সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passiদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবি

চিকিৎসকদের পরামর্শে ‘চন্দ্রাবতী’ ছাড়লেন পরীমণি

রফিক শিকদারের নির্মিতব্য ‘ওপারে চন্দ্রাবতী’ ছবিতে পরীমণি অভিনয় করছেন- এটা পুরনো খবর। কিন্তু নতুন খবর হলো, এই ছবিতে পরীমণি অভিনয় করবেন না। এমনটাই জানালেন এই লাস্যময়ী।

পরীমণি বলেন, ”গত কয়েকদিন যাবৎ আমার শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। জ্বর ও সর্দি-কাশিতে ভুগছি। চিকিৎসকরা আপাতত বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। তবে শুধু এই সর্দি-কাশি নয়, আসলে গত তিন বছর টানা অভিনয় করে শারীরিকভাবে বিধ্বস্ত আমি। এখন শরীরও মনে হয় প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করেছে। ক্লান্তির এই ছাপ মানসিক চাপকে তরান্বিত করছে। তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন, আপাতত যেন বাড়তি চাপ না নেই।” তিনি আরও বলেন, ”চিকিৎসরা এটাও বলেছেন আগামী কিছু দিন যেন ‘হেভি লাইট’ থেকে দূরে থাকি।”

পরীমণি বলেন, ”আপাতত যেসব কাজ চলছে সেগুলোতেই সময় দিতে চাই। তাই ‘ওপারে চন্দ্রাবতী’তে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে আশা করি, ভবিষ্যতে রফিক ভাইয়ের অন্য কোনো ছবিতে আমাকে দেখা যাবে।”

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে তরুণ নির্মাতা রফিক শিকদারের ‘ওপারে চন্দ্রাবতী’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হন হালের আলোচিত নায়িকা পরীমণি। এতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করার কথা রয়েছে সাইমনের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এ কেমন কেক? খরচ ৬ কোটি!

এবার অভিনব এক কেক বানিয়ে পুরো বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছেন ডেবি উইংহাম। বিয়ে নিয়ে পুরো বিশ্বে এখন যেন নজর কাড়ার পালা চলছে। সেই সাদামাটা বিয়ে বাড়ির দিন গিছে। এখন প্রথম বিশ্ব থেকে তৃতীয় বিশ্ব, পুরোটাই ঝুঁকছে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং কিংবা প্রি-ওয়েডিং ফটোশুটের দিকে। বিয়ে আগে ছিল অনুষ্ঠান। কর্পোরেট হাওয়ায় এখন তা ‘ইভেন্ট’। সুতরাং কোন ইভেন্ট কত ভালো, কে কোথায় নজর কাড়ল, তার হিসেবও চলবে বইকি। ফলত ডিজাইনাররাও বিয়ে নিয়ে নতুন কিছু ভাবছেন।

যেমন ভাবলেন লন্ডনের এই ডিজাইনার। আস্ত একটি কেক বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। যা কনের সাজে সজ্জিত। দুবাইয়ের এক ওয়েডিং শো-এর জন্য তাঁর এই কীর্তি। ওয়েডিং কেকটির ওজন প্রায় ১২০ কেজি। লম্বায় প্রায় ৬ ফুট। সবচেয়ে বড় কথা, এই মানুষ সমান কেকটি তৈরি করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৬ কোটিরও বেশি টাকা। তবে বলা বাহুল্য, যত কড়ি ঢেলেছেন, তত মিষ্টিও হয়েছে। না এখনও সে কেক কেউ চেখে দেখেননি। তবে ডিজাইনার জানিয়েছেন মাথা থেকে পা পর্যন্ত এ কেকের পুরোটাই ভোজ্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তিন স্তরে ভোট প্রস্তুতি আওয়ামী লীগে

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিন স্তরে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটিয়ে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করা, স্বচ্ছ ও দক্ষ প্রার্থী মনোনয়নসহ সরকারের নয় বছরের উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে জনগণের সামনে তুলে ধরতে দলীয়ভাবে কাজ শুরু হয়েছে। দলের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে সারা দেশে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার ছিল। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি না আসায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন ১৫৩ জন। এবার গণজোয়ার নেই, অন্যদিকে বিএনপিও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। ফলে প্রার্থী বাছাইয়ে দলকে বিশেষভাবে যত্নশীল ও সচেতন হতে হবে। সেইসঙ্গে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানো যেমন জরুরি, তেমনি প্রয়োজন সরকারের সাফল্য প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সারা দেশের জনগণের সামনে তুলে ধরা। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আগামী নির্বাচনেও নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে জনগণের দোরগোড়ায় যাওয়ার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন তারা।

দলের শৃঙ্খলা ও ঐক্য প্রতিষ্ঠা : খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তীব্র দলীয় কোন্দল এবং নেতা-কর্মীদের ক্ষমতার দম্ভ ও অসংযত আচরণ দলকে আরও পিছিয়ে দিচ্ছে। দলের একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা, বান্দরবান, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, ফেনী ও সিরাজগঞ্জ জেলাকে বিরোধপূর্ণ এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব জেলায় ধারা উপ-ধারায় রাজনীতি চলছে। পদ-পদবি ধরে রাখা, সুবিধাভোগী সুবিধাবঞ্চিত থাকা ও ব্যক্তিগতস্বার্থ থেকে সৃষ্ট এসব বিরোধ কোথাও কোথাও মহীরুহ আকার ধারণ করেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনপ্রিয়তার চেয়ে দলীয় কোন্দল মেটানোটাই বেশি জরুরি বলে মনে করছেন তারা। অবশ্য তৃণমূলের কোন্দল মেটাতে গত ২৬ জানুয়ারি থেকে ১৫টি টিমে বিভক্ত হয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সফর শুরু হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, সারা দেশে ব্যাপক নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে চলমান এই সাংগঠনিক সফরে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে আরও শক্তিশালী করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাংগঠনিক ভুলত্রুটিগুলো সমাধানের চেষ্টা করবেন। এ ছাড়া দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সর্বশেষ অবস্থান জানার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

স্বচ্ছ প্রার্থী নিশ্চিত করা : নির্বাচনে জয় লাভের জন্য স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, রাজনৈতিক ঐতিহ্য, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সদ্ভাব, জনসম্পৃক্ততা রয়েছে— এমন রাজনীতিবিদদের মধ্য থেকে প্রার্থী বাছাই করতে হবে মনে করছেন দলের শীর্ষ নেতারা। সূত্র মতে, বাদ পড়তে যাচ্ছেন বিতর্কিত, জনবিচ্ছিন্ন প্রায় ৭০ এমপি। এদিকে এলাকায় উন্নয়ন, জনপ্রিয়তা, কোন্দল, দুর্নীতিসহ বিগত কয়েক বছরের এমন নানা বিষয় তুলে ধরে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি-মন্ত্রীদের ব্যক্তিগত আমলনামা তৈরি করা হয়েছে। একাধিক গোপন জরিপের মাধ্যমে প্রত্যেক আসনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি প্রার্থী বাছাই করছে দলটি। এ বিষয়ে প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগে অগণিত নেতা-কর্মী। দলে কারও অবদানই কম নয়। চুলচেরা বিশ্লেষণ করে মনোনয়ন দেওয়া হবে।

সরকারের উন্নয়ন প্রচার : আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, সরকারের উন্নয়ন দৃশ্যমান। উন্নয়ন সর্বত্র সমানভাবে হয়েছে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে তা সঠিকভাবে প্রচার হচ্ছে না। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা বারবার সরকারের উন্নয়ন চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানালেও প্রচারে আওয়ামী লীগ পিছিয়ে আছে বলে মনে করেন অনেকেই। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে উন্নয়ন-সাফল্য প্রচারের ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। একদিকে দলের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক সফরের মাধ্যমে, অন্যদিকে সরকারের মন্ত্রণালয়গুলোর পক্ষ থেকে বিগত দিনের উন্নয়ন তথ্য প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গত নয় বছরে সরকারের অর্জন বিশাল। সমুদ্র বিজয়, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও দেশে প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি, বেকারত্ব দূর করা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্তির দিকে এগিয়ে যাওয়া, মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি— সব ক্ষেত্রে এগিয়েছে বাংলাদেশ। এসব দেশের মানুষ জানে। আর আমরা ইতিমধ্যেই সাংগঠনিক সফরে বর্ধিত সভা, কর্মিসভা, উঠান বৈঠক, পথসভা এবং জনসভার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের অর্জনগুলো তুলে ধরছি। এর বাইরে সরকারের মন্ত্রণালয়গুলো নিজস্ব কর্মকৌশলে তাদের সাফল্য তুলে ধরছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কতদিন জেলে থাকবেন খালেদা

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা অর্থ আত্মসাতের দায়ে পাঁচ বছর সাজা মাথায় নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে রয়েছেন। রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি (সার্টিফাইড কপি) হাতে না পাওয়ায় তার মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করতে পারছেন না আইনজীবীরা। অনুলিপি পাওয়ার পরই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করার পাশাপাশি খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করা হবে বলেও জানান তারা। আইন-আদালত সংশ্লিষ্টরা বলছেন ৬৩২ পৃষ্ঠার এ বিশাল রায়ের সার্টিফাইড কপি পেতে এক-দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। এ ছাড়া আরও পাঁচ মামলায় জারি থাকা গ্রেফতারি পরোয়ানাও সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মুক্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন তারা। আইনজ্ঞরা বলছেন, রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পাওয়ার পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করবেন, এটা ঠিক। সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষও তো তার জামিনের বিরোধিতা করবে। আপিল আবেদনেও লড়বে। হাই কোর্টে যে পক্ষই হারুক তারা আবার সুপ্রিম কোর্টে যাবে। উচ্চ আদালত পর্যন্ত সব প্রক্রিয়া শেষ করে খালেদা জিয়ার মুক্তি পেতে বেশ বিলম্বই হতে পারে বলে মত তাদের। এদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারও শেষ পর্যায়ে। যদি এর মধ্যে ওই মামলায় রায়ও হয়ে যায়, আর খালেদা জিয়া যদি নতুন করে দণ্ডিত হন তাহলে তার সামনে নতুন খড়গ হাজির হবে বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। জানতে চাইলে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে হলে প্রথমে রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পেতে হবে। অনুলিপি ছাড়া তো জামিন বা আপিল, কোনো আবেদনই করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে বেশকিছু সময় বিলম্ব হতে পারে। আরও পাঁচ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে তিনি বলেন, এসব মামলায় পুলিশ চাইলে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখাতে পারে। যদি দেখায় তাহলে অবশ্যই জামিন নিতে হবে। অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় জামিন পেতে পারেন কিনা, এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, এই মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর সাজা হয়েছে। সাধারণত সাত বছর পর্যন্তও জামিন দেয় হাই কোর্ট। তবে হাই কোর্ট যদি জামিন দেয়ও রাষ্ট্রপক্ষেরও এই জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করার এখতিয়ার রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘রায়ের সার্টিফাইড কপি দেওয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। এটা আদালতের ওপর নির্ভর করে। রায়ের অনুলিপি প্রস্তুত হওয়ার পর সবার স্বাক্ষর হলেই সার্টিফাইড কপি সরবরাহ করা হয়। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি থাকা পাঁচ গ্রেফতারি পরোয়ানায়ও পৃথক করে জামিন নিতে হবে বলে জানান তিনি। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা শেষ পর্যায়ে থাকলেও কবে শেষ হচ্ছে তা আসামিপক্ষের ওপর নির্ভর করছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আমাদের যুক্তি উপস্থাপন সমাপ্ত করেছি। এখন আসামিপক্ষ শেষ করলেই রায়ের জন্য দিন ঠিক হবে। জানতে চাইলে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, রায়ের পরই আমরা সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করেছি। রবিবার পর্যন্ত আমাদের কপি সরবরাহ করা হয়নি। সার্টিফাইড কপি পাওয়ার পরই আমরা আপিল ও জামিনের বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু করব। পাঁচটি গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে তিনি বলেন, এসব গ্রেফতারি পরোয়ানা কীভাবে নিষ্পত্তি করা যায় সে বিষয়টি আমরা দেখছি। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা কবে শেষ হতে পারে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক শেষ করেছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা আমাদের বক্তব্য তুলে ধরব। মামলার বিষয়ে আমাদের পক্ষে থাকা যুক্তিগুলো উপস্থাপন শেষ হলেই এ মামলার বিচার শেষ হবে।

যে পাঁচ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা : দুর্নীতি মামলায় কারান্তরীণ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতা ও মানহানিসহ পাঁচটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। মামলাগুলো হচ্ছে— ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রলবোমায় ৮ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলা, যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার একটি মানহানির মামলা, ভুয়া জন্মদিন পালন করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম নষ্টের একটি মামলা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের একটি মামলা। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পর খালেদা জিয়া এসব মামলায় জামিন নেননি। তাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন পাওয়ার পর আবার এই পাঁচ মামলায়ও তাকে জামিন নিতে হবে। আটজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় গত বছর ৯ অক্টোবর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে কুমিল্লার জেলা জজ আদালত। একই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় চলতি বছর ২ জানুয়ারি কুমিল্লার ৫ নম্বর অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার মানহানির মামলায় ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মো. নুর নবী। এ ছাড়া ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালন করার মামলায় ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মাজহারুল ইসলাম পরোয়ানা জারি করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে ২০১৫ সালের ২৩ আগস্ট নড়াইলের একটি আদালত সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছে।

শেষ পর্যায়ে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাও : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি বর্তমানে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন পর্যায়ে রয়েছে। এই যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলেই রায়ের জন্য দিন ঠিক হবে। গত ৩০ জানুয়ারি মামলার রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছে। এর পর ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি আসামি জিয়াউল হক মুন্নার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি হয়। আগামী ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিও এ মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যুক্তি উপস্থাপনে আসামিপক্ষ নিয়েছে ১৫ কার্যদিবস। এ মামলায়ও এর চেয়ে বেশি সময় তারা নেবেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামিকে দেওয়া হয়েছে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আখতারুজ্জামান এ রায় দেন। রায়ে খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। রায়ের পরপরই কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগার ভবনে। মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন— মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান ও ব্যবসায়ী সরফুদ্দিন আহমেদ। এর মধ্যে তারেক রহমান বিদেশে অর্থ পাচারের এক মামলায় সাত বছরের সাজার রায় মাথায় নিয়ে ১০ বছর ধরে দেশের বাইরে পলাতক জীবনযাপন করছেন। একইভাবে কামাল সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানও পলাতক। রায়ের পর পলাতক এই তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি জারি করেছে আদালত।

১০ বছর আগে সৌদি আরব থেকে এতিমদের জন্য আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) আদালতে দাখিল করেন। এর প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ চার্জ (অভিযোগ) গঠন করে বিচার শুরু করেন। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর এ মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি শেষ হয়। এরপর ১৯ ডিসেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়। গত ২৫ জানুয়ারি উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন সমাপ্ত হলে ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন নির্ধারণ করেন বিচারক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হিন্দু সম্প্রদায় ও দলীয় নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে -ডা. রুহুল হক এমপি

মোস্তাফিজুর রহমান: হিন্দু সম্প্রদায় ও দলীয় নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে। হিন্দু-মুসলিমের সমঅধিকারের প্রয়োজন হয়ে দাড়িয়েছে। সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি সকল হিন্দু সম্প্রদায় ও দলীয় নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আহবান জানান। এছাড়া তিনি আশাশুনির কিছু উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন আশাশুনিতে গ্রামীণ ও মেইন রাস্তাসহ মোট ৫১৫ কি.মি. রাস্তা নির্মাণ, ২৬টি সাইক্লোন সেল্টার, ১৬০টি মন্দিরের অনুদান, শোভনালী ব্রিজসহ আশাশুনির সব কয়টি ব্রিজের কাজ, সাড়ে ৭৭ কোটি টাকা ব্যায়ে আশাশুনি টু ঘোলা রাস্তা নির্মানে বাজেট পাশ, মুক্তিযোদ্ধা, মসজিদ, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন সহ অসংখ্য উন্নয়নের কথা উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন। তিনি আরও বলেন সাতক্ষীরা ৩আসনের উন্নয়নে আগামীতে আমি রুহুল হক আবারও নৌকা প্রতীকের আশাবাদি। রোববার দুপুরে আশাশুনি সদর কালী মন্দির চত্ত্বরে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আয়োজনে প্রতিনিধি সম্মেলন’১৮ তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলি বলেন সাতক্ষীরা ৩আসনের সংসদ সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি প্রফেসার ডা. আ ফ ম রুহুল হক। পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নীলকন্ঠ সোমের সভাপতিত্বে সাংবাদিক অসীম বরুণ চক্রবর্তীর পরিচালনায় এবং সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন স্কন মন্দিরের অধ্যক্ষ পরম পুরুষ কৃষ্ণদাশ ব্রক্ষ্মচারী, আশাশুনি সেবাশ্রমের স্বামীজি সোমানন্দজী মহারাজ, পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্যাঃ সুবোধ চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক রনজিত কুমার বৈদ্য, ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম, দীপংকর সরকার দীপ, প্রভাষক হিরোলাল সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে লাল পেঁয়াজ! গবেষণায় প্রমাণিত

ব্রোকোলি, স্পিনাক, গাজর সহ আরো বেশ কিছু সবজি আছে যেগুলো ক্যান্সার নিরাময় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। এবার এই তালিকায় নতুন আরেকটি সবজি যুক্ত হলো- লাল পেঁয়াজ।

এতে আছে কোয়েরসেটিন, অ্যালিসিন এবং ক্রোমিয়াম নামের উপাদান যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং ওজন কমাতে সহায়ক।

এছাড়া খুব কম গ্লিসেমিক ইনডেক্স (জিআই) সমৃদ্ধ সবজি হওয়ায় শক্তি রিলিজের গতি ধীর করতে এবং রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা জোরদার করতে সহায়ক লাল পেঁয়াজ।

এই পেঁয়াজে আছে এমন সব পুষ্টি উপাদান যা ব্যাকটেরিয়ারোধী, ছত্রাকরোধী এবং সংক্রমণরোধী ভুমিকা পালন করে সার্বিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে।

এসব উপাদানকে কার্যকর করে তুলতে সহায়ক হিসেবে যে বিশাল পরিমাণ ফ্ল্যাভোনয়েড দরকার হয় তাও লাল পেঁয়াজেই সবচেয়ে বেশি থাকে। সাদা বা হলুদ পেঁয়াজের তুলনায়।

লাল পেঁয়াজ আসলে কী?
ফুলদায়ী উদ্ভিদ পরিবার ‘অ্যালিয়াম’ এর সদস্য এই ভেষজ সবজিটি এর সালফার এবং অ্যামাইনো এসিড উপাদানের জন্য পরিচিত। লাল পেঁয়াজ ফ্লেভার ও রঙের দিক থেকে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। এছাড়া এতে আছে এমন উপাদান যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। আর আপনি জেনে বিস্মিত হবেন যে এই পেঁয়াজের ঝাঁঝে আপনার চোখে পানিও আসবে না।

ক্যান্সার কোষ দমন করে
বেশ কয়েকটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, এতে থাকা উচ্চ মাত্রার কোয়েরসেটিন (একটি উদ্ভিদ ভিত্তিক পলিফেনল) মানবদেহকে বাকযন্ত্র এবং অন্ত্রের ক্যান্সার থেকে মুক্ত রাখে। এছাড়া প্রজনন সংক্রান্ত ক্যান্সারও প্রতিরোধ করে লাল পেঁয়াজ।

দেহের প্রাকৃতিক বিষমুক্তকরন প্রক্রিয়া জোরদার করে
এতে থাকা উচ্চ মাত্রারা সালফার উপাদান দেহের বিষমুক্ত থাকার প্রাকৃতিক সক্ষমতা জোরদার করে। রক্তে সিসার মতো ভারি বিষাক্ত পদার্থ জমে গেলে তা পরিষ্কার করা এবং দেহে থেকে বর্জ্য আকারে খাদ্যবিষ বের করে দেওয়ার জন্য সেরা একটি খাদ্য। এছাড়া প্রদাহরোধী প্রক্রিয়াকে আরো শক্তিশালী করে লাল পেঁয়াজ।হরমোন, এনজাইম, নার্ভ এবং লাল রক্তকোষের কর্মতৎপরতায় একটি প্রধান ক্যাটালিস্ট হিসেবে কাজ করে এটি। লাল পেঁয়াজ এসব দৈহিক প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করে। এবং ক্যান্সারজনক কোষের উৎপাদন ও বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। এছাড়া প্রদাহ ও টিস্যুর ক্ষয় রোধ করে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
লাল পেঁয়াজে থাকা উপাদান সমুহ ব্যাকটেরিয়া, ছাত্রাক এবং ভাইরাল সংক্রমণ প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। যার ফলে সার্বিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নয়ন ঘটে। আর সাদা বা হলুদ পেঁয়াজের চেয়ে লাল পেঁয়াজে এসব উপাদানের কার্যকারিতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় উচ্চ মাত্রার ফ্ল্যাভোনয়েডও থাকে বেশি।

রক্তে সুগারের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে
মানদেহে ক্যান্সার হওয়ার পেছনে গ্লুকোজ বিপাকের দুর্বল প্রক্রিয়া সবচেয়ে বড় অবদান রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, লাল পেঁয়াজে আছে নিম্ন গ্লিসেমিক ইনডেক্স (জিআই), ০ থেকে ১০০ এর স্কেলে ১০ মাত্রার জিআই আছে এতে। লাল পেঁয়াজের এই নিম্ন মাত্রার জিআই শক্তি রিলিজের গতি ধীর করতে এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা জোরদার করতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এই নিম্ন মাত্রার জিআই রক্তচাপের ভারসাম্য রক্ষা করা এবং রক্তপ্রবাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেশজুড়ে ৩০ মিনিট ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত

সারাদেশে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত (৩০ মিনিট) ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নিদের্শনা অনুযায়ী এ ৩০ মিনিট ইন্টারনেট সংযোগে ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়।

রোববার সন্ধ্যার দিকে সংযোগ অনুযায়ী ডাউনস্ট্রিম ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ২৫ কেবিপিএস করার জন্য ইন্টারনেট সেবাদাতাদের নির্দেশনা দেয় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।

বিটিআরসি বলছে, চলমান এসএসসি পরীক্ষার সময় সরকারি নির্দেশনা অনুসারে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু সময়ে ইন্টারনেটের গতি ২৫ কেবিপিএস করতে মোবাইল ফোন অপারেটর ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রোববার চিঠি দেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে আজ (রোববার) রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি কমানো হয়।

এছাড়া ১২, ১৩, ১৫ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা, ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা এবং দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত দেশজুড়ে ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ কমিয়ে রাখা হবে।

একইভাবে ১৯, ২০, ২২ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সারাদেশে ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ কমিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পৌর এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ ও পৌরসভার যৌথ উদ্দ্যেগে পৌরএলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় সাতক্ষীরা পৌরসভা ও জেলা পুলিশ আলাদা আলাদাভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদ হোসেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহম্মেদ চিশতি, সাতক্ষীরা সদর ওসি মারুফ আহম্মেদ, প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান, ট্রেড এম্পায়ার এর ডিরেক্টর শামিম হাসনাইন প্রমুখ। এসময় পুলিশ সুপার বলেন, “সাতক্ষীরা জেলা বাংলাদেশের অত্যান্ত সেন্সিটিভ জেলা। এ জেলার মানুষকে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করার সুযোগ দিতে চায়। যাতে করে পৌর এলাকায় অপরাধীরা অপরাধ করে পার পেয়ে যেতে না পারে। তারই ধারাবাহিকতায় টেকনোলজির সহায়তা নিয়ে জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন করা এবং অপরাধি সনাক্ত করার জন্য এই উদ্দ্যেগ গ্রহন করা হয়েছে।”

পৌর মেয়র তাজকিন আহম্মেদ চিশতি বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভায় ২৫০-৩০০ ক্যামেরা বসানো হবে তবে প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা ১২৫টা ক্যামেরা বসাচ্ছি। একজন ব্যাক্তি পৌরসভায় প্রবেশ করলে বাহির হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক মুহুর্ত রেকর্ড করা হবে।”
কাজটি দেওয়া হয়েছে ঢাকা উত্তরার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ট্রেড এম্পায়ারকে। সব ক্যামেরাগুলো নাইট ভিশন হওয়ায় ২৪ ঘন্টা ভিডিও রেকর্ড করা সম্ভব হবে। এই ক্যামেরা গুলোর কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করার জন্য পুলিশ সুপারের দ্বিতীয় তলায় ১৬টা মনিটরসহ শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে ক্যামেরা বৃদ্ধির সাথে সাথে মনিটরের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest