সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

দুদকের অনুসন্ধান-তদন্ত নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন

ন্যাশনাল ডেস্ক: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান ও তদন্ত নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। সর্বোচ্চ আদালতও দুদক কর্মকর্তাদের তদন্তে ব্যর্থতা ও গাফিলতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ নিজেই ক’দিন আগে কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও একাগ্রতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, রাজনৈতিক চাপ ছাড়াও নানামুখী বাধা-বিপত্তির মুখে তাদের কাজ করতে হয়। এ কারণেও তদন্ত ব্যাহত হয়।

দুদকের অনুসন্ধান প্রক্রিয়া নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন তাদের অনেকের অভিমত, পৃথিবীর কোনও দেশে মামলার আগে অনুসন্ধান করার কোনও দৃষ্টান্ত নেই। এটাও সময়ক্ষেপণ ও অপরাধীকে সুযোগ করে দেওয়ার নামান্তর।

দুদকের যেকোনও মামলার তদন্ত ছয় মাসের মধ্যে (১৮০ দিন) শেষ করার বিধান রয়েছে। কিন্তু বেসিক ব্যাংকের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির ৫৬ মামলার তদন্ত আড়াই বছরেও শেষ হয়নি। এ নিয়ে সর্বশেষ বুধবার (৩০ মে) উচ্চ আদালতে এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের ডেকে নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেন বিচারকরা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের ও দুদক আইনজীবীর বক্তব্য শুনে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছেন, ‘আপনাদের কথা শুনে লজ্জায় মুখ ঢেকে ফেলতে ইচ্ছে করছে।’ দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের বক্তব্যের মধ্যেই আদালত তাকে বলেন, ‘চার্জশিট দিচ্ছেন না কেন? এ ধরনের মামলায় আড়াই বছর লেগে গেল? তাহলে কেমনে হবে?’

গত ১৯ এপ্রিল দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে দুদকের মামলার পলাতক আসামিদের পরিসংখ্যান দেখে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুদকের মামলার অনেক আসামিই আদালতে আত্মসমর্পণ না করে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কীভাবে মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে? তাদের সাজা নিশ্চিত করতে না পারার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাদের দায়ী করে তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ, অনুসন্ধান, তদন্ত ও প্রসিকিউশনে কর্মকর্তাদের নৈপুণ্য, দক্ষতা এবং একাগ্রতার অভাবেই আসামিরা মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে দুদক কর্মকর্তাদের কাজ করতে হয়। বিশেষ করে যারা মামলার অনুসন্ধান ও তদন্ত করেন তাদের ক্ষেত্রে। রাজনৈতিক চাপ তো আছেই। পৃথিবীর কোনও দেশে মামলার আগে অনুসন্ধানের দৃষ্টান্ত নেই। এতে দুদক কর্মকর্তাদের কেউ কেউ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন। দুর্নীতিবাজরাও সুযোগ নিতে পারেন। অনুসন্ধানের নামে তাদের কি পার পাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে না? অনুসন্ধান ও তদন্তে গাফিলতি ও অদক্ষতার বিষয়টিও একেবারে অমূলক নয়।’

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব সামসুল আরেফিন অনুসন্ধান ও তদন্ত নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি কাছে। কমিশনের মহাপরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কথা বলার কোনও এখতিয়ার নাই। জনসংযোগ কর্মকর্তা এ বিষয়ে কথা বলবেন।’ কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘অনুসন্ধান ও তদন্ত নিয়ে কথা বলার কিছু নাই।’

অনুসন্ধান ও তদন্তে গাফিলতি কিংবা ব্যর্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে উচ্চ আদালতে নিয়োজিত দুদকের মামলার আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘এখানে আমি কোনও ব্যর্থতা কিংবা গাফিলতির কিছু দেখি না। মামলা তদন্তের সময় অনেক ধরনের তথ্য-উপাত্ত ও ডকুমেন্টস সংগ্রহ করতে হয়। সেজন্য অনেক ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগতেই পারে।’ বুধবার আদালতের প্রশ্নের জবাবেও দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আমরা তো চেষ্টা করছি। আদালতের প্রত্যেকটা আদেশের পর প্রত্যেক তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে বসেছি। তদন্ত কর্মকর্তাদের কোনও গাফিলতি নেই। তারপরও কোনও দুর্বলতা আছে কিনা আমরা দেখবো।’

দুদক সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন তার সামগ্রিক কার্যক্রম ছয়টি অনুবিভাগের মাধ্যমে পরিচালনা করে। অনুসন্ধান ও তদন্ত তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুবিভাগ। এই অনুবিভাগের অধীনে অনুসন্ধান ও তদন্ত-১ এবং অনুসন্ধান ও তদন্ত-২ নামে দুটি শাখা রয়েছে। দুটি শাখার মাধ্যমে অনুবিভাগের আওতাধীন ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশালের ছয়টি বিভাগীয় কার্যালয় ও ২২টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। দুর্নীতির অপরাধগুলোর বিচারকাজ প্রধানত নির্ভর করে অনুসন্ধানের ওপর।

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ১৯ ও ২০ ধারায় অনুসন্ধান ও তদন্ত সম্পর্কে দুদককে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। দুদকের সংশ্লিষ্ট শাখার হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালে তিন হাজার ৭৫৯টি অভিযোগের অনুসন্ধানের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। এরমধ্যে এক হাজার ৪৪৫টি অভিযোগের অনুসন্ধান শেষ করা হয়। অনুসন্ধান শেষে ২৭৩টি মামলা দায়ের করা হয়। নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয় এক হাজার ২৪৬টি। ২০১৭ সালের শুরুতে দুদকের হাতে দুই হাজার ৯৫টি মামলার তদন্ত কার্যক্রম বাকি (পেন্ডিং) ছিল। এরমধ্যে ওই বছর তদন্ত শেষ করা হয় ৯৬৫টি মামলার তদন্ত। আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয় ৩৮২টি মামলার। চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) দেওয়া হয় ৩১৯টি মামলার। ২৬৪টি মামলার নিষ্পত্তি করা হয় অন্যান্যভাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
একরামুল নিহতের ঘটনা তদন্ত হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ন্যাশনাল ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কাউন্সিলর একরামুল হক নিহতের ঘটনা তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। শুক্রবার (১ জুন) চ্যানেল আই ভবনে আয়োজিত ‘তেজগাঁও ওল্ড স্টুডেন্টস সোসাইটি’র ইফতার শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করব। একজন ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি তদন্ত করবেন; তিনি যদি মনে করেন ওই বন্দুকযুদ্ধে বেআইনি কিছু হয়েছে, তবে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

নিহত একরামের স্ত্রী দাবি করেছেন, তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত যে তথ্য আছে, তাতে এ ধরনের কোনও আভাস পাওয়া যায়নি। তবে একরামের স্ত্রী যেটা বলেছেন, তা আমরা তদন্ত করে দেখবো।’

মাদকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান মাদক নিয়ন্ত্রণ হলেই থামবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধে নেমেছি তা কেবলমাত্র মাদক নিয়ন্ত্রণ হলেই থামবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এ দেশে মাদক নিয়ন্ত্রণ না হচ্ছে, ততদিন অভিযান চলবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রণবীর আমার ছোটবেলার ক্রাশ!

বিনোদন ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরেই বলিউড মহলে কানাঘুষা চলছে রণবীর-আলিয়ার সম্পর্ক নিয়ে। গুজব, তাঁরা নাকি ডেটও করছেন। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনা দুজনের কেউই মেনে নেননি। দুঃখ পাওয়ার কোনও কারণ নেই মেনে না নিলেও, কারণ সম্পর্কের কথা অস্বীকারও করেননি তাঁরা। বরং তাঁদের নীরবতা অনেকটা এই জল্পনাকে ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে বলেই মনে করছেন অনেকে।

এর আগে আলিয়া প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, রণবীর তাঁর ছোটবেলার ক্রাশ। ব্রহ্মাস্ত্র ছবিতে রণবীরের সঙ্গে কাজ করতে পারাটা যেন স্বপ্নপূরণের মত, বলেছেন আলিয়া ভাট। আবার রণবীরও স্বীকার করেছেন আলিয়ার প্রতি তাঁর দুবর্লতার কথা।

পিঙ্কভিলার রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘হাইওয়ে’ অভিনেত্রীর সঙ্গে রণবীরের সম্পর্কের কথা জানতে চাওয়া হলে রণবীর বলেন, বিষয়টি এতই নতুন যে এ নিয়ে এখনই কথা বলতে চাই না। আর রণবীরের এই বক্তব্য নিয়েই সবাই মাতামাতি করছে বলিউড ফ্লিম ইন্ডস্ট্রিতে।

অয়ন মুখার্জির সুপারহিরো ছবি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’তে অভিনয় করতে গিয়ে কাছাকাছি আসেন রণবীর ও আলিয়া। যদিও নিন্দুকেরা বলছেন, প্রেমটেম কিচ্ছু না। ছবির প্রচারের জন্য এগুলো স্রেফ ভণিতা।

অয়ন মুখোপাধ্যায়ের ব্রহ্মাস্ত্র-র শুটিং শুরু হওয়ার পর থেকেই জল্পনা রণবীর-আলিয়ার সম্পর্ক নিয়ে। স্বভাবতই দর্শক মুখিয়ে রয়েছেন তাঁদের কেমিষ্ট্রির হাল জানতে। এর আগে বিগ-বির ৭৫তম জন্মদিনে ব্রহ্মাস্ত্র-র কথা ঘোষণা করেছিলেন করণ জোহার। সম্ভবত আগামি বছর ১৫ অগাস্ট মুক্তি পাবে ছবিটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১৭৪ রানেই অলআউট পাকিস্তান !

খেলার খবর: তিন পেসার জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড আর ক্রিস ওকসের সংঘবদ্ধ আক্রমণে রীতিমতো দিশেহারা পাকিস্তানী ব্যাটসম্যানরা। সঙ্গে অভিষিক্ত টম কুরানও একটু অবদান রাখলেন। হেডিংলি টেস্টে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে এই পেস দিয়েই ঘায়েল করে দিয়েছে ইংল্যান্ড। সরফরাজ আহমেদের দল গুটিয়ে গেছে ১৭৪ রানেই।

এই রানটাকেও বেশিই বলতে হবে। শাদাব খান হাল না ধরলে যে আরও বড় লজ্জায় পড়তে হতো সফরকারিদের! একটা সময় ৭৯ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা। সেখান থেকে বলতে গেলে দলকে একাই টেনে নিয়ে যান সাত নাম্বারে নামা শাদাব। ৫২ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৫৬ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে তিনিই শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন। দশ নাম্বার ব্যাটসম্যান হাসান আলীও করেন গুরুত্বপূর্ণ ২৪ রান।

হেডিংলি টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং করতে নামাই যেন কাল হয়েছে পাকিস্তানের। শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে তারা। দলের খাতায় কোনো রান যোগ না হতেই স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে জো রুটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমাম-উল-হক। এরপর আজহার আলীও বেশিদূর এগোতে পারেননি। ব্রডের দ্বিতীয় শিকার হয়ে তিনি ফিরেছেন মাত্র ২ রানে। ১৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে তখন রীতিমতো ধুঁকছে পাকিস্তান।

তৃতীয় উইকেটে অবশ্য কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন আসাদ শফিক আর হারিস সোহেল। ২৮ রান করা সোহেলকে ফিরিয়ে ৩২ রানের জুটিটি ভেঙেছেন ক্রিস ওকস। একইভাবে থিতু হয়ে আউট হয়েছেন আসাদ শফিকও। ২৭ রান করে ওকসের দ্বিতীয় শিকার তিনি।

এরপর একে একে সাজঘরে ফিরেছেন অভিষিক্ত উসমান সালাউদ্দিন (৪), সরফরাজ আহমেদ (১৪), ফাহিম আশরাফরা (৪)। ১১৩ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর হাসান আলীকে নিয়ে ৪৩ রানের একটি জুটি গড়েন শাদাব। দশম উইকেটে মোহাম্মদ আব্বাসকে নিয়ে তিনি যোগ করেন আরও ১৮ রান, যার মধ্যে আব্বাসের অবদান মাত্র ১।

ইংল্যান্ডের পক্ষে ৩টি করে উইকেট জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড আর ক্রিস ওকসের। একটি উইকেট নিয়েছেন টম কুরান।

জবাব দিনে নেমে বেশ ভালোই সূচনা করেছে ইংল্যান্ড। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিনা উইকেটেই ৫১ রান তুলে ফেলেছে স্বাগতিকরা। অ্যালিস্টার কুক ২৩ এবং কেটন জেনিংস ২৭ রানে অপরাজিত আছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাদক দেশ ও সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে- আইজিপি

ন্যাশনাল ডেস্ক: আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। এখন মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি। মাদক এবং জঙ্গিবাদ থেকে নিজেকে ও সমাজকে মুক্ত রাখার শপথ নিতে হবে। কারণ, মাদক দেশ ও সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

শুক্রবার (১ জুন) বিকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজে কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিক চরিত্র গঠন করতে হবে। অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের সন্তানদের দিকে খেয়াল রাখবেন। তাদের সময় দেবেন। তাদের ভালোমন্দের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখবেন।

আইজিপি বলেন, শুধু পাঠ্যবই পড়লেই হবে না। দেশকে জানতে হবে। দেশের মানুষকে জানতে হবে। দেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। কলেজের পরিচালক সৈয়দ মনিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান এবং কৃতী শিক্ষার্থীদের পক্ষে ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রী জেবা তাসনিয়া ইসলাম বক্তব্য দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ার কঠিন রোগাক্রান্ত শিশুটির বাঁচার প্রত্যাশা

নিজস্ব প্রতিনিধি: বয়স মাত্র দেড় বছর। কয়েক মাস আগেও যে শিশু ছিলো হৃষ্ঠপুষ্ঠ সেই শিশুকে এখন দেখলেও যে কারো হৃদয় কেদে উঠবে শিশুটির শারীরীক অবস্থা দেখে। বেচে থাকাই যেনো তার কাছে কঠিন হয়ে পড়েছে, তবে সকলের সহযোগিতায় উন্নত চিকিৎসা হলে হয়তো সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারে শিশুটি। শিশুটির নাম আবু হুসাইন। সে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার চেঁড়াঘাট গ্রামের দিনমজুর হাবিবুর রহমানের পুত্র।
দেড় বছর বয়সি হুসাইন কনিঠ রোগে আক্রান্ত। শিশুটির কান্না আর আর্তনাদ বলে দিচ্ছে- ‘সে বাঁচতে চায়।’
তাকে উন্নত চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করে তুলতে অনেক টাকার প্রয়োজন। পিতা হাবিবুর তার অবুঝ সন্তানের জন্য দেশবাসী তথা প্রধানমন্ত্রীর নিকট সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
হাবিবুর জানায়- ‘তার ছেলে স্বাভাবিক ভাবে জন্ম গ্রহন করে। জন্ম গ্রহন করার ১৮ দিন পর থেকে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়। যা একটু খায় তা মুখ দিয়ে তুলে দিতো। ঐ সময় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শেখ আবু সাঈদ শুভ সাহেবের কাছে নিয়ে যায়। উনি দেখে শুনে বলেন ওর পেটে নাড়ী জড়িয়ে গেছে, অপারেশন করতে হবে। ডাক্তারের কথা মত অনেক কষ্ট করে টাকা যোগাড় করে গত ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর অপারেশন করানো হয়। সেসময় ওর পিছনে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়। ছেলের পেটের নাভি থেকে নারি বের করে সেখান দিয়ে মল বা পায়খানা ত্যাগের ব্যবস্থা নেন চিকিৎসকরা। অপারেশন করার পর আমার ছেলে সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে যায়। কিন্ত ৫/৬ মাস যেতে না যেতেই আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ে। কোন কিছু খেতে চায়তো না। যা একটু খায় তা মুখ দিয়ে বমি করে দেয়। সারাক্ষন কান্নাকাটি করে। ছেলে ৫/৬ কেজি ওজন থেকে এখন ১/ দেড় কেজি ওজনে পরিনত হয়েছে।’
তিনি আরো জানান- ‘এ অবস্থায় সাতক্ষীরার শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শামছুর রহমান, ডা. হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন ডাক্তারের নিকট নিয়ে যায়। কিন্তু তারা আমার ছেলে চিকিৎসা দিতে চান না। খুলনা অথবা ঢাকাতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এবং বলেন ঐ ছেলেকে বাঁচাতে হলে কমপক্ষে আরো ২ বার অপারেশন করাতে হবে এবং তাতে খরচ হবে প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।’
হাবিবুরের স্ত্রী জানায়- ‘এর আগে একটি বাচ্চা হয়ে মারা গেছে। এ জন্য আমার ছেলেকে যে ভাবে হোক উন্নত চিকিৎসা দিয়ে বাঁচিয়ে তুলতে চাই।’
হাবিবুর একজন দিনমজুর। নিজের কোন জমিজায়গা নেই। অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার নির্বাহ করে। তার পক্ষে এত টাকা খরচ করে ছেলের চিকিৎসা করানো কোন ভাবেই সম্ভব না। তাই দেশের জনসাধারন তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছে তার একমাত্র ছেলেকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য আর্থিক সাহায্যের।
যদি কোন সহৃদয়বান ব্যাক্তি তার জন্য সাহায্য করতে চান তা হলে হাবিবুর তার নিজের বিকাশ একাউন্ট নং ০১৭৫৭-৪০৫৭২১ তে অর্থ পাঠানোর অনুরোধ করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাঁচামরিচ!

স্বাস্থ্য ডেস্ক: রান্নাঘরের অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হলো কাঁচামরিচ। রান্নায় বা সালাদে তো বটেই, কেউ কেউ ভাতের সঙ্গে আস্ত কাঁচামরিচ খেতেও পছন্দ করেন। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে এই কাঁচামরিচে রয়েছে নানা গুণ। কাঁচামরিচে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলি ডায়াবেটিসতো নিয়ন্ত্রণে রাখেই পাশাপাশি কাটাছেড়ার ক্ষেত্রে রক্তপাতও বন্ধ করে। তবে এখানেই শেষ নয়। রয়েছে কাঁচামরিচের আরও উপকারিতা-

১। কাঁচামরিচে থাকা ‘ক্যাপসিসিন’ নাকে রক্তপ্রবাহ সুগম করে। যা সর্দি-কাশি এবং সাইনাসের জটিলতা সারাতে উপকারী।

২। কাঁচামরিচ খেলে যে গরম অনুভূত হয় তা ব্যথা উপশম করতে অত্যন্ত কার্যকর।

৩। কাঁচামরিচে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। তাই কাঁচামরিচ ঠাণ্ডা জায়গায় রাখা উচিত। কারণ তাপ, আলো এবং বাতাসের সংস্পর্শে আসলে এই ভিটামিন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

৪। ‘এন্ডোরফিনস’ নামক রাসায়নিক উপাদান নিঃসৃত হয় কাঁচামরিচ থেকে। যা মন ভাল রাখার জন্য এনজাইম বৃদ্ধি করে।

৫। ডায়বেটিস রোগীদের জন্য কাঁচামরিচ অত্যন্ত উপকারী। কারণ তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

৬। আয়রণের প্রাকৃতিক উৎসের মধ্যে অন্যতম কাঁচামরিচ। তাই যাদের শরীরে আয়রণের অভাব রয়েছে এবং ঝাল সহ্য করতে পারেন তাদের কাঁচামরিচের উপর জোর দেওয়া উচিত। দৃষ্টিশক্তির জন্যেও কাঁচামরিচ উপকারী।

৭। কাঁচামরিচে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া রোধকারী উপাদান থাকে। ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ রোধ করতে এই উপাদানগুলি উপকারী।

৮। কাঁচামরিচে উচ্চমাত্রায় ‘বেটা–ক্যারোটিন’ নামক অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট উপস্থিত থাকে। এটা হৃদযন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

৯। কাঁচামরিচে উচ্চমাত্রায় থাকা ভিটামিন–এ হাড়, দাঁত ও মিউকাস ঝিল্লিকে শক্ত করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নলতায় ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সার্বিক সহযোগিতায় ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপির সৌজন্যে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার নলতা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ আ’লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি।
দোয়া ও ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার এমপি, প্রশাসন ও পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, আশাশুনি, দেবহাটা, নলতা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার, উন্নয়নের সরকার। আওয়ামীলীগ মানুষের জন্য রাজনীতি করে। ইতোমধ্যে নলতায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা এখন জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে গেছে। এসব উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest