সর্বশেষ সংবাদ-
চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভা

অভিষেকেই বাজিমাত পূজার!

বাংলা চলচ্চিত্রের বেশ পরিচিত মুখ ‘পূজা চেরি’। শিশু শিল্পী হিসেবেই বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তবে এবার শিশু শিল্পী নয় বড় পর্দায় নতুন এক পূজার অভিষেক হলো। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘নূর জাহান’ চলচ্চিত্র দিয়ে নায়িকার খাতায় নাম লিখালেন পূজা। আর অভিষেকেই নিজের অভিনয় শিল্পী দিয়ে বাজিমাত করেছেন এই নায়িকা।

শুক্রবার সারা দেখে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবি ‘নূর জাহান’। আর মুক্তির পরপরই প্রশংসা আর সবার ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন শিশু শিল্পী থেকে নায়িকা হওয়া পূজা। শুক্রবার ও শনিবার বিভিন্ন সিনেমাহল ঘুরে চলচ্চিত্র সাংবাদিক, নির্মাতা ও দর্শকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ছবির পাশাপাশি ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা পূজার অভিনয়ে মুগ্ধ তারা।

শফিক-আল-মামুন দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সাংবাদিক ছবিটি দেখার পর তার অভিমতে জানান, ‘ নতুন হিসেবে দুই জনই বেশ ভালো অভিনয় করেছেন।তবে বিশেষ করে পূজার কথা বলতেই হবে যে ছবির শুরুতেই পূজার এন্ট্রি টা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। পূজার অভিনয় দেখে একবারের জন্যও মনে হয়নি যে ঐ নায়িকা হিসেবে প্রথাম অভিনয় করছেন।

নির্মাতা সৈকত নাসির বলেন, ‘ প্রথমেই জাজ মাল্টিমিডিয়াকে ধন্যবাদ দিতে চাই এমন একটি চলচ্চিত্র উপহার দেয়ার জন্য। এরপর আমি পূজার কথা বলতে যাই দুর্দান্ত অভিনয় করেছে সে। ছবির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একবারের জন্য ওকে দেখে মনে হয়নি যে ও নতুন।’

এদিকে দৈনিক আজকালের খবরের সিনিয়র বিনোদন সাংবাদিক আহামেদ তেপান্তর বলেন, ‘ অসাধারণ অভিনয় করেছেন পূজা। আমার মনে হয় চলতি বছর হবে পূজাময়। পাশাপাশি বাংলা চলচ্চিত্র আরো একজন অসাধারণ নায়িকা বাঁ অভিনেত্রী পেতে যাচ্ছে।

এদিকে সিনেমাটি দেখে তরুণ-তরুণীরা তাদের অনুভূতি জানিয়ে বলছেন, ছবিতে যেন নিজেদের জীবনের গল্প দেখেছেন। সেই প্রিয় কলেজ, সহপাঠির সঙ্গে আড্ডা-মজা, ক্লাসমেটের সঙ্গে প্রেম, পড়াশুনার পাশাপাশি প্রেমের সাগরে ডুব দেয়া, এসব যেন প্রত্যেকের জীবন থেকে কুড়িয়ে আনা ঘটনা। তাই ছবিটিকে অনেক বেশি জীবনঘনিষ্ঠ মনে হচ্ছে তাদের।

নূর ও জাহান নামের দুই কিশোর-কিশোরীর মিষ্টি প্রেম ও তার করুণ পরিণতির গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘নূর জাহান’। এটি পরিচালনা করেছেন কলকাতার অভিমন্যু মুখার্জী। ছবিতে পূজা ও আদ্রিত ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন নাদের চৌধুরী, সুপ্রিয় দত্ত ও কাঞ্চন মল্লিক প্রমুখ। প্রযোজনায় রয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া ও কলকাতার রাজ চক্রবর্তী প্রডাকশনস।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রশ্নফাঁসের মহামারীর নেপথ্যে -আমিরুল আলম খান

সারা দেশে পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস এখন নৈমিত্তিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। একেবারে শিশু শ্রেণী থেকে দেশের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। সরকারের তর্জন-গর্জন সবই ব্যর্থ করে দিচ্ছে প্রশ্নফাঁসকারীরা। কঠোর শাস্তি, রিমান্ড, প্রশ্নফাঁসকারীকে ধরিয়ে দিলে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেও কাজ হচ্ছে না। চলতি মাধ্যমিক পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, তথ্যপ্রযুক্তি ও পদার্থবিদ্যা মিলে যে আটটি পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে তার সবগুলো প্রশ্নই ফাঁস করে দিয়ে দুর্বৃত্তরা সরকারকেই চ্যালেঞ্জ করে বসেছে। এমনকি তারা ফেসবুকে আগাম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে যথাসময়ে অন্য প্রশ্নও তারা ফাঁস করবে। বিচ্ছিন্নভাবে এর আগে কিছু প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের এমন ভয়াবহ রূপ আগে কখনও দেখা যায় নি। শোনা যায় নি, একেবারে প্রথম শ্রেণী থেকেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ। সমগ্র জাতি সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ।

পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত সন্দেহভাজনদের তালিকা বেশ দীর্ঘ। প্রশ্ন প্রণয়নকারী থেকে প্রশ্ন সমীক্ষক, বিজি প্রেস ও শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারি ট্রেজারি, ব্যাংক বা থানায় পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, কোচিং সেন্টার এবং পরীক্ষাগ্রহণকারী কর্মকর্তা-শিক্ষকরা পর্যন্ত সন্দেহের তালিকায়। এই লম্বা তালিকার কোথাও না কোথাও প্রশ্নফাঁসের রহস্য লুকিয়ে আছে। কিন্তু তারা রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

প্রশ্নপত্র কেন ফাঁস হয় সে প্রশ্নের জবাব হয়ত কল্পনা করা সম্ভব। পরীক্ষায় ভাল ফল করতে পারলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়। আর তাই প্রশ্নফাঁসকারী ও প্রশ্নসংগ্রহকারীদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলা সহজ শুধু যদি বিষয়টা গোপনে সারা যায়, অর্থাৎ সরবরাহকারী ও গ্রহণকারী উভয়ে যদি নিজেদের আড়াল করে রাখতে পারে। কাজেই সেখানে চাহিদা ও সরবরাহের সূত্রটা বেশ লাগসই মনে হয়।
কিন্তু প্রশ্নফাঁস এমন মহামারী আকার ধারণ করল কেন? সর্বকালেই তো পরীক্ষা হত। তখন তো প্রশ্নফাঁসের এমন মহামারী দেখা যায় নি! এখানে দুটো জবাব পাওয়া যেতে পারে। প্রথমত, এখন শিক্ষার্থী কী শিখছে তার চেয়ে নজর বেশি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পাচ্ছে কি-না? অর্থাৎ শিক্ষা হয়ে উঠেছে সার্টিফিকেটসর্বস্ব। সেখানে জ্ঞান অর্থহীন। এই ঘোড়দৌঁড়ে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক, কোচিং সেন্টার, নোট-গাইড লেখক-প্রকাশক, প্রশাসক যেন এক কাতারে প্রশ্নফাঁসকারীদের সঙ্গে গড়ে তুলেছে এক শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
প্রতি বছর পরীক্ষার ফল প্রকাশে যে আত্মম্ভরিতা এবং আত্মতুষ্টির নগ্ন প্রকাশ ঘটে তাও কিছু দুর্বৃত্তকে এই অন্যায় কাজে প্রলুব্ধ করে থাকতে পারে। শিক্ষার চেয়ে জনতুষ্টিবাদ প্রাধান্য পাচ্ছে শাসকগোষ্ঠীর কাছে। ফলে, দেশ থেকে শিক্ষা নির্বাসনে গেলেও পরীক্ষা এসে হাজির হয়েছে প্রবল প্রতাপে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রাথমিক সমাপনী ও জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষার জগদ্দল পাথর। এই দুই পরীক্ষায় আমাদের শিশুরা মনোবৈকল্যের শিকার হচ্ছে। শুধু এখানেই শেষ নয়, প্রশ্নফাঁসের মতই পরীক্ষা হলে বলে-কয়ে উত্তর লেখার দুর্নীতি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে পরীক্ষার নামে কোমলমতী শিশুদের হাতে-কলমে দুর্নীতি শেখানোর মহোৎসব চলে। প্রভাবশালী রাজনৈতিকরা ঘোষণা দেন তার এলাকার ছাত্ররা যেন যে কোন মূল্যে দেশের সেরা রেজাল্ট করে। এভাবে, এক অনৈতিক প্রতিযোগিতায় নেতা-পাতিনেতারা শিক্ষকদের বাধ্য করে পরীক্ষার হলে অসাধু পন্থা অবলম্বনে সাহায্য করতে।

পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে দেশে কোন একমত্য নেই। স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্নফাঁসের সমুদয় দায় শিক্ষকদের ঘাঁড়ে চাপান। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা অনুসন্ধানে সরকারের বিভিন্ন স্তরের নানা পেশার লোকদের সন্ধান পেয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী যদি শুধুই শিক্ষকদের প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য দায়ী করেন, তাহলে অন্য দুর্বৃত্তরা নিজেদের নিরাপদ ভাবে এবং আরও বেপরোয়া উঠতে আস্কারা পায়। স্বীকার করতেই হবে, এ অবস্থা একদিনে সৃষ্টি হয় নি। শিক্ষা বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অন্যায় হস্তক্ষেপ গত প্রায় তিন দশক ধরে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই মন্ত্রণালয়ের অধীন্যস্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দলীয় কিন্তু অযোগ্য, অদক্ষ, দুর্নীতিবাজদেও নিয়োগ ও পদায়ন করে প্রতিষ্ঠানগুলোকেই ভেঙে ফেলা হয়েছে। এর ফলে যিনি যেখানে আছেন সেখানেই মহাপরাক্রমশালী হয়ে উঠছেন। তারা জানে, তাদের অপরাধের বিরুদ্ধে কেউ রা কাড়ার সাহস পাবে না।

গত প্রায় তিন দশকে শিক্ষা নিয়ে যত ছেলেখেলা হয়েছে, এমনটি পূর্বে কখনও দেখা যায় নি। অর্থাৎ, সমস্যার মূলে রয়েছে শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন এবং সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলায় শিক্ষার ভূমিকা সম্পর্কে শাসকগোষ্ঠীর ভুল দৃষ্টিভঙ্গি। পাবলিক পরীক্ষা প্রশ্নপত্রে দুই বা তিনটি বিভাজন আছে। প্রথম দুই ভাগ হল, সৃজনশীল প্রশ্ন এবং বহুনির্বাচনী প্রশ্ন। বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর শতভাগ মুখস্ত নির্ভর। অথচ, ঢোল পিটিয়ে বলা হচ্ছে, ‘মুখস্তকে না বল’। দ্বিতীয় ভাগে আছে সৃজনশীল প্রশ্ন। এই প্রদ্ধতির উদ্ভাবক বেঞ্জামিন স্যামুয়েল ব্লুম। তিনি প্রথমেই শিক্ষার্থীকে অসীম সৃজনশীল শিশু হিসেবে গণ্য করেন এবং শিশুর মধ্যে যে সৃজনশীলতা লুকিয়ে থাকে তার বিকাশ সাধনে শিক্ষকের সহায়কের ভূমিকা পালনের উপর জোর দেন। সেখানে শিক্ষার্থীর বয়স, রুচি এবং সামর্থ্য অনুযায়ী প্রশ্নের মাধ্যমে অধিকতর জ্ঞান সন্ধানে শিক্ষার্থীকে প্রণোদিত করা হয়। এ জন্য প্রথমেই সৃজনশীল পাঠ্যবই রচনা করা দরকার হয়। তারপর দরকার শিক্ষককে সৃজনশীল পাঠদানে দক্ষ করে তোলা। আমাদের দেশে এর কোনটাই করা হয় নি। প্রথম দুই জরুরি কাজ না করেই তৃতীয় ধাপ অর্থাৎ সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহণের এক উদ্ভট নাটক মঞ্চস্থ করে চলেছে শাসকগোষ্ঠী। অর্থাৎ ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বনাশ করা হচ্ছে। এর পিছনে মুখ্য কারণটি হল, শাসকগোষ্ঠীর সন্তানরা কেই এই পদ্ধতিতে লেখাপড়া করে না। বাংলাদেশের মত এত বৈষম্যপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা বোধকরি দুনিয়ার অন্য কোথাও চালু নেই। সৃজনশীল প্রশ্নের নামে এমন সব নালায়েক প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের নাজেহাল করা হচ্ছে যে দুনিয়ায় এর কোন নজির নেই। তৃতীয় ভাগটি হল ব্যবহারিক পরীক্ষা। দেশে কোন স্কুল-কলেজেই এখন ব্যবহারিক ক্লাস করানো হয় না; কিন্তু সকল পরীক্ষার্থীকেই ব্যবহারিকে শতভাগ নম্বর দেবার রীতি গড়ে তুলেছে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপই এই দুর্নীতির আসল কারণ। শাসকগোষ্ঠীর উদ্দেশ্য, এদেশে আমজনতার সন্তানেরা ডিগ্রি পেতে পারে, কিন্তু তারা যেন কোন কাজ না পায়। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার বরাতে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ডিগ্রিধারী বেকারের হার বাংলাদেশে সর্বোচ্চ।

আমাদের সমাজ ও রাষ্টব্যবস্থা সৃজনশীল পদ্ধতি চালু ও চর্চার জন্য আদৌ প্রস্তুত নয়। সৃজনশীল পদ্ধতি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দেবার অঙ্গীকার করে। অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় যা কখনো কার্যকর করা সম্ভব নয়। একটি উদার, গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক, সুশাসিত সমাজেই কেবল সৃজনশীল প্রদ্ধতি সফল হতে পারে। সৃজনশীল প্রশ্ন করে ‘অবমাননার দায়ে’ কক্সবাজারের বাঁশখালীর তের জন শিক্ষককে জেলে পাঠানো হয়েছে। গত কয়েক বছরে অনেকে জেল খেটেছেন, কেউ চাকুরিচ্যূত হয়েছেন, অনেকে নানা রকম ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক হেনস্থার শিকার হয়েছেন। গণতন্ত্র একটি ভাল ব্যবস্থা হওয়া সত্বেও আমাদের দেশে যেমন তার সঠিক চর্চা ও প্রয়োগ করা যাচ্ছে না, ঠিক তেমনি সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতিও এদেশে অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

এ সকল কারণে দেশে প্রশ্নফাঁসের মহামারী শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে ইতিহাসে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সময়ে কোটি কোটি সন্তানের সুশিক্ষা প্রাপ্তি ও দক্ষ হয়ে মানবসমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের এই মাহেন্দ্রক্ষণে প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা বিধানের মত মৌলিক কর্মে ব্যর্থতা ক্ষমার অযোগ্য।

আমিরুল আলম খান: সাবেক চেয়ারম্যান, যশোর শিক্ষা বোর্ড। 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা ইউএনও হাফিজ আল আসাদকে শুভেচ্ছা

কে.এম রেজাউল করিম : দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ সাতক্ষীরা জেলার ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সাতক্ষীরার শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরষ্কার প্রদান করেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাকির হোসেন, জেলা প্রশাসকের সহধর্মীনি মিসেস সেলিনা আফরোজ সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সুধীমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ ইনোভেশন ক্যাটাগরিতে জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচিত হন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন ইউএনও হাফিজ-আল আসাদকে এই পুরষ্কার তুলে দেন। এই সম্মান পাওয়ায় রবিবার সকালে দেবহাটা উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ইউএনওকে তার অফিস কক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জসিমউদ্দীন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসরাঈল হোসেন, উপজেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা আলহাজ¦ আব্দুস সামাদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহার, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সোহাগ হোসেন সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতলেন জয়া আহসান

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে জয়া আহসান লাভ করেছেন ভারতের অস্কার খ্যাত ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড (বাংলা)। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বিসর্জন সিনেমায় অসাধারন অভিনয় করে জয়া এর আগে মন জয় করেছেন সবার। এই সিনেমায় অভিনয় করে পুরস্কৃত হয়েছিলেন এভিপি সেরা বাঙ্গালী অভিনেত্রী, গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভালে সেরা অভিনেত্রী, জিসিনে অ্যাওয়ার্ড সহ আরো অনেক জনপ্রিয় পুরস্কারে।

এবার জিও ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের নমিনেশনে জয়া ছাড়াও চিরকুট ব্যান্ডের সুমী এবং পাভেল ও ছিলেন “ডুব” সিনেমার জন্য। তাই স্বাভাবিকভাবেইই উচ্ছসিত ছিলো বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমী মানুষেরা। তবে সব প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দেশের নাম বিদেশের মাটিতে উউজ্জ্বল করলেন দুবার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত এই গুনী অভিনেত্রী। কলকাতা এবং ঢাকা দুই জায়গাতেই সমান দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন জয়া আহসান।

জিও ফিল্মফেয়ার(বাংলা) অ্যাওয়ার্ডের পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকা পাঠকদের জন্য দেয়া হলো।
সেরা চলচ্চিত্র – বিসর্জন
সেরা পরিচালক – কৌশিক গাঙ্গুলী (বিসর্জন)
সেরা অভিনেত্রী – জয়া আহসান (বিসর্জন)
সেরা অভিনেতা – প্রসেনজিৎ (ময়ূরাক্ষী)

সেরা চলচ্চিত্র (সমালোচক) – ময়ূরাক্ষী)
সেরা অভিনেতা (সমালোচক) – সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (ময়ূরাক্ষী)
সেরা অভিনেত্রী (সমালোচক) – ঈশা সাহা (প্রজাপতি বিস্কুট)

সেরা সহ অভিনেতা – কৌশিক গাঙ্গুলী (বিসর্জন)
সেরা সহ অভিনেত্রী – মমতা শংকর (মাছের ঝোল)

সেরা নবাগত পরিচালক – মানস মুকুল পাল (সহজ পাঠের গপ্পো)
সেরা নবাগত অভিনেতা – নূর ইসলাম ও সামিউল আলম (সহজ পাঠের গপ্পো)
সেরা নবাগত অভিনেত্রী – রুক্মিণী মৈত্র (চ্যাম্প ও ককপিট)

সেরা চিত্রনাট্য – মানস মুকুল পাল (সহজ পাঠের গপ্পো)
সেরা মৌলিক গল্প কৌশিক গাঙ্গুলি (বিসর্জন)
সেরা সংলাপ – প্রতীম ডি গুপ্ত (মাছের ঝোল)

সেরা সঙ্গীত পরিচালক – অনিন্দ্য চ্যাটার্জি, অনুপম রায়, শান্তনু মৈত্র ও প্রসেনজিত মুখার্জি (প্রজাপতি বিস্কুট)
সেরা গীতিকার – রিতম সেন (তোমাকে বুঝিনা প্রিয়- প্রজাপতি বিস্কুট)
সেরা গায়িকা – চন্দ্রাণী ব্যানার্জি (তোমাকে বুঝিনা প্রিয়- প্রজাপতি বিস্কুট)
সেরা গায়ক – নচিকেতা চক্রবর্তী (কেন এরকম কিছু- পোস্ত)

আজীবন সম্মাননা – সাবিত্রী চ্যাটার্জি ও মৃণাল সেন

তবে সবকিছু ছাপিয়ে পুরো অনুষ্ঠানের মধ্যমণি হিসেবে আমাদের জয়া আহসান প্রশংসা পেয়েছেন সবার কাছ থেকেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইরানের বিধ্বস্ত বিমানের ৬৬ আরোহীই নিহত

ইরানের বেসরকারি সংস্থার একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর এতে থাকা ৬৬ জন আরোহীই নিহত হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম প্রেস টিভি বিমান কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এই প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিমান সংস্থাটির এক কর্মকর্তা। ভারী বৃষ্টিপাত ও কুয়াশার কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

জরুরি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মুখপাত্র মোসতবা খালেদিকে উদ্ধৃত করে দেশটির বার্তা সংস্থা আইএসএনএ জানিয়েছে, উড্ডয়নের পরপরই ইরানের তৃতীয় বৃহত্তম বেসরকারি বিমান সংস্থা আসিমন এয়ারলাইন্সের এটিআর-৭২ বিমানটির সঙ্গে রাডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। পরে রাজধানী তেহরান থেকে ৬২০ কিলোমিটার দূরের শহর সেমিরনের কাছাকাছি ডেনা পার্বত্য এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি রাজধানী তেহরান থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ইয়াসুগে যাচ্ছিল।

সেমিরনের স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রেস টিভি জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে। আসিমন এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে বিমানটি বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যদের ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জেলা বিএনপির ২১ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৭,১৮ ও ২০ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় নিদের্শনা অনুযায়ী বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে গণস্বাক্ষর ও বিক্ষোভ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে নিজ বাড়িতে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক সাধারণ সম্পাদকদ্বয় এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী ও আব্দুল আলীম, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল, সহ-সভাপতি আব্দুর রউফ, এড. তোজাম্মেল হোসেন তুজামসহ ২১ নামের মামলা দায়ের করা হয়েছে। সদর থানার এস আই প্রদীপ রায় বাদী হয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মুক্তির দাবিতে ১৭,১৮ ও ২০ ফেব্রুয়ারি বিএনপির সারাদেশে গণস্বাক্ষর ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয়। এ কর্মসূচি সফল করার জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সভাপতি রহমতাউল্লাহ পলাশের নিজ বাড়ী কাটিয়া আমতলা এলাকায় কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা ও গোপন বৈঠক করে। এধরনের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানায় এস আই প্রদীপ রায়ের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালাতে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা ৩/৪টি ককটেল বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে কাটিয়া এলাকার মুনসুর আলী’র ছেলে ও সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সভাপতি রহমতুল্লাহ পলাশ, খানপুর এলাকার মৃত. ছহিলুদ্দিন সরকারের ছেলে রেজাউল ইসলাম, আগরদাড়ী এলাকার মৃত. গোলাম রব্বানির ছেলে আব্দুল গাজী ও বাবুলিয়া এলাকার মৃত. জালাল সরদারের ছেলে আবুল কালামকে আটক করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪০ থেকে জন্য নেতাকর্মী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এঘটনায় এস আই প্রদীপ রায় বাদী ২১ জনের নামে ওই রাতেই মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, বকচরা এলাকার মৃত কওছার আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান বিল্লাল, পলাশপোল দক্ষিণপাড়া এলাকার শেখ অহেদার রহমানের ছেলে তারিকুল ইসলাম, খেজুরডাঙ্গা গ্রামের মৃত. আবুল কাশেমের ছেলে চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, আলীপুর এলাকার মৃত. আব্দুস সাত্তার সরদারের ছেলে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুর রউফ, পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে জেলা যুবদলের সাধারণ আইনুল ইসলাম নান্টা, কামালনগর এলাকার মৃত. রহিল উদ্দিন মুহুরির ছেলে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইফতেখার আলী, পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার মৃত. মোহাম্মাদ সরদারের ছেলে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি তোজাম্মেল হক তুজাম, কামালনগর এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল হাসান হাদী, কাটিয়া এলাকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে পৌর বিএনপি নেতা মাছুম বিল্লাহ শাহীন, মুন্সিপাড়া এলাকার মুন্সি আব্দুর রশিদের ছেলে জেলা কৃষকদলের সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু, পলাশপোল প্রগতিলেন এলাকার মৃত. মোকছেদ আলীর ছেলে বিএনপি নেতা ইউসুফ, একই এলাকার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম ফারুক, কামালনগর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে পৌর কাউন্সিলর শফিকুল আলম বাবু, পাটকেলঘাটা এলাকার মৃত. হাসান আওরঙ্গীর ছেলে বাসারত উল্লাহ আওরঙ্গী উরফে বাবলা, নলতার মাগুরালী এলাকার সিয়ামত আলী বিশ্বাসের ছেলে বিএনপি নেতা ডা: শফিকুল ইসলাম, আশাশুনির কচুয়া এলাকার মোছেল উদ্দীনের ছেলে রফিকুল ইসলাম ও কালিগঞ্জের ধলবাড়ি এলাকার দাউদ আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তার।
আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খালেদা জিয়ার রায়ের সার্টিফায়েড কপি আগামিকাল

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায়ের সার্টিফায়েড কপি আগামীকাল সোমবার পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।

আজ রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের কাছে আবেদন করেন খালেদার আইনজীবীরা। পরে বিচারক আগামীকাল সোমবার রায়ের সার্টিফায়েড কপি দেবেন বলে জানান।

আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত আগামীকাল রায়ের কপি দেবেন।

এর আগে আজ দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেছেন, রায়ের সত্যায়িত কপি পেতে কেন এত দেরি হচ্ছে তা জানার জন্য আমরা আজ আদালতে যাব। সেখানে গিয়ে যাতে দ্রুত রায়ের কপিটি পাওয়া যায় সে জন্য আবেদন করব।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছর এবং তারেক রহমানসহ বাকি আসামিদের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডের সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার অসহায় দুঃস্থ রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে এ সহায়তা তুলে দেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
৫ জন অসহায় দুঃস্থ রোগীর চিকিৎসার জন্য নগদ ৬০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা পরিষদের সদস্য ওবায়দুর রহমান লাল্টু, আগরদাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি ও মো. আলমগীর কবিরসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest