সর্বশেষ সংবাদ-
Exploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগ

‘বাংলায় গণ-ধর্মান্তরের কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই’

দেশের খবর: ইতিহাসবিদ ও অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলি খান বলেছেন, বাংলায় গণ-ধর্মান্তরের কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই। গণ-ধর্মান্তরের অনুকল্প যদি ঠিক হতো, তবে স্বল্প সময়েই বাংলায় ইসলাম ধর্ম ছড়িয়ে পড়ত। কিন্তু প্রায় ৭০০ বছর লেগেছে এখানে মুসলমান প্রাধান্য স্থাপন করতে। এখানে ইসলাম প্রচারিত হয়েছে ব্যক্তিগত পর্যায়ে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে গণ-ধর্মান্তরের উদাহরণ মেলে। পাঞ্জাবে পুরো উপজাতি নব-ধর্মে দীক্ষা নিয়েছে।

শনিবার রাজধানীর জাতীয় যাদুঘর মিলনায়তনে ‘বাংলায় ইসলাম ধর্মের প্রসার: ঐতিহাসিক প্রশ্নসমূহের পুনর্বিবেচনা’ শীর্ষক একক বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন এই গুণিজন বর্ক্তৃতার আয়োজন করে।

ড. আকবর আলি খান ৬১ পৃষ্ঠার লিখিত গবেষণা পত্রের বিশেষ বিশেষ অংশ পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনির্ভাসিটির ভাইস চ্যান্সেলর পারভীন হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. আহরার আহমদ। এছাড়া ড. আকবর আলি খানের পরিচিত পাঠ করেন সাবেক সচিব আমিনুল ইসলাম ভুইয়া।

বক্তব্যের শুরুতে ড. আকবর আলি খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুদের গুরু অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক আজকে স্বাধীন বাংলাদেশে ‘জাতির গুরু’ হিসেবে নন্দিত। ত্রিশের দশকে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে যে ‘বুদ্ধির মুক্তি’ আন্দোলন শুরু হয়েছিল, অধ্যাপক রাজ্জাক ছিলেন তার শেষ আলোকবর্তিকা। দুভার্গ্যবশত বাংলাদেশ এখন উৎকর্ষেও সাধনার পরিবেশ অনুকূল নয়। আমাদের সমাজ গ্রেশামবিধির ব্যমোতে আক্রান্ত। অর্থনীতিতে গ্রেশামের সূত্র অনুসারে, বাজারে খারাপ ও ভালো মুদ্রা একসঙ্গে চালু থাকলে ভালো মুদ্রা খারাপ মুদ্রাকে তাড়িয়ে বাজার দখল করে। বাংলাদেশেও অনেকক্ষেত্রে অযোগ্য ব্যক্তিরা যোগ্য ব্যক্তিদেরকে তাড়িয়ে আসন দখল করে আছে।

বাংলায় ইসলাম ধর্মের প্রসার প্রসঙ্গে আকবর আলি খান বলেন, ১৮৭১ সালে ব্রিটিশ ভারতের প্রথম আদম শুমারি সম্পন্ন হওয়ার আগে মনে করা হতো বাংলা ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের মতো একটি হিন্দু প্রধান প্রদেশ। কিন্তু প্রথম শুমারিতে প্রমাণ হলো, বাংলার প্রায় ৫০ শতাংশ মুসলমান। বিশ্বেও ২০ কোটি মুসলামানের মধ্যে বাংলায় এককোটি ৭৬ লাখ। তিনি একটি সারণিতে ১৯০০ সালে বাংলা প্রদেশে ও মুসলিম দেশসমুহের জনসংখ্যার একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলেন, ১৯০১ সালে বাংলার মুসলমান জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২ কোটি ১৫ লাখ। অর্থাৎ পৃথিবীর মোট মুসলমানদের ১০.৭৫ শতাংশ মুসলমান বাংলাদেশে বাস করেছে। সংখ্যার বিচারে এটি ছিল এককভাবে বিশ্বের প্রথম মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশ। শুধু অটোম্যান সাম্রাজ্যের লোক সংকসংখ্যা ছিল এর চেয়ে বেশি। মিসরের মুসলামের সংখ্যা ছিল এর অধের্ক।

এ বিষয়ে উনবিংশ শতাব্দির সেরা বুদ্ধিজীবী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বঙ্কিম বঙ্গদর্শন পত্রিকায় প্রবন্ধের প্রশ্ন তুলে ছিলেন, ‘দেশীয় লোকের অর্ধেক কবে মুসলমান হইল? কেন স্বধর্ম ত্যাগ করিল? কেন মুসলমান হইল? বাঙ্গালার ইতিহাসে ইহার অপেক্ষা গুরুতর তত্ত্ব আর নাই। এরপর যেসব তত্ত্ব আবিস্কার হয়েছে, রিচার্ড এম ইটন, অসীম রায়দের তত্ত্ব খন্ডন করে আকবর আলি খান বলেন, বাংলায় পীরদের আগমনের ফলে ইসলাম প্রসারিত হয়েছে। আরব বণিকদের মাধ্যমে নয়। তিনি ৫১ জন পীরের একটি সারণি তুলে ধরে বলেন, এসব পীরদের ৮২ ভাগ মোগল শাসন প্রতিষ্ঠার আগে বাংলায় এসেছে। মাত্র ১৭ শতাংশ এসসেছে মোগল আমলে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ধর্ষণের অভিযোগে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রত্যাহার

দেশের খবর: নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জুয়েল রানাকে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে আইন মন্ত্রণালয়ের সংযুক্ত করা হয়েছে। একজন নারীর ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) তাকে ট্রাইব্যুনাল থেকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। শনিবার (২৮ জুলাই) আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে একজন নারী ধর্ষণের মামলা করেছেন। সে কারণে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। যদি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে মামলা শেষ না পর্যন্ত তিনি আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত থাকবেন।’
আইন সচিব আরও বলেন, ‘ এই বিচারকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। কোর্ট মামলা আমলে নেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আলীপুর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের আংশিক কমিটি অনুমোদন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আলীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতকাল সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক এড.ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে ৯ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি অনুমোদন দেন। কমিটির নেতৃবৃন্দরা হলেন, সভাপতি ওমর ফারুক, সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান বিপুল, সাধারণ সম্পাদক একরামুল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুল্লাহ বাহার, সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুজ্জামান লিটন, সোহানুর রহমান সোহান, প্রচার সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মাসুদুজ্জামান শাওন, সদস্য আল মামুন। এ কমিটি গঠনের পরে স্বেচ্ছাসেবকলীগের ২৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেন তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ল স্টুডেন্টস ফোরামের স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন, সংবর্ধনা ও দায়িত্ব হস্তান্তর

স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরা ল কলেজে ল স্টুডেন্টস ফোরামের স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন, সংবর্ধনা ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার রাত ৮টায় ল স্টুডেন্টস ফোরামের আয়োজনে ল কলেজের হল রুমে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

ল স্টুডেন্টস ফোরামের সভাপতি নাজমুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী শাহাব উদ্দীন সাজুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম। স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন ল কলেজের অধ্যক্ষ এড. এস এম হায়দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা পৌর মেয়র আলহাজ্ব তাজকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু।

এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক এড. সিরাজুল ইসলাম, প্রভাষক এড. অরুন ব্যানার্জী, প্রভাষক এড. নাজমুন নাহার ঝুমুর, এড. মুনির উদ্দীন, ল স্টুডেন্টস ফোরামের আ: রব পলাশ, নূর আলী, পিন্টু, জান্নাতুন নাহার সহ ল স্টুডেন্টস ফোরামের সদস্যবৃন্দ। পরে ল স্টুডেন্টস ফোরামের নব গঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দের কাছে পূর্বের কমিটির নেতৃবৃন্দ দায়িত্ব হস্তান্তর করে। নব গঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দরা হলেন সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক এস এম বিপ্লব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সুধান্য সরকার, দপ্তর সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র সরকার, অর্থ সম্পাদক রওনক বাশার, আইন বিষয়ক সম্পাদক মীর মাহমুদুর রহমান সহ নবগঠিত কমিটির সদস্যবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দলুয়া বাজারে পাটকেলঘাটার নবাগত ওসির মতবিনিময়

সমীর দাশ: সদ্য যোগদানকারী পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খলিষখালী ইউনিয়নের দলুয়া বাজারে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এলাকার আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
শনিবার পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম ( রেজা) থানার খলিষখালি ইউনিয়নের দলুয়া বাজারে সন্ধা ৭:০০ টায় এলাকার সুশিল সমাজ, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে এক মতবিনিময়ে মিলিত হয়। সভায় খলিষখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যাণ মোঃ মোজাফফার রহমান, খলিষখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পদক সমীর কুমার দাশ, পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম (রেজা) বক্তব্য রাখেন।
সভায় খলিষখালী ক্যাম্পের ইনচার্জ হাফিজুর রহমান, এ এস আই নাসির উদ্দিন, এ এস আই সুজিত বাবু, ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি নূরুল মোল্ল্যা, সম্পদক আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষক পার্টির ইউনিয়ন সম্পদক অজিত বৈদ্য, বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি/সম্পদক, বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ, কমিউনিটি পুলিশিং এর নেতৃবৃন্দ, সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ, স্হানীয় কমিউনিটির লোকজন উপস্হিত ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন একটি সময় সন্ত্রাসিরা ও নাশকতা কারীরা দেশে যে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিলো বর্তমান সরকারের দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ পুলিশ সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে, আগামীতে আবারও নির্বাচণ আসছে নির্বাচণের আগে কোন পক্ষকে অরাজকতা সৃষ্টকরার সুযোগ দেয়া হবেনা এবং আইন শৃঙ্খলা বিনষ্টকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সকলকে পুলিশকে সহযোগিতার আহব্বান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২ কোটির বেশি মানুষ হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র!

বিশ্বব্যাপী নিজের আধিপত্য ধরে রাখতে বছরে গড়ে তিন লাখ মানুষ হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। সে হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এ পর্যন্ত দুই কোটির বেশি মানুষ হত্যা করাছে দেশটি।

এ সময়ের মধ্যে দেশটি ৩৭টি দেশ বা অঞ্চলে আগ্রাসন চালিয়েছে। এই ৩৭টি দেশ বা অঞ্চলে যুদ্ধ ও দ্বন্দ্বে দুই কোটির বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী সরাসরি দায়ী।

যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতিমান গবেষক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ইতিহাসবিদ জেমস লুকাস দীর্ঘদিন গবেষণা করে এমন তথ্য প্রকাশ করেছেন। গত বুধবার তিনি এ বিষয়ে ইরানি গণমাধ্যম প্রেস টিভিকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

জেমস লুকাসের গবেষণার বরাত দিয়ে অ্যাটাক দ্য সিস্টেম ডটকমের প্রধান সম্পাদক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক কেইথ প্রেস্টনও যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন।

প্রেস টিভির খবরে বলা হয়েছে, প্রেস্টন বলেন, মার্কিন সরকার ওইসব অঞ্চলে দারিদ্র্য, অপরাধ, বর্ণবাদ ও সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে। মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই শীর্ষপর্যায়ে ছিল না, বরং দেশ ও বিদেশে ব্যাপক হারে অপরাধ ও কুকর্ম করেছে।

মানবাধিকারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র চ্যাম্পিয়ন কিংবা বিশ্বব্যাপী শান্তি ছড়াতে ভূমিকা রেখেছে- এমন ভাবা বোকামি ছাড়া কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেন প্রেস্টন। তিনি বলেন, ‘আগে আধুনিক সাম্রাজ্যবাদী ছিল ব্রিটেন, এখন সেই ভূমিকায় যুক্তরাষ্ট্র।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘জনপ্রিয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দিলে সাতক্ষীরায় নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত’

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর আসনের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রার্থী ৪ শীর্ষ নেতা একযোগে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে আবারও ঘোষণা দিলেন, তারা তাদের সর্বস্ব দিয়ে শেখ হাসিনার নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনবেন। তারা আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন অসৎ, জনবিচ্ছিন্ন কোন প্রার্থীকে তিনি নৌকার মনোনয়ন দেবেন না। সেক্ষেত্রে নেত্রী যেকোন সৎ, কর্মীবান্ধব ও জনপ্রিয় প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিলে আওয়ামীলীগের বিজয় সুনিশ্চিত।
সাতক্ষীরা পৌর ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মীসম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। শনিবার বিকালে শহরের পুরাতন মাইক্রোস্ট্যান্ডে ওয়ার্ড যুবলীগের আয়োজনে এ কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি এসএম ইউসুফ সুলতান মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম। উদ্বোধক ছিলেন জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল করিম সাবু, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওসমান গণি, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মাদ আবু সায়ীদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, জেলা তাঁতীলীগের সদস্য সচিব তুহিন, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম।
সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মনোয়ার হোসেন অনু, সাধারণ সম্পাদক তুহিনুর রহমান তুহিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য সবুর খান, আ: মুজিদ, কুখরালী আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক নূর মনোয়ার হোসেন, ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হিরন, ৭নং ওয়ার্ডে সাবেক সভাপতি ইলিয়াছ কবির, ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি মেহেদী, ৭নং ওয়ার্ডের হাসিব সরকার, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, পৌর যুবলীগের সদস্য এসকে বিপ্লবসহ আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। এ নির্বাচন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় কিছু অতিথি পাখির আগমন ঘটে। যাদেরকে ১৯৭৫’র পর আর দেখা যায়নি। তারা উড়ে এসে জুড়ে বসে হঠাৎ জনগণের নেতা হয়ে যায়। এদের থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। যারা জনগণের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পুলিশের চাকুরিতে নিয়োগ, দপ্তরীতে নিয়োগসহ বিভিন্ন চাকুরিতে নিয়োগ দিয়েছে তাদেরকে আর সাতক্ষীরার মানুষ দেখতে চায় না। যে ব্যক্তি ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামাত-শিবিরের তান্ডব শুরু হলে গোপনে সাতক্ষীরা ছেড়ে ঢাকায় গিয়ে উঠেছিলেন সে কিভাবে সাতক্ষীরার আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের হৃদস্পন্দন বুঝবে? তাকে যেন আর সাতক্ষীরবাসীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া না হয়।
বক্তারা আরো বলেন, ২০১৩ সালে বিএনপি জামাত চক্র সাতক্ষীরা জেলাকে কলঙ্কিত করেছিল। যেটা সারা দেশবাসী জানে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে দেশকে অশান্ত করে দিয়েছিল। গণতন্ত্রের কথা বলে কাছ কেটে, পেট্রোল বোমা মেরে হত্যা করেছিল শত শত মানুষ। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল অসংখ্য নেতাকর্মীর ঘরবাড়ি। এই বিএনপি জামাত কে আর বাংলার মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎসহ এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল ভেদাভেদ ভুলে জনবান্ধব নেতাদের সমর্থন করতে হবে। নির্বাচনে যাকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তার পক্ষে কাজ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রক্তাভ চাঁদ দেশে মুগ্ধ বিশ্ববাসী

বিশেষ সংবাদ: ’রক্তাভ চাঁদ’ এর মহাজাগতিক বিস্ময়ে মুগ্ধ জগতবাসী। শুক্রবার দিবাগত রাতটি ছিলো শিহরন জাগানো অভাবনীয় মহাজাগতিক রাত। ভরা পূর্নিমায় আকাশের বুকে জগতের কোটি কোটি মানুষ অবলোকন করেছেন একুশ শতাব্দীর এক বিরল আশ্চর্য দৃশ্যমালা। দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণকালে ধবল জোছনার বদলে রক্তের মতো টকটকে লাল চাঁদ ছড়িয়েছে ’রক্তাভ জোছনা’।

এই রাতটা ছিলো অন্যরকম। এক অপার্থিব অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলো বেশুমার মানুষ। সন্ধ্যাকাশে চাঁদ উদিত হওয়ার পর ঘুরতে ঘুরতে প্রবেশ করে একেবারে পৃথিবীর ছায়ার মধ্যে। অতপর গ্রহণস্পর্শ তাকে
গ্রাস করতে থাকে। টানা ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ধরে চাঁদের মুখ ঢেকে যায় সম্পূর্ণ। তার আগে ১ ঘণ্টা ৬ মিনিট ধরে চলে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। আবার পূর্ণগ্রাস হয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় আংশিক গ্রহণ, যা চলে আরও ১ ঘণ্টা ৬ মিনিট ধরে। এই দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বাংলাদেশের আকাশেও যেখানে মেঘমুক্ত ছিল সেখান থেকে অবলোকন করা গেছে।

তবে সজল সঘন মেঘমালা ছাওয়া ঢাকার আকাশে দেখা যায়নি চন্দ্রগ্রহণ। গ্রিনিচ মান সময় রাত ৮টা ২১ মিনিটে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শুরু হয় এই গ্রহণ। বিভিন্ন দেশের মানুষ রীতিমত উৎসবের আমেজে এই ব্লাডমুন দেখার আয়োজন করে।

নাসা’র তথ্য মতে,শুধু গ্রহণ হওয়াই নয়, চাঁদ সূর্যের আলো বিকিরণ করে লাল হয়ে যায়। গত প্রায় ৬০ হাজার বছরের মধ্যে দ্বিতীয় বার পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসা ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলকে রাতের আকাশে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠতে দেখা যায়। কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীকে মাঝখানে রেখে সূর্যের ঠিক উল্টো দিকে চলে যায় মঙ্গল, আর ১০০ বছরের মধ্যে যেখানে ‘উপনিবেশ’ বানানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে মানবসভ্যতার।

যদিও ‘লাল গ্রহ’ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে ৩১ জুলাই, আগামী মঙ্গলবার। সেদিন পৃথিবী থেকে মঙ্গলের দূরত্ব হবে প্রায় পাঁচ কোটি ৭৬ লক্ষ কিলোমিটার। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই একটি চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে, তবে তা আংশিক। ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি হবে আরও একটি পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। তবে তা উপমহাদেশ থেকে দেখা যাবে না। আগামী ৯ জুন ২১২৩ সালে এর থেকে বড় চন্দ্রগ্রহণ হবে। সেই সময় পৃথিবী থেকে সবথেকে দূরে থাকবে চাঁদ। এর ফলে সাধারণ দিনের থেকে চাঁদের আকার একটু ছোট হয়ে যাবে।

চাঁদের এই ছোট হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ‘মাইক্রো মুন’ বলা হয়। পৃথিবীর সব জায়গা থেকে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়নি। উত্তর ও দণি আমেরিকার মানুষ এই গ্রহণ দেখতে পারেনি। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ভারত,বাংলাদেশ,অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের কিছু দেশ থেকে দেখা গেছে চাদের এই বিস্ময়কর দৃশ্য। সবচেয়ে ভালো দেখা যায় আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং সেন্ট্রাল এশিয়া থেকে।

এর আগে এত বেশিক্ষণ ধরে চন্দ্রগ্রহণ এই শতাব্দীতে কোনও দিন হয়নি। এর আগের দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ হয় ২০১১ সালের ১৫ জুন । সেটা ১০০ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, জলবায়ু মহাশাখার প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী গতক্রার শুক্রবার রাত ১১ টা ১৩ মিনিট ০৬ সেকেন্ড গ্রহণটি শুরু হয়। শেষ রাত ২ টা ২১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড কেন্দ্রীয় গ্রহণ ঘটে। গ্রহণটির সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ১.৬১৪। গ্রহণটির সর্বশেষ পর্যায় সমাপ্ত হয় ভোর ৫ টা ৩০ মিনিটে।

ঢাকার বিজ্ঞান জাদুঘর দর্শনার্থীদের জন্য চন্দ্রগ্রহণ দেখার আয়োজন করে। রাত সাড়ে ১০টা থেকে জাদুঘর উন্মুক্ত রাখা হয়। আয়োজন করা হয় প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ও সেমিনারের।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীকে কেন্দ্র করে উপবৃত্তাকার (অনেকটা ডিমের মতো) কক্ষপথে পাক খায় চাঁদ। পৃথিবীকে এক বার পাক খেতে তার গড়ে সময় লাগে সাড়ে ২৭ দিন। এই সাড়ে ২৭ দিনের মধ্যে চাঁদ এক বার পৃথিবীর কাছে চলে আসে আর তার পরে দূরে চলে যায়। দূরত্বটা যখন সব থেকে কমে যায়, সেটাকে বলে ‘অনুভূ’ (এপিজে) অবস্থান। আর পৃথিবী ও চাঁদ যখন একে অন্যের থেকে সবচেয়ে বেশি দূরে থাকে, সেই অবস্থানকে বলে ‘অপভূ’ (অ্যাপোজে) অবস্থান।

শুক্রবার সেই ‘অ্যাপোজে’-তেই ছিলো চাঁদ ও পৃথিবী। একই সরল রেখায় ছিলো চাঁদ, সূর্য আর পৃথিবী। চাঁদ আর পৃথিবী কারওই নিজের আলো নেই। সূর্যের আলোতেই তারা আলোকিত হয়। সূর্য আর চাঁদের মাঝে তাই পৃথিবী এসে পড়লে মুখ ঢেকে যায় চাঁদের। হয় চন্দ্রগ্রহণ। চেহারায় বড় কোনও বস্তুর সামনে কোনও বস্তু এসে পড়লে ছায়ার দু’টি এলাকা তৈরি হয়-প্রচ্ছায়া আর উপচ্ছায়া। সূর্যের আলো পৃথিবীর উপর পড়লে তেমনই একটি প্রচ্ছায়া কোণ তৈরি হয়। পৃথিবীকে অতিক্রম করতে করতে কোণের মাঝামাঝি অংশ দিয়ে চাঁদ অতিক্রম করলে তখন চাঁদের গতি মন্থর হয়ে যায়। পৃথিবীকে অতিক্রম করতে বেশি সময় লাগে। তাই দীর্ঘতম হয় এই চন্দ্রগ্রহণ।

বিবিসি বাংলা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ভাষ্য উদ্বৃতি করে জানায়, সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ছুঁয়ে ছড়িয়ে যায়, সেই আলো আবার পৃথিবীতে আসার পথে অন্য সব রঙ হারিয়ে লাল রঙটি এসে আমাদের চোখে পৌঁছায়, কারণ এই রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি। আর এ কারণে চাঁদ অনেকটা ‘রক্তিম’ দেখায়, তাই এটাকে ‘ব্লাড মুন’ বলা হয়। এদিকে এই রক্তাক্ত চাঁদ নিয়ে বহু অলিক কাহিনী ছড়িয়ে আছে! বাইবেলে কেয়ামত এর অন্যতম আলামত হিসেবে বলা আছে, ‘সূর্য আলোহীন হয়ে পড়বে আর চাঁদ গাঢ রক্ত বর্ণ ধারণ করবে।

এছাড়া বিভিন্ন ডাকিনীতন্ত্রের ধর্মমতগুলো- যেমন উইকা বা আরাদিয়ার অনুসারীরা, যারা চন্দ্রদেবী ডায়নার পূজা করে থাকে তাদের জন্যে এই ব্লাড মুন বা রক্ত জোছনা খুব গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার পালনের রাত। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী এই রাতে যারা জন্ম গ্রহণকরে তারা বিশেষ আধ্যাত্মিক মতার অধিকারী হয়। হিব্রু বাইবেলের ‘বুক অফ জোয়েল’-এর বর্ণনা থেকে ব্লাড মুন বা রক্তবর্ণ চাঁদ নিয়ে বিস্তর ভবিষ্যদ্বাণী প্রচলিত। তার মধ্যে বেশির ভাগটাই প্রলয় সংক্রান্ত।

তবে এর বাইরেও কিছু অন্য বিপর্যয়ের কথা বলে লোকবিশ্বাস। রক্ত চাঁদের দিন নাকি ভ্যাম্পায়াররা প্রবল সক্রিয় হয়ে ওঠে আর এদিন তারা নতুন জীবনীশক্তি লাভ করে। গ্রিকদের ধারণা ছিলো, সূর্যগ্রহণ হচ্ছে স্রষ্টার রাগ এবং আসন্ন মৃত্যু ও ধ্বংসের পূর্বাভাস। চীনের মানুষ মনে করতো, স্বর্গীয় ড্রাগন সূর্যকে গ্রাস করে নেওয়ার ফলে সূর্যগ্রহণ হয়। ভিয়েতনামের বাসিন্দাদের ধারণা, বিশাল আকারের একটি ব্যাঙ সূর্যকে গিলে ফেলার কারণে সূর্যগ্রহণ হয়।

ইনকা সভ্যতার লোকদের বিশ্বাস ছিল যে, একটি চিতাবাঘ চাঁদকে গ্রাস করার কারণে চন্দ্রগ্রহণ হয়। চাঁদের ওপর আক্রমণ শেষ হলে সে পৃথিবীতে নেমে এসে মানুষদের ওপর আক্রমণ করবে। তাই তারা চাঁদের দিকে বর্শা তাক করে কল্পিত এই চিতাবাঘকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করতো। এমনকি আশপাশের কুকুরদের গায়ে তারা আঘাত করতো, যাতে কুকুরের আর্তচিৎকারে ঐ চিতাবাঘ ভয় পেয়ে পালিয়ে যায় এবং পৃথিবীতে আর আক্রমণ না করে।

চন্দ্রগ্রহণকে জড়িয়ে নানা কুসংস্কার রয়েছে যার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। পুরোটাই কুসংস্কার এবং অলিক ধারণা। যেমন, গ্রহণের সময় ঘরের বাইরে বেরোতে নেই, খাবার থাকলে তা ফেলে দিতে হয়, অন্তঃসত্বা নারীদের খুবই সাবধানে থাকতে হয়। কিন্তু গ্রহণ হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক বিষয়। এর সঙ্গে শুভ বা অশুভয়ের কোনো পার্থক্য নেই। শনিবার আবারো স্বাভাবিক চাঁদ আকাশ আলো জোছনা ছড়াবে।

এদিকে ইসলাম ধর্মভীরুরা চন্দ্রগ্রহণকালে সালাতুর কুসুফ পড়েন। কারণ তাদের রাসুল (সা.) গ্রহনকালে সাহাবিদের নিয়ে কুসুফ নাজাম পড়তেন। কান্নাকাটি করতেন। আল্লাহর কাছে মাফ চাইতেন। এসময় নবী (সা.) এর চেহারা ভয়ে বিবর্ন হয়ে যেতো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest