সর্বশেষ সংবাদ-
চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভা

তুজুলপুর স্কুলের এক ছাত্রকে পিটিয়েছে দুর্বৃত্তরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্কুল ছুটির পরে বাড়ি ফেরার পথে স্কুল ছাত্রকে পেটালো দুর্বৃত্তরা । আহত আশিকুর রহমান তুজলপুর জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। সে সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের ইকরামুল ইসলামের ছেলে।

আশিকুর রহমানের পিতা ইকরামুল ইসলাম ডেইলি সাতক্ষীরা’কে বলেন,  রবিবার বিকালে স্কুল ছুটির পর  বাড়ি ফেরার পথে তুজলপুর এলাকার একদল সন্ত্রাসী তার ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়। আশিকের সহপাঠি সোহেলের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। স্বসস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি মারতে মারতে ভ্যান করে তুলে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে প্রায় ২ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় তুজলপুরের মোশাররফের পুত্র কিবরিয়া ভ্যান যোগে ছয়ঘরিয়ার ভোবার বটতলা এলাকায় ফেলে রেখে যায় বলে জানতে পার‌ি । এলাকাবাসি তাকে উদ্ধার করে তার মা বাবাকে খবর দেয়। আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্র জানায়, স্কুল ছুটির পর  বাড়ি ফেরার পথে তুজলপুর এলাকার একদল সন্ত্রাসী আকস্মিকভাবে মারতে মারতে ভ্যানে করে তুলে নিয়ে যায়।

আহত স্কুল ছাত্র আশিকুর জানান, তুজলপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে আবু শাম, সাহাবুদ্দীনের ছেলে শামিম হোসেন, মোশাররফ হোসেনের ছেলে কিবরিয়াসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন তাকে হামলা করে।

তুজলপুর জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমের কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘পরমাণু যুদ্ধের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে বিশ্ব’

বর্তমান পৃথিবী পরমাণু যুদ্ধের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন শীর্ষস্থানীয় মার্কিন পরমাণু বিজ্ঞানী আর্নেস্ট মোনিজ। নিউক্লিয়ার থ্রেট ইনিশিয়েটিভের সিইও ও কো-চেয়ারম্যান মোনিজ মনে করছেন, ক্ষুদ্রাকৃতির বিপুল পরিমাণ পারমাণবিক বোমা তৈরি হয়েছে বিশ্বে; যেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে একটুখানি অসাবধানতার কারণে অনিচ্ছাকৃত বিস্ফোরণ ঘটতে পারে যখন-তখন। হ্যাকিং আক্রমণের কারণেও পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণ হতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন তিনি। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ওবামা সরকারের জ্বালানি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন মোনিজ। পরে তিনি নিউক্লিয়ার থ্রেট ইনিশিয়েটিভে তৎপর হন।

যুক্তরাষ্ট্র-সোভিয়েত ইউনিয়ন ছাড়াও যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া এবং ইসরায়েল পরমাণু অস্ত্রে সমৃদ্ধ। তবে অস্ত্র উন্নয়নের কথা অস্বীকার করে থাকে বেশিরভাগ দেশ। নিউক্লিয়ার থ্রেট ইনিশিয়েটিভের সিইও এবং কো-চেয়ারম্যান আর্নেস্ট মোনিজ মনে করেন, ‘পৃথিবীর জন্য এটা আশীর্বাদ যে ভুল করে কোনও পারমাণবিক বোমা ছোড়া হয়নি এখন পর্যন্ত। কিন্তু ক্রমেই এই আশঙ্কা বাড়ছে। ভুলে বিস্ফোরণের সম্ভাবনার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে বহু পক্ষের বিবাদে জড়িয়ে যাওয়াও পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে’ । ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষুদ্রাকৃতির পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেন তিনি।

গত বছর ১৩ জানুয়ারি শনিবার সকালে মোবাইল ফোনে এক জরুরি সতর্ক বার্তা পান যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই রাজ্যের বাসিন্দারা। ওই বার্তায় বলা হয়,  ‘ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকি হাওয়াইয়ের দিকে ছুটছে। দ্রুত আশ্রয় খুঁজে নিন। এটা কোনও প্রশিক্ষণ নয়।’ ওই দিন রেডিও আর টেলিভিশনেও একই বার্তা প্রচারিত হয়। এরপরই রাজ্যজুড়ে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। পরে এই বার্তাকে ভুয়া বলে ঘোষণা দেওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।

ভুল সতর্কতা সংক্রান্ত সেই ঘটনা সম্পর্কে মোনিজ বলেন, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে যে ভুল সতর্কতা সঙ্কেত দেওয়া হয়েছিল তা অনেক বড় পাল্টা ভুল সিদ্ধান্তের কারণ হতে পারত। হাওয়াইয়ের এই বিপদ সঙ্কেত যে ভুল ছিল তা বুঝতে ৩৮ মিনিট লেগে গিয়েছিল। ‘পরমাণু আক্রমণের জবাবে পাল্টা পরমাণু আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিতে  ট্রাম্প, পুতিনসহ অন্য নেতাদের জন্য ৩৮ মিনিট যথেষ্ট। আমরা এর আগেও এরকম ভুল সঙ্কেতের কারণে কয়েকবার বিপদের হাত থেকে বেঁচে গেছি। কিন্তু এভাবে বেঁচে যাওয়ার সুযোগ কমে আসছে।’

ট্রাম্প প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য নতুন স্বল্পপাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি ওবামা যুগে নেওয়া একটি সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আর তা হলো ইউরোপে মোতায়েন করা বি-৬১ পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর আধুনিকায়নের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দের প্রস্তাব। মেনিজ মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ওই দুই সিদ্ধান্ত পরমাণু আক্রমণের আশঙ্কা বাড়াবে।

সমালোচকরা বলছেন, রাজনীতিবিদ ও জেনারেলদের কাছে এসব ছোট ছোট অস্ত্রই বেশি প্রিয় হয়ে উঠবে। আর তা বাড়িয়ে দেবে পরমাণু আক্রমণের সম্ভাবনা। মোনিজও সেটাই মনে করেন। ম্যাসাচুয়েটস ইন্সটিটিউট-এমআইটির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক এই প্রধান বলেছেন, ‘ছোট ছোট এত পারমাণবিক অস্ত্র থাকলে সেগুলো হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারে যেকোনও সময়ে। তখন নির্দিষ্ট করে জানাটাও কঠিন হবে আক্রমণটা কোন পক্ষ শুরু করেছিল। তাছাড়া এমনও হতে পারে, তৃতীয় কোনো পক্ষ হ্যাকিং করে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধটা বাঁধিয়ে দিতে পারে।’

অধ্যাপক মোনিজ স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট যখন ইরাকের মসুল শহরে দখল নিয়েছিল তখন সেখানে ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত কোবাল্ট-৬০ জমা ছিল প্রচুর পরিমাণে। আইএস চাইলে তার অপব্যবহার করতে পারত। মোনাজ তাই চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় পদার্থের সুব্যবস্থাপনার তাগিদ দিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে পি কে ক্লাব জয়ী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং সফ্টরক গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ-২০১৮ এর আজকের খেলা গণমুখী সংঘ বনাম পি.কে ইউনিয়ন ক্লাবের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় পি.কে ইউনিয়ন ক্লাব টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৭টি উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান করে। দলের মোহন ৪৩, সুমন্ত ৩৩ রান করে। প্রতিপক্ষের চপল ৩টি উইকেট লাভ করে। জবাবে গণমুখী সংঘ ব্যাট করতে নেমে ৩৮.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান করে। দলের তারেকুজ্জামান ৪৮ ও রবিউল ৪২ রান করে। প্রতিপক্ষের টিপু ৩টি আশিক ও জাকির ২টি করে উইকেট লাভ করে। ফলে পি.কে ইউনিয়ন ক্লাব ১৪ রানে জয়লাভ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এমপি নিজেই পরিষ্কার করলেন স্কুলের টয়লেট

স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে এমপি জানতে পারেন টয়লেটটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারছে না। মাটি দিয়ে কমোডের মুখ ভরাট হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে পানি প্রবাহিত হয় না। টয়লেটে গিয়ে এমন বেহাল দশা দেখে এমপি নিজেই লেগে গেলেন তা পরিষ্কার করতে। খালি হাতে কমোডের মুখ থেকে মাটি সরান তিনি। ভারতের মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলায় খাজুহা গ্রামের সরকারি এক স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার নায়ক বিজেপির স্থানীয় এমপি জনার্দন মিশ্র (৬১)। আজ এনডিটিভি অনলাইনে এ খবর প্রকাশ করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের এমপি জনার্দন মিশ্রের টয়লেট পরিষ্কারের এ দৃশ্য ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এমপি ভিডিওটি তাঁর টুইটারে পোস্ট করেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, এমপি কমোডের মুখের ভেতর হাত ঢুকিয়ে মাটি তুলে আনছেন। একপর্যায়ে একটি কাঠি দিয়ে তিনি কমোডের ভেতরের মাটি আলগা করে আবার তা হাত দিয়ে তুলে আনেন। পরে মগ দিয়ে পানি ঢেলে প্রবাহ পরীক্ষা করেন। কমোড দিয়ে পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তিনি তা পরিষ্কার করে যাচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার ভিডিওটি প্রচারের পর তা ৩০ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং রিটুইট হয়েছে ১ হাজার ৬০০ বার। এর আগে ভারতের দুই মন্ত্রীর প্রকাশ্যে মূত্রত্যাগের ছবির বিপরীতে একজন এমপির এই কর্মকাণ্ড প্রশংসিত হয়েছে সব মহলে।

পরদিন শুক্রবার আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, এই এমপি রেওয়া নগরের রাস্তা ঝাড়ু দিচ্ছেন। আজ রোববার প্রকাশিত আরেক ভিডিওতে দেখা গেছে, এমপি স্কুলের এক শিক্ষার্থীর নখ পরিষ্কার করে দিচ্ছেন এবং শিক্ষার্থীদের পরিচ্ছন্ন থাকার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে বোঝাচ্ছেন।

তবে এই এমপি এমন কাজ এই প্রথম করেছেন তা নয়; এর আগে ২৩ জানুয়ারি তাঁর আরেক ভিডিও লোকজনের নজর কাড়ে। সরকার পরিচালিত স্কুল নায়ি গারহিতে গিয়ে এমপি জনার্দন মিশ্র দেখেন, অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে এসেছে গোসল না করে অপরিচ্ছন্ন অবস্থায়। এমন এক শিশু ছাত্রকে তিনি গোসল করিয়ে দেন। ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এমপি হাত দিয়ে ওই ছাত্রের পা ঘষে ঘষে পরিষ্কার করছেন।

কয়েক দিন আগে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে জয়পুরে। সেখানে রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কালীচরণ সরাফের রাস্তার পাশের দেয়ালে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে মূত্রত্যাগের ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। তবে মন্ত্রী বিষয়টিকে পাত্তা না দিয়ে বলেছিলেন, ‘এটা এমন বড় কিছু নয়।’
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ নামে কর্মসূচি নেন। নিরাপদ পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিচ্ছন্ন সড়ক নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে—সবার জন্য টয়লেট। দেশটির ২০১১ সালের সমীক্ষা অনুসারে, ৫৩ শতাংশ বাড়িতে কোনো টয়লেট নেই। নরেন্দ্র মোদির কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্বচ্ছ ভারত গড়ার উদ্দেশ্যে জনার্দন মিশ্রের মতো অগোচরে থাকা অনেক ব্যক্তি কাজ করে চলেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মনের রঙে ক্যানভাস রাঙালো শিশুরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বময় গর্বের স্মারক অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। আমাদের জাতীয় জীবনের অনন্যোজ্জ্বল দিনটি বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালন করা হয়। এরই অংশ হিসেবে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মনের রঙে ক্যানভাস রাঙালো শিশুরা। রোববার বিকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় জেলা শিলকলা একাডেমির আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমিতে একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহিদ দিবস দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং শিল্পকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এ চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় শতাধিক কোমলমতি শিশু চিত্র শিল্পীরা অংশ নেয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার আমিনুল ইসলাম, শাম্মী আক্তার তমা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন প্রমুখ। বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন চিত্রশিল্পী এম.এ জলিল, জেলা শিশু একাডেমির লাইব্রেরিয়ান শেখ মো. রফিকুল ইসলাম, নাজমুস সায়াদাত মান্টি প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সংবাদ প্রকাশে গাত্রদাহ শুরু হয়েছে ভাইপো সাঈদুজ্জামানের !

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার আলীপুরের আলোচিত ভাইপো সাইদুজ্জামানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশে গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। অপকর্ম ঢাকতে ইতোমধ্যে সাইদুজ্জামান বিভিন্ন দপ্তরে ধর্নাদিচ্ছেন। এমন প্রচারও দিচ্ছেন খুলনায় তার কসমেটিসের দোকান রয়েছে। কিন্তু খুলনায় তার দোকান অথচ থাকেন সাতক্ষীরায় তাহলে কিভাবে সেটি পরিচালনা করেন সেটা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, উক্ত ভাইপো সাইদুজ্জামান চোরাকারবারি ব্যবসার সাথে জড়িত। সে স্বল্প শিক্ষিত হয়েও চোরাকারবারি ব্যবসা পরিচালনা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। সে অধিকবার অবৈধ মালামাল সহ ধরা ও পড়েছে এছাড়া ১০জনু১৬ইং তারিখে ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ছাড়া পান। এছাড়া বিভিন্ন থানায় মামলা ও রয়েছে যেমন পাটিকেলঘাটা থানা মামলা নং- ঝ.ঞ.ঈ- ১৭১/১৩, চলমান।
প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনী প্রধানদের- চোরাকারবারীর বিরুদ্ধে কঠোর নির্দেশনা থাকলে ও সে দাপটের সাথে সকল কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। অবৈধপথে উপার্জনের মাধ্যমে কোটি টাকার মালিক হলেও চাচার সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের জন্য মরিয়া সে।
অবৈধ টাকার প্রভাবে আইন, আদালত, জনপ্রতিনিধি কারো কোন তোয়াক্কাই করেন না ভাইপো সাঈদুজ্জামান। এমনই অভিযোগ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর গ্রামের শরিয়াতুল্লা মোড়লের ছেলে ইমান আলীর।
কাগজ পত্রানুযায়ী ভিটাবাড়ির জমি সকল ভাই বোনের মধ্যে ক্রয় বিক্রয় হওয়ার পর পথ, পুকুর, কবরস্থান বাদে চার ভাই যথাক্রমে প্রাপ্য বড় ভাই এনছাপ ০১.৭২(দখল নাই), মৃত ছামছুরের পুত্র সাইদুজ্জামান ১৪.৭৯ (দখল৩৪.২৫)শতক, ইমান ৩৩.৪৩ (দখল ২৪) শতক ও জিয়াদ আলী ১৯.২১ (দখল ১০.৯০) শতক করে প্রাপ্য। কিন্তু দেখা যায় ভিটাবাড়িতে সাইদুজ্জামান প্রাপ্য ১৪.৭৯ শতক ছাড়াও ১৯.৪৬ শতক ও বিলান ১৪.১২ শতক জমি দীর্ঘদিন জোর পূর্বক অবৈধ দখল করে রেখেছে। সেই সম্পত্তি ফেরত চাওয়ায় চাচা ইমান আলীর সাথে বিরোধে সূত্রপাত ঘটে। ইতোপূর্বে সাঈদুজ্জামানের চোরাকারবারী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় ইমান আলীর ছেলে মোঃ হাবিবুল্লাহ বাহার কে ০১নং আসামী করে আরো তিন জনের নামে সাতক্ষীরা আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় হাবিবুল্লাহকে তার চাকুরি হারাতে হয়। চাকুরি হারিয়ে হাবিবুল্লাহ বর্তমানে মানবেতর জীবন – যাপন করছে।
এরপর গত ২১জানুয়ারি১৮ তারিখের সদর থানার এস আই হাসানুর রহমান উক্ত মামলার তদন্ত করেন। তদন্তে উক্ত মামলা মিথ্যা প্রমানিত মর্মে প্রতিবেদনও দেন সদর থানার এস আই হাসানুর রহমান। এটা নিয়ে ডেইলি সাতক্ষীরায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর গাত্র দাহ শুরু হয়েছে সাইদুজ্জামানের।
অত্র এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ১২৫ জন গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণস্বাক্ষর করেছেন। এঘটনা অসহায় চাচা ঈমান আলী বিলম্বে ওই চোরাকারবারি ভাইপোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ধর্ষণ মামলায় তিন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রফতারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক : হুজুর ডেকে কাল্পনিক বিয়ে পড়ানোর পর অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়া এক নারীকে বাড়ি থেকে খুলনায় তুলে নিয়ে যেয়ে গণধর্ষণের পর গর্ভপাত ঘটিয়ে কয়েক দিন আটক রেখে মৃত্যুমুখে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আকতার রোরবার নির্যাতিতা মহিলার না-রাজির আবেদন শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
গ্রেফতার পরোয়ানার আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের শেখ আব্দুল মোমিনের ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক, দেবীপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক গোলাম রসুল ও একই গ্রামের সুকুমার মণ্ডল।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ৩ ফেব্র“য়ারি যাদবপুর গ্রামের সুকুমার মণ্ডল ও গোলাম রসুল একই এলাকার এক নারীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ফুলবাড়ি গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের ঘেরের বাসায় নিয়ে যায়। ওই দিন বহু প্রতিশ্র“তি দিয়ে হুজুর ডেকে ছিদ্দিকের সঙ্গে ওই নারীর কাল্পনিক বিয়ে পড়ানো হয়। স্বামী স্ত্রী হিসেবে সময় পার করার একপর্যায়ে ওই নারী দু’মাসের অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়লে গত বছরের ১১ জুন সকালে তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে খুলনায় একটি বাড়িতে আটক রাখা হয়। সেখানে পাঁচদিন যাবৎ ছিদ্দিক, সুকুমার ও গোলাম রসুল পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই নারীকে। ১৬ জুন রাইসা ক্লিনিকে ওই নারীর গর্ভপাত ঘটানো হয়। পরে তাকে বিভিন্ন স্থানে রেখে ২৫ জুন ছিদ্দিকের বোন রোজিনার মাধ্যমে বাড়ির পাশে নিয়ে ফেলে রেখে যাওয়া হয়। থানা মামলা না নেওয়ায় গত বছরের ২৬ জুলাই ওই নারী বাদি হয়ে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে থানা মামলা নিলেও আসামীদের দারা প্রভাবিত হয়ে তদন্তকারি কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক লিটন মিঞা গত বছরের ৬ ডিসেম্বর আদালতে সকল আসামীদের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে ওই নারীর গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে চাকুরি, একটি জাল এফিডেফিড, অন্যের মোবাইল সিম ওই নারীর দেখানোসহ বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়। মামলার পর পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার না করায় ওই নারী সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কাছে তদন্তকারি কর্মকর্তা পরিবর্তনের আবেদন জানান।
মামলা তুলে নিতে রাজী না হওয়ায় ওই নারীর ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও অপহরণ মামলায় আসামী করা হয়।
মামলার বিবরণে আরো জানা যায়, পুলিশের চুড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ওই নারী রোববার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে না- রাজির আবেদন করেন। এ আবেদন জমা দিতে গেলে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু তাতে সাক্ষর করেননি। পরবর্তীতে শুনানী শেষে তিনি সাক্ষর করেন। তবে তিনি না-রাজীর আবেদন শুনানীর জন্য সময়ের আবেদন জানালে বিচারক তা খরিজ করে দিয়ে তিন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।
না-রাজীর আবেদনে প্রথমে বিশেষ পিপি’র সাক্ষর না করা ও তিন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. সেলিনা আক্তার শেলী।#

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মহান ২১ ফেব্র“য়ারি উপলক্ষ্যে পৌর তাঁতীলীগের প্রস্তুতি সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : মহান ২১ ফেব্র“য়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষ্যে পৌর তাঁতীলীগের আয়োজনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় পলাশপোল প্রাইমারি স্কুল চত্বরে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর তাঁতীলীগের আহবায়ক নুরজাহান সাদিয়া। যুগ্ম আহবায়ক শেখ ফিরোজ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, পৌর তাঁতীলীগের সদস্য সচিব কাজী ওবায়েদ, সিনিয়র সদস্য সাংবাদিক মাসুদ আলী, ১নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল আলিম, ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোওয়ার হোসেন, ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি সুলতান মাহমুদ সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন প্রমুখ। এসময় ২১ এর প্রথম প্রহরে শহীদ বেদীতে পুস্পস্তাবক অর্পনসহ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest