সর্বশেষ সংবাদ-
চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় তিন দিন ব্যাপি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা-২০১৮ এর সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার মাধ্যমে ডিজিটাল আরো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিজিটাল সেবা পৌছে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, জেলা প্রশাসক পত্মী সেলিনা আফরোজ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলার আবু জাহেদ, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারি পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ চৌধুরী, সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাস পোর্ট অফিসের সহকারি পরিচালক এ.কে.এম আবু সাঈদ, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল-আসাদ, কালিগজ্ঞ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনুদ্দিন। আলোচনা সভা শেষে তিন দিন ব্যাপি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা-২০১৮ এর বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সেরা স্টলের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এন.ডি.সি মোশারেফ হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : মহান একুশে ফেব্র“য়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন ও জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৩ মার্চ খুলনায় আগমণ উপলক্ষ্যে জেলা শ্রমিকলীগের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন জেলা শ্রমিকলীগের কার্যালয়ে জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ছাইফুল করিম সাবুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ খালেক, জেলা শ্রমিকলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল্যাহ সরদার, সহ সভাপতি বিকাশ কুমার দাস, এ্যাড তামিম আহমেদ সোহাগ, উপস্থিত ছিলেন ঢালী শামসুল আলম, শাহজালাল, শেখ লিয়াকত আলী, মীর মনিরুজ্জামান, রমজান আলী, আবুল হোসেন খোকন, স.ম. আব্দুস সালাম, অলিউর রহমান মুকুল, গাউস, এ্যাড. রফিকুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন, জাহিদ হোসেন খান, মিলন হোসেন, বাবুল হোসেন, মাছুম বিল্লাহ, শেখ আজাদুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ। জেলা শ্রমিকলীগ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, খুলনায় আগমণ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলা অধিকাংশ সড়কের ধার সংস্কারের অভাবে সড়কগুলো ধ্বস নেমে দিন দিন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। উপজেলাবাসী সড়কগুলোর রক্ষায় দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার দাবি জানিয়েছেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘূরে দেখা গেছে কাদাকাটি টু তেতুলিয়া সড়কের অধিকাংশ স্থানের দু’ধারের মাটি পানির আঘাতে ভেঙ্গে পড়েছে। সংস্কার না হওয়ায় সড়কগুলোতে ধ্বস নামার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। একারণে সড়কে ভারী থেকে মাঝারী যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া আশাশুনির কুল্যা টু বাঁকা সড়ক, গোয়ালডাঙ্গা টু প্রতাপনগর ও বড়দল সড়ক, বড়দল টু খাজরা সড়ক, আশাশুনি টু কোলা ঘোলা সড়কসহ বিভিন্ন মৎস্য ঘের সংলগ্ন এলজিইডি সড়কের দু’ধারের মাটি পানির ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়ায় সড়ক ধ্বস নামার আশঙ্কা বেড়ে এর ক্ষতিকর প্রভাবে সড়কগুলো মেয়াদ উত্তীর্ণের আগেই যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় আলোচনা হলেও কোন কার্যকর পদক্ষেপ এখনও দেখা যায়নি। এসকল সড়কের দু’পাশের অধিকাংশ স্থানে মৎস্য ঘের এবং তা বর্তমানে পানি কমিয়ে মাছ ধরার সময়। এমতাবস্থায় এলজিইডি কর্মী ও বিভিন্ন ইউনিয়নের কর্মসূচির কর্মী দিয়ে এসকল সড়কের দু’ধারের মৎস্য ঘের থেকে মাটি কেটে সড়কের ধারে দিলে সড়ক ধ্বস থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। উপজেলাবাসীর দাবী মৎস্য ঘের সংলগ্ন সড়কগুলোর ধারে স্থায়ীভাবে সিমেন্টের জামানো ব্লক বসিয়ে সড়কগুলো ধ্বংশের হাত থেকে রক্ষা করা হোক। এব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেনের সাথে কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আশাশুনি উপজেলার অধিকাংশ সড়কের দু’ধারে মৎস্য ঘের। সড়কের ধারের ঘের মালিকরা তাদের ঘেরের ৩দিকের রিং বেড়ী (আইল) দিয়ে থাকেন কিন্তু সড়কের ধারের রিং বেড়ি দেন না। আর এ কারণে মৎস্য ঘেরের পানি ঢেউয়ের আঘাতে সড়কের পাশের মাটি ভেঙে যায়। যার কারণে সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে আমরা চেষ্টা করছি ঐসকল সড়কগুলো রক্ষায় স্থায়ীভাবে ব্লক বসানোর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (কালিগঞ্জ): কালিগঞ্জ উপজেলার কুশিুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণশ্রীপুরকুশুলিয়া স্কুলঅ্যান্ড কলেজে আইসিটি ভবনের নির্মাণ কার্যক্রম শনিবার বেলা সাড়ে ১০ টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করলেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আবু রাইহান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন এসএম জগলুল হায়দার। এসময় তিনি বলেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা সহ সকল ক্ষেত্রে সরকারের সুদৃষ্টির সুফল পাচ্ছে জনগণ। আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকায় ভোটদিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবাণ জানান। প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি কাজী কাহফিল অরা সজলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, কালিগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ জিএম রফিকুল ইসলাম,রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক নিয়াজ কওছার তুহিন, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশবাচ্চু, অর্থ সম্পাদক কাজী মোজাহিদুল ইসলাম তরুণ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ উজ্জ্বল, ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা ও সিরাজুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী তাহমিদ হোসেন, সমাজ সেবক কাজী লালন প্রমুখ। এসময় কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার প্লেবয় মডেলের সাথে ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে তোলপাড়!

ফের সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এসব বিতর্ক যেন তার পিছু ছাড়ছেই না। পর্নস্টার থেকে প্লেবয় মডেল, কে নেই ট্রাম্পের সেই তালিকায়৷সম্প্রতি এক পর্নস্টারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন বলে সমালোচনায় জড়িয়েছিলেন ট্রাম্প৷ এবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন এক প্লেবয় মডেল৷ তিনি অভিযোগ তুলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের তিনি নাকি প্রাক্তন প্রেমিকা৷ এমনকী ট্রাম্পের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক থাকার কথাও জানিয়েছেন তিনি৷

তিনি হলেন প্রাক্তন প্লেবয় মডেল কারেন ম্যাকডাউগল৷তার দাবি, ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ছিল তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক৷ ঘনিষ্ঠতা এতটাই ছিল যে তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন কারেন৷ আর এটা সেই সময়, যখন মাত্র এক মাস আগে বর্তমান মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেরিনা ট্রাম্প ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন৷

এদিকে কারেনের এই বক্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি হোয়াইট হাউজ৷ তবে NBC-র মুখপাত্র জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর আগেই কারেনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন৷ খবরগুলিকে “ভুয়া খবর” বলে দাবি করেছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ট্রাম্পের সঙ্গে কারেনের সম্পর্ক ছিল ৯ মাস৷ ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্যাম্পেনিংয়ে সময় কারেন সেকথা প্রকাশও করেন৷ ২০১৬ সালের ৫ অগাস্ট কারেন একচটি সাক্ষাৎকারে বলেন এক “বিবাহিত পুরুষ”-এর সঙ্গে তাঁর “রোম্যান্টিক, ব্যক্তিগত ও শারীরিক সম্পর্ক” হয়েছিল৷ কিন্তু সেই ‘গল্প’ বেশিদিন চলেনি৷ ১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের তলায় চাপা পড়ে গিয়েছিল৷

পর্নস্টার স্টিফানি শিফর্ড, ওরফে স্টর্মি ড্যানিয়েলের সঙ্গেও যে ট্রাম্পের সম্পর্ক ছিল, সেকথাও জানিয়েছেন প্লেবয় মডেল কারেন ম্যাকডাউগল৷ এপ্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য ড্যানিয়েলকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন৷ কিন্তু কেন তিনি এই টাকা দেন, তা জানাননি তিনি৷

কিছুদিন আগে এও শোনা গিয়েছিল এই স্টর্মি ড্যানিয়েলের সঙ্গে সম্পর্কের কথা রাষ্ট্র হয়ে যাওয়া নাকি ঘর ছেড়েছিলেন ট্রাম্প ঘরণি মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেরিনা ট্রাম্প৷ শোনা যাচ্ছিল, ট্রাম্প-ঘরণী নাকি হোয়াইট হাউস ছেড়ে থাকতে শুরু করেছেন ওয়াশিংটন ডিসি’র এক দামী হোটেলে৷ অভিমানেই নাকি একা একা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেলিয়ানা৷ অবশ্য হোয়াইট হাউজ এ ব্যাপারে স্পষ্ট করেনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খড়িবিলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারপিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সুশিল কুমার সরকার নামে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬ টার সময় শহরের খড়িবিলা এলাকায় তাকে মারপিট করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়।
সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬ টার সময় শহরের বাকাল দৌলতপুর এলাকার ভূলু সরকারের ছেলে সুশিল কুমার সরকার কাজের জন্য শহরের খড়িবিলা এলাকায় পৌছালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে আতিয়ার রহমান তাকে বেধড়ক মারপিট করে। অতিয়ার রহমান খড়িবিলা এলাকার মৃত আব্দুলের ছেলে।
এব্যাপারে গুরুত্বর আহত সুশিল কুমার সরকার জানান, আমি এক জন সাধারন জন খেটে খাওয়া মানুষ। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাকে মারপিট করা হয়েছে। আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আমাকে মারলে কেউ আমার জন্য ছুটে আসবে না, মারপিটের বিচার হবে এমন ভেবে আতিয়ার আমাকে প্রকাশ্যে মারপিট করেছে।
এব্যাপারে আহত সুশিল কুমার সরকারের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এঘটনায় বিচার দাবী করে আহত সুশিল কুমার জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সরকারি চাকরি করতে দিতে হবে মাদক পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশ ও জনপ্রশাসনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ কেউ মাদকসেবী শনাক্ত হচ্ছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। দেশে বর্তমানে মাদকাসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপুলসংখ্যক ছাত্রছাত্রী মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন। পেশাজীবীদের মধ্যেও মাদক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। এখন থেকে সরকারি চাকরিতে ঢোকার আগে প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট বা মাদক পরীক্ষা করতে হবে। যাঁর পরীক্ষার ফলাফল নেতিবাচক হবে, তিনি চাকরির জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

পুলিশ, জনপ্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কমচারীদের কেউ মাদক সেবন করেন—এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মাদক পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের নেওয়া এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে জনপ্রশাসন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, দেশে বর্তমানে মাদকাসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপুলসংখ্যক ছাত্রছাত্রী মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন পেশাজীবীদের মধ্যেও মাদক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। এতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে ও কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। চিঠিতে বলা হয়, ডোপ টেস্টের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করলে যুবসমাজের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, কিছুদিন আগে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়োগের সময় সন্দেহ হওয়ায় ডোপ টেস্ট করার পর ১৮ জনকে মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। আরও সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি ভয়ংকর। দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছে। নিয়োগের সময় এ পরীক্ষা করলে শিক্ষার্থীরা সচেতন হবে, ভীতি তৈরি হবে।

এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ মাঠপর্যায় থেকে প্রায়ই পাওয়া যায়। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে, তাঁদেরও ডোপ টেস্ট করা হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতিবছর এসিআরের সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি ডোপ টেস্টও বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওই কর্মকর্তারা।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, উপসচিব, যুগ্ম সচিব পর্যায়ে এমন অভিযোগ প্রায়ই আসে, যদিও সংখ্যাটা খুব কম। সাধারণত তাঁদের পদোন্নতি দেওয়া হয় না, কম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে তাঁদের নিয়োজিত করা হয়। নতুন যাঁরা চাকরিতে আসবেন, তাঁদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হলে এ সমস্যা অনেক কমে আসবে।

এদিকে স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম তাঁর অধীন পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট করালে বেশ কয়েকজনের মাদক সেবনের প্রমাণ পাওয়া যায়। জানতে চাইলে জায়েদুল আলম বলেন, ‘পুলিশ যদি মাদক সেবন করে, তবে তিনি মাদক বিক্রেতাকে সুযোগ-সুবিধা দেবেন—এই বিবেচনায় গত নভেম্বর প্রথম আমরা নিজেদের বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরীক্ষা করি। প্রথম দিনে পাঁচজনকে পাই। পরে তাঁদের পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

সন্দেহ হওয়ায় দিনাজপুরের পুলিশ সুপার হামিদুল আলমও পুলিশসহ মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীদের ডোপ টেস্ট করান। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই সময় প্রায় দেড় হাজার পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষার নিয়ম জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় ক্লিনিক ইউরিন (মূত্র) সংগ্রহ করেছে প্রথমে। এরপর ডোপ টেস্টের ‘কিট’ (উপকরণ) দিয়ে ইয়াবা, ফেনসিডিল, মারিজুয়ানা কোকেন আছে কি না টেস্ট করা হয়। এর মধ্য অনেকেই মাদকাসক্ত বলে চিহ্নিত হয়েছিলেন।

পুলিশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মাদক ব্যবসায় ও মাদক সেবনের অভিযোগে গত এক বছরে পুলিশের শতাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ছয় মাসেই কেবল ৬৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কনস্টেবল থেকে শুরু করে পুলিশ পরিদর্শক পদের সদস্যরাই মাদক ব্যবসা এবং মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া এএসপি থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন পর্যায়েও কিছু কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন, মাদক ব্যবসায় সহায়তা এবং মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, পুলিশের বেশ কয়েকটি নিয়োগের সময় অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগে। অনেকে চাকরি হারিয়েছেন।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বিভিন্ন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও বিক্রির বিষয়টি উঠে এসেছে।

এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক চিকিৎসক নিয়মিত মাদক গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। একটি গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে চিকিত্সকদের মাদকাসক্ত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে।

সার্বিক বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘পুলিশের অনেকেই মাদকাসক্ত বলে আগে থেকেই তারা এ প্রস্তাব করে আসছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিটি পেলে আমরা বলে দেব যেন ডোপ টেস্ট না করে কাউকে সরকারি চাকরিতে না নেওয়া হয়।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সেই আনুশকাই এখন কোহলির প্রেরণা

এই কদিন আগের ঘটনা, বিয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ব্যর্থ হয়েছিলেন বিরাট কোহলি। ভারতীয় অধিনায়ক মাত্র পাঁচ রানে সাজঘরে ফিরে গেলে এর জন্য কড়া সমালোচনা শুনতে হয়েছিল তাঁর স্ত্রী বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মাকে! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোহলির রান না পাওয়ার জন্য সমর্থকরা আনুশকাকে দায়ী করেছিলেন।

সেই কোহিলিই কি না, ওয়ানডে সিরিজে দারুণ উজ্জ্বল। ছয় ম্যাচের এই সিরিজের তিনটিতেই শতক হাকান ভারতীয় অধিনায়ক। করেছেন ক্যারিয়ারের ৩৫তম শতক। তা ছাড়া পুরো সিরিজে ৫৫৮ রান করে সিরিজ সেরাও তিনি। আর তাঁর দল সিরিজ জিতেছে ৫-১ ব্যবধানে।

কোহলির এই সাফল্যে পেছনে থেকে নাকি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তাঁর স্ত্রী আনুশকা শর্মা। গতকাল রোববার ম্যাচ শেষে ভারতীয় অধিনায়ক তাই বলেন, ‘আমার এই সাফল্যের নেপথ্যে কিছু কাছের মানুষ রয়েছেন। বিশেষ করে, আমার স্ত্রী। পুরো সিরিজে সে প্রেরণা জুগিয়েছে আমাকে। তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। অতীতে এর জন্য অনেক কথা শুনতে হয়েছে আমার স্ত্রীকে। এই প্রেরণা থেকে প্রাপ্তি একটা দুর্দান্ত অনুভূতি।’

আসলেও তাই আনুশকাকে অনেকবাই সমালোচনা সইতে হয়েছে। মাঝখানে কোহলির ব্যর্থতার জন্য সমর্থকরা আনুশকাকে দায়ী করেছিলেন। বিশেষ করে গত অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের সময় তাঁদের নিয়ে অনেক ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা হয়েছিল। সে সময় কোহলিও এর জবাব দিয়েছিলেন, ‘একজন মানুষ হিসেবে বলতে চাই, আমি ভীষণ আহত হয়েছি। যারা আমাদের নিয়ে আজেবাজে কথা বলেছে এবং যে ভঙ্গিতে বলেছে, তাদের নিজেদের নিয়েই লজ্জিত হওয়া উচিত। এ ঘটনায় ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব হতাশ।’

গত বছর ১১ ডিসেম্বর ইতালির মিলানে কোহলি-আনুশকা জুটি গাঁটছড়া বাঁধেন। ২০১৩ সালে একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করার সুবাদে আনুশকার সঙ্গে কোহলির ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এরপর বন্ধুত্ব থেকে প্রেম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest