সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ভূমিহীন সমিতির কঠোর হুশিয়ারীসাতক্ষীরায় শিশু-যুব ও স্টেকহোল্ডারদের কর্মশালাশ্যামনগরে অস্ত্র-গুলিসহ আটক সুন্দরবনের ত্রাস সাইফুলসাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবি

সাতক্ষীরায় বোরো ধানের পারচিং উৎসব অনুষ্ঠিত

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বোরো ধানের পারচিং উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবকাটি ব্লকে উপসহকারী কৃষি অফিসার কিরণ¥য় সরকার মাধবকাটি এলাকার কৃষকদের নিয়ে বোরো ধানের ক্ষেতে ডাল পুতে পারচিং উৎসবের উদ্বোধন করেন। কৃষি জমিতে কীট নাশকের ব্যবহার কমানোর জন্য কৃষকদের নিয়ে আয়োজন পারচিং পদ্ধর্তি সকল কৃষককে জানতে এবং কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এই পারচিং পর্দ্ধতির মূল লক্ষ্য। জমিতে ধান রোপনের পর গাছের ডালপালা পুঁতে দিয়ে পোকা খেকো পাখির বসার ব্যবস্থা করলে পাখি ধানের পোকা ভক্ষণ করে। বিষমুক্ত খাদ্য শস্য উৎপাদনে পারচিং উৎসব অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। পারচিং উৎসবে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য অপর্ণা রাণী, ব্লকের কৃষক হাবিবুল্লাহ, মনিরুল ইসলাম, মতলুব সরদার, মোস্তফা সরদার, সফিকুজ্জামান, মহসীন সরদার। অপরদিকে ঝাউডাঙ্গা এলাকার ওয়ারিয়া ব্লকে উপসহকারী কৃষি অফিসার শেখ হাসান রেজা কৃষকদের নিয়ে পারচিং উৎসবের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক হাসান মাহমুদ, ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক, কৃষক মফিজুল ইসলাম, শাহানারাসহ এলাকার কৃষকরা। অন্যদিকে ঝাউডাঙ্গা ব্লকে উপসহকারী কৃষি অফিসার মরিয়ম খাতুন ঐ ব্লকের কৃষকদের নিয়ে পারচিং উৎসবের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম, কৃষক মো. আব্দুল খালেক, আশরাফ আলী, শাহাদাত, আব্দুর রশিদ, ও মফিজুল ইসলাম। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বোরো ধানের পারচিং উৎসবে ঐ এলাকার শত শত কৃষক অংশ নেয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শার্শায় বাণিজ্যিকভাবে টার্কি পালন করে লাভবান খামারীরা

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের শার্শায় পারিবারিক ও বাণিজ্যিক ভাবে টার্কি পালন শুরু হয়েছে। বেকারত্ব নিরসনে নতুন দিক উন্মোচন করতে যাচ্ছে টার্কি পালন। টার্কি পালন করে ২ জন যুবক লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পিছনে না ছুটে টার্কি পালন নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখন তারা স্বাবলম্বী। তাদের দেখে অনেকেই এখন টার্কি পালনে উৎসাহ দেখাচ্ছে।

অল্প কিছু টাকা বিনিয়োগ করে এক বছরের মধ্যেই দ্বিগুণ মুনাফা দেখতে পারছেন টার্কি খামারীরা। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো মেশিন কিনে নতুন জন্ম নেওয়া বাচ্চা লালন পালন করে মাত্র তিন মাসের মাথায় দ্বিগুণের চেয়েও বেশি দামে বিক্রি করে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন খামারীরা। লেখাপড়া শেষ করে একটি বেসরকারি বিমান সংস্থায় চাকরি করতেন শার্শার গিলাপোল গ্রামের জাহিদ পারভেজ রাজু। হঠাৎ করে বিমান সংস্থাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ২ বছর আগে বাড়িতে এসে সজিব টার্কি পালন শুরু করেন। তার পাশাপাশি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার পাস করে চাকরি না পেয়ে শার্শার খলিসাখালী গ্রামের সজিব হোসেনও টার্কি পালন শুরু করেন। একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর বিক্রি করা হচ্ছে টার্কি। ১-১০ দিনের বাচ্চা ৩০০ টাকা ও বড় গুলি ৫/৬ হাজার টাকা জোড়া বিক্রি হচ্ছে। কলমি, হেলেঞ্চা, সরিষা, পালংকসহ বিভিন্ন ধরণের শাক সবজি টার্কি খেয়ে থাকে। রোগ বালাই এর হাত থেকে রক্ষা করতে আড়াই মাস বয়সী টার্কিকে চারটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। উপজেলা প্রাণী সম্পদ থেকে যে ভ্যাসকিন দেওয়া হয় সেটার মেয়াদ উত্তীর্ণ বলে জানান খামারী। টার্কির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এত বেশি যে জ্বর-ঠান্ডা ছাড়া আর কোনো রোগ আক্রান্ত করতে পারে না। ২০ সপ্তাহ বয়স থেকে টার্কি ডিম পাড়া শুরু করে। রাজুর খামার থেকে প্রতি মাসে ২ হাজার বাচ্চা উৎপাদন হয়ে থাকে। এদের দেখাদেখি শার্শার কাটুরিয়া গ্রামের মৎস্যচাষী হায়দার আলী গগনও টার্কি পালন শুরু করেছেন। তিনি বাচ্চা ফুটানো মেশিনও কিনেছেন। এসব খামারে টার্কি পালন দেখে বেনাপোলসহ শার্শার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ পারিবারিকভাবে টার্কি পালন শুরু করেছে এবং অনেকেই আগ্রহী হয়ে শুরু করেছে এই টার্কি চাষ।

টার্কির মাংস চর্বি বিহীন হওয়ায় সারা পৃথিবীতে এ মাংস অত্যন্ত জনপ্রিয়। দ্রুত বর্ধনশীল একটি টার্কি বছরে ১২ থেকে ১৫ কেজি ওজন হওয়ায় এটি অত্যন্ত লাভজনক। ইতিমধ্যে শার্শা উপজেলায় সফল খামারী টার্কি চাষ করছেন। বাণিজ্যিক ও পারিবারিক ভাবে টার্কি চাষ হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ এখান থেকে টার্কির বাচ্চা সংগ্রহ করছেন। দিন দিন এর প্রসার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিজানুরের মৃত্যুতে শোক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ (জাসদ) এর সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান সড়ক দুর্ঘটনায় বুধবার দুপুর দেড়টায় মৃত্যু বরণ করেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) জেলা শাখার পক্ষ থেকে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তোপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জেলা জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি অনুপমকুমার অনুপ, সাধারণ সম্পাদক ধীরাজ মোহন সরকার, জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন লস্কর সেলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলুসহ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কারাগারে খালেদা জিয়ার এক মাস

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কারাবাসের একমাস পূর্ণ হচ্ছে আজ ৮ মার্চ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়। ওই দিন থেকে তিনি রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে আছেন।

জেলসুপার জাহাঙ্গীর কবির জানান, জেলকোড অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সার্বক্ষণিক তাঁর শারীরিক অবস্থার দিকেও নজর রাখা হয়েছে।

কারাসূত্রে জানা যায়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারা ভবনের ডে-কেয়ার সেন্টারের একটি সেলে রাখা হয়েছে। সেখানে তাঁর সঙ্গে তাঁর গৃহকর্মী ফাতেমা রয়েছেন। কারা কর্তৃপক্ষের দেওয়া খাবারই তিনি খাচ্ছেন।

এদিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে গতকাল বিকেলে দেখা করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাই। এ সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি সাহসিকতার সাথে সব প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করছেন। তিনি দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তাঁর জন্য দোয়া করতে। খালেদা জিয়া আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানাতে বলেছেন, সবার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে।’

খালেদা জিয়া কেমন আছেন জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) অটুট আছেন। তাঁর শরীর ভালো আছে। দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য তিনি যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত রয়েছেন। শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে তারাই ইচ্ছেকৃতভাবে অশান্তিপূর্ণ করার পাঁয়তারা করছে। দেশনেত্রী আমাদের সুনির্দিষ্টভাবে বলে দিয়েছেন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে কারো উপসকানিতে পা না দিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাওয়ার জন্য তিনি আমাদের বলেছেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বিএনপি চেয়ারপারসন সবাইকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছেন।’

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে দেখা করতে যে নেতারা প্রবেশ করেন তাঁরা হলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় একইসঙ্গে ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানার আদেশ ঘোষণা করেন আদালত। এরপর পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

এর পরেই গত ২২ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন। সেইসঙ্গে স্থগিত করেন খালেদা জিয়ার অর্থদণ্ড।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার মামলার নথি নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে এসে পৌঁছানোর পরই আদেশ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

এ মামলায় মোট আসামি ছয়জন। তার মধ্যে তিনজন পলাতক। এই তিনজন হলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া,

তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় আ.লীগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এর আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আ.লীগের সভপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন- উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব খায়বার হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল, এসএম মনিরুল ইসলাম মনি, অধ্যাপক ইউনুচ আলী খান, পৌর কাউন্সিলর আকিমুদ্দিন আকি, জাহাঙ্গীর হোসেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, কাজল, ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি রামপ্রসাদ দত্ত, জিএম মিজানুর রহমান, শফিকুল ইসলাম,প্রভাষক হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিজুল ইসলাম, উপজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি শফিউল আযম শফি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান মুন্নাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন- উপজেলা যুবলীগের সহ.সভাপতি মাসুমুজ্জামান মাসুম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় হরিদাস ঠাকুর জন্মভিটা আশ্রমে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ৩য়দিন

নিজস্ব প্রতিনিধি:
কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছীর শ্রীশ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুর জন্মভিটায় ভগবান শ্রী কৃষ্ণের পঞ্চম দোলযাত্রার ৪দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের ৩য় দিনে দেশ-বিদেশের অতিথিরা ভাগবত আলোচনা, কীর্ত্তন পরিবেশন করেছেন।
৭মার্চ বুধবার সকাল ১০টার দিকে ভাগবাত আলোচনা করেন খুলনার পাইকগাছা-কপিলমুনির ভক্তিসাধিকা শ্রীমতী তাপসী রানী দেবী দাসী। বেলা আড়াইটার দিকে কীর্ত্তন পরিবেশন করেন বেতার ও দূরদর্শনখ্যাত ভারতের কাটোয়া কলেজ কলিকাতার অধ্যাপিকা বেতার ও দূরদর্শনখ্যাত ড.মোনালিসা বন্দোপধ্যায় ও ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপক শিবুপ্রসাদ পাল।
ভারত সীমান্তঘেষা সোনাই নদীর তীরে আশ্রমের অনুষ্ঠান স্থলে হাজারো ভক্ত সমাগমের উপস্থিতি ছিলো লক্ষনীয়।
দুপুরের দিকে অনুষ্ঠানে গিয়ে একাত্মতা পোষণ করেন ও বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-১ (কলারোয়া-তালা) আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, সাতক্ষীরা, ৩৮বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান, উপ-অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ফজলে হোসেন, কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব দেব নাথ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন সাহা, সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধেশ্বর চক্রবর্তী, অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার কলারোয়া নিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক প্রভাষক আরিফ মাহমুদ, স্থানীয় কেড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল, সাবেক চেয়ারম্যান ভূট্টোলাল গাইন প্রমুখ।
এর আগে অতিথিরা সেখা পৌছুলে আশ্রম কমিটির সভাপতি অধ্যাপক কার্তিক চন্দ্র মিত্র ও সাধারণ সম্পাদক স্বন্দীপ রায় তাদের স্বাগত জানান।
এদিকে, ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিবু প্রসাদ পাল, অধ্যাপক ড.মোনালিসা বন্দোপাধ্যায় ও জি বাংলার মানসি ঘোষ দোস্তিদারদের হাতে সম্মাননাপত্র তুলে দেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সাংসদ এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
অনুষ্ঠানের শেষ দিনে একই স্থানে ভজন কীর্তন ও যাত্রপালা ভজন কীর্তন পরিবেশন করবেন ভারতের জি বাংলা, ডিডি বাংলা, আকাশবানী কোলকাতার অধ্যাপিকা মানসি ঘোষ দোস্তিদার।
ভারতের প্রখ্যাত কীর্তন পরিবেশক অধ্যাপিকা ড. মোনালিসা বন্দোপাধ্যায় জানান- ‘এই আশ্রম সকল হিন্দু ধর্মীয় মানুষের কাছে একটা তীর্থ স্থান। এই আশ্রম ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে, ভারত থেকে ভক্ত আসতে পারলে আরো ভালো হতো।’
তিনি আরো বলেন- ‘আমি নামাচার্য্য শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুর জন্মভিটায় আসতে পেরে জীবনকে ধন্য মনে করছি।’
এদিকে এর আগে প্রথম দিন মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার পর ২য়দিন মঙ্গলার বিশ্বের শতাধিক দেশ থেকে ইস্কনের (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত) ১২১জন গুরু মহারাজ এই পঞ্চম দোলযাত্রায় অংশ গ্রহন করেন এবং কীর্ত্তন হরিনাম ও কীর্ত্তন পরিবেশন করেন।
এবারের ৪দিনের অনুষ্ঠানটি প্রয়াত এমপিপুত্র অনীক আজিজ স্মরণে উৎগর্গ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক এ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এবার মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে অনলাইন নিউজ পেপার (পোর্টাল) কলারোয়া নিউজ। আশ্রমে আসা ভক্ত ও দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ৩ বিঘা জমির উপরে প্যান্ডেল তৈরি হয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খাওয়া, বিশুদ্ধ পানীয়জল ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। আর নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, বিজিবি ও আনছার বাহিনীর সদস্যরা মোতায়ন আছে।
৮মার্চ বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠান শেষ হবে বলে আয়োজকরা জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে বসত ভিটা জবর দখল, আতঙ্কে সংখ্যালঘু ঋষি পরিবার

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের পাইথালী গ্রামে একটি ঋষি পল্লীতে হামলা চালিয়ে শত বছরী বসত ভিটা জবর দখল করাকে কেন্দ্র করে অসহায় সংখ্যালঘু ঋষি পরিবারটি আতঙ্কে নিঘুম রাত কাটাচ্ছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটি। এব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে ও সরজমিনে ঘুরে জানা গেছে বিগত ১শ বছর ধরে পূর্ব পুরুষগণ শান্তিপূর্ন ভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার সকালে হাজিডাঙ্গা গ্রামের চিহ্নিত ভূমিদস্যু, হত্যা ও নাশকতা সহ একাধিক মামলার আসামী সুলতান সরদারের পুত্র শাহাজুদ্দিন তার বাহিনী কবিরুল ইসলাম, শাহাজুদ্দীন ও ছয়রুদ্দীন সরদার, কামরুল ইসলাম সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন দলবদ্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্র সস্ত্রে সঞ্জিত হয়ে রঞ্জু দাশের পুত্র তুষার দাশের বসত ভিটায় হামলা চালায় ও জবর দখলের চেষ্টা চালায়। অবশেষে তুষার দাশের স্ত্রী বাধা প্রদান করলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি ঘর নির্মান করতে থাকে। খবর পেয়ে স্বামী তুষার দাশসহ তার পরিবারের লোকজন ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে বাধা প্রদান করে। তারা কোনো কিছু তোয়াক্কা না করে বরণ উল্টো ঋষি পরিবারকে মারপিট করতে উদ্ধোত হলে জীবন রক্ষায় ঘটনাস্থাল ছেড়ে ঋষি পরিবারটি পালিয়ে যান। অভিযোগ পেয়ে আশাশুনি থানার এস আই প্রদীপ সানা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে ঐ বসত ভিটায় ঘর নির্মান সহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেন ও উভয় পক্ষকে আগামী শুক্রবার সকালে স্ব-স্ব কাজগপত্র নিয়ে থানায় হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা স্থান ত্যাগ করার পরপরই শাহাজুদ্দিন সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী ঋষি পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশের কাছে দাখিলকৃত অভিযোগ তুলে না নিলে তাদের অবস্থা পূর্বের মতো ভয়ংকার হবে বলে হুংকার দিতে থাকেন। এমতাবস্থায় ঋষি পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিষটি নিয়ে সাধারন মানুষের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ আশাশুনি অফিসার ইনচার্জের আশু হস্তেক্ষেপ কামনা করেছেন অসহায় সংখ্যা লঘু ঋষি পরিবারটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে সাংবাদিক আলী নেওয়াজের মায়ের দাফন সম্পন্ন

মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি প্রেসক্লাব দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক কল্যাণ উপজেলা প্রতিনিধি আলী নেওয়াজের মাতা ময়না বিবি (৮৬) ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহে……রাজেউন)। উপজেলার চাপড়া (পূর্বপাড়া) গ্রামের মৃত হাতেম আলী সরদারের স্ত্রী ময়না বিবি দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন। সোমবার রাত্র ৯.১৫ টার দিকে নিজ বাস ভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় চাপড়া পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। নামাজে ইমামতি করেন কারী ফজলুল করিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আ.ব.ম মোছাদ্দেক, অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম, আশাশুনি প্রেসক্লাব সভাপতি জিএম মুজিবুর রহমান, সম্পাদক জিএম আল-ফারুক, উপজেলা মফঃস্বল সাংবাদিক ফোরামের আহবায়ক এসএম আহসান হাবিব, আশাশুনি উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাব সম্পাদক আব্দুস সামাদ বাচ্চু, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সম্পাদক আকাশ হোসেনসহ উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকবৃন্দ, আল. মাওঃ এবিএম মনিরুজ্জামান, মেম্বর শফিকুল ইসলাম, সাবেক মেম্বার নজরুল ইসলাম, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মরহুমার জামাতা আব্দুল হামিদ, প্রধান শিক্ষক আবু ছাদেক, মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বুলবুল, আ’লীগ নেতা আব্দুর রহমান ফকির প্রমুখ। মৃতকালে তিনি ৪ পুত্র ও ৫ কন্যাসহ রেখে গেছেন। আগামী শুক্রবার বাদ জুম্মা মরহুমার রূহের মাগফিরাত কমানা করে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest