সাহিত্য ও সংস্কৃতি: নজরুল সঙ্গীতের সম্রাজ্ঞী খ্যাত ফিরোজা বেগমের ৮৮তম জন্মদিন আজ শনিবার। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথিতযশা নজরুল সঙ্গীত শিল্পী। সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে তিনি নজরুল সঙ্গীতের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন প্রতিটি নজরুল সঙ্গীত প্রেমীদের হৃদয়ে।
এদিকে ফিরোজা বেগমের জন্মদিনে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ডুডল করেছে সার্চজায়ান্ট গুগল। শনিবার প্রথম প্রহর থেকেই গুগলের হোমপেজে এ ডুডল দেখতে পাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা।
ডুডলে দেখা যাচ্ছে, মাইক্রোফোনের সামনে গান গাইছেন ফিরোজা বেগম। পরনে শাড়ি, গলায় বড় মালা আর খোপায় ফুটে উঠেছে তার চিরাচরিত প্রতিচ্ছবি।
ফিরোজা বেগম ১৯৩০ সালের ২৮ জুলাই গোপালগঞ্জের অন্তর্গত রাতইল ঘোনাপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন খান বাহাদুর মোহাম্মদ ইসমাইল এবং মা বেগম কওকাবুন্নেসা।
বাল্যকাল থেকেই তার সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগ জন্মে। তিনি ১৯৫৪ সাল থেকে কলকাতায় বসবাস করতে শুরু করেন এবং ১৯৫৫ সালে সুরকার, গায়ক ও গীতিকার কমল দাশগুপ্তের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন। তিনি ১৯৬৭ সালে ঢাকায় ফিরে আসেন এবং কমল দাশগুপ্ত ১৯৭৪ সালের ২০ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ৮৪ বছর বয়সে মারা যান ফিরোজা বেগম। এ দম্পতির রয়েছে তিন সন্তান- তাহসিন, হামিন ও শাফিন। হামিন ও শাফিন দু’জনেই রকব্যান্ড দল মাইলসের সদস্য।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ৩৮০টির বেশি একক সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন প্রখ্যাত এই সঙ্গীত শিল্পী। নজরুলসঙ্গীত ছাড়াও তিনি আধুনিক গান, গজল, কাওয়ালি, ভজন, হামদ ও নাতসহ বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীতে কণ্ঠ দিয়েছেন। জীবদ্দশায় তার ১২টি এলপি, ৪টি ইপি, ৬টি সিডি ও ২০টিরও বেশি অডিও ক্যাসেট প্রকাশিত হয়েছে।

এসময় সংসদ সদস্য তার সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরে বলেন, “আমরা সেই নেতার সৈনিক যে নেতার আদর্শ নিয়ে আমরা রাজনীতি করি। আসুন আমরা সবাই আজ থেকে শপথ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে সব ভেদাভেদ উপেক্ষা করে নৌকাকে আবারো বিজয়ী করি এবং মানবতার জননী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলায় দেখতে চাই। ” তিনি আরও বলেন, আমি এমপি হই আর না হই আমি আবারো এই বাংলাতে আমার জনম দুঃখীনী জননেত্রীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।” স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি মিলন মেলায় পরিণত হয়।
