সর্বশেষ সংবাদ-
ভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদের

সিরিয়ার পূর্ব ঘৌটায় রাসায়নিক হামলা, নিহত ৭০

সিরিয়ার পূর্ব ঘৌটায় দৌমা শহরে বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন। উদ্ধারকর্মী ও চিকিৎসকদের বরাতে এমনটা জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী বা হোয়াইট হেলমেটস দাবি করেছে সরকারি বাহিনীই এই হামলা চালিয়েছে। তাদের আশঙ্কা মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এখন পর্যন্ত কোনও স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সংস্থা এই হামলার সত্যতা যাচাই করেনি। সিরিয়ার সরকার এই অভিযোগকে ‘সাজানো’ বলেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, তারা উদ্ভূত এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।  তারা জানায়, সরকার রাসায়নিক হামলা চালালে এর মিত্রদেরও দায়ী করতে হবে।  এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আসাদ সরকার এর আগেও নিজেদের নাগরিকের ওপর রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে।

এর আগে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছিল, সম্প্রতি সিরীয় যুদ্ধবিমানের হামলায় ১১ জন রাসায়নিক হামলার শিকার বলে আলামত পেয়েছেন তারা। তাদের মধ্যে পাঁচজনই শিশু। তবে কোনও নিহতের কথা জানায়নি বিদ্রোহী বা মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি।

পূর্ব ঘৌটায় ২০১১ সালে প্রথম সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে এটাই ছিল বিদ্রোহীদের সর্বশেষ ঘাঁটি। গত এক মাসের লাগাতার হামলার পর সেখান থেকে পালানো শুরু করে বিদ্রোহীরা। ১৮ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ শুরু করা আসাদ বাহিনী এলাকাটিতে বিদ্রোহীদের প্রতিরোধ প্রচেষ্টাকে তিন অংশে বিভক্ত করে দিতে পেরেছিল। তাদের হামলায় তখন প্রায় ১ হাজার ৬০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আত্মসমর্পণ করলেন ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট লুই ইনাসিও লুলা দা সিলভা শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী, ৭২ বছর বয়সী সাবেক এই শ্রমিক নেতাকে জেলে যেতেই হচ্ছে।

তবে প্রথম তিনি আদালতের আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। পরে তিনি স্টিল শ্রমিক ইউনিয়নের একটি কার্যালয়ে শ্রমিকদের নিয়ে অবস্থান নেন। সেখানেই তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার ঘোষণা দেন।

লুলা এ সময় শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি আইনের ঊর্ধ্বে নই। আমি যদি আইনে বিশ্বাস না করতাম, তাহলে রাজনীতি করতে আসতাম না।’

সাও পাওলোর কাছের নিজ শহরের শ্রমিকদের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে হেঁটে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাঁকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে আদালত তা খারিজ করে লুলাকে কারাগারে যাওয়ার আদেশ দেন।

লুলা দাবি করেন, রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এ রায় দেওয়া হয়েছে। আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, তাই এমনটা করা হয়। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে লুলা সবচেয়ে এগিয়ে আছেন বলে এক জরিপে জানা যায়।

২০১৬ সালে এক মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাজিলের আদালত আদেশ দেন, প্রথম আপিল খারিজ হওয়ার পর আসামিকে কারাগারে যেতে হবে। লুলার মামলার ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে।

সমুদ্রতীরে অ্যাপার্টমেন্ট করার জন্য প্রায় ১১ লাখ ডলার ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে গত জুলাইয়ে তাঁকে নয় বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। লুলা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। এ বছরের জানুয়ারিতে আদালত তা খারিজ করেন এবং সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে ১২ বছর করা হয়।

লুলা ২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মেসির হ্যাটট্রিক, বার্সেলোনার জয়
স্প্যানিশ লা লিগা শিরোপার পথে আরো এক পা এগিয়ে গেল বার্সেলোনা। আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির হ্যাটট্রিকে লেগানেসকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে এরনেস্তো ভালভেরদের দল।
শনিবার রাতে এই জয়ের ফলে লা লিগায় টানা ৩৮ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে বার্সেলোনা। এর আগে এই কৃতিত্ব  দেখিয়েছিলো রিয়াল সোসিয়েদাদ।
কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করার পর ২৭ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। বাঁকানো ফ্রি-কিকে বল জালে পাঠান লিওনেল মেসি। ৩২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। ফিলিপে কৌতিনিয়োর বাড়ানো বল ধরে দুই জনের মধ্যে দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে কোনো সুযোগ না দিয়ে বাঁ-পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি। ৮৭তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মেসি। উসমান দেম্বেলের বাড়ানো বল বুক দিয়ে নামিয়ে গোলরক্ষকের উপর দিয়ে জালে ঠেলে দেন তিনি।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘ধর্ষণ’ নিয়ে ঠাট্টা করা হয়েছিল

প্রিয় দর্শক, আজ একজন অভিনেত্রী হয়ে নয়, একজন নারী হিসেবে আপনাদের কিছু কথা বলতে চাই। আপনারা জানেন কয়েকদিন আগে একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে ‘ধর্ষণ’ নিয়ে ঠাট্টা করা হয়েছিল। বিষয়টি হাসি তামাশা করার নয়।

সঞ্চালিকা যেভাবে প্রশ্ন করলেন অতিথিকে আর তিনি যেভাবে উত্তর দিলেন তাতে মনে হলো আমরা যেন বোকার স্বর্গে বাস করছি। পরবর্তীতে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেল এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হতে শুরু করলো। পুরো বিষয়টি একজন নারী হিসেবে মেনে নেয়া ছিল পীড়াদায়ক।

আমরা চলচ্চিত্রে নানানরকম অভিনয় করে দর্শককে বার্তা দিয়ে থাকি। যাতে ভালো-মন্দ দুটোই থাকে, শেষে জয় হয় ভালোর; পরাজয় ঘটে মন্দের। সেসব ইতিবাচক বার্তা তুলে না ধরে সমাজের নেতিবাচক দিকগুলো টক-শোতে এনে শুধু একজন বা দুজনকে নয় পুরো নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে।

শুধু আমার নয়, অন্যান্য অনেকের ভক্ত, দর্শক বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি, সকলেই যার যার অবস্থান হতে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে এমন বক্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছি।

আমি প্রত্যাশা করবো এ অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলে ভবিষ্যতের কোন একটি পর্বে এ ধরনের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেবেন।

আপনাদেরই প্রিয় মৌসুমী।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বের উদীয়মান ১০ তরুণের একজন বাংলাদেশি

শান্তি ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে সারা বিশ্ব থেকে উদীয়মান ১০ তরুণ নেতাকে পুরস্কৃত করতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই ১০ জনের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের তানজিল ফেরদৌস। আগামী ২ মে ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দফতরে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ২৪ বছর বয়সী তানজিল সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি বাংলাদেশের কমিউনিটি পর্যায়ে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন। ব্যক্তিগতভাবেও তিনি তার দেশে জেন্ডার বৈষম্যকে চ্যালেঞ্জ করে চলেছেন। তানজিল ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রামভিত্তিক ‘ভলানটিয়ার্স ফর বাংলাদেশ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি। বাংলাদেশের বৃহত্তম এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি এখন পর্যন্ত কয়েক শ তরুণকে যুক্ত করে সমাজ উন্নয়নমূলক বেশ কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। তানজিলসহ ২০১৮ সালে আর যারা এই পুরস্কার পাচ্ছেন তারা হলেন— ইরাকের সারা আবদল্লাহ আবদুল রহমান, ইন্দোনেশিয়ার দিওভিও আলফাত, তুরস্কের এস সিফতিসি, লিথুয়ানিয়ার জিনা সালিম হাসান হামু, পাকিস্তানের দানিয়া হাসান, নরওয়ের ন্যান্সি হার্জ, দক্ষিণ আফ্রিকার ইসাসিফিনকসি দিঙ্গি, পানামার রোজ রোড্রিগেজ ও তাজিকিস্তানের ফিরুজ ইয়োগবেকভ। যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় সংক্রান্ত ব্যুরোর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তানজিল মনে করেন কমিউনিটি পর্যায়ে কাজে তরুণদের যুক্ত ও উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে তাদের চরমপন্থি কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখা সম্ভব। বর্তমানে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করছেন। জাগো ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতর ৫০০ শিশুর নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলতে তিনি সাহায্য করেছেন। কিশোরী ও নারীদের আগামীতে নেতৃত্বে আনতে তাদের সক্ষমতা তৈরিতে কাজ করছেন তানজিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বেনাপোলে আবুল কালামের প্রজনন কেন্দ্রে ছাগলের মুল্য দেড় লক্ষ টাকা

মো. রাসেল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধি: প্রজনন ছাগল পেলে প্রতিদিন আয় হয় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। এমন একটি পরিবার এর সন্ধান মিলেছে বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর রেল লাইন এর বস্তিতে। আবুল কালাম এর বাড়িতে প্রজনন কাজে নিয়োজিত আছে ৮টি দেশি বিদেশি জাতের ছাগল। পালিত প্রজনন ছাগলের সর্বোচ্চ বড়টির মুল্য দেড় লক্ষ টাকা আর প্রকার ভেগে ৮০ হাজার ৬০ হাজার ও সর্বনি¤œ ৫০ হাজার টাকা মুল্য।
শনিবার বেলা সাড়ে ৪ টার সময় আবুল কালামের বস্তিতে যেয়ে দেখা যায় ৮টি ছাগলের তদারকি করছে সে এবং তার পরিবার। আবুল কালাম বলেন বেনাপোল পোর্ট থানা ও শার্শা এলাকায় যারা ছাগল পালে তারা প্রজননের সময় হলে আমার কেন্দ্র আসে। কারন আমার এখানে সব থেকে বড় জাতের ছাগল। আমি ভারত থেকে তোতা জাতের ছাগলটি ভারতীয় টাকায় ৮০ হাজার রুপীতে ক্রয় করেছি। বর্তমানে ছাগলটির মুল্য প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। তিনি বলেন সে ৩০ বছর যাবত এ ব্যবসা করছে। তার পরিবারের ১২ সদস্যর ভরন পোষন চিকিৎসা সহ অন্যান্য খরছ এই ছাগল থেকে আয় হয়। বড় ছাগটির প্রজনন ফি ৫ থেকে ৭ শ’ টাকা। আর অন্যান্য ছাগলের প্রজনন ফি ৩ থেকে ৫ শত টাকা।

আবুল কালাম বলে সকাল থেকে ছাগলের পিছনে তার সময় কাটে। ছাগলের খাবার সপ্তাহে ১ দিন গোছল সহ প্রজনন কাজে তাকে এ সময় ব্যয় করতে হয়। তবে তার সাথে তার পরিবারের সদস্যরা ও তাকে সময় দেয়। আবুল কালামের ভাষ্য ছাগলগুলো খুব দুর্দান্ত। তাদের ঠেকাতে সব সময় শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। ঘর থেকে বের করতে খুব শক্তি প্রয়োগ করা লাগে। দুইজন মিলে একটি ছাগলকে ঠেকিয়ে রাখা খুব কষ্ট। প্রতিদিন ৮ টি ছাগলের পিছনে এক থেকে দেড় হাজার টাকা খাবার খরছ হয় বলে কালাম জানান।

এলাকার জনসাধান জানায় আবুল কালামের প্রজনন ফার্ম থেকে ছোট ছাগলের প্রজনন দিয়ে বড় বড় বাচ্চা পাওয়া গেছে। যদিও ঐ ফার্মের ছাগলের মত অত বড় হয় না। তবে দেশী ছোট জাতের ছাগলের থেকে অনেক বড় ছাগল হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সেই থেকে পরীমণি নির্মলেন্দু গুণ’র স্বপ্নজালের মৌমাছি

গত ৫ এপ্রিল বসুন্ধরা শপিং মলের সিনেপ্লেক্সে গিয়াস উদ্দীন সেলিম পরিচালিত “স্বপ্নজাল” ছবিটির প্রিমিয়ার শো দেখতে গিয়েছিলাম। দেখতে গিয়েছিলাম সেলিমের ছবি বলে নয়, ওটা পরীমনি অভিনীত ছবি বলে। পরীমনি কেন? সুন্দরী বলে? ভালো অভিনেত্রী বলে? না, পরীমনি আমার স্বপ্নজাল “কবিতাকুঞ্জ”-এর আজীবন সদস্য বলে। কবিতাকুঞ্জ নির্মাণের সূচনাপর্বে আমি যখন অর্থসংকটে পড়ে ফেসবুকে সাহায্য চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, তখন নায়িকা পরীমনি সাংবাদিক আকবরের মাধ্যমে কবিতাকুঞ্জের জন্য আমার ব্যাংক একাউন্টে এক লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দিয়ে আমাকে খুবই বিস্মিত করেছিলো। সেই থেকে পরীমনি আমার স্বপ্নজালের মৌমাছি।

দুই বছর আগে সিনেমা হলে বসে দেখেছিলাম আমারি কবিতা অবলম্বনে মাসুদ পথিক নির্মিত– “নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ”। আমি ঐ ছবিতে কিঞ্চিত অভিনয়ও করেছিলাম। গত ৫ এপ্রিল সিনেমা হলে বসে আবারও বড়-পর্দায় দেখলাম পরীমনির ছবি স্বপ্নজাল। সেলিম, কিছু মনে করবেন না, আমি আপনার ছবিটিকে পরীমনির ছবি বলছি বলে।

ছবি শেষ হলে বাবুর সঙ্গে দেখা হলো। বাবু মানে আমাদের দেশের ‘ওয়ান পিস’ অভিনেতা ও গায়ক ফজলুর ররহমান বাবু। ছোট ভাইয়ের মতোই মনে করি ওকে। সঙ্গে ওর স্ত্রী ও দুই কন্যা। বাবু যে স্বপ্নজালে অভিনয় করছে, জানতামই না। স্বপ্নজালের খল-চরিত্রের বাবুর অভিনয় দেখে আমি মুগ্ধ। উৎপল দত্তের সমমানের অভিনেতা বাবু। বাবু আমার গ্রামে কাশবনে গেছে, ওর নাট্যগুরু আমার প্রিয় বন্ধু নাট্যকার ও অভিনেতা মামমুনুর রশীদের সঙ্গে।

বাবুকে নিয়ে ভক্তপরিবৃতা পরীমনির দিকে আমি এগিয়ে গেলাম। পরীর দৃষ্টি ও শ্রবণাকর্ষণ করে– একটু উচ্চস্বরেই বললাম, “এই যে পরী, একটু বিলম্বে হলেও আমি এসেছি। তোমার ছবি দেখলাম। তোমার অভিনয় খুব সুন্দর হয়েছে।”

আমাকে আমার ডাকনাম ধরে এমন উচ্চকন্ঠে কে ডাকে? আমি উপরের দিকে পরীকে ঘিরে থাকা ভক্ত ও চিত্রসাংবাদিকদের জটলাটির দিকে তাকিয়ে ছিলাম।নীচের দিকে তাকাতেই আমাদের চার চোখের মিলন হলো।

আমি প্রথমবারের মতো পরীমনিকে দেখলাম। ধবধবে শাদা মিহি-সুতোর শাড়ি এবং হাতের কব্জি পর্যন্ত আবৃত শাদা কাপড়ের ব্লাউজ পরিহিতা পরীকে উপরের সিঁড়ি থেকে নীচের সিঁড়িতে নেমে আসতে দেখে মনে হলো কাশবনের পুকুর পাড়ে এমন গন্ধরাজ ফুলই তো আমি ফুটতে দেখেছি। আমাকে দেখতে পেয়ে ভক্তদের ঠেলে সরিয়ে দিয়ে পরীমনি আমার পাশে এসে দাঁড়ালো।

আমি মনে করেছিলাম, এবার পরীমনি নিশ্চয়ই জানতে চাইবে স্বপ্নজালে ওর অভিনয় আমার ভালো লেগেছে কি না। আমার কোনো পরামর্শ আছে কি না ওর অভিনয় নিয়ে। কিন্তু না। আমাকে বিস্মিত করে দিয়ে পরীমনি বললো, “আমি কিন্তু আপনার কবিতাকুঞ্জ দেখতে যাবো।”

আরে এই মেয়ে বলে কী? কোথায় স্নপ্নজাল আর কোথায় কবিতাকুঞ্জ? পরী কি ওর ছবি স্বপ্নজাল দেখার বদলা নিতে চাইছে আমার কবিতাকুঞ্জ দেখে? আমি একটু বিব্রত বোধ করলাম। ভাবলাম, পরীমনি কবিতাকুঞ্জ দেখতে গেলে হাজার মানুষ ভিড় করবে কবিতাকুঞ্জে। এদের সামলাবো কী করে?

ওকে নিরুৎসাহিত করার জন্য বললাম, তুমি কি কবিতাকুঞ্জের ডোনার বোর্ডটি ফেইসবুকে দেখোনি? ওখানে তোমার নাম রয়েছে সর্বশীর্ষে। সবার উপরে তুমি। তুমি হলে কবিতাকুঞ্জের এক নম্বর সদস্য। কবিতাকুঞ্জ তো আমার নয়, তোমার। স্বপ্নজালও তোমার, কবিতাকুঞ্জও তোমার।

আমার রচনাবলির ২য় খণ্ডটি সঙ্গে নিয়েছিলাম। স্বপ্নজালে সুন্দর অভিনয় করার জন্য আশীর্বাদ জানিয়ে আমার নাম স্বাক্ষর করে বইটি উপহার দিলাম পরীকে। পরী খুশি হলো আমার বই উপহার পেয়ে। আমি খুশি হলাম পরীকে আমার বই উপহার দিতে পেরে। গল্পটা এখানেই শেষ। এরপর কোনো ডেভলাপমেন্ট হলে আপনাদের জানাবো।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা শহরে ১৯৭১ এর বধ্যভূমি সংরক্ষণের দাবিতে সাইন বোর্ড স্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা শহরের আমতলা বধ্যভূমি সংরক্ষণের দাবিতে সাইন বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। শনিবার বিকালে শহরের সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বধ্যভূমির সামনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ও নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ এই সাইন বোর্ড স্থাপন করেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাস সরকার, জাসদের জেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা অপারেশন জ্যাকপটের নায়ক ইমাম বারি, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরার আহবায়ক এড. ফাইমুল হক কিসলু, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের বিজ্ঞ পিপি এড. ওসমান গণি, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভিন সেঁজুতি, বাসদ নেতা নিত্যানন্দ সরকার, আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরার সদস্য সচিব আলি নুর খান বাবলু, জাসদ নেতা প্রফেসর ইদ্রিস আলি, আমির হোসেন খান চৌধুরী, রিয়াজুল ইসলাম, নাসির হোসেন, দিবা, সাথী, সুলতানা, প্রভাস প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বধ্যভূমিটি স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এটি দিন দিন দখল হয়ে যাচ্ছে। এতে সাতক্ষীরাবাসী উদ্বিগ্ন। উপস্থিত সকলে অবিলম্বে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বধ্যভূমিটিসহ জেলার সকল বধ্যভূমি সংরক্ষণে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest