সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

প্রধানমন্ত্রী কানাডা যাচ্ছেন আজ

ন্যাশনাল ডেস্ক: জি-সেভেন আউটরিচ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ বৃহস্পতিবার কানাডার উদ্দেশে দেশ ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে এই সফরে যাচ্ছেন তিনি।

সন্ধ্যায় অ্যামিরেটসের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দুবাই হয়ে শুক্রবার সকালে টরেন্টো পৌঁছবেন।

টরেনটোতে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ এবং কানাডার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক ও উপ-প্রধান প্রটোকল জোনাথন সাউভি পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।

দুই ঘণ্টা যাত্রাবিরতি শেষে প্রধানমন্ত্রী টরেন্টো থেকে কানাডার প্রাদেশিক শহর কুইবেকে যাবেন। সেখানে এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান এবং সে দেশের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কুইবেকের জ্যাঁ লেসাগে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অভ্যর্থনা জানাবেন।

সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে কানাডার গভর্নর জেনারেলের দেয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন।

প্রধানমন্ত্রী শনিবার লী ম্যানইর রিচেলিউ হোটেলে জি-৭ আউটরিচ নেতাদের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। রবিবার সকালে তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন। একই দিন তিনি কুইবেক থেকে টরেন্টোতে ফিরে আসবেন এবং সন্ধ্যায় হোটেল মেট্রোতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

প্রধানমন্ত্রী সোমবার কানাডার মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত বব রে’র সঙ্গে বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থানস্থল হোটেল রিজ কার্লটনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

শেখ হাসিনা সাসক্যাচেওয়ান প্রদেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বাণিজ্য ও রফতানি উন্নয়ন মন্ত্রী গর্ডন ওয়েন্ট কিউসি, অভিবাসনমন্ত্রী জেরেমি হ্যারিসন ও সাসক্যাচেওয়ান প্রদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

টরেন্টো ত্যাগের আগে প্রধানমন্ত্রী তার হোটেল কক্ষে কমার্সিয়াল কর্পোরেশন অব কানাডার (সিসিসি) প্রেসিডেন্ট ও সিইও মার্টিন জেবলকের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী দুবাই হয়ে দেশে ফিরবেন।

শেখ হাসিনা জি-৭ দেশগুলোর এই শীর্ষ সম্মেলনে ১৬টি দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগ দেবেন। এটি বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর একটি প্লাটফর্ম। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে এই প্লাটফর্ম গঠিত।

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট এবং জি-২০’র সভাপতি মাউরিকো ম্যাকরি, হাইতির প্রেসিডেন্ট ও ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির সভাপতি জোভেনেল মইসি, জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী এ্যান্ড্রিউ হোলনেস, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহরো কেনিয়াত্তা, মার্শাল আইল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট হিলদা হেইনি, নওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট ও আফ্রিকান ইউনিয়নের সভাপতি পল ক্যাগামি, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল, সিসিলির প্রেসিডেন্ট ড্যানি ফেউরি, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা, ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট নগুয়েন জুয়ান পুউচ, ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন ল্যাগারডি, ইকোনমিক কো-অপারেশন ও ডেভেলপমেন্ট সংস্থার মহাসচিব জোসে এ্যাঞ্জেল গুরিয়া, জাতিসংঘের মহাসচিব এন্টিনিউ গুতেরেস এবং বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টালিনা গিউরগিভা সম্মেলনে যোগ দেবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস আজ

ন্যাশনাল ডেস্ক: ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আজ। বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামী একটি দিন। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়। এ দিনটি বাংলার স্বাধিকার আন্দোলনকে স্পষ্টত নতুন পর্যায়ে উন্নীত করে। আর এ ছয় দফার মধ্য দিয়েই বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। ছয় দফা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১১ দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সর্বশেষ বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাসখন্দ চুক্তিকে কেন্দ্র করে লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ছয় দফা উত্থাপন করেন এবং পরদিন সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে যাতে এটি স্থান পায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু ওই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর এ দাবির প্রতি আয়োজক পক্ষ থেকে গুরুত্ব প্রদান করা হয়নি। তারা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে। প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগ না দিয়ে লাহোরে অবস্থানকালেই ছয় দফা উত্থাপন করেন। সেদিন পাকিস্তানের তত্কালীন সেনাশাসক জেনারেল আইয়ুব খান অস্ত্রের ভাষায় ছয় দফা মোকাবেলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ছয় দফার সমর্থনে ১৯৬৬ সালের ১৩ মে আওয়ামীলীগ আয়োজিত পল্টনের জনসভায় ৭ জুন হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মাসব্যাপী ছয় দফা প্রচারে ব্যাপক কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। ৭ জুন তেজগাঁওয়ে বেঙ্গল বেভারেজের শ্রমিক সিলেটের মনু মিয়া পাকিস্তান স্বৈরশাসকের গুলিতে প্রাণ হারান। এতে বিক্ষোভের প্রচণ্ডতা আরও বাড়ে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয় শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের আন্দোলন।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বঙ্গবন্ধুর সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ৬-দফা একটি অন্যতম মাইলফলক।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুণ্ন রাখতে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ জুন এক অবিস্মরণীয় দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬-দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়। তিনি ঐতিহাসিক ৭ জুনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

কর্মসূচি : ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আওয়ামীলীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সূর্যোদয়ের সময়ে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আমেরিকান মুসলিমদের বাদ দিয়ে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রথম ইফতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে হোয়াইট হাউসে এবারই প্রথম ইফতার আয়োজন করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু আমেরিকান মুসলিমদের কয়েকটি সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়ে তাতে উপস্থিত হয়নি। অনেকেই হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। তবে উপস্থিত হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের প্রতিনিধিরা।

নিয়মিতই মুসলিমবিরোধী কথাবার্তা বলে আসা ট্রাম্প ইফতার আয়োজন করেছিলেন স্ট্যাট ডাইনিং রুমে। ইফতারে ট্রাম্প ‘শান্তি ও ন্যায়বিচারের’ জন্য প্রার্থনা করেছেন।

রমজানের তাৎপর্য তুলে ধরে মধ্যপ্রাচ্যে সহযোগিতার আহ্বানকে পুনরায় মনে করিয়ে দেন ট্রাম্প। বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলেই কেবল আমরা সবার জন্য নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ অর্জন করতে পারব।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এই কারণে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম সফর মুসলিম বিশ্বের প্রাণকেন্দ্রে হওয়াতে আমি গর্বিত। সেখানে আমি পঞ্চাশটিরও বেশি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নেতাদের সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছি। এটা ছিল অনেক বড় বিষয়।

ইফতারকে বিশ্বের অন্যতম মহান ধর্মের পবিত্র ঐতিহ্য উল্লেখ করে ট্রাম্প মহানুভবতা ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করেন।

ট্রাম্প যখন হোয়াইট হাউসের ভেতরে এই বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন বাইরে বেশ কয়েকটি মুসলিম সংগঠন প্রতিবাদে নিজেরাই ইফতার আয়োজন করে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যে সহযোগিতা ও সংহতি আমরা গত এক বছরে অর্জন করেছি তা আরও গভীর হয়েছে। অনেক বৈঠক হয়েছে, এমনকি ওভাল অফিসেও। আমরা অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছি।

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইফতারে যোগ দিয়েছেন মূলত বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিক ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ভাষণ শেষে ইফতারে হাজির হওয়া সৌদি দূত প্রিন্স খালিদ বেন সালমান ও জর্ডানের রাষ্ট্রদূত দিনা কওয়ারের টেবিলে যান ট্রাম্প। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতও।

ইফতারে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, তিউনিসিয়া, কাতার, বাহরাইন, মরোক্কো, আলজেরিয়া, লিবিয়া, কুয়েত, গাম্বিয়া, ইথিওপিয়া, ইরাক ও বসনিয়ার প্রতিনিধিরা।

ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সসহ ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য ইফতারে উপস্থিত ছিলেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, আমি মনে করি ইফতারে ৩০-৪০ জন উপস্থিত হয়েছিলেন।

কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স-এর এক পরিচালক রাবর্ট ম্যাকাউ বলেন, একবছর ইফতার আয়োজন না করে মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, কঠোর যাচাই প্রক্রিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমদের ওপর নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। প্রশাসনের এই ভণ্ডামি আমরা তুলে ধরতে চাই। এতো কিছু পরও আমরা বন্ধু বলে দেখাতে হবে?

যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সংগঠনগুলো বুধবার জানিয়েছে তাদের ইফতারে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ইসনা’র আন্তঃধর্মীয় পরিচালক কলিন ক্রিস্টোফার বলেন, দুর্নীতিবাজ দেশের প্রতিনিধি, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ যেসব দেশ নিজেদের নাগরিকদের ওপর বৈষম্য ও অবিচার চালাচ্ছে; তাদেরকেই আমন্ত্রণ জানাতে চায় হোয়াইট হাউস তাহলে এখন হোয়াইট হাউস প্রশাসনের সঙ্গেই যায়।

ইফতার শেষে অনেক সাংবাদিক টুইটারে লিখেছেন, প্রার্থনায় নেতৃত্ব দেওয়া ইমাম ছাড়া আমন্ত্রিতদের মধ্যে কোনও আমেরিকান মুসলিম ছিলেন না। এমনকি রিপাবলিকান ও ট্রাম্প সমর্থক মুসলিম গোষ্ঠীগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমেরিকান মুসলিমস ফর ট্রাম্প নামের সংগঠন সিএনএনকে জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস শুধু মুসলিম রাষ্ট্রদূত ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুক্তির আগেই প্রশংসিত ‘পোড়ামন ২’

বিনোদন ডেস্ক: নবাগত সিয়াম আহমেদ ও পূজা চেরি অভিনীত ‘পোড়ামন ২’ বুধবার বিনা কর্তনে সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। ছবিটির প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পোস্টার, টিজার, ট্রেলার ও গান দিয়ে ছবিটি এরইমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে।

ছবিটি দেখার পর প্রিভিউ ও সেন্সর বোর্ডের সদস্যরাও ছবির ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। ‘পোড়ামন ২’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফী। ছবিতে পাঁচটি গান থাকছে। সিয়াম-পূজা ছাড়াও অভিনয় করছেন বাপ্পারাজ, ফজলুর রহমান বাবু, সাইদ বাবু, আনোয়ারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ১৫ মে থেকে শুরু মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রায় ১৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আটক হয়েছেন ১৩ হাজার। সরকার মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান ঘোষণার পর এই হত্যাকাণ্ড বেশি হচ্ছে।

জায়েদ রাদ আল হোসেন বলেন, ‘এত মানুষকে হত্যার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আর সরকার বলছে, নিহতরা কেউই নির্দোষ নয়। বিশাল এই অভিযানে ভুল হতেই পারে।’ সরকারের এমন বক্তব্য খুবই বিপজ্জনক ও আইনের প্রতি অসম্মান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ মাদক সেবন বা বিক্রির কারণে মানবাধিকার হারাতে পারে না। নির্দোষদের রক্ষা করে দোষীদের আইনের আওতায় এনেই অপরাধ দমন করতে হবে।’

শত শত আটকের ঘটনায় জায়েদ রাদ আল হোসেন বলেন, ‘এত মানুষকে আটক করলে বোঝাই যাচ্ছে, অনেককে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে আটক করা হয়নি। অনেকেই মানবাধিকারবঞ্চিত হয়েছেন।’

মানবাধিকার হাইকমিশনার বাংলাদেশ সরকারকে ‘বিচারবহির্ভূত’ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘মাদক নিয়ন্ত্রণের নামে যেন মানবাধিকার লঙ্ঘন করা না হয়। গত সপ্তাহে জেনেভায় আমাকে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রীর আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের’ বিষয়ে তদন্ত করা হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তিনি এই ঘটনায় স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানান।

জায়েদ রাদ আল হোসেন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের বস্তিতে বসবাসকারীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া যারা অসুস্থতার জন্য ওষুধ খান, তাদেরও মাদক সেবক আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনও সন্দেহ নেই মাদকের এই মাত্রা খুবই বিপজ্জনক। তবে বিচারবহির্ভূত হত্যা, আটক এই সমস্যার সমাধান হতে পারে না। আমি জাতীয় মাদকবিরোধী কমিটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযয়ী একটি নীতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই।’

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বাংলাদেশের প্রশংসা করা উচিত উল্লেখ করে জায়েদ রাদ হোসেন বলেন, ‘সারাবিশ্বের কাছে তারা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মানবাধিকার বিষয়েও আমি সেই সম্মান অর্জনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার ভারতকে সাত উইকেটে হারাল বাংলাদেশ

খেলার খবর: মেয়েদের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের পর এবার ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে চলমান এই টুর্নামন্টে বুধবার ভারতকে সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৪১ রান করে ভারত। জবাবে দুই বল বাকি থাকতেই মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাঘিনীরা। ভারতের বিপক্ষে ১০ টি-টোয়েন্টি ও ৪ ওয়ানডে ম্যাচ খেলার পর এবার প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ নারী দল।
বাংলাদেশের মেয়েদের এটিই টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে তাদের সর্বোচ্চ রান ছিল কেবল ১৩৭। আর রান তাড়ার দিক থেকে বাংলাদেশের আগের রেকর্ড ছিল মাত্র ৯৫ রানের। তাই আগের সব রেকর্ডই এবার ভেঙে দিয়েছেন ফারজানা-শামীমা-রুমানারা।
ফারজানা ও রুমানা চতুর্থ উইকেটে ৯৩ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন থেকেছেন। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের মেয়েদের এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। ফারজানা টি-টোয়েন্টিতে মেয়েদের সর্বোচ্চ ৫২ রানের রেকর্ড ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪৬ বলে এই রান করেন তিনি।
বল হাতে ৩ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতে ৩৪ বলে ৬টি চারের মারে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন রুমানা। এছাড়া ওপেনার শামীমা ২৩ বলে ৭ চারে করেন ৩৩ রান।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সদর উপজেলা যুবলীগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বুধবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলা যুবলীগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চত্বরে সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীলা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. সাহজাহান আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আবু সায়ীদ, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু, সাধারণ সম্পাদক তুহিনুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের যুবলীগ নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানগণ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাদকবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমর্থন

ন্যাশনাল ডেস্ক: সরকারের চলমান মাদকবিরোধী অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দল।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বুধবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের এক সভা শেষে এ সমর্থনের কথা জানান।
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের মত মাদকবিরোধী অভিযানের মত সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাদক দেশের তরুণ সমাজ থেকে শুরু করে নারী ও শিশুদেরও ধ্বংস করছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ সরকারের মাদক বিরোধী অভিযানের প্রসংশা করছে। কেন্দ্রীয় ১৪ দলও সরকারের মাদক বিরোধী অভিযানকে পূর্ণ সমর্থন দান করেছে।
মাদক দ্রব্য পুরোপুরী নিয়ন্ত্রণে আসার আগ পর্যন্ত এ অভিযান চলবে উল্লেখ করে নাসিম বলেন, সরকারের যে মাদক বিরোধী অভিযান চলছে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সে অভিযান চলবে।
সরকারের মাদক বিরোধী অভিযানকে সফল করতে দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
এ সময় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান এমপি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, গণ-আজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আতাউল্লাহ খান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের আহবায়ক রেজাউর রশিদ খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ড. শাহদাত হুসেইন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সামরিক বাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে থাকে। নির্বাচন কমিশন যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে তারা আইন অনুযায়ী নিয়োজিত থাকবে।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আগামী ৭ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যাণে ভারতের আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট অর্জনসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য সফলতার জন্য আওয়ামী লীগ তাঁকে গণসংবর্ধনা দেবে কেন্দ্রীয় ১৪ দল সে সংবর্ধনায় অংশ নেবে।
তিনি বলেন, এছাড়াও আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের নবনির্মিত দলীয় কার্যালয় উদ্ধোধন করবেন। সে অনুষ্ঠানেও যোগ দেবে কেন্দ্রীয় ১৪ দল।
ভারতের আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান নাসিম।
এর আগে গণ-আজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদারের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরিচালনা করেন মোহাম্মদ নাসিম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest