সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়াসাতক্ষীরায় অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের দ্রুত এমপিওর জন্য মতবিনিময় সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passi

সাতক্ষীরার বৈকারী সীমান্তে ১২ পিস স্বর্ণের বারসহ চোরাকারবারী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতে পাচারকালে সাতক্ষীরার বৈকারী সীমান্ত থেকে ১২ পিস স্বর্ণের বারসহ হাফিজুর রহমান (৪৫) নামে এক চোরাকারবারীকে আটক করেছে বিজিবি। রোববার রাত ৯ টার দিকে সদর উপজেলার বৈকারী সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক হাফিজুর রহমান বৈকারী গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন সরদারের ছেলে।
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল সরকার মো.মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভারতে স্বর্ণেও একটি চালান পাচার করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৈকারী বিওপির বিজিবি সদস্যরা সীমান্তে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে ১২ পিস স্বর্ণের বারসহ হাফিজুর রহমান হাতে নাতে আটক করা হয়। তিনি আারো জানান, জবদকৃত স্বর্ণের ওজন ১২৮ গ্রাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আন্দোলন দেখেছি কিন্তু এমন তাণ্ডব দেখিনি : ঢাবি ভিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এতে ভিসি’র বাসভবনের কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। সব কিছুই তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। এ দৃশ দেখে নির্বাক হয়ে গেছেন অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হামলাকারীরা ছাত্র হতে পারে না। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না, মুখোশধারী-বহিরাগত। আর কারা হামলা করেছে, তা আপনারা জানেন, দেখেছেন।

তিনি আরো বলেন, অনেক আন্দোলন দেখেছি। কিন্তু এমন তাণ্ডব দেখিনি। হত্যার পরিকল্পনাই ছিল হয়ত। নইলে বেডরুমে ঘুমন্ত মানুষগুলোর ওপরে এভাবে হামলা হতে পারে না। ওরা কিছুই আর অবশিষ্ট রাখেনি। ঘরে পা রাখারও উপায় নেই।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার সম্পূর্ণ সরকারের এখতিয়ার। আমরা এখানে কিই-বা করতে পারি। এই ঘটনার দুঃখ জানানোর ভাষা নেই।

এদিকে মধ্যরাতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে টিএসসির ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়েছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে র‌্যাব এবং পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বলিউডের আলোচিত ১১টি পরকীয়া সম্পর্ক

একসাথে অভিনয়ের সুবাদে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক এক পর্যায়ে রূপ নেয় প্রণয়ের সম্পর্কে। কিন্তু বলিউড অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের মধ্যে এমন কিছু সংখ্যক সম্পর্ক হয়েছে যেগুলো পরবর্তীতে পরকীয়ার সম্পর্ক হিসেবে পরিচিতি পায়। চলুন জেনে নেই এমন ১১টি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে। এই প্রতিবেদনটিতে সেই সম্পর্ক গুলোর বৃত্তান্ত তুলে ধরা হলো-

১. অমিতাভ বচ্চন-রেখা:

বলিউডের সবচেয়ে বিখ্যাত বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বোধ হয় অমিতাভ বচ্চন-রেখার সম্পর্ক। জয়া বচ্চনের দৃঢ় মনোভাবের কারণেই অমিতাভ-রেখার সম্পর্ক চরম পরিণতি পায়নি, বলে এমনটিই শোনা যায়।

২. শত্রুঘ্ন সিনহা-রিনা রায়:

শত্রুঘ্ন তখন পুনম সিংহের সঙ্গে বিবাহিত জীবনযাপন করছেন। সেই সময়েই রিনা রায়-এর সঙ্গে শত্রুঘ্নের সম্পর্ক নিয়ে প্রবল আলোচনা শুরু হয়। শোনা যায়, রিনা নাকি শত্রুঘ্নের কাছে সম্পর্কের একটা অঙ্গীকার দাবি করেছিলেন। শত্রুঘ্ন তা দিতে অস্বীকার করায় দূরে সরে যান রিনা। রিনার সঙ্গে শত্রুঘ্নের-কন্যা সোনাক্ষীর চেহারার সাদৃশ্যের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এখনো অনেকে সেই সম্পর্কের কথা টেনে আনেন মাঝে মধ্যে।

৩. মিঠুন চক্রবর্তী-শ্রীদেবী:

বলিউডের আরেক আলোচিত সম্পর্ক হলো মিঠুন চক্রবর্তী ও শ্রীদেবীর সম্পর্ক। মিঠুনের স্ত্রী যোগিতা বালীকে মিঠুন ও শ্রীদেবীর সম্পর্কের কারণে অনেক সময় বিব্রত পরিস্থিতিতে পরতে হয়েছে। এমনও শোনা যায়, মিঠুনের সঙ্গে শ্রীদেবীর নাকি গোপনে বিয়েও হয়েছিল। স্ত্রী যোগিতা আত্মহত্যার হুমকি দিলে মিঠুন শ্রীদেবীর থেকে দূরে সরে যান।

৪. বনি কাপুর-শ্রীদেবী:

মোনা কাপুরের সঙ্গে বিবাহিত জীবনযাপন করার সময়েই শ্রীদেবীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বনি। বনি এই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেননি কখনও। শেষ পর্যন্ত অবশ্য শ্রীদেবীর সঙ্গেই ঘর বাঁধেন বনি। বিয়ের সময় শ্রীদেবী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

৫. শাহরুখ খান-প্রিয়াঙ্কা চোপড়া:

বলিউড বাদশা শাহরুখ খান বলিউডের অন্যতম সেরা নিষ্ঠাবান স্বামী বলে পরিচিত। তবে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে তার সম্পর্কের ‘গুজব’ তার এই ইমেজকে অনেকটাই ধুলোই মিশিয়ে দেয়। অবশ্য অনেকেই এর সবটাকে গুজব বলে মেনে নিতে রাজি নন। এ ব্যাপারে নিন্দুকদের মন্তব্য হচ্ছে, যা রটে তার কিছু টা তো ঘটেই।

৬. আমির খান-কিরণ রাও:

কিরণ রাও ‘লগান’ সিনেমাটির সহকারী পরিচালক ছিলেন। সেখানেই আমির খান-কিরণ রাও এর প্রণয় পর্বের সূচনা হয় বলে জানা যায়। ওই সময়ে আমির খান তার স্ত্রী রিনা দত্তর সঙ্গে দিব্বি সংসার করছেন। দীর্ঘ ১৬ বছর স্ত্রী রিনার সঙ্গে বিবাহিত জীবন কাটানোর পর তাকে ডিভোর্স দেন আমির খান। ডিভোর্সের ৪ বছর পর কিরণকে বিয়ে করেন আমির।

৭. গোবিন্দ-রাণী মুখার্জি:

‘হদ করদি আপ নে’র শুটিং-এর সময়েই বিবাহিত ও দুই সন্তানের পিতা গোবিন্দর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রাণী। গোবিন্দ নাকি প্রচুর পরিমাণ উপহার দিতে শুরু করেন রাণী মুখার্জিকে। আর অনেক পরিচালকের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন রাণীর। এমন পরিস্থিতিতে গোবিন্দের স্ত্রী সুনিতা গোবিন্দকে ছেড়ে চলে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। শেষ পর্যন্ত আবার সংসারের প্রতি মনোযোগী হন গোবিন্দ।

৮. আদিত্য পাঞ্চোলি-কঙ্গনা রানৌত:

আদিত্য স্ত্রী জারিনা ওয়াহাবের পাশাপাশি সম্পর্ক রেখেছিলেন কঙ্গনার সঙ্গেও। কঙ্গনা বা আদিত্য কেউই এই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেননি। এমনকী জারিনাও নাকি মেনে নিয়েছিলেন তাদের সম্পর্কটা। কিন্তু একবার প্রকাশ্যে আদিত্যর হাতে অপমানিত হওয়ার পরে আদিত্যের থেকে দূরে সরে যান কঙ্গনা। এই দুই তারকার সম্পর্কে এমনটাই জানা যায়।

৯. আদিত্য চোপড়া-রাণী মুখার্জি:

বর্তমানে আদিত্যর স্ত্রী হলেন রাণী। যখন প্রথম প্রেমে পড়েন আদিত্যর তখন তিনি পায়েল খান্নার স্বামী। ২০০১-এ পায়েলকে বিয়ে করেন আদিত্য। আর ২০০৯ সালে আদিত্য-পায়েলের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা শুরু হয়।

১০. হৃতিক রোশন-বারবারা মোরি:

বারবারা ‘কাইট’ সিনেমার শুটিং-এর সময়েই হৃতিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। স্ত্রী সুজানের সঙ্গে হৃতিকের দূরত্ব সেই সময় থেকেই বাড়তে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালে সুজান-হৃতিকের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়।

১১. অর্জুন কাপুর-মালাইকা অরোরা খান:

সালমানের বোন অর্পিতার সঙ্গে যখন প্রেম চলছে অর্জুনের তখনই সালমানের বউদি, আরবাজ খানের স্ত্রী মালাইকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অর্জুন। শোনা যায়, সালমানই নাকি শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করেন ব্যাপারটার মধ্যে এবং অর্জুনকে মালাইকার থেকে দূরে সরে যেতে বলেন। সালমানের ‘নির্দেশ’ এড়াতে পারেননি অর্জুন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দুধ অবশ্যই ফুটিয়ে খেতে হবে

দুধ কাঁচা খাওয়া ভাল নাকি ফুটিয়ে খাওয়া ভাল, এ নিয়ে নানা মুনির নানা মত। নিজেদের আঙ্গিকে এটিকে ব্যাখ্যাও দিয়ে থাকেন। যে যাই বলুক সরাসরি গোয়ালঘর বা খামার থেকে আসা কাঁচা দুধ না ফুটিয়ে খেতে কঠোরভাবেই নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক বেশি। ফলে কাঁচা দুধ অবশ্যই ফুটিয়ে খেতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা দুধে অনেকরকম রোগজীবাণু বাসা বাঁধে। সরাসরি খামার থেকে আনা দুধ খেলে সেই জীবাণু শরীরের নানা ক্ষতি করতে পারে। দুধ ফোটালে উচ্চ তাপমাত্রায় সেই সব জীবাণু মরে যায়। এখন আমরা যে প্যাকেটের দুধ কিনি, তা পাস্তুরাইজড।

পানীয় জীবাণুমুক্ত এবং সংরক্ষণের পদ্ধতির নাম পাস্তুরাইজেশন। বিশেষ পদ্ধতিতে উচ্চ তাপমাত্রায় পাস্তরাইজেশন করা হয়। প্যাকেটের দুধও ফুটিয়ে খাওয়াই ভাল, এমনটাও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ পাস্তরাইজেশন পদ্ধতিতে দুধ একশো শতাংশ ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করা সম্ভব হয় না।

নিউইয়র্কের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপকদের কথায়, না ফোটানো দুধে ই-কোলাই, সালমোনেল্লার মতো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। এই ব্যাকটেরিয়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমিয়ে দেয়। বিশেষত গর্ভবতী মহিলা, শিশু এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে সব সময় দুধ ফুটিয়ে খেতে বলেন চিকিৎসকেরা।

বায়োটেকনোলজির বিশেষজ্ঞেরা জানান, দেখা গেছে কাঁচা দুধ তো বটেই, এমনকি পাস্তরাইজড দুধেও নানা রকম মাইক্রোব্যাকটেরিয়া জন্মায়। তাদের মধ্যে রয়েছে, সিউডোমোনাস (৬৪-৫৩.৮ শতাংশ), মাইক্রোকক্কাস (৮.২ শতাংশ), এনটারোব্যাকটর (৯.৮ থেকে ২.৬ শতাংশ), ব্যাসিলাস (৬.৬ থেকে ২.৬ শতাংশ), ফ্ল্যাভোব্যাকটর (১.৬ থেকে ১.৩ শতাংশ)।

জাপানের ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানাচ্ছেন, পাস্তরাইজেশন পদ্ধতিতে দুধ জীবানুমুক্ত করতে গিয়ে উচ্চ তাপমাত্রায় ফোটানো হয়, ফলে দুধের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। তাই বর্তমানে, এই পদ্ধতিতে দুধ একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ফোটানো হয় এবং ধীরে ধীরে সেটাকে ঠাণ্ডা হতে দেওয়া হয়।

তাই গবেষকদের মত, প্যাকেট দুধ দোকান থেকে কিনে এনে কিছু সময় হলেও সেটাকে ফোটান। যদি কোনও জীবাণু থেকেও থাকে, ফোটালে সেই সম্ভাবনা দূর হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যশোরে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ‘শিশু ধর্ষণকারী’ নিহত
যশোরে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আলামিন ওরফে বাবু নামে এক যুবক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার ভোরে সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা-মণ্ডলগাতী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আলামিন খোলাডাঙ্গা কলোনিপাড়ার মৃত আবু কালামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে শহরতলীর চাঁচড়া দক্ষিণ পাড়া এলাকার আট বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিলো।
র‌্যাব জানিয়েছে, সোমবার ভোর রাতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি দল মণ্ডলগাতী পৌঁছায়। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয় সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা ছোড়ে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে র‌্যাব সদস্যরা আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে রাস্তার পাশে এক ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিত্সকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ব্যাটে সুনীল নারিনের তাণ্ডবে কলকাতার কাছে কোহলিদের পরাজয়

আইপিএলের তৃতীয় ম্যাচে সুনীল নারিনের ব্যাটিং তাণ্ডবে বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরুকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

এর আগে ডি ভিলিয়ার্স-ম্যাককালামের ব্যাটে ভর করে ১৭৬ রানের স্কোর দাঁড় করায় কোহলির দল। তাড়া করতে নেমে ভয়ঙ্কর রুদ্র মূর্তি ধারণ করেন সুনীল নারিন। যুজবেন্দ্র চাহালের প্রথম বলে চার ও দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান। ৫ ছক্কা ও ৪ চারে পঞ্চম ওভারেই পেয়ে যান ফিফটি।

গত মৌসুমে এই বেঙ্গালুরুর বিপক্ষেই ১৫ বলে ফিফটির রেকর্ড গড়েছিলেন। আজ অবশ্য ফিফটি ছুঁতে ১৭ বল লেগেছে তাঁর। আইপিএল ইতিহাসের চতুর্থ দ্রুততম। নারাইনের এনে দেওয়া ঝড় যে অনেক এগিয়ে দেয় নাইট রাইডার্সদের। এরপর নিতিশ রানা (২৫ বলে ৩৪) ও অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক (২৯ বলে ৩৫*) ঠিকই ঠান্ডা মাথায় নিজেদের কাজটা করেছেন।

এর আগে ২৭ বলে ৪৩ রান করে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুকে। ৫ ছক্কায় ২৩ বলে ৪৪ রান করে রানটা দুই শর দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু বিরাট কোহলির স্বভাববিরুদ্ধ ৩৩ বলে ৩১ রান অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে তাঁর দলকে। শেষ দিকে মনদীপ সিংয়ের ১৮ বলে ৩৭ রানেই লড়াকু ১৭৬ রানের স্কোর পেয়েছিল বেঙ্গালুরু। কিন্তু নারাইন-ঝড়ে সেটা মামুলি হয়ে গেল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে বৈঠকের প্রস্তাব সরকারের

কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। আজ সোমবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের এই প্রস্তাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহঙ্গীর কবির নানক।

রবিবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে এ প্রস্তাব দেন।
নানক বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা কোটা ব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমরা সরকারের পক্ষ থেকে বলতে চাই, এই পরিস্থিতি আমাদের কাম্য নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি অবগত রয়েছেন। তিনি শিক্ষার্থী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার সকাল ১১টায় সরকারের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠকের প্রস্তাব জানিয়ে নানক বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী মন্ত্রী ওবয়াদুল কাদেরকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যারা এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের আগামীকাল সকাল ১১টায় সরকারের সঙ্গে বৈঠকে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
সরকারের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আলোচনা কোথায় হবে, জানতে চাইলে সরকারের এই প্রতিনিধি বলেন, আলোচনা কোথায় হবে, তা পরে ঠিক করা হবে। এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাঙ্গনে ও ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা তাদের ছাত্রাবাসে চলে যাবেন।

উল্লেখ্য, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, রবিবার দুপুর ২টায় ঢাবি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের পদযাত্রা শুরু হয়। পরে রাজু ভাস্কর্য হয়ে নীলক্ষেত ও কাঁটাবন ঘুরে পদযাত্রাটি শাহবাগ মোড়ে আসে। বিকাল ৩টা থেকে সেখানেই অবস্থান নেন। এ সময় শাহবাগের আশপাশের সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবস্থান ধরে রাখলে রাত পৌনে ৮টার দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় কয়েকজনকে আটকও করে পুলিশ। এরপরই পুলিশ আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের অ্যাকশনের পর শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও টিএসসি এলাকায়। সবশেষে তারা ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তারা উপাচার্যের বাসভবনের গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন এবং বাসভবনে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুদকের অনুসন্ধান মামলা কমেছে, বেড়েছে সাজা

গত এক বছরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান ও মামলার সংখ্যা কমেছে। তবে শাস্তির হার বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে প্রতিরোধ কর্মসূচির ওপর বেশি জোর দিয়েছে সংস্থাটি। দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদন তুলে দেন চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

ওই প্রতিবেদনে ২০১৭ সালে দুদকের কার্যক্রমের সার্বিক চিত্রের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, আয়কর বিভাগ, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগসহ মোট নয়টি খাতে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধে সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, আগের বছরের তুলনায় দুদকে ৩৮ শতাংশ অভিযোগ বেশি এসেছে। যাচাই-বাছাইয়ের পর ৮ হাজার অভিযোগের মধ্য থেকে ৯৩৭টি অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। আগের বছরের ৩৫৯টি মামলার বিপরীতে ২০১৭ সালে দুদক মামলা করেছে ২৭৩টি। তবে দুদকের মামলায় সাজার হার হয়েছে ৬৮ শতাংশ, যা আগের বছর ছিল ৫৪ শতাংশ।

২০১৭ সালে সর্বোচ্চসংখ্যক ২৪টি ফাঁদ মামলা পরিচালনা করেছে সংস্থাটি। ২০১৬ সালে গ্রেপ্তার ৩৮৮ জনের বিপরীতে ২০১৭ সালে দুদক গ্রেপ্তার করেছে ১৮২ জনকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাঁদের সংখ্যা ৮৪ জন। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের ২৫ জন ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি ১৩ জন, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ১০ জন এবং ব্যবসায়ী ও অন্যান্য পেশার ৫০ জন।

বার্ষিক প্রতিবেদন প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, গত বছর কমিশন অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ করে। তাই অনেক অভিযোগ এলেও অনুসন্ধানের জন্য গৃহীত হয়েছে কম। মামলা ও অভিযোগপত্র কমে যাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের সংশোধনী এবং মামলা বা অভিযোগপত্রের গুণগত মান নিশ্চিত করার কারণে এ সংখ্যা কিছুটা কমেছে। যেনতেনভাবে একটি মামলা করে মানুষকে হয়রানির পথ বন্ধ করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest