সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার ফিংড়ীর বালিথায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে এক কৃষকের করুন মৃত্যু হয়েছে। নিহত কৃষক বালিথা এলাকার মৃত. মোহাম্মাদ আলীর ছেলে আলাউদ্দিন (৪৫)। শুক্রবার সকাল ১০টায় ফিংড়ী ইউনিয়নের বালিথা বিলে এঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার সকালে আলাউদ্দিন বিলের বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পে সংযোগ দিতে যায়। এসময় তিনি শর্ট সার্কিটের কারণে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হন। বিলে কর্মরত কৃষকরা দ্রুত এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎক তাকে মৃতু ঘোষণা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নুরনগরে ফার্মেসীতে ঔষধ বিক্রয়ে প্রতারণা !

পলাশ দেবনাথ, নুরনগর থেকে: শ্যামনগর উপজেলার নুরনগরের ফার্মেসীতে ঔষধ বিক্রয়ে প্রতারনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনার সূত্রে জানা যায়, রামজীবনপুর গ্রামের জুব্বার গাজীর স্ত্রী হঠাৎ অসুস্থ্ হয়ে পড়লে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আইযুব আলীর চেম্বারে নিয়ে গেলে চিকিৎসক একটি প্রেসক্রিপশন করে দিলে রোগীর স্বামী জুব্বার গাজীর নুরনগর পুরাতন মাছের সেট সংলগ্ন আর্দশ ফার্মেসীতে যান ঔষধ কিনতে এবং তিনি প্রেসক্রিপশন বরাবর ঔষধ দিতে বলেন। ফার্মেসী মালিক জিল্লুর রহমান তাকে ঔষধ দিয়ে বিদায় দেন। জুব্বার গাজী ঔষধ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে চিকিৎসক তাকে জানায় আমি যে কোম্পানীর ঔষধ লিখেছি সেটা নিয়ে আসেন এগুলো কমদামী এবং প্রেসক্রিপশনে যেটা লেখা সেটা নয়। এর পর জুব্বার গাজী আর্দশ ফার্মেসীতে এসে ফার্মেসী মালিক কে বলে আমি এই ঔষধ নিব না আপনি আমার টাকা ফিরিয়ে দেন। ফার্মেসী মালিক জিল্লুর রহমান ঔষধ ফেরত হবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিলে, গরীব অসহায় জুব্বার গাজী দিশেহারা হয়ে স্থানীয় সংবাদিকদের কাছে তার অভিযোগ তুলে ধরে। শুধু জুব্বার গাজী নয় এমন ভাবে প্রতারনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত হাজারও মানুষ। মানুষের অসুস্থ্যতার সুযোগ নিয়ে অসাধু ফার্মেসী মালিকরা নিন্মমানের ঔষধ দিয়ে প্রতারনা করছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ার ইলিশপুরে রয়েল ইট ভাটায় অবাধে পুড়ছে কাঠ, গাছ-পালা

নিজস্ব প্রতিনিধি : যথাযথ আইন অমান্য করে বহাল তবিয়তে চলছে কলারোয়ার কেরালকাতা ইউনিয়নের ইলিশপুরের রয়েল ভাটা। সেখানে অবাধে অবৈধ ভাবে পোড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার মণ কাঠ, গাছ-পালা। ফলে ভয়াবহ বায়ু দূষণের মুখে পড়েছে এলাকাটি। দেখা দিয়েছে জনস্বাস্থ্য বিপর্যয়ের আশঙ্কা।
অভিযোগ রয়েছে- এ অবৈধ এবং পরিবেশ বিধ্বংসী কাজের অলিখিত বৈধতা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালীরা। বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকা, সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা আর পরোক্ষভাবে সহায়তায় ভাটা মালিকরা আইন অগ্রাহ্য করে কাঠ পোড়ালেও দেখার যেন কেউ নেই। দিনের পর দিন ইটভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় প্রতিনিয়তই বায়ু দূষন হচ্ছে পাশাপাশি এর প্রভাব পরছে ভাটার আশপাশের ফসলী জমি এবং গাছপালার উপর। পরিবেশ সচেতন মানুষ এতে ক্ষুব্ধ হলেও তাদের করার কিছুই থাকছে না।
ইট পরিবহনের কাজে ফিটনেস বিহীন নিষিদ্ধ ঘোষিত শত শত ট্রলি ব্যবহৃত হওয়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা গুলোও।
জানা গেছে- ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮৯ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী ফসলী জমিতে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। ইট ভাটার জন্য অকৃষি জমি ব্যবহার করতে হবে এবং আইনের সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তা করতে হবে। যেমন ভাটায় ১২০ ফুট উচ্চতার চিমনি ব্যবহার, জনবহুল এলাকায় ও ফসলি জমিতে ভাটা নির্মাণ না করা এবং ইট পোড়ানোর কাজে দেশীয় বা বনজ কোনো ধরনের কাঠ ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পরবর্তীতে কয়লা পোড়ানোর দিক নির্দেশনায় দেয়া হয় সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে। অথচ এসবের তোয়াক্কা না করে উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের ইলিশপুর রয়েল ভাটা।
রয়েল ভাটার ম্যানেজার তৌহিদুর রহমানের কাছে সাংবাদিরা কাঠ পৌড়ানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমরা উপজেলা প্রশাসনকে মাসিক দুই লক্ষ টাকা দেয়, সাংবাদিকেরা লিখে কিছুই করতে পারবেনা। আমাদের মালিক কবির হোসেন মাই টিভির সাংবাদিক। রিপোট করতে চেয়েছিল বলে গাছের সাথে বেঁধে রেখেছিল। এছাড়া রিপোট করলে আপনার ব্যাবস্থা নেয়া হবে। আমরা যশোর জেলার লোক এভাবেই হুমকি প্রদান করেন সাংবাদিকের।
সরেজমিনে দেখা যায়- রয়েল ভাটা প্রতিনিয়ত কাঠ পুড়িয়ে ইট পোড়াচ্ছে। পাশাপাশি ব্যবহার করছে ভ্যাকাস (পামওয়েলের গাদ)। প্রতিটি বেড়ে ইট পোড়ানোর কাজ চলছে পুরোদমে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক জানান- ভাটায় রাতে কাঠ পোড়ানো হয় সবচেয়ে বেশী। অনেকে কাঠ ভাটায় সংরক্ষন না করে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে রেখে দেন। রাতের আঁধারে সেখান থেকে কাঠ নিয়ে পোড়ানো হয় ভাটায়। পুরোদমে চলছে ইট পোড়ানোর কাজ।
রয়েল ভাটার মালিক আবার গত কয়েক বছরের ইটের বিনিময়ে অগ্রিম টাকা নিয়ে ইট দিতে না পারায় এবছরও ভাটা জ্বালিয়ে ওই টাকা পরিশোধের চেষ্টা করছেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভাটার এক শ্রমিক জানান- যেভাবে ইটের অগ্রিম টাকা নেয়া হয়েছে তার পরিশোধ করতে আরো ২ বছর ভাটা পরিচালনা করতে হবে। ইটের দাদন দেয়া টাকা নিয়েও চিন্তিত রয়েছেন ইলিশপুরের অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাসীন আলী জানান- ইটভাটা নির্মানের সময় অকৃষি জমির সনদ বাধ্যতা মূলক থাকলেও আমার সময়কালে কলারোয়ার রয়েল ভাটা মালিক এ সনদের জন্য আমার নিকট আসেনি। অধিকাংশ ইট ভাটা গড়ে উঠেছে কৃষি জমিতে। ফলশ্রুতিতে দিনে দিনে কমছে কৃষি জমি। গ্রামের মধ্যে ইট ভাটা নির্মানের ছাড়পত্র পরিবেশ অধিদপ্তর কিভাবে দেয় তা আমার বোধগম্য নয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুল ইসলাম জানান- ইট পোড়ানো নির্গত ধোঁয়া মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। এতে ফুসফুস সংক্রমিত হয়ে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
এ সকল বিষয়ে ভাটা মালিক কবির হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান- বর্তমান কয়লার যে দাম তাতে কয়লা কিনলে ব্যবসা করতে পারবো না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন জানান- আমি ইতিমধ্যে দু’এক জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেছি। ভাটা মালিকদের মৌখিকভাবে সতর্ক করেছি। তারপরও ইটের ভাটায় কাঠ পোড়ানো হলে সেসব ভাটার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
ভাটা পার্শ্ববর্তী এলাকাবাসীরা জানান- এলাকায় ইটের ভাটা হওয়ায় নগদ উপার্জনের আশায় অনেক দরিদ্র কৃষক চড়াদামে বিক্রি করছে জমির টপ সয়েল। এতে করে ওই সকল ফসলী জমি উর্বরতা হারাবে। কাঠ পোড়ানোর ফলে নির্গত কালো ধোঁয়া এবং তাপমাত্রার কারণে ভাটা পার্শ্ববর্তী জমিতে কমে গেছে ফসলের উৎপাদনও।
এদিকে পুরোপুরি অবৈধভাবে ইট ভাটার ব্যবসা পরিচালনা করলেও সংশ্লিষ্টদের কর্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। অবিলম্বে কেরালকাতা ইউনিয়নের রয়েল ভাটা বন্ধ করে পরিবেশ রক্ষায় এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘প্রাথমিক শিক্ষার ভিত শক্ত হলে সাফল্য অনিবার্য’-লুৎফুল্লাহ এমপি

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা-১ (কলারোয়া-তালা) আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘প্রাথমিক শিক্ষাই একজন মানুষের আদর্শ হিসেবে গড়ে ওঠার প্রথম সিড়ি। প্রাথমিক শিক্ষার ভিত যদি শক্ত হয় তবে সমস্ত শিক্ষা জীবনে সাফল্য অনিবার্য।’
২২ ফেব্রুয়ারী বৃহষ্পতিবার দুপুরে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন প্রাচীর ও গেট উদ্বোধন শেষে বিদ্যালয় চত্বরে আয়োজিত সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি আরো বলেন- ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শুধু প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও বিনামূল্যে বই সরবরাহ দিয়েই শেষ নয় বর্তমান সরকার দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একযোগে জাতীয়করণ করেছে। পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা, অবকাঠামো ও সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় যগোপযোগি করে গড়ে তোলার কাজ অব্যহত রেখেছে শেখ হাসিনার সরকার।’
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইখতিয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফরিদ হোসেন, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রনব ঘোষ বাবলু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সুধিজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, তালার ধানদিয়া কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার উদ্বোধন করেন এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এফবিআইয়ের ডিএনএ প্রযুক্তি পেল বাংলাদেশ পুলিশ

ফরেনসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে অপরাধী শনাক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের ডিএনএ প্রযুক্তি এখন ব্যবহার করতে পারবে বাংলাদেশের পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে কোডিস বা সিওডিআইএস (কম্বাইন্ড ডিএনএ ইনডেক্স সিস্টেম) নামে একটি সফটওয়্যার হস্তান্তর করেছে এফবিআই।

একই সঙ্গে সফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য সিআইডির ১৮ সদস্যকে প্রশিক্ষণও দিয়েছেন এফবিআই প্রতিনিধিরা। ফরেনসিক বিভাগের ডিএনএ গবেষণাগারে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বের ৫১টি দেশে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। নতুন এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের মতোই ডিএনএ প্রফাইল সংরক্ষণ ও মেচিংয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পরও অপরাধী শনাক্ত করা যাবে। এতে সিআইডির দক্ষতা আরো বাড়বে।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। তিনি বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে ৫১টি দেশের কাতারভুক্ত হলো, যাদের সিওডিআইএস (কম্বাইন্ড ডিএনএ ইনডেক্স সিস্টেম) রয়েছে। এফবিআইয়ের এই সফটওয়্যার এখন পুলিশ তাদের ডিএনএ গবেষণাগারে ব্যবহার করবে। এটি অপরাধ দমনে অত্যন্ত কার্যকর।’

তিনি আরো বলেন, অমীমাংসিত অপরাধের রহস্য উদ্ঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সিওডিআইএস। তবে যেহেতু নমুনার ওপর ভিত্তি করে এটি কাজ করে সেহেতু ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহে সতর্ক এবং দায়িত্বশীল থাকার পরামর্শ পুলিশকে দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমান, মো. সাইফুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম বাংলাদেশ পুলিশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে সিআইডির ডিআইজি লুৎফর রহমান মণ্ডল বলেন, ‘এখন আমরা যে প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, সেটি হচ্ছে ল্যাবরেটরি ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলআইএমএস)। এতে কোনো ডাটা বেইস সুবিধা নেই। তাই সিওডিআইএস পেয়ে এখন ডিএনএ প্রফাইলের ডাটা বেইস করতে পারব আমরা, যা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।’

অনুষ্ঠানে প্রগ্রাম ডিরেক্টর কার্ল ক্লাক, বাংলাদেশে এফবিআইয়ের প্রতিনিধি, কোডিস স্থাপনকারী এবং প্রশিক্ষকসহ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন।

সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) রোমানা আক্তার বলেন, ‘কোডিস সফটওয়্যারটি অনেক উন্নত দেশ ব্যবহার করে। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরও ব্যবহার শুরু করেছে। এর মাধ্যমে ডিএনএ প্রফাইলিং ইনডেক্স বা তালিকার মাধ্যমে ডাটা বেইস তৈরি করবে। এতে পরবর্তী সময়েও আমরা অপরাধীদের সঙ্গে ডিএনএন প্রফাইল মেচিং করে দেখতে পারব। একই অপরাধী বারবার অপরাধ করলেও ধরা পড়বে।’

তিনি জানান, কোডিস ব্যবহারে প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণে সহায়তা করবে সংশ্লিষ্টরা। গতকাল প্রযুক্তি হস্তান্তরের সঙ্গে ল্যাবের ১৮ সদস্যকে সফটওয়্যারটি ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আরো সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
একটি লেবুর মূল্য ৯হাজার ৮শ’ টাকা!

লেবু অপছন্দ করেন এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। তবে একটি লেবুর মূল্য কত হতে পারে? আট-দশ টাকার বেশি হয়তো হবে না। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন একটি লেবুর দাম ৯৮০০ (৭৬০০ রুপি) টাকা হয়! হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য হলেও এমনটাই ঘটেছে।

তাহলে কি এ লেবুতে কোনো হিরা-জহরত বসানো আছে? না, ব্যাপারটা এমন নয়। আসলে দিন কয়েক আগে এই লেবুটি শিবরাত্রিতে শিবের পুজোয় ব্যবহার করা হয়েছিল। ভারতের তামিলনাড়ুর ইরোড় জেলার পাঝাথিন্নি করুপান্নান মন্দিরে পুজোর পর শুক্রবার লেবুটিকে নিলামে তোলা হয়। সেখানেই এক ভক্ত লেবুটি কিনে নেন ৭৬০০ টাকার বিনিময়ে। শিবগিরির কাছে ওলাপালায়ম গ্রামের এক ব্যক্তি লেবুটি কেনেন।

শুধু লেবুই নয়, পুজোয় ব্যবহৃত অন্যান্য বেশ কিছু সামগ্রী নিলামে তুলেছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। নারকেলসহ নানা ধরনের ফলমূল, রুপোর পাত্রের মতো জিনিসও চড়া মূল্যে বিক্রি হয় নিলামে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শরীরে রক্ত চলাচল বাড়াতে সহায়ক ১৪টি প্রাকৃতিক উপাদান

মানবদেহের ওজনের ৭ শতাংশ আসে রক্ত থেকে। আর এই রক্ত শিরা-উপশিরাগুলোর মাধ্যমে আমাদের দেহে চলাচল করে সারাক্ষণই। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দেহে গড়ে ৪.৫ থেকে ৫.৫ লিটার রক্ত থাকে। তবে লিঙ্গ, ওজন, উচ্চতা এবং সার্কি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ভেদে এতে ভিন্নতাও থাকতে পারে।

মানবদেহের এই লাল তরলটি সত্যিই যাদুকরী নানা উপায়ে এবং আমাদের দেহের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে। আমাদের দেহের নানা অংশে অক্সিজেন বহন করে নিয়ে যাওয়া, দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং জীবাণুর সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো কাজ করে রক্ত। ফলে যথাযথভাবে রক্ত চলাচলের গুরুত্ব অপরিসীম। ক্ষুধামান্দ্য, অনবরত নানা অঙ্গের অসাড়তা, হজম প্রক্রিয়ায় অব্যাখ্যাত সমস্যা, প্রায় প্রায়ই ক্লান্তি ও অবসাদ, ত্বকের বিবর্ণতা, চুল ও নখের ভঙ্গুরতা এবং শুষ্কতা প্রভৃতি রক্ত চলাচল ঠিকভাবে না হওয়ার লক্ষণ।

হৃৎপিণ্ড রক্তকে পাম্প করে শিরা-উপশিরাগুলোর মাধ্যমে দেহের নানা অঙ্গে ছড়িয়ে দেয়। হৃৎপিণ্ড এবং শিরা-উপশিরাগুলোই রক্তকে দেহে চলাচলের জন্য সবচেয়ে বগড় ভুমিকা পালন করে। ধমনী হৃদপিণ্ড থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত নিয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয়। আর শিরা-উপশিরাগুলো কার্বন ডাই অক্সাইডযুক্ত রক্ত পুনরায় হৃৎপিণ্ডে ফিরিয়ে আনে।

রক্ত চলাচল ব্যাহত হয় যেসব কারণে
শরীরে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার প্রধান একটি কারণ হলো ধুমপান। সিগারেটে থাকা কার্বন মনোক্সাইড রক্তের কোষের স্তর ধ্বংস করে দেয়। ফলে শিরায় প্লাক এবং চর্বি জমে যায়। রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়।

আজকাল আমরা শারীরিকভাবে অনেক বেশি নিষ্ক্রিয় জীবন যাপন করি এবং শরীরচর্চা করার সময়ই পাই না। শরীরচর্চা না করা এবং সক্রিয়তার অভাবেও রক্ত চলাচল ব্যাহ হয়।

ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে স্থুলতায় আক্রান্ত হওয়ার কারণেও রক্তচলাচল ব্যাহত হয়।

উচ্চ/নিম্ন রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলও রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার অন্যতম একটি কারণ।

 

কীভাবে রক্ত চলাচল বাড়ানো যাবে

১. মদপান ত্যাগ করুন
অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানে হৃৎপিণ্ডে সমস্যা হয়। সুতরাং আজই মদপান ত্যাগ করুন। তবে রেডওয়াইন জাতীয় হালকা মদ পান করা যেতে পারে। কেননা রেডওয়াইনে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রেখে রক্ত চলাচলে সহায়তা করে। তবে পরিমি পরিমাণে রেডওয়াইন খেতে হবে।

২. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
দেহকে সচল রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করতে হবে। পানি আমাদের দেহ থেকে ট্রক্সিন বা বিষ বের করে দিতে সহায়ক। আর দেহকে যে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় এড়িয়ে রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।

৩. বাদাম খান
কাজুবাদাম এবং আখরোট খেলে রক্ত চলাচল বেগবান হয়। ভিটামিন এ, বি, সি ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ বাদাম এবং ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ বাদাম খেতে হবে। বাদাম ধমনীতে প্রদাহ এবং পঁচনজনিত ক্ষয়রোধ করে রক্ত চলাচল বাড়ায়।

৪. গ্রিন টি
দুধ চা না খেয়ে বরং গ্রিন টি খান। যা আরো বেশি স্বাস্থ্যকর এবং দেহের কার্যক্রমতে উদ্দীপিত করে। গ্রিন টি রক্তের শিরা-উপশিরাগুলোকে প্রশস্ত করে যার ফলে রক্ত প্রবাহের গতিও বাড়ে।

৫. স্নায়ু উত্তেজক উপাদান এড়িয়ে চলুন
ক্যাফেইন এর মতো স্নায়ু উত্তেজক উপাদান এড়িয়ে চলুন। তাহলে কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়াই আপনার দেহের সব অংশে রক্তচলাচল করতে পারবে। ক্যাফেইন শরীরকে শুষ্ক করে তোলে। কিন্তু রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য শরীরকে আর্দ্র রাখা জরুরি।

৬. লবণ খাওয়া কমান
অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্তচাপ বাড়ে এবং স্ফীতি দেখা দেয়। যার ফলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এজন্য ক্যানজাত খাবারের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফ্রিজে জমাট খাবার, কেচাপ সস বাদ দিতে হবে। কেননা এসবে উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম থাকে।

৭. রসুন, আদা, পেঁয়াজ
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন, আদা এবং পেঁয়াজের পরিমাণ আরেকটু বাড়ান। এসব আপনার রক্ত চলাচল প্র্রক্রিয়ার স্বাস্থ্য উন্নত করবে। এছাড়া এসবে আছে প্রদাহরোধী এবং জীবাণুরোধী উপাদান যা হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে। এছাড়া রোগ-জীবাণুর সংক্রমণের বিরুদ্ধেও কাজ করে এবং দেহকে বিষমুক্ত করে এসব উপাদান।

৮. ভেষজ খাওয়া বাড়ান
যে কোনো রোগের চিকিৎসায় ভেষজ অনেক বেশি নিরাপদ এবং কার্যকর। ভেষজ পরিবারেরই সদস্য জিনসেং মূলসমুহ যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে এবং রক্ত চলাচল বাড়ায়।

৯. ডার্ক চকোলেট
এতে আছে কোকোয়া যাতে আছে ফ্ল্যাভোনয়েড। যা রক্ত প্রবাহ উন্নত করে।

১০. গোলমরিচ
গোলমরিচ বিপাকীয় হার বৃদ্ধি করে। এবং ধমনি ও রক্তের শিরা-উপশিরাগুলোকে শক্তিশালী করে।

১১. সূর্যমুখি বীজ
এই বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে। যা রক্তে জমাটবদ্ধতা প্রতিরোধ করে। এছাড়া জলপাই, বাদাম এবং তরমুজ বীজও উপকারী।

১২. সাইট্রাস ফল
কমলা, লেবু এবং জাম্বুরারে আছে ভিটামিন সি এবং সুগার ও প্রদাহ কমাতে সহায়ক। ফলে রক্ত চলাচল বাড়ে।

১৩. তরমুজ
এতে আছে লাইকোপেন নামের একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রক্তচলাল উন্নত করে। টমেটো, অ্যাপ্রিকট এবং গোলাপি মোসাম্বি লেবুও রক্ত চলাচল অবাধ করে।

১৪. অ্যাভোকাডো
এতে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। যা হৃদযন্ত্রকে সচল রাখে এবং রক্ত প্রবাহের গতি বাড়ায়। এছাড়া কাঁচা চীয়া বীজ এবং শ্বেতবীজেও একই উপকারীতা আছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আজ অপু বিশ্বাস নাচবেন নড়াইলের বীরশ্রেষ্ঠ স্টেডিয়ামে। দরিদ্রদের সহায়তায় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে বীরশ্রেষ্ঠ স্টেডিয়ামে হবে ‘কনসার্ট ফর হেল্পলেস’, আয়োজনে জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার দাতব্য প্রতিষ্ঠান নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন।

সেখানেই নাচবেন অপু। অনুষ্ঠানে গাইবেন মমতাজ, মাকসুদ ও ইমরান। থাকবেন প্রধান অতিথি নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাশরাফি বিন মর্তুজা। কনসার্টের টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ১০০০, ৫০০, ৩০০ ও ২০০ টাকা।

অপু বিশ্বাস বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে ভালোই লাগে। আমার নাচ থেকে যদি কিছু টাকা আসে এবং সেটা মানুষের কাজে লাগে, ক্ষতি কী। কাল সকালের [আজ] ফ্লাইটে নড়াইল পৌঁছে যাব।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest