সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনা

ধানমণ্ডিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

দেশের খবর: নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেঁধেছে ঢাকার ধানমণ্ডিতে।

রোববার দুপুর থেকে দফায় দফায় এই সংঘর্ষ চলার মধ্যে হেলমেট পরা একদল যুবক লাঠি ও কিরিচ নিয়ে হামলা চালায় কর্তব্যরত সাংবাদিকদের উপর।

সংঘর্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে; তাদের পাশে পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সপ্তম দিন শনিবার জিগাতলায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধেছিল ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে থাকা কর্মীদের। তখন হেলমেট পরা একদল যুবক হামলা চালিয়েছিল শিক্ষার্থীদের উপর।

রোববার দুপুরে শাহবাগে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ধানমণ্ডির দিকে মিছিল নিয়ে গেলে পুলিশের বাধা পায়, তারপরই বেঁধে যায় সংঘর্ষ।

এই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের; তারা বলছে, আগের দিন হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানাতে জিগাতলায় যাচ্ছিলেন তারা।

তবে ডিএমপির রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার সাংবাদিকদের বলেন, এই শিক্ষার্থীদের শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়নি।

“কিন্তু তারা ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিকে এগোতে চাইলে তাদের বারণ করা হয়েছিল; কিন্তু তারা শোনেনি, এজন্য কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে।”

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ধানমণ্ডি দুই নম্বর সড়কে পুলিশ আটকে দেওয়ার পরপরই শুরু হয় সংঘর্ষ; এসময় পুলিশ মুহুর্মুহু কাঁদুনে গ্যাস ছুড়তে থাকে, তাদের সাঁজোয়া যানগুলোও ছিল সচল।

কাঁদুনে গ্যাসের জবাবে শিক্ষার্থীরাও ইট ছুড়তে থাকে। ঘণ্টা দুয়েক ধরে উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে দুই নম্বর সড়কে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ এক নম্বর সড়কেও ছড়িয়ে পড়ে।

এরই মধ্যে মধ্যে দুপুর ২টার দিকে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয় হেলমেট পরা একদল যুবক। তাদের হাতে ছিল কিরিচ, লাঠিসোঁটা।

এপির আলোকচিত্র সাংবাদিক এ এম আহাদকে মারধর করে তারা। ভাংচুর হয় তার ক্যামেরা। অন্য সাংবাদিকদের ধাওয়া করে তারা। সেখানে নাগরিক টেলিভিশনের গাড়িও ভাংচুর হয়।

এসময় পুলিশ থাকলেও তারা আটকায়নি এই যুবকদের।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুলিশ কর্মকর্তা মারুফ বলেন, “তারা তো পুলিশের উপর হামলা চালায়নি। আর তারা কারা, আমরা তাদের চিনি না।”

সকালে সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় একদল যুবককে মোটর সাইকেল নিয়ে মহড়া দিতে দেখা গিয়েছিল। তখন পরিস্থিতি ছিল শান্ত, শিক্ষার্থীদের অবস্থানও ছিল না সেখানে।

এদিকে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী পরীবাগ থেকে শাহবাগের দিকে অবস্থানের জন্য যেতে চাইলে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে। ওই শিক্ষার্থীরা তখন ব্যাংক এশিয়ার পাশের গলিতে ঢুকে পড়ে।

শিক্ষার্থীদের এক সপ্তাহের আন্দোলনের মধ্যে নাশকতাকারীরা ঢুকেছে দাবি করে রোববার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ সমর্থকরাও সড়কে অবস্থান নিয়েছে।

রামপুরায় বেলা পৌনে ১টার দিকে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থান নেয় একদল যুবক। মেরুল বাড্ডা থেকে রামপুরা ব্রিজের দিকে লাঠিসোঁটা নিয়ে এগোতে থাকে তারা।

রামপুরা ব্রিজের কাছে তখন স্টেট ইউনিভার্সিটি, ইমপেরিয়াল কলেজ, খিলগাঁও ওমেন্স স্কুল ও কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সড়কে অবস্থান করছিল।

ওই যুবকদের দেখে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় স্টেট ইউনিভার্সিটির সামনের গাছ ও দোকান ভেঙে লাঠি ও বাঁশ নিয়ে শিক্ষার্থীরাও অবস্থান নেয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রামপুরা সেতুর উপর পুলিশ অবস্থান নেয়।

রামপুরা থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহাবলেন, “শিক্ষার্থীদের একজন আহত হয়েছে এমন গুজবে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। গতকাল চারজন নিহত হওয়ার গুজবের কথাও বলছে তারা। আমরা তাদের লাঠিসোঁটা ফেলে রাস্তার এক প্রান্তে অবস্থান নিতে বলেছি।”

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “কেউ মারা যায়নি, যদি কেউ নিহত হয়ে থাকে, তাহলে আমি নিজের পোশাক খুলে তোমাদের সাথে অবস্থান নেব।”

রামপুরায় ইউনিফর্ম ও আইডি কার্ড ছাড়া কিছু তরুণকে এ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন গাড়ি ঘুরিয়ে দিতে দেখা গেছে। তারা রিকশা থেকেও যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের দুধারে বৃক্ষ রোপন করছে জেলা পুলিশ

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরার বাইপাস সড়কের দুই ধারে ১০ হাজার বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের আয়োজনে রবিবার সকালে শহরের অদূরে মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন বাঁকাল এলাকায় নির্মনাধীন বাইপাস সড়কের দুই ধারে এ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান নিজ হাতে এ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার) হুয়ামায়ন কবীর, সহকারী পুলিশ সুপার (তালা-পাটকেলঘাটা সার্কেল) অপু সরোয়ার, সহকারী পুলিশ সুপার (কালিগঞ্জ সার্কেল) শেখ ইয়াছিন আলী, জেলা বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমার প্রমুখ।
প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আর তাই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত ৩০ লক্ষ শহীদের স্মরনে সারা বাংলাদেশে ত্রিশ লক্ষ বৃক্ষ রোপনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন স্থানে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের ত্রিশ হাজার চারা রোপন করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পুলিশ জনগনের বন্ধু। তাই জনগণকে সাথে নিয়েই এই বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় নানা আয়োজনে ট্রাফিক সপ্তাহ পালিত

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরায় নানা আয়োজনে ট্রাফিক সপ্তাহ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রবিবার সকালে জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইন চত্ত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে খুলনা রোড মোড়ে এসে শেষ হয়। উক্ত র‌্যালীতে নেতৃত্ব দেন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো: সাজ্জাদুর রহমান। এ সময় র‌্যালিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার) হুয়ামায়ন কবীর, সহকারি পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার, সহকারি পুলিশ সুপার শেখ ইয়াছিন আলী, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমার প্রমুখ।
র‌্যালি শেষে সড়ক-মহাসড়কে নিরাপদে চলাচলের লক্ষ্যে ফিটনেন্স বিহিন অবৈধ যানবাহন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহিন চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু মামলা দায়ের করা হয়। একই সাথে যারা সঠিক কাগজপত্র ও নিয়ম মেনে গাড়ী চালাচ্ছেন তাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
পুলিশ সুপার মো: সাজ্জাদুর রহমান এ সময় বলেন, সাতক্ষীরা জেলার কোথায়ও কোন ফিটনেন্স বিহিন গাড়ী, ড্রাইভিং লাইন্সে বিহিন চালক ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালালে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘আমীর খসরুর অডিও’ : সেই কথোপকথনকারী আটক

রাজনীতির খবর: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলার মধ্যে এ সংশ্লিষ্ট বিএনপির নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ‘জড়িয়ে’ যে অডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, তার কথোপকথনকারীকে আটক করার কথা জানিয়েছেন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখা।

আজ রোববার দুপুরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কুমিল্লা থেকে ব্যারিস্টার মিলহানুর রাহমান নাউমিকে আটক করেছে ঢাকার ডিবি পুলিশ। গতকাল রাতে তাঁকে আটক করা হয়। পরে আজ তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

এদিকে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, কুমিল্লার বারেরা উপজেলার দেউরা গ্রাম থেকে নাউমিকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। নাউমি লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার অ্যাট ল ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি বিএনপি নেতার মেয়ের বন্ধু।

নাউমির বাবা সিদ্দিকুর রহমান সুরুজ জানান, নাউমি তাঁর ফুপুর বাড়িতে তাঁর চাচাতো বোনের বিয়ের দাওয়াত দিতে গিয়েছিলেন। সেখানে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

ছেলেকে নির্দোষ দাবি করে সিদ্দিকুর রহমান সবুজ জানান, নাউমি দেশে রাজনৈতিক কোনো দলের সঙ্গে জড়িত নয়। সে ছোটবেলায় পড়াশোনার জন্য বিদেশে চলে যায় এবং লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি পড়া শেষ করে গত ছয় মাস আগে দেশে আসে। বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে তাঁর চাচাতো বোনের বিয়ের দাওয়াত দেওয়ার জন্য ফোন করেছিল নাউমি। এর বাইরে যে কথাগুলো হয়েছে ফোনালাপে, সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন বলেও জানান।

নাউমির বাবা আরো বলেন, ‘তারপরও যদি সে অপরাধ করে থাকে, তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচার করা হোক। তবে তাঁর প্রতি যেন অবিচার করা না হয়।’

স্বজনরা জানান, আজই এই বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। জানা যায়, নাউমির মামা মানজুরুল আলম ও চাচা ফরিদুল রাহমানকেও আটক করেছিল পুলিশ। যদিও পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল শনিবার বিকেলে ফোনালাপটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১১টায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বাদী হয়ে নগরের কোতোয়ালি থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এক ঘণ্টার ব্যবধানে ২ সুইস বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ২৩

আন্তর্জাতিক খবর: শনিবার সুইজারল্যান্ডে এক ঘন্টার ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়েছে দুটি বিমান৷ এই দুটি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ২৩ জন। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে সুইস আল্পসে এই ঘটনা ঘটে৷ প্রথমে জঙ্গলের মধ্যে একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে একই পরিবারের ৪ জন নিহত হয়। বিধ্বস্ত অপর বিমানটিতে দুজন পাইলটসহ ১৯ জন আরোহী ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, পিজ সেগনাসের পশ্চিমে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে৷পাঁচটি হেলিকপ্টার এবং উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, দ্বিতীয় বিমান ভেঙে পড়ার এক ঘন্টা আগে নিডওয়ালডেনের ক্যান্টনে রেং এলাকায় জঙ্গলে একটি ছোট বিমান ভেঙে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় দুই শিশু এবং তাদের বাবা-মা নিহত হয়।

এদিকে, স্থানীয় জেইউ-এয়ার বিমান সংস্থা জানিয়েছে, তাদের একটি জেইউ-৫২ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ওই বিমানটিতে দুইজন পাইলট ও ১৭ যাত্রী ছিল।

সূত্র: রয়টার্স, সুইস ইনফো

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যেভাবে গতকালের জিগাতলার ঘটনার সূত্রপাত

দেশের খবর: শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঘটনার সূত্রপাত বিজিবি গেটের কাছে এক আওয়ামী লীগ নেতার গাড়ি আটককে কেন্দ্র করে। শিক্ষার্থীরা কাগজপত্র দেখতে চাইলে পেছন থেকে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী এসে তাদের মারধর করে। আর মেয়েদের গায়ে রং ছিটিয়ে দেয়। তখন মার খাওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পাশের পপুলার হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এমন ঘটনা খুব অল্প সময়ে অনলাইনে প্রচার পায় ভিন্নভাবে। সায়েন্স ল্যাব মোড়ে কয়েকজনকে ধর্ষণ এবং নিহতের কথা বলতে শোনা যায়। সাংবাদিকরা তাদের আইডি কার্ড দেখতে চাইলে তা না দেখিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যায় তারা। তারা বলে, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটকে রাখা হয়েছে। ছাত্রলীগের গুলিতে একজন নিহত হয়েছে। চার শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে। এদের একজনকে গলা কেটে ফেলে দেওয়া হয়েছে ধানমণ্ডি লেকে। আজিমপুরে ১০ জন শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ, সায়েন্স ল্যাব মোড়ে ছাত্রলীগ হামলা করেছে।

ছড়িয়ে পড়া খবর বিশ্বাস করে দুপুর ২টার পর প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী জিগাতলায় আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের দিকে এগোতে থাকে। এ সময় আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডি ৩/এ নম্বর সড়কের পার্টি অফিসের সামনে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ছোড়ে। উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ বিজিবির গেটে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। এ সময় বিজিবির সদস্যরা বাইরে বেরিয়ে এসে দুই পক্ষকে দুই দিকে পাঠিয়ে দেন।

সংঘর্ষের একপর্যায়ে নেতাকর্মীদের সরিয়ে নিতে রাস্তায় এসে দাঁড়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের কার্যালয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যান। পরে দলীয় নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। এরপর বেশ কয়েক দফা লাঠিচার্জসহ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।

দফায় দফায় সংঘর্ষ : প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দ্বিতীয় দফায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই কার্যালয় লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। দেড় ঘণ্টা ধাওয়াধাওয়ি চলতে থাকে। তখন কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলির শব্দ পায় স্থানীয় লোকজন। এ সময় কিছু যুবকের মাথায় হেলমেট দেখা যায়। তাদের একজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায়। সেখানে ইট-পাথর ছোড়াছুড়ি চলে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিকেল ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা ধানমণ্ডি-২ নম্বর সড়কের স্টার রেস্তোরাঁর দিকে সরে যায়। পরে সেখানেও ধাওয়াধাওয়ি হয়। সেখানে সড়কে দুটি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বিকেল ৫টার দিকে আম্বালা হোটেলের সামনে থেকে স্টার কাবাবের দিকে থাকা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ইট ছুড়তে দেখা যায় হেলমেট পরা ওই যুবকদের। এ সময় শিক্ষার্থীরা পাল্টা ঢিল ছুড়ছিল, তাদের কারো কারো হাতে লাঠিও দেখা গেছে। ধাওয়াধাওয়ির একপর্যায়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে বিজিবি ফটকের কাছে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনেও নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। সেখানে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সংঘর্ষের সময় কালের কণ্ঠ’র ফটো সাংবাদিক তারেক আজিজ নিশোকসহ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলা হয়। নিশোক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

সন্ধ্যার আগে আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কয়েকজন এসে পুলিশের সঙ্গে পুরো কার্যালয় ঘুরে দেখে। এরপর আওয়ামী লীগের কার্যালয়েই সংবাদ সম্মেলন করে ওই শিক্ষার্থীরা। ঢাকা আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী কাজী আশিকুর রহমান তূর্য বলেছে, ‘দুপুরে নামাজের পর হঠাৎ কিছু লোক এসে বলে, আমাদের চারজন বোনকে আর কয়েকজন ছেলেকে আওয়ামী লীগ অফিসে আটকে রাখা হয়েছে। পরে আমাদের একটি অংশ আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে চলে আসে। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ অফিসে এসে দেখলাম, এমন কিছু ঘটেনি।’

ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বলেন, ছাত্রদল আর শিবির আজকের এই ঘটনার মূল হোতা। এ সময় তিনি নীলক্ষেতে ১০ জনকে ভুয়া আইডি কার্ড বানানোর সময় পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে দাবি করেন।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ফেসবুক পেজে গতকাল বিকেলে আয়াতুল্লাহ বেহেশতি নামের একজন ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়ে একটি পোস্ট দেয়। তার ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ‘জিগাতলায় চারজন নিহত, চারজন ধর্ষিত’। এদিকে অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকেও ফেসবুক লাইভের ভিডিওতে বলতে শোনা যায়—‘আমি কাজী নওশাবা আহমেদ আপনাদের জানাতে চাই, একটু আগে জিগাতলায় আমাদেরই ছোট ভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। আপনারা সবাই একসাথে হোন। প্লিজ, ওদেরকে প্রটেকশন দেন। বাচ্চাগুলো আনসেভ অবস্থায় আছে। প্লিজ, আপনারা রাস্তায় নামেন এবং ওদের প্রটেকশন দেন। যদি সরকার প্রটেকশন দিতে না পারে তাহলে আপনারা মা-বাবা হয়ে, ভাই-বোন হয়ে বাচ্চাগুলোকে প্রটেকশন দেন। এটা আমার রিকুয়েস্ট। আমি একজন এ দেশের মানুষ, এ দেশের নাগরিক হিসেবে আপনাদের কাছে রিকুয়েস্ট করছি।…প্লিজ-প্লিজ ওদেরকে বাঁচান।’ এই স্ট্যাটাসের ব্যাপারে জানতে চাইলে কাজী নওশাবা আহমেদ সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমার তথ্য যদি ভুল হয়, আমি যার কাছে শুনেছি তার কাছে জানতে হবে!’ এরপর রাতে র‌্যাবে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। একইভাবে এ আর রিমন, আসিফ অর্কসহ আরো অনেকের আইডি থেকেও এমন গুজব ছড়াতে দেখা যায়।

গুজব শুনে গতকাল সন্ধ্যায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রগতি সরণির যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে অবস্থান নেয়। ধানমণ্ডি থানার সামনে এবং বনানীতেও সন্ধ্যার পর শিক্ষার্থীদের জড়ো হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে স্বার্থান্বেষী মহল ফয়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা শিশু-কিশোরদের মধ্যে ঢুকে পুলিশের ওপর, রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা চালাচ্ছে। তাদের আমরা শনাক্ত করছি।’

সূত্র: কালেরকণ্ঠ অনলাইন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নিরাপত্তা বাহিনী ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশের খবর: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে। তার মানে এই নয় যে তারা অরাজকতা করতেই থাকবেন, আর আমরা দৃশ্য দেখতে থাকব। মোটেই না, আমাদেরও ধৈর্যের সীমা রয়েছে। সেটা অতিক্রম করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রসঙ্গে সাংবাদিকের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ রবিবার গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট দেশব্যাপী ট্রাফিক সপ্তাহ উদ্বোধন করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি আগেও বলেছি। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে অন্য দিকে নেওয়ার প্রচেষ্টা হচ্ছে। আপনারা দেখেছেন হাজার হাজার আইডি কার্ড গলায় ঝুলানো হয়েছে। একটাও স্কুলের ছাত্র নয়, সব প্রাপ্তবয়ষ্ক।

পাশাপাশি নানা গুজব ছড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, পাকিস্তানে কী ঘটেছে, সেটা এনে এখানে দেখানো হচ্ছে। দিল্লিতে কী ঘটেছে, আমাদের ২০১৩/১৪ সালের ছবি দৃশ্য দেখাচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আর নেতাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর কমেন্টস পোস্ট করছে। এগুলো বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে তারা। আমরা বলব, তারা এগুলো পরিহার না করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

মন্ত্রী বলেন, তাদের দাবি অপূর্ণ নেই। নয়টি দাবির দুটি দাবি, যেমন আইনের কথা বলেছে সেটার সময় লাগবে, আগামীকাল সেটা কেবিনেটে উঠছে। আন্ডারপাসও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, সেটারও কাজ শুরু হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেষ মুহূর্তের গোলে বার্সেলোনার হার

খেলার খবর: সুযোগ হাতছাড়া করার উপযুক্ত জবাব পেয়েছে বার্সেলোনা। আজ রোববার ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নস কাপে এসি মিলানের সঙ্গে ১-০ গোলে হেরেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

ম্যাচের ৯২ মিনিটে আন্দ্রে সিলভার গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এসি মিলান। বার্সেলোনার এই দলে কে কে নেই, তা দেখলেই বোঝা যাবে কেন এই বার্সেলোনা অপরিচিত। দলে নেই লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ, ইভান রকিটিচ, সার্জিও বুসকেটস, জেরার্ড পিকে, উসমান ডাম্বেলে, জর্ডি আলবা, স্যামুয়েল উমতিতি ও ফিলিপ কুতিনহোর মতো খেলোয়াড়রা।

কারণ, বিশ্বকাপ-পরবর্তী সময়ে তাঁরা অবকাশে আছেন এবং বার্সায় নতুন মুখ আর্তুরো ভিদাল দলের সঙ্গে এখনো যোগ দেননি। তাই তাঁদের অনুপস্থিতিতে সান্তা ক্লারায় রোজোনেরিদের বিপক্ষে প্রধান কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে মাঠে নেমেছিলেন ব্রাজিল থেকে নতুন মুখ আর্থার ও ম্যালকমদের নিয়ে।

লেভি’স স্টেডিয়ামের এই ম্যাচটি মনে হচ্ছিল পেনাল্টির দিকে গড়াচ্ছে। কিন্তু হয়তো পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ডের মার্ক-আন্দ্রে স্টেগানদের কাটিয়ে গোলপোস্টের সামনে ফ্র্যাঙ্ক কেসির এক পাস থেকে জয়সূচক গোলটি করেন। এই জয় নিঃসন্দেহে জেনারো গাতুসোর ছেলেদের নতুন সিরি ‘এ’ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য উজ্জীবিত করবে।

অথচ সুযোগ শুরু থেকেই তৈরি করে আসছিল বার্সেলোনা। ১৯তম মিনিটে রাফিনহার একটি পাস থেকে ম্যালকম অল্পের জন্য গোল করতে পারেননি। এই সুযোগ আবার আসতে পারত যদি রেফারি রাফিনহার ওপর রড্রিগেজের সেই ডি-বক্সের মধ্যে ফাউল ধরতেন। আপিল করা সত্ত্বেও আমলে নেননি রেফারি।

আন্দ্রে সিলভার ৬৭ মিনিটে কিছু চান্স মিস করার পরও তাঁরই গোলে জিতেছে মিলান। কালহেনোগ্লু ও কেসির সহযোগিতায় ৯২তম মিনিটে গোলবারের খুব কাছ থেকে আর গোলের চান্স মিস করেননি আন্দ্রে সিলভা।

বার্সা সেভিল্লা ও সুপারকোপা দ্যা এস্পানার বিরুদ্ধে তাঁদের মূল দলের তারকা খেলোয়াড়দের সঙ্গে জয় পাওয়ার আশা করতেই পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest