সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান

জয় মহাপ্রভূ সেবক সংঘের শীতবস্ত্র বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় অসহায় দুস্থ শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা জেলা মন্দির প্রাঙ্গণে জয় মহাপ্রভূ সেবক সংঘ জেলা শাখার আয়োজনে জয় মহাপ্রভূ সেবক সংঘ জেলা যুব কমিটির সভাপতি রনজিৎ সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
এসময় তিনি বলেন, সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরাতে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেই সাথে গরীব, অসহায় ও দুঃস্থদের বেড়েছে ভোগান্তি। আমার নির্বাচনী এলাকার অসহায় দরিদ্র শীতার্থ মানুষকে শীতে কষ্ট পেতে দেব না।’ এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা জ্যোৎন্সা আরা, জয় মহাপ্রভূ সেবক সংঘ জেলা শাখার সভাপতি বিশ^নাথ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক রঘুজিৎ গুহ, জেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি বিকাশ চন্দ্র দাস, যুব কমিটির সদস্য বাসু দেব, সুমন অধিকারী প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জয় মহাপ্রভূ সেবক সংঘ যুব কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নওয়াবেঁকী প্রিমিয়ার লীগের ষষ্ঠ আসর উদ্বোধন

শ্যামনগর প্রতিনিধি: শ্যামনগরের আটুলিয়া ইউনিয়নের সর্বাধিক জনপ্রিয় ক্রিকেট লীগ নওয়াবেঁকী প্রিমিয়ার লীগ (ঘচখ) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও খেলোয়াড়দের দল নির্ধারণ গত ১৩ জানুয়ারী সন্ধ্যা ৮ টার সময় আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এক জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আটুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি গাজী কামরুল ইসলাম ও নওয়াবেঁকী গণমূখী ফাউন্ডেশানের নির্বাহী পরিচালক মোঃ লুৎফর রহমান। নওয়াবেঁকী ক্রিকেট একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন টুর্ণামেন্ট কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম মোড়ল। অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে প্রজেক্টরে খেলোয়াড়দের ছবি ও পরিচিতি দেখানো হয় এবং লটারী অনুষ্ঠিত হয়। ছয়টি দলের অংশ গ্রহনে আগামী ১৯ জানুয়ারী থেকে নওয়াবেঁকী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে ঋষি সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জে সংখ্যালঘু ঋষি সম্প্রদায়ের উচ্ছেদ ও জমি জবর দখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১১টায় উপজেলা সদরের খানবাহাদুর আহছানউল্লা সেতু সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের পাদদেশে মথুরেশপুর ইউনিয়নের রায়পুর ও বেলপুর গ্রামে বসবাসকারী ঋষি পল্লীর শতাধীক নারী ও পুরুষ বিক্ষোভ ও মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে। ৯নং ওয়ার্ড সদস্য শওকাত হোসেনের সভাপতিত্বে সংখ্যালঘু ঋষি সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার জিএম আব্দুল হাকিম, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি ও ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ালীগের সভাপতি সজল মুখার্জী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, মনির হোসেন, নুর মোহাম্মাদ, ঋষি পরিবারের পক্ষে তপন কুমার মন্ডল, অনিল কুমার মন্ডল, সুবর্ণা মন্ডল ও কমলা রানী মন্ডল প্রমুখ। এসময় বক্তারা ভুমিদস্যু ইউপি সদস্য তোহার ও ফেরদৌস গংদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাটকেলঘাটায় সানি ভাটার মাটি বহনকালে এলাকাবাসীর সড়ক অবরোধ

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : পাটকেলঘাটায় মেসার্স সানি ব্রিকস এর ইট প্রস্তুত এর জন্য মাটি বহনকালে এলাকাবাসি সড়ক অবরোধ করে বন্ধ করে দেয়। রোববার সকালে পাটকেলঘাটা বলরামপুরে অবস্থিত মেসার্স সানি ব্রিকস কাদিকাটি মাঠ হতে কৃষিজমির মাটি কেটে ভাটায় নেওয়ার সময় রাস্তা নষ্টহচ্ছে এ অভিযোগে সড়ক অবরোধ করে পরিবহন কার্য্যবন্ধ করে দেয়। ঘটনা অনুসন্ধানে দেখা যায়, এলাকার ভাটা মালিকরা তাদের ইচ্ছামত ভারি যানবহন দ্বারা গ্রামীণ সড়কগুলো দিয়ে মাটি পরিবহন করে রাস্তাগুলি নষ্টকরে ফেলছে যার খেসারাত দিতে হচ্ছে এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণকে। বিশেষকরে বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তি চরমে পৌছায় গ্রামের মানুষগুলি সে সময় এক বাড়ী হতে অন্য বাড়ী বা প্রয়োজনীয় কাজে বাজারঘাটে যেতে তাদের নাভিঃশ্বাস ওঠে, জরুরি রুগী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে হলে কোলে করে নেওয়ার অবস্থা তৈরি হয়। এলাকাবাসী প্রতিবাদ স্বরুপ প্রথমে রাস্তার মাঝে কচাগাছের গোড়া বসিয়ে দেয় কিন্তু ভাটা কর্তৃপক্ষ স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদের ম্যনেজকরে সেটি উপড়ে ফেলে পুনরায় পরিবহন শুরু করলে এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয় এবং ভাটা মালিকদের এ অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ জানায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানউন্নয়নে ব্যতিক্রম উদ্যোগ

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মানউন্নয়নে ব্যতিক্রম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্কুলটি ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পরিবর্তন হওয়াতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। আর এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখেতে রবিবার বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রত্যেকের মাঝে একটি ডায়েরি ও একটি ক্যালেন্ডার প্রদান করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তহিরুজ্জামান জানান, ডায়েরীতে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের নিজেদের পড়া, বিদ্যালয়ের ও বাড়ির কাজ লিখে রাখবে। সাথে সাথে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতি সপ্তাহের হাজিরা ও পড়ালেখার উপর মন্তব্য লিখবে যেটা পরবর্তী দিন অভিভাবকের স্বাক্ষর নিয়ে বিদ্যালয়ে দেখতে হবে। এতে ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়ার বাহিরে কোন কিছু করলেই ধরা পড়ে যাবে। শিক্ষক ও অভিভাবকরা ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ভ্রাতিত্ব বোধ গড়ে উঠার পাশাপাশি সকল রকম সমস্যা সহজে চিহ্নত করে সমাধান করা যাবে। রবিবার বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়ন উপলক্ষ্যে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন আনন্দের সৃষ্টি হয়। এসময় বিদ্যালয়য়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই উদ্যোগকে স্বাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবক স্থানীয়রা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তুজলপুর-রাজবাড়ি সড়ক কেটে চলছে মৎস্য ঘের, পথচারীরা চরম দুর্ভোগ

মাস্টার মফিজুর রহমান : সদর উপজেলার ১১নং ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের তুজুলপুর থেকে রাজবাড়ি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে দেড় কিমি রাস্তা লোক ও যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। শুধু সাধারণ মানুষই নন, এলাকার স্কুল কলেজ পড়ুয়া কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী, শিশু ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের এই রাস্তার সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় তুজলপুর-রাজবাড়ি সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে সরকারি রাস্তা কেটে চলছে মৎস্য ঘের। এর যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ। আনুমানিক প্রায় ৩০ফুটের মত রাস্তা কেটে তৈরি করা হয়েছে অবৈধ মৎস্য ঘের।
তুজলপুর, রাজবাড়ি, ঝাউডাঙ্গা, রঘুনাথপুর, হাচিমপুর, ভাটপাড়া সহ আরো কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের প্রতিদিন এরাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। বিশেষ করে রাজবাড়ি, ঝাউডাঙ্গা, রঘুনাথপুর ও হাচিমপুর থেকে প্রতিদিন প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী তুজলপুর জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে। তাদেরসহ স্থানীদের যাতায়াতের বিকল্প পথ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে বাঁশের সাঁকো। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে রাস্তাটিতে চলাচল ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আল মামুন (রানা) বলেন, রাস্তাটির ব্যাপারে স্থানীদের সাথে আলোচনা হয়েছে। স্থানী ঘের মালিকেরা নিজস্ব অর্থায়নে পানি নিষ্কাশনের জন্য কালভার্ট নির্মাণ করে। কিন্তু সেটি প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। এরই মধ্যে তুজলপুর গ্রামের আব্দুল জব্বার সেখানে জমি কিনে বাড়ি তৈরি করায় কালভার্টটিতে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাই স্থানীয় ঘের মালিকেরা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই রাস্তা কাটা হয়।
পথচারী ৯ম শ্রেণির ছাত্রী রাখি ঘোষ বলেন, প্রতি বছর বর্ষার সময় রাস্তাটি কাটার কারণে আমাদের স্কুলে যেতে কষ্ট হয়। কখনো কখনো বাশের সাঁকো পার হতে যেয়ে বই খাতা নিয়ে পা পিছলে পানিতে পড়তে হয়। তুজলপুর জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোহন লাল ঘোষ বলেন, রাস্তা কাটার কারণে পায়ে হেঁটে স্কুলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে মাঝে মাঝে দেরি হয়ে যায়। মোটরসাইকেল বা বাইসাইকেল নিয়েও যেতে পারি না। বর্ষা মৌসুমে পানিতে রাস্তার দুপাশে ছোট- বড় গর্ত সহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়া রাস্তার একটি বড় অংশ ভেঙে পুকুর ও ঘেরের সাথে মিশে গেছে।
ভ্যান, নছিমন,সাইকেল, মোটরসাইকেলসহ অন্নান্য যানবাহন নিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছে না। ফলে স্থানীয় কৃষকেরা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই সাথে দূরবর্তী এলাকার মানুষ উৎপাদিত পণ্য পরিবহনের কারণে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে এলাকার পথচারীরা। এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার বিষয়টি তুলে ধরলেও কোন লাভ হয় নি। ক্ষত বিক্ষত রাস্তাটি আর কত দিন উপেক্ষায় থাকবে, নাকি অচিরেই রাস্তাটি আবার মিলিত হবে এ প্রত্যাশা আজ জনমনে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ স্থগিত

পুলিশে ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) পুলিশ সদর দফতর থেকে এক জরুরি বার্তায় ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারকে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে এ নিয়োগ স্থগিত করা হলো।

পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশে কনস্টেবল (ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল-টিআরসি) পদে সাড়ে আট হাজার পুরুষ ও দেড় হাজার নারী সদস্য নিয়োগে গত ২১ ডিসেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।

একটি সূত্র জানায়, এ বছরের পুলিশ সপ্তাহে এই ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ কেন্দ্রীয়ভাবে সম্পন্ন করা যায় কিনা তা নিয়ে বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই কনস্টেবল নিয়োগ পুলিশ সুপারদের মাধ্যমে হয়ে আসছে।

পুলিশ সদর দফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, কনস্টেবল পদে নিয়োগ কার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এটি চূড়ান্ত হলেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেশের বৃহৎ ভাসমান সেতু; ইঞ্জিনিয়ার নন, তবুও তিনিই কারিগর

নিজস্ব প্রতিবেদক: তিনি ইঞ্জিনিয়ার নন, তবে তিনি ইঞ্জিনিয়ার-ই। দেশের বৃহত্তম ভাসমান সেতুর কারিগর তিনি। ইঞ্জিনিয়ার নন এই অর্থে যে- তিনি পুথিগত কিংবা একাডেমিক স্বীকৃতিতে ইঞ্জিনিয়ার নন। তবে তিনি অবশ্যই ইঞ্জিনিয়ার। কারণ তিনি বাস্তবে এমন কারুকার্য আর নৈপূণ্য দেখিয়েছেন যে তিনি অবশ্যই ইঞ্জিনিয়ার।
হ্যা এমনই একজন রবিউল ইসলাম। যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ঝাপা বাওড়ে নির্মিত সুদীর্ঘ ভাসমান সেতু। এখন পর্যন্ত জানা গেছে- ওই সেতুটি-ই দেশের সর্ববৃহৎ বা দীর্ঘতম ভাসমান সেতু। শুধু দীর্ঘতম নয়, সেতুটির ডিজাইন নৈপূণ্যতেও রয়েছে নতুনত্ব ও ব্যতিক্রমী চিন্তাধারার বহিঃপ্রকাশ।
সরকারের অনুদান ও একাডেমিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত যেকোন প্রকৌশলীর মতামত ছাড়াই সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার মধ্যবর্তী মনিরামপুর থানাধীন ঝাঁপা বাওড়ে স্থানীয় ৫৬জন যুবক এবং গ্রামবাসীর উদ্দোগে নির্মিত হয়েছে ভাসমান সেতুটি। ওই সেতুর অন্যতম আকর্ষণ হলো- প্লাস্টিকের ব্যারেলে উপর লোহার পাটাতন দিয়ে সম্পূর্ণ পানির উপর ভাসমান অবস্থায় সেতুটির নির্মাণ।
৮ ফুট চওড়া ও ১ হাজার ফুট লম্বা ভাসমান সেতুটি তৈরিতে ৮০০টি প্লাস্টিকের ড্রাম, ৮০০ মণ লোহার অ্যাঙ্গেল ও ২৫০টি লোহার শিট ব্যবহার করা হয়েছে। আর ওই সেতুটির অন্যতম প্রধান কারিগর হলেন রবিউল ইসলাম।
‘একতাই বল’ প্রবাদের প্রমাণ রেখে রবিউল ইসলামের হাত ধরে মণিরামপুরের ঝাঁপা বাওড় বেষ্টিত ঝাঁপা গ্রামবাসী ‘দেশের প্রথম দীর্ঘতম ভাসমান সেতু’ নির্মাণের মধ্যে দিয়ে জয় করেছেন মানুষের মন।
জানা গেলো- ভাসমান সেতুটি তৈরির মূল কারিগর রবিউল ইসলাম অভাব-অনটনের কারণে মাধ্যমিকের গন্ডি পেরোতে পারেননি। পুঁথিগত বিদ্যার জোর তেমন নেই। তাতে কী মেধার জোর তো আছে-ই। এই মেধা আর চেষ্টার জোরেই তিনি তৈরি করে ফেললেন দেশের দীর্ঘতম ভাসমান সেতু।
স্বশিক্ষিত এই প্রকৌশলীর রবিউল ইসলাম যে কাজটি করেছেন, তার খবর অনেকের জানা আবার অনেকের অজানা।
ঝাপা বাওড়টি অনেকে বড় নদী বলেও মনে করেন। কেননা ওই বাওড়ের প্রশস্ততা (আড়) কপোতাক্ষ-বেত্রবতীর চেয়েও অনেক বড়। আর লম্বায় যেকোন নদীর চেয়েও কম নয়। ওই বাওড়ের কারণে দু’পারের বাসিন্দাদের যাতায়াতে পোহাতে হয় চরম হয়রাণী ও ভোগান্তি। বাওড়ের এপার-ওপার করতে হতো নৌকা দিয়ে অথবা ১০/১৫ কিলোমিটার ঘুরে।
বলছিলাম গ্রামবাসীর উদ্যোগে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা গ্রামে ভাসমান সেতুটির কথা। প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর লোহার অ্যাঙ্গেল ও পাত বসিয়ে তৈরি সেতুটি লম্বায় এক হাজার ফুট। যে সেতু গোটা জনপদের দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। দুই পারের ৯ গ্রামের মানুষের পারাপারের দুর্ভোগ কমিয়েছে। ওই সেতুর কারিগর রবিউল ইসলাম। ভাসমান সেতুটির পাশে টাঙানো সাইনবোর্ডেও সেতু তৈরির কারিগর হিসেবে লেখা রয়েছে তাঁর নাম।
রবিউল ইসলামের বাড়ি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার অজপাড়ায়। তিনি যখন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র, তখন আর্থিক সংকটের কারণে তাঁকে লেখাপড়ার পাট চুকাতে হয়। এরপর কাজ নেন লেদ মেশিনের দোকানে। সেখানেই দীর্ঘদিন কাজ শেখেন। শেখার পর বাবার দেয়া ৫০ হাজার টাকায় একটি লেদ মেশিন কিনে নিজেই দোকান করেন। ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার যান, ট্রলিসহ বিভিন্ন যানের ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ তৈরির কাজ করতেন তিনি।
রবিউলের দোকানটি এখন রাজগঞ্জ বাজারে। প্রতিষ্ঠানের নাম বিশ্বাস ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ। হালকা প্রকৌশল শিল্পের ওই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ১০জন শ্রমিক কাজ করেন। এই ১০ জনকে নিয়ে তিনি তৈরি করেছেন ভাসমান সেতুটি। সময় লেগেছে পাঁচ মাস।
রবিউল ইসলাম জানান- ‘সেতুটি তৈরির জন্য প্রথম এক মাস পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে হয়েছে। এরপর আমার প্রতিষ্ঠানের ১০জন শ্রমিক নিয়ে চার মাস ধরে সেতু নির্মাণের কাজ করি। অর্থের জন্য নয়, সুনামের জন্যই কাজটি করেছি। এখানে লাভ-লোকসানের হিসাব নেই।’
সেতুটি নির্মাণের জন্য ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা পেয়েছেন তিনি। তবে রবিউল ইসলাম যে শ্রম দিয়েছেন, তার মূল্য আরও অনেক বেশি বলে তিনি মনে করেন। শুধু গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার কথা ভেবেই কাজটি করেছেন- যোগ করেন তিনি।
বাস্তবতার ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম আরো জানান- ‘সেতুর মূল কাজ শুরুর আগে লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর ২০ ফুটের মতো সেতু বানানো হয়। সেটার ওপর প্রায় ৩২ জন মানুষ উঠে দেখেছেন সেটি ডোবে কি না। পরীক্ষা সফল হলো। এরপরই শুরু হয় মূল কাজ।’
রবিউল ইসলাম সেতু নির্মাণের কাজ করলেও ভাসমান সেতুর মূল বিষয়টি প্রথম মাথায় আসে ঝাঁপা গ্রামের মো. আসাদুজ্জামানের।
আসাদুজ্জামানেরও প্রকৌশলগত কোনো শিক্ষা নেই। ঝাঁপার ওই বাঁওড়ের পানিতে প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর দুটি ভারী শ্যালো মেশিন বসিয়ে কয়েকজন বালু উত্তোলন করছিলেন। সেটা দেখেই ভাসমান সেতুর চিন্তা আসে তাঁর মাথায়।
আসাদুজ্জামান জানান- ‘আমাদের কারোরই কারিগরি জ্ঞান নেই। “গাইতে গাইতে গায়েন”-এর মতো নিজেদের মাথা খাটিয়ে কাজটি করেছি। তবে মূল কাজটি করেছে রবিউল।’
নতুন বছরের প্রথম দিনেই ভাসমান সেতুটি উদ্বোধন করা হয়েছে। ৮ ফুট চওড়া ও ১ হাজার ফুট লম্বা সেতুটি তৈরিতে ৮০০টি প্লাস্টিকের ড্রাম, ৮০০ মণ লোহার অ্যাঙ্গেল ও ২৫০টি লোহার শিট ব্যবহার করা হয়েছে।
সেতুর দুই প্রান্তে শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যাওয়া ৩০০ ফুট অংশ কাটা বাঁশ দিয়ে সংযোগ সেতু তৈরি করা হয়েছে।
রবিউলের তৈরি সেতুর ওপর দিয়ে এখন ইজিবাইক, মহেন্দ্র, ভ্যান, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ অন্যান্য ছোট-খাটো যান ও মানুষ অনায়াসে পারাপার হচ্ছেন।
অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রবিউল ইসলাম ও তাঁর ১০কর্মচারী, প্রথম পরিকল্পনাকারী আসাদুজ্জামানসহ ঝাপা বাঁওড়বেষ্ঠিত ৫৬জন যুবক এবং গ্রামবাসীকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest