সর্বশেষ সংবাদ-
ভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদের

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনে অবাধে চলছে কাঁকড়া আহরণ

শ্যামনগর প্রতিনিধি : প্রজনন মৌসুমকে ঘিরে সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন বিভাগ। ১ জানুয়ারি থেকে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। সুন্দর বনাঞ্চলের নদী ও খালে রফতানিযোগ্য কাঁকড়ার উৎপাদন বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কেউ কাঁকড়া আহরণ ও মজুত কিংবা সংরক্ষণ করলে তার বিরুদ্ধে বন আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে বন বিভাগ। এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরা চলছে আবাদে। সুন্দরবন উপকূলীয় কয়রা, গাবুরা, বুড়িগলিনি, মুন্সিগঞ্জ, ভেটখালি বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় কাঁকড়া সমিতির মাধ্যমে কাঁকড়া আহারণ চালু রেখেছে বলে জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার কাঁকড়ার বেশ চাহিদা রয়েছে। আর রফতানিযোগ্য কাঁকড়ার সিংহভাগের জোগান হয়ে থাকে সুন্দরবনের অভ্যন্তরীণ নদী-খাল থেকে। বন বিভাগ সূত্র জানায়, কাঁকড়া নদী বা খালে বেড়ে উঠলেও এর প্রজনন হয় সাগরের মুখে বা গভীর সাগরে। তাই এ সময় কাঁকড়া গভীর সাগরের দিকে ছোটে। তাছাড়া এ সময় নদীর পানির চেয়ে সাগরের পানি গরম এবং নদীর পানির চেয়ে সাগরের পানির লবণাক্ততা বেশি থাকে। এসব কারণেও নদী-খাল থেকে কাঁকড়া সাগরে ছুটে যায়। কাঁকড়া সাগরে ছুটে যাওয়ার মুহূর্তে যাতে তাদের কেউ ধরতে না পারে, সেজন্য সরকার এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। পশ্চিম সুন্দরবনের সহকারি বন কর্মকর্তা (এসিএফ) নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এ দুই মাস কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম। এ সময়ের মধ্যে মা কাঁকড়া প্রচুর ডিম দেয়। সে ডিম থেকে কাঁকড়ার বাচ্চা ফুটে বের হয়। তাই প্রতিবছর এ সময়ে সুন্দরবন থেকে কাঁকড়া আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। নিয়মিত টহল জোরদার আছে অবৈধ কাঁকড়া আহরণ কারি পেলে তার বিরুদ্ধে বন আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক হোসেন সাগর বলেন, ‘কাঁকড়া সবসময় ডিম পাড়ে। তবে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এ দুই মাস কাঁকড়ার প্রজননের পিক আওয়ার। সরকার সঠিক পথেই হাঁটছে। তিনি আরও বলেন, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এ দুই মাস কাঁকড়ার প্রজননের মৌসুম হওয়ায় এ সময় কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। আর এ নিষেধাজ্ঞা শুধু সুন্দরবন এলাকায়। তবে এ আইন মানা হচ্ছে না। বহাল তবিয়্যাতে জেলেরা সুন্দরবনের সকল খাল নদী নালা বিশেষ করে সুন্দরবনের অভয়ারন্য পুষ্পকাটী ও নটাবেকী এলাকায় অবাধে এ কাকড়া শিকার করা হচ্ছে। আর কাকড়া আহরনের সাথে সরাসরি বন কর্মচারীরা জড়িত বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এমনিতে অভয়ারন্য এলাকা প্রবেশ নিষিদ্ধ পল্লী। অথচ বন বিভাগের সহযোগিতায় জেলেরা প্রবেশ করে মাছ,কাকড়া আহরন অব্যহত রেখেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নব-দিগন্ত সংস্থার শীতবস্ত্র বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় নব-দিগন্ত সংস্থার দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার সকালে শহরের তুফান কনভেনশন সেন্টার এন্ড রিসোর্টে মুকুন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ প্রধান শিক্ষক মো. আজহারুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ জেলাতে চলছে শৈত্য প্রবাহ। যেকে বসেছে শীত। প্রচন্ড শীতে ছির্নœমূল মানুষেরা অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছে। সমাজের ছির্নœমুল অসহায় মানুষদের পাশে দাড়াতে হবে। এ জন্য  সমাজের বিত্তবান ও দানশীলদের ত্রগিয়ে আসতে হবে।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. আবুল কালাম বাবলা, নব-দিগন্ত সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. বজলুর রহমান ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ডা. মিজানুর রহমান প্রমুখ। এসময় ২শ’ ৫০টি শীতার্থ পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মালয়েশিয়ায় আবার মাহাথির

নাটকীয় মোড় নেওয়া মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে নতুন করে মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন দেশটির কিংবদন্তি নেতা মাহাথির মোহাম্মদ। আগস্টে অনুষ্ঠেয় প্রধানমন্ত্রী পদে তার প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়েছে বিরোধী দলগুলোর জোট। আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার ৯২ বছর বয়সী মাহাথির শুধু নির্বাচনেই আসছেন না, তিনি জোট বেঁধেছেন তার শত্রু হিসেবে পরিচিত আনোয়ার ইবরাহিমের সঙ্গে। ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা মাহাথির এবারও নির্বাচিত হলে তিনি হবেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ প্রধানমন্ত্রী। মাহাথির মোহাম্মদ ও আনোয়ার ইবরাহিম একসময় পরস্পরের ঘোর বিরোধী ছিলেন। শত্রুও বলা যেতে পারে। একজন আরেকজনের নাম শুনতে পারতেন না। মাহাথিরের ঘোর বিরোধী ছিলেন আনোয়ার ইবরাহিম। তাকে দেখা হতো মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে এক উদীয়মান তারকা হিসেবে। কিন্তু তাদের মধ্যকার এই বিরোধে গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে আনোয়ার ইবরাহিমকে উপপ্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর বলাৎকার ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। তাকে জেলে পাঠানো হয়। তারপর বিরোধী রাজনৈতিক একটি জোটের নেতৃত্ব দেন ইবরাহিম। ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিস্ময়কর বিজয় পান। ওই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হন নাজিব রাজাক। পরে ২০১৪ সালে বলাৎকারের অভিযোগে অভিযুক্ত করে জেলে পাঠানো হয় আনোয়ার ইবরাহিমকে। তার বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজনৈতিক পদ ব্যবহারের অযোগ্য ঘোষণা করা হয় তাকে। অযোগ্য ঘোষণা করা হয় পরবর্তী নির্বাচনে। এ নির্বাচন এ বছরই হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু পরের বছরই ২০১৫ সালের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ তহবিল ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদের (ওয়ানএমডিবি) অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এর জেরে নাজিবের পদত্যাগের দাবিতে বিরোধীদের আন্দোলনে শরিক হন মাহাথির মোহাম্মদ। গঠন করেন পারতি প্রিবুমি বারসাতু মালয়েশিয়া (পিপিবিএম)। ক্ষমতাসীন বারিসান ন্যাশনাল পার্টিকে পরাজিত করতে পরে গত বছর বিরোধীদের সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক জোটে যোগ দেন। এখন সেই জোটের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে মাহাথির মোহাম্মদের নাম ঘোষণা করা হলো। এর মধ্য দিয়ে তাদের জোট চায় নির্বাচনে বিজয় অর্জন করতে। যদি সেটা করা যায় তাহলে আনোয়ার ইবরাহিমের ক্ষমতায় ফেরা এবং পরে কোনো একসময় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ তৈরি হবে। যদি নির্বাচনে বিরোধীরা বিজয়ী হয় তাহলে তারা সময় ক্ষেপণ না করে আনোয়ার ইবরহিমকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণায় রাজকীয় ডিক্রি আদায়ের চেষ্টা করবে। এমন ডিক্রি জারি হলে আনোয়ার ইবরাহিমের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে কোনো বাধা থাকবে না। বিরোধীদলীয় জোটের এক সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন সেক্রেটারি জেনারেল সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ। এ ছাড়া নির্বাচনে বিরোধীদলীয় জোট থেকে উপপ্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হবেন আনোয়ার ইবরাহিমের স্ত্রী ওয়ান আজিজা ওয়ান ইসমাইল।

ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান বলছে, মালয়েশিয়ার বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিরোধীদলীয় নেতা আনোয়ার ইবরাহিম। কিন্তু তাকে বিভিন্ন অভিযোগে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে দুর্নীতির কেলেঙ্কারি আষ্টেপৃষ্ঠে আঁকড়ে ধরেছে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে। তবে অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি যাই হোক, আগস্টের মধ্যে তাকে জাতীয় নির্বাচন দিতেই হবে, যদি কোনো অঘটন না ঘটে। সেই নির্বাচনে তার সামনে এখন সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠলেন মাহাথির মোহাম্মদ। ইতিমধ্যে ক্যারিশমা দেখাতেও শুরু করেছেন মাহাথির। তিনি তার নতুন দল পিপিবিএমের সভায় আগের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন। কারণ ক্ষমতায় থাকাকালে মাহাথিরের বিরুদ্ধে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের হেনস্তার অভিযোগ ছিল বেশ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তারা এখন মাহাথিরের রাজনৈতিক জোট পাকাতান হারাপানের (পিএইচ) অংশ। আরেকটি গ্রুপ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, তিনি পিকেআর ডি ফ্যাক্টো নেতা আনোয়ার ইবরাহিমকে জেলবন্দী করে নাজিব রাজাককে প্রধানমন্ত্রী হতে সাহায্য করেছিলেন। সেই সময় নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দলত্যাগী নেতাদের ‘আবর্জনা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন মাহাথির। সেই অবস্থান থেকে সরে এসে শনিবার মাহাথির বলেন, ‘অন্য মানুষদের মতো আমারও কথা ও কাজে ভুল হতে পারে। আমি আমার অতীতের সব ভুলের জন্য ক্ষমা চাইছি। কেবল আজকের জন্য নয়, যত দিন ধরে আমি রাজনীতিতে আছি, তত দিনের জন্য। তবে আমি একাকী কোনো ভুল করিনি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খালেদা বিশ্বের তিন নম্বর দুর্নীতিগ্রস্ত : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পৃথিবীর দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির তালিকায় বেগম খালেদা জিয়া তিন নম্বর হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে। খালেদা জিয়া কিন্তু প্রকাশিত এসব সংবাদের কোনো প্রতিবাদ জানাননি। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এ দেশের জনগণের সম্পদ আর লুটপাট, পাচার করতে দেওয়া হবে না। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জাতীয় সংসদের গতকালের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে ফজিলাতুন নেসার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী প্যারাডাইস পেপার কেলেঙ্কারির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। ১৫৯ পৃষ্ঠাব্যাপী মুদ্রিত জবাবের বেশির ভাগই বিভিন্ন দেশে পাচার হওয়া খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের অর্থের বিবরণ। এ ছাড়া প্যারাডাইস পেপার কেলেঙ্কারিতে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিবরণ তুলে ধরা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিয়া পরিবারের ধারাবাহিক দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রভাব খাটিয়ে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে ২০০৬ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ বছরে জিয়া পরিবার দেশে-বিদেশে অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হয়ে ওঠে। ভাঙা সুটকেস থেকে বেরিয়ে আসে জিয়া পরিবার। প্রধানমন্ত্রী দেশে জিয়া পরিবারের মালিকানায় থাকা ১৬টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তালিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিশ্বের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের অবৈধ উপায়ে গোপন আর্থিক লেনদেনের ফাঁস হওয়া নথি, যা প্যারাডাইস পেপার কেলেঙ্কারি হিসেবে পরিচিত, সেখানেও এসেছে জিয়া পরিবারের নাম। তারেক রহমান ল ফার্ম অ্যাপলবাইর গ্রাহক। তিনি ১৯৯৩ থেকে ২০০৬ সময়কালে তার লন্ডনের ঠিকানায় ৮০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেন। আরাফাত রহমান কোকো অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাচার করেন। এ ছাড়া ল ফার্ম ওয়াকারের সহযোগিতায় তিনি ২০০২ সালের মার্চে কর ফাঁকি দেন এবং সিঙ্গাপুরে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার ও লেবাননে জিয়া পরিবারের অবৈধ সম্পদ ও বিনিয়োগের তথ্য পেয়েছে সৌদি দুর্নীতিবিরোধী কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি সৌদি আরবে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার প্রিন্সদের জবানিতে বেরিয়ে এসেছে বেগম খালেদা জিয়া ও তার দুই পুত্র তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর নাম। খালেদা জিয়াসহ পাঁচ বিদেশি নাগরিক ও ১৯ সৌদি নাগরিকের বিরুদ্ধে সৌদি আরবে দুর্নীতি তদন্ত শুরু হয়েছে। সৌদি আরবে জিয়া পরিবারের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ১২০০ কোটি টাকা। শেখ হাসিনা আরও জানান, সৌদি আরবের জনৈক আহমদ আল আসাদের নামে আরফা শপিং মলটির মালিক বেগম জিয়া। কাতারের টিপরা কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স ও কোকোর নামে ইকরা কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স ছাড়াও বিশ্বের ১২টি দেশে খালেদা-তারেকের ১২ বিলিয়ন ডলারের বেশি অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। তিনি আরও জানান, অতিসম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীর তালিকায় নাম উঠে আসে জিয়া পরিবারের। সংযুক্ত আরব আমিরাতে জিয়া পরিবারের প্রাক্কলিত সম্পদের পরিমাণ ১২০ কোটি দিরহাম, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার অর্থমূল্য ২ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা। অর্থনৈতিক বিভাগের তথ্যভাণ্ডার ‘ফরেন ইনভেস্টরস ক্রাট ইউএই’-তে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ইউএই ও ভারতের যৌথ টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে দাউদ ইবরাহিমের ১৭০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মধ্যে তিনটি তারেক রহমানের সঙ্গে যৌথভাবে। তিনি বলেন, সম্পদের তালিকায় বাদ যায়নি তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানের নামও। জাইমার নামে রিগ্যাল টাওয়ারে একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। যার মূল্য ৭ কোটি দিরহাম। এই সম্পদটি ২০০৪ সালে কেনা। এ ছাড়া দুবাইতে বেগম জিয়ার ভাই প্রয়াত সাঈদ ইস্কান্দারের নামে দুটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে। ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের নামেও দুবাইতে আছে একটি অ্যাপার্টমেন্ট, যার মূল্য ৭ কোটি দিরহাম। বড়বোন প্রয়াত খুরশিদ জাহান হক চটলেটের নামে এমিরেটস হিলে আছে একটি অ্যাপার্টমেন্ট, যার মালিকানা সম্প্রতি তার মেয়ে হাসিনা জাহানের নামে হস্তান্তর হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, সিঙ্গাপুরের ট্রেড ডেভেলপমেন্ট বোর্ড যে ১৮টি বিদেশি কোম্পানিতে অবৈধ সম্পদ আছে বলে সন্দেহ করছে, তার চারটিতেই জিয়া পরিবারের নাম জড়িয়ে আছে। তিনি আরও জানান, সিমেন্স ও চায়না হারবাল থেকে প্রয়াত আরাফাত রহমান যে ঘুষ নিয়েছিলেন, সেখান থেকে ২০১২ সালে ১৩ কোটি টাকা দেশে ফিরিয়ে আনে দুর্নীতি দমন কমিশন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, ২০১২ সালে আরাফাত রহমান কোকোর পাচারকৃত ২০ লাখ ৪১ হাজার ৫৩৪ দশমিক ৮৮ সিঙ্গাপুরি ডলার সে দেশ থেকে ফেরত আনা হয়েছে। তারেক রহমান দেশের বাইরে প্রচুর অর্থ পাচার করেছেন। তারেক ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার গিয়াসউদ্দিন আল মামুন যৌথভাবে একটি বিদেশি কোম্পানিকে কাজ দেওয়ার বিনিময়ে প্রায় ২১ কোটি টাকার মতো সিঙ্গাপুরে সিটিএনএ ব্যাংকে পাচার করেন। এ ব্যাপারে শুধু বাংলাদেশ নয়, আমেরিকার এফবিআইও তদন্ত করেছে। এর সূত্র ধরে এফবিআইর ফিল্ড এজেন্ট ডেব্রা ল্যাপ্রিভোট ২০১২ সালে ঢাকায় বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। এ মামলায় হাই কোর্টে তারেক রহমানের সাত বছরের সাজা হয়। একই ভাবে লন্ডনের ন্যাট ওয়েস্ট ব্যাংকেও প্রায় ৬ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও জানান, নতুন করে বেলজিয়ামে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার ও মালয়েশিয়ায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, এ দেশের জনগণের সম্পদ আর লুটপাট ও পাচার করতে দেওয়া হবে না। এ ধরনের অপকর্ম তদন্তের মাধ্যমে উদ্ঘাটন এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণের পয়সা জনগণকে ফেরত দেওয়ার যেসব আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে তার ব্যবস্থা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি বা অন্য কোনো অপরাধের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ নিয়মবহির্ভূতভাবে বিদেশে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে সরকারের সব সংস্থা একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

প্যারাডাইস পেপার কেলেঙ্কারিতে যাদের নাম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সংসদে পানামা প্যারাডাইস পেপার কেলেঙ্কারিতে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছেন— আবদুল আউয়াল মিন্টু, নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, মোহাম্মদ তাবিথ আউয়াল, মোহাম্মদ তাফসির আউয়াল, পাথ ফাইন্ডার ফাইন্যান্স ও হ্যান্সিয়াটিক লিমিটেডের কাজী জাফরুল্লাহ, নিলুফার জাফরুল্লাহ, ইল্ডেস্টার লিমিটেডের কাজী রায়হান জাফর; কর্পেনিকাস ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের কফিল এইচ এস মুয়ীদ, মেহবুব চৌধুরী, অর্কন ইনোভেশনের মোহাম্মদ ইউসূফ রায়হান রেজা, ডায়নামিক ওয়ার্ল্ড হোল্ডিংয়ের ইশতিয়াক আহমেদ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল মার্কেন্টাইল সার্ভিস লিমিটেডের নোভেরা চৌধুরী, সনিস্কাই ইন্টারন্যাশনালের ফরহাদ গনি মোহাম্মদ, এশিয়ান ক্যাপিটাল ভেঞ্চারর্সের বিলকিস ফাতেমা জেসমিন, দ্য কমিউনিকেশন কোম্পানির রজার বার্গ, জেইন উপর, নোবেল স্ট্যান্ডার্ডের মোহাম্মদ আবুল বাশার, ডালিয়ান লেটেক্সের বেনজির আহমেদ, মোহাম্মদ মোকমেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ মোতাজ্জারুল ইসলাম, বেস্ট নিট ইন্টারন্যাশনালের আফজালুর রহমান, ম্যাক্স স্মার্ট ইন্টারন্যাশনালের সুধির মল্লিক, জেদ উইন্ডের জীবন কুমার সরকার, পাইওনিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসের নিজাম এস সেলিম, এসটিএস ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের এম সেলিমুজ্জামান, সভেরিন ক্যাপিটালের সৈয়দ সিরাজুল হক, ক্যাপ্টেন এস এ জাউল, স্প্রিং সোর ইনকরপোরেটেডের এফ এম জোবায়দুল হক, সালমা হক; প্যারামাইন্ড রকের মোহাম্মদ আমিনুল হক, নাজিম আসাদুল হক, তারিক একরামুল হক, রিংস্টার প্রাইভেট লিমিটেডের মোহাম্মদ শাহেদ মাহমুদ, আজমত মঈন, খাজা শাহাদাত উল্লাহ, দিলীপ কুমার মোদী, দ্য কন্ট্রাক্ট অ্যান্ড সার্ভিসের সৈয়দ সামিনা মির্জা, মির্জা এম ইয়াহিয়া, গ্রাটানভিল লিমিটেডের মোহাম্মদ ফয়সাল করিম খান, পাথ ফাইন্ডারের জুলফিকার হায়দার; তালাভেরা ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইঙ্কের উম্মে রুবানা, মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, এন্ডারলাইট লিমিটেডের নজরুল ইসলাম, লাকি ড্রাগন ম্যানেজমেন্ট ইঙ্কের মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, বাংলা ট্রাক ও ব্যাকিংডেল লিমিটেডের জাফর উমীদ খান, ম্যাগফিসেন্ট ম্যাগনিট্যুড ইঙ্কের আসমা মোমেন, এ এস এম মহিউদ্দিন মোনেম, তাইতান এলায়েন্সের এ এফ এম রহমাতুল বারি, মেঘনাঘাট পাওয়ারের ফয়সাল চৌধুরী, ড্রাগন ক্যাপিটাল ক্লিন ডেভেলপমেন্ট ইনভেস্টমেন্টের আহমেদ সমীর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রতনের উপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে দেবহাটায় বিক্ষোভ

কেএম রেজাউল করিম/আরাফাত হোসেন লিটন: দুর্বৃত্তদের গুলিতে দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন (৪৫) গুরুত্বর আহত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সখিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন। বুধবার বিকেল ৩টায় সখিপুর ইউনিয়নের ঈদগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সখিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক। বক্তব্য রাখেন নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সাহেব আলী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর, সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার ঘোষ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন-আহবায়ক ও ইউপি সদস্য নির্মল কুমার মন্ডল, তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আকবর আলী, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব লিটু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ফারুক হোসেনের উপর হামলাকারীরা নতুন কেউ নয়। ২০১৩ সালে যারা সহিংসতা করেছে তারাই পুন:রায় সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ এবং নেতাকর্মীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে এই চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন। শেখ ফারুক হোসেনের উপর যারা হামলা চালিয়েছেন তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধী যেই হোক তাদের বিচার এদেশের মাটিতে হবে। বক্তারা ২০১৩ সালের ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, জামায়াত-বিএনপি মিলে সেই সময়ে যারা দেবহাটায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছিলেন তারা পুন:রায় আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই। তাদের সেই কু-মতলব আর কখনো বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। তাছাড়া বিএনপি-জামায়াত যেখানে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করবে সেখানেই তাদের প্রতিহত করা হবে। সরকারের উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ করতে আসলে তা কঠোর ভাবে দমন করা হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সু-সংগঠিত হয়ে আগামি নির্বাচনে আবারো আওয়ামীলীগকে নির্বাচিত করে স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করতে হবে। সমাবেশে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ইউপি সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জনতা ব্যাংক’র শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: জনতা ব্যাংক লিমিটেড এর অতিরিক্ত সচিব (অব:) ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ,কে ফজলুল আহাদ কর্তৃক সাতক্ষীরায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে অসহায়, গরিব ও হতদরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জনতা ব্যাংক লি. সাতক্ষীরার এরিয়া অফিসের ডিজিএম শাহিদুল ইসলাম, জনতা ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক এজিএম সোলায়মান হোসেন, সাতক্ষীরা কর্পোরেট শাখার এজিএম রঞ্জন কুমার বিশ্বাস, এরিয়া অফিসের এসপিও মোঃ রুকনুজ্জামান, সিনিয়ার অফিসার বাবলু ভঞ্জ চৌধুরী, শেখ তাসনিমুর ববি প্রমুখ। এসময় শীতবস্ত্র পেয়ে অসহায়, দরিদ্র ব্যক্তিরা কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ

তালা প্রতিনিধি: উপজেলার দক্ষিণ নলতা গ্রামে অতিদরিদ্র দেড় শতাধিক মাঝে শীত বস্ত্র (কম্বল) বিতরন করা হয়েছে। স্থানীয় সমাজ সেবক হাশেম আলীর সার্বিক তত্বাবধানে এবং পল্লী চিকিৎসক সাংবাদিক আব্দুর রহমান সহ মনিরামপুর উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রেজাউল করিম ও মো. মামুন হোসেন’র আয়োজনে এই কম্বল বিতরণ করা হয়।
বুধবার বিকালে দক্ষিণ নলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, শিক্ষক সামির আলী গাজী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কম্বল বিতরণ উদ্বোধন করেন, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সাংবাদিক মীর জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্ততৃা করেন, তালা রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বি. এম. জুলফিকার রায়হান ও ইউপি সদস্য ইয়াছিন সরদার। হাশেম আলীর পরিচালনায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষক পাড় শহিদুল ইসলাম, বিউটি আক্তার, সুজিত কুমার ঘোষ, আমজাদ আলী মোড়ল ও সাংবাদিক হাসান আলী বাচ্চু প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে এলাকার অতিদরিদ্র দেড় শত ব্যক্তিকে কম্বল প্রদান করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ৩১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্যোগে কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে বুধবার বিকাল ৪টায় কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের জেলা শাখার সভাপতি এ্যাড. ওসমান গনি। এছাড়া বক্তব্য রাখেন কমিশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. মোঃ ইউনুস আলী, মোঃ রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক শেখ জাহাঙ্গীর আলম মেনন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল হোসেন (টুটুল), মোঃ আল-ফেরদৌস (আলফা), বি.এম শামছুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম (হিল্লোল), এস.এম নজমুচ্ছায়াদাৎ (পলাশ), সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, মোঃ মাহমুদুল হক (লাভলু), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, মোঃ হাবিবুল্লাহ (বাদশা), দপ্তর সম্পাদক হাসান ঔরঙ্গীন (ময়না), আঃ বর (পলাশ), এ্যাড. বি.ডি জামান, এ্যাড. ফজলুল হক, নাহিদ সুলতানা, মোঃ সাইফুর রহমান, প্রভাষক আব্দুল মালেক, মোঃ আবু সাঈদ, এ্যাড. হাফিজুর রহমান, বিধান চন্দ্র বর্মন, মোঃ হাফিজুর, ওহিদুজ্জামান বকুল, শেখ আসাদুজ্জামান লিটন, শেখ শাহাদাৎ আলম, মোঃ রোকনুজ্জামান, এ্যাড. মোঃ আব্দুল আজিজ(২), মোঃ আব্দুস সেলিম সরদার, মেহেদী হাসান প্রমুখ। উক্ত আলোচনা সভায় বক্তরা স্ব স্ব অবস্থান থেকে হত দরিদ্র, অসহায়, নির্যাতিত, নিপীড়িত ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে সেবা মূলক কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং প্রত্যেক উপজেলায় সৎ যোগ্য ও দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে দ্রুত কমিটি গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন সহ দপ্তর সম্পাদক এ্যাড. হাবিব ফেরদৌস শিমুল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest