সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার পরিবহণ কাউন্টার গুলিতে সেনাবাহিনীর আকস্মিক অভিযানআশাশুনিতে মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু : অসুস্থ-৯সাতক্ষীরায় জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ৪জনকে জখমের অভিযোগসাতক্ষীরায় ট্রাকের চাপায় যুবতির মৃত্যুকলারোয়ায় ২ সহস্রাধিক মানুষের মাঝে বিএনপি নেতা হাবিবের ঈদ উপহার প্রদানসাতক্ষীরায় শহীদ পরিবারে তারেক রহমানের পক্ষে ঈদ উপহার বিতরণটানা ৯দিন ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধসাবেক এমপি কাজী শামসুর রহমান স্মরনে দোয়া ও ইফতারআলিপুর (বুড়ির পুকুরকান্দা) আহলে হাদিস জামে মসজিদ এর কমিটি গঠনসাতক্ষীরায় সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোরের হোতাসহ ৫ চোর গ্রেফতার: ০৯ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার

ভোমরা সিএন্ডএফ এর জরুরি সভায় মাকসুদ খানের মুক্তির দাবি: অপপ্রচারের নিন্দা

ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটিসহ ভোমরা স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্টস্ কর্মচারী এসোসিয়েশন, ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতি এবং হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে এক জরুরি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় এসোসিয়েশনের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিএন্ডএফ এর সভাপতি কাজী নওশাদ দেলওয়ার রাজু।

সভায় সাতক্ষীরা চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি নাসিম ফারুক খান (মিঠু) সাহেব প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে মূল্যবান দিকনির্দেশনা মূলক পরামর্শ প্রদান করেন। সভায় এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম মাকছুদ খানের পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে যে মামলা করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করা হয়। অত্র এসোসিয়েশনকে টর্চার সেল আক্ষায়িত করে গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছেন এবং এসোসিয়েশনের সাবেক দুই কর্মকর্তা যে দায়িত্বহীনতামূলক বিবৃতি প্রদান করেছেন, তার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় আমদানি-রপ্তানিতে বিরুপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন সাধারণ ব্যবসায়ীগণ। পূর্ব থেকে অত্র এসোসিয়েশনকে নিয়ে একটি কুচক্রিমহল ভোমরা স্থলবন্দরকে নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন। তারা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে স্থলবন্দরকে অস্থিতিরতায় ফেলতে চায় যাহাতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। উক্ত যৌথ জরুরি সভায় এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এ এস এম মাকছুদ খানকে ওই মামলা থেকে মুক্তির জন্য প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন তারা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়—ডা: আ.ফ. ম রুহুল হক এমপি

বিএম আলাউদ্দীন, আশাশুনি ব্যুরো:
জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়, আর ক্ষমতায় না থাকলে দেশে খুন, দুর্নীতি আর মাদকের আসর বসানো স্থান তৈরি হয়। বর্তমান সরকার সকল বয়স্কদের বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, শিক্ষা সহায়তা, গৃহহীনের গৃহপ্রদান সহ দেশের মানুষের ব্যক্তিগতভাবে অসংখ্য উপকার করেছেন। যার ফলে আমি তিন তিনবার আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে আপনাদের উপকারে উন্নয়নে কাজ করতে পেরেছি। মঙ্গলবার বিকালে আশাশুনি উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উন্নয়ন মেলা’ ২০২৩ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ডা. আ.প.ম রুহুল হক এমপি এসব কথা বলেন।

তিনি সারা দেশের ন‍্যয় সাতক্ষীরা ও সাতক্ষীরা জেলার সংসদীয় আসন-৩ এ অভাবনীয় উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সাতক্ষীরাতে অতিসত্ত্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার কার্যক্রম চলছে। তিনি আরো বলেন, আবারো নৌকা প্রতীক নিয়ে আপনাদের পাশে আসব, তখন আপনারা আমাকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন না ইনশাল্লাহ্।

‘সেবা ও উন্নতির দক্ষ রূপকার, উন্নয়নের উদ্ভাবনে স্থানীয় সরকার’ এ শ্লোগানে
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রনি আলম নূরের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস, এম আজিজুল হকের সঞ্চালনায় উন্নয়ন মেলায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী, থানা অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভুজিৎ মন্ডল, আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস, এম হোসেনুজ্জামান হোসেনসহ সকল ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান।

এ সময় কৃষি অফিসার এস এম এনামুল ইসলাম, পিআই ও মোঃ সোহাগ খান সহ বিভিন্ন দপ্তরের অফিস প্রধানগন, স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ ও বর্তমান সরকারের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার উপকারভোগীবৃন্দ। গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর তিন দিন ব্যপী উন্নয়ন মেলায় সমাপনীতে ২০টি স্টলে প্রদর্শনীতে প্রথম স্থান অধিকারী বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদ, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী উপজেলা প্রকৌশলী অফিস ও তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদকে ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সদর উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহিদ হোসেন

গত ১৮সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের নব গঠিত আহবায়ক কমিটির জরুরি বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইতোপূর্বে সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো: মিজানুর রহমানকে ০১.০৯.২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মাইনুল হাসান খান নিখিল স্বাক্ষরিত পত্রে সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের নব গঠিত আহবায়ক কমিটির আহবায়ক নির্বাচিত করেন।

যে কারণে উক্ত বর্ধিত সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে সদর উপজেলা যুবলীগের ১নং সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন কে সদর উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ত্রিশমাইলে রাস্তার ধারে মাটি ও বালি ফেলে পরিবেশ সৃষ্টির অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

আসাদুজ্জামান ঃ সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের ত্রিশমাইল এলাকায় রাস্তা সংস্কারের কাজে ব্যবহারিত বালি ও মাটি রাস্তার ধারে ফেলে রেখে যান চলাচলালে বিঘœ ঘটানোসহ সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের তালা উপজেলার ত্রিশমাইল এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

জানা যায়, সড়কের উপর বালি রেখে যান চলাচলের অনুপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ত্রিশমাইল শাখার দায়িত্বে থাকা হাসানুর রহমানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পী দত্ত রনি।

এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, এলজিইডি সাতক্ষীরার উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিনসহ অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য ঃ সোমবার রাতে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের ত্রিশমাইলের ওই স্থানেই মটর সাইকেলের চাকা পিছলে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে সাতক্ষীরার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা নিলকন্ঠ সরকার (৪৫) নিহত হন। এরপর আজ দুপুরে যান চলাচলালে অনুপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি ও সড়ক দূর্ঘটনা রোধে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হয়।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় অপসিজন তরমুজ চাষ করে অনেক বেকার যুবক  স্বাবলম্বী

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : সাতক্ষীরার দেবহাটায় অপসিজন তরমুজ চাষ করে অনেক বেকার যুবক, শিক্ষার্থী ও কৃষক স্বাবলম্বী হয়েছেন। দেবহাটা উপজেলায় প্রথমবারের মতো এই অপসিজন তরমুজের চাষ করে একদিকে যেমন বেকার ও কৃষকরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন অন্যদিকে নতুন এই কৃষি পন্য চাষে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। ঘেরের জমিতে ভেড়ির পাশে মাচান তৈরি করে এই তরমুজের চাষ করা হচ্ছে। যার কারনে বাড়তি কোন জমিরও প্রয়োজন পড়ছেনা। দেবহাটা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দেবহাটা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২টি প্রকল্পে গত ৩ মাস পূর্বে কৃষক ও বেকার যুবকদেরকে বিনামূল্যে অপসিজন তরমুজের বীজ সরবরাহ করা হয়। বীজের সাথে সাথে তরমুজের মাচান তৈরি ও সার প্রদান করাসহ সার্বিক সহযোগীতা প্রদান করা হয়। এছাড়া কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ৫টি প্রদর্শনীসহ ১০বিঘা জমিতে মোট চারটি জাতের বীজ সেগুলো হলো তৃপ্তি, ব্লাক বেবি, সুগারকুইন ও বাংলালিংক নামের বীজ প্রদান করা হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ১০০ গ্রাম থেকে ১শত ২০ গ্রাম বীজ রোপন করা যায়।

এই অপসিজন তরমুজ প্রতি কেজি ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থীরাও পড়াশুনার পাশাপাশি তাদের ঘেরের নিজস্ব জমিতে এই তরমুজের চাষে ঝুকছে। এবছর আশানুরুপ ফলন ও লাভজনক হওয়ায় আগামীতে বেশি করে এই তরমুজ চাষে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন বলে কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এবিষয়ে উপজেলার ঘলঘলিয়া গ্রামের কলেজ পড়ুয়া ছাত্র রনি ইসলাম বলেন, সে বেকার থাকায় পড়াশুনার পাশাপাশি দেবহাটা কষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ তাকে এই অপসিজন তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করে। মোস্তাক আহম্মেদের পরামর্শে সে তার নিজস্ব ১ বিঘা জমিতে অপসিজন তরমুজের চাষ করেছে। রনি জানায়, প্রথমবারের মতো তরমুজ চাষে তার ফলন খুবই ভাল হয়েছে। সে খুব খুশী এবং আগামী বছর আরো বড় করে সে এই চাষ করবে বলে জানিয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ জানান, দেবহাটা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে তিনি সার্বক্ষনিক কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন।

এই অপসিজন তরমুজ চাষের পদ্ধতি ও বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে কৃষকদেরকে অবহিত করেছেন। দেবহাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর দেবহাটা উপজেলায় এই তরমুজের আশানুরুপ ফলন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, আগামীতে আরো বৃহৎ আকারে এই তরমুজ চাষে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হবে। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়ানুর রহমান জানান, দেবহাটার ভূমি কৃষি বান্ধব। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারনে কৃষিরও পরিবর্তন হচ্ছে।নতুন নতুন এই ধরনের ফসল ফলানোর মাধ্যমেই আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। ইউএনও বলেন, সরকার কৃষকদের কল্যানে বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভাবনীমূলক কাজ করছে। আগামীতে এই এলাকার কৃষকদেরকে এই তরমুজ চাষে আরো বড় আকারে করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা প্রদান করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূল্যের এলএসডি মাদকসহ যুবক গ্রেপ্তার

আসাদুজ্জামান ঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি সীমান্ত এলাকা থেকে তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা মূল্যের তিন বোতল ভারতীয় এলএসডি (লাইসার্জিক এসিড ডাইথ্যালামাইড) মাদকসহ আতাউর রহমান ওরফে রানা নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে উপজেলার কেড়াগাছি সীমান্তের বালিয়াডাঙ্গা বাজারের তিন রাস্তার মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়
গ্রেপ্তারকৃত চোরাকারবারী আতারউর রহমান ওরফে রানা (২২) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সাতানী ঘোষ পাড়া গ্রামের মৃত আশরাফুল ইসলামের পুত্র।

পুলিশ জানায়, ভারত থেকে অবৈধ পথে কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি সীমান্ত দিয়ে ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডির একটি বড় চালান আনা হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলারোয়ার থানা পুলিশের এসআই নুর ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহল দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সীমান্তের বালিয়াডাঙ্গা বাজারের তিন রাস্তার মোড় থেকে ১০০ মিলি গ্রামের তিন বোতল ভয়ঙ্কর এলএসডি মাদকসহ চোরকারবারী আতাউর রহামানকে হাতে নাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে, এ সময় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় যশোর জেলার শার্শা থানার পারকায়বা গ্রামের আমজেদ হোসেনের পুত্র মাদক চোরাকারবারি সুজন হোসেন (২৪)। পুলিশ আরো জানায়, জব্দকৃত এলএসডি মাদকের বাজার মূল্য তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা।
তবে, গ্রেপ্তারকৃত চোরাকারবারি আতাউর রহমান জানান, উক্ত এলএসডি মাদক গুলো সে পলাতক চোরাকারবারি সুজন হোসেনের কাছ থেকে ক্রয় করেছে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত আতাউর রহমান ও পলাতক আসামী সুজন হোসেনের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‌্যালি

জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‌্যালি শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়। র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো: নজরুল ইসলাম, বিদায়ী প্রধান নির্বাহী রেজা রশিদ, জেলা পরিষদের সদস্য শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা খলিলুর রহমান প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটির সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় বধ্যভূমি স্মৃতি সৌধের স্থান নির্ধারণ ও নির্মাণে অগ্রগতির বিষয়ে বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটির সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিয়মসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাতক্ষীরার ‘৭১্এর বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরার ‘৭১্এর বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ চন্দ্র সরকার।
সদস্য সচিব অ্যাড. ফাহিমুল হকের সঞ্চলনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল অহেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজি রিয়াজ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ, সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিনিধি কল্যাণ ব্যানার্জি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মোস্তফা নূরুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. ইউনুচ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোমিন, উন্নয়নকর্মী মাধব দত্ত ছাড়াও রাজনৈতিক নেতা আশেক-ই-এলাহি, আবু কাজি, স্বপন কুমার শীল, ওবায়দুস সুলতান, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, নিত্যানন্দ সরকার, অ্যাড: ওসমান গণি, এড. খগেন্দ্র নাথ ঘোষ, সনাক সভাপতি হেনরি সরদার, এড. ইকবাল লোদী, নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক, সুরেশ পান্ডে ভূমিহীন নেতা আব্দুস সামাদ, প্রফুল্ল সরকার, মফিজুর রহমান, কালিপদ মন্ডল, ডা: সুব্রত ঘোষ, সালাউদ্দীন রানা, মকবুল হোসেন, জাসদ নেতা রুবেল প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে ২০ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে হাজার খানেক মুক্তিকামী মানুষ সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবনে আশ্রয় নেয়। পরদিন ভবন থেকে নামিয়ে পাক বাহিনী তাদের গুলি করে হত্যা করে। তাদের মরদেহ বিদ্যালয়ের পাশে দীনেশ কর্মকারের বাড়ির আঙ্গিনায় মাটি চাপা দেওয়া হয়। ওই স্থানটিতে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে একটি মহল ওই স্থানটি দখলকরে নিয়েছে। যে টুকু ফাঁকা স্থান রয়েছে তাও দখলের পায়তারা চলছে। অবিলম্ব সাতক্ষীরা শহরের ওই স্থানে স্মৃতি সৌধ নির্মাণের দাবি জানান বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজাড়িত সাতক্ষীরা শহরের সরকারি কিম্বা বেসরকারিভাবে কোনো মুক্তিযুদ্ধের কোনো স্মৃতি সৌধ নির্মিত হয়নি। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় পরবর্তী প্রজন্ম ধিক্কার দেবে। অবিলম্বে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি, কালীগঞ্জ, দেবহাটা, সাতক্ষীরা সদর, তালা ও কলারোয়ার বধ্যভূমির স্থান গুলো চিহ্নিত করে সেখানে স্মৃতি সৌধ নির্মাণের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি সাতক্ষীরা শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্বাধীনতা বিরোধীদের ধিক্কার জানানোর জন্য একটি ঘৃণা স্তম্ভ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির তার বক্তব্যে বলেন, ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা শহরের দিনেশ কর্মকারের বাড়ির আঙ্গিনায় স্মৃতি সৌধ নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় চিঠি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় সাতক্ষীরা শহরের দিনেশ কর্মকারের বাড়ির আঙ্গিনা, ঝাউডাঙ্গা, মাহমুদপুর ও হরিনগরের চারটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, অন্যান্য স্থানগুলোতেও পর্যায়ক্রমে স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করাহবে। এছাড়া তালা উপজেলার দুই স্থানে সরকারি ভাবে ইতিমধ্যে স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের ঢুকতে বিনেরপোতায় তৈরি করা হবে সাতক্ষীরা গেট। সেখানে মুক্তিযুদ্ধ, সাতক্ষীরার ইতিহাস ও ঐতিহ্য স্থান পাবে। যা দেখে সাতক্ষীরাকে চেনা যাবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি ভাবে ইতোমধ্যে ঢাকায় একটি ঘৃণা স্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ঢাকায় নির্মিত হওয়ার পর সাতক্ষীরা ঘৃণা স্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। #

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest