সর্বশেষ সংবাদ-
চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভা

কলারোয়ার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি: কমিউনিটি ক্লিনিকের ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জেন কার্যালয়ের সহযোগিতায় ২৬এপ্রিল বৃহষ্পতিবার সকাল থেকে কলারোয়া উপজেলার ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালী, আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন কর হয়। র‌্যালী পার্শ্ববর্তী এলাকা পরিদর্শন করে আর ক্লিনিক চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘শেখ হাসিনার অবদান, কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ’- স্লোগানে প্রান্তিক গ্রামীন জনগোষ্ঠির প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে নিবেদিত আছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) গণ। প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, স্বাস্থ্য পরামর্শ ও সরকার প্রদত্ত ঔষধ প্রদানসহ অন্যান্য সেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌছে দিচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিকগেুলো। সিএইচসিপিরা বর্তমান সরকারের জনকল্যানমুখি স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকান্ড তুলে ধরতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
উপজেলার হিজলদী, কাদপুর, বয়ারডাঙ্গা, জালালাবাদ. দমদম, পানিকাউরিয়া, নাকিলা, সিংগাসহ বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে রালী ও আলোচনার সভার মাধ্যমে ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।
হিজলদী কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি শেফালী খাতুনের পরিচালানয় ও ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এফডব্লিউএ ফেরদৌসী খাতুন, সমাজসেবক শহিদুল ইসলাম, সার্ভিস ম্যান রিনা খাতুন, শিরিনা পারভীন প্রমুখ।
সিংগা কমিউনিটি ক্লিনিকের অনুষ্ঠানে সিএইচসিপি আমজাদ হুছাইনের পরিচালনায় ও ইউপি সদস্য ওসমান গণির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কলারোয়া হাসপাতালের স্যানেটারি ইন্সপেক্টর শফিকুর রহমান, সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক গোলাম সরোয়ার, স্বাস্থ্য সহকারি শরিফুল ইসলাম, সিংগা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হরি সাধন ঘোষ, সাংবাদিক শিক্ষক দীপক শেঠ প্রমুখ।
দমদম ক্লিনিকের সিএইচসিপি আফরোজা শিরিনের পরিচালনায় ও অনুষ্ঠানে ইউপি সদস্য আব্দুল মাজেদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন এমটিইপিআই কাজী নাজমুল হাসান, স্বাস্থ্য সহকারি মিজানুর রহমান, এফডব্লিউএ শিরিনা আক্তার, সাংবাদিক মাস্টার শামসুর রহমান লালটু প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়া কেরালকাতার নিম্নমানের ইটে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিলেন ইউএনও

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশের পর নিন্মমানের ইট ব্যবহার করে চলমান রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
উপজেলার কাজীরহাট থেকে কেরালকাতা অভিমুখি এলজিইডির ওই রাস্তায় নিন্মমানের ইট ব্যবহার করায় সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করলে কলারোয়া নিউজসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছবিসহ খবরটি প্রকাশিত হয়।
সংবাদ প্রকাশের পর কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনিরা পারভীন বৃহষ্পতিবার ২৬ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে সেখানে গিয়ে রাস্তার কাজ দেখে ও নিন্মমানের ইট ব্যবহার করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সাথে সাথে তিনি নিন্মমানের ইট ও খোয়া ব্যবহারের জন্য সাময়িকভাবে রাস্তার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।
সেসময় স্থানীয় সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ইউএনও মনিরা পারভীন জনসাধারণকে নিজেদের কাজ নিজেদের বুঝে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ইউপি সদস্য মোখলেছুর রহমান জানান- জনসাধারণের দাবী যে, খুব দ্রুত নিন্মমানের ইট ও খোয়া সরিয়ে ১নং ইট দিয়ে রাস্তার কাজটি সম্পন্ন করার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল ১১ স্কুল শিক্ষার্থীর

ভারতের উত্তরপ্রদেশের খুশিনগর জেলায় একটি স্কুলবাস রেল লাইন ক্রস করতে গিয়ে মমার্ন্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনের ধাক্কায় স্কুলবাসে থাকা ১১ শিশু ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় আরও অনেকে আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, রক্ষীবিহীন রেল লাইন ক্রস করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে স্কুল বাসটি৷ এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। স্থানীয় প্রশাসন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে মেডিকেল টিম পাঠিয়েছে৷ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উপর তলা থেকে নেমে ডিসি এলেন নিচের কাঁঠালতলায়

ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: বয়সের ভারে ন্যুব্জদের কথা চিন্তা করে উপর তলার ডিসি নেমে এলেন নিচে। শুনলেন ভুক্তভোগীদের দুঃখ-কষ্ট, সমস্যা আর অভাব-অভিযোগের কথা। ৪৩টি সিঁড়ি ভেঙে দ্বিতীয় তলায় উঠে কষ্টের কথা জানাতে আরও কষ্ট যাতে না হয় সেজন্য দায়িত্ব গ্রহণের দেড় মাসের মধ্যেই বুধবার যশোরের ডিসি আব্দুল আওয়াল এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন থেকে ‘গণশুনানি’ হবে প্রতি বুধবার কালেক্টরেট চত্বরের কাঁঠালতলায়। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে এই কার্যক্রম। ডিসি’র এই সিদ্ধান্তে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন তাদের খুশির কথা।
যশোর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি নির্দেশনায় যশোরের ২৩তম ডিসি আবুয়াল হোসেন ২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে যশোরে গণশুনানি শুরু করেন। এরপর এক যুগ ধরে কালেক্টরেট ভবনের দ্বিতীয় তলায় ডিসি-সভাকক্ষে এই গণশুনানি হয়ে আসছিল। কিন্তু বুধবার যশোরের ৩১তম ডিসি আব্দুল আওয়াল বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষমদের কথা চিন্তা করে কালেক্টরেট চত্বরের গ্যারেজ সংলগ্ন কাঁঠালতলায় এই গণশুনানি আয়োজনের নির্দেশ দেন।
সেই অনুযায়ী বুধবার কাঁঠালতলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে গণশুনানি। এসময় ডিসি আব্দুল আওয়ালের সঙ্গে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার প্রীতম সাহা এবং নূরুল ইসলাম। এদিন ১৩টি শুনানি প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে শোনেন ডিসি। তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তিযোগ্য কোনো অভিযোগ না থাকায় টেলিফোনে বিভিন্ন দফতর ও ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি। কিছু অভিযোগকে লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠাতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আর কিছু অভিযোগ রেখে দেয়া হয়েছে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য।
এদিকে গণশুনানিতে আসা যশোর সদরের ইসলামপুরের ইয়াদ আলী ব্যাপারীর ছেলে নুরুন নবী বলেন, ‘বয়স্কদের কথা ভেবে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নেয়া এই সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। এতদিন বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষমরা দুই তলায় উঠতে পারবেন না বলে গণশুনানিতে এসে তাদের কথা বলতে পারতেন না। এখন থেকে তারাও আসবেন বলে আমি মনে করি।’
শহরের খোলাডাঙ্গার বাসিন্দা মৃত রফিক শেখের স্ত্রী খাদিজা বেগম, বাঘারপাড়ার আহম্মদ মোল্যার ছেলে ইমাম জানান, ‘ডিসি সাহেব আন্তরিকতার সঙ্গে সময় নিয়ে অভিযোগ শুনেছেন। তার আন্তরিকতায় আশার আলো খুঁজে পেয়েছি।’
জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল জানান, ‘গণশুনানিতে জনগণের সমস্যা, অভাব, অভিযোগ, আবেদন, নিবেদনের কথা শুনতে হবে। কিন্তু আমার মনে হয়েছে বয়সের ভারে ন্যুব্জ ব্যক্তিরা দোতালায় উঠতে পারছেন না। ফলে তাদের কথা আমার কাছ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছেন না। তাই সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমিই নেমে এলাম। এখন থেকে গণশুনানি প্রতি বুধবার বেলা ১১টায় এখানেই অনুষ্ঠিত হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গরমে যে কারণে খাবেন তরমুজ

তীব্র গরমে তরমুজের কাটতি থাকে চরমে। এছাড়াও তরমুজের রয়েছে নানাবিক স্বাস্থ্য গুণ। উপরে সবুজ আর ভেতরে টকটকে লাল রসালো এই মিষ্টি ফলটির জুস খুবই সুস্বাদু। তরমুজের ৯০ শতাংশই পানি। ফলে এটি খেলে গরমে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। এটি ইলেক্ট্রোলাইট এর বিশাল উৎস। যা হাইড্রেটেড থাকতে সহায়তা করে। শুধু তাই নয়, ঘামের সাথে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া খনিজ পূরণ করে ইলেক্ট্রোলাইট। এটি সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়।

পানিশূন্যতা দূর করে : তরমুজে প্রচুর পরিমাণ পানি আছে। গরমের সময় যখন ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায় তখন তরমুজ খেলে শরীরের পানিশূন্যতা দূর হয়। ফলে শরীর থাকে সুস্থ ও সতেজ।

চোখ ভালো রাখে : তরমুজে আছে ক্যারোটিনয়েড। আর তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে চোখ ভালো থাকে এবং চোখের নানান সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ক্যারোটিনয়েড রাতকানা প্রতিরোধেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

শারীরিক শক্তি বাড়ায়: টেক্সা এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির গবষেণায় প্রমাণিত যে যারা শারীরিক শক্তির দিক থেকে দুর্বল তাদের জন্য তরমুজ প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এই ফল শারীরিক শক্তি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ব্রেন স্ট্রোক কী, কাদের বেশি হয়?

সাধারণ পর্যায়ে অনেকে ব্রেন স্ট্রোক আর হার্ট অ্যাটাককে একই বিষয় মনে করে গুলিয়ে ফেলেন। বাস্তবে কিন্তু তা নয়। আসুন প্রথমে জেনে নিই ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণগুলো কি কি-

• হাত-পায়ে অবশ ভাব
• জুতোর ফিতে বাঁধতে সমস্যা
• মুখের অসাড়তা, কথা জড়িয়ে যাওয়া
• বেসামাল হাঁটা-চলা
• ঘাড়ে-মাথায় যন্ত্রণা, বমি, সংজ্ঞা হারানো

স্ট্রোক বিষয়ে শারীরবিদদের ব্যাখ্যা : হৃদযন্ত্রের ধমনীতে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হলে হার্ট অ্যাটাক হয়। আর মস্তিষ্কে রক্তের জোগান কমলে হয় ব্রেন স্ট্রোক। কোনো ধমনী আচমকা ছিঁড়ে গেলে মস্তিষ্কে রক্তপাত হয়। এই ‘সেরিব্রাল হেমারেজ’ই ব্রেন স্ট্রোকের অন্যতম কারণ।

কখনো দেখা যায় কোনো কারণে ধমনী সরু হয়ে মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এর ফলেও ব্রেন স্ট্রোক হতে পারে, ডাক্তারি পরিভাষায় এর নাম ‘সেরিব্রাল থ্রম্বোসিস’।

সেরিব্রাল হেমারেজ বা থ্রম্বোসিস- কোনোটাই কিন্তু একেবারে জানান না-দিয়ে আচম্বিতে আসে না। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, দুটি ক্ষেত্রেই বেশ ক’দিন আগে থেকে ধমনীতে রক্ত চলাচলে সমস্যা হয়। আর নিয়মিত রক্তচাপ মাপলেই ধরা পড়ে, শরীরের ভেতরে কোথাও না-কোথাও একটা সমস্যা হচ্ছে। তবে বিপদের সেই ‘ইঙ্গিত’কে গুরুত্ব না-দেওয়ার প্রবণতাটাই চিকিৎসকদের বেশি ভাবাচ্ছে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রোগী, রোগীদের পরিজন ও অচিকিৎসক কর্মীদের ওপরে একটি ‘স্ট্রোক সচেতনতা’ সমীক্ষা চালিয়েছিলেন স্নায়ুরোগের চিকিৎসকেরা। দেখা গিয়েছে, ৬০%-৬৮% মানুষের ধারণা, স্ট্রোক হয় শুধু বুকে (অর্থাৎ হৃদযন্ত্রে) হয়। বুক ব্যথা করে। ওঁরা জানেনই না যে, এর সঙ্গে মস্তিষ্কেরও যোগাযোগ থাকতে পারে।
এ ছাড়া নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজির নিউরোমেডিসিনের চিকিৎসকেরা পাঁচ বছর ধরে বারুইপুরের রামনগরে ২০ হাজার মানুষের ওপর সাধারণ স্নায়ুরোগ সম্পর্কে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। সমীক্ষকদের অন্যতম চিকিৎসক শঙ্করপ্রসাদ সাহার আক্ষেপ, ‘স্ট্রোক জিনিসটা কী, সেটা কোথায়, কেন হয়, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মাত্র ২০%! স্ট্রোকের হার কমানোর পথে এটাই তো সবচেয়ে বড় বাধা।’

অপরদিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৯ হাজার স্ট্রোক-আক্রান্তকে নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে ‘স্ট্রোক ফাউন্ডেশন অব বেঙ্গল’। তাদের রিপোর্ট ইন্দোরে ‘ইন্ডিয়ান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন কংগ্রেস’-এর বার্ষিক অধিবেশনে পেশ হয়েছে। সমীক্ষকদের অন্যতম চিকিৎসক দীপেশ মণ্ডল জানান, পশ্চিমবঙ্গে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাঁদের ৫০% সে সম্পর্কে জ্ঞাত নন। যাঁরা জানেন, তাঁদের অর্ধেক আবার চিকিৎসাই করান না, কিংবা নিয়মিত ওষুধ খান না। ফলে স্ট্রোক নিঃশব্দে থাবা বসায়।

স্ট্রোক সম্পর্কে মানুষের এ হেন ‘অজ্ঞানতা’ই মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব বাড়াচ্ছে বলে মনে করেন চিকিৎসক নিখিল বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে আচমকা কারো ঘাড়ে-হাতে যন্ত্রণা শুরু হলে লোকে ভেবে ফেলবে, শোওয়ার দোষ! মাথা ব্যথা করলে মনে করবে এসিড। হাত-পা ঝিনঝিন করে অবশ হতে লাগলে ভাববে বাত। কিছুতেই ভাবতে পারবে না যে, এগুলো স্ট্রোকেরও লক্ষণ হতে পারে!’

স্নায়ুরোগ-চিকিৎসক পরিমল ত্রিপাঠীর বক্তব্য, ‘উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস থাকলে নিয়মিত হেল্থ চেক-আপ জরুরি। কিন্তু এখানকার অধিকাংশ মানুষ উদাসীন। মধ্যবিত্তদের কাছে হেল্থ চেক-আপ মানে বিলাসিতা। অথচ এটা করলে ফি বছর প্রায় ১০ লাখ লোক স্ট্রোক এড়াতে পারেন।’

বস্তুত হু-র রিপোর্ট অনুযায়ী ব্রেন স্ট্রোকের আক্রমণ-হার এখন ‘সিক্স-ইন-ওয়ান’। অর্থাৎ সারা বিশ্বে যেখানেই হোক, ছয়টি মানুষ যদি একত্রিত হন, দেখা যাবে, তাঁদের একজন না-একজন জীবনে কখনো না-কখনো এই রোগের কবলে পড়েছেন, বা পড়তে পারেন!

ধূমপান নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য
বিশেষজ্ঞদের মতে ধূমপান শুধু স্ট্রোকের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তাই নয়, ধূমপায়ীদের কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি ২০০০ ভাগ, ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি ১২০০০ ভাগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ ভাগ বেশি বলে তথ্য দিয়েছেন। তবে আশার কথা হচ্ছে যাদের নীরব স্ট্রোক হয়েছে তারা যদি ধূমপান ছেড়ে দেন তবে স্ট্রোকের তীব্রতা কমতে সহায়ক হতে পারে।

আসুন জেনে নেই স্ট্রোক আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের কাদের বেশি

•  যাদের রক্তচাপ ১২০/৮০-এর চেয়ে বেশি

•  ধূমপায়ী

• যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে এবং রাতে ঘুমের সমস্যা হয়। এ ছাড়া যাদের রক্তে হোমোসিসটিনের মাত্রা বেড়ে যায়।

• যাদের হিপের পরিমাপ কোমরের পরিমাপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং রক্তে সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিনের মাত্রা বেশি।

• যাদের দৈনিক ২০ মিনিট সাঁতার কাটা অথবা দৌঁড়ানোর অভ্যাস নেই।

• যারা মদ্যপান করেন।

• যাদের পিতা-মাতা বা ভাই-বোন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন।

• এমন ব্যক্তি যিনি মাসে একবারও মাছ খান সবজিও শস্যকণা কম আহার করেন এবং যিনি খাবারে বাড়তি লবণ খান।
• নিয়মিত দাঁতের যত্ন-পরিচর্যা করেন না।

• যারা মুক্ত বাতাসে ভ্রমণ করেন না। যাদের আলসার আছে। যারা অবিবাহিত। যারা বেশি হতাশায় ভোগেন এবং যারা রাগ-ক্রোধ সংবরণ করতে পারেন না।

এ বিষয়গুলো জানার পর দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপর হোন, যেসব প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা আপনার নিজের কাছেই আছে সেগুলো প্রয়োগ করুন আর প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হলো। স্ট্রোক প্রতিরোধে প্রয়োজনে অনুসরণ করুন।

• নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা
• চিকিৎসকের পরামর্শে নির্দেশিত ওষুধ-পথ্য নিয়মিত গ্রহণ
• নিয়ম করে হাঁটা
• দৈনিক খাদ্যাভ্যাসে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন
• ওজন নিয়ন্ত্রণ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নবাব জুটির চালবাজি

নবাব জুটির চালবাজি

কর্তৃক Daily Satkhira

দুজনের প্রথম ছবি ‘নবাব’ পেয়েছিল সুপারহিটের তকমা। কাল মুক্তি পাবে এই জুটির ‘চালবাজ’। শাকিব খান-শুভশ্রী গাঙ্গুলি জুটির চালবাজি নিয়ে লিখেছেন সুদীপ কুমার দীপ

‘চালবাজ’ নিয়ে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি শাকিব-শুভশ্রীকে। পহেলা বৈশাখে দুই বাংলায় একসঙ্গে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল এই ছবি। বাংলাদেশের ‘চলচ্চিত্র পরিবার’-এর আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত মুক্তি দিতে পারেননি প্রযোজক। অগত্যা ভারতেও এই ছবির মুক্তি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়। এক সপ্তাহ পর কাল বাংলাদেশে মুক্তি পাবে।

লন্ডনে এই ছবির প্রথম লটের শুটিংয়েই বেঁধেছিল গণ্ডগোল। কলকাতার কলাকুশলীদের বকেয়া আদায়ের আন্দোলনের মুখে আটকে যায় শুটিং। শুটিং না করেই ইউনিট নিয়ে লন্ডন ছাড়তে বাধ্য হয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে মুভিজ। এক মাস ধরে চলে সেই ঝামেলা। তখন অন্য কোনো ছবির শিডিউল না থাকায় শাকিবকে বেকারই বসে থাকতে হয়েছিল। পরে যখন শুটিং শুরু হলো তখনো বিপদ পিছু ছাড়েনি। অসুস্থ হয়ে লন্ডনের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্য করতে গিয়ে আঘাতও পান তিনি। ‘ভালো কিছু একটা হবে’—এই আশায় সব সহ্য করেছিলেন শাকিব। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের এক সপ্তাহ পর বাংলাদেশে মুক্তি পেলে ‘চালবাজ’ কি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাবে? কারণ তত দিনে এখানকার অনেক দর্শকই ছবির পাইরেটেড কপি দেখে নেবে! “ছবিটি নিয়ে অনেক রাজনীতি হলো। অথচ তাঁরা একবারও ভাবলেন না ছবি খরায় থাকা হলগুলোর কথা। পহেলা বৈশাখে ছবিটি মুক্তি পেলে হুমড়ি খেয়ে পড়ত দর্শক। হল মালিকরাও কিছু টাকা পেতেন। কিন্তু সেটা হতে দিল না চলচ্চিত্রেরই কিছু লোক। জানি না ছবিটি এখন দর্শকরা কতটুকু গ্রহণ করবে! আমি ভরসা হারাচ্ছি না। ভালো লাগার মতো অনেক কিছুই আছে ছবিটিতে। বিশেষ করে কমেডি এবং অ্যাকশন দৃশ্যগুলো দারুণ। লোকেশনও চোখে আরাম দেবে। শুভশ্রীর সঙ্গে ‘নবাব’ যেভাবে দর্শক লুফে নিয়েছিল, আশা করছি ‘চালবাজ’ ছবিটিও সেভাবে লুফে নেবে”, বললেন শাকিব।

শাকিবের সঙ্গে কাজ করাটা বেশ উপভোগ করেন শুভশ্রী। জীবনে নাকি শাকিবের মতো ঠাণ্ডা প্রকৃতির মানুষ দেখেননি—‘এক শটা কথা বলার পর একটা উত্তর পাই। কাজ ছাড়া কিছুই বোঝে না শাকিব। এত বড় একজন স্টার। চারপাশে ভিড় লেগেই থাকে। অথচ ওর কোনো অহংকার নেই। ওর সঙ্গে কাজ করার মজাই আলাদা। বাড়তি কোনো চাপ থাকে না।’

২০ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের শতাধিক হলে মুক্তি পায় ‘চালবাজ’। শুভশ্রী বলেন, ‘সেখানকার দর্শকরা দারুণ পছন্দ করেছে ছবিটি। প্রচারণায় যেখানেই গেছি, সবাই শাকিবের কথা জিজ্ঞেস করেছে। শুটিং থাকায় ও আসতে পারেনি। শাকিব এখানে নতুন। মাত্র দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে ভক্ত-দর্শক তৈরি করে ফেলেছে এখানে।’

দীর্ঘ এক মাস পর ২১ এপ্রিল দেশে ফিরেছেন শাকিব। বিশ্রামেই থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাসায় রীতিমতো প্রযোজকদের লাইন। কেউ নতুন ছবি করতে চান, আবার কেউ আটকে থাকা ছবির শুটিং শেষ করতে চান। পারিশ্রমিক ৭০ লাখ টাকা হাঁকিয়েও পার পাচ্ছেন না। বললেন নিজের মুখেই, “সিদ্ধান্ত নিয়েছি বেছে বেছে ছবি করব। ভাবলাম পারিশ্রমিক বাড়ালে হয়তো অনেকে সরে দাঁড়াবেন। লাভ হলো না। যাঁকেই ‘না’ করি, তিনিই পরে বদনাম রটান। বুঝে উঠতে পারছি না আমার কী করা উচিত!”

শাকিব প্রযোজিত একটি ছবিতে অভিনয়ের কথা শুভশ্রীর। সেটির খবর জানতে চাইলে শাকিব বলেন, “এখন চলছে গল্প লেখা। শুভশ্রীর সঙ্গে কথা হয়ে আছে। এখন দেখা যাক কবে থেকে শুরু করা যায়! তবে সব কিছু নির্ভর করছে ‘চালবাজ’ ছবির সাফল্যের ওপর।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয়তাবাদের সমালোচনায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরোঁ জাতীয়তাবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদের সমালোচনা করেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে তিনি আরো বলেন, এ ধরনের নীতি বৈশ্বিক সমৃদ্ধির জন্য হুমকি।

বিবিসি জানায়, এ ধরনের বক্তব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ যে এজেন্ডা রয়েছে, তার সমালোচনা হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

ম্যাকরোঁ বিশ্ব বাণিজ্য, ইরান ও পরিবেশ ইস্যুতে তাঁর দ্বিমতের কথা উল্লেখ করেন। কংগ্রেসে তাঁকে তিন মিনিটের স্ট্যান্ডিং ওভেশন (দাঁড়িয়ে সম্মান জানানো) দেওয়া হয়।

ম্যাকরোঁ যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যে অলঙ্ঘনীয় বন্ধের প্রশংসা করে উভয় দেশের ‘স্বাধীনতা, সহিষ্ণুতা ও সমান অধিকার’ বিষয়ে কথা বলেন।

ম্যাকরোঁ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে জোরদার সম্পর্ক তৈরি করেছেন এবং তিনি প্রথম বিদেশি রাষ্ট্রনেতা যিনি ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে রাষ্ট্রীয় সফর করলেন।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, দুই নেতা বিষয়ে একমত নন।

ম্যাকরোঁ বলেন, ভয় থেকে বাঁচতে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও জাতীয়তাবাদ সাময়িকভাবে কাজে লাগতে পারে। তবে বিশ্বের জন্য দরজা বন্ধ করে দিলে এর ক্রমবিকাশ বন্ধ হবে না। এর ফলে নাগরিকদের ভয়ভীতি নিভে যাবে না, বরং আরো স্ফূলিঙ্গ আকারে আসতে পারে।

ফরাসি নেতা বলেন, ‘চরম জাতীয়তাবাদের যে কাজ সহিংস হওয়া, তা আমরা হতে দেব না। আরো সমৃদ্ধির আশা থাকা এই পৃথিবীকে আমরা অস্থির হতে দেব না।’

ম্যাকরোঁ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রই জোটবদ্ধতা উদ্ভাবন করেছে এবং এখন একুশ শতকের জন্য সেটাকে নতুন করে নিয়ে আসতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest