সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

সরকারি চাকরির কোটা ব্যবস্থা তুলে দেয়া উচিত-ড. আকবর আলী খান

অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে এই মুহূর্তে সরকারি চাকরির কোটা ব্যবস্থা তুলে দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান। তিনি বলেছেন, কোটার কারণে দেশের মেধাবীরা আজ বিপন্ন। কোটা বন্ধ হলে অনেক মেধাবী চাকরি পাবে।

শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দ্য প্রেজেন্ট সিভিল সার্ভিস সিস্টেম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই মন্তব্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

ড. আকবর আলী খান বলেন, কোনো দেশেই অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোটা ব্যবস্থা চালু রাখার নিয়ম নেই। বাংলাদেশের বিসিএস ক্যাডার নিয়োগে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে কোটা সিস্টেম। এর কারণে মেধাবীরা চাকরি পাচ্ছে না। কোটাকে অনেকে খারাপ, ভালো নয়, বাদ দেয়া উচিত এরকম বললেও এর বেশি কিছু বলেন না। পাবলিক সার্ভিস কমিশনে ২৫৭টি কোটা রয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশেই এমন উদ্ভট সিস্টেম নেই।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটা সিস্টেম চালু হয়েছিল, কারণ তাদের অবস্থা তখন খারাপ ছিল। কিন্তু এখন মুক্তিযোদ্ধার নামে যে কোটা দেয়া হয় তা নিতান্তই অমূলক।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা আরো বলেন, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) নিয়োগ পদ্ধতিতে অসংগতি রয়েছে। পাবলিক সার্ভিস কমিশন চায় সব পদের জন্য একই পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ হবে। এটি একটি উদ্ভট ধারণা। এর মাধ্যমে সঠিক ক্যাডার পাওয়া যায় না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আওয়ামী লীগে কোন্দল নগর থেকে ইউনিয়নে

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে শাসকদল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নপ্রাপ্তির প্রতিযোগিতার পাশাপাশি আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ঘিরেই এই দ্বন্দ্বের সৃষ্টি। আগামী জাতীয় নির্বাচনে এর সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে তাই উদ্বিগ্ন দলটির অনেক নেতাকর্মী। দ্রুত এই দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসন করতে না পারলে সম্ভাব্য প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করা খুবই কঠিন হবে বলে মনে করছে তারা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

যদিও আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয় পুরোপুরি। তা সত্ত্বেও সাংগঠনিক কোন্দল নিরসন করার উদ্যোগ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। গতকাল শনিবার ঢাকায় ডেকে জয়পুরহাট ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। দুই জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠক দুটি হয়েছে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে। আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া কেন্দ্রীয় নেতাদের সাংগঠনিক সফরেও দলীয় কোন্দলের বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

রাজধানী থেকে শুরু করে সারা দেশে মহানগর, জেলা, উপজেলা, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও কোন্দল রয়েছে আওয়ামী লীগে। এ নিয়ে সংঘর্ষও হচ্ছে কোথাও কোথাও। এ অবস্থায় বিবদমান বিভিন্ন পক্ষের জেলা পর্যায়ের দলীয় নেতা, সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রদের নিয়ে বৈঠক করে কোন্দল মেটাতে চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। দলীয় সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ গতকাল জয়পুরহাট ও নাটোরের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র এবং জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কয়েকজন সদস্য। কোন্দল মেটানোর এমন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট নেতারা।

এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, ‘দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব-কোন্দল থাকলে অবশ্যই নির্বাচনে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে। সামনে যে নির্বাচন আসছে সেটা একটা কঠিন নির্বাচন হবে। তাই আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে আমাদের যে সাংগঠনিক সফর শুরু হচ্ছে, সেখানে সিনিয়র নেতারা মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে জেলার নেতা এবং দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের যে কোল্ড ওয়ার চলছে তা নিরসনের চেষ্টা করবেন।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গতকাল বলেন, ‘আমরা ঢাকায় ডেকে আজ (শনিবার) জয়পুরহাট ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে বসে কথা বলেছি। সামনে সাংগঠনিক ট্যুরে জেলা শহর থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ে যাব। সেখানে কোথাও কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব থাকলে তা নিরসন করা হবে। কারণ সংসদ নির্বাচনের আগে আমরা দলকে পুরোপুরি প্রস্তুত করতে চাই।’

গত ১৬ নভেম্বর রাজধানীতে মহানগর আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ প্রকাশ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। ওই সময় বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনাও হয়। আজিমপুর পার্ল হারবার কমিউনিটি সেন্টারে দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভার আয়োজন করলে আগেই কমিউনিটি সেন্টারের গেটে ময়লা ফেলে রাস্তা বন্ধ করে দেয় প্রতিপক্ষ গ্রুপ। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষ আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে পর্যন্ত যায়। পরে বিবদমান দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করা হয়।

ঢাকার বাইরে এই চিত্র আরো ভয়াবহ। বিভিন্ন স্থানে সংবাদ সম্মেলন পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ও ‘বহিষ্কারের’ ঘটনাও ঘটেছে। এমন এক ঘটনায় উত্তেজনা রয়েছে রাজশাহীর বাগমারায়। সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্য এনামুল হককে জঙ্গিবাদের আশ্রয়দাতা বলে অভিযোগ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টু। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়নের অভিযোগও আনেন তিনি। পরে জেলা আওয়ামী লীগ বৈঠক ডেকে সান্টুকে ‘বহিষ্কার’ করে। অবশ্য সান্টুর দাবি, বহিষ্কার নয়, পদ থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জেলা আওয়ামী লীগ। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের কোনো সদস্যকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার জেলা কমিটির নেই। তারা এ বিষয়ে কেবল সুপারিশ পাঠাতে পারে কেন্দ্রের কাছে।

বাগমারা উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু বলেন, ‘যাঁরা বিগত দিনে জঙ্গি বাংলা ভাইয়ের সঙ্গে ছিলেন, এমপি এনামুল হক তাঁদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরেন। তাঁর কাছে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের কোনো স্থান নেই। মূলত এসব নিয়ে কথা বলতে গিয়েই তাঁর সঙ্গে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এ ছাড়া তিনি সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চান—এটাও দ্বন্দ্বের আরেকটা কারণ।’

এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য এনামুল হক বলেন, ‘জাকিরুল ইসলাম সান্টু ছাড়া আওয়ামী লীগের সবাই আমার সঙ্গে আছেন।’ জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরেজমিনে এসে দেখা উচিত আমার সঙ্গে কারা আছে।’ তিনি জানান, গত ৯ বছরে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় কোনো জঙ্গি একটা পটকাও ফোটাতে পারেনি। আর যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তারা কোনো দিন নৌকার পক্ষে ছিল না। নৌকায় ভোটও দেয়নি।

অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে গত বছরের ১০ নভেম্বর হবিগঞ্জের বাহুবলে হামলার শিকার হন জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। এর প্রতিবাদে এবং হামলাকারীর শাস্তি দাবিতে সেখানে টানা আন্দোলন করে কেয়া চৌধুরীর সমর্থকরা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তবে দলীয়ভাবে বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা এখনো রয়েছে। কেয়া চৌধুরী ও তাঁর সমর্থকরা ওই ঘটনার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু জাহিরকে দায়ী করে আসছে। কেয়া চৌধুরী বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অভিযোগের বিষয়ে অ্যাডভোকেট আবু জাহির বলেন, ‘অভিযোগ করাটা সহজ। কিন্তু এর সত্যতা কতটুকু? এর কোনো সত্যতা নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমার একজন সহকর্মী, আমি কেন তাঁর ওপর হামলা করাব?’ তিনি আরো বলেন, ‘উনি (কেয়া চৌধুরী) যেখানে (বাহুবল) নির্বাচন করতে চান সেখানকার জাতীয় পার্টির এমপির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব রয়েছে।’ বর্তমানে কারাগারে থাকা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিরোধের বিষয়টিও তিনি উল্লেখ করেন। অ্যাডভোকেট আবু জাহির দাবি করেন, বক্তব্য দিতে গিয়ে সংসদ সদস্য কেয়া চৌধুরী উত্তেজিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর ওপর কেউ হামলা চালায়নি।

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলালের সঙ্গে সংরক্ষিত আসনের সদস্য মাহজাবিন খালেদের দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। মাহজাবিন খালেদ আগামী নির্বাচনে জামালপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। ওই আসনের বর্তমান এমপি ফরিদুল হক খান দুলাল। মূলত দ্বন্দ্বটা ওই মনোনয়ন পাওয়ার বিষয় নিয়ে।

সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মাহজাবিন খালেদকে নমিনেশন দেবেন না বলে দিয়েছেন। তার পর থেকেই মাহজাবিন আমাকে ফেল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। কিন্তু চেষ্টা করেও তিনি সফল হবেন না।’

ওই দাবি নাকচ করে মাহজাবিন খালেদ গতকাল বলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধা খালেদ মোশাররফের মেয়ে। আমি নোংরা রাজনীতি করি না। নৌকার পক্ষে একজন কর্মী হিসেবে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। যিনি নৌকা পাবেন তাঁর পক্ষে কাজ করে যাব। আওয়ামী লীগ সভাপতি চাইলে আমাকে মনোনয়ন দেবেন। না চাইলে দেবেন না।’

নাটোরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, স্থানীয় পৌরসভার মেয়র জলি চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার অবস্থান নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের বিপক্ষে। নেতাদের এই দ্বন্দ্বের কারণে জেলা আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত। এ দ্বন্দ্ব উপজেলা পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়েছে। এই দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্যই গতকাল দুই পক্ষকে ঢাকায় ডাকা হয়। ধানমণ্ডিতে সমঝোতা বৈঠকে দুই পক্ষের নেতাদের মিলমিশ করিয়ে দেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একটা দলাদলি ছিল। আজকের মিটিংয়ে একে অপরের হাত ধরিয়ে তা মিলমিশ করা হয়েছে।’ তিনি জানান, এখন থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ কোনো প্রগ্রাম করতে পারবে না। আহাদ আলী সরকারকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চাই—এমন পোস্টার লাগানোর জন্য বৈঠকে তিরস্কার করা হয় বলেও জানান তিনি।

নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার বলেন, ‘নাটোরে এমপি শিমুলের মতো একজন মানুষের সামনে সাহস করে কেউ কথা বলতে পারে না। কিন্তু আমি সে কাজটা করেছি। নৌকা ও শেখ হাসিনার পক্ষে পোস্টার লাগিয়েছি।’ তিনি দাবি করেন, বৈঠকে পোস্টার নিয়ে কথা হয়েছে। তবে তাঁকে তিরস্কার করা হয়নি। এ বৈঠকে ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, বৈঠকে নাটোর জেলার দলীয় নেতাদের ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলতে বলা হয়েছে। একই কথা বলা হয়েছে জয়পুরহাট জেলার নেতাদেরও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশির ভাগ জেলায়ই বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ। গত ১৪ নভেম্বর ফরিদপুরের সালথায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে জিয়াউর রহমান নামে এক কর্মী নিহত হন। গত ৭ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বাখইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান কেরামতউল্লা ও সাবেক চেয়ারম্যান বখতিয়ার রহমানের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের কর্মী বিল্লাল ও এনামুল নিহত হন। ১১ আগস্ট শরীয়তপুরের নড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেন। ১৮ জুলাই কুষ্টিয়ার মিরপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবলীগকর্মী শাহীন নিহত হন। এর আগে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে এমপির সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জের ধরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফারুক সরদার নামে এক নেতা নিহত হন।

সারা দেশে আওয়ামী লীগের এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দল আগামী নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ গতকাল বলেন, ‘অবশ্যই পড়বে। আমরা যদি কোন্দল নিরসন করতে না পারি, তাহলে সংসদ নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’ তবে দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনের চেষ্টা চলছে বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি জানান, বর্তমান এমপিদের সঙ্গে আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদেরই মূলত দ্বন্দ্বটা তীব্র।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রম বন্ধ!

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয় বছরে পা দিতে না দিতেই সরকারি কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো মারাত্মক ঝক্কির মুখে পড়ে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাটদের বিরোধিতার মুখে স্বল্পকালীন বরাদ্দ আটকে যাওয়ায় গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সরকারি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয় প্রশাসন। এতে বেতনবিহীনভাবে ছুটিতে যেতে বাধ্য হচ্ছে এক-চতুর্থাংশ সরকারি কর্মী। যার প্রভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য, রাজস্ব, সামাজিক নিরাপত্তা, আবাসন, শ্রম ও পরিবেশ বিষয়ক দপ্তরগুলোর কাজের গতি মারাত্মক হ্রাস পাবে। দুর্যোগকবলিত মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে।

এসবের জন্য ডেমোক্র্যাটদের দুষেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পরিস্থিতির চাপে তিনি দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণের উৎসব আয়োজনও বাতিল করেছেন।

অর্থসংকটে থাকা মার্কিন প্রশাসন সরকারি কাজকর্ম চালু রাখার জন্য চার সপ্তাহের একটি খণ্ডকালীন বাজেট পাসের তোড়জোড় শুরু করে। হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে তা পাসও হয়ে যায়। তবে গত শুক্রবার সেটা আটকে যায় মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে। ১০০ সদস্যের সিনেটে শুক্রবার মধ্যরাতের ভোটাভুটিতে রিপাবলিকানদের প্রস্তাবটি ৫০-৪৯ ভোটে আটকে যায়। স্বল্পকালীন বাজেটটি পাস করার জন্য রিপাবলিকানদের ৬০টি ভোটের প্রয়োজন ছিল। অভিবাসীবিষয়ক একটি বিশেষ কর্মসূচি নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে বাকি ১০টি ভোট টানতে তারা ব্যর্থ হয়।

শিশুকালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশকারী অভিবাসীদের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে প্রণীত ডেফারড অ্যাকশন অন চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস (ডিএসিএ) শীর্ষক কর্মসূচি নিয়ে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের বিরোধিতার জেরে বাজেটটি আটকে যায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সব সময় ডিএসিএর তীব্র বিরোধী। এ কর্মসূচি বাতিলে তাঁর জোর চেষ্টা সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে আটকে যায়। সেই একই ইস্যু নিয়ে দুই দলের মতৈক্য না হওয়ায় শুক্রবার মধ্যরাতে চার সপ্তাহের স্বল্পকালীন বাজেট পাসও আটকে যায়। সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকানদের নেতা মিচ ম্যাককনেল এখন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারি কাজ চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পাসের চেষ্টায় কাজ চালাচ্ছেন। গতকালই প্রস্তাবটি সিনেটে তোলার কথা।

সিনেটে সংখ্যালঘু ডেমোক্র্যাটদের নেতা চাক শুমার ভোটাভুটি শেষে বলেন, ‘প্রত্যেক আমেরিকান জানে, হোয়াইট হাউস, সিনেট, হাউস (অব রিপ্রেজেনটেটিভ) রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে। সরকারি কাজ চালু রাখা তাদের দায়িত্ব। সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বার্থে আমাদের সঙ্গে কাজ করার দায়িত্বটা তাদের ওপর বর্তায়। প্রতিটি ধাপে তাদেরই নিয়ন্ত্রণ এবং শাসন করার দায়িত্বটা তাদের। অথচ দেখুন, তারা ব্যর্থ হয়েছে।’ শুমার জানান, ডিএসিএ চালু রাখা নিয়ে রিপাবলিকানদের সঙ্গে মতৈক্যে পৌঁছানোর স্বার্থে মেক্সিকো সীমান্তে ট্রাম্পের কথিত দেয়াল নির্মাণ নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাটরা; কিন্তু ডিএসিএ নিয়ে তারা কোনো আপস করতে একেবারেই রাজি নয়।

উল্লেখ্য, ডিএসিএ কর্মসূচি ড্রিমার্সখ্যাত সাত লাখ অবৈধ অভিবাসীকে সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে।

ট্রাম্প অবশ্য স্বল্পকালীন বরাদ্দ পাস আটকে যাওয়ার দায় ডেমোক্র্যাটদের ওপর চাপিয়েছেন। টুইটারে তিনি দাবি করেছেন, ‘কর হ্রাসের বিপুল অর্জনকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য সরকারি কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে চায়’ ডেমোক্র্যাটরা। ক্ষুব্ধ প্রেসিডেন্ট তাঁর আনন্দ উদ্‌যাপনের পরিকল্পনা পর্যন্ত বাতিল করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে অভিষেকের দ্বিতীয় বছরের প্রথম দিন ছিল গতকাল। বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর দেশের প্রেসিডেন্ট পদ অর্জনের এক বছর পূর্তি উদ্‌যাপনের জন্য তিনি ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে তাঁর নিজের রিসোর্ট মার-এ-লাগোয় সময় কাটানোর আয়োজন করেছিলেন। সিনেটে বিপর্যয়ের জেরে তিনি সেসব বাতিল করে রাজধানীতেই থাকছেন।

অন্যান্য রিপাবলিকান নেতাও ডেমোক্র্যাটদের দোষী করছেন। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা, সেনা পরিবার, ঝুঁকিপূর্ণ শিশু, সব আমেরিকানকে সেবা প্রদানে আমাদের দেশের সক্ষমতা—সব কিছুর ওপরে তারা আজ (শুক্রবার) রাতে রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়েছে।’ সেই সঙ্গে তিনি এটাও বলেন, ‘ডেমোক্র্যাটরা তাদের বেপরোয়া দাবি আদায়ে আমাদের বৈধ নাগকিরদের জিম্মি করে রাখলেও অবৈধ নাগরিকদের মর্যাদার ব্যাপারে আমরা সমঝোতায় যাব না।’

কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের উত্থাপিত প্রস্তাবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারি কাজ চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের কথা বলা হয়। সেই সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের কাঙ্ক্ষিত ‘দরিদ্র শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা’ শীর্ষক কর্মসূচিতে আগামী ছয় বছরের জন্য পুনরায় অনুমোদন প্রদানের বিষয়টিও রাখা হয়। কিন্তু ডিএসিএ কর্মসূচিতে বরাদ্দ না থাকায় ডেমোক্র্যাটরা বেঁকে বসেন, যদিও রিপাবলিকানদের দাবি, ওই কর্মসূচি নিয়ে তোড়জোড়ের কিছু নেই। কেননা সেটার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৫ মার্চে।

স্বল্পকালীন বাজেট আটকে যাওয়া নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধীরা পরস্পরকে দুষলেও জনগণ দায় চাপাচ্ছে রিপাবলিকানদের ওপরই। ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসির জরিপে দেখা গেছে, ৪৮ শতাংশ আমেরিকান ট্রাম্প প্রশাসনকে দোষী মনে করে। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটদের ওপর দোষারোপ করছে মাত্র ২৮ শতাংশ।

উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় কাদের বেশি, তা নিয়ে বিতর্ক হলেও বাস্তবতা হলো, গতকাল থেকে বেতনবিহীন সাময়িক ছুটিতে যেতে শুরু করেছেন সরকারি কর্মীরা। সিনেটে ভোটাভুটির পরই এসংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছেন হোয়াইট হাউসের বাজেট পরিচালক মিক মুলভেনে।

অর্থাভাবে সরকারি দপ্তর বন্ধ হওয়ার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে এবারই প্রথম নয়। ১৯৯০ সালে দুইবার এবং সর্বশেষ ২০১৩ সালে এ সংকটের মুখে পড় মার্কিন প্রশাসন। সেবার প্রায় আট লাখ লোককে সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হয়। আমেরিকান ফেডারেশন অব গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িসের হিসাব বলছে, এবার মোট ৩৫ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর মধ্যে প্রায় সাড়ে আট লাখ লোককে সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হবে।

এই বিপুলসংখ্যক লোককে ছুটিতে পাঠানো হলেও চালু থাকছে হোয়াইট হাউস, কংগ্রেস, কেন্দ্রীয় বিচারব্যবস্থা, প্রবীণ সেনাদের হাসপাতাল, সামরিক কার্যক্রম। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক, সীমান্ত, অভিবাসন বিষয়ক বেশ কয়েকটি দপ্তরের কাজ পুরোদমে চালু থাকবে। স্কুল আর গণপরিবহনব্যবস্থাও চালু থাকবে। জাতীয় উদ্যান আর জাদুঘরগুলো খোলা থাকবে বটে, তবে এসব খাতের অনেক কর্মীকে সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হবে। আর এসব কিছুর সঙ্গে চালু থাকবে ট্রাম্পের সহযোগীদের সঙ্গে রুশ কূটনীতিকদের আঁতাতের বিরুদ্ধে বিশেষ প্রসিকিউটর রবার্ট মুয়েলারের তদন্ত কার্যক্রম।

অর্থাভাবে কর্মীদের সাময়িক ছুটিতে পাঠানোর কারণে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা দপ্তরের কাজে স্থবিরতা আসবে। সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগনের প্রায় সাত লাখ ৪০ হাজার বেসামরিক কর্মীর মধ্যে তিন-চতুর্থাংশকে সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হবে। এর ফলে পেন্টাগনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ বেসরকারি নিরাপত্তা খাতসহ অনেক কর্মসূচিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। কন্ট্রাক্টররা নতুন কোনো কাজের অনুমতি আদায় করতে পারবে না এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতেও তাদের বেশ বেগ পেতে হবে। সূত্র : এএফপি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সুলতানপুর ক্লাবে প্রস্তুতি সভা ও ক্রিকেট খেলোয়াড়দের জার্সি বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সুলতানপুর ক্লাবের প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট খেলোয়াড়দের জার্সি বিতরণ ও প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫টায় সুলতানপুর ক্লাব মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ক্লাবের সভাপতি শেখ আশরাফুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শেখ নূরুল হক, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, জেলা শ্রমিকলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু। বক্তব্য রাখেন শেখ নাসিরুল হক, শেখ কামরুল হক চঞ্চল, কাজী বেলাল হোসেন, কাজী কবিরুল হাসান বাদশা, আবুল বাশার পিয়ার, শেখ আব্দুল কাদের, শেখ তৌহিদুজ্জামান চপল, শেখ মারুফ হাসান মিঠু, আব্দুর রহিম বাবু, কাজী আক্তার হোসেন, মীর মোস্তাক আলী, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, শেখ জিয়াউল হক বনি প্রমূখ। প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট খেলায় কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খন্দকার কবির হাসান দিপু, টিম ম্যানেজার থাকবেন কজী সাফিউল আযম, অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন রবিউল ইসলাম শিপলু। এসময় খেলা উপলক্ষে খোলোয়াড়দের মাঝে জার্সি বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জ ভূমি অফিসের বার্ষিক বনভোজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের বার্ষিক বনভোজন, র‌্যাফেল ড্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী আয়োজনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহমেদ মাছুমের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চুর সঞ্চালনায় র‌্যাফেল ড্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি নিয়াজ কওছার তুহিন, কালিগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সহ-সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান শিমুল, এড. জাফরুল্যাহ ইব্রাহিম, এড. রফিকুল এলাহী বিশ^াস, এড. আব্দুল গফফার, জাতীয় শ্রমিক লীগ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গৌতম লস্কার প্রমুখ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষিকা কনিকা সরকার, ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা সরকার, উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার হাওলাদার শফিকুল ইসলাম, অফিস সহকারী গোবিন্দ ঘোষ, আলাউদ্দীন আল মারুফ, প্রশান্ত সরকার, শফিকুল ইসলাম পুটে, ফারুক হোসেন, শিল্পী হামিদুল ইসলাম, অমিত, সুতপা প্রমুখ সঙ্গীত, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, অভিনয়ে অংশগ্রহণ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাঁশদহা তাঁতীলীগের সভাপতি জুলফিকার, সম্পাদক কবিরুল

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১নং বাঁশদহা ইউনিয়ন তাঁতীলীগের কমিটি আংশিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে সদর উপজেলা তাঁতালীগের সভাপতি শেখ এনামুজ্জামান নিপ্পন ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জল কুমার সানা স্বাক্ষরিত একপত্রে মোঃ জুলফিকার আলীকে সভাপতি ও কবিরুল ইসলাম কে সাধারণ সম্পাদক করে ১নং বাঁশদহা ইউনিয়ন তাঁতীলীগের আংশিক কমিটি ৩ মাসের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। আগামী ৩ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার নির্দেশনা প্রদান করেন সদর উপজেলার কমিটির নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, গ্রেফতার ১

নলতা প্রতিনিধি : দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ঘুষুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এক শ্রমিক নেতাকে গ্রেফতার করেছে। কালিগঞ্জ উপজেলার ঘুষুড়ি গ্রামের এক ভাটা শ্রমিক জানান, স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর মেয়েকে নিয়ে সরকারি খাস জায়গায় বসবাস করেন তিনি। সংসার চালানোর জন্য তিনি বাবার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী একটি ইটভাটায় কাজ করে থাকেন। তার বাড়ির পাশেই রয়েছে ঘুষুড়ি ইঞ্জিনভ্যান শ্রমিক অফিস। ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন একই গ্রামের মাজেদ গাজী ওরফে ধোনা গাজীর ছেলে তোরাব আলী গাজী।
তিনি আরো জানান, ভাটায় থাকার কারণে বাড়িতে একা থাকা তার ২য় শ্রেনির পড়–য়া মেয়েকে শ্রমিক অফিসে টেলিভিশন দেখানোর নাম করে ডেকে নিয়ে যায় তোরাব আলী। টিভি ছেড়ে দেওয়ার পর দরজা লাগিয়ে দিয়ে মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করলে ন্থানীয় লোকজন তোরাব আলীকে ধরে ফেলে। খবর পেয়ে তিনি রক্তাক্ত মেয়েকে নিয়ে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক ইস্রাফিল হোসেন রাতেই তোরাব আলীকে আটক করেন। কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবীর দত্ত জানান, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে স্কুল ছাত্রীর নানা বাদি হয়ে তোরাব আলীর নাম উলে¬খ করে শুক্রবার রাতেই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৯(৪) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তোরাব আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ও আদালতে পাঠানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় রায়হান স্মৃতি ক্রিকেট লীগে তিবরপাড়া একাদশ জয়ী

দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটার পারুলিয়ায় শহীদ আবু রায়হান স্মৃতি ক্রিকেটলীগের ফাইনাল খেলায় তিবরপাড়া একাদশ জয়লাভ করেছে। পারুলিয়া যুবসমাজের আয়োজনে দক্ষিণ পারুলিয়া স্পোটিং ক্লাবের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং জেলা কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সহযোগিতায় ৩য় বার্ষিক ক্রিকেট লীগ অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় তিবরপাড়া ক্রিকেট একাদশ ৮উইকেটে ১৪৪রান করে অপরদিকে মোল্যাপাড়া একাদশ ১৫ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৭৬ রান পরাজিত হয়। খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পারুলিয়া স্পোটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য আল-ফেরদাউস আলফা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন হিরা, দক্ষিণ পারুলিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের সহ-সভাপতি যুবলীগ নেতা শেখ তাজুল ইসলাম, ক্লাবের ক্রিড়া সম্পাদক অসীম ঘোষ, বিশিষ্ট সমাজসেবক আবু হাসান। খেলায় ধারা ভাষ্য প্রদান করেন সিরাজুল ইসলাম ও পরিচালনা করেন পারুলিয়া যুব সমাজের আহবায়ক আফসার হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest