সর্বশেষ সংবাদ-
চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভা

খালেদা জেলে যাওয়ায় রাজনীতিতে নতুন হিসাব

অনলাইন ডেস্ক: নির্বাচনের বছরে খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় দেশের রাজনীতিতে নতুন হিসাব যোগ হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়া মুক্ত হলে ওই হিসাব হবে একরকম। আবার শেষ পর্যন্ত জামিনে তাঁর মুক্তি না ঘটলে পরিস্থিতি ভিন্ন রকম হতে পারে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মুক্ত খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে দরকষাকষি এবং নির্বাচনে যাওয়া-না যাওয়াসহ সব ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়া বিএনপির জন্য খুব সহজ হবে। একইভাবে তাঁর অনুপস্থিতিতে প্রতিটি ইস্যুতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ দলটির জন্য অত্যন্ত কঠিন।

আইনি মারপ্যাঁচে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক রাখা গেলে নির্বাচনী বৈতরণী সরকার অতি সহজে পার হতে পারবে—এমন ধারণা জন্মাচ্ছে জনমনে। অনেকের মতে, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে নির্বাচনী মাঠ থাকবে সরকারি দলের নিয়ন্ত্রণে। আর ওই ঘটনার প্রভাব অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যেও পড়বে। তারা তখন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে না থেকে সরকারের দিকেই ঝুঁকবে, অর্থাৎ নির্বাচনে যাবে। কারণ খালেদা জিয়া নির্বাচনের মাঠে না থাকলে ওই সব দলের মধ্যে এক ধরনের আস্থার সংকট দেখা দেবে। তাদের কাছে তখন চাপ ও প্রলোভন আসবে। এমন পরিস্থিতিতে ৫ জানুয়ারির তুলনায় বেশিসংখ্যক দলের নির্বাচনে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, এর ফলে বিএনপির নির্বাচন বর্জনও তখন কার্যকর ফল বয়ে আনবে না।

সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী মনে করেন, খালেদা জিয়ার কারাগারে থাকা-না থাকার বিষয়ে কিছু হিসাব-নিকাশ থাকলেও বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যেতে পারে। কারণ না গেলে তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে পারলে রাজনীতির মাঠের খেলা একতরফা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তা মনে করি না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ সব সময় প্রতিবাদী। সব সময় তারা নরম বা শান্ত থাকে না। মানুষের বিদ্রোহ অন্য জিনিস। ভোটের মধ্যেও বিদ্রোহ থাকতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ওয়েট অ্যান্ড সি।’

শত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের মতে, খালেদা জিয়া কারাবন্দি থাকায় কিছু হিসাব-নিকাশ সামনে এলেও চূড়ান্তভাবে কী ঘটবে তা বলার সময় এখনো আসেনি। তবে এটুকু বলা যায়, তাঁকে আটকে রাখা হলে নির্বাচনপূর্ব রাজনীতিতে এ ঘটনা ভয়ংকর প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে সরকার ভয় পাচ্ছে। তাই বিএনপি চেয়ারপারসনকে আটকে রেখে তারা নির্বাচন করে ফেলতে চায়। কিন্তু এতে খুব ভালো ফল সরকার পাবে বলে মনে হয় না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে জোর করে আটকে রাখা হলে নির্বাচন হওয়ার সুযোগ কম। তখন পরিস্থিতি অন্যদিকে টার্ন নেবে।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনে করেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। তিনি জামিনে বেরিয়ে আসবেন। ফলে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে যেসব সমীকরণ মেলানো হচ্ছে তা সফল হওয়ার নয়। তাঁর মতে, বড়জোর আর এক সপ্তাহ জামিন নিয়ে হয়রানি করা হতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা হলে নির্বাচনে বিএনপির আসন বেড়ে যাবে। এটি দেশের হাওয়া দেখে সরকার বুঝতে পেরেছে। ফলে সরকার তাঁকে আর আটকে রাখবে না।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা দুরূহ হবে। পাশাপাশি এ ঘটনা সরকারের জন্যও উভয় সংকটে পরিণত হবে। তাঁর মতে, জোর করে আটকে রাখতে চাইলে সে ক্ষেত্রে সরকারকে অযৌক্তিক পন্থা অবলম্বন করতে হবে এবং চক্ষুলজ্জা বিসর্জন দিতে হবে। আবার এর প্রতিক্রিয়া জনমনে ব্যাপকভাবে পড়বে। জনগণ আরো বেশি ক্ষুব্ধ হবে। সে ধরনের ঝুঁকি সরকার নেবে বলে মনে হয় না। খালেদা জিয়াকে আটকে রাখার মতো নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্বই যদি প্রতিষ্ঠা করতে পারে, সেক্ষেত্রে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার সরকারের জন্য কঠিন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, সেটি সরকার পারবে। ওই পরিস্থিতিতে একটি রাবার স্ট্যাম্প পদ্ধতির নির্বাচন করে তারা আবার ক্ষামতায় আসতে পারবে। কিন্তু এর পরিণতি শুভ হবে না।’

বিকল্প ধারার সভাপতি ও নবগঠিত যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বি চৌধুরী বলেন, ‘কোনো কারণে বিএনপি নির্বাচনে না গেলে সরকার একতরফা সবকিছু করবে এটিও যেমন বাঞ্ছনীয় নয়, তেমনি বিএনপি নির্বাচনে না গেলে মাঠ ছেড়ে দেব এটিও করা ঠিক নয়। বিএনপিকে অনুসরণ করব কি না জানি না। তবে মনে হচ্ছে বিএনপি নির্বাচনে যাবে। বিএনপি না গেলে সরকার ইচ্ছামতো সিল মারবে। ফাঁকা মাঠে তাদের গোল দেওয়ার সেই সুযোগ দেওয়া ঠিক হবে না। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে হবে।’ এভাবেই নির্বাচনে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন বি চৌধুরী।

৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ১২টি দল অংশ নিলেও বিএনপিসহ ২৮টি দল তা বর্জন করেছিল।

দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বহুলাংশে খালেদা জিয়ার কারাগারে থাকা-না থাকার ওপর নির্ভরশীল বলে জানা গেছে। যদিও এ প্রশ্নে বিএনপির নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনো আসেনি। তবে ভেতরে ভেতরে সম্ভাব্য ওই পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির বড় একটি অংশ ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি’কে নির্বাচনী ইস্যু হিসেবে নিয়ে নির্বাচনে যাওয়া উচিত বলে মনে করে। তাদের মতে, জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে বিএনপির পক্ষেই ভোট দেবে। গণজোয়ার সরকার ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। দলের অপর একটি অংশ খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচনে যাওয়ার বিরোধী। তাদের মতে, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখতে সরকার সক্ষম হলে বুঝতে হবে প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অভিমত সরকারের পক্ষে। তাই ওই অবস্থায় নির্বাচনে গিয়ে কিছু আসন নিয়ে বিরোধী দলে বসা ছাড়া বিএনপি আর কিছুই অর্জন করতে পারবে না। ফলে খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে তারা নির্বাচন বর্জনের পক্ষে।

অনেকের আশঙ্কা, পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকলে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য মামলা-হামলাসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ওপর চাপও সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি প্রলোভন আসাও অস্বাভাবিক নয়। ওই সব চাপ মোকাবেলা করে নেতাদের টিকে থাকার পাশাপাশি দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা তাঁদের জন্য কঠিন হবে। আন্তর্জাতিক মহলও ওই সময় তৎপর হবে। তবে তা সরকারের অনুকূলে না প্রতিকূলে তা এখনো নিশ্চিত নয়। অনেকের মতে, আন্তর্জাতিক মহলের অবস্থান অনুকূলে বুঝলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সর্বাত্মক আন্দোলনে যাওয়ারও সম্ভাবনা আছে। খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিএনপি ভেঙে যাবে বলে নানা মহল থেকে প্রচার আছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না এমন অভিপ্রায় থেকে সাজা দিয়ে কারাগারে নেওয়া হবে—এটি যে সরকারের হিসাব-নিকাশ তা কেবল আমরা নই, দেশের জনগণও বোঝে। তবে তাদের ওই অভিপ্রায় বা ইচ্ছা পূরণ হবে কি না তা সময়ই বলে দেবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতির হিসাব বিএনপিরও আছে। তাদের হিসাবে বা ফাঁদে বিএনপি পা দেবে না। বিএনপি তার হিসাবেই এগোবে; খালেদা জিয়ার পরামর্শেই সবকিছু হবে। চাপ দিয়ে কিছু আদায় করা সহজ নয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সরকারি দলের নেতারা ঢেঁকুর তুলছেন। মনে হয় যেন তাঁরা জয় করে ফেলেছেন। এখন নির্বিঘ্নে নির্বাচন করে ফেলবেন। কিন্তু বিষয়টি অত সহজ নয়।’ তাঁর মতে, সরকারি দলের হিসাব জনগণের কাছে দৃশ্যমান হয়ে গেছে। বিএনপি জনগণের পথেই থাকবে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবিশ্বাস্য ভারত, অবিশ্বাস্য কোহলি!

যত দিন যাচ্ছে, কোহলি যে একদিন টেন্ডুলকারের রেকর্ড সব ভেঙে দেবেন এ নিয়ে সন্দেহ করার মানুষদের সংখ্যা কমছে। অন্তত সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি রেকর্ডটা ভাঙা তো এখন খুবই সম্ভব মনে হচ্ছে। সেঞ্চুরি করাটা কোহলি এত নিয়মিত ঘটনায় পরিণত করেছেন, খবর হিসেবে এ এখন আর কৌতূহল জাগানিয়া নয়। ওহ, আরেকটি সেঞ্চুরি, আচ্ছা।

ওয়ানডেতে ৩৫ তম আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের ৫৬ তম সেঞ্চুরি আজ করে ফেললেন বিরাট কোহলি। এই সিরিজেই তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি। ২৯ বছর বয়স। কোহলির ফর্ম, ফিটনেস আর ক্যারিয়ারের যে ধারাবাহিকতা; শচীন টেন্ডুলকারের ১০০ সেঞ্চুরির রেকর্ড টিকে থাকবে কি না, এই সংশয় এখন পাঁড় টেন্ডুলকার ভক্তেরাও প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।
কোহলির সেঞ্চুরির কাব্যগাথা লিখতে গিয়ে ম্যাচের ফলটাই বলা হয়নি। না বললেও চলত আসলে। কোহলির সেঞ্চুরির চেয়ে এই সিরিজে ভারতের জয় আরও নিয়মিত ঘটনা। ২৫ বছর যে মাটিতে কখনো সিরিজ জেতেনি ভারত, না ওয়ানডে না টেস্ট; সেখানে টেস্টে না-পারার কষ্টটা রঙিন পোশাকে কী উজ্জ্বলভাবেই না মিটিয়ে দিল কোহলির দল। জিতল ৫-১ ব্যবধানে।
মাঝখানে একটা ম্যাচ বৃষ্টির কারণে আয়তনে কমে না এলে এই সিরিজের ফল যে ৬-০ হতো না, এমনটা জোর দিয়ে কেউ বলতে পারবে না। বিশেষ করে ৫ ম্যাচে ভারতের দাপুটে জয়ের ধরন দেখে। যার শেষটা আজ তারা করল ৮ উইকেট আর ১০২ বল হাতে রেখে। নিজেদের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা এমন অসহায়, এমন বিপন্নবোধ খুব বেশিবার করেনি। ৫-১-এ সিরিজ হারও তাদের জন্য বিরলতম ঘটনা।
কোহলি-ধাওয়ানের দুর্দান্ত ফর্মের কারণে এই সিরিজে ভারতের বোলাররা আড়ালে চলে যাচ্ছে। ভারতে বোলার হিসেবে জন্ম নিলে যা মেনে নিতে হয় সবাইকে। তবুও চাহাল-যাদবের ঘূর্ণির কারণে আলোচনা হচ্ছিল। আজও ভারতের জয়ের ভিত্তি বোলারদের গড়ে দেওয়া। যদিও তাতে নায়ক শার্দুল ঠাকুর। ভারতের ওয়ানডে দলে এখন অশ্বিন-জাদেজাদেরই জায়গা পাওয়া কঠিন। শার্দুল তা জানেন বলেই ৫ মাস পর দলে ফিরে দারুণভাবে জ্বলে উঠলেন।
১৩৬ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা যে প্রথম ৫ উইকেট হারিয়েছিল, এর তিনটিই শার্দুলের। তাঁর এই আঘাতে শেষ পর্যন্ত ২০৪ রানে অলআউট স্বাগতিকেরা। ৫২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে এই সফরে ওয়ানডেতে না হলেও টেস্টে ভারতীয় পেসারদের অবদানের কথাও আরেকবার মনে করিয়ে দিয়েছেন এই তরুণ। ওয়ানডে সিরিজে যদিও প্রথমবার কোনো ভারতীয় ম্যাচে তিন বা এর বেশি উইকেট নিলেন, স্পিনাররা যেখানে নিয়েছেন ছয়বার।
লক্ষ্যটা ২০৫ দেখে কোহলি-ভক্তদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হয়তো ছিল, যাহ আরেকটা সেঞ্চুরির সুযোগ নষ্ট হয়ে গেল। গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রোহিত শর্মা আজ ১৫ রান করে ফেরাতে ভারতের কেউ কেউ খুশি হয়েছিলেন কি না, তাও সরাসরি নাকচ করে দেওয়া যাচ্ছে না। এরপরই কোহলি নামলেন। আর ১৯টি চার ও ২ ছক্কায় করলেন ১২৯! দুই শর মতো লক্ষ্য যে ম্যাচে, তাতেও কোহলির সেঞ্চুরি! কোহলির সেঞ্চুরি থামানোর একটা উপায় হতে পারে ভারতকে ৯৯ কিংবা এরও কম লক্ষ্য দেওয়া!
কোহলিও আজ তিনবার পুরস্কৃত হলেন। ম্যাচ সেরা, সিরিজ সেরা এবং দলীয় ট্রফি! একটাও তার হাতে বেমানান লাগল না। ভারতকেও যোগ্যতম দল হিসেবে উদ্যাপন করতে দেখা গেল। এই ভারত অবিশ্বাস্য, তার চেয়েও অবিশ্বাস্য এই কোহলি!

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সভাপতি পলাশ গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সভাপতি রহমাতুল্লাহ পলাশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে শহরের কাটিয়া নিজস্ব বাসভবন থেকে সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশ রহমাতুল্লাহ পলাশের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানো সহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে ওসি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাদামের উপকারীতা

বাদামের উপকারীতা

কর্তৃক Daily Satkhira

বাদাম একটি সাধারণ শব্দ যা কোন উদ্ভিদের বড়, শুষ্ক এবং তৈলাক্ত বীজ অথবা ফলকে বোঝায়। যদিও অনেক উদ্ভিদের বীজ এবং ফলকে বাদাম হিসেবে ডাকা হয়, কিন্তু জীববিজ্ঞানীগণ এদের মধ্যে অল্প কিছু বীজ বা ফলকেই সত্যিকারের বাদাম হিসেবে বিবেচনা করেন।

বাদামে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরে শক্তির যোগান দেয়, শরীরে ক্ষতিকর টক্সিনের পরিমাণ কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বাদাম হৃদরোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। এছাড়া বাদামে বিদ্যমান প্রোটিন শরীরের সঠিক বিকাশে সাহায্য করে। বাদামে রয়েছে পলিফেনোলিক নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি হৃদরোগ, কোলন ক্যান্সার, স্ট্রোক, ভাইরাস ও ফাঙ্গাস ঘটিত রোগ প্রতিরোধ করে। বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী। বাদাম শরীরের ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

তবে বাদামের অনেক উপকারী পুষ্টিগুই থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে বাদাম বেশি খেলে এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বাদাম একটি আঁশ জাতীয় খাবার-তাই বাদাম বেশি খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা, পেট খারাপ হতে পারে। বাদাম একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এবং বাঙালি হিসাবে আমরা মাছ, মাংস ও ডালের সাথে প্রোটিন গ্রহণ করে থাকি।

তাই বেশি প্রোটিন গ্রহণ করলে কিডনি রোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বাদামে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা অনেক ওষুধের কার্যক্রমে বাধা দেয়। বাদাম খেলে অনেকের আবার এলার্জির সমস্যা হতে পারে। পরিমিত বাদাম গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তাই বেশি করে একবারের না খেয়ে নিজের হাতের এক মুঠ পরিমাণ বিকালের নাস্তা হিসেবে বা মধ্য দুপুরে খাওয়া যেতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিম ১১৭, পূজা ২১

মিম ১১৭, পূজা ২১

কর্তৃক Daily Satkhira

শুক্রবার সারা দেশে মুক্তি পেয়ছে দুইটি চলচ্চিত্র। একটি ঢালিউড নাম্বার ওয়ান খ্যাত নায়ক শাকিব খান ও মিমের ‘আমি নেতা হবো’ ও অন্যটি কলকাতার নবাগত নায়ক ও বাংলাদেশের নবাগতা নায়িকা পূজার ‘নূর জাহান’।

‘আমি নেতা হবো’ চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে দীর্ঘ নয় বছর পর ফের জুটি বাধালেন শাকিব খান ও মিম। উত্তম আকাশ পরিচালিত ছবিটি দেশের ১১৭ হলে মুক্তি পেয়েছে। যদিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো যে ১৫০ হলে মুক্তি দেয়া হবে ছবিটি।

শাপলা মিডিয়া প্রযোজিত এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন ওমর সানী-মৌসুমী, সাদেক বাচ্চু, কাজী হায়াত ও ডিজে সোহেল প্রমুখ।

এদিকে বড় পর্দায় যৌথ প্রযোজনার ছবি নূরজাহান দিয়ে অভিষেক হলো নবাগতা নায়িকা পূজা চেরির। শুক্রবার সারা দেশের ২১ টি হলে মুক্তি পেলো ছবিটি। ছবিটিতে পূজার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ওপার বাংলার আদ্রিত। এটি দু’জনারই প্রথম ছবি।

ছবির পরিচালক আবদুল আজিজ জানান, ‘নূর জাহান’ মিষ্টি প্রেমের মৌলিক গল্পের ছবি, এটি কোন নকল ছবি না। ছবিটি পরিবার নিয়ে দেখার মত একটি ছবি। আশাকরি আপনারা হলে গিয়ে ছবিটি দেখবেন।

গ্যারান্টি দিয়ে তিনি উপস্থিত দর্শকদের বলেন, ‘দেশের প্রধান প্রধান হল গুলোতে মুক্তি পেয়েছে ‘নূর জাহান’। ছবিটি অবশ্যই ভাল লাগবে আপনাদের আর ভাল লাগবে, আর ভাল না লাগলে আমরা আপনার টাকা ফেরত দিব। আমার বিশ্বাস ‘নূর জাহান’ একবার দেখলে বারবার দেখবেন’

কলকাতার রাজ চক্রবর্তী প্রোডাকশনের সঙ্গে যৌথভাবে সিনেমাটি প্রযোজনা করছে বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন কলকাতার অভিমন্যু মুখোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের আব্দুল আজিজ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১০ বছর পর সাউন্ডটেকে আসিফ, মডেল তানিয়া বৃষ্টি

প্রায় ১০ বছর পর আবারও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরের গাওয়া নতুন গান মুক্তি পেলো দেশের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সাউন্ডটেক থেকে। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সাউন্ডটেকের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে আসিফ আকবর ও কণার গাওয়া এই নতুন দ্বৈত গানের শিরোনাম ‘মুছে দিবো কান্না তোমার’।

জনপ্রিয় গীতিকার আহমেদ রিজভীর কথায় নাজির মাহমুদের সুরে ও মুশফিক লিটুর সংগীতে এই গানটির মিউজিক ভিডিওতে মডেল হিসেবে ছিলেন আসিফ আকবর নিজেই। আর তার সাথে মডেল হিসেবে ছিলেন মডেল-অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি। সাউন্ডটেক থেকে প্রকাশিত নিজের এই নতুন গান প্রসঙ্গে আসিফ আকবর বললেন, ‘১০ বছর পর সাউন্ডটেকের সাথে আবারও কাজ করলাম। ভালো লাগছে খুবই। একটা আবেগও কাজ করছে নিজের ভেতরে। কারণ আমার অডিও ক্যারিয়ারের শুরুটাতো সাউন্ডটেক থেকেই। কাজেই সাউন্ডটেকের প্রতি আমার একটা আলাদা ভালোবাসা, ভালো লাগা সবসময় ছিলো, থাকবে।’

আসিফ আরও বলেন, ‘গানটিতে আমার সহশিল্পী কণা। দারুণ গেয়েছে ও। অভিনন্দন কণাকে। আর আহমেদ রিজভী ভাইয়ের লেখা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আমার এবং রিজভী ভাইয়ের বোঝাপড়াটা সবসময়ই দারুণ। যে কারণে তার লেখা গান গাইতে আমার বরাবরই ভালো লাগে। একই কথা নাজির মাহমুদ ভাইয়ের বেলায়ও খাটে। নাজির ভাই একজন গুণী মানুষ। তার সুর নিয়ে কিছুই বলার নেই। মুশফিক লিটুকে ধন্যবাদ গানটির চমৎকার সংগীতয়োজনের জন্য। সবশেষে ধন্যবাদ এবং ভালোবাসা সুলতান মাহমুদ বাবুল ভাই এবং সাউন্ডটেককে।’

এছাড়াও শিগগিরই আরও বেশ কিছু চমক নিয়ে হাজির হচ্ছেন আসিফ আকবর।

আসিফ-কণার গাওয়া গানটি দেখুন :

https://www.youtube.com/watch?v=Ed5KE55sybs

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পদত্যাগের খবরকে মিথ্যা ও বানোয়াট বললেন শিক্ষামন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালি সফর থেকে দেশে ফিরলেই শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পদত্যাগ করছেন এমন একটি সংবাদ কয়েকটি অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশ হয় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার। এনিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সিলেটের একটি অনলাইন সংবাদপত্রকে বলেন, “আমি পদত্যাগ করছি সেটা মিথ্যা ও বানোয়াট। আর এ নিয়ে কোনো মিডিয়ার সাথে আমার কথোপকথন হয়নি। এটা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এসব বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ থেকে সর্বসাধারণকে বিরত থাকার আহ্বান করছি।”
উল্লেখ্য, ধারাবাহিকভাবে প্রশ্নফাঁস করে চলছে দুষ্টুচক্র। এমন প্রেক্ষাপটে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে নানা গুঞ্জন ওঠে। পদত্যাগ করতে প্রধানমন্ত্রী কাছে গিয়েছিলেন নাহিদ। গত সপ্তাহে এমন একটি খবর কয়েকডজন জাতীয় পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ হয়। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এমন সংবাদ প্রচার হয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলোতে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যেভাবে জানবেন আপনার মোবাইল সিমটি ফোরজি

চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক তথা ফোরজি চালু হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো প্রায় একবছর আগে থেকে ফোরজি সিম বিক্রি শুরু করেছে। এছাড়া, এসময়ের মধ্যে যারা সিম রিপ্লেস (নষ্ট, চুরি বা হারিয়ে গেলে নতুন সিম কিনে প্রতিস্থাপন) করেছেন, তারাও অপারেটরের কাছ থেকে পেয়েছেন ফোরজি সিম। কিন্তু তারও আগে যারা সিম কিনেছেন, তারা কীভাবে জানবেন, তাদের সিম ফোরজি কিনা ?

আপনার সিমটি ফোরজি কিনা, তা যাচাইয়ের জন্য মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো মেসেজ অপশন চালু করেছে। সংশ্লিষ্ট অপারেটরে এসএমএস পাঠিয়ে জেনে নেওয়া যাচ্ছে, সিমটি ফোরজি কিনা। কোনও কোনও এসএমএস-এ  ফোরজি সিম সংক্রান্ত তথ্যের পাশাপাশি ফোন সেটটিও ফোরজি সমর্থন করে কিনা, তা জানা যাবে।

এরই মধ্যে অপারেটরগুলো মোবাইলে ফোরজি সেবা পেতে আগ্রহীদের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে গিয়ে সিম বদলে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।

গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোবাইলের কিপ্যাড অথবা ডায়াল অপশনে গিয়ে *১২১*৩২৩২# লিখে ডায়াল বাটন চাপলে ফিরতি মেসেজে জানা যাবে, আপনার সিমটি ফোরজি কিনা। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, যারা সিম বদল করেত চান— তারা ১১০ টাকার বিনিময়ে ফোরজি সিম নিতে পারবেন। তবে ‘জিপি স্টার’ গ্রাহকরা বিনা খরচে সিম বদলে নিতে পারবেন।

রবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,  গ্রাহক তার মোবাইলের কিপ্যাড অথবা ডায়াল অপশনে গিয়ে *১২৩*৪৪# লিখে ডায়াল বাটন চাপলে ফিরতি এসএমএস-এ জানিয়ে দেওয়া হয়, সিম ও সেটটি ফোরজি কিনা। এয়ারটেল গ্রাহকরাও একইভাবে জানতে পারবেন সিম ও সেটের তথ্য। তবে সিম বদলে ফোরজি সিম নিতে গ্রাহকের খরচ হবে ১০০ টাকা। রবি কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে অপারেটরটি বাজারে রবি সিম ছেড়েছে। এসময়ের মধ্যে যারা সিম কিনেছেন বা বদল করেছেন, তাদের সিম ফোরজি সমর্থিত।

বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলালিংকের সিম বদলে নিতে গ্রাহককে কোনও খরচ দিতে হবে না। বিনামূল্যে অপারেটরটি গ্রাহকদের সিম বদলে ফোরজি সিম দিচ্ছে। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, গ্রাহকরা মেসেজ অপশনে গিয়ে ফোরজি লিখে ৫০০০ নম্বরে এসএমএস পাঠালে ফিরতি মেসেজে জানিয়ে দেওয়া হবে, সিমটি ফোরজি কিনা।

টেলিটক সূত্রে জানা গেছে, অপারেটরটির গ্রাহকরা যত সিম ব্যবহার করছে এবং বাজারে অবিক্রিত রয়েছে ৯০ ভাগই ফোরজি সিম। অবশ্য ১০ ভাগ গ্রাহকের সিম বিনা খরচে ,নাকি টাকা দিয়ে বদলে নিতে হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।

অপারেটর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফোন সেট ফোরজি সমর্থিত কিনা তা জানতে গ্রাহকরা সংশ্লিষ্ট অপারেটরের সেবাকেন্দ্রে গিয়ে জেনে নিতে পারবেন সেটের তথ্য।

এদিকে, মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের সূত্রে জানা গেছে, বাজারে এখন ১০ হাজার টাকার ওপরে যেসব স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো ফোরজি সমর্থন করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest