সর্বশেষ সংবাদ-
ভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদের

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সাতক্ষীরায় আ ’লীগের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যবর্তন দিবস পালন উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে সদর ও পৌর আওয়ামীলীগের সহযোগিতায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকাল ৪টায় পরিবহন কাউন্টার এলাকায় এ আলোচনা সভায়। জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এস এম ডাঃ মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি বলেন, হাজার বছরের বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ নায়ক বাংলার রাখাল রাজা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম না হলে এ বাংলাদেশ নামক দেশ সৃষ্টি হত না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে সেদিন বাঙালি জাতিকে মুক্ত করেছিল। বঙ্গবন্ধু কারণে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন পতাকা খোচিত মানচিত্র। তিনি আরোও বলেণ, ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যবর্তনের মাধ্যমে বাঙালি জাতির ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেছিল। বাংলা মানুষ সেদিন ফিরে পেয়েছিল তাদের প্রিয় নেতা কে। বঙ্গবন্ধু আদর্শের সৈনিকদের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করতে প্রতিটি নেতাকর্মীকে রাজপথে পরিক্ষিত সৈনিকের ভূমিকা রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, শেখ সাহিদ উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান বাবু, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. শহীদুুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক গণেষ চন্দ্র মন্ডল, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশি, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সভাপতি ফারহা দিবা খান সাথী, সাধাণরণ সম্পাদিকা সাবিহা আক্তার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুস সেলিম, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর অনিমা রানী মন্ডল, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু, সাধারণ সম্পাদক তুহিনুর রহমান তুহিন, আব্দুর সবুর খান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন। আলোচনা সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
টানা ২য় বার আইজিপি ব্যাজ পেলেন সাতক্ষীরার এসপি সাজ্জাদুর, শ্যামল মুখার্জী ৩য় বার

অনলাইন ডেস্ক: টানা তৃতীয় বার আইজিপি ব্যাজ পেয়েছেন সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান বর্তমান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (অর্থ) শ্যামল কুমার মুখার্জী। একই সাথে টানা দ্বিতীয় বার আইজিপি ব্যাজ পেয়েছেন সাতক্ষীরার নবাগত পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান।
বুধবার বেলা ২টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আইজিপি ব্যাজ পরিয়ে দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহিদুল হক। একই সাথে একটি প্রশংসাপত্র প্রদান করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (অর্থ) শ্যামল কুমার মুখার্জী সাতক্ষীরার তালার মাগুরা ইউনিয়নের বারুইপাড়া গ্রামের স্বর্গীয় দিলীপ মুখার্জীর ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অর্থ) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
এর আগে ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি ঢাকার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বপালন কালে ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে মনোনীত হন। ২০১৫ সালের ২১ জুন নাটোরের পুলিশ সুপার থাকাকালীন সময়ে গুরুদাসপুরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা রুখে দেওয়ার জন্য আইজিপি ব্যাচ পেয়েছিলেন। ২০১৬ সালে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ দ্বিতীয় বার আইজিপি ব্যাজের জন্য মনোনীত হন। ২০১৭ সালেও তিনি ভালো কাজের স্বীকৃতির জন্য টানা তৃতীয় বারের মত আইজিপি ব্যাজ পেলেন।
অন্যদিকে, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান টানা দ্বিতীয় বারের মত আইজিপি ব্যাজ পেয়েছেন। পুলিশের উভয় কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগর আওয়ামীলীগের বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

গাজী আল ইমরান,শ্যামনগর ব্যুরোঃ বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শ্যামনগরে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার বিকালে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে উক্ত অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি জি এম আনিছুজ্জামান আনিচের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য জি এম গোলাম মোস্তফা মুকুল, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আওয়ামীলীগ নেতা স ম আব্দুস সাত্তার, কুমুদরঞ্জন গায়েন, শ্যামনগর উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক সাইদুজ্জামান সাইদ, সাবেক ছাত্রনেতা শেখ মনিরূজ্জামান টুটুল, শ্যামনগর উপজেলা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মারূফ, ছাত্রলীগ নেতা সাগর কুমার মন্ডল সহ শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর বিভিন্ন অংগ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শ্যামনগর উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফারূক হোসেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন ১০ জানুয়ারী জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস বাঙালী স্বাধীনতার পরিপূর্নতা পেয়েছিলো সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন “ কবিগুরু তুমি বলেছিলে – সাড়ে সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী রেখেছো বাঙালি করে মানুষ করোনি কবিগুরু তুমি দেখে যাও তোমার কবিতা আজ মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে তোমার বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে তারা বাংলা মা কে স্বাধীন করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খুলনায় স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে প্রত্যাহার ফাঁড়ি শুদ্ধ পুলিশ সদস্য

অনলাইন ডেস্ক: খুলনার বটিয়াঘাটায় এক স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করা এবং তার ভাইকে মারধর করায় গ্রামের লোকেরা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাওকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে অভিহিত করছে পুলিশ।
মঙ্গলবারের ঐ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে সংশ্লিষ্ট পুলিশ ফাঁড়ির ১২জন সদস্যের সবাইকে প্রত্যাহার করার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পুলিশ বলছে, অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় ফাঁড়ির ১২জন সদস্যকে প্রত্যাহার করা ছাড়াও ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বটিয়াঘাটার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান জানিয়েছেন, দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করতেন বাইনতলা ফাঁড়ির কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তার মধ্যে একজন কনস্টেবল মঙ্গলবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে ঐ ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে শিস দেয় এবং কটু মন্তব্য করে। এরপর ছাত্রীটি তার ভাইয়ের কাছে গিয়ে ঘটনা জানালে, তার ভাই এসে ঘটনার প্রতিবাদ করে। পুলিশ তখন তাকে ‘ফাঁড়িতে ঢুকিয়ে পিটিয়েছে’ বলে জানান ওই ইউপি চেয়ারম্যান।
এরপর খবর পেয়ে বাজার সংলগ্ন গ্রাম থেকে কয়েক শত মানুষ এসে ফাঁড়ি ঘেরাও করে। খবর পেয়ে আমিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গিয়ে সহকারী উপপরিদর্শকসহ ফাঁড়ির ১২ সদস্যের সবাইকে ক্লোজ করা, তদন্ত কমিটি গঠন এবং পিটুনি খাওয়া ভাইকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বলেছেন, এ ধরনের অন্যায় কাজে পুলিশের সব সদস্য জড়িত থাকে না। “তারপরও দুই একজন দুষ্ট সদস্য থাকে। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের যে আইনগত ব্যবস্থা আছে, সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।” একে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে অভিহিত করে তিনি বলছেন, “এ ধরনের ঘটনা মোটেও কাম্য নয়।
এ ঘটনায় ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সেই সঙ্গে উত্ত্যক্তের শিকার হওয়া মেয়েটি এবং তার পরিবারকে পরবর্তীতে যাতে কোন হয়রানির শিকার না হতে হয়, সে নিশ্চয়তা দেবার দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আমিরপুরের বাইনতলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টির পাশেই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় অবস্থিত।
ঐ ভবনের দোতলায় পুলিশ ফাঁড়ি। এখন ঐ ফাঁড়িতে নতুন করে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাঈমুল হক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রসুলপুর ফুটবল মাঠের চারিপাশের প্রাচীন বৃক্ষ নিধন; ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার শহরের রসুলপুর ফুটবল মাঠের চারপাশে অবাধে বৃক্ষ নিধন করে বিক্রির অভিযোগে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। টেন্ডার ও বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে অনুমান ৫ লক্ষ টাকার গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। রসুলপুর ফুটবল মাঠের চারপাশের ৪০ থেকে ৫০টি গাছ কেটে নিয়ে বিক্রি করেছে রসুলপুর ক্লাব। ফলে ঐ এলাকার বৃক্ষ সম্পদ ধ্বংস হতে চলেছে। পরিবেশের ভারসাম্য ও সুষম জলবায়ুর প্রয়োজনে একটি দেশের মোট আয়তনের অন্তত ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা আবশ্যক। অথচ ক্লাব কর্তৃপক্ষ কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বৃক্ষ নিধন করেছেন। রসুলপুর যুব সমিতির সদস্য মিজানুর রহমান খান বলেন, বহু বছর আগে ঐ এলাকার খান পরিবারের সদস্যরা খেলা-ধূলার স্বার্থে সকলে মিলে জমি দান করেন এবং মাঠের চারিপাশে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে অনেকগুলি গাছ লাগান। রসুলপুর যুব সমিতির নামে রেকডীয় সম্পত্তির উপর লাগানো গাছগুলো এভাবে কাউকে না জানিয়ে কেটে বিক্রি করা হয়েছে। গাছগুলি ফুটবল মাঠের সীমানার বাহিরে। কি কারনে গাছ কাটা হল জানিনা। যা এলাকাবাসীসহ সাধারণ মানুষের কাম্য নয়। এব্যাপারে রসুলপুর ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান খান বিটু বলেন, আমরা ক্লাবের পক্ষ থেকে রেজুলেশন করে প্রশাসনকে জানিয়ে গাছ কেটে বিক্রি করেছি। সাতক্ষীরা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের গাছগুলি দেখিয়েছি। তারা বলেছে এ গাছ আর বড় হবেনা। মাঠটির বাউন্ডারি প্রাচীর না থাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে নেশাখোরদের আড্ডা বসে। সেকারনে এই গাছ কেটে বিক্রি করে সীমানা প্রাচীর দেওয়া হবে এবং মাদকমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হবে। প্রাচীর নির্মাণ হলে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার এটি উদ্বোধন করবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রসুলপুর যুব সমিতির এক ব্যক্তি জানান, রসুলপুর ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া এই গাছ বিক্রির বিষয়ে কেউ জানেনা। ক্লাবের নির্বাচন হয়না বহু বছর। কিভাবে তারা ক্লাব চালাচ্ছেন এলাকাবাসী জানেনা। রসুলপুর ক্লাবের সভাপতি মেহেদী হাসান ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন। ব্যাংকে অর্থ জালিয়াতির কেচে চাকরি নেই। তিনি ক্লাবের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিকাশ দেননা। কাউকে না জানিয়ে এতগুলি গাছ বিক্রি করলেন কিভাবে? ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও রসুলপুর যুব সমিতির কেউ জানেনা। স্থানীয়দের পক্ষ থেকে বৃক্ষ নিধনের অভিযোগ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া হয়েছে। বৃক্ষ নিধনের ফলে ওই এলাকায় দ্রুত পরিবেশের বিপর্যয় ঘটার আশংকা রয়েছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রামপালে সেফটি প্রকল্পের অবহিত করণ সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিবিভাগ (ইউএসডিএ) এর অর্থায়নে উইন্রক ইন্টারন্যাশনালের সেফ এ্যাকুয়াফার্মিং ফর ইকোনোমিক এ্যান্ডট্রেড ইমপ্রুভমেন্ট (সেফটি) প্রকল্প বাংলাদেশে চিংড়ির উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে । আধানিবিড় চিংড়ি চাষ পদ্ধতি চাষীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সেফটি প্রকল্প রামপাল উপজেলার ৩৮টি গ্রামে কাজ করে যাচ্ছে। প্রায় ৯৫০ জন চাষী ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের সাথে সংযুক্ত হয়েছে।
সেফটি প্রকল্পের অবহিতকরন সভাগত ০৮ ই জানুয়ারী ২০১৮ সোমবার, রামপাল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা, শিক্ষাকর্মকর্তা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, সমাজ সেবা কর্মকর্তা, যুবউন্নয়ন কর্মকর্তাসহ কোডেকসীডস ও ক্ষুদ্রঋণ প্রোগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। উক্ত কর্মশালায় প্রকল্প কর্ম এলাকার পাঁচটি ইউনিয়নের সম্মানীত ইউপি চেয়ারম্যানগন উপস্থিত ছিলেন।
অবহিতকরন সভায় কোডেক-সেফটি প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃনজরুল ইসলাম প্রকল্পের পরিচিতি ও লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। সেফটি প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক এরশাদুল ইসলাম ও সিনিয়ার উপজেলা মৎস্য কমৃকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ চিংড়ি শিল্পের বর্তমান সমস্যা উল্লেখ করে এর সম্ভাব্য সমাধান বিষয়ে আলোচনা করেন। অবহিত করন সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস হোসনেয়ারা মিলি।
এই প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রম অএ এলাকার চিংড়ি চাষীদের স্বপ্ন পুরনে সহায়ক হবে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁর আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি চাষীদের পাশে থেকে হাতে কলমে কাজ করলে প্রত্যাশিত ফল আসবে বলে তিনি আশা করেন ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মানবতাবিরোধী অপরাধ ২ রাজাকারের মৃত্যুদণ্ডাদেশ, ৩ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

ডেস্ক রিপোর্ট : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঁচ রাজাকারের মধ্যে দুজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ, বাকি তিনজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।

এর মধ্যে নেছার আলী ও ওজায়ের আহমেদ চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আর শামসুল আলম চৌধুরী, মোবারক ও ইউনুছকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ পেয়েছেন।

তাঁদের মধ্যে ইউনুস আহমেদ ও ওজায়ের আহমেদ চৌধুরী কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক।

গতকাল মঙ্গলবার এর আগে গত ২০ নভেম্বর উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন আদালত।

২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার শামসুল হোসেন তরফদারসহ পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের পাঁচটি অভিযোগ গঠন করা হয়।

২০১৬ সালের ২৬ মে এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে তদন্ত সংস্থা।
গত বছরের ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে ওই দিন বিকেলেই রাজনগর উপজেলার গয়াসপুর গ্রামের ওজায়ের আহমেদ চৌধুরীকে মৌলভীবাজার শহরের চৌমোহনা থেকে ও সোনাটিকি গ্রামের মৌলভি ইউনুস আহমেদকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর ২০ জানুয়ারি তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী নৌ-কমান্ডো খলিলুর রহমানের মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট: মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নৌ-কমান্ডো এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক ও গবেষক সবার প্রিয় কমান্ডার মো. খলিলুর রহমান আর নেই(ইন্না—রাজিউন)। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সাতক্ষীরার যুদ্ধাপরাধ মামলার ৪ আসামি আব্দুল খালেক মন্ডল, আব্দুল্লাহিল বাকী, খান রোকনুজ্জামান ও জহিরুল ওরফে টিক্কার বিরুদ্ধে মামলার অন্যতম প্রধান সাক্ষী ছিলেন। তার মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে তিনি ঢাকার গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। নৌকমান্ডো মো. খলিলুর রহমানের বাড়ি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার ভাতশালা গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত আয়জুদ্দিন বিশ^াস। কমান্ডো খলিলুর রহমান ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অপারেশন জ্যাকপটে অংশগ্রহণ করেন। অপারেশন জ্যাকপট শেষে সাতক্ষীরায় ফেরার পথে আশাশুনির বুধহাটায় তিনিসহ তার সাথীরা পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এদেশীয় দোসর রাজাকার কমান্ডার বাকী ও রোকনুজ্জামান খানের বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। সেখানে তাদের দুই সহযোদ্ধাকে গুলি করে হত্যা বাকী এবং রোকন খান। বর্তমানে এই হত্যাকা-সহ ৭টি সুনির্দিষ্ট যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান ছিলেন এ মামলার চাক্ষুস সাক্ষী।

এমপি রবির শোক:
মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। তার মৃত্যুতে এমপি রবি বলেন, সবার প্রিয় মো. খলিলুর রহমান ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক নৌ-কমান্ডো এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক ও গবেষক। সবার প্রিয় এই মানুষটি সারাটা জীবন সাতক্ষীরার মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে অধিকার সম্মান আদায়সহ বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। যেখানেই অনিয়ম-দুর্নীতি দেখতেন তার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান ঝাপিয়ে পড়তেন। সাতক্ষীরাসহ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা একজন দক্ষ কর্মীকে হারাল। তার এ ক্ষতি কখনও পুরণ হওয়ার নয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest