সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passiদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবি

শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগরে অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরিক্ষার পশ্ন ফাঁস হওয়ায় ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন, দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার। গত ২৮ নভেম্বর শ্যামনগর উপজেলার প্রত্যেকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরিক্ষা শুরু হয়। গত ৩১নভেম্বর প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির অংক পরীক্ষা চলাকালীন এ রউফ মেমোরিয়াল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাসার নবম শ্রেণির ছাত্র আবু বক্করকে নকল সহ আটক করে। এসময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা শিকার করে এবং তার সহযোগী সারমিন সুলতানাসহ আরো অনেক শিক্ষার্থীর নাম প্রকাশ করে। এছাড়া কালিঞ্চি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও নূরনগর আশালতা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল সহ কয়েকজন ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে। নূরনগর আশালতার প্রধান শিক্ষক সূর্য্যকান্ত মন্ডল শিক্ষার্থী আশরাফুলকে জিজ্ঞাসা করিলে সে তার পার্শ্ববর্তী দ্যা নিউ কোচিং সেন্টারের পরিচালক আশরাফুল ইসলামের নিকট থেকে প্রশ্ন পাওয়ার কথা স্বীকার করে। গত ৩ ডিসেম্বর উপজেলা শিক্ষক সমিতির কর্মকর্তারা আশরাফুলের নিকট জিজ্ঞাসা করলে সে জানান, কাঁঠাল বাড়িয়া এ.জি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলামের শালক সাতক্ষীরা জেলা পুস্তক বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি রোকন বুক ডিপোর মালিক রোকনুজ্জামানের মাধ্যমে তিনি শুধু অংকের প্রশ্ন পেয়েছেন। উপজেলার একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নাম প্রকাশ না করার স্বর্তে বলেন শুধু মাত্র নবম শ্রেণির প্রশ্ন নয়, অধিকাংশ ক্লাসের বার্ষিক পরিক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। একাধিক অভিভাবকরা তিব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান প্রশ্ন ফাঁসের কারনে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা মেধায় মূল্যায়ন থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে, আর অমেধাবী শিক্ষার্থীরা মূল্যায়িত হচ্ছে। তারা আরো জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় প্রাইভেট শিক্ষকরা দায়ী। এ ঘটনায় প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্ব-স্ব শিক্ষকদের প্রশ্ন করার কথা থাকলেও কিছু কিছু প্রশ্ন শিক্ষকরা করেছে আর বাকি প্রশ্নগুলো শিক্ষক সমিতির মাধ্যমে নিয়ে পরিক্ষা নেওয়ার কারনে প্রশ্ন পত্র ফাঁস হচ্ছে। শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহি অফিসার আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম জানান, গত ৭ই ডিসেম্বর প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিয়ে বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। এঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম ও তারই একাডেমি সুপারভাইজারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রশ্ন পত্র ফাঁসের বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1_1নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা উন্নয়নে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে জেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোটারদের ভোট পেতে ও নেতাকর্মীদের খোজ খবর নিতে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম গণসংযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নে থেকে এ গণসংযোগ শুরু করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নজরুল ইসলাম।
এসময় তার সাথে ছিলেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এসএম শওকাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, সংগঠনিক সম্পাদক গনেশ চন্দ্র মন্ডল, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ আব্দুর রশিদ, ভোমরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান,  জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন সুজন, সাধারণ সম্পাদক শেখ এহসান হাবিব অয়ন, বৈকারি আওয়ামীলীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মোঃ মশিয়ার রহমান, মাষ্টার এনামূল কবির বাবু, মোঃ কামাল হোসেন, যুবলীগনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী সমর্থকগন। গণসংযোগকালে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে নেমেছি শুধু এ অবহেলিত অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে কাজ করার জন্য। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে বর্তমানে শেখ হাসিনার উন্নয়নের মহাট্রেন চলছে। এ উন্নয়নের মহাট্রেনে সব বগি যাতে সাতক্ষীরার প্রতিটি অঞ্চলে পৌছায় সে কাজ করে যাব। এ থেকে কেউ যাতে বঞ্চিত না হয় সেটি হবে আমার মূল লক্ষ। আপনারা আপনাদের ভোটের মাধ্যমে নেত্রীর উন্নয়নের মহাট্রেনের গতি আরো বাড়াতে সহযোগিতা করবেন। আমি বঙ্গবন্ধুর যে আর্দশ ধারন ও আওয়ামীলীগ করি এটাই আমার অনেক পাওয়া। আমার নিজের জন্য আর চাওয়া পাওয়ার নেই, শুধু আপনাদের নেত্রীর উন্নয়নের মহাট্রেনের যাত্রী করতে চাই। শুধু কথায় নয় কাজে তা প্রমাণ করতে চাই। এ জন্য আমি আপনাদের দোয়া, আর্শীবাদ, সমার্থন ও ভোট কামনা করছি। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে এ ট্রেন নিয়ে আপনাদের কাছে পৌছাব ইনশাল্লা। তিনি দেবহাটা উপজেলার সদর ইউনিয়ন, কুলিয়া ইউনিয়ন, কালিগঞ্জ উপজেলার মুথেরাশপুর ইউনিয়ন, কুশুলিয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, মেম্বরদের সাথে গণসংযোগ করেন এবং আওয়ামীলীগ ও অংগ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মত বিনিময় করেন। এ পর্যন্ত তিনি জেলার ৪৫টি ইউনিয়নে গণসংযোগ করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা কলারোয়ায় আগামী ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন দ্বিতীয় রাউন্ড-২০১৬ উপলক্ষ্যে এক ওরিয়েন্টশন ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আয়োজনে হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শান্তি মোহন ভদ্রের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতিত্বে এ সভায় বক্তব্য রাখেন থানার ওসি তদন্ত আখতারুজ্জামান, ডাক্তার মেহেরুল্লাহ, ডাক্তার জাহিদ আলম, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সদরুল আনাম, এটিএফপিপি পিষুজ ঘোষ, ব্র্যাক কর্মকর্তা সেলিম হোসেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান, নুর মোহাম্মদ প্রমুখ। উল্লেখ, আগামী ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইনে উপজেলার ২৯১ টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৬ থেকে ১২ বছরের শিশুদের খাওয়ানো হবে বলে জানা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলার ১০নং কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের ঢেপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তার স্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এ নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তারের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম খান। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের সভাপতি আব্দুস সাত্তার, ইউপি সদস্য অনন্ত কুমার, আনারুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রামপ্রসাদ দত্ত, উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের মাসুদুর রহমান,ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম,সমাজ সেবক আব্দুর রহিম,ওসমান আলীসহ স্কুলের সকল শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

kapilmuni-1
পাইকগাছা প্রতিনিধি : ৯ ডিসেম্বর! কপিলমুনির ঐতিহাসিক মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ও মার্তৃভুমির টানে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার অকুতভয় দামাল ছেলেরা। যুদ্ধকালীন সময়ে ও তার পুর্বে কপিলমুনি সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় পাক হানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস্ এবং শান্তি কমিটির দালালরা লুটপাট থেকে শুরু করে ধর্ষণ ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় নিরীহ মানুষের উপর। সেদিনকার লোমহর্ষক ও বর্বোরোচিত ঘটনার কথা আজও ভুলিনি এলাকার মানুষ। ভয়ংকর রাতের স্মৃতি আর হানাদার বাহিনীর তান্ডবলীলা এখনও প্রবীনদেরকে শিউরে তোলে। পাইকগাছা উপজেলার কপোতাক্ষের তীরবর্তী কপিলমুনির রায় সাহেবের বিশালাকৃতির বাড়ীটি রাজাকাররা সুরক্ষিত দুর্গ হিসাবে বেঁছে নিয়েছিল। মান্দাতা আমলের ঐতিহ্যবাহী এ বাড়িটিকে ঘিরে যুদ্ধের অনেক স্মৃতিচিহ্ণ আজও বহন করে চলেছে। কথিতমতে রাজাকাররা তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রাচীর বেষ্টিত দ্বিতল এ ভবনটি তাদের ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত মনে করে গড়ে তুলেছিল রাজাকার ঘাঁটি। এরা এলাকার হিন্দু ও নিরীহ লোকদের ধরে এনে তাদের নির্যাতনের কথা আজও শিহরিত। ১৯৭১ সালে ১১ জুলাই লেঃ আরিফিনের নের্তৃত্বে সরদার ফারুক আহমেদ, আবুবক্কার, শাহজাহান, মাহতাব, লতিফ, আনোয়ার, মনোরঞ্জনসহ আরোও অনেকে কপিলমুনি রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমন চালায়। রাত ৩টা থেকে পরদিন বেলা ৩টা পর্যন্ত চলে একটানা যুদ্ধ। ঐ সময় খাদ্য, পানীয় ও স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতার অভাবে প্রথমবারের অভিযানে রাজাকার ঘাটির পতন ঘটানো সম্ভব হয়নি। এরপর সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যমতে শুরু হয় নতুন পরিকল্পনা। আর এরই মধ্যে রাজাকারদের নিষ্ঠুর নির্যাতনের মাত্রা আরো বৃদ্ধি পায়। কপিলমুনি বাজারের কৃষ্ণচুড়া বৃক্ষের নীচে জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করা হতো নিরীহদেরকে। এদিকে যুদ্ধের নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনীর দক্ষিণ খুলনার সমস্ত ক্যাম্প কমান্ডারদের একত্রিত করে তাদের মতামত ও যুদ্ধের কলাকৌশল নির্ধারণ করে পুনরায় শুরু হয় যুদ্ধ। ঐ সময় চুড়ান্ত পরিকল্পনায় অংশ নেন প্রয়াত গাজী রহমত উলাহ দাদু (বীরপ্রতিক), যুদ্ধকালীন কমান্ডার স. ম. বাবর আলী, ইউনুচ আলী, শাহাদাৎ হোসেন বাচ্ছু, গাজী রুহুল আমীন, আঃ সালাম মোড়ল, আবুল কালাম আজাদসহ আরোও অনেকে। ৬ ডিসেম্বর রাতে আক্রমণ করা হয় কপিলমুনি রাজাকার ঘাটি। দফায় দফায় চলে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ। স্থানীয় প্রতাপকাটি কাঠের ব্রীজের উপর ৮জন রাজাকার, তার একটু পেছনে আরো ৫জন রাজাকার যুদ্ধে মারা যায়। একের পর এক মরতে থাকে পাক দোসর রাজাকারদলের সদস্যরা। ৭ ও ৮ ডিসেম্বর একটানা যুদ্ধের পর ৯ ডিসেম্বর সকাল ১১ ঘটিকায় ১৫৫ জন রাজাকার আতœসমর্পন করতে বাধ্য হয়। রাজাকারদের পতন ও কপিলমুনি হাইস্কুল মাঠে আতœসমর্পন এর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে চতুর্দিক থেকে জড়ো হতে থাকে জনতা। উপস্থিত জনতার সমন্বয়ে একটি গণ আদালত গঠন করে রাজাকারদের মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করা হয়। দুপুর দুটোয় এ মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে তাদের পতনের মধ্যদিয়ে মুক্ত করা হয় কপিলমুনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

head-teacher
নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রহ্মরাজপুর ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে এক সহকারী শিক্ষককে নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। জানাগেছে, গত বুধবার বার্ষিক পরীক্ষায় প্রধান শিক্ষক মুকুলের নিজের করা প্রশ্নপত্রে ৭ম শ্রেণির রচনা ও কিছু প্রশ্ন না পড়া নিয়ে স্কুল প্রাঙ্গনে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এসব নিয়ে বুধবার দুপুরে স্কুলের অফিস কক্ষে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে সব শিক্ষকের উপস্থিতিতে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে প্রধান শিক্ষক মুকুল প্রায় সব শিক্ষকের সাথে বাজে ব্যবহার ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। বৈঠকে শারীরিক শিক্ষক আবুল হাসানকে লাঞ্চিত করেন। তাকে বেশ কিছুক্ষন দাঁড় করিয়ে রাখেন ও গালিগালাজ করেন। এসব নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দেয়। এ নিয়ে রীতিমত এলাকায় হৈ চৈ পড়ে যায়। স্কুলের অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রতিবাদে বুধবার রাতেই এসএসসি পরিক্ষার্থীসহ বেশকিছু শিক্ষার্থীরা স্কুল ও ব্রহ্মরাজপুর বাজার এলাকায় মুকুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন লেখা সম্বলিত পোষ্টারিং করে। একই সাথে তারা স্কুলের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। রাতেই খবর পেয়ে মুকুলের অনুসারীরা দেয়ালে লাগানো পোষ্টার ছিড়ে ফেলেন। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে মুকুল স্কুলে এসে লোকজন নিয়ে তালা ভেঙ্গে অফিসে প্রবেশ করেন। এরপর কারা এসব ঘটনার সাথে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালান। এমনকি প্রধান শিক্ষক মুকুল ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এ,এস,আই সৈয়দ আলীকে স্কুলে ডেকে আনেন। এ,এস,আই সৈয়দ আলীর সামনে প্রধান শিক্ষক মুকুল তার অফিস কক্ষে ক্রীড়া শিক্ষক আবুল হাসানকে ভয়ভীতি দেখান। তবে এ,এস,আই সৈয়দ আলী সবকিছু শুনে বুঝে তিনি চলে যান। এসব ঘটনা নিয়ে ব্রহ্মরাজপুর এলাকায় এখন কিছুটা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ্এর আগে, ২০১৫ সালের ১৭ মার্চ স্কুলের একটি অনুষ্ঠান শুরুর এক ঘন্টা আগে আসার জের ধরে মুকুল ওই শিক্ষক আবুল হাসানকে প্রকাশ্যে মারপিট ও লাঞ্চিত করেন। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন এবং ওই শিক্ষকের বাম কানের পর্দা ফেটে যায়। এখনো তিনি ওই কানে কিছুই শুনতে পাননা বলে জানা গেছে। এ সংক্রান্ত যাবতীয় ডাক্তারী রিপোর্টও রয়েছে। সে যাত্রাই প্রধান শিক্ষক মুকুল শিক্ষক আবুল হাসানের কাছে ক্ষমা চেয়ে রেহাই পান। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক মুকুলের বিরুদ্ধে বয়স কমিয়ে অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদ, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, শিক্ষক ও অফিস সহকারী পদে নিয়োগের নামে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। প্রধান শিক্ষক মুকুলের শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের কারনে পৌরসভার ডাংপাড়া এলাকার এক যুবক অফিস সহকারীর পদ থেকে স্বেচ্ছায় চাকুরী ছেড়ে চলে গেছেন। মুকুলের কথা মত না চললে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর নেমে আসে অত্যাচারের খড়গ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্কুল শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক মুকুল সব সময় ডিজিটাল কায়দায় মাস্তানি করে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্তব্ধ করে রেখেছেন। ওই শিক্ষক এসব কর্মকান্ডের প্রতিকারের দাবি জানান। এলাকাবাসী অবিলম্বে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ক্রীড়া শিক্ষক আবুল হাসান তাকে লাঞ্চিত করার বিষয়টি স্বীকার করে জানান,্এর আগেও তাকে প্রধান শিক্ষক মুকুল প্রকাশ্যে মারপিট ও লাঞ্ছিত করে ছিলেন। এ ব্যাপারে ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান মুকুল শিক্ষক আবুল হাসানকে লাঞ্চিতের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, একটি মহল আমার ভাব মূর্তি নষ্ট করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছেন। উল্লেখ্য ঃ গত ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ব্রহ্মরাজপুর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলাম (হারু সরদার) এর ছেলে মমিনুর রহমান মুকুল ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। ইতিপূর্বে ওই শিক্ষক একই স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এ নিয়েও অনেক বিতর্ক রয়েছে। বিদ্যালয়ের অনেক সিনিয়র ও উচ্চ যোগত্য সম্পন্ন শিক্ষকদের উপেক্ষা করে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বর্তমান ব্রহ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান এস,এম শহিদুল ইসলামের বদৌলতে ও কয়েকটি মহলকে ম্যানেজ করে তিনি (মুকুল) প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভ করেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এস,এম শহিদুল ইসলাম প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান মুকুলের আপন চাচা। চাচা-ভাইপোর শলাপরামর্শে চলছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। মুকুল ব্যক্তিগত জীবনে বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। প্রধান শিক্ষক হিসাবে মমিনুর রহমান মুকুল যোগদানের পর হতে বিদ্যালয়ে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন। তার ইচ্ছামত ও পছন্দসই চলতে থাকে বিদ্যালয়। এ নিয়ে প্রায়ই স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মত পার্থক্য ও মনোমালিন্যসহ চরম দূর্ব্যবহার ও অসাদাচরন করা হয়। এসব নিয়ে সকলের মাঝে ক্ষোভ থাকলেও তার অধীনে চাকরীর কারনে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননা। এছাড়া প্রধান শিক্ষক মুকুলের নামে নাশকতাসহ একাধিক মামলা রয়েছেও রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন জামাতের সভাপতি মাওলানা ফারুক হোসাইনকে নাশকতার প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার কারেছেন শ্যামনগর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ভুরুলিয়া ইউনিয়ন থেকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক আরিফুর রহমান তাকে গ্রেপ্তার করেন। সে ভুরুলিয়া গ্রামে মৃত লুৎফর রহমান গাজীর ছেলে। শ্যামনগর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

pic-nobobjibon
নিজস্ব প্রতিবেদক : নবজীবনের উদ্দ্যোগে এবং নবজীবন ইউকে’র সার্বিক সহযোগিতায়  অসহায়, হতদরিদ্র ছাত্র-ছাত্রী এবং বিধবা মহিলাদের মধ্যে শীতকালীন ফুড প্যাকেজ বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাওয়ালখালী নবজীবন প্রি-প্রাইমারী স্কুল প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফুড প্যাকেজ বিতরণ করা হয়। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও নবজীবনের হাওয়ালখালী, কামারবায়সা, বৈকারী প্রি-প্রাইমারী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও এলাকার শতাধিক অসহায়, হতদরিদ্র ছাত্র-ছাত্রী এবং বিধবা মহিলাদের মধ্যে এই শীতকালীন ফুড প্যাকেজ বিতরণ করা হয়েছে। এ সকল ফুড প্যাকেজের মধ্যে ছিল চাল, ডাল, চিনি, আলু, সয়াবিন তৈল ও আয়োডিন যুক্ত প্যাকেট লবন। ফুড প্যাকেজ বিতরণকালে নবজীবন প্রি-প্রাইমারী স্কুলের সভাপতি ও সাবেক ইউপি মেম্বর মোহাঃ আনারুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নবজীবনের প্রজেক্ট ম্যানেজার আলমগীর হোসেন, নবজীবন স্পন্সরশীপ সেকশনের ম্যানেজার মল্লিক মোস্তফা নাহিদ হাসান, প্রোগ্রাম অফিসার আলমগীর হোসেন, সহকারী প্রোগ্রাম অফিসার আনোয়ার হোসেন, সালাহউদ্দীন বাবু, আশেকুজ্জামান খান, অভিভাবক সদস্য আবুল কাসেম, শিক্ষিকা নিলুফার ইয়াছমিন, জাহানারা বেগম, মরিয়ম খাতুন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest