত একপত্রে ছাইফুল করিম সাবুকে আহবায়ক,

মাহমুদুল আলম বিবিসিকে সদস্য সচিব এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেককে ১নং যুগ্ম আহবায়ক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অনুমোদন দেন।

অন্যান্য যুগ্ম আহবায়কবৃন্দ হলেন, বিকাশ চন্দ্র দাশ, সাহাঙ্গীর হোসেন সাহীন, কাজী শরিফুল ইসলাম, ফরেজ আলী সাহাজী সবুজ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ওয়াস এসডিজি  প্রকল্পের হস্তান্তর বিষয়ক সভা

আসাদুজ্জামান ঃ সাতক্ষীরায় ওয়াস এসডিজি প্রকল্পের হস্তান্তর বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা ম্যানগ্রোভ সভাঘরে উক্ত সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে সাতক্ষীরা পৌরসভায় প্রান্তিক ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠী বিশুদ্ধ পানি, উন্নত টয়লেট এবং পরিচ্ছন্ন জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। ফলে পানি বাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে বলে দাবী করেন সাতক্ষীরা পৌরসভার জন প্রতিনিধিরা।

হোপ ফর দ্যা পুওরেষ্ট (এইচপি), প্র্যাকটিক্যাল এ্যাকশন ও উত্তরণ নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক দাতা সংস্থা সীমাভীর অর্থায়নে ওয়াস এসডিজি প্রোগ্রাম বাংলাদেশ ইমপ্লিমেন্টেশন ফেইজ-২’ বিষয়ক প্রকল্পটি জুলাই ২০১৮ হতে শুরু হয় এবং আগামী মার্চ ২০২৪ সালে শেষ হবে। প্রকল্পের মাধ্যমে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন বিষয়ক উদ্যোক্তা উন্নয়নসহ কমিউনিটির চাহিদাবৃদ্ধি ও সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।
এই ফলাফল বহমান রাখার জন্য স্থানীয় সরকার, সমবায় অফিস, স্বাস্থ্য বিভাগ, ব্যবসায়ী সমিতিসহ সকলসংশ্লিষ্ট দপ্তরের অগ্রণীভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানা বক্তারা। সাতক্ষীরা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শেখ আনোয়ার হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে হোপ ফর দি পুওরেষ্ট (এইচপি) এর পক্ষে উপস্থিত থেকে বিস্তরিত ফলাফল উপস্থাপন করেন, সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাহিউল কাদির। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর নূরজাহান বেগম, অনিমা রানী মন্ডল, কাউন্সিলর শফিক উদ দ্দৌলা সাগর, শেখ মারুফ আহমেদ, জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, আইনুল ইসলাম নান্টা, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলি, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক ওয়াহিদুর রহমান, মৃনাল কুমার সরকার, নন্দিতা রানী দত্ত, রোকসানা পারভীন, প্র্যাকটিক্যাল এ্যাকশন বাংলাদেশ প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম সোহান, উত্তরণ প্রতিনিধি এসকে রুসাইদ উল্ল্যাহ প্রমুখ। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বুধহাটায় শহীদ ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেনের স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন

বুধহাটা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় প্রথম শহীদ ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেনের স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১০ টায় শহীদ আনোয়ার হোসেনের জন্মস্থান বুধহাটায় এ স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন উদ্বোধন করা হয়। বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ও সাতক্ষীরা জেলা আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির আয়োজনে ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফফার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, একেএম রইস উদ্দিন প্রমুখ। সাতক্ষীরা জেলা আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসকে হাসানের সভাপতিত্বে উদ্বোধন কালে বক্তব্য রাখেন বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু, প্রথম আলো নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জুলু, ডাঃ সাহিনুর আলম সাহিন, বুধহাটা সবুজ সংঘের সভাপতি রেজওয়ান আলী,যুগ্ন সম্পাদক আহসান হাবীব, ইউপি সদস্য ফিরোজ হোসেন,যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, শহীদ ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৩০ সালে নানার বাড়ি বুধহাটা গ্রামে আনোয়ার হোসেন জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছিল কনুই গাজী ও মায়ের নাম পরীজান বিবি। তিন ভাইয়ের মধ্যে আনোয়ার হোসেন ছিল সবার বড়। মেধাবী আনোয়ার হোসেন বাড়ি সংলগ্ন বুধহাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। এর পর বুধহাটা বি.বি.এম কলেজিয়েট বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার একপর্যায়ে তিনি খুলনা জেলা স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৪৬ সালে এসএসসি পাস করেন।

পরে খুলনার বিএল কলেজে পড়াশুনাকালীন ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন। তরুণ আনোয়ার হোসেন ভাষা আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ খুলনার তৎকালিন গান্ধী পার্কে (বর্তমানে হাদিস পার্ক) ভাষা আন্দোলনের পক্ষে ইস্তেহার পাঠ করার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েকদিন পর তিনি মুক্তি পান। পরে ভাষা আন্দোলনের মিছিল থেকে ১৯৪৯ সালে পুলিশ তাকে আবারও গ্রেপ্তার করে প্রথমে তাকে কোতয়ালী থানায় রাখা হয়। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজশাহী কারাগারে।

সেখানে পাকিস্তান সরকারের নির্যাতন ও নিপীড়ণের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখেন তিনি। একপর্যায়ে ১৯৫০ সালে ২৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলে খাপড়া ওয়ার্ডে গুলি চালানো হয়। তাতে সাতজন কারাবন্দি নিহত হন। তার মধ্যে ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন ছিলেন অন্যতম।

তাই আমরা বিশ্বাস করি মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনে ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেন দেশের প্রথম শহীদ। অথচ রাষ্ট্রীয়ভাবে তার কোন স্বীকৃতি নেই। তাই আমাদের দাবি শহীদ আনোয়ার হোসেনকে দেশের প্রথম ভাষা সৈনিক হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান।

বক্তারা আরো বলেন ৭৪ বছর পর আজকে এই স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধনের মাধ্যমে আনোয়ার হোসেনের স্মৃতি সংরক্ষণের শুভ সূচনা করা হলো। ভবিষ্যতে আন্দোলনের মাধ্যমে অন্যান্য দাবি পূরণ হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যর্থ করেন।
স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের আর্থিক সহযোগিতা করেন সাতক্ষীরা ৩ আসনের সংসদ অধ্যাপক ডাঃ আফম রুহুল হক এমপি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest