সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ভূমিহীন সমিতির কঠোর হুশিয়ারীসাতক্ষীরায় শিশু-যুব ও স্টেকহোল্ডারদের কর্মশালাশ্যামনগরে অস্ত্র-গুলিসহ আটক সুন্দরবনের ত্রাস সাইফুলসাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবি

মনোনয়ন টেনশনে শত এমপি

অনলাইন ডেস্ক: ‘এমপিদের যেসব উন্নয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, আর কী উন্নয়ন হয়েছে, তার হিসাব নেওয়া হবে। সবার আমলনামা আমার হাতে। বর্তমান এমপিরাই আবার মনোনয়ন পাচ্ছেন— এটা ভেবে ঘরে বসে থাকলে ভুল হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতেই মিলবে দলীয় মনোনয়ন।’ দলীয় এমপিদের প্রতি এই হুঁশিয়ারি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

আর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বার্তা এমপিদের প্রতি, ‘যারা পিয়ন, কনস্টেবল নিয়োগ ও মানুষের কাজ করে দেওয়ার নামে ঘুষ খান আর চাঁদাবাজদের প্রশ্রয় দেন— তাদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে না।’ শীর্ষ দুই নেতার বক্তব্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে টেনশনে রয়েছেন আওয়ামী লীগের শতাধিক এমপি।

সূত্রমতে, আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে কঠোর অবস্থানে থাকবে আওয়ামী লীগ। প্রার্থীর জনপ্রিয়তা, এলাকায় অবস্থান, স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কসহ দল নির্ধারিত আরও বেশ কিছু মানদণ্ড অনুসরণ করেই দেওয়া হবে মনোনয়ন। দলের নেতারা জানান, আগামী সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। তাই প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে জনবিচ্ছিন্ন, বিশেষ করে নিজ এলাকায় দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করা এমপিদের এবার কোনোমতেই ছাড় দেবেন না প্রধানমন্ত্রী। বাদের তালিকায় থাকবেন তারা।

সম্প্রতি গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের এমপিদের হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘এমপিদের মধ্যে কারা কী কাজ করছেন, তার সব প্রতিবেদন আমার কাছে রয়েছে। সবাইকে যোগ্যতার ভিত্তিতেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।’ আর কয়েক দিন আগে ঠাকুরগাঁওয়ে দলের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং কর্মিসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা চাঁদাবাজদের প্রশ্রয় দেন, যাদের ভাই-ভাতিজা চাঁদাবাজি করে তারা মনোনয়ন পাবেন না। প্রধানমন্ত্রীর হাতে তাদের আমলনামা জমা হচ্ছে।’

জানা যায়, দলীয় বিভিন্ন মাধ্যমে এলাকায় এমপিদের অবস্থান ও গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে দলের শীর্ষ পর্যায়। এসব প্রতিবেদনে বেশ কিছু এমপির দুর্নীতি, তাদের পরিবারের সদস্যদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড, তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব, বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া ও দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে নানা তথ্য উঠে এসেছে। টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সুবাধে এবং কোনো শক্তিশালী বিরোধী দল মাঠে না থাকায় বর্তমানে অনেকটাই বেপরোয়া আওয়ামী লীগের এমপিরা।

নির্বাচনী এলাকাগুলোতে নিজেদের একটি বলয় গড়ে তুলেছেন- এমন অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাদের। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি জেলা-উপজেলায় চলছে ‘এমপি লীগ বনাম আওয়ামী লীগের’ বিরোধ। দলীয় পুরনো ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে বিভিন্ন দল থেকে আসা নবাগতদের নিয়ে গ্রুপ গঠন করেছেন এমপিরা। অনেক এমপি কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ত্যাগী নেতাদের পরিবর্তে বিএনপির কর্মীদের পদ দিয়েছেন। রাতারাতি পদ পাওয়া এসব সুযোগসন্ধানী এলাকায় চাঁদাবাজি-মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে দলের বদনাম করছেন।

একইভাবে ধীরে ধীরে সংগঠন আওয়ামী লীগ বিরোধীদের হাতে চলে যাচ্ছে। বেশিরভাগ এলাকায় দলের পুরনো নেতাদের দল থেকে ছিটকে পড়তে হয়েছে। অনেক এমপির বিরুদ্ধে পুলিশের কনস্টেবল থেকে শুরু করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি নিয়োগে পর্যন্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আছে। নির্বাচনী এলাকার পুলিশ-প্রশাসন চলে এমপিদের নির্দেশে। এমপিদের সঙ্গে বিরোধ থাকলে ওই এলাকায় অন্য কারও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা কঠিন। মামলা দিয়ে হামলা করে কোণঠাসা করা হয়েছে এমপিবিরোধীদের।

কোনো কোনো এমপির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে খোঁজখবর নিয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছেন দলের শতাধিক এমপি। বেশ কিছু জেলার দলীয় এমপিদের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদের অনেকের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা জানান, নির্বাচনী ফসল ঘরে তুলতে যা যা করণীয় তা-ই করা হবে। আগামী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাইকেই গুরুত্ব দেবে আওয়ামী লীগ। এ কারণে আসনভিত্তিক শক্তিশালী প্রার্থী আগেভাগেই ঠিক করতে চায় দলটি। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে আরও পরে। এখন প্রতিটি আসনেই একাধিক বিকল্প প্রার্থী ভেবে রেখেছে দল।

আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় বর্তমান এমপিদের ভালো কাজ আর মন্দ কাজের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকায় দলীয় অবস্থান, মনোনয়ন লাভে ইচ্ছুকদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, এলাকায় তাদের ভাবমূর্তিসহ তাদের ইতি এবং নেতিবাচক দিকগুলো থাকবে।

বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের এমপি রয়েছেন ২৩৪ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২১৬ এবং নারী ১৮ জন। শতাধিক এমপির অবস্থা ভালো থাকলেও অন্যদের কেউ জনবিচ্ছিন্ন, কেউ আত্মীয়করণে জড়িত, কেউ দুর্নীতিবাজ, কেউ টিআর-কাবিখার অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। আবার কেউ চাকরি দেওয়ার নাম করে গরিব চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ লুটে নিয়েছেন। অনেকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা এবং দখল বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। দলের মনোনয়ন নিয়ে এসব এমপি টেনশনে রয়েছেন।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুম্বাইয়ে ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজ

শুধু সাকিব আল হাসান নয়, আইপিএলে এবার নতুন দল পেয়েছেন বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমানও। ২ কোটি ২০ লাখ রুপিতে বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসারকে দলে নিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

শনিবার আইপিএলের নিলামে মুস্তাফিজকে পাওয়ার লড়াইয়ে নামে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ডাক শুরু করেছিল দিল্লি। শেষ পর্যন্ত মুস্তাফিজকে ২ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কিনে নেয় মুম্বাই। তার ভিত্তিমূল্য ছিল ১ কোটি রুপি।

২০১৬ আইপিএলে মুস্তাফিজকে ১ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে নিয়েছিল সানরাইজার্স। ইন্ডিয়ান্সে এর আগে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছিল বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুলের। মুম্বাইয়ে মুস্তাফিজ সতীর্থ হিসেবে পাবেন রোহিত শর্মা, কাইরন পোলার্ড, হার্দিক পান্ডিয়া, জাসপ্রিত বুমরাহ, প্যাট কামিন্সদের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে লজ্জা বাঁচাল ভারত

কেপ টাউন এবং সেঞ্চুরিয়নে হেরে আগেই সিরিজ খুইয়ে বসেছিল ভারত। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সে এসেছিল তারা হোয়াইটওয়াশের লজ্জা বাঁচানোর জন্য। এই মাঠটি ভারতীয়দের জন্য বেশ পয়া ভেন্যু। আগে খেলা চারটি টেস্টের মধ্যে একটি জিতেছে, বাকি তিনটি ড্র করেছে। অথ্যাৎ একটিতেও হারেনি ভারত; বরং তারা এই মাঠে স্বাগতিকদের চেয়ে এগিয়েই ছিল।

সেই রেকর্ড এবারও ধরে রাখলো বিরাট কোহলির দল। দক্ষিণ আফ্রিকাকে তো জিততেই দিল না। উল্টো, স্বাগতিকদের ৬৩ রানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ থেকে রক্ষা পেলো ভারতীয়রা।

ভারতীয় পেসের সামনেই উড় গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ। জয়ের জন্য চতুর্থ ইনিংসে মাত্র ২৪১ রান প্রয়োজন ছিল প্রোটিয়াদের। তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে এইডেন মারক্রামের উইকেট পড়লেও চতুর্থদিন সকাল থেকে হাশিম আমলা আর ডিন এলগারের ব্যাটে দুর্দান্ত গতিতে জয়ের দিকেই এগিয়ে চলছিল স্বাগতিকরা।

আমলা আর এলগারের জুটিতে উঠলো ১১৯ রান। ১২৪ রানে গিয়ে দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পরই যেন বালির বাধের মত ভেঙে পড়লো প্রোটিয়াদের সব প্রতিরোধ। ৫২ রান করে আউট হন আমলা। এরপর একপাশে এলগার দাঁড়িয়ে থাকলেও বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। ডি ভিলিয়ার্স ৬, ডু প্লেসি ২, কুইন্টন ডি কক শূন্য, ভারনন ফিল্যান্ডার ১০, আন্দিল পেহলুকাইয়ো শূন্য, কাগিসো রাবাদা শূন্য এবং মরনে মর্কেল আউট হন শূন্য রানে। শেষ উইকেট হিসেবে আউট হন লুঙ্গি এনগিদি। তিনি করেন ৪ রান। অন্য প্রান্তে ডিন এলগার ৮৬ রানে অপরাজিতই থেকে যান। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তিনি শুধু পরাজয়টাই লক্ষ্য করলেন। সঙ্গীর অভাবে দলকে জয় এনে দিতে পারলেন না। দল অলআউট হয়ে গেলো ১৭৭ রানে।

ভারতীয় বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ সামি একাই নেন ২৮ রানে ৫ উইকেট। জসপ্রিত বুমরাহ এবং ইশান্ত শর্মা নেন ২টি করে উইকেট। ভুবনেশ্বর কুমার নেন ১ উইকেট। পুরো ম্যাচে দারুণ অলরাউন্ড নৈপুন্য প্রদর্শন করে জিতে নিলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

প্রথম ইনিংসে ভারত করেছিল ১৮৭ রান। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ৭ রানের লিড দেয় ভারতকে। অলআউট হয় ১৯৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভুবনেশ্বরের ব্যাটে চড়ে ২৪৭ রান পর্যন্ত যায় ভারতের ইনিংস। জয়ের জন্য ২৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৭৭ রানে অলআউট হলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বের দীর্ঘতম পুরুষ ও ক্ষুদ্রতম নারীর সাক্ষাৎ

দু’জনেই একই বছরে রেকর্ড গড়েছেন, দু’জনের পরিচয়ের শেষেই ‘তম’। তবু ফারাক শুধু উচ্চতায়। এবার তাদেরই দেখা হল পিরামিডের দেশ মিশরে।

তুরস্কের সুলতান কোসেন, বয়স- ৩৫ বছর, উচ্চতা- ৮ ফুট ৩ ইঞ্চি (২৫১ সেন্টিমিটার)। তিনিই এই মুহূর্তে দুনিয়ার দীর্ঘতম পুরুষ। ২০১১ সালে চীনের শি সানকে (৭ফুট ৯ইঞ্চি) সরিয়ে গিনিস বুকে দীর্ঘতম পুরেষের স্বীকৃতি লাভ করেন কোসেন। অন্যদিকে, ভারতের নাগপুরের জ্যোতি আমগের বয়স-২৫, উচ্চতা- ২ ফুট ৬ ইঞ্চি (৬২.৮ সেন্টিমিটার)। দুনিয়ার ক্ষুদ্রতম নারী। আমেরিকার ব্রিজিট জর্ডনকে স্থানচ্যূত করে ২০১১ সালেই গিনিজ বুকের পাতায় দুনিয়ার ক্ষুদ্রতম নারীর পরিচয় পেয়েছেন জ্যোতি।

দেশের পর্যটন ক্ষেত্রকে আরও চাঙ্গা করতে এবার এই দু’জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিশর সরকার। দেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক পিরামিড ও সৌধ এলাকায় এদের ফটোশুট করে পর্যটন মানচিত্রে দেশকে আরও তুলে ধরাই সে দেশের সরকারের উদ্দেশ্য। সরকারি আমন্ত্রণে মিশরে পৌঁছে ২৬ জানুয়ারি কায়রোর ঐতিহাসিক গিজা পিরামিডের সামনে পোজ দিয়েছেন দীর্ঘতম পুরুষ ও ক্ষুদ্রতম নারী।

জানা যাচ্ছে, উচ্চতার ফারাককে গুরুত্ব না দিয়ে তারা বেশ সহজেই লেন্সের সামনে দাঁড়িয়েছেন। এরপর মিশরের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রেও ছবি তোলা হবে তাদের।

তবে এই জুড়ির ছবি তুলে ক্যামেরার লেন্স ও প্রযুক্তিকে বেজায় সমালোচনা সহ্য করতে হচ্ছে। কারণ, সুলতান ও জ্যোতির ছবি দেখে অনেকেরই মনে হচ্ছে এটা ‘মিনিয়েচার ছবি’। কিন্তু মিশর সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রকাশিত ছবিতে কোনও কারসাজি নেই। আর এখানেই বোধ হয় এই নারী-পুরুষের আসল স্বীকৃতি। নিজেদের স্বাভাবিক বৈশিষ্টের দ্বারা তারা প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষমতা নিয়ে। যে সময়ে আক্ষরিক অর্থে দিনকে রাত করার ক্ষমতা রাখে প্রযুক্তি, সে সময় প্রযুক্তি ছাড়াই এরা ‘অবিশ্বাস্য’ রকমের স্বাভাবিক। তফাত নয়, ওদের আসল মিল এখানেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ; শীর্ষ রিপাবলিকান কর্মকর্তার পদত্যাগ

যৌন হয়রানির অভিযোগের মুখে মার্কিন ক্যাসিনো মুঘল ও রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির (আরএনসি) অর্থনৈতিক বিষয়ক চেয়ারম্যান স্টিভ উইন পদত্যাগ করেছেন।

মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াল স্ট্রিটের এক প্রতিবেদনে শুক্রবার জানানো হয়, ৭৬ বছর বয়সী দেশটির এই বিলিওনিয়ার ম্যাসাজ থেরাপিস্টদের হয়রানি এবং তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রাখার জন্য এক কর্মীকে বাধ্য করেছিলেন।

তবে উইন এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কথা অস্বীকার করে; অভিযোগকে ‘অবাস্তব’ বলে মন্তব্য করেছেন। আরএনসি’র চেয়ারম্যান ম্যাক ড্যানিয়েল মার্কিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, তিনি স্টিভ উইনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

তবে এ ঘটনার জন্য তার স্ত্রীকে দোষারোপ করেছেন উইন। এছাড়া বর্তমানে মানহানির ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় আদালতে লড়ছেন তিনি।

মার্কিন এই বিলিওনিয়ার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এ ধরনের অভিযোগের উসকানি আমার সাবেক স্ত্রী এলাইন উইনের ধারবাহিক কাজ। যার সঙ্গে আমি ভয়াবহ ও ন্যাক্কারজনক একটি আইনি লড়াই করছি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মোস্তাফিজের পেছনে রবার্টস-গার্নার-কাদির-ম্যাকগ্রারা

ভয়ংকর কাটারগুলো এতটাই বাঁক নিচ্ছে, শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানরা কখনো কখনো কোনো কূল-কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না! থিসারা পেরেরাকে করা একটা বল তো লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরে পিচ করে বেরিয়ে গেল অফ স্টাম্পে বাতাস লাগিয়ে! মোস্তাফিজুর রহমানের কী আফসোস!

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত ম্যাচটা একটু ‘আফসোস’ নিয়ে শেষ করেছিলেন মোস্তাফিজ। মাশরাফি বিন মুর্তজা তাঁকে আনতে চাননি বোলিংয়ে। তবুও নিজ আগ্রহে এসেছিলেন, যদি ওয়ানডেতে উইকেটের ফিফটি হয়ে যায়। সেটি হয়ে গেল একটু নাটকের জন্ম দিয়েই।

আগের বলটায় ছিল এলবিডব্লুর জোরালো আবেদন। আউটও দিয়ে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেন উপুল থারাঙ্গা। পরের বলে আর বাঁচতে পারেননি শ্রীলঙ্কান ওপেনার। থারাঙ্গাকে পরিষ্কার বোল্ড করেই ওয়ানডেতে উইকেটের ‘ফিফটি’ পূর্ণ করলেন মোস্তাফিজ।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম ৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটি এখন মোস্তাফিজেরই। বাঁহাতি পেসারের লেগেছে ২৭ ম্যাচ (২৬ ইনিংস)। আগের রেকর্ডটি ছিল আবদুর রাজ্জাকের। বাঁহাতি স্পিনারের লেগেছিল ৩২ ওয়ানডে।

বাংলাদেশের রেকর্ড হলেও বিশ্ব রেকর্ড থেকে মোস্তাফিজ বেশ পিছিয়ে। ১৯ ওয়ানডেতে উইকেটের ফিফটি করে এই তালিকায় সবার ওপরে অজন্তা মেন্ডিস। ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ওয়ানডেতে ১১ উইকেট নেওয়া মোস্তাফিজ বাংলাদেশের রেকর্ডটা নিজের তো করবেনই, আশা জাগিয়েছিলেন বিশ্ব রেকর্ডটাই নিজের করে নেওয়ার। কিন্তু শুরু যতটা দুর্দান্ত ছিল, মাঝে নানা চোটাঘাতে ব্যাহত হয়েছে বাঁহাতি পেসারের অগ্রযাত্রা।  ফাইনালের আগের ৮ ওয়ানডেতে তাঁর উইকেটসংখ্যা মাত্র ৬টি।

শুধু বাংলাদেশের রেকর্ড হলেও বিশ্বের এই তালিকায় অনেক রথী-মহারথীকে পেছনে ফেলেছেন মোস্তাফিজ। ৫০ উইকেট পেতে স্যার অ্যান্ডি রবার্টস, জোয়ের গার্নার, ম্যালকম মার্শাল, ইয়ান বিশপ, আবদুল কাদির, সাকলায়েন মুশতাক, গ্লেন ম্যাকগ্রা, শোয়েব আখতারকে মোস্তাফিজের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলতে হয়েছে।

চার ক্যারিবীয় কিংবদন্তির কথা ধরুন। রবার্টসের লেগেছিল ২৯ ম্যাচ, বিশপের ২৮, গার্নারের ৩৪ আর মার্শালের ৪০ ম্যাচ। পাকিস্তানি গ্রেটদের মধ্যে কাদিরের লেগেছিল ৩৩, সাকলায়েনের ২৮, শোয়েবের ২৯ ম্যাচ। অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি ম্যাকগ্রার লেগেছিল ৩৭ ম্যাচ।

মোস্তাফিজের বিষাক্ত কাটার, বিভ্রান্তিকর স্লোয়ার এখন ব্যাটসম্যানরা অনেক সতর্কভাবে খেলেন। রান নেব না, তবুও উইকেট দেব না—এই ভাবনায় ব্যাটসম্যানরা ‘দ্য ফিজে’র বিপক্ষে প্রচুর ডট খেলেন। এবার ত্রিদেশীয় সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করলেও উইকেট প্রাপ্তিতে বেশ পিছিয়ে মোস্তাফিজ। অবশ্য তাতে লাভ হচ্ছে বাংলাদেশেরই!

মোস্তাফিজকে বেশি সতর্ক হয়ে খেলতে গিয়ে শ্লথ হয়ে পড়ার রানের চাকা সচল করতে গিয়ে অন্য বোলারদের উইকেট দিচ্ছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা। যেমন সেটি দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

নতুন করে ফিরে আসা মোস্তাফিজের সামনে দীর্ঘ পথ। দ্রুততম ৫০ না হোক, দ্রুততম ১০০ উইকেটের রেকর্ডে নিজের নাম লেখানোর ভালো সুযোগ আছে তাঁর। রেকর্ড এখন মিচেল স্টার্কের, ৫২ ম্যাচে। এই রেকর্ড ছুঁতে হলে পরের ২৫ ম্যাচে ৫০ উইকেট পেতে হবে ফিজকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পারুলিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার পারুলিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে নবীনদের বরণ, কৃতি ও বিদায়ীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টায় বিদ্যালয়ের মাঠে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীদের বরণ, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় এবং পিএসসি, জেএসসি ও বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় জয়ী কৃতি ছাত্রীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক একেএম মোর্শেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মুনসুর আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মোস্তাক আলী, কারী মাওলানা কামরুজ্জামান, মহিউদ্দীন সিদ্দিকী। বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক শাহাবুদ্দিন হোসেন ও সহকারী শিক্ষক মাসুদ রানার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষক অশোক কুমার চক্রবর্তী, বিদায়ী ছাত্রী আফসানা খানম মিলি, সানিমুন মারিয়া, সিলভি জামান, ১০ শ্রেণির ছাত্রী আফিফা নাজনিন প্রমূখ। অনুষ্ঠানে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া পিএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জনকারী ৯জনকে, জেএসসিতে ১০জন জিপিএ-৫ অর্জনকারীকে এবং উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে বিজয়ীসহ বিভিন্ন পর্যয়ের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এবছর উক্ত বিদ্যালয় থেকে ১০৮জন ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। অনুষ্ঠান শেষে পরীক্ষার্থীদের জন্য দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন ধর্মীয় শিক্ষক বাকি বিল্লাহ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বড়দলে আটদলীয় ক্রীকেটের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

বি এম আলাউদ্দীন: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের আফতাবউদ্দিন কলেজিয়েট স্কুল মাঠে আটদলীয় ক্রীকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০ টায় এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বড়দল ব্যবসায়িক সমিতির আয়োজনে বাহাদুরপুর এবং পাইতুলির মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্টিত হয়। বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম মোল্যার সভাপত্বিতে বড়দল ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সুরঞ্জন ঢালীর উদ্ভোধকে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য দেলোয়ার হোসেনের প্রতিনিধি শুভ। এসময় বড়দল ইউপির সকল সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা গণ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত ফাইনাল খেলায় বাহদুরপুর ক্রীকেট একাদশ ১৭.৫ ওভারে ১০ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৮ রান করে। জবাবে পাইতুলি ক্রীকেট একাদশ ১০ উইকেটের বিনিময়ে ৫৪ রান করে ৯৪ রানে পরাজিত হয়।
উক্ত খেলায় ম্যান অব দ্যা সিরিজের পুরষ্কার লাভ করেন শামীম। ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরষ্কার লাভ করেন রাসেল।
খেলা শেষে বিজয়ী দলকে একটি ফ্রিজ এবং পরাজিত দলকে একটি ২১” কালার টিভি পুরষ্কার দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest