সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ভূমিহীন সমিতির কঠোর হুশিয়ারীসাতক্ষীরায় শিশু-যুব ও স্টেকহোল্ডারদের কর্মশালাশ্যামনগরে অস্ত্র-গুলিসহ আটক সুন্দরবনের ত্রাস সাইফুলসাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবি

আশাশুনির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঐতিহাসিক ৭মার্চ পালিত

মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভিডিও প্রদর্শনীর মাধ্যমে ৭মার্চের ভাষণ প্রচার, ঐতিহাসিক ভাষনের উপর বিশেষ আলোচনা সভা ও কুইজ প্রতিযোগীতার মধ্য দিয়ে ৭ মার্চ পালিত হয়েছে। বুধবার সকালে কুন্দুড়িয়া পিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলে, এবিসি কেজি স্কুলে, বুধহাটা এন এস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বুধহাটা কওছারীয়া দাখিল মাদ্রাসা, নৈকাটি দাখিল মাদ্রাসা, দরগাহপুর এস কে আর এইচ কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভিডিও প্রদর্শনীর মাধ্যমে ৭মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়। বাঙালী জাতির পিতা, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, বাঙালী জাতির অহংকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের দিনে সোহরাওয়াদী উদ্যানে (তদানীন্তন রেসকোস ময়দান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাকে জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ভাষন দেন। সেই ভাষনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এর উপর বিশেষ আলোচনা সভা, কুইজ প্রতিযোগীতা, ঐতিহাসিক ভাষনের গুরুত্ব বিষয়ে ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বিভিন্ন আলোচনা করা হয় বলে প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে নবাগত ইউএনও মাফফারা’র যোগদান

মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীন যোগদান করেছেন। বুধবার সকালে তিনি আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে তার কার্যালয়ে যোগদান করেন। এসময় তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা, কর্মচারী, ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ তার কার্যালয়ে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। মাফফারা তাসনীন সাতক্ষীরা কালেক্টরেটে আরডিসি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সংস্থাপন মন্ত্রণালয় তাকে ইউএনও হিসাবে পদায়ন পূর্বক খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে সাতক্ষীরা জেলা কারেক্টরেটে যোগদান করে বুধবার আশাশুনিতে যোগদান করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজ নারী দিবস

আজ নারী দিবস

কর্তৃক Daily Satkhira

আজ ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর অধিকার আদায়ের দিন। বাংলাদেশের নারীরা রাজনীতি, শিক্ষা, কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়নি সম্পদ ও সম্পত্তিতে তার পূর্ণ অধিকার। আজও দেশের বিভিন্ন আইনে নারী পায়নি একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি। অজ্ঞতা, কুসংস্কার, ধর্মীয় গোড়ামি এদেশের নারীকে পিছিয়ে রেখেছে। এখনও কন্যাশিশু ভ্রূণ হত্যার ঘটনা এদেশে ঘটছে। পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে লিঙ্গগত পরিচয়ের কারণে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে নারী। এখনও এদেশে প্রতিদিন নারী ধর্ষণ, নির্যাতন, হত্যা, যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। এই অবস্থায় নারীর জীবন সুন্দর ও শান্তিময় করার প্রত্যয় নিয়ে বিশ্বের সব নারীর সঙ্গে বাংলাদেশেও রাষ্ট্রীয়ভাবে আজ যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস।

সরকারের পক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় দিবসটি উদযাপন করছে। পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি উদযাপন করছে। কেউ কেউ ব্যক্তিগত পর্যায়েও দিবসটি উদযাপন করছেন। বেগুনি রংয়ের ফুল সবখানে ফুটে থাকে তাই দিবসটি উপলক্ষে নারীর পোশাকের রং নির্ধারণ করা হয়েছে বেগুনি। যদিও সব রঙেই নারী সবসময় রঙিন। দিবসটি উপলক্ষে এবারের প্রতিপাদ্য ধরা হয়েছে ‘সময় এখন নারীর: উন্নয়নে তারা বদলে যাচ্ছে গ্রাম-শহরের কর্ম-জীবনধারা।’

১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ নিউইয়র্কের সেলাই কারখানায় ঝুঁকিপূর্ণ ও অমানবিক কর্মপরিবেশ, স্বল্প মজুরি এবং দৈনিক ১২ ঘণ্টা শ্রমের বিরুদ্ধে নারী শ্রমিকরা প্রতিবাদ করেন। ১৯১০ সালে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক নারী সম্মেলনে জার্মান সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা নারীবাদী ক্লারা জেটকিনের প্রস্তাবে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘোষণা করা হয়। জাতিসংঘ ১৯৭৫ সাল থেকে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন শুরু করে। তখন থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি উদযাপন করা হয়। দিনটি উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারি ছুটি রয়েছে। বেশ কিছু দেশে শুধু নারীরা এই ছুটি ভোগ করে। বাংলাদেশে বিভিন্ন সংগঠন এই দিনটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়ে এলেও সেটি এখন পর্যন্ত  বাস্তবায়িত হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ২৪জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা


নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে মোট ১৩টি পদে ২৪জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪জন। তারা হলেন, এড. আব্দুল মজিদ, এড. আবুল হোসেন, এড. এম শাহ আলম ও এড. শেখ আব্দুল ছাত্তার। সহ সভাপতি পদে ২জন হলেন এড. শেখ মিজানুর রহমান ও এড. গোলাম মোস্তাফা। সাধারন সম্পাদক পদে ৪জন তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন এড. মোস্তাফা আসাদুজ্জামান দিলু, এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, এড. আ ক ম রেজওয়ানউল্যাহ সবুজ ও এড. মোস্তফা জামান। যুগ্ম সম্পাদক পদে ২জন হল এড. জিয়াউর রহমান ও এড. মোস্তাফিজুর রহমান শাহনেওয়াজ। কোষাধ্যক্ষ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়লাভ করেছেন এড. জহুরুল হক। মহিলা সম্পাদিকা পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়লাভ করেছেন ফেরদৌসী সুলতানা লতা। লাইব্রেরী সহ-সম্পাদক পদে এড. সামসুজ্জোহা খোকন, এড. আব্দুর রাজ্জাক। ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আকবার আলী, স.ম.মমতাজুর রহমান। সদস্য এড. এ কে এম তৌহিদুর রহমান শাইন, এড. সাইদুজ্জামান জিকু, এড. শিহাব মাসউদ সাচ্চু, এড. সাহেদুজ্জামান সাহেদ, এড. হাবিব ফেরদাউস শিমুল, এড. মোঃ রফিক। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন এড. আলহাজ্ব মোঃ আলাউদ্দীন আহমেদ, সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসাবে থাকবেন এড. আক্তারুজ্জামান, এড. মোস্তফা হেলালুর রহমান, এড. মোঃ আঃ সবুর, এড. রতœা রানী মন্ডল। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৪৪৫ জন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৮ মার্চ ২০১৮। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মার্চ ২০১৮ তারিখে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিদাহাস ট্রফিতে যেন নতুন করেই শুরু করতে চাইছে বাংলাদেশ। কেননা ক’দিন আগে ঘরের মাঠে বাজে সময়ই কেটেছিল টাইগারদের। আর এই সিরিজে যেখানে শুরুটাতে ভারতকে পাচ্ছে তামিম-রিয়াদরা, ফলে সতর্ক হয়েই মাঠে নামতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (০৮ মার্চ) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কোহলি-ধোনিবিহীন ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারত অবশ্য উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে হার মেনেছে। ফলে কিছুটা ব্যাকফুটে থেকে তাদের মাঠে নামতে হবে। এই সিরিজে নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মাহেন্দ্র সিং ধোনিকে বিশ্রাম দিয়েছে ভারত।

বাংলাদেশ ও ভারত এখন পর্যন্ত পাঁচটি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছে। জয় অবশ্য একটিতেও পায়নি বাংলাদেশ। তবে সর্বশেষ ম্যাচটির দিকে তাকালে গল্পটা অন্যরকমই মনে হতে পারে। কেননা ২০১৬ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে বাংলাদেশ মাত্র ১ রানে হেরেছিল।

সেই ম্যাচটি অবশ্য অনুপ্রেরণা থেকে বাংলাদেশকে দুঃখই বেশি দেবে। তার বড় কারণ শেষ দিকে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ’র অতি আত্মবিশ্বাসের কারণে ম্যাচটি হেরে এসেছিল লাল-সবুজের দল। সেদিন পর পর দুই বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে তারা দু’জনেই ক্যাচ হয়ে মাঠ ছাড়েন।

কিন্তু সেই সাকিবের ইনজুরির কারণে এই আসরে অধিনায়ক রিয়াদ অবশ্য ম্যাচের আগের দিন জানিয়ে দিলেন ব্যাঙ্গালুরুর ভুল আর হবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘দাওয়াহ ইলাল্লাহ’ ফোরামের নির্দেশনায় জাফর ইকবালের ওপর ফয়জুলের হামলা

‘দাওয়াহ ইলাল্লাহ’ নামে একটি উগ্রবাদী ফোরামের নির্দেশনায় লেখক ও অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে হামলাকারী ফয়জুল।ওই গ্রুপে জাফর ইকবালকে হত্যা করা নিয়ে নিয়মিত আলোচনাও হতো বলে জানিয়েছে সে।

নির্দেশনা পাওয়ার পর ফয়জুল সিলেটের মদিনা মার্কেটের একটি জিমে শারীরিক প্রশিক্ষণের জন্যও ভর্তি হয়েছিল। কীভাবে হামলা করতে হবে এবং কোথায় আঘাত করলে দ্রুত মৃত্যু হতে পারে, ‘দাওয়াহ ইলাল্লাহ’ ফোরামে  সেসব কৌশল নিয়েও আলোচনা করা হয়েছিল। এদিকে হামলার চূড়ান্ত নির্দেশনা পাওয়ার পর সিলেটের জিন্দাবাজারের আল-হামরা মার্কেটের একটি দোকান থেকে কমান্ডো নাইফটি (চাকু) কেনে ফয়জুল। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার গোলাম কিবরিয়া বুধবার রাতে বলেন, ‘আমরা এপর্যন্ত ধারণা করছি, ফয়জুলের সঙ্গে আরও কেউ ছিল। কিন্তু সে মুখ খুলতে চাইছে না। সে একাই জাফর ইকবালকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে দাবি করছে। কিন্তু সে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। আমরা এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করছি।’

পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘হামলাকারী ফয়জুলের কোথায় কোথায় বিচরণ ছিল, কোথা থেকে সে কমান্ডো নাইফ কিনেছে, কখন কীভাবে পরিকল্পনা করেছে, এসবের কিছু কিছু তথ্য জানা গেছে। তার সহযোগীদের সনাক্ত এবং গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।’

গত শনিবার (৩ মার্চ) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে রোবোটিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান চলাকালে বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে পেছন থেকে মাথা, ঘাড়ে এবং হাতে ছুরিকাঘাত করে ২৪-২৫ বছর বয়সী ফয়জুর ওরফে ফয়জুল নামে এক তরুণ। ঘটনার পরপরই জাফর ইকবালকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। বুধবার (৭ মার্চ) সকালে তাকে ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট- আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে হামলার পরপরই ফয়জুলকে আটক করে গণপিটুনী দেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে র‌্যাব হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হামলার একদিন পর রবিবার বিকালে ফয়জুলকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র‌্যাব। বর্তমানে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ ও ঢাকার সিটিটিসি’র কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা তদন্তে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, সিআইডি, পিবিআই এবং জঙ্গি প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা বিশেষায়িত ইউনিট কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট হামলার রহস্য উন্মোচনে অনুসন্ধান শুরু করে। পুলিশ সদর দফতর থেকেও সরাসরি বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে।

সিটিটিসির একজন কর্মকর্তা বলেন,‘‘ ফয়জুল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সে দাওয়ায় ইলাল্লাহ নামে একটি ফোরামের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ওই ফোরামে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে নাস্তিক আখ্যায়িত করে তাকে কীভাবে হত্যা করা যায়, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হতো। ফয়জুল নিজে থেকে জাফর ইকবালকে হত্যার দায়িত্ব নেয়। এরপর জাফর ইকবালকে কীভাবে হত্যা করা হবে, দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামে ফয়জুলকে সেসব বিষয়ে ভার্চুয়াল আলোচনার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ফয়জুলকে শেখানো হয়— মাথা এবং ঘাড়ের পেছনে আঘাত করতে হবে। তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই ‘টার্গেট’ মৃত্যুর মুখে পতিত হবে। সেই প্রশিক্ষণ অনুযায়ী সে জাফর ইকবালের মাথা ও ঘাড়েই কমান্ডো নাইফ নিয়ে আঘাত করেছিল।’’ ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘হামলার কয়েকদিন আগে সিলেটের আল হামরা মার্কেট থেকে কমান্ডো নাইফটি কিনেছিল ফয়জুল।’

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দাওয়াহ ইলাল্লাহ হলো বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এবং আনসার আল ইসলামের একটি অনলাইন ফোরাম। যেখানে নির্দিষ্ট আইডির মাধ্যমেই কেবল প্রবেশ করা যায়। বিভিন্নভাবে পরীক্ষিত লোকজনই এই ফোরামের আলোচনায় যুক্ত হতে পারে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা আনসার আল ইসলামের যেসব সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারাও দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামের মাধ্যমে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের কথা স্বীকার করেছে। এমনকি বিভিন্ন সময়ে দাওয়াহ ইলাল্লাহসহ অনেক গ্রুপ এবং ওয়েবসাইট বন্ধ করেও দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার সিটিটিসি এবং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সূত্রগুলো বলছে, দাওয়ায় ইলাল্লাহ ফোরামের নির্দেশনা অনুযায়ী জাফর ইকবালকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে প্রথমে রেকি করা শুরু করে  ফয়জুল। বিভিন্ন সময়ে সে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করতো। ফোরামের নির্দেশনা অনুযায়ী সিলেটের স্থানীয় মদিনা মার্কেটের জিম ক্রাফটে ভর্তি হয়েছিল সে। শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে গত বছরের ৩১ আগস্ট জিমে ভর্তি হলেও প্রথম তিন দিন জিমে গিয়ে আর যায়নি। তবে হামলা চূড়ান্ত করার আগে গত একমাস ধরে নিয়মিত জিম করতো ফয়জুল।

ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-কমিশনার মহিবুল ইসলাম খান বুধবার রাতে বলেন, ‘‘এপর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যে ফয়জুলকে ‘সেল্ফ র‌্যাডিক্যালাইজড’ বলেই মনে হচ্ছে। তবে সে দাওয়ায় ইলাল্লাহসহ আনসারুল বাংলা টিম বা আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন অনলাইন ফোরামের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এসব ফোরামে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যা করতে নানারকম উসকানিমূলক আলোচনা হতো। এসব থেকেই সে হত্যাচেষ্টায় উদ্ভুদ্ধ হতে পারে।’

মহিবুল ইসলাম খান বলেন, ‘ফয়জুলের কয়েকজন সহযোগীকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এছাড়া সুমন নামে ফয়জুলের এক সহকর্মীও পলাতক। সুমনের সঙ্গে ফয়জুল তার বোনের বিয়ে দিতে চেয়েছিল। সেও জঙ্গিবাদ ভাবাদর্শের অনুসারী হতে পারে। এছাড়া ফয়জুলের ভাই এনামুলও পলাতক। তাকেও খোঁজা হচ্ছে। এনামুলের কাছে ফয়জুলের ব্যবহৃত সব ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো রয়েছে।’

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, তারা এখন হন্যে হয়ে ফয়জুলের ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ভিভাইসগুলো খুঁজছেন। কিন্তু হামলার পরপরই ফয়জুলের ভাই এনামুল এগুলো নিয়ে পালিয়ে গেছে। এনামুলের কাছে ফয়জুলের একটি মোবাইল এবং একটি ট্যাব রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, ফয়জুলের ব্যবহৃত ট্যাবের মাধ্যমেই সে যোগাযোগের সিক্রেট অ্যাপস টেলিগ্রাম এবং দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামে যুক্ত ছিল।

সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যে তারা ফয়জুলের ব্যবহৃত একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধারের পর ঘেঁটে দেখেছেন। সেখানে আল-কায়েদা এবং আইএসের নানারকম ভিডিও, ইরাক-সিরিয়ার ভিডিওসহ নানারকম জঙ্গিবাদি প্রপাগান্ডা প্রচারণার উপাদান পাওয়া গেছে। তবে এসব উপাদান অন্য জায়গা থেকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে। সিটিটিসি কর্মকর্তারা ধারণা করছেন,ফয়জুল ট্যাবের মাধ্যমে এসব কিছু ডাউনলোড এবং সব যোগাযোগ স্থাপন করতো।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সেক্স ডলের সাথে থাকলে মোটা অর্থ উপার্জন!

বেকার জীবনে যারা চাকরি খুঁজছেন, তাদের চাকরি দিচ্ছে এক ব্রিটিশ সংস্থা।   বছরে বেতনের প্যাকেজ ৩৫০০০ পাউন্ড।

কাজটা কি? শুনলে একটু আঁতকে উঠবেন বৈকি। ‘সেক্স ডল টেস্টার’।   এ আবার কেমন চাকরি! ভেবে দেখুন সেক্স ডলটি ভালো না খারাপ, এটা টেস্ট করলেই এত বিশাল টাকা বেতন পাওয়া যেতে পারে।

সংস্থাটির নাম ‘সিলিকন সেক্স ওয়ার্ল্ড’। এটি একটি সেক্স টয় সংস্থা। লন্ডনের হ্যাটন গার্ডেনে তাদের অফিস। সেখানে গিয়ে টেস্ট করতে হবে তাদের তৈরি সেক্স ডলগুলো। আর তাহলেই মিলবে মোটা অঙ্কের টাকা। কাজের কোন বাঁধা ধরা সময় নেই।

আর কোম্পানির দেওয়া মোবাইল নম্বর।

এখানেই শেষ নয়। পরিবারের কেউ যদি এই চাকরিতে যুক্ত হয়, তাহলে তার পরিবার ও বন্ধুরা ব্যাপক ছাড়ে সেক্স ডল পাবে। শর্ত একটাই। কোম্পানির সেক্স ডল ভালোভাবে পরখ করতে হবে। তারপর একেবারে ডিটেলে ফিডব্যাক দিতে হবে কোম্পানিকে। সেইসঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় সেক্স ডল সংক্রান্ত সম্মেলনে অংশ নিতে হবে।

কলকাতা টুয়েন্টিফোর’র প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ইন্ডাস্ট্রিতে পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও চলবে। সেক্স ডলের প্রতি আগ্রহ থাকাটাই আসল। তবে কাজের ডেডলাইন দেওয়া থাকবে। আগামী ২০ মার্চ প্রার্থীদের শর্ট লিস্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার মার্কেটিং ম্যানেজার রিচার্ড থর্ন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আসছে ‘দাবাং ৩’, আসছেন চুলবুল পাণ্ডে সালমান

আপনি নিশ্চয়ই আবার সেই চুলবুল পাণ্ডেকে দেখতে চাইছেন। এবং সেটা নিশ্চয়ই ‘দাবাং’-এর নতুন কোনো সিক্যুয়েলে।

আপনার সেই আশা হয়তো পূরণ হতে চলেছে। প্রস্তুতি চলছে সালমান খানের পুলিশ অ্যাকশন মুভি ‘দাবাং’-এর নতুন সিক্যুয়েলের কাজ।

এই তো, আর মাত্র ক’টা দিন। এ বছরের মাঝামাঝিতেই শুটিং শুরু হবে ‘দাবাং ৩’-এর। ‘দাবাং’ ফ্র্যাঞ্চাউজির তৃতীয় ছবিতেও সালমানের সাথে থাকবেন যথারীতি সোনাক্ষী সিনহা।

এ-প্রসঙ্গে সালমান খানের ভাই ও ছবিটির প্রযোজক আরবাজ খান বার্তা আইএএনএসকে বলেন, আমার মনোযোগ এখন এই ছবিটার প্রতি। এ বছরের মাঝামাঝি ছবির কাজ শুরু করার ইচ্ছে আছে।

ট্রেড অ্যানালিস্ট রমেশ বালা ট্যুইটে জানান, ‘রেস ৩’-এর কাজ শেষ করে সালমান ‘দাবাং ৩’-এর কাজ ধরবেন। ছবিটি পরিচালনা করবেন প্রভুদেবা।

পূর্বের সিক্যুয়ালগুলোর মতো একই রূপে দেখা যাবে সালমান খানকে, পুলিশ অফিসার চরিত্রে। তাঁর স্ত্রী রাজো চরিত্রে থাকবেন সোনাক্ষী সিনহা।

‘দাবাং’-এর প্রথম ছবিটি আসে ২০১০ সালে। এর দুই বছর পর আসে ‘দাবাং ২’। দারুণ ব্যবসাসফল হয় ছবি দুটি।

‘দাবাং ২’ পরিচালনা করেন প্রযোজক আরবাজ খান। ছবি দুটিতেই তিনি সালমান খানের ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest