সর্বশেষ সংবাদ-
বিএনপির কণ্ঠে স্বৈরাচারের সুর শুনতে পাচ্ছি– সাতক্ষীরায় গোলাম পরওয়ারজাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে সাতক্ষীরায় বিআরটির রোড শোতালায় বালু বিক্রয় নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪ : ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগলাবণ্যবতী খালের উপর কাঠের ব্রিজটি যেন মৃত্যুর ফাঁদসাতক্ষীরা-২ আসনে এবি পার্টির দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জি এম শাকিলবর্ণিল সাজে সাতক্ষীরায় লেকভিউ রাগবি সেভেনস ট্রফি’র উদ্বোধনপিআর পদ্ধতির দাবিতে সাতক্ষীরায় সেমিনারশ্যামনগরে আজাবা শাকের মেলা ও রান্না প্রতিযোগিতাসংকটের মুহূর্তে জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা কালবেলার সাহসী ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবেসাতক্ষীরায় শ্রমিক নেতা মনিকে আটকের প্রতিবাদে মানববন্ধন

লাবসা ইউপিতে ক্ষুব্ধ জনতা তালা লাগিয়েছে !

নিজস্ব প্রতিবেদক : লাবসা ইউপিতে তালা লাগিয়েছে ক্ষুদ্ধজনগণ। শনিবার বিকালে ইউপি সদস্য, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগণ পরিষদে তালা লাগিয়ে দেন। পরিষদের সচিব গোপনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করার ঘটনায় সাধারণ জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে তালা লাগিয়েছে বলে জানাগেছে।
স্থানীয়রা জানান, লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে কাজ না করে আত্মসাত করে। এঘটনায় সাতক্ষীরার বিভিন্ন গণমাধ্যমে চেয়ারম্যান আলিমের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন মহলের। এঘটনায় গত ২৬ ফেব্র“য়ারি ডিডিএলজি আব্দুল লতিফ খান লাবসা ইউপি পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে তিনি ইউনিয়নের অর্থআত্মসাতের বিষয়ে ইউপি মেম্বরদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন। এসময় ডিডিএলজি উক্ত প্রকল্পগুলোর কাগজপত্র দেখতে চাইলে ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাক দেখাতে পারেননি। তখন সচিব আব্দুর রাজ্জাক বলেন কাগজপত্র সবই ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে। আমার কাছে নেই এবং এ বিষয়ে সচিব আব্দুর রাজ্জাক ডিডিএলজির কাছে লিখিত দেন।
এদিকে ৩মার্চ শনিবার সরকারি ছুটির দিনে ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাক গোপনে ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বের করে নিয়ে যায়। এঘটনায় স্থানীয় জনগণ ক্ষুদ্ধ হয়ে ইউপি সদস্যদের সাথে নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পরিষদে তালা লাগিয়ে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম কিবয়ার বাবু, ২নং ওয়ার্ড সদস্য সাঈদ আলী সরদার, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আজিজুর ইসলাম, ৪নং ওয়ার্ড আসাদুজ্জামান আসাদ, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মনিরুল ইসলাম, লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. মোস্তাফিজুর রহমান শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান সজলসহ লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এঘটনায় ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাকের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এঘটনায় লাবসা ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৩৮টি সেলাই পড়েছে জাফর ইকবালের শরীরে

সন্ত্রাসী হামলায় আহত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক জনপ্রিয় লেখক ড. মহম্মদ জাফর ইকবালের মাথা, বাম হাত ও পিঠে ৩৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে তার মাথায় ২৬টি, বাম হাতে ৬টি এবং পিঠের বাম পাশে আরও ৬টি সেলাই দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ওসমানী হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ডি এ হাসান চৌধুরী।

তিনি জানান, জাফর ইকবালকে হত্যার উদ্দেশ্যেই আঘাত করা হয়েছে। তার মাথার পেছনে রড অথবা কাঠের টুকরো দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আর হাতে এবং পিঠে ধারালো অস্ত্র বা ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব মিলে তার শরীরে ৩৮টি সেলাই রয়েছে।

ইএনটি বিভাগের প্রধান এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এন কে সিনহাকে সভাপতি এবং আরও চারজনকে সদস্য করে বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

অন্যরা হলেন, হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ডি এ হাসান চৌধুরী, নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রশিদুন্নবী খান, এন্থেশিয়া বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. সব্যসাচী রায়, নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোস্তফা তৌফিক আহমদ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাকে সিলেট থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

উল্লেখ্য, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ওই অনুষ্ঠান চলাকালে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন জাফর ইকবাল। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিমানবাহিনীর এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ধানের শীষে ভারী হচ্ছে নৌকা! ইউপি নির্বাচনে আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন বিএনপির চারজন

আবুল কালাম আজাদ নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। তিনি উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে লড়ে পরাজিত হন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এলাকার জনগণ জানতে পারে এই ইউপির উপনির্বাচনে আবুল কালাম আজাদ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। ওই দিনই তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

শুধু তাই নয়, ফরিদপুর সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নেও নৌকার বিরুদ্ধে ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তিনজকে দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। এ নিয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। নেতা-কর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ নেতারা দলে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বার বার হুঙ্কার দিলেও তা কেবল কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না অনুপ্রবেশকারীদের।

২৯ মার্চ ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় ইউপি ও উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।

তেঁতুলিয়া থেকে দুই বছর আগে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ভোট করে বিজয়ী হন রফিকুল ইসলাম মুরাদ চৌধুরী। তার মৃত্যুতে উপনির্বাচনে ২৯ মার্চ ভোট গ্রহণ করা হবে। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ধানের শীষ নিয়ে গতবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। নেত্রকোনার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, ‘আবুল কালাম আজাদ আওয়ামী লীগ করেন এমন তথ্য ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম শুনলাম। তাকে বিএনপি সমর্থিত সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি হিসেবে জানতাম। ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে ভোট করার মতো অনেক যোগ্য লোক ছিলেন। যিনি গত নির্বাচনেও বিএনপি থেকে নির্বাচন করলেন তাকে মনোনয়ন দিতে হবে! আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে এতই দেউলিয়া হয়ে পড়েছে?’

মোহনগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি আ ক ম শফিকুল হক বলেন, ‘আবুল কালাম আজাদ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন তা ২৭ ফেব্রুয়ারি জানার পর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য পরদিন তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ’ মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদ ইকবাল বলেন, ‘আবুল কালাম আজাদ অনেক আগেই আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং দলের প্রাথমিক সদস্যপদও নিয়েছেন। সে কারণেই তাকে তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়। ’ তেঁতুলিয়া ইউপির সদ্যপ্রয়াত চেয়ারম্যান মুরাদ চৌধুরীর ছোট ভাই পাপ্পু চৌধুরী বলেন, ‘আবুল কালাম আজাদ দুই বছর আগেও আমার ভাই নৌকার মনোনয়ন নিয়ে ভোট করে বিজয়ী মুরাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ধানের শীষ নিয়ে ভোট করলেন। তিনি কখন আওয়ামী লীগে যোগদান করলেন, জানি না। ’ ক্ষোভ প্রকাশ করে পাপ্পু চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন দুই ভাগে বিভক্ত। একটি সুবিধাবাদী আওয়ামী লীগ, আরেকটি বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। ’ ২০১১ সালে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রির চর ইউনিয়নে সাদেকুজ্জামান, আলিয়াবাদ ইউনিয়নে ওমর ফারুক চৌধুরী ওরফে ডব্লিউ, অম্বিকাপুর ইউনিয়নে আবু সাঈদ চৌধুরী বারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে অবশ্য তারা আওয়ামী লীগে যোগদান করেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘দলীয় মনোনয়নের প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ। তারপর মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড। তারা বিএনপির লোক হলে এবং দলের যোগদান প্রক্রিয়া যদি যথাযথ না হয় এমন অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে। ’

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, ‘আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলের বিজয় ত্বরান্বিত করতেই তাদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হামলাকারী ফয়জুল সম্পর্কে যা জানা গ‌েল

জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী যুবকের নাম ফয়জুর রহমান ওরফে ফয়জুল (২৪) বলে জানা গেছে। তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের হাফেজ আতিকুর রহমানের ছেলে।

তবে ফয়জুলের বাবা দেড় বছর আগে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন শেখপাড়া এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে সপরিবারে বসবাস শুরু করেন।

তবে জাফর ইকবালের ওপর হামলার পর ফয়জুলদের পরিবারের সদস্যরা শেখপাড়ার বাড়িতে তালা দিয়ে অন্যত্র চলে গেছে বলে জানিয়েছে প্রতিবেশীরা। তখনো প্রতিবেশীরা জানত না যে ফয়জুলই অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালিয়েছে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, ফয়জুল মাদরাসা শিক্ষার্থী বলে এলাকায় পরিচয় দিতেন। তবে কোন মাদরাসার শিক্ষার্থী সে তথ্য কেউ জানে না।

 

এদিকে, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফয়জুর রহমানের শেখপাড়ার বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। সেখান থেকে তাঁর মামা সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহবায়ক ফজলুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া একটি ল্যাপটপও জব্দ করা হয়েছে বলে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুর রহমান জানান।

ওসি শফিকুর রহমান জানান, শনিবার রাত ১২টা নাগাদ শাবিপ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের ওই বাসাটিতে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সে সময় বাসাটি বাইরে থেকে তালা লাগানো থাকায় পুলিশ তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তালাবদ্ধ বাসার ভেতরে ফয়জুরের মামা ফজলুর রহমান অবস্থান করছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাত সোয়া ১ টার দিকে থানায় নিয়ে আসা হয়।

এর আগে শনিবার বিকালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান চলাকালে অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল হামলার শিকার হন। তাঁর পেছনে থাকা ফয়জুর রহমান ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে আঘাত করেন। উন্নত চিকিত্সার জন্য ড. জাফর ইকবালকে ঢাকার সিএমএইচে আনা হয়েছে। ৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তাঁর চিকিত্সা চলছে। আপাতত তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অধ্যাপক জাফর ইকবা‌লের উপর হামলার প্র‌তিবা‌দে সাতক্ষীরার মানববন্ধন আজ

প্রেস বিজ্ঞ‌প্তি: ব‌রেণ্য শিক্ষা‌বিদ, লেখক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযু‌ক্তি বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের ক‌ম্পিউটার বিজ্ঞান বিভা‌গের অধ্যাপক ড. মু. জাফর ইকবা‌লের উপর হামলার প্র‌তিবা‌দে আজ র‌বিবার সকাল ১০:৩০টায় সাতক্ষীরা শ‌হিদ আব্দুর রাজ্জাক পা‌র্কের গে‌ট সংলগ্ন সড়‌কে মু‌ক্তিযু‌দ্ধের স্বপ‌ক্ষের ছাত্র-জনতার উদ্যো‌গে এক মানববন্ধন অনু‌ষ্ঠিত হ‌বে। সকল‌কে যথাসম‌য়ে উপ‌স্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়‌েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঘাড়ের কাছেই ওঁৎ পেতে হামলাকারী!

শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা। সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ফেস্টিভ্যালের সমাপনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে অন্যান্যদের সঙ্গে বসে ছিলেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এমন সময় তাঁর উপর অতর্কিতে হামলা চালায় এক যুবক।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, হঠাৎ মঞ্চের পেছন থেকে ধারালো ছুরি দিয়ে জাফর ইকবালের মাথায় আঘাত করে ওই সন্ত্রাসী। কিন্তু তৎক্ষণাৎ তাকে ধরে ফেলা হয়। পরে গণপিটুনি দিয়ে তাকে পুলিশে সোর্পদ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমেদ জানান, ‌‌মঞ্চের পেছন থেকে এসে এক যুবক ছুরি মারে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশসহ অন্যরা তাকে আটক করে। কী কারণে অধ্যাপক জাফর ইকবালের উপর হামলা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

এদিকে অধ্যাপক জাফর ইকবালের উপর বর্বরোচিত এ হামলায় ক্ষোভ ও নিন্দার ঝর বইছে সবত্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবি নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। অনুষ্ঠানের সময় কোনো একজনের মোবাইল ফোনে তোলা ছবিতে দেখা যায় সোফায় বসে আছেন জাফর ইকবাল। তার চোখ হাতে রাখা কোনো একটি বইয়ে। পেছনে বাম দিকে ফর্সামতো একটি ছেলে হাত বেঁধে দাড়িয়ে আছে। তার গায়ে টি-শার্ট। তার ঠিক ডান পাশে একটু পেছনে দাঁড়িয়ে হামলাকারী। গায়ে কালো রংয়ের টি-শার্ট।

হামলার পর ফেসবুকে ছবিটি চলে আসে। এতে হামলাকারীর পাশের যুবককে কেউ কেউ তার সহযোগী হিসেবে বলছেন। তবে কেউই তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেনি। এদিকে, ঘটনা তদন্তে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল সিলেট যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার উপকমিশনার মুহিবুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, সিলেটে তারা হামলাকারীকে জিজ্ঞাসাবাদসহ পুরো ঘটনা তদন্ত করবে। এছাড়া এর আগে এ ধরণের হুমকি কিংবা উড়োচিঠির বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখবে পুলিশের এ তদন্ত দল।

এর আগে, ২০১৬ সালের ১২ অক্টোবর (বুধবার) জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নামে জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হককে মুঠোফোনের খুদে বার্তায় হত্যার হুমকি দেয়া হয়। এ ঘটনায় মুহম্মদ জাফর ইকবাল সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর থেকেই তাঁদের বাসভবনে সশস্ত্র পুলিশ পাহারা বসানো হয়। এর আগেও, বেশ কয়েকবার মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল বিভিন্ন উগ্রবাদী সংগঠন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাফর ইকবালের উপর হামলার প্রতিবাদে র‌বিবার গণজাগরণ মঞ্চের বি‌ক্ষোভ

সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাতের প্রতিবাদে শাহবাগে মশাল মিছিল করেছে  গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা মশাল মিছিল বের করেন।

মশাল মিছিলে উপস্থিত ছিলেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার, শ্রাবণ প্রকাশনীর সত্বাধিকারী রবিন আহসান, স্বৈরাচার বি‌রোধী ছাত্র‌নেতা আকরামুল হকসহ বি‌ভিন্ন বাম ছাত্র সংগঠ‌নের নেতাকর্মীরা।

মশাল মিছিল শেষে আগামীকাল র‌বিবার বিকাল ৪টায় বি‌ক্ষোভ সমা‌বে‌শের ডাক দেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। এর আগে বিকেলে থেকেই শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ চত্বরে জড়ো হতে থাকেন গণজাগরণ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য, আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৬ টার দিকে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বসে থাকার সময় পেছন থেকে অধ্যাপক জাফর ইকবালের মাথায় ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর তাকে সঙ্গাহীন অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে শাবি ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। এদিকে ছুরিকাঘাতকারী যুবককে আটক করেছে স্থানীয়রা। তাকে পিটুনি নিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‌‌মঞ্চের পেছন থেকে এসে এক যুবক ছুরি মারে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশসহ অন্যরা তাকে আটক করে। কী কারণে অধ্যাপক জাফর ইকবালের উপর হামলা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। হামলাকারীর পরিচয়া পাওয়া যায়নি।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটার পুষ্পকাটিতে প্রবাসির স্ত্রীকে অপহরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার দেবহাটার পুষ্পকাটিতে প্রবাসি এক ব্যক্তির স্ত্রীকে অপহরনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রবাসী ইকবাল কবিরের দুলাভাই শফিকুল ইসলাম অপহরণকারী সুমন হোসেনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগকারী শফিকুল ইসলাম জানান, আমার শ্যালক কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মালেয়েশিয়া প্রবাসী ইকবাল কবিরের সাথে দীর্ঘ ১০ বছর আগে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক দেবহাটার পুষ্পকাটি গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে খাদিজা খাতুনের (২৬) বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর আমার শ্যালক জীবিকার তাগিদে ইকবাল কবির মালেয়েশিয়া চলে যায়। এরপর তার স্ত্রী খাদিজা খাতুন বেশী ভাগ সময় তার বাবার বাড়ি দেবহাটার পুষ্পকাটিতে অবস্থান করতে থাকে। এই সুযোগে তাদের প¦ার্শবর্তী গ্রামের সদর উপজেলার আলীপুর চেকপোষ্ট এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম সুমন (২৬) তাকে প্রায়ই উত্যক্ত করতো। এরই জের ধরে গত ১ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় খাদিজা খাতুন তার বাবার বাড়ির সামনে বাহির হলে অপহরনকারী সুমন, সিরাজুল, জাফর, রজবসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন তাকে (খাদিজাকে) ফুসলাইয়া প্রাইভেটকার যোগে অপহরন করে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে এ সময় উপস্থিত স্বাক্ষী মাসুম বিল্লাহ, মহসিন ও আহসান হাবিব আসলে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমার শ্যালক ইকবাল কবির বিদেশে থাকার কারনে আমি শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় একটি অভিযোগ দাখিল করি।
শফিকুল ইসলাম এ সময় তার শ্যালকের স্ত্রী খাদিজা খাতুনকে উদ্ধারসহ আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest