সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

কলারোয়ায় কাটবাহী ট্রাকের দৌরাত্মে পথচারীরা অসহায়

কলারোয়া প্রতিনিধ: কলারোয়া কাটবাহী ট্রাকের দৌরাত্মে পথচারীরা অসহায় হয়ে পড়েছে। বাড়ছে ছোট-বড় দূর্ঘটনাও। পৌরসদরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়কগুলোতে পন্যবাহী ট্রাকের অনিয়ন্ত্রিত স্বেচ্ছাচারিতায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনই কথা জানালেন অনেকে।

তারা অভিযোগ করে বলেন- কোন নিয়মনীতি মানছে না সড়কে চলাচলকারী কাটবাহী ট্রাক গুলো। সেই সাথে অবৈধ্য নছিমন, করিমন, ভটভোটি, আলমসাধুও চলছে তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে। আঞ্চলিক ও গ্রামীন পাকা-কাচা সরু সড়কে মাত্রাতিরিক্ত লোড নিয়ে দ্রুতগতিতে ও রাস্তাজুড়ে চলাচল করায় প্রায় ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। এমনকি কাটবাহী ট্রাক সামান্য উচু নিচুঁ জায়গাতেও উল্টে যায়, দেবে যায় কিংবা যাওয়ার আশঙ্কায় পড়ে। পাশাপাশি সড়কের উপরে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির তার, গাছের ডাল ও অন্যান্য কিছুর সংষ্পর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

কলারোয়ার খোরদো-যশোর সড়কসহ উপজেলার পার্শ্ববর্তী একাধিক সড়কে কাটবাহী ট্রাকের এমনই দৌরাত্ম প্রায়-ই চোখে পড়ে।

বিষয়টি সমাধানে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

হামলাকারীদের পিটিয়ে হটিয়ে দিয়ে স্বামীকে বাঁচালেন ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের যমুনানগর গ্রামের এক নারী। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশের পর তা ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই নারীর স্বামী সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। দু-তিন জন লোক লাঠি হাতে তাকে মারছে। ওই মহিলা ছুটে গিয়ে লাঠি দিয়ে এক হামলাকারীকে মারেন। অন্য একজন তাকে মারতে উদ্যত হয়। কিন্তু তিনি সেই হামলা রুখে দেন। এরপর তিনি মাটি থেকে আরো একটা লাঠি তুলে নিয়ে স্বামীর দিকে ছুড়ে দেন। তাকে এভাবে রুখে দাঁড়াতে দেখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
হাজার হাজার মানুষ এই ভিডিও দেখেছেন। প্রত্যেকেই এই নারীর সাহস ও বীরত্বের প্রশংসা করছেন।
হাজার হাজার মানুষ এই ভিডিও দেখেছেন। প্রত্যেকেই এই নারীর সাহস ও বীরত্বের প্রশংসা করছেন।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সেনাবাহিনীর দমন অভিযানে জনশূন্য হয়ে পড়া রোহিঙ্গা গ্রামগুলো বুলডোজার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। 

নতুন স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে মানবাধিকার সংস্থাটি বলছে, গতবছরের শেষ দিক থেকে রাখাইনের উত্তর অংশের অন্তত ৫৫টি রোহিঙ্গা গ্রামের সব স্থাপনা ও ক্ষেত খামার ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সমান করে ফেলা হয়েছে।

এইচআরডব্লিউ আশঙ্কা করছে, এর মধ্য দিয়ে ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনীর চালানো ধ্বংসযজ্ঞের প্রমাণ মুছে ফেলার ব্যবস্থা করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।

রয়টার্স লিখেছে, এমন এক সময়ে এইচআরডব্লিউ এসব ছবি প্রকাশ করল যখন রাখাইনের ওই অঞ্চলে ত্রাণ তৎপরতা চালানোর বিষয়ে জাতিসংঘ ও জাপানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে মিয়ানমার সরকার।

রাখাইনের ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে সমন্বিত হামলার পর ২৫ অগাস্ট থেকে সেনাবাহিনীর এই দমন অভিযান শুরু হয়, যাকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র।

অন্যদিকে মিয়ানমার সরকার ওই হামলার জন্য রোহিঙ্গা গেরিলাদের একটি দলকে দায়ী করে আসছে। সেনাবাহিনীর অভিযানকে তারা বলছে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই’।

সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে গত ছয় মাসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশে। গ্রামে গ্রামে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওযের ভয়াবহ বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে তাদের ভাষ্যে।

পশ্চিমা সরকারগুলোর চাপ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি উপেক্ষা করেই নোবেল বিজয়ী অং সান সুচির সরকার রাখাইনে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনার পথ বন্ধ করে রেখেছে।

এইচআরডব্লিউ বলছে, গত অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৬২টি রোহিঙ্গা গ্রাম সম্পুর্ণ বা আংশিক ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার চিহ্ন দেখা গেছে তাদের হাতে আসা স্যাটেলাইট ছবিতে।

এর আগে পুড়িয়ে দেওয়া বেশ কিছু গ্রামের সঙ্গে অন্তত দুটি জনশূন্য অক্ষত গ্রাম বুলডোজার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ার কথাও বলছে মানবাধিকার সংস্থাটি।

এইচআরডব্লিউর এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস এক বিবৃতিতে বলেন, এসব গ্রাম ছিল রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের ভয়াবহতার প্রমাণ। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার আলামত সংগ্রহ করতে পারেন এবং দোষীদের যাতে যথাযথভাবে শনাক্ত করা যায়, সেজন্যই এসব গ্রাম ওই অবস্থায় সংরক্ষণ করা প্রয়োজন ছিল।

“এক সময় সেখনে যে রোহিঙ্গাদের বসবাস ছিল, তাদের স্মৃতি এবং সেই সঙ্গে তাদের আইনি অধিকারের চিহ্নও বুলডোজার দিয়ে মুছে ফেলা হচ্ছে।”

এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর রাখাইনের মিন হল্ট এলাকার দুটি গ্রামের স্যাটেলাইট ছবি তারা পেয়েছে, যেগুলো গতবছর পর্যন্ত আগুনে পোড়ানো হয়নি এবং খুব সম্ভবত আবারও বসবাসের উপযোগী অবস্থায় ছিল। কিন্তু সেই গ্রাম দুটিও গত ৯ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বুলডোজার দিয়ে সমান করে দেওয়া হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনের বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ তাইয়ের কোনো মন্তব্য তারা পায়নি।

মিয়ানমারের কর্মকর্তারা এর আগে বলেছিলেন, গত নভেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে করা প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে তারা বিভিন্ন এলাকা প্রস্তুত করছে।

আর গত জানুয়ারিতে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, আটটি এক্সক্যাভেটর ও চারটি বুলডোজার ওই এলাকায় কাজ করছে।

মিয়ানমার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে, বাংলাদেশের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ফেরানোর পর আপাতত দুটি অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হবে এবং পরে তাদের নিজেদের ঠিকানায় ফেরার সুযোগ দেওয়া হবে।

তবে সমাজ কল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী উইন মিয়াত আই গত সেপ্টেম্বরে বলেছিলেন, রাখাইনে পুড়ে যাওয়া ভূমি নিয়ম অনুযায়ী সরকারের দখলে চলে যাবে। এবং সরকার সেসব ভূমির পুনঃউন্নয়ন করবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফুটবল সমর্থকদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশ নিহত!

খেলা নিয়ে সমর্থকদের মারামারি থেকে প্রাণহানির ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু সামান্য খেলার জন্য এমন ভয়াবহ ঘটনা কোনোক্রমেই আটকানো যাচ্ছে না। অনেক প্রচার প্রচারণা আর কঠোর আইনের পরেও দর্শকরা উন্মাদ হয়ে উঠছে প্রায়ই। বৃহস্পতিবার ইউরোপা লিগে অ্যাটলেটিকো বিলবাও আর স্পার্তাক মস্কোর মধ্যকার ম্যাচের আগে ঘটে গেল ভয়ানক ঘটনা। প্রাণ গেল এক পুলিশ কর্মকর্তার।

বৃহস্পতিবার রাতে আতলেটিক বিলবাও ও স্পার্তাক মস্কোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মাঠের খেলা শুরু হওয়ার কিছু আগে এই ঘটনা ঘটে। আগেই থেকেই সতর্ক করা হয়েছিল স্পেনে দ্বিতীয় লেগকে সামনে রেখে রাশিয়ান চরমপন্থী সমর্থকরা বিপদ ঘটাতে পারেন। সেই আশংকাই অবশেষে সত্য হলো। ম্যাচ শুরুর আগেই স্টেডিয়ামের বাইরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের সমর্থকরা।

রাশিয়ার একশর বেশি সমর্থক টিকিট ছাড়াই স্পেনে আসার চেষ্টা করেন বলে জানা যায়। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার ট্রাভেল অর্ডার না মেনেই স্পেনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ২০০ জনের একটি রাশিয়ান চরমপন্থী দল প্লাজা মুয়োয়ার সামনে অবস্থান নেয়। সেখান থেকেই প্রথম প্রতিপক্ষ সমর্থকদের উপর আক্রমণ চালানো হয় বলে জানা যায়।

এর আগে গত সপ্তাহে রাশিয়ায় প্রথম লেগে স্পাতার্ক মস্কোর বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় পায় বিলবাও। তখন থেকেই ফিরতি লেগের ম্যাচে সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছিল। সেই সংঘর্ষ থামাতে এগিয়ে আসে পুলিশ। প্রায় ৭ শতাধিক পুলিশ একযোগে দাঙ্গাবাজদের এলাকাছাড়া করার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে রাশিয়া এবং স্পেনের সমর্থকরা একে অপরের দিকে বোতল, গ্লাস আর মশাল ছুঁড়ে মারতে থাকে।

একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করতে শুরু করে পুলিশ। এতে দুই দলের সমর্থকদের সব রাগ গিয়ে পড়ে পুলিশের ওপর। তীব্র সংঘর্ষের এক পর্যায়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান এক পুলিশ কর্মকর্তা। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গেছে, তার মাথায় চরমপন্থীদের ছুঁড়ে দেয়া কিছু একটা আঘাত করেছিল।

বাইরে মারামারি চললেও মাঠের ভেতর ম্যাচটি ঠিকভাবেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফিরতি লেগে ২-১ গোলে জিতেও বিদায় নিয়েছে স্পার্তাক মস্কো। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানের জয়ের সুবাদে শেষ ষোলোর টিকিট পেয়ে গেছে আতলেটিক বিলবাও।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ সাতক্ষীরা জেলার ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হওয়া সাতক্ষীরার শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরষ্কার প্রদান করেন শুভেচ্ছা সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাকির হোসেন, জেলা প্রশাসকের সহধর্মীনি মিসেস সেলিনা আফরোজ সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সুধীমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ ইনোভেশন ক্যাটাগরিতে জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচিত হন।

এই সম্মান পাওয়ায় সাতক্ষীরা জেলা হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে দেবহাটা উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ইউএনওকে তার অফিস কক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। এসময় সাতক্ষীরা জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি ও দৈনিক বজ্রশক্তি পত্রিকার খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান শেখ মনিরুল ইসলাম, হেযবুত তওহীদের দেবহাটা উপজেলা সভাপতি মফিজুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক মোসলেম আলী প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পুলিশের অভিযানে জামায়াতের ২ কর্মীসহ আটক ৪৪

আসাদুজ্জামান: বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মামলার রায় পরবর্তী নাশকতা এড়াতে সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতের দুই কর্মীসহ ৪৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা থানা থেকে ১৬ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৪ জন, তালা থানা ২ জন, কালিগঞ্জ থানা ৫ জন, শ্যামনগর থানা ৭ জন, আশাশুনি থানা ৪ জন, দেবহাটা থানা ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমার জেনারেলদের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি ইইউয়ের

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় দেশটির জেনারেলদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যেসব জেনারেলের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা আনা হবে তাদের নামের একটি তালিকা প্রস্তুত করতে পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধানকে আগামী সপ্তাহেই অনুরোধ জানানো হবে। একই সঙ্গে আগামী জুলাইতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে দমন অভিযানের ঘটনায় কম্বোডিয়ার ওপরও ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স।

ইইউয়ের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বৃহস্পতিবার এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত মিয়ানমারের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায় অতি দ্রুত সেসব প্রস্তাব সামনে আনতে ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান মোঘেরিনিকে আহ্বান জানাবেন ইউরোপীয় দেশগুলোর মন্ত্রীরা।

শুক্রবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক খবরে বলা হয়েছে, কম্বোডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা হতে পারে। চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে দেশটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করা হবে। কম্বোডিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যর বিষয়গুলোও আরো পর্যবেক্ষণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার জার্মানি জানিয়েছে, তারা কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, ঊচ্চ পদস্থ সেনা কর্মকর্তা এবং দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্টসহ সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসা স্থগিত করেছে।

রোহিঙ্গা মুসলিমদের অত্যাচার, নির্যাতনের ঘটনায় নতুন করে মিয়ানমার জেনারেলদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি বা তাদের সম্পদ জব্দের পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা হবে মিয়ানমারের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের কঠোরতম পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা অনেক আগেই মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে।

নব্বইয়ের দশক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মিয়ানমারের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইইউ। ওই নিষেধাজ্ঞা এখনও জারি রয়েছে। কীভাবে তা আরও জোরদার করা যায় সে বিষয়ে সোমবার মোঘেরিনি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র দপ্তরকে আহ্বান জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পাখির আঘাতের কারণে বিমান আটকে যাওয়ার ঘটনা আছে অনেক কিন্তু মশার কারণে ফ্লাইট বিলম্ব- বিশ্বে হয়তো প্রথম ঘটনা এটি। অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার রাতে এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে অসংখ্য মশা ঢুকে পড়ায় যাত্রীরা চেঁচামেচি ও হট্টগোল শুরু করেন। মশার উৎপাতে রাত দেড়টায় চলন্ত ফ্লাইটটিকে রানওয়ের মুখে থামিয়ে দিতে বাধ্য হন পাইলট। পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সহায়তায় প্রায় এক ঘণ্টা চলে মশক নিধন অভিযান।

এ সময় যাত্রীদের সবাইকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন ফ্লাইটের যাত্রী সোহেল। সোহেল জানান, শাহজালালের রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে এই ঘটনা ঘটে। বিমানের ভেতরে অসংখ্য মশা ঢুকে পড়ায় যাত্রীরা চেঁচামেচি ও হট্টগোল শুরু করেন। এক ঘণ্টার মধ্যে বিমানের ভেতর ও রানওয়েতে মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ। পরে রাত আড়াইটায় ফ্লাইটটি আকাশে ওড়ে।

বিমানবন্দরের একটি সূত্রে জানা গেছে, মশার উৎপাতের কারণে ফ্লাইট আটকে যাওয়ার ঘটনা বিশ্বে এটিই হয়তো প্রথম। তবে শাহজালালে মশার উৎপাত নতুন নয়। ফ্লাইটে ওঠার পর যাত্রীরা মশার কামড়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রায়ই। বিদেশিরাও বিরক্তি প্রকাশ করে থাকেন। বিমানবন্দরের ভেতরে-বাইরে তো কথাই নেই। লাগেজ বেল্টে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার ভোগান্তির সাথে যোগ হয়েছে মশার কামড়।

বিমানবন্দরের দুরাবস্থার কথা স্বীকার করে আক্ষেপের সঙ্গে সিভিল এভিয়েশনের এক কর্মকর্তা বলেন, এমন ঘটনায় দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। কিন্তু চেষ্টা করেও মশার কাছে আমাদের হার মানতে হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest