সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনা

সাতক্ষীরায় পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে আটক ৫৫

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে চার মাদক মামলার আসামী ও এক জামাত কর্মীসহ ৫৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পযর্ন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু মাদক দ্রব্য।

আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৮ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৮ জন, তালা থানা ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা ৭ জন, শ্যামনগর থানা ১০ জন, আশাশুনি থানা ৫ জন,দেবহাটা থানা ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘লাইসেন্স, রুট পারমিট এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলতে দেব না’

দেশের খবর: শিক্ষার্থীদের সব দাবি যৌক্তিক বলে মনে করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তারা যে দাবি জানিয়েছে, সবগুলোই যৌক্তিক, সবগুলোই পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেব। আমরা কোনোক্রমেই লাইসেন্সবিহীন, রুট পারমিট এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি শহরে চলতে দেব না।

বুধবার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক জরুরি বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিপি, বি আর টি এ এর চেয়ারম্যান, মালিক সমিতি এবং পরিবহণ-শ্রমিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ তিনদিন ধরে ছাত্ররা লাঘাতারতারভাবে বসে আছেন। তাদের সঙ্গে আমরাও দুঃখিত। তাদের যেরকম সহপাঠী নিহত হয়েছেন, আমাদেরও ছেলে-মেয়ে নিহত হয়েছে। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় তারা যে দাবি জানিয়েছে, আমরা যেগুলো পেয়েছি, আমরা মনে করি সবই তাদের যৌক্তিক দাবি। আমরা সবই আমলে নিয়েছি।। সবগুলো দাবি বাস্তবায়নের জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

তিনি বলেন, এর মধ্যে তাদের দাবি দুই একটি যা আমাদের কাছে এসেছিল, ফিটনেসবিহীন গাড়ি যাতে চলাচল করতে না পারে। ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালক যেন গাড়ি না চালাতে পারে তার জন্য কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে, আমরা আজকে যারা মিটিংয়ে বসেছিলাম সবাই একমত, যাতে এমন গাড়ি চালাতে না পারে সে ব্যবস্থা আমরা করবো।

‘এ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দেশব্যাপী বাস-ট্রাক টার্মিনালে স্টার্টিং পয়েন্টে এ সমস্থ জিনিসগুলো চেক করবে মালিক সমিতি এবং শ্রমিক সমিতি। প্রয়োজনে প্রশাসনের লোকও গাড়িগুলো যখন টার্মিনাল থেকে বের হবে তখন চেক করবে, ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ঠিকমত আছে কি না। সেগুলো ফিট হলেই গাড়ি টার্মিনাল থেকে বের হতে পারবে, ফিট না হলে বের হতে পারবে না। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী রাস্তায় থাকবেন, যে গাড়িকে সন্দেহ করবে, তাকেই চ্যালেঞ্জ করবেন। যদি কাগজপত্র দেখাতে না পারেন সেখানেই তার ব্যবস্থা নেয়া হবে’, বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, চালকদের সচেতন করার জন্য মালিক সমিতি দায়িত্ব নিয়েছেন। গাড়ি চালকদের সচেতন করার জন্য তারা মাঝেমধ্যে টার্মিনালে যাবেন। আমরা দেখেছি, বিভিন্ন চালকরা অসম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। এগুলো আমরা দেখবো।

এসময় ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অবরোধ থেকে সরে আসার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, তোমাদের সহপাঠী নিহত হওয়ায় আমরাও ব্যথিত। তোমাদের দাবি সবই মানা হয়েছে, যারা ঘাতক, অন্যায় করেছে, আইন অনুযায়ী সর্বোচ্ছ শাস্তি তারা যাতে পায়, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা আমরা করছি। সারা শহর আজকে অচল হয়ে যাচ্ছে, এটা কারো কাম্য নয়। আমরা মনে করবো, প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা অবরোধ তুলে নেবেন।

তিনি বলেন, অভিবাবক এবং শিক্ষকদেরকে অনুরোধ করবো, আপনারা তাদেরকে অনুরোধ করুন, তারা যাতে ক্লাসে ফিরে আসে। কারণ, এতে জনদূর্ভোগ বাড়ছে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের কোনো ছাত্র-ছাত্রীরা চায় না ভাঙচুর হোক। তাদের কাম্য এটি নয়, তারা জ্বালাও-পোড়াও চায় না কিন্তু একটি স্বার্থনেসী মহল এ সুযোগে ২৯ তারিখে মোট ১৫০ টি গাড়ি, ৩০ তারিখে ২৫ টি এবং ৩১ তারিখে ১৩৪ টিসহ মোট ৩০৯ টি গাড়ি ভাঙা হয়েছে। আর গাড়ি পোড়ানো হয়েছে ৮ টি, এরমধ্যে পুলিশের ৩ টি এবং ফায়ার সার্ভিসের ১ টি গাড়ি। এটি অত্যান্ত দুঃখজনক। এই যে অবরোধ, এই যে সুযোগে স্বার্থনেসী মহল গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়ি পোড়ানোর মত কাজ করছে। আমি সেজন্য অনুরোধ করবো, ছাত্র-ছাত্রীরা অবরোধ তুলে নেবেন। আমরা দোষীদের সর্বোচ্ছ শাস্তি পায় সেজন্য সব ব্যবস্থা নেব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুই শিক্ষার্থীর প্রাণহানির মামলা ডিবি’র কাছে

দেশের খবর: রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর কোম্পানির দুটি বাসের রেষারেষির কারণে দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলাটি থানা পুলিশের কাছ থেকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে তদন্তের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতের ক্যান্টনমেন্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার আনিসুর রহমান জানান, মামলাটি এখন থেকে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম তদন্ত করবেন।
আনিসুর রহমান জানান, আজ এ মামলায় ‘মূলহোতা’ জাবালে নূর পরিবহনের চালক মাসুম বিল্লাহকে সাতদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে আগামী ৬ আগস্ট জাবালে নূর পরিবহনের বাসচালক জোবায়ের ও সোহাগ আলী এবং চালকের সহকারী এনায়েত হোসেন ও রিপন হোসেনের রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তাঁরা বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।
এদিকে আজ সকালে জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের নিবন্ধন ও ফিটনেস সনদ বাতিল করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
গত রোববার দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাস প্রতিযোগিতা করে মিরপুর থেকে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে আসছিল। এ সময় ফ্লাইওভারের শেষ দিকে, রাস্তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল একদল শিক্ষার্থী। এর মধ্যে একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নেমেই দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আহত হয় বেশ কয়েকজন।
নিহতরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম।
ওই ঘটনার পর থেকেই বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। গত মঙ্গলবার এই বিক্ষোভের জেরে রাজধানীর ঢাকা প্রায় অচল হয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহত দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ৩৩।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সেই ফয়সাল এখন হাসপাতালে

দেশের খবর: রাস্তায় বিক্ষোভ করার সময় পিকআপের নিচে পড়ে যাওয়া সেই ছেলেটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ছেলেটির নাম ফয়সাল। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সাইনবোর্ড এলাকায় প্রোঅ্যাকটিভ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে সে। হাসপাতালের ম্যানেজার ডাক্তার সালাউদ্দিন ভুইয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ফয়সালের অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন তার বাবা শামসুল হক।
ডাক্তার সালাউদ্দিন ভুইয়া জানান, ‘ফয়সালের বাম পা, হিপ জয়েন্ট ও ঠোঁটে আঘাত লেগেছে। তাকে ১২টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তার এ টি এম বাহার উদ্দিন ও এহতাশামুল হকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছে সে।’ প্রাথমিকভাবে আর কোনও তথ্য জানাতে পারেননি তিনি।
ফয়সালের বাবা শামসুল হক বলেন, ‘ফয়সাল সরকারি তোলারাম কলেজে উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে। সকালে কলেজে যাওয়ার কথা বলে সে বাসা থেকে বের হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জানতে পারি সে পিকআপের নিচে পড়েছে। আমি মতিঝিলে ছিলাম। আমাকে ফোন করে বলে ফয়সালকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে জানানো হয় তাকে সাইনবোর্ড এলাকার ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আম পরে এখানে আসি। এখন আল্লাহর রহমতে ফয়সাল আশঙ্কামুক্ত।’ ফয়সাল তার পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় বসবাস করে।
উল্লেখ্য, বুধবার (১ আগস্ট) সকাল থেকে রাজধানীর অন্যান্য জায়গার মতো শনির আখড়ায়ও আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। তারা বিভিন্ন বাস আটকে চালকদের লাইসেন্স দেখছিল। যেসব চালকের লাইসেন্স নেই তাদের গাড়ি সাইড করে রাখতে বলছিল। এ সময় রাস্তা ফাঁকা পেয়ে উল্টোপথ দিয়ে একটি পিকআপ দ্রুতগতিতে চলে আসে। শিক্ষার্থীরা সেটিকে আটকানোর চেষ্টা করে। পিকআপ চালক গাড়ি না থামিয়ে গতি আরও বাড়িয়ে দেয় এবং এক শিক্ষার্থীকে চাপা দিয়ে চলে যায়।
পুলিশের যাত্রাবাড়ী জোনের এসি ইফতেখায়রুল ইসলাম জানান, ‘যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে রাস্তা ফাঁকা পেয়ে উল্টোপথে একটি পিকআপ দ্রুতগতিতে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এ সময় এক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে পিকআপটি ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। ওই শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পিকআপের নম্বরটি সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইমরানের শপথ অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন মোদি

বিদেশের খবর: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খান দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জোট সার্কের শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা করছেন। তেমনটা হলে এ নেতাদের মধ্যে রাখা হতে পারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়ায় ইমরানকে মোদি শুভেচ্ছা জানানোর পরদিন মঙ্গলবার পিটিআইপ্রধানের এ পরিকল্পনার কথা জানান দলের এক নেতা।
পাকিস্তানের গত বুধবারের সাধারণ নির্বাচনে ১১৫ আসন পেয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে আছে ইমরানের পিটিআই। এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৩৭ আসন না পেলেও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত রাজনীতিক ও অন্য সমর্থক দলগুলোকে নিয়ে সরকার গঠনের দিকে এগোচ্ছেন ইমরান। গত সোমবার এ নেতা জানান, আগামী ১১ আগস্ট তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।
সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ফোন করে ইমরানকে শুভেচ্ছা জানান। এ ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, ‘প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির চেয়ারপারসন ইমরান খানের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাঁর দল সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে আবির্ভূত হওয়ায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘পাকিস্তানের গণতন্ত্র আরো গভীরে শিকড় গেড়ে বসবে, এমন প্রত্যাশা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গোটা অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়নের স্বপ্নের ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।’
মোদির শুভেচ্ছার জবাবে ধন্যবাদ দেন ইমরান। এ ছাড়া ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের সমাধান প্রসঙ্গে আলোচনার ওপরও জোর দেন পিটিআইপ্রধান। দুই দেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনের ব্যাপারে ইমরানকে উদ্ধৃত করে পিটিআইর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।’ সেই সঙ্গে ‘দারিদ্র্যের ফাঁদ থেকে জনগণকে মুক্ত করতে যৌথ উদ্যোগের’ কথাও বলেন ইমরান। মোদিকে তিনি বলেন, ‘সংকট সমাধানের পরিবর্তে যুদ্ধ ও রক্তক্ষয় করতে থাকলে তাতে শোক নেমে আসবে।’
মোদির সঙ্গে ইমরানের ফোনালাপের পরদিন এক পিটিআই নেতা বলেন, ‘তেহরিক-ই-ইনসাফের কোর কমিটি মোদিসহ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানোর কথা ভাবছে এবং শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ পিটিআইর এ নেতা মোদির শুভেচ্ছাবার্তাকে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় সূচনার ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।
এদিকে ইমরানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর সম্ভাবনায় না করেননি পিটিআইর মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরীও। তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনমুক্তির পর থেকে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব অব্যাহত আছে। বিভিন্ন ইস্যুতে প্রায়ই এ দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। ২০১৬ সালেও এক ইস্যুর জেরে দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বেড়ে যায়। ওই বছর ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসীদের হামলা এবং জবাবে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতের সেনাবাহিনীর ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের’ কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পিটিআই নেতা ইমরানের সঙ্গে ভারতের সরকারপ্রধানের কথোপকথন সেই উত্তেজনা নিরসন করতে পারে বলে আশা করছেন রাজনীতিকরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় তেলবাহী ট্রাকের ধাক্কায় রিপ্রেজেনটেটিভ নিহত

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : জ্বালানী পণ্যবাহি ট্রাকের ধাক্কায় মোশরাফ হোসেন (৪০) নামে এক মোটর সাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের সংগ্রাম মেডিেেকলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘাতক ট্যাঙ্কাটি পালিয়ে যায়।
নিহত মোশরাফ হোসেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেকী এলাকার শেখ আবু ইউসুফের ছেলে ও তিব্বত কোম্পানীর জ্যেষ্ঠ রিপ্রেজেনটেটিভ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান মোশাররফ হোসেন পেশাগত কাজে বুধবার পৌনে ১০টার দিকে মোটর সাইকেলে সদর হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি সংগ্রাম মেডিকেলের সামনে পৌঁছালে মজুমদার ফিলিং স্টেশনের একটি জ্বালানী পণ্যবাহি ট্রাকের তার মোটর সাইকেলের পিছন দিকে ধাক্কা মারে। এতে তিনি রাস্তার উপর পড়ে গেলে ওই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘাতক ট্রাকটি আটক করা যায়নি। নিহত মোশাররফ হোসেন তিববত কোম্পানীতে চাকুরি করেন বলে তিনি জেনেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে

দেশের খবর: বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর পথ ধরে একদিন বাংলাদেশের চন্দ্রবিজয়ের স্বপ্নও বাস্তবে রূপ নেবে বলে মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ উদ্‌যাপন এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাজীপুর ও বেতবুনিয়ায় ‘সজীব ওয়াজেদ উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্রে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
একই অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বিশ্বের সামনে বাংলাদেশ আবারও মাথা উঁচু করে দাঁড়াল।
গত ১২ মে ভোররাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে সফলভাবে উেক্ষপিত হয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। এর দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে, যার একটি গাজীপুরের জয়দেবপুরে, অন্যটি রাঙামাটির বেতবুনিয়ায়। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তাঁর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে এই দুটি উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্রের নামকরণ করা হয়েছে।
ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৪ সালের ১৪ জুন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেতবুনিয়ায় দেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। সে পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট মহাকাশে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করতে পেরেছি। মুজিব থেকে যাত্রা শুরু, সজীবের কাছে আমরা পৌঁছেছি। আমি বিশ্বাস করি, মহাকাশে আমরা পৌঁছে গেছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এর সুফল ভোগ করবে। বাংলাদেশের জনগণ এর সকল আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব। জাতির পিতা ৭ই মার্চের ভাষণে যে কথা বলেছিলেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। তাই কেউ আমাদের আর দাবায়ে রাখতে পারবে না।’
নতুন প্রজন্মের মধ্যে মহাকাশ নিয়ে আগ্রহের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সন্তানরা এখন স্পেস বিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহী হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে তাঁর সরকারের সময়ই প্রথম ডিজিটাল সিস্টেমের টেলিফোন প্রতিষ্ঠা, বেসরকারি খাতে মোবাইল ফোন, বিদ্যুৎ, টেলিভিশন, রেডিও, বিমান, হেলিকপ্টার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন ও লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথাও তুলে ধরেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নটা সারা বাংলাদেশব্যাপী। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন—এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ছাড়াও পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে পরমাণু ক্লাবে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের চাঁদে যাওয়ার স্বপ্নও একদিন বাস্তবায়ন হবে বলে মনে করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরাও একদিন চাঁদের দেশে চলে যেতে পারব। আগে চাঁদের দেশের স্বপ্ন দেখতাম। এখন চাঁদের দেশে পৌঁছানোর সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমরা আরো একধাপ এগিয়ে গেলাম। আজ বিশ্বটা আমাদের হাতের মুঠোয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি বিশ্বে। এই মর্যাদা ধরে রেখে দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই এবং আমরা তা পারব এ বিশ্বাস আমাদের আছে। বাংলাদেশ যে আজ এগিয়ে যাচ্ছে এই গতিধারাটা যেন অব্যাহত থাকে।’
সাবমেরিন কেবলে যুক্ত না হওয়ায় তখনকার বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন দুটি সাবমেরিন কেবল আছে। স্যাটেলাইট হয়ে গেল। আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষাটা আমরাই প্রথম শুরু করেছিলাম।’
সরকারের আশা, বর্তমানে বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ যে ১৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়, এ উপগ্রহের মাধ্যমে সেই অর্থ সাশ্রয় হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশের মানুষ শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে সব ধরনের উপকারিতা পাবে, যা মানুষের জীবনমানকে আরো উন্নত করবে। শিক্ষার দিকেও বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
অনুষ্ঠানে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কথা উল্লেখ করে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘গর্বেরও তো একটা বিষয় আছে। সারা বিশ্বের সামনে আমরা আরেকটি কারণে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি। আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমরা বিশ্বের সামনে বারবার বিভিন্ন কারণে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি।’
বিএনপি-জামায়াতের শাসনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বলা হতো, ‘জঙ্গিবাদী দেশ হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ এবং ‘এটা পাকিস্তান হয়ে যাচ্ছে, একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়ে যাচ্ছে’ বলে পরিচিতি দেওয়া হতো।
জয় বলেন, ‘সেখান থেকে আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে একেকটি বিষয় নিয়ে—শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরস্কার পেয়ে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম অগ্রগামী দেশ হিসেবে পরিচয় পায়।’
জয় বলেন, আধুনিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের গ্রাম-শহরের সব মানুষের সংযোগ ঘটাতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে স্যাটেলাইট ভূমিকা রাখবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর যুক্ত হন। গাজীপুর প্রান্তে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজম, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল্লাহ আল মামুন, গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারউজ্জামান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উপগ্রহ কেন্দ্রের প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান রনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইমরানের গোপন কথা ফাঁস করবেন রেহাম

বিদেশের খবর: ফের বোমা ফাটালেন রেহাম খান। শিগগিরই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান খান। এর আগেই হবু প্রধানমন্ত্রীর গোপন কথা প্রকাশ করবেন রেহাম। তিনি জানিয়েছেন, শিগগিরই তিনি ইমরানের মোবাইলের কিছু ম্যাসেজ প্রকাশ করবেন।

পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইমরান ও তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফের সমালোচনায় মুখর রেহাম খান। গত বুধবারের নির্বাচনের আগে থেকেই ইমরান এবং পিটিআইয়ের নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন তিনি। নির্বাচনের আগেই রেহাম নিজের লেখা বই প্রকাশ করেন। তাতেও ইমরানের বিরুদ্ধে নানা নেতিবাচক মন্তব্য রয়েছে।

পরপর সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রেহাম বলেন, এই নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ আছে। তার মতে, ইমরানের এই জয় আসলে ‘পাপেট শো’। ইমরান সেনার হাতের পুতুল ছাড়া আর কিছু নয়।

টুইটারে রেহাম খানের প্রায় ২০ লাখ ফলোয়ার রয়েছে মানুষ তাকে অনুসরণ করেন। সেখানেই অনেকে অভিযোগ তুলেছেন, রেহাম নাকি ইমরানের ফোন চুরি করেছেন। সেখান থেকেই ম্যাসেজ প্রকাশ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

‘দ্য হিন্দু’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রেহাম বলেন, ‘ফল কী হবে তা আমি আগেই জানতাম।’ তার মতে, নির্বাচন যদি অবাধ ও সুষ্ঠু হত, তাহলে ইমরানের জেতার কোনও প্রশ্নই উঠত না। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশসহ কয়েকটি স্থানে পিটিআই এত ভালো করা অসম্ভব। কারণ, ওই সব স্থানে পিটিআইয়ের প্রাদেশিক সরকারের কোনো জনপ্রিয়তাই নেই।

ইমরান খানকে সেনাবাহিনীর প্রার্থী বলেও উল্লেখ করেন রেহাম খান। রেহাম ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, নওয়াজ শরিফ যখন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের চালুর দিকে যাচ্ছিলেন, তখন সেনাবাহিনী হতাশ হয়েছে। তখনই নওয়াজ শরিফের বিদায়ের পথ তৈরি করতে থাকে সেনারা। আর এই সময়ে ইমরান হয়ে ওঠেন তাদের হাতের পুতুল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest